অপরিচিতা

অপরিচিতা হাজারটা দস্যিপনার মাঝে একটুখানি চাপা
(1)

03/08/2023

লেখাঃ মুশফিকুর রহমান আশিক

23/06/2023

লেখা: কালেক্টেড

04/06/2023

কি অবস্থা সবার!??
কবিতা বা নিজের লেখা দিতে পারেন কিংবা আবৃত্তি দিতে পারেন,পেইজে পোস্ট করার মতো❤️

13/02/2023

যে ভালোবাসা আমাকে চেয়ে নিতে হয়,সে ভালোবাসা নিয়ে আমি করবোই বা কি🌼

17/01/2023

"আকাশ হলে প্রেম টেকেনা"

লেখাঃতানভীর ফুয়াদ রুমি

24/11/2022

লিখাঃঅনবদ্য রক্তিম

🖤
04/11/2022

🖤

19/10/2022

লিখেছেনঃসৌরভ আহমেদ
কন্ঠঃGourab Tapadar ❤️

09/09/2022

কাদম্বরী দেবীর সুইসাইড নোট

05/09/2022

একটা দুঃসংবাদ আছে!
লেখাঃসাদাত হোসাইন

28/08/2022

২২বছর পর
লিখাটার মাঝামাঝি কিছু লাইন❤️
লিখেছেনঃ এলিট দাশ গুপ্ত

08/07/2022

এক অপ্রেমিকের জন্য
তসলিমা নাসরিন

24/06/2022

তোমার কাছেই থাকতাম
লিখাঃ স্বপ্নীল চক্রবর্ত্তী

31/05/2022

লিখেছেনঃমুশফিকুর রহমান আশিক

09/05/2022

লিখেছেনঃ আনুশা মেহরিন ❣️

01/04/2022

সুখের বেদনা
লিখেছেনঃ ফাতিহা রুহী

13/03/2022

বসন্ত নয়,অবহেলা

সুমিত্র চট্টোপাধ্যায় ❤️

এই লিখাটা এতো ভালো লাগে....
যদিও খুব আনাড়ি ছিলো আমার পড়া টা,ভুলও ছিলো...
কিন্তু, অনেক খানি ভুল আর সামান্যতম শুদ্ধতার বেশে,বসন্ত নয়,,আমার দরজায় কড়া নেড়েছিলো,,অবহেলা ...

09/03/2022

লিখেছেনঃ খালেদ বিন আহমেদ সেজান

20/02/2022

লিখেছেনঃফারিহা হোসেন
থিমঃShraoti Roy Laj

18/02/2022

উড়ে যায় বিষাদ পাখি
লিখেছেনঃ আনুশা মেহরিন

12/02/2022

সুখী জীবন
লিখেছেনঃ আল মামুন

ভাইয়া পেইজে সবসময় লিখা পাঠানোর চেষ্টা করেন এবং ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করেন,কখন পেইজ থেকে উনার লিখাটি পড়া হবে...
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়াকে❤️

11/02/2022

তুমি ভালোবেসে ফেললে....

লিখেছেনঃ সুকান্ত দাস

07/02/2022

হারাইয়া যাইতে চাইতাছো,যাও...
যাইবা কতদূর

লিখেছেনঃসাজ্জাদ কবির

 #প্রতিচ্ছায়াশেষ পর্ব,,,,পাঁচ বছর পর....আয়নাঃ আজকে একটা স্বপ্ন দেখেছি জানো বাবা?নীলঃকি দেখলি?আয়নাঃ উমম,,উহু...তোমাকে বল...
20/01/2022

#প্রতিচ্ছায়া

শেষ পর্ব,,,,

পাঁচ বছর পর....

আয়নাঃ আজকে একটা স্বপ্ন দেখেছি জানো বাবা?

নীলঃকি দেখলি?

আয়নাঃ উমম,,উহু...তোমাকে বলবো না...মাকে বলবো...

নীলঃ বেশ! যাচ্ছি তো,তোর মায়ের কাছে, বলিস!

আয়নাঃ এখন বললে তুমি শুনে নেবে...রাতে বলবো...আকাশে!

নীল আর আয়না হেঁটে হেঁটে একটা জায়গায় পৌঁছে.... সবসময়ের মতো এবারও নীলের হাতে একটা হলুদ গোলাপ....গোলাপ টা নীল একটা জায়গায় রাখে....যেটাকে সহজ ভাষায় এপিটাফ ও বলা যায়.....বড় বড় করে নাম লিখা,ইনু!

ওইদিন ইনিশার প্লেনটি এদেশ ছেড়ে বেরুনোর আগেই কোনো একটা যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়....প্লেনে থাকা যাত্রী রা প্যারাসুটের মাধ্যমে নিরাপদে ল্যান্ড করতে পারলেও হাইট ফোবিয়া থাকার কারনে ইনিশা পারেনি....পাঁচজন মারা যায় সেদিন....ইনিশা সহ...তাদের এখানেই দাফন করা হয়....

নীল বিয়ে করেনি...আয়না কে নিয়ে থাকে....এখন সে আয়নাকে সময় দেয় আবার ইনু কেও.....আকাশের দিকে তাকিয়ে...অনেক কথা বলে....মাঝে মাঝে ডায়রি খুলে ইনিশার না কাটা ওই লাইন টা পড়ে...

"তুমি ডাকবে, তুমি বলবে আর আমি আসবোনা?এমনটা হয়???হয়না......"
'হয়না.....আসলেই হয়না....ইনু চাইলেও পারেনি....কিংবা প্রকৃতি দেয়নি....সে আমার 'থেকে যা' কথা টা কাটিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারেনি.....

খবরের কাগজ উল্টে পালটে একটা ক্ষীণ হাসি হাসে হাসে ইনিশা...হাসিটাতে প্রাণ আছে কিনা সে জানেনা....ওইদিন ওই ফ্লাইটে ও ছিলো ঠিকই...ওর হাইট ফোবিয়া,তাও ঠিক... কিন্তু ও মারা যায়নি!!খানিকটা আহত অবস্থায় ওকে উদ্ধার করার পর ওর একটা মাত্র দাবী ছিলো, সবাইকে যাতে সে মারা গেছে এ খবর টা দেওয়া হয়....!
দুদিন পরই ও দেশ ছেড়ে চলে যায়....

নিজেকে অনেক চেঞ্জ করে করে সে এ জায়গায় এসে এতোটা শক্ত হয়েছে.....যার কাছে সে নিজেকে সবচেয়ে তুচ্ছ বলে জানতো,তার কাছে এ দুদিনের পুনরায় আলাপে এতোটা প্রাধান্যতায় কি এসে যায়...তার কাছে মৃত হয়ে গেলেও কি এসে যায়...

ইনিশা অনেক গুলো সময়,শুধু নীল ওকে ভালোবাসে এটা শোনার জন্য কাটিয়ে দিয়েছিলো....ওদের গভীরভাবে পরিচয়ের পর থেকেই...কিন্তু প্রকৃতির কাছ থেকে ও সবসময় সবকিছু সবচে দেরীতে পেয়েছে....যখন আর পাওয়া না পাওয়ায় কিছু এসে যায়না.... হয়তো যায়...কিন্তু ইনিশা মনের কাছে আর মাইন্ডকে হারতে দিতে চায়না..কিছুতেই......একটা সময় কারো ভালোবাসায় কিছু এসে গেলেও,কারো না ভালোবাসায় কিছু এসে যেতনা...আর এখন এই ওয়ার্ড টাতেই কিছু এসে যায়না বলে তার মাইন্ডের দাবী....আর মন????ওর মনের সাথে বরাবরই ওর বিরোধ থাকে....

কিন্তু ইনিশা ইদানিং কিছু কিছু শব্দ, ডেইট,মাস মনে রাখতে পারেনা...আগে যেমন ডিটেইলস মনে রাখতে পারতো......শুধু এগুলো না,,ও প্রথম যখন দেশের বাইরে আসে,কি কি হয়েছিলো ও ভুলে গেছে...
একদিন খেয়াল করলো...ওর সমসাময়িক সময়ের সব ও ভুলে যাচ্ছে কেমন জানি...কিন্তু পুরোনো কলেজ লাইফের সব আরো সতেজ ভাবে মাথায় আসছে.....

ইনিশা ওর পার্সোনাল সাইক্রেটিস্টের সাথে কাউন্সেলিং এ বসলে তাকে সে সব বললেও নীলের সাথে দেখা হওয়া রিসেন্ট ঘটনা টা চেপে যায়....সবাই ওর এ ভুলে যাওয়ার অবস্থাটার জন্য এক্সিডেন্ট টা কে দায়ী করলেও,ওর সাইক্রেটিস্টের ধারণা ও সম্ভবত নিজের মনের বিরুদ্ধে কোনো একটা কাজ বা স্টেপ নিয়েছে...বা মনের বিরুদ্ধে কিছু একটা করেছে...অথবা এখনো করছে...যার কারনে ব্রেনে চাপ পরায় ওর এমন সমস্যা হচ্ছে... এবং ও যদি এটা কন্টিনিউ করে,কেস টা আরো সিরিয়াস হয়ে যাবে...

এইতো দুদিন আগের ওর কোম্পানির একটা গুরুত্বপূর্ণ কনফারেন্স এটেন্ড করার সময় ও খেয়াল করে, দেশ ছাড়ার পর যা যা হয়েছে ওর প্রায় কিছুই মনে আসছেনা!

১৬বছর পরের কথা....
এদেশে প্রথম এতো কম বয়সী নতুন একজন সাইক্রিটিস্ট নিযুক্ত হয়েছে....
ছোটোবেলায় দূর্ঘটনায় মা মারা যায়,মায়ের মৃত্যুর দশ বারো বছর পর বাবা!.....
ডক্টর আয়না জামান!
ওর কাছে আজ একটা রুগী এসেছে,অনেক ধনী হলেও যার সাথে আপন বলতে কেউ নেই জাস্ট ৩/৪জন সার্ভেন্ট ২৪ঘন্টা দেখাশোনা করে...ভদ্রমহিলা শুধু দুটি ওয়ার্ড ছাড়া আর কিছুই মনে রাখেন নি...একটা কোনো একটা রঙ এর নাম,লাল/নীল নাকি কি জানি....আরেকটা তার নামকে একটু শর্ট করে কি জানি বলে,মুখে জরিয়ে যায়....জীবনে অনেক বাচ্চা নিয়ে কাজ করেছেন তিনি...একজন সাকসেসফুল ওমেন...বাচ্চাগুলো বড় হয়েছে অনেক, প্রায়ই উনাকে দেখতে আসে..এটা ওটা আনে....ওই চার জন সার্ভেন্টও উনার হাতেই গড়া... তাই নিজেদের উনার সেবায় নিয়োজিত করেছে....কিন্তু উনার এদের কাউকে মনে নেয়....ডিমেনশিয়া রোগ থেকে একটা পর্যায়ে এমন হয়েছে....
হাতে একটা বাচ্চাদের কার্ড, কার,কে দিয়েছে কেউ বলতে পারেনা, তবে এটা চোখের আড়াল হলেই মারাত্মক সিন ক্রিয়েট করেন তিনি

ড.আয়না জামান রোগীর অতীত সব হিস্ট্রি চেক করে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকে...তারপর ওর সিনিয়র ডাক্তার কে বলে,,'উনি যতোদিন বেঁচে আছেন,আমি ততোদিনের জন্যে উনার সবরকমের দায়িত্ব নিতে চাই!!'

(সমাপ্ত)

 #প্রতিচ্ছায়াপর্ব ৬ ও ৭এয়ারপোর্টের পাশেই একটা ক্যাফে তে বসে আছে নীল আর ইনু!উহু...ইনিশা.....কিংবা ইনু!নীলঃ আয়না অনেক জেদ ...
19/01/2022

#প্রতিচ্ছায়া

পর্ব ৬ ও ৭

এয়ারপোর্টের পাশেই একটা ক্যাফে তে বসে আছে নীল আর ইনু!উহু...ইনিশা.....কিংবা ইনু!

নীলঃ আয়না অনেক জেদ করছিলো আসতে...বাট!এতো টা রাস্তা, মেয়েটার শরীর ভালো না তেমন,হাঁপিয়ে যাবে...তাই রেখে এসেছি....

ইনিশাঃ আমি কিন্তু ওকে দেখবো বলেই টাইম করেছি...

নীল চুপ করে থাকে...'চুপ করে থাকলে চলবেনা...বলতে হবে' বলে নিজেকে...

নীলঃ ইনু!
ইনিশাঃ হু!
নীলঃ তুই থেকে যা না...
ইনিশা নীলের চোখের দিকে তাকায়....ও বুঝতে পারে,ও খুব সহজেই নীলের চোখে তাকাতে পারছে...কিন্তু দুটো কারনের মধ্যে কোনটার জন্যে....বুঝতে পারেনা...

ইনিশাঃ বুঝি নি!
নীলঃ থেকে যা....আমার কাছে...মানে আমাদের কাছে...আয়নার কাছে....

ইনিশাঃ এ কথা গুলো ১২বছর আগে ভ্যালিড ছিলো,এখন আর হয়না এটা....

নীলঃ চাইলে তো সবই হয়,ইনু....ইনু?
ইনিশাঃ আমি যে চাইনা....আমার বাচ্চাগুলোর জন্য আমাকে যেতে হবে.....

নীলঃ তোর ওখানে একটা সুন্দর সংসার আছে,না?

ইনিশাঃ হু!

দুজনের ই অনেক কথা থাকে...কিন্তু কেউ কিছু বলে না আর....
নীল একটা কার্ড বের করে ইনিশার দিকে বাড়িয়ে দেয়...

নীলঃএটা আয়না পাঠিয়েছে...তোর জন্যে!

ইনিশা কার্ড তা খুলে দেখে একটা আনাড়ি হাতে আঁকা একটা শাড়ি পরা মেয়ে,একটা ছেলে আর তাদের হাত ধরা একটা বাচ্চা!.... নীচে আবার মার্ক করে লিখা,মা আয়না বাবা....

ইনিশাঃ এটা তোর...নে!(ইনিশা ব্যাগ থেকে একটা ডায়রি বের করে নীলের সামনে দেয়)

নীল কে বিদায় দিয়ে প্রায় ৭/৮বছর পর ইনিশার এতো এতো কান্না পায়...যেন ভেতর থেকে জলোচ্ছ্বাস আঁচড়ে পরছে.....কিন্তু ইনিশা জানে,তার চোখে জল গড়াবে না....সে গড়াতে দেবে না....দুহাত মুষ্ঠিবদ্ধ করে রেখে নিজেকে সামলায়...

নীল কিছুক্ষণ চেয়ে চেয়ে প্লেন উড়ে যাওয়া দেখে....দ্যান ডায়েরি টা খোলে....

ডায়রিটা দেখতেই বোঝা যাচ্ছে বেশ পুরোনো... অনেকগুলো পেইজে পুরোনো কাগজের দাগ.....
এমন ডায়রি এখন আর দেখাই যায়না...আর এখানকার মানুষ ডায়রি ইউজ করতেও ভুলে গেছে মেইবি....

নীল ডায়রির প্রথম ক'টা পাতা উল্টায়... অনেকগুলো লেখা,কিন্তু সবই কলম দিয়ে খুব বাজে ভাবে কাটা!!এতোই বেশি যে,পড়া যাচ্ছে না...তবুও নীল চেষ্টা করলো....নাহ,,পারা যাচ্ছে না....ডেট খেয়াল করলো....আরেহ,,লেখাটা তো এখন থেকে প্রায় ১৯বছর আগের!!!!!

সে এভাবে উল্টে উল্টে প্রতিটা পেইজের কাটা লেখাগুলো পড়ার চেষ্টা করে...কিন্তু পারেনা....

হঠাৎ একটা লেখা দেখে,যেটা....কাটা থাকলেও লেখা বুঝা যাচ্ছে... লেখা টা এমন,,

' ভুবন মাঝি মুভি টা দেখতে দেখতেই যখন আমি বুঝি,আমি মুভি কম,তোমার চেহারা বেশি দেখছি স্ক্রিন এ,সম্ভবত তখনই বুঝি,তোমার জন্য আমার মনে অন্য একটা জায়গা হয়ে গেছে....ওইদিনের পর আমি মুভিটা দেখবো ভেবেছিলাম আবার,বাট আর দেখা হয়নি....তোমার কাছে......(মাঝের এ লেখাগুলা বোঝা যাচ্ছেনা আবার,কেটে দেওয়া অনেক বেশি করে)দ্যান শেষ লাইনটা আবার পড়া যাচ্ছে!
ওখানে একটা গান আছে,ওই গানটা তোমায় উৎসর্গ করলাম'

'কার জন্য লেখা এসব!!!' নীল ভাবতে থাকে...ভাবতে ভাবতে প্রতিটা পেইজ উল্টোয় ক্রমাগত....সব গুলো লিখা কাটা....একদম কিছুই বোঝা যাচ্ছে না....

এবার একটা লেখা পেলো.......যেটা কাটা হয়নি....মেইবি ইনু পেইজটা মিস করে গেছে...খেয়াল করেনি...ওখানে লেখা,,

'তুমি ডাকবে, তুমি বলবে আর আমি আসবোনা?এমনটা হয়???হয়না......'

এরপর আর কোনো লেখাই পড়া যাচ্ছে না....হুট করে খেয়াল করলো শেষ ক'টা পাতার লেখার প্যাটার্ন চেঞ্জ.... খুব সম্ভবত রিসেন্টলি লেখা হয়েছে!কারন এগুলো কাটা নেই!

'তার মানে ইনিশা এ ক'টা পাতা পড়ার জন্যেই আমাকে ডায়রিটা দিয়েছে!'....নীল পড়তে শুরু করে...

নিলেশ!!
তুমি আমার কাছে নীল আছো কিনা জানিনা...জিগ্যেস করিনি নিজেকে....অবাক হওয়ার কিছু নেই...আমি এই ডায়রিতে তোমাকে 'তুমি' করে ই লিখি....নিজের কিছু ব্যক্তিগত জিনিসের ক্ষেত্রে মানুষ সম্ভবত রিয়েল থাকে.....তাই আমিও এখানে তোমাকে তুমি বলেই স্বস্তি পাই....
আমার কোনো সংসার নেই নীল!আমি বিয়ে করিনি...বাচ্চাগুলো আমার অর্গানাইজেশনের....
ওইদিনের পর আমি বড্ড পাল্টে গেছি....কোনদিন??যেদিনের পর আমাদের আর দেখা হয়নি....যেদিন আমি তোমার সামনে এসে মাথা নত করে বলেছিলাম,' আমার জন্যে বিয়ের জন্য দেখছে.....তুমি বলেছিলে,'বাহ ভালো তো' অথচ আমি তোমার কাছে অন্যকিছু শুনতে চেয়েছিলাম....হ্যা,আমি মুখ ফুটে বলিনি....আমি আদৌ বলতে পারতাম ও না....আমার শুধু অপেক্ষা টা ছাড়া আর কিছুই ছিলো না ওইদিনের আগে....তোমায় দোষ দিচ্ছিনা...তবে,তুমি আমাকে বুঝো বুঝো বলে, সবচেয়ে নিখুঁত ভাবে ভুল বুঝেছিলে...বললে তুমি আমার সাথে সহজ হতে পারতে না.....আমি কারো চলে যাওয়া দেখতে পারিনা....তাই তোমার আগে আমিই চলে গেলাম তোমার হাতের বাইরে...সবার থেকে দূরে....
এখন আর এসব আমায় নাড়া দেয়না....তবে অনেক দিন পর...আয়না'র মা ডাকটা আমাকে অনেক নেড়ে ফেলেছে....আমি এখানে থাকলে উইক হয়ে যাবো...আমি তা চাইনা....
এভাবে না থেকে একটা বিয়ে করো...তোমার নিজের জীবনটা গুছাও....আয়নার জন্য....
আয়নার থেকে পারলে আমার স্মৃতি গুলো মুছে দিও.....তুমি হয়তো আমার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করবে....আমি আসলে একবার এক দেশে থাকি.... সো ডোন্ট... যদি কখনো আমি আমার কাছে পরাজিত হই,আয়নার সাথে কথা বলতে নিজেই যোগাযোগ করবো....ব্যস এটাই.....প্রশ্ন করার স্বভাবটা চলে গেছে আমার!তাই হয়তো অনেক প্রশ্নই করা হয়নি...কিছু প্রশ্নের জবাব না জানাই বোধয় ভালো.....তুমি আমার দূরে পরে থাকা সবচেয়ে সুন্দর কিছু.......

ইতি ইনিশা (তবে ইনিশার নিচে একটা ু কার ছিলো কেটে দেওয়া,সম্ভবত ইনু কেটে ইনিশা লেখার চেষ্টা করা হয়েছে)

নীল এতোটাই থমকে যায় যে,চারপাশের পরিবেশ যে চাঞ্চল্যকর হয়ে আছে কোনো কারনে,খেয়াল করেনি....সবাই কি নিয়ে জানি বেশ বলাবলি করছে...

 #প্রতিচ্ছায়াপর্ব ৫আয়নার পাশে বেডে বসে আছে ইনিশা......আয়না এখন মোটামোটি ঠিকাছে..... নীল একটু পাশের একটা চেয়ারে বসেছে...আ...
18/01/2022

#প্রতিচ্ছায়া

পর্ব ৫

আয়নার পাশে বেডে বসে আছে ইনিশা......আয়না এখন মোটামোটি ঠিকাছে.....
নীল একটু পাশের একটা চেয়ারে বসেছে...
আয়নাঃ মা!তুমি আমাকে কেন চিনতে পারোনি?

ইনিশাঃ আমি আসলে বুঝতে পারছিনা কিছুই(ইনিশা আগে যেমন কিছু না বুঝলে নীলের দিকে তাকাতো৷ ওভাবেই একবার তাকিয়ে নেয়...এতো বাচ্চা থেকে ইনিশামা ডাক শুনতে অভ্যস্ত ইনিশা...কিন্তু আয়নার মা ডাকে কেন ও এতো অস্থির হয়ে যাচ্ছে আসলেই বুঝছে না,এতো এতো প্রশ্ন এসে ভিড়েছে....)

ইনিশাঃ তোর ওয়াইফ?

নীল কিছু বলার ভঙ্গিতে তাকায়...'নাহ,,এবার কিছু কথা,,আয়না,ইনু দুজনেরই জানার দরকার আছে' ভাবে সে

নীলঃ আসলে আমি বিয়ে করিনি!
ইনিশাঃ তোহ আয়না?

নীলঃ ৬বছর আগের কথা,ওই সময় টাতে আমি কিছুটা ডিস্টার্বড ছিলাম সব কিছু মিলিয়ে,,,হতাশ টাইপ....মনে হচ্ছিল সব অর্জন করতে করতেও লাইফে কি যেন একটা নেই...ওই সময় টাতে আয়না কে পাই আমি....এদিকেরই একটা শিশু আশ্রমে, ১৮দিনের বাচ্চা বলা চলে...জন্ডিস সহ আরো অনেক জটিলতা ফেস করছিলো ও,আশ্রম টা খুব ছোটো তো,ওর জন্য বেয়ার করার মতো টাকা ওদের ছিলোনা...তাই ওরা ওর জন্য বাবা মা খুঁজচ্ছিলো...ওকে দেখেই আমার তোর কথা মনে পরে গেল...কোন একটা সাইডে জানি ওর মধ্যে তুই ছিলি...কোন সাইডে ঠিক জানিনা....তোর মনে আছে?তুই আমাকে একবার বলেছিলি?বাচ্চা এডপ্ট করবি....কিংবা তোর একটা বাচ্চা থাকবে যার নাম দিবি আয়না....
এরপর থেকে আয়না আমার কাছেই থাকে....কখন যে আমি ওর বাবা হয়ে উঠলাম....আমার সব কিছু জুড়ে এখন ও...

ইনিশা ছোটো খাটো একটা শক খেলো.....
ইনিশাঃ আর ইউ স্টিল আনম্যারিড?!

নীলঃহ্যা...

আয়নাঃ জানো মা? বাবা আমাকে চয়েজ করে এনেছে...কারন আমি অনেক প্রিটি....তোমার মতো...তাইনা মা?

ইনিশা জবাব দেয়না.... ওকে আয়নার কাছে মা পরিচয় দেওয়ার জন্য ইনিশার অনেক রাগ করার কথা,রাগ করা দরকার... কিন্তু ওর রাগের বদলে উল্টো ভালো লাগছে....ভেতরটা শান্ত শান্ত লাগছে...যেন ও বহুকাল এটা শোনারই অপেক্ষায় ছিলো...

নীলঃ তোর কিছু জিজ্ঞেস করার নেই?

(কারো সাথে কথা বলতে বলতে যেমন অনেক কথা থাকে,ছোটো খাটো কথাও বলা হয়ে যায়,তেমনি কথা না বলতে না বলতে,অনেক কিছু বলার থাকলেও সব জট পাকিয়ে কিছু আর বলা হয়না)

ইনিশাঃনা!
নীলঃ তুই অনেক বদলে গেছিস!

আয়নাঃ হ্যা মা...এই যে,ওই ছবিটাতে দেখো....

(দেয়ালে ফ্রেম করা একটা ছবি ইঙ্গিত করে আয়না...নিজের পুরোনো ছবিটা দেখে চমকে যায় ইনিশা...আগের ইনু হলে হয়তো কেঁদে ফেলতো..কিন্তু ও যে আর নীলের ইনু নেই! ও ইনিশা,হ্যা...ইনিশা জামান!!)

আয়নাঃ তোমার চুল কতো বড় ছিলো মা,কেটে ফেললে কেন?
ইনিশা বেশ বাচ্চাদের মতোই বললোঃ কেন,সুন্দর লাগছেনা বুঝি?

আয়নাঃ তুমি তো আমার লক্ষ্মী মা...

(নীল খেয়াল করে...ইনিশার চুল গুলো কাঁধে এসে শেষ হয়ে গেছে... একদিন ঠাট্টার ছলেই ইনিশা বলেছিলো,'তোর থেকে আমি আমার চুল বেশি ভালোবাসি '....
'কতোটা কঠোর হয়ে গেলে সে চুলটা কেটে...এতো ভালোবেসেও ...সেখানে আমার অস্তিত্ব তো আরো তলানী তে....তবে,ওর তো নতুন একটা সংসার আছে....হয়তো.....কিন্তু ও যদি ভালোই থাকতো নিজেকে এতোটা পাল্টানোর দরকার কি ছিলো..এতো কঠোরতা কেন... ' নীল ভাবে...

ইনিশাঃ আসলে সময় পাইনা চুল বাঁধার,যত্ন করার..এতো বড় চুল নিয়ে..তাই কেটে ফেলেছি... আরো অনেক আগে....এখন তো একটু বড় হয়েছে...আরো ছোটো ছিলো...

আয়নাঃ তো বাবার কাছে আসতে?বাবা বেঁধে দিতো?বাবা সব পারে...এ দেখো আমার চুল ও বাবা বেঁধে দেয়....

ইনিশা কিছু বলতে যাবে,এমন সময় ওর মোবাইল বেজে ওঠে....
ইশিনা হ্যালো বলে ওপাশের কথা শোনে...দ্যান বলে,

ইনিশাঃ এতো আগে?মানে তাহলে তো আর দুদিন কেবল...
ওপাশ থেকে আরো কিছু শোনে ইনিশা,দ্যান ওকে বলে কল রেখে দেয়.....

ইনিশাঃআমি আর জাস্ট দুদিন আছি দেশে...দ্যান আবার চলে যাচ্ছি.... আরো কিছু দিন থাকার কথা ছিলো...বাট কিছু ইমার্জেন্সী কাজ এসে গেছে,সো আই হ্যাভ টু গো....

নীলের বুকটা খালি হয়ে যায়....রুমে দুই মিনিট নিরবতা চলে....

আয়নাঃ মা,তুমি থেকে যাওনা আমাদের সাথে...

ইনিশাঃ না মা!আমার যে আরো বাচ্চারা আছে...ওদের আমাকে খুব দরকার...

নীল একটা ঝটকা মেরে ইনিশার দিকে তাকায়..ইনিশাও নীলের দিকে....দুজনই চোখ নামিয়ে নেয়....দ্যান ইনিশা উঠে দাঁড়ায়....মোটামোটি শান্ত ভাবেই বিদায় দিয়ে বেরিয়ে পরে....

রাতেই নীলের নম্বর থেকে আবার কল আসে...

আয়নাঃ হ্যালো মা!
ইনিশাঃ হ্যা,বলো আয়না...তুমি ঠিকাছো...

আয়নাঃ আই মিস ইউ সো মাচ মা....তুমি যাওয়ার আগে আরেকটা বার দেখা করবে?

ইনিশাঃ আই মিস ইউ টু বাবা...বাট,আমার তো অনেক কাজ রে...অনেক কিছু বাকী...সময় হবেনা যে...

আয়নাঃ না মা প্লিইইজ....আচ্ছা তুমি এয়ারপোর্ট যাওয়ার জন্য বের হবে যে?একটু আগে আগে এসো?আমি তোমাকে বায় বায় বলতে আসবো....

ইনিশাঃ উমমম....এখনো শিওর বলতে পারছিনা...যদি ওভাবে টাইম হয়,আমি সময় জানিয়ে দেবো আগে আগে...কেমন?

আয়নাঃ আচ্ছা মা........

ইনিশা কল রেখে কিছুক্ষণ শক্ত হয়ে বসে থাকে.... তারপর একটা ডায়রি বের করে...আর একটা পেন....

 #প্রতিচ্ছায়াপর্ব ৪'ইনু কতোটা অচেনা হয়ে গেছে....একবারও জানতে চাইলো না,আয়নার মা'র কথা.....অভিমানি চোখগুলা, ওই হাসিটা সব ক...
17/01/2022

#প্রতিচ্ছায়া

পর্ব ৪

'ইনু কতোটা অচেনা হয়ে গেছে....একবারও জানতে চাইলো না,আয়নার মা'র কথা.....অভিমানি চোখগুলা, ওই হাসিটা সব কেমন উবে গেছে.....দেখা হবে জানতাম আমাদের একবার না একবার...কিন্তু এভাবে!!কোথায় আছে,কার সাথে আছে,নম্বর, ঠিকানা...কিছু জানিনা....ও বলতো,বিয়ের পর রোজ শাড়ি পরবে....শুধু এ দিক টাই মিল...মেয়েটা আজও শাড়ি পরেই ছিলো...আচ্ছা ওর বর কে???বিয়ে কি ওই বছরই করেছিলো?সুখে আছে তো...যাও এতো বছর পর দেখা,আমাকে নীল না ডেকে নিলেশ!ও তো আমায় নীল ডাকতো...হু,শুধু ও ই ডাকতো....একটা সময় পর,দেওয়া ডাকনামগুলোর ও কি গুরুত্ব হারায়!?' ভাবতে থাকে নীল

আয়নাঃ বাবা...
নীলঃ জ্বি মা..
আয়নাঃ আমার কিছু ভালো লাগছেনা বাবা....মা আমাকে চিনলো না কেন বাবা...মা কি রাগ করেছে,বলো? বলো না বাবা...

নীল এ প্রশ্নের উত্তর জানেনা....তাই উত্তর না দিয়ে মেয়ের মাথায় হাত রাখতেই চমকে যায়!জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে....
আয়নাঃ বাবা,,,,মা কে এনে দাওনা বাবা.....মা কে এনে দাও...আমি সময় মতো ভাত খাবো...দুবার করে ভাত নেবো..তুমি তাও মা কে এনে দাও...

নীল আয়না কে নিয়ে শোবার ঘরে যায়....তারপর আয়না কে বুয়াপুর কাছে রেখে হসপিটাল টা তে আবার যায়....এ গোটা শহরে একমাত্র এ হসপিটাল টা ছাড়া ইনু কে খোজার কোনো ক্লু নেই....

নাহ,ইনুর কোনো ঠিকানা কেউ দিতে পারলোনা বা দিতে চাইলোনা...শুধু এন্ট্রি করা ওর ইমেইল টা কোনো মতে ব্যবস্থা করলো...আর ইমেইল পাঠালো.........নম্বর সেন্ড করার জন্য....

দুপুরে ঘটে যাওয়া ঘটনা টা ইনিশা কে ভালো রকমের নাড়া দিয়েছে...
'আচ্ছা, ওর মেয়ের নাম আয়না কেন রাখলো? এটা ওর ওয়াইফের দেয়া নাম?ওর ওয়াইফ দেখতে কেমন?ওরা কেমন করে ভালোবাসে?আচ্ছা.. ও একজন ভালোবাসার মানুষ হিসেবে কেমন...নীল যখন ওর ওয়াইফ কে ভালোবাসে,ওকে দেখতে কেমন লাগে.......'

'নাহ,আমাকে শক্ত হতে হবে....'
ইনিশা তাও বারবার রিপিট টেলিকাস্টের মতো দুপুর টা মনে করে...তারপর ও খেয়াল করে,'আচ্ছা এখন আসি' এ কথা টা বলার সময় জীবনে প্রথম ও এতোটা দীর্ঘ সময় নীলের চোখে তাকিয়ে ছিলো!

ইনিশা জানে ও শুধু দুইটা কারনে জীবনে নীলের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারবে....এক,যদি নীলও তাকে ভালোবাসে বা নীলের চোখে ভালোবাসা বুঝতে পারে ইনিশার জন্য তখন আর দুই,ইনিশার নীলের জন্য ভালোবাসা টা একেবারে মরে গেলে তখন......ইনিশা বুঝতে পারেনা,ঠিক কোন কারনে এতো সময় ধরে ওর চোখে চেয়ে ছিলো সে..

হুট করে ফোনে নোটিফিকেশন আসে.....একটা ইমেইল....

'send me your contact number or address. Its emergency. Ayna is not so well...badly need your help'

ইনিশার নম্বর সেন্ড করার কথা না,সে জানে সে নম্বর সেন্ড করবেনা...কিন্তু নিজেকে অবাক করে দিয়ে ইনিশা রিপ্লাই তে ১১টা ডিজিট টাইপ করে পাঠিয়ে একেবারে অসাড় হয়ে বসে থাকে....এক ঘন্টা পরই কল আসে...

ওপাশ থেকে একটা ক্লান্ত ক্ষীণ বাচ্চার শব্দ..... কিন্তু কি বলছে বোঝা যাচ্ছে না,কেবল মা কে ডাকছে তা ই বোঝা যাচ্ছে... এরপর একটা ভারী কন্ঠের আওয়াজ...কেউ না বললেও ইনিশা চিনে ফেলে এটা নীল....হ্যা এটা নীল...

নীলঃহ্যালো!
ইনিশাঃ হু...বল!কি হয়েছে আয়নার
নীলঃ খুব জ্বর রে...

ইনিশাঃ ডক্টর কল করিসনি?আমাকে কি দরকার বল(একটু শক্ত হয়েই জিজ্ঞেস করে)

নীলঃ তুই একবার আমার বাসায় আসতে পারবি!

ইনিশাঃ আমি?!!তোমার বাসায়?মানে?

নীলঃ আয়না ভীষণ কাঁদছে আমি সামলাতে পারছিনা রে...এ প্রথম আমি ওকে সামলাতে পারছিনা...

ইনিশাঃ ওর মা...

নীলঃ অনেক কাহিনি.. তুই আয়? আসলে বলি সব?

ইনিশা চুপ করে ভাবে...'দুপুর গড়িয়ে এখন সন্ধ্যে প্রায়,এর ই মাঝে নীলের সাথে ওর ওয়াইফের সেপারেশন হয়ে গেলো নাকি!ধুর কি ভাবছি যা তা....'

নীলঃ ইনু!

ইনিশা জানে নীল ওকে ইনু ডাকার পর ও আর চাইলেও না করতে পারবেনা...ঠিকাছে বলে দেয়...

নীলঃ ওকে তোর এড্রেস টা দে,আমি গাড়ি নিয়ে আসছি

ইনিশাঃ বাসার এড্রেস দেবোনা...তুই একটা কাজ কর....ওই যে,ওইদিন দেখা হলো,হসপিটালটার সামনে গাড়ি পার্ক করে ওয়েট কর,আমি ওখানেই আসছি.......

 #প্রতিচ্ছায়াপর্ব ৩নীলের কনিষ্ঠ আঙুল ধরে দাঁড়িয়ে থাকা আয়না ফিসফিস করে বলে উঠে,,'মা!!!'নীলেরও যেন ঘোর কাটে....মনে মনে হাজ...
15/01/2022

#প্রতিচ্ছায়া

পর্ব ৩

নীলের কনিষ্ঠ আঙুল ধরে দাঁড়িয়ে থাকা আয়না ফিসফিস করে বলে উঠে,,'মা!!!'

নীলেরও যেন ঘোর কাটে....মনে মনে হাজারটা কথা বলে ফেললেও মুখে একটা শব্দ ও বের হয়না নীলের...

ইনিশা নিজেকে সামলে নিয়ে,সামনে এগিয়ে আসে

ইনিশাঃ আপনি..আই মিন তুম....মানে তুই?

(ইনিশা খেয়াল করে,অনেক দিন পর বন্ধুদের সাথে দেখা হলে,যতো সহজে কথা বলা যায়,ও নীলের সাথে ততো সহজে কথা বলতে পারছেনা,আটকাচ্ছে বারবার,তাও আবার চেষ্টা করে)

ইনিশাঃ নিলেশ!

নীলঃ হু? হ্যা...হ্যা,আমি আসলে,তুই এখানে, মানে আমি এখানে..

ইনিশা কিছুটা হাসার চেষ্টা করে কিন্তু ওর চোয়াল যেন জড় হয়ে আছে...ইনিশা খেয়াল করে,সে আগের মতোই নীলের চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলতে পারছেনা.....তাও আবারও চেষ্টা চলে কথার

ইনিশাঃ ইটস আ লং টাইম.....লাইক,১যুগ....রাইট?

নীলঃ তার থেকে একটু কম....১১বছর ১৬৭দিন!

(একটা সময় ইনিশা এভাবে দিনক্ষণ মনে রাখতো...এখন ওর নিজের বার্থডেও মনে থাকেনা,যতক্ষণ না,ওর অর্গানাইজেশন কিংবা অফিস থেকে বুকে,কার্ড এসব আসে....বাট নীলের ক্যালকুলেশন দেখে ইনিশার ভালো লাগে,ঠিক তখনি চোখ চলে যায়,নীলের হাত ধরা ৫/৬বছর বয়সী মেয়েটার দিকে.....)

ইনিশাঃ ও... ও কে?
নীলঃ আমার মেয়ে...

(ইনিশা তো জানতো,এমন কিছুই হবে.....তবুও ওর পায়ের নীচ থেকে যেন মাটি সরে যায়....কিন্তু এখন আর ওর মন খারাপ,চমকে ওঠা,খুশি কিছুই মুখের আদলে বোঝা যায়না...ইশিনা হাটু গেড়ে আয়নার সামনে বসে)

ইনিশাঃ হেই.....কি নাম তোমার?
আয়নাঃতুমি আমার নাম জানো না!???

আয়না কে কথা বাড়ানোর সুযোগ না দিয়ে নীলই বলে,

নীলঃ ওর নাম আয়না...

হাজারটা প্রশ্ন নিয়ে ইনিশা নীলের দিকে তাকায়...কিন্তু তখনই হসপিটালের একজন আসে...

'ম্যাম,ফর্ম টাতে আপনার ইমেইল টা এন্ট্রি করা হয়নি'

ওকে আসছি আমি বলে ইনিশা নিজেকে একটু মানসিক ভাবে গুছিয়ে নেয়....

ইনিশাঃ আচ্ছা আসি আমি...
নীল কিছু বলতে গিয়েও পারেনা,যেন ভেতর থেকে কেউ পাঁজা কোলা করে তার কন্ঠ টাকে কোনো বিষাক্ত দ্রবনে ডুবিয়ে দিয়েছে...

আয়নাঃ মা!!

ইনিশা হাঁটতে থাকে....সে জানে,মা বলে যেহেতু নীলের মেয়ে কাউকে ডেকেছে,তারমানে আশেপাশে নীলের ওয়াইফ ও আছে....একবার পিছু তাকালেই সে দেখতে পাবে....কিন্তু,,, যেখানে জগতে শুধু মাত্র এ একটা পুরুষের পাশে ও কোনো নারী কে কখনো সহ্য করতে পারেনি,সেখানে এতোবছর পর এভাবে দেখার,আবার পুরনো ক্ষতয় আঁচড় দেওয়ার কোনো কারন নেই....ও খুব ভালো বুঝতে পারে,এ কিছু মিনিটের দেখাতেও ওর চরম ক্ষতি হয়ে গেছে...আবার সেই একই ভাবে বাইরে গিয়ে ওর কাউন্সেলিং করতে হবে.....

 #প্রতিচ্ছায়াপর্ব ২হুট করেই ঘুম টা ভেঙে যায়,'ইনিশা জামান' এর...কয়টা বাজে দেখার জন্য মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে বুঝলো,সুইচড অফ...
14/01/2022

#প্রতিচ্ছায়া

পর্ব ২

হুট করেই ঘুম টা ভেঙে যায়,'ইনিশা জামান' এর...
কয়টা বাজে দেখার জন্য মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে বুঝলো,সুইচড অফ!সম্ভবত,, চার্জ শেষ....
জানালার বাইরে তাকিয়ে নির্জনতার শব্দ শুনে কয়টা বাজে আন্দাজ করার চেষ্টা করলো...

'এ অসময়ে এই অদ্ভুত অনুভূতি টা কেন হলো...মনে হলো কে জানি ডাকছে.....ধুর! কাজ করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পরেছি.....ঘুমিয়েছি ভালো কথা,আবার এভাবে জাগতে হলো কেন.....'

চোখ বন্ধ করে আবার ঘুমানোর চেষ্টা করলো....
একটা সময়,ইনিশার ভালোই লাগতো,কেউ ডাকছে টাইপ অনুভূতি হলে.....পরে পরে খুব সাফোকেটেড লাগতো এমন অনুভূতি....একটা সময় পর,কিছুই আবার অনুভব হতো না...কিন্তু আজ হঠাৎ এমন, 'কে জানি ডাকছে' টাইপ অনুভূতি টা বাজে রকম বিরক্ত লাগছে ইনিশার....ও এ টাইপ অনুভূতি রাখতে চায়না....ইনিশার কাছে পিছুটান মানেই একটা অদৃশ্য বাঁধা...গলার কাটার মতো,না গেলা যায়,,না সরানো যায়......উঠে পাওয়ার ব্যাংক এ মোবাইল কানেক্ট করে এপাশ ওপাশ করতে করতে আবার ঘুমিয়ে গেলো...আজকাল কোনো অনুভূতি ই ওকে আগের মতো নাড়া দেয় না.......আগের মতো???কোন আগের মতো??১০/১২বছর???নাকি তারও আগের মতো!?

ভোরে ওঠার অভ্যেস এখন ইনিশার...সারাদিনের ব্যস্ততায়,ও ওর নিজের সময় বলতে এ ভোর টা পায়,আর কখনো কখনো ঘুমোতে যাওয়ার আগের সময়টা.....বড় একটা ফ্ল্যাট এ একাই থাকে....সকাল করে বুয়া আসে....বুয়া এটা ওটা কতো কথা বলে....ইনিশার ভালো লাগেনা শুনতে....কারোর কথাই....একলা থাকতে থাকতে মানুষের কথা কেমন জানি লাগে....নিজের চা নিজেই বানাতে পছন্দ করে...ইদানীং কারো হাতের চা ও ভালো লাগেনা.....অনেক আগের গুটি কয়েক যারা ইনিশা কে চেনতো...এখন কেউ তাকে দেখলে চিনবে না,যেন সেম চেহারার অন্য একটা মানুষ....এই অন্য একটা মানুষই এখন ইনিশার সবচেয়ে বড় কমফোর্ট জোন....ইনিশার মনে হয়,যারা ওকে চিনতো বা ও যাদের চেনে,সবার মেমোরির রেম রোম থেকে ওকে সরিয়ে দিতে পারলে,ব্যাপার টা সুন্দর হতো....

অল্প কিছুদিন হলো দেশে এসেছে সে....আবার চলে যাবে....একটা চাইল্ড অর্গানাইজ টিমের প্রধান সে....ওটার দেশে যে শাখা টা আছে,সে শাখাটার কাজেই আসা কিছুদিনের জন্য......দেশের কারো সাথে যোগাযোগ হয়না তার,সোশাল মিডিয়া তে কোন বছর ছিলো তাও মনে নেই......নম্বর চেঞ্জড...... কে কোথায় আছে তাও ঠিক জানেনা...এতো এতো বাচ্চা নিয়ে কাজ করেছে..এতো এতো অনাথ বাচ্চাদের নিজে হাতে সামলেছে,দায়িত্ব নিয়েছে...ওর সবকিছু এখন এদের নিয়েই....বাচ্চাগুলো ও 'ইনিশা মা' বলতে পাগল....দেশের বাইরের বাচ্চাদের ও 'ইনিশা মা' ডাকতে শিখিয়েছে সে...আর এ দেশে তো আছেই....এতোগুলো বাচ্চার মা হওয়া আর কম কি....ছোটো থেকেই একটা বড় পরিবার চাইতো.....এখন কতো দেশে কতো বাচ্চা ওকে 'ইনিশা মা' বলে চেনে.....পাশাপাশি নিজের অফিস,সব মিলিয়ে জীবন সুন্দর...

একটা কল আসে চাইল্ড অর্গানাইজেশন থেকে...

ইনিশাঃ জ্বি বলুন...

ওপাশ থেকেঃ ম্যাম আমাদের এখানের ক'টা বাচ্চা হুট করে অসুস্থ হয়ে গেছে....আমার মনে হচ্ছে ওদের হসপিটালে এডমিট করতে হবে...

ইনিশাঃ কি বলছেন! এখানের সবচেয়ে ভালো হসপিটাল টা তে নিয়ে যান.....সময় নষ্ট করবেনা না....আমাকে হসপিটালের এড্রেস টা মেইল করে দিন,আমি ওখানেই আসছি...

ওপাশ থেকেঃ জ্বি ম্যাম....

অফিসে থাকা অবস্থায় ই নীলের কল বেজে ওঠে....দু একবার বাজার পর,কল ধরে সে...

ওপাশ থেকেঃ আপনি আয়নার বাবা বলছেন?
নীলঃ জ্বি বলছি...
ওপাশ থেকেঃ আয়না হুট করে অসুস্থ হয়ে গেছে...আমি ওর স্কুল টিচার বলছিলাম....কাইন্ডলি আপনাকে একবার আসতে হবে....

নীল সব কাজ ফেলে ছুটে মেয়ের কাছে...

যদিও আয়না বলছিলো,ওর বাবা কে দেখে কিছুটা ভালো লাগছে...তাও নীলের মন মানেনা...আয়না কে নিয়ে হসপিটাল যায় সে...

হসপিটালে বাচ্চাদের ভর্তি করিয়ে অথরিটির কিছু পেপার্স সাইন করতে করতে থমকে যায় ইনিশা....কেমন জানি একটা ফিল হচ্ছে ওর...কারো একটা এক্সজিসটেন্স....

'না...এটা হতে পারেনা কিছুতেই,এতোদিন পর এ দেশে এসে আমার এতো বছরের হারিয়ে ফেলা অনুভূতি টা কেন আসছে,এর আগেও তো সবার আড়ালে ২/১বার দেশে এসেছি....এমনটা তো হয়নি!এমনটা হউক আমি চাইনা...' নিজেকে নিজে শাসন করে ইনিশা...

'না,আমার হসপিটাল থেকে বের হওয়া দরকার এক্ষুনি.... এই পরিবেশ টা আমার জন্য না...' এটা ভেবেই ইনিশা বেরুবার জন্য পা বাড়ায় লিফট এর উদ্দেশ্যে...লিফটের সামনে এসে,সামনে চোখ পরতেই ইনিশার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে....ওর মুখোমুখি এ কে!!!....

হয়তো,,এটা একটা মিউজিক ভিডিও কিংবা নাটকের দৃশ্য হলে এ মুহূর্তে ওই লাইনগুলো বেজে উঠতো,'মুখোমুখি আমরা দুজন...মাঝখানে অনেক বারণ'....

 #প্রতিচ্ছায়ালিখেছেনঃ পেইজের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী! পর্ব ১নীল একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো...বয়স তো ৩৬/৩৭,,এখনই এতো ক্লান্তি এসে যা...
13/01/2022

#প্রতিচ্ছায়া

লিখেছেনঃ পেইজের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী!

পর্ব ১

নীল একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো...বয়স তো ৩৬/৩৭,,এখনই এতো ক্লান্তি এসে যায়...তারউপর এ জেদি মেয়েটা....প্রতিদিন রাগ করে...
'কি করে যে এমন সেইম টু সেইম হলো,কে জানে...' মনে মনে ভাবে নীল...

নীলঃ লক্ষ্মী মা আমার,এমন টা করে না...প্লিজ?
ওপাশ থেকে কোনো সাড়া আসেনা...

'বুঝলাম না,না দেখা হয়েও মা মেয়ের কি করে এতো মিলে,সব সেইম ব্যাপারে রাগ করে' নিজে নিজে ভেবে একটু মৃদু হাসে নীল....

নীলঃ আয়না....
আয়নাঃ বললাম তো কথা বলি না..
নীলঃ সত্যি আর হবেনা এমন..
আয়নাঃ তুমি এটা রোজ বলো বাবা...তোমাকে বারবার বলেছি আজকে আমাকে স্কুল থেকে আনতে,তুমি সবসময় শুধু ভুলে যাও...এখন আমার কথাই নেই তোমার সাথে একটাও...

নীলঃ আমি আসতাম তো..কিন্তু একটা জরুরি মিটিং ......

আয়নাঃ আমি বেশি নাকি মিটিং বেশি??

(নীল কিছু বলতে গিয়েও চুপ হয়ে যায়....'একদম সেম ডায়ালগ!! 'ইনু' ও এই কথা টা ই বলতো.....')

নীলঃ আচ্ছা আজকে আমরা খেতে খেতে ওই যে,ওই গল্প টা শেষ করবো...জানিস?রাজকুমারীটার কি হয়েছিলো....

(নীলের রোজকার রুটিন আয়না না কে টাইম দেওয়া এ সময়ে..সারাদিন এতো ব্যস্ত থাকে যে,বিছানায় গা এলিয়ে দিলেই ঘুমিয়ে পরবে...তবুও আয়নার সাথে এই এক দেড় ঘন্টা সময়টা যেন সব ক্লান্তি দূর করে দেয় নীলের....আয়নাও সারাদিন এ সময়টার জন্যে অপেক্ষা করে...চায় সারাদিন তার বাবা যতো ব্যস্ত থাকুক না কেন, এ সময়টা শুধু ওকে দিক...তবুও কতো অভিমান জমে..কতো খুনসুটি হয়...)

আয়নাঃ বাবা,আজ মায়ের গল্প বলবে?

(রাজকুমারীর গল্প থামিয়ে নীল মেয়ের দিকে তাকিয়ে থাকে ..)

আয়নাঃ স্কুলে সবার মা আসে,তাদের নিতে...আমার মন খারাপ হয় বাবা...তুমিও আসোনা...বুয়াপু'র টিফিন রোজ রোজ ভালো লাগেনা...সবার মা কতো কি বানায়...বাবা???মা র কথা বলো না....মা কোথায়?

নীলঃ আছে রে,মা,,,, আছে...একটা না একটা দিন ঠিক দেখবি..

আয়নাঃ বাবা! স্কুলের একটা আপুর মা আকাশের তারা হয়ে গেছে...আমার মা ও কি আকাশের তারা??

নীলঃ না না মা,এমনটা না....তোমার মা আছে...একদিন দেখবে হুট করে চলে এসেছে...

আয়নাঃ সবার মায়ের মতো জ্বর হলে মাথায় হাত বুলিয়ে দেবে?

নীল মেয়ের চুল গুলো সরিয়ে দিয়ে বলে,'দেবে'

আয়নাঃ কিন্তু বাবা?

নীলঃ হু?

আয়নাঃ তুমি আজকে আমাকে নাম ধরে কম ডেকেছো...ডাকো তো...

(নীল ভাবে,নাম ধরে ডাকা না ডাকায় কি এসে যায়,তবু দুজনই কেন নাম ধরে ডাকলে বেশি খুশি হয়,কি জানি.......

আয়না,দেয়ালে বাঁধানো মায়ের ছবিটার দিকে তাকিয়ে থাকে....পুরোনো একটা ছবি...হাসিখুশি একটা মেয়ে,দেখলেই মন ভালো লাগে আয়নার..

নীল নিজের অজান্তেই মনে মনে ডেকে ফেলে,,,,'ইনু!'

01/01/2022

আমি ফিরবো
লিখেছেনঃ মারিজা মেহজাবীন...

আপু এতো ভালো❤️
অনেক বেশী ওয়েট করিয়েছি আপুকে.......

21/12/2021

ইদানিং বড্ড হারানোর ভয় হয়....
হারাতে হারাতে কম হারাইনি...তাও....বারবার এটাই মনে আসে,,এই যে মানুষগুলো আছে,,পরে যদি না থাকে?কাল যদি না পাই???কাল যদি আমিই না থাকি?একটু পর থেকেই যদি আমি না থাকি??

সৃষ্টিকর্তা তো সময় বলে দেননি,,,
তাই মনে হয়,,এই যে,,আমার যা যা আছে,আমার যে মানুষগুলো আছে বাকী....সব ভুলে,আরেকটু বেশি সময় ধরে ভালোবাসি....তাদের....
প্রিয় বন্ধুরা,কাছের মানুষ কিংবা পরিবার,,এই যে এতো বিবাদ...কি হয় এসব দিয়ে?এক জন্মের রাগ নিয়ে আমি কিংবা তারা হুট করে চলে গেলে???এই রাগের পাহারটা তখন আফসোস হয়ে দাঁড়াবে না তো????
তাই,,,,

আরো বেঁধেবেঁধে থাকি চলো সবাই, আরো কাছাকাছি বসে চলো দেখি। আরো হেসে হেসে বলে নিই কথা আছে যত, আরোও অভিমান কম করে হাতে হাত রাখি।
আরো একবার ইগো ভুলে আগে আগে বলি দিই স্যরিটা।আরও যত্ন করে রেঁধে ফেলি ডাকনাম। আরও সাহস করে বলে দিই মনে আছে যা, আরও একবার কাছে গিয়ে ধরে ফেলি হাতটা।

আরো একবার হাতটা ছুঁয়ে দেখ
আজো আমাদের ইচ্ছে গুলো এক...

লিখাঃদেবারতি গোস্বামী

14/12/2021

কোনও একদিন ফিরে এসো, যে কোনও একদিন, যেদিন খুশি...

নাও যদি ইচ্ছে করে ফিরে আসতে,
তবু একদিন এসো, আমার জন্যই না হয় এসো,
আমি চাইছি বলে এসো,
আমি খুব বেশি চাইছি বলে।
আমি কিছু চাইলে কখনও তো তুমি না দিয়ে থাকোনি !

লেখাঃতসলিমা নাসরিন

13/10/2021

লিখেছেনঃআঁখি দাস

06/10/2021

"শতবছর পর"
লিখেছেনঃঅরনীলা আমান

24/09/2021

ভালোবাসার অভিনয়
লেখকঃঅরনীলা আমান

21/09/2021

প্রজাপতি

লিখেছেনঃ ভিপি অনু

19/09/2021

"আমার মানি ব্যাগে টাকা না থাকলে নাস্তার বিলটা আমার আগে উঠে কে দিবে সেই বন্ধুটাকে আমি চিনি। আমি জানি আমার এক্সিডেন্ট হলে কে সবার প্রথমে ইমার্জেন্সীতে গিয়ে বলবে, "ডক্টর,রক্ত লাগবে কি?আমার আর ওর রক্তের গ্রুপ সেইম ,ও পজিটিভ"। আমি মারা গেলে আমার কবর জিয়ারত করতে মাসে কয়জন আসবে তাও আমি হাতের পাঁচ আঙুলে গুনে ফেলতে পারবো।

জীবনে সঠিক মানুষ চিনতে পারা উচিৎ। আপনার জীবনে এসে আপনার লাইফে থেকে আড়ালে আপনাকে নিয়ে কাবাডি কাবাডি খেলা মানুষগুলা থেকে দূরে থাকুন।জীবন একটাই,স্বার্থপর মানুষদের বাদ দিয়ে স্বার্থহীন মানুষদের সাথে থাকুন। কাজে দিবে❤️🌻

লিখেছেনঃভিপি অনু

19/09/2021

মায়া

লিখেছেনঃস্লানি

Address

Feni
3900

Telephone

+8801831655671

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when অপরিচিতা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to অপরিচিতা:

Videos

Share

Category