চাঁন নগর গুলশান আরা আহলে হাদীস মাসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স

  • Home
  • Bangladesh
  • Fatulla
  • চাঁন নগর গুলশান আরা আহলে হাদীস মাসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স

চাঁন নগর গুলশান আরা আহলে হাদীস মাসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স মাজহাব নয়, মানহাজ
সুন্নাহই মুক্তির মূল কথা
আক্বিদার ভিত্তিতে একতা মাজহাব নয় মানহাজ
সুন্নাহই মুক্তির মূল কথা
আক্বিদার ভিত্তিতে একতা
(2)

"আহলে হাদীস হিসেবে নিজেকে পরিচিত করা বা পরিচয় দেয়াটা মোস্তাহাবও নয়,তবে প্রতিটা মুসলিমের আহলে হাদীস এর প্রকৃত মানহাজ গ্রহ...
22/08/2024

"আহলে হাদীস হিসেবে নিজেকে পরিচিত করা বা পরিচয় দেয়াটা মোস্তাহাবও নয়,
তবে প্রতিটা মুসলিমের আহলে হাদীস এর প্রকৃত মানহাজ গ্রহন করা ওয়াজিব।

08/08/2024

মাসজিদের বর্তমান অবস্থা ও চলমান কার্যক্রম।

01/07/2024
24/06/2024

শাইখুল ইসলাম ইবন তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ বলেন,

“যে কেউ কোনো কল্যাণ কাজের নিয়ত করবে অতঃপর তার ক্ষমতা অনুসারে তা সম্পন্ন করার চেষ্টা করবে, কিন্তু পূর্ণ করতে অপারগ হবে, তার জন্য কাজটি পূর্ণ করার সাওয়াব লেখা হবে।”
- মাজমূ’ ফাতাওয়া ২২/২৪৩।
তাই নিয়ত ও কর্মে পিছপা হওয়ার সুযোগ নেই। আল্লাহ তাআলা দয়া করে আপনাকে কাজটি করতে দিলে সেটা যেমন সৌভাগ্য, না করতে দিলে যতটুকু করেছেন নিয়তের কারণে অবশিষ্ট অংশের সাওয়াবও লিখা হবে। যেমন, সহীহ হাদীসে এসেছে,
- হজে বের হয়েছেন কিন্তু মারা গেছেন, কিয়ামত পর্যন্ত তার জন্য হজ্জের সাওয়াব লেখা হতে থাকবে।
- উমরার জন্য বের হয়েছেন কিন্তু মারা গেছেন, কিয়ামত তার জন্য উমরার সাওয়াব লেখা হতে থাকবে।
অনুরূপভাবে,
- সালাতে বের হয়েছেন তো সালাতে আছেন।
- সালাতের অপেক্ষায় আছেন তো সালাতেই আছেন।

আল্লাহ আমাদেরকে দাওয়াত, তালীম ও ইবাদত নিরলসভাবে করার তৌফিক দিন। আমীন।

লেখক স্যার Professor Dr. Abubakar Muhammad Zakaria

360 ডিগ্রি ছবিতে মাসজিদ কার্যক্রম ও তার আশের পাশের দৃশ্য। with 01959-322886 চাঁননগর গুলশানআরা আহলেহাদীস মাসজিদ
23/06/2024

360 ডিগ্রি ছবিতে মাসজিদ কার্যক্রম ও তার আশের পাশের দৃশ্য।

with 01959-322886

চাঁননগর গুলশানআরা আহলেহাদীস মাসজিদ

10/06/2024

মাসজিদ নির্মানে কার্যক্রমের বর্তমান হালচিত্র।

সার্বিক যোগাযোগের জন্য হোয়াটস্এ্যাপ /কল করুন +8801959322886

01/06/2024

মানসিক রিফ্রেশ এর জন্য ঘুরে বেড়ানো বা ঘুরাঘুরি একটি প্রয়োজনীয় প্রয়োজন।
আর সেটা যদি হয় মাসজিদ।
তবে সেটাই সর্বোত্তম যায়গা।
চলে আসুন, দেখুন, আপনার দোআয়া আমাদেরকেও রাখুন, মাসজিদকে আবাদ করার মাধ্যমে সাহায্য করুন ইনশাআল্লাহ্।
জরুরী প্রয়োজনে +8801959322886

আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্।প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা ।নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার এনায়েত নগর ইউনিয়নের মধ্যে ব...
25/05/2024

আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্।

প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা ।

নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার এনায়েত নগর ইউনিয়নের মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শিল্পাঞ্চল বিসিক এর নতুন রাস্তার পাশেই (রোড নং ৩) চাঁন নগরে চাঁন নগর গুলশান আরা আহলে হাদীস মাসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স নামে একটি সালাফি মানহাজের মাসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স এর নির্মান কার্যক্রম চলিতেছে।

ছবিতে 3D মানে দৃশ্যমান।

আলহামদুলিল্লাহ্

মাসজিদের নির্মান কার্যক্রম চলমান ।

ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ্।

এই বর্তমান কার্যক্রমের অন্যকম প্রধান স্পন্সর বিশিষ্ট গার্মেন্টস ব্যবসায়ী #শাহরিয়ার ভাইয়ের মা।

তাদের পরিকল্পনা ও ডিজাইনে মাসজিদ এর পাইলিং ও #একতলা_বিল্ডিং সম্পন্ন করে দেয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে।

আমরা সকলে #শাহরিয়ার ভাই ও তার মা এর সদকা কবুলের জন্য মহান রব্বুল আলামীনের নিকট দোআ করি।

আল্লাহ্ সুবহানু তাআলা যেন তাদের সদকা কবুল করে নেন।

তাদের দ্বীনকে বিশুদ্ধতার সাথে জীবনে পরিচালিত হওয়া এবং ইস্তিকামাত থাকার তাওফিক দান করেন।

তার হালাল ব্যবসায় বারাকাত দান করেন।

তার পরিবারকেও ইসলামকে পরিপূর্ণ অনুশীলন করার তাওফিক দান করেন।

সাথে আমাদেরও।

আমীন।

এছাড়াও ইনশাআল্লাহ্ আগামী মুহাররম/সফর ১৪৪৬ হতে পুরোদমে সালাত ও জুমআ কার্যক্রম চালুর প্রচেষ্টা গ্রহন করা হয়েছে ।

আপনারা সকলে সকল ধরনের মাসজিদ আবাদী কার্যক্রমে আমন্ত্রিত।

এই মাসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স নির্মান কার্যক্রম পরিদর্শন সহ পরামর্শ, দোআ, শারিরিক ও আর্থিক সদক্বার মাধ্যমে আবাদ সহযোগি হয়ে নেক কাজে প্রতিযোগিতার উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি আমরা।

পাশাপাশি এটাও জানানো যাচ্ছে, আমরা উক্ত প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ব্যায়ের নিমিত্তে মাসিক ভিত্তিক (অনুদান) সদক্বা ফান্ড চালু করা হয়েছে মুহাররম ১৪৪৫ হতেই।

এক কালীন সদক্বা সবসময়ের জন্যই প্রযোজ্য ইনশাআল্লাহ্।

আল্লাহ্ সুবহানু তাআলা আমাদের হালাল রিজক হতে সদকা করার তাওফিক দান করুন।

মাসজিদ বিষয়ক যে কোন বিষয় তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন
01959-322886

এছাড়াও উক্ত নাম্বারে মোবাই ব্যাংক পার্সোনাল (বিকাশ, রকেট, নগদ ও উপায়) একাউন্ট চালু আছে।
আপনাদের এককালীন কিংবা মাসিক সদক্বা (অনুদান) মোবাইল ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যাংক একাউন্টেও পাঠাতে পারেন।

একাউন্ট বিবরন
চাঁন নগর গুলশান আরা আহলে হাদীস জামে মাসজিদ, চলতি হিসাব নং, ২০৫০১০৮০২০৫৯৮৫৪০৯
ইসলামি ব্যাংক নারায়নগঞ্জ শাখা।

প্রয়োজনে মেইলও করতে পারেন
[email protected]

আমাদের ফেসবুক পেইজ
https://www.facebook.com/CNGA.AhleHadithMoshjid.MadrasaComplex.Official

আমাদের ফেসবুক একাউন্ট
https://www.facebook.com/channagar.gulshanara.ahlehadith.jamemoshjid

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল
https://youtube.com/.AhleHadithJameMasjid

আমাদের মাসজিদ লোকেশন
https://maps.app.goo.gl/7zruspT1F5Yi1hT77
আপনাদের দোআয় আমাদের শরিক রাখবেন ইনশাআল্লাহ্।

আহবান্তে Shaon Khalid

সভাপতি, অত্র প্রতিষ্ঠান।

14/05/2024

মাসজিদের বেজ ঢালাই কার্যক্রম শুরু আজ হতে হলো।
আলহামদুলিল্লাহ্।
আপনিও শরিক হোন সর্বতোভাবে ইনশাআল্লাহ্।

10/05/2024

মাসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স কার্যক্রমের বর্তমান হালচিত্র।
আপনিও আবাদে অংশগ্রহন করুন।

আমাদের মাসজিদে পাইলিংয়ের কাজের যোগসুত্র।প্রশ্ন থাকলো সেই ভাই কোন জন?ছবিতে আছেন তিনি।
23/04/2024

আমাদের মাসজিদে পাইলিংয়ের কাজের যোগসুত্র।
প্রশ্ন থাকলো সেই ভাই কোন জন?

ছবিতে আছেন তিনি।

যারা ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে গাছ লাগাবেন,তারা এই বর্ষাকাল অব্দি অপেক্ষা করেন।কারণ বেস্ট সময়ে লাগালে survival rate অনেক বেশি ...
21/04/2024

যারা ব্যক্তিগত উদ্দ্যোগে গাছ লাগাবেন,তারা এই বর্ষাকাল অব্দি অপেক্ষা করেন।কারণ বেস্ট সময়ে লাগালে survival rate অনেক বেশি হবে।হুজুগে লাগালেন,কিন্তু গাছ বাঁচলো না,লাভ নাই ত।

সকল গাছ সব জায়গায় লাগানোর জন্য উপযুক্ত নয়।ধরেন এমন গাছ রাস্তার divider এ লাগালেন যেগুলোর শিকড় অনেক বড় হয় বা গভীরে যায়,তাহলে হবে না।খুব বেশি শাখা প্রশাখা হয় এমন গাছ লাগালেও দেখা যাবে যানবাহন চলাচলে সমস্যা হবে।

একটা লিস্ট দিচ্ছি,চাইলে ফলো করতে পারেন।
চারা সংগ্রহের সময় অবশ্যই ভালো কোয়ালিটির চারা নিবেন।এতে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে বলে আশা রাখি।

# #

রাস্তার ধার (Roadside):
1. নিম ()
2. রেইন ট্রি ( )
3. জারুল ()
4. কদম()
5. সিলভার ওক ( )
6.সোনালু


রাস্তার বিভাজক (Road Divider):
1. জবা ()
2. কান্টিকারা ( )
3. রতনগাছ ( )
4.রাধাচূড়া ()
5.দেবদারু()

পার্ক (Park):
1. বটগাছ ( )
2. কদম ()
3. চাপালিশ ()
4. কনক চাঁপা ()
5. অশোক ()

ফুটপাথ (Footpath):
1. পারুল
2. সিঙ্গাপুরের চেরি
3. ক্রিসমাস ট্রি
4.দেবদারু


খোলা জায়গা (Open Space):
1. মেহগনি ()
2. কৃষ্ণচূড়া ()
3. শিমুল ()
4. অর্জুন গাছ ()

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (Institutional Areas):
1. আম ()
2. কাঁঠাল ()
3. জাম্বুল ()
4. বেল ()
5. পাকুড় ()

বাড়ির আঙ্গিনা (Homestead):

ফলের গাছ
1. আম
2. কাঁঠাল
3. লিচু
4. পেয়ারা
5. নারিকেল
6. কলা গাছ
7. পপাই
8. জাম্বুল
9. কামরাঙ্গা
10. বেল

কিছু ক্ষেত্রে বিভিন্ন সেগমেন্ট থেকে মিক্স করেও লাগাতে পারেন।
সবাই অন্তত ৫-১০ টি গাছ লাগানোর প্রস্তুতি নেই।
ধন্যবাদ

Shadhin
Forestry,Chittagong University


আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্।চাঁন নগর গুলশান আরা আহলে হাদীস মাসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স এর পক্ষ হতে জানাই এই রমাদ্...
23/03/2024

আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্।

চাঁন নগর গুলশান আরা আহলে হাদীস মাসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স এর পক্ষ হতে জানাই এই রমাদ্বানের মোবারকবাদ।

ইনশাআল্লাহ্
আসছে আগামী ১৬ই(গ্লোবাল) (১৫ই বাংলাদেশ) রমাদ্বান ১৪৪৫ হিজরী, ১২ই চৈত্র ১৪৩০ বাংলা, ২৬শে মার্চ ২০২৪ খ্রীষ্টাব্দ ইয়াওমুল ছালাসা তথা মঙ্গলবার আসর সালাতের পর হতে একটি আলোচনা অনুষ্ঠান ও ইফতার এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ মেহমান হিসেবে থাকবেন জমিয়তে আহলে হাদীস এর নারায়নগঞ্জ মহানগর সহ সভাপতি ক্বারী শাইখ সারোয়ার হুসাইন হাফি.।
আপনারা সকলে আমন্ত্রিত উক্ত আলোচনা ও ইফতার পর্বে।
উক্ত প্রোগ্রামের দাওয়াত অন্যদের কাছে পৌছিয়ে দিন।
আমাদের মাসজিদ আবাদ কার্যক্রমে আপনিও স্বগ্রাহে আনন্দচিত্তে অংশগ্রহন করুন।
আল্লাহ্ সুবহানু তাআলা আমাদের সকলকে ক্ষমা করুন এবং রমাদ্বানের হক্ব আদায়ের মাধ্যমে এর সকল ফায়েদা অর্জন করার তাওফিক দান করুন।
আমীন।

আহবান্তে Mahmudul Hasan Khan

 #মিটিং_নোটিশ_নং_৫ আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্।প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা।নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার এনায়েত নগ...
20/02/2024

#মিটিং_নোটিশ_নং_৫



আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্।

প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা।

নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার এনায়েত নগর ইউনিয়নের মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শিল্পাঞ্চল বিসিক এর নতুন রাস্তার পাশেই (রোড নং ৩) চাঁন নগর গুলশান আরা আহলে হাদীস মাসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স নামে একটি সালাফি মানহাজের মাসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স এর নির্মান কার্যক্রম চলিতেছে।

ইনশাআল্লাহ্

আগামী ইয়াওমুল আরবাঈন তথা বুধবার , ১১ ই শাবান (বাংলাদেশ ১০) ১৪৪৫ হিজরী, ৮ ই ফাল্গুন ১৪৩০ বাংলা, ২১ এ ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সকাল ৭:৩০ এর মধ্যে মাসজিদ প্রাঙ্গন ( প্রয়োজনে সভাপতির অফিস) এ মাসজিদ কমিটি ও সদস্যদের এক জরুরী কার্যকরী মিটিং আহবান করা হয়েছে এবং অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।

পাশাপাশি সকলের মাসজিদের বর্তমান কার্যক্রম স্বচক্ষে স্বশরিরে পরিদর্শন, পর্যবেক্ষনের কর্মসূচী রাখা হয়েছে।

উক্ত দিন (আগের দিনেও শেষ হতে পারে) মাসজিদ এর পাইলিং এর কার্যক্রম সাধারন ভাবেই শেষ হওয়ার কথা ইনশাআল্লাহ্।

তাই সকল সদস্য, শুভাধ্যনুযায়ী মুসলিমদের সেই মিটিংয়ে উপস্থিত হয়ে আপনার মূল্যবান পরামর্শ/নসীহা প্রদানের অনুরোধ করা যাচ্ছে।

পরিচালনা পরিষদের সকলের অংশগ্রহন আবশ্যকীয়( অত্যন্ত ও যুক্তি সংগত জরুরী প্রয়োজন ছাড়া)।

তাছাড়া সকলেই আমন্ত্রিত ও আমাদের মেহমান।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে এই পাইলিং কার্যক্রমের স্পন্সর বিশিষ্ট গার্মেন্টস ব্যবসায়ী #শাহরিয়ার ভাই।

তার পরিকল্পনা ও ডিজাইনে মাসজিদ এর পাইলিং ও #একতলা_বিল্ডিং সম্পন্ন করে দেয়ার হিসাবও রয়েছে।

আমরা সকলে #শাহরিয়ার ভাইয়ের এই সদকা কবুলের জন্য রবের নিকট দোআ করি।

★এরই ফাঁকে সামনের রমাদ্বান মাস পালনের মাসজিদ ব্যবহারের পথ ও পদ্ধতি নিয়ে মূল আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ্।

★পরবর্তী কার্যক্রমও সেখানে যুক্ত থাকবে।

আপনাদের সকলকে আবারও যথাযোগ্য সন্মান ও মর্যাদার সাথে আমন্ত্রণ করা হচ্ছে।

সাধারন ভাবে আমরা সকলকে এই মাসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স স্বশরিরে পরিদর্শন,পর্বেক্ষণ সহ পরামর্শ, দোআ, শারিরিক ও আর্থিক সদক্বার মাধ্যমে সহযোগি হয়ে নেক কাজে প্রতিযোগিতার আহবান জানাচ্ছি।

পাশাপাশি এটাও জানান দিচ্ছি যে ,

আমরা উক্ত প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ব্যায়ের নিমিত্তে মাসিক ভিত্তিক (অনুদান) সদক্বা চালু করা হয়েছে মুহাররম ১৪৪৫ হতে।
এক কালীন সদক্বা সবসময়ের জন্যই প্রযোজ্য ইনশাআল্লাহ্।

আল্লাহ্ সুবহানু তাআলা আমাদের হালাল রিজক হতে সদকা করার তাওফিক দান করুন।

মাসজিদ বিষয়ক যে কোন বিষয় তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন
+8801959-322886

এছাড়াও উক্ত নাম্বারে মোবাই ব্যাংক পার্সোনাল (বিকাশ, রকেট, নগদ ও উপায়) একাউন্ট চালু আছে।

আপনাদের এককালীন কিংবা মাসিক সদক্বা (অনুদান) মোবাইল ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যাংক একাউন্টেও পাঠাতে পারেন।

একাউন্ট বিবরন

চাঁন নগর গুলশান আরা আহলে হাদীস জামে মাসজিদ, চলতি হিসাব নং, ২০৫০১০৮০২০৫৯৮৫৪০৯
ইসলামি ব্যাংক নারায়নগঞ্জ শাখা।

প্রয়োজনে মেইলও করতে পারেন
[email protected]

আমাদের ফেসবুক পেইজ
https://www.facebook.com/CNGA.AhleHadithMoshjid.MadrasaComplex.Official

আমাদের ফেসবুক একাউন্ট

https://www.facebook.com/channagar.gulshanara.ahlehadith.jamemoshjid

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল
https://youtube.com/.AhleHadithJameMasjid

আমাদের মাসজিদ লোকেশন

https://maps.app.goo.gl/7zruspT1F5Yi1hT77

আপনাদের দোআয় আমাদের শরিক রাখবেন ইনশাআল্লাহ্।

আহবান্তে Mahmudul Hasan Khan

মোতাওয়ালী, অত্র প্রতিষ্ঠান।

12/02/2024

&

আস সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ্।

প্রিয় মুসলিম ভাই ও বোনেরা।

নারায়নগঞ্জ জেলার ফতুল্লা থানার এনায়েত নগর ইউনিয়নের মধ্যে বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান শিল্পাঞ্চল বিসিক এর নতুন রাস্তার পাশেই (রোড নং ৩) চাঁন নগরে চাঁন নগর গুলশান আরা আহলে হাদীস মাসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স নামে একটি সালাফি মানহাজের মাসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স এর নির্মান কার্যক্রম চলিতেছে।

ছবিতে বর্তমান কার্যক্রম শুরুর এবং চলমান কার্যক্রম দৃশ্যমান।

আলহামদুলিল্লাহ্
সদ্য ইয়াওমুল আরবাঈন তথা বৃহস্পতিবার জুমআ বার, ২৭ শে রজব (বাংলাদেশ ২৬) ১৪৪৫ হিজরী, ২৫ শে মাঘ ১৪৩০ বাংলা, ০৮ ই ফেব্রুয়ারী ২০২৪ সকাল ৯:৩০ এর দিকে মাসজিদ এর পাইলিং এর কার্যক্রম সাধারন ভাবেই শুরু হয়ে গিয়েছে।

ছুম্মা আলহামদুলিল্লাহ্।

এই পাইলিং কার্যক্রমের স্পন্সর বিশিষ্ট গার্মেন্টস ব্যবসায়ী #শাহরিয়ার ভাই।
তার পরিকল্পনা ও ডিজাইনে মাসজিদ এর পাইলিং ও #একতলা_বিল্ডিং সম্পন্ন করে দেয়ার হিসাবও রয়েছে।
আমরা সকলে #শাহরিয়ার ভাইয়ের এই সদকা কবুলের জন্য রবের নিকট দোআ করি।

আল্লাহ্ সুবহানু তাআলা যেন তার সদকা কবুল করে নেন।
তার দ্বীনকে বিশুদ্ধতার সাথে জীবনে পরিচালিত হওয়া এবং ইস্তিকামাত থাকার তাওফিক দান করেন।
তার হালাল ব্যবসায় বারাকাত দান করেন।
তার পরিবারকেও ইসলামকে পরিপূর্ণ অনুশীলন করার তাওফিক দান করেন।
আমীন।

এছাড়াও ইনশাআল্লাহ্ আগামী রমাদ্বান ১৪৪৫ হতে পুরোদমে সালাত ও জুমআ কার্যক্রম চালুর প্রচেষ্টা গ্রহন করা হয়েছে ।

আপনারা সকলে আমন্ত্রিত।

এই মাসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্সে আমরা আপনাদের নিকট পরিদর্শন সহ পরামর্শ, দোআ, শারিরিক ও আর্থিক সদক্বার মাধ্যমে সহযোগি হয়ে নেক কাজে প্রতিযোগিতার আহবান জানাচ্ছি।

পাশাপাশি এটাও জানানো যাচ্ছে, আমরা উক্ত প্রতিষ্ঠান পরিচালনার ব্যায়ের নিমিত্তে মাসিক ভিত্তিক (অনুদান) সদক্বা চালু করা হয়েছে মুহাররম ১৪৪৫ হতে।
এক কালীন সদক্বা সবসময়ের জন্যই প্রযোজ্য ইনশাআল্লাহ্।

আল্লাহ্ সুবহানু তাআলা আমাদের হালাল রিজক হতে সদকা করার তাওফিক দান করুন।

মাসজিদ বিষয়ক যে কোন বিষয় তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন
+8801959-322886

এছাড়াও উক্ত নাম্বারে মোবাই ব্যাংক পার্সোনাল (বিকাশ, রকেট, নগদ ও উপায়) একাউন্ট চালু আছে।

আপনাদের এককালীন কিংবা মাসিক সদক্বা (অনুদান) মোবাইল ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যাংক একাউন্টেও পাঠাতে পারেন।

একাউন্ট বিবরন

চাঁন নগর গুলশান আরা আহলে হাদীস জামে মাসজিদ, চলতি হিসাব নং, ২০৫০১০৮০২০৫৯৮৫৪০৯
ইসলামি ব্যাংক নারায়নগঞ্জ শাখা।

প্রয়োজনে মেইলও করতে পারেন
[email protected]

আমাদের ফেসবুক পেইজ
https://www.facebook.com/CNGA.AhleHadithMoshjid.MadrasaComplex.Official

আমাদের ফেসবুক একাউন্ট

https://www.facebook.com/channagar.gulshanara.ahlehadith.jamemoshjid

আমাদের ইউটিউব চ্যানেল
https://youtube.com/.AhleHadithJameMasjid

আমাদের মাসজিদ লোকেশন

https://maps.app.goo.gl/7zruspT1F5Yi1hT77

আপনাদের দোআয় আমাদের শরিক রাখবেন ইনশাআল্লাহ্।

আহবান্তে Mahmudul Hasan Khan

মোতাওয়ালী, অত্র প্রতিষ্ঠান।

মাজহাব নয়, মানহাজ
সুন্নাহই মুক্তির মূল কথা
আক্বিদার ভিত্তিতে একতা

ইনশাআল্লাহ্ সময় মতো লাইভে আসছি।লাইক দিয়ে ফলো রাখুন পেজে।
07/02/2024

ইনশাআল্লাহ্ সময় মতো লাইভে আসছি।

লাইক দিয়ে ফলো রাখুন পেজে।

 #ইসলাম_ঈমান_ইহসানবিষয়: তাওহীদ বিধ্বংসী আকীদা ও মুসলিম বিদ্বেষীদের পরিচয় পর্ব: শিয়া সম্প্রদায়ের ভ্রান্ত ও কুফুরী আক্বিদা...
25/01/2024

#ইসলাম_ঈমান_ইহসান

বিষয়: তাওহীদ বিধ্বংসী আকীদা ও মুসলিম বিদ্বেষীদের পরিচয়

পর্ব: শিয়া সম্প্রদায়ের ভ্রান্ত ও কুফুরী আক্বিদাসমূহ!


মৌলিকভাবে শিয়া সম্প্রদায় একটি বিভ্রান্ত দলের নাম। এদের মধ্যে অনেক দল-উপদল রয়েছে। এই শিয়া মতবাদ মূলতঃ ইয়াহুদী মতবাদের দ্বিতীয় সংস্করণ। ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করাই তাদের প্রধান কাজ।
সাম্প্রতিক সময়ে শিয়া সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তাদের মত ও পথ এবং ভ্রান্ত আক্বিদা বিশ্বাস প্রচারে বিশ্বব্যপী বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তৎপরতা চলছে সকল পর্যায়ে। তাদের বিভিন্নধরনের কালচারালার ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা সাধারণ মুসলমানের হৃদয়ে একটি শক্ত আসন গেড়ে নিচ্ছে। বিভন্নধরনের শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে যবক ও তরুণদের মাঝে তাদের মত প্রচার করছে। তাদের বাহ্যিক বেশভূশা দেখে সাধারণ মুসলমান ধোকায় পড়ছে এবং তাদেরকে মুসলমান ভাবতে শুরু করেছে। কখনো কখনো তাজিয়া মিছিল, আশুরা ও বিবিধ নামে তাদের কুফুরি ও ভ্রান্ত কার্যক্রমের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করছে, কেউবা আবার সরাসরি অংশগ্রহন করছে। বিশ্বাস করছে তাদের সকল আক্বিদায়। মূলত এমনটি হওয়ার প্রধান ও অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমাদের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাধারণের নিকট শিয়াদের ভ্রান্ত ও কুফুরী আক্বিদা বিষয়ে কোন ধারণা নেই। তালিবুল ইলম ও সাধারণ আলেমদের মাঝে এবিষয়ে কোন আলোচনা ও চর্চা নেই। এবিষয়ে ওলামা হাযরাতের কলম ও জবান থেকে জোড়ালো কোন লেখা বা বক্তৃতাও নেই।
এমতাবস্থায় এই ফিতনার বিরুদ্ধে ওলামায়ে কেরামকে সোচ্চার হতে হবে। সাধারণ মুসলমানদেরকে তাদের ভ্রান্ত ও কুফুরী আক্বিদা-বিশ্বাস বিষয়ে সচেতন করতে হবে। তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ব্যাপারে তরুণ ও যুবসমাজকে সচেতন করতে হবে। বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে শিয়াদের এই ‘আক্বিদা যুদ্ধ’ রুখে দিতে হবে।
তাদের ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির প্রথম ধাপ হচ্ছে তাদের ভ্রান্ত আক্বিদাসমূহ জানা। তাদের কুফুরী আক্বীদা বিষয়ে সম্যক ধারণা অর্জন করা। সে উদ্দেশ্যেই এই প্রবন্ধে সংক্ষিপ্তাকারে তাদের নিজেদের গ্রন্থ থেকেই তাদের কিছু ভ্রান্ত ও কুফুরী আক্বিদা তুলে ধরা হলো। এক্ষেত্রে শিয়াদের আক্বীদা বিষয়ে লিখিত কয়েকটি আরবী গ্রন্থ এবং সরাসরি তাদের কয়েকটি গ্রন্থ থেকে সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে।

০১. শিয়া সম্প্রদায়ের একটি অন্যতম ও মূল আক্বিদা এই যে, আল্লাহ তায়ালা জিবরাঈল (আ.) কে ওহি দিয়ে আলি (রা.) এর নিকট পাঠিয়ে ছিলেন। কিন্তু তিনি ভুল করে মুহাম্মদ (স.) এর নিকট তা অবতীর্ণ করেছেন। (আল মুনিয়াহ ওয়াল আমাল ফি শারহিল মিলাল ওয়াননিহাল,পৃ. ৩০)।

০২. শিয়াদের শায়খ ও কর্তাব্যক্তিরা এই বিশ্বাস রাখে যে, কোরআনে অনেক ত্রুটি রয়েছে। মূলত সঠিক কোরআন যখন ছাহাবাদেও মাঝে ইরতিদাদ দেখা দিয়েছে (তাদের মতে) তখন তা আসামানে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। (আত তানবীহ ওয়ার রাদ্দ পৃ.২৫)।

০৩. তাদের ধারণা যে, তাদের ইমামরাই আল্লাহ তায়ালা ও মানুষের মাঝে মধ্যস্থতাকরী। যেকোন সমস্যার সমাধানে তারা এগিয়ে আসতে পারবে। (বিহারুল আনওয়ার: খ.২৩ পৃ.৯৯)।

০৪. শিয়াদের শায়খদের অভিমত হচ্ছে যে, ইমামদের কবরের দিকে হজ করা কাবায় হজ করার থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ছাওয়াবের কাজ। (ছাওয়াবুল আমাল ওয়া ইকাবুল আমাল: পৃ.১২১-১২২)।

০৫. শিয়াদের একটি আক্বিদা হচ্ছে, যে ব্যক্তি হুসাইন (রা.) এর কবর যেয়ারত করলো সে যেন আরশে আল্লাহ তায়ালার যেয়ারত করলো। (আলমাযার আল মুফীদ: পৃ.৫১)।

০৬. তাদের মতে হুসাইন (রা.) এর কবরের মাটি সকল রোগের জন্য শিফা বা আরোগ্যের মাধ্যম। (আমালী: ৩১৮)।

০৭. আল্লাহ তায়ালা এবং তাদের ইমামদের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। (মাছাবীহুল আনওয়ার ফি হাল্লি মুশকিলাতিল আখবার: খ.২ পৃ.৩৯৭)।

০৮. শিয়াদের শায়খ কুলাইনী তার কিতাবে উল্লেখ করেছে যে, ভাগ্য খারাপ ও ভাল হওয়া এবং জান্নাত জাহান্নামে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু তারকা ও নক্ষত্রের প্রভাব রয়েছে। (আর রওজা মিনাল কাফী খ.৮ পৃ.২১০৩)।

০৯. শিয়াদের ধারণা, আলি (রা.) অদৃশ্যের খবর জানেন। তারা বলে, তিনি বলেছেন, ‘আমি জমিনের প্রতিপালক। আমার মাধ্যমেই জমীন স্থীর রয়েছে। দেখুন: মিরআতুল আনওয়ার: ৫৯)। তারা এটিও বিশ্বাস করে যে, তিনি দুনিয়া ও আখেরাতে যেভাবে ইচ্ছা পরিচালনা করতে পারেন। দেখুন: উসুলুল কাফি: খ.১ পৃ.৩০৮)।

১০. শিয়া শায়খদের অভিমত, আলি (রা.) মৃত ব্যক্তিকে জিবিত করতে সক্ষম। (উসূলুল কাফি: খ.১ পৃ.৩৪৭)।

১১. আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন সময়ে প্রথম আসমানে নেমে আসেন, এটি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের একটি মূল আক্বিদা। অথচ শিয়ারা এটি বিশ্বাস করেনা। বরং তাদের মতে যারা এই বিশ্বাস করে তারা সকলেই কাফের। (উসূলুল কাফী- খ.১ পৃ.৯০-৯১)।

১২. শিয়াদের একটি উপদল ইমামিয়্যাহ, তারা তাদের ইমামদেরকে আল্লাহ তায়ালার গুণে গুণান্নিত মনে করে। এমনকি তারা তাদেরকে আল্লহর নামেও ডাকে। (উসূলুল কাফী-খ.১ পৃ.৩১০)।

১৩. শিয়াদের দাবি যে কালিমা ‘লা ইলাহা ইল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ এর সাথে এটিও বলতে হবে যে ‘ওয়া আলিউন ওয়ালিউল্লাহ’ অর্থাৎ আলি আল্লাহ তায়ালার ওয়ালি। আজানে তারা এই বাক্যটি ব্যবহার করে এমনকি মৃত ব্যক্তিকে এই কালিমা বলে তালকীন করে। (ফুরুউল কাফী-খ.৩ পৃ.৮২)।

১৪. শিয়াদের শায়খদের অভিমত হচ্ছে যে ব্যক্তি আবুবকর, ওমর, উছমান, মুআবিয়া , আয়েশা এবং হাফসা রাদিআল্লাহু আনহুমদের প্রতি ফরজ নামাজের পর অভিসাপ দিবে, তারা আল্লাহ তায়ালার অতি নৈকট্যশিল বান্দা হতে পারবে। (ফরুউল কাফী: খ.৩ পৃ. ২২৪)।

১৫. শিয়াদের শায়খদের ধারনা এবং দাবি যে, তারা সাধারণ শিয়াদের জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবে। (রিজালুল কাশি: খ.৫ পৃ.৪৯০-৪৯১)।

১৬. মুতা বিবাহ (সাময়ীক সময়ের জন্য চুক্তিভিত্তিক বিবাহ) যা ইসলামে নিষিদ্ধ বা হারাম সেই নিষিদ্ধ বিষয়টিকে তারা হালাল ঘোষণা করে। তারা বলে একজন ব্যক্তি পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবেনা যতক্ষননা সে অবিভাবক ও সাক্ষি ব্যতিত মুতা বিবাহ করে। এমনকি তারা বলে, একজন মুমিন নারীর সাথে মুতা করা সত্তরবার কাবা যিয়ারতের থেকেও উত্তম। (মিসবাহুত তাহাজ্জুদ: পৃ.২৫২)।

১৭. ইমাম খোমেনী বলে, যেকোন ধরণের যৌন লালসা পুরণ করায় কোন গোনাহ নেই এমনকি তা যদি দুগ্ধজাত শিশুর সাথেও হয়। (তাহরীরুর ওয়াসিলাহ: খ.২ পৃ.২২১)।

১৮. শিয়াদের একটি বিশ্বাস হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদেরকে তাদের ইমামদের নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর এই ফেরেশতাদের দায়িত্ব হচ্ছে, তারা হুসাইন (রা.) এর কবরের পাশে কাঁদবে। এধরনের চার হাজার ফেরেশতা কেয়ামত পর্যন্ত হুসাইন (রা.) এর কবরের পাশে কাঁদতে থাকবে। এছাড়া অন্যান্য সকল ফেরেশতারা আল্লাহর নিকট অনুমতি চাইবে যেন তাদেরকে হুসাইন (রা.) এর কবর যেয়ারত করার সুযোগ দেয়া হয়। অতএব কিছু ফেরেশÍা যিয়ারত শেষে আকাশে উঠে যাবে আর অন্যরা অবতরণ করবে। (কানযু জামেউল ফাওয়ায়েদ: পৃ.৩৩৪)।

১৯. শিয়াদের শায়খ আলবা ইবনে দিরা মর্যাদার দিক থেকে আলি (রা.) কে রাসুল (স.) এর চেয়ে বেশী প্রধান্য দেয়। একথাও বলে যে মুহাম্মদকে আলি (রা.) ই পাঠিয়েছেন। তাদের ধারণা এটিও যে আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ (স.) কে পাঠিয়েছেন যেন তিনি মানুষকে আলি (রা.) এর দিকে ডাকেন। কিন্তু তা না করে তিনি মানুষকে নিজের দিকে ডাকতে শুরু করেছেন। (বিহারুল আনওয়ার: খ.২৫ পৃ.৩০৫)।

২০. শিয়াদের শায়খরা বলে, তাদের ইমামরা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে ওহী ব্যতীত কথা বলে না। এব্যাপারে সকলকে ঈমান রাখতে হবে। (বিহারুল আনওয়ারা: খ.১৭ পৃ,১৫৫)।

২১. খোমেনী তার ইসলামী হুকুমত কিতাবের মধ্যে লিখেছে যে, আমাদের ইমামদের এমন মর্যাদা রয়েছে যেখানে কোন নিকটস্থ ফেরেশÍা বা কোন প্রেরিত নবীও পৌঁছাতে পারবে না।

২২. শিয়াদের একটি আক্বিদা হচ্ছে, মৃত ব্যক্তিকে সর্বপ্রথম আলে বাইতের ভালবাসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। (বিহারুল আনওয়ার: খ.২৭ পৃ.৭৯)।

২৩. শিয়ারা এই ধারণা পোষণ করে যে, আবুবকর ও ওমর (রা.) কে প্রতি হজের মৌসমে জামারাতে রাখা হয় যেন পাথর নিক্ষেপের সময় তাদেরকেও পাথর নিক্ষেপ করা হয়।

২৪. মাজলিসি তার লিখিত হাক্কুল ইয়াকীন গ্রন্থে বলে যে, আবুবকর ও ওমর তারা দুজন কাফের। আর যারা তাদেরকে ভালবাসবে তারাও কাফের। (পৃ.৫২২)।

২৫. তাদের আক্বিদা যে, উসমান বিন আফফান (রা.) রাসুলের সময়ে প্রকাশ্যে ঈমানদার ছিলেন, তবে ভিতরে ভিতরে তিনি ছিলেন মুনাফিক। (আনওয়ারে নোমানী: খ.১ পৃ.৮১)। সাথে সাথে তারা এ বিশ্বাস করে যে, যে ব্যক্তি উসমান (রা.) এর ক্ষেত্রে মনের মধ্যে শত্রুতা না রাখবে এবং তাকে কাফের মনে না করবে সে আল্লাহ ও তার রাসুলের শত্রু। এবং সে কাফের। (নাফহাতুল উহুত ফী লানিল জিবতি ওয়াততাগুত, কায়েদা নং ৫৭)।

২৬. শিয়ারা আয়েশা (রা.) ও হাফসা (রা.) কে কাফের মনে করে। (তাফসীর কুম্মি পৃ.৫৯৭ সুরায়ে গাফের)। তাদের বিশ্বাস, জাহান্নামের সাতটি দরজাই আয়েশা (রা.) এর জন্য। এবং আয়েশা (রা.) ব্যভিচারিনী। (এটি একটি বিরাট অপবাদ)। তাদের প্রতিক্ষিত ইমাম মাহদি তাকে জিবিত করবেন এবং তার উপর হদ কায়েম করবেন বা তার বিচার করবেন। (ইলালুশ শারায়ে খ.২ পৃ.৫৬৫)।

২৭. শিয়াদের ইমাম ও ওয়ালিদের কবর বা মাজার যেয়ারত করা অন্যান্য ফরজের মত একটি ফরজ। যে ব্যক্তি এটি পরিত্যাগ করবে সে কাফের। (কামেলুয যিয়ারাত পৃ. ১৮৩)।

২৮. শিয়াদের প্রধান ও অন্যতম আক্বিদা হচ্ছে তাকিয়া। অর্থাৎ সত্য গোপন করা এবং নিজের অন্তরের বিশ্বাসটিক প্রকাশ না করা। অন্যভাবে বলা যায় তাকিয়া অর্থ ধোকবাজী ও মুনাফেকীর একটি সমন্বিত রূপ বা পদ্ধতি। এই তাকিয়া যে বিশ্বাস করবেনা তার ঈমান থাকবে না। অর্থাৎ যে ধোকাবাজী করবেনা সে শিয়া হতে পারবেনা। (উসূলুল কাফী: খ.২ পৃ.৫৭৩)। এই তাকিয়া বর্জন করা নামাজ বর্জন করার মত অপরাধ।

২৯. তাদের বিশ্বাস, কেয়ামতের পুনরুত্থানের পূর্বেই অনেক মানুষ মৃত্যুর পর আবার দুনিয়াতে সেই চেহারা ছুরত বা আকৃতি নিয়ে আবার আসবে। এটি একটি কুফুরি মতবাদ বা হিন্দুয়ানী মতবাদ। (আওয়াএলুল মাকালাত পৃ.৪৬)।

৩০. তারা মনে করে প্রতিক্ষিত মাহদি আসার পূর্ব পর্যন্ত তাদের উপর জুমার নামাজ ওয়াজিব নয়। তার যখন আবির্ভাব হবে তখন তিনি তাদের নিয়ে জুমা আদায় করবেন। (মিফতাহুল কারামাহ: খ.২ পৃ৬৯)।

৩১. শিয়ারা প্রতিক্ষিত মাহদি আসার পূর্ব পর্যন্ত জিহাদকে হারাম মনে করে। তাদের মতে এটি রক্ত, শুকরের গোশÍ ও মৃতের মত হারাম।

৩২. শিয়াদের বিশ্বাস, তাদের ইমাম প্রতিক্ষিত মাহদি (আ.) এসে আবুবকর ও ওমর (রা.) কে জিবিত করে শুলিতে চড়াবেন। এবং প্রতিদিন তাদেরকে হাজারবার হত্যা করবেন। (বাসায়েরুদ দারাজাত: পৃ.১৮৭-১৮৮)।

৩৩. তাদের বিশ্বাস, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লোকেরা জাহান্নমী। তারা অপবিত্র, কাফের, তাই তাদে জানাযা নামাজ পড়া জায়েয হবে না।
তাদের কোরবানী হালাল হবে না। এবং তারা সকলেই জারজ সন্তান। তাদেরকে হত্যা করা, তাদের সম্পদ চুরি করা, তাদের সাথে মতবিরোধ করা বৈধ। এমনকি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লোকদের অভিসাপ দেয়া উত্তম ইবাদত। (বিহারুল আনওয়ার: খ.৮ পৃ ৩৬৮-৩৭০)।

৩৪. শিয়ারা বলে, আলি (রা.) এর কবর যিয়ারত করলে প্রতিটি পদে পদে তার জন্য একটি কবুল হজ, একটি মাবরুর ওমরা এবং একশত শহীদের ছাওয়াব লেখা হবে। তার পূর্বের ও পরের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। তার হিসাব সহজ করা হবে। ফেরেশÍারা তাকে স্বাগত জানাবে। (তাহজীবুল আহকাম: খ.৬ পৃ.১৩০৬)।

৩৫. শিয়াদের একটি বিশ্বাস যে কেয়ামতের দিন হিসাব আল্লাহ তায়ালার নিকট নয় বরং তাদের ইমামদের নিকট দিতে হবে। (উসূলুল আইম্মাহ: খ.১ পৃ.৪৪৬)।
সংক্ষিপ্তাকারে উপরোল্লেখিত আক্বিদাগুলোই তাদের কুফুরীর প্রমানের জন্য যথেষ্ট। এছাড়াও শিয়াদের আরও অনেক ভ্রান্ত ও কুফুরী মতবাদ রয়েছে।

অবশেষে বলবো,
আমাদের সাধারন মুসলমানদেরকে এবং বিশেষভাবে ওলামায়েকেরামকে এ বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতে হবে।

এই ভয়ানক ও ক্রমবিকাশমান ফিতনাকে অবহেলা করা যাবেনা। কেননা তারা তাদের কাজ ও মিশন নিরলসভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মত ও চিন্তাধারা প্রচার করে যাচ্ছে বিভিন্ন উপায়ে। অতএব তাদের পরিকল্পনার বিপরীতে ছহীহ ও বিশুদ্ধ আক্বিদা প্রচারে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে। ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে সকলকে এই ফিতনা থেকে সচেতন করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে হকের সাথে থাকার তাওফীক দান করুন।

সিরাতে মুস্তাকীমের উপর অটল অবিচল থাকার হিম্মত ও কুওওত দান করুন।

আমীন। #ইসলাম_ঈমান_ইহসান

বিষয়: তাওহীদ বিধ্বংসী আকীদা ও মুসলিম বিদ্বেষীদের পরিচয়

পর্ব: শিয়া সম্প্রদায়ের ভ্রান্ত ও কুফুরী আক্বিদাসমূহ!

লেখক : মুহিউদ্দীন ফারুকী

প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক: মারকাযুল লুগাতিল আরাবিয়্যাহ বাংলাদেশ

মৌলিকভাবে শিয়া সম্প্রদায় একটি বিভ্রান্ত দলের নাম। এদের মধ্যে অনেক দল-উপদল রয়েছে। এই শিয়া মতবাদ মূলতঃ ইয়াহুদী মতবাদের দ্বিতীয় সংস্করণ। ইসলাম ও মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করাই তাদের প্রধান কাজ।
সাম্প্রতিক সময়ে শিয়া সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে তাদের মত ও পথ এবং ভ্রান্ত আক্বিদা বিশ্বাস প্রচারে বিশ্বব্যপী বহুমুখী কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। তৎপরতা চলছে সকল পর্যায়ে। তাদের বিভিন্নধরনের কালচারালার ও সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তারা সাধারণ মুসলমানের হৃদয়ে একটি শক্ত আসন গেড়ে নিচ্ছে। বিভন্নধরনের শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে যবক ও তরুণদের মাঝে তাদের মত প্রচার করছে। তাদের বাহ্যিক বেশভূশা দেখে সাধারণ মুসলমান ধোকায় পড়ছে এবং তাদেরকে মুসলমান ভাবতে শুরু করেছে। কখনো কখনো তাজিয়া মিছিল, আশুরা ও বিবিধ নামে তাদের কুফুরি ও ভ্রান্ত কার্যক্রমের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করছে, কেউবা আবার সরাসরি অংশগ্রহন করছে। বিশ্বাস করছে তাদের সকল আক্বিদায়। মূলত এমনটি হওয়ার প্রধান ও অন্যতম কারণ হচ্ছে, আমাদের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাধারণের নিকট শিয়াদের ভ্রান্ত ও কুফুরী আক্বিদা বিষয়ে কোন ধারণা নেই। তালিবুল ইলম ও সাধারণ আলেমদের মাঝে এবিষয়ে কোন আলোচনা ও চর্চা নেই। এবিষয়ে ওলামা হাযরাতের কলম ও জবান থেকে জোড়ালো কোন লেখা বা বক্তৃতাও নেই।
এমতাবস্থায় এই ফিতনার বিরুদ্ধে ওলামায়ে কেরামকে সোচ্চার হতে হবে। সাধারণ মুসলমানদেরকে তাদের ভ্রান্ত ও কুফুরী আক্বিদা-বিশ্বাস বিষয়ে সচেতন করতে হবে। তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ব্যাপারে তরুণ ও যুবসমাজকে সচেতন করতে হবে। বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে শিয়াদের এই ‘আক্বিদা যুদ্ধ’ রুখে দিতে হবে।
তাদের ক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টির প্রথম ধাপ হচ্ছে তাদের ভ্রান্ত আক্বিদাসমূহ জানা। তাদের কুফুরী আক্বীদা বিষয়ে সম্যক ধারণা অর্জন করা। সে উদ্দেশ্যেই এই প্রবন্ধে সংক্ষিপ্তাকারে তাদের নিজেদের গ্রন্থ থেকেই তাদের কিছু ভ্রান্ত ও কুফুরী আক্বিদা তুলে ধরা হলো। এক্ষেত্রে শিয়াদের আক্বীদা বিষয়ে লিখিত কয়েকটি আরবী গ্রন্থ এবং সরাসরি তাদের কয়েকটি গ্রন্থ থেকে সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে।

০১. শিয়া সম্প্রদায়ের একটি অন্যতম ও মূল আক্বিদা এই যে, আল্লাহ তায়ালা জিবরাঈল (আ.) কে ওহি দিয়ে আলি (রা.) এর নিকট পাঠিয়ে ছিলেন। কিন্তু তিনি ভুল করে মুহাম্মদ (স.) এর নিকট তা অবতীর্ণ করেছেন। (আল মুনিয়াহ ওয়াল আমাল ফি শারহিল মিলাল ওয়াননিহাল,পৃ. ৩০)।

০২. শিয়াদের শায়খ ও কর্তাব্যক্তিরা এই বিশ্বাস রাখে যে, কোরআনে অনেক ত্রুটি রয়েছে। মূলত সঠিক কোরআন যখন ছাহাবাদেও মাঝে ইরতিদাদ দেখা দিয়েছে (তাদের মতে) তখন তা আসামানে উঠিয়ে নেয়া হয়েছে। (আত তানবীহ ওয়ার রাদ্দ পৃ.২৫)।

০৩. তাদের ধারণা যে, তাদের ইমামরাই আল্লাহ তায়ালা ও মানুষের মাঝে মধ্যস্থতাকরী। যেকোন সমস্যার সমাধানে তারা এগিয়ে আসতে পারবে। (বিহারুল আনওয়ার: খ.২৩ পৃ.৯৯)।

০৪. শিয়াদের শায়খদের অভিমত হচ্ছে যে, ইমামদের কবরের দিকে হজ করা কাবায় হজ করার থেকে গুরুত্বপূর্ণ এবং ছাওয়াবের কাজ। (ছাওয়াবুল আমাল ওয়া ইকাবুল আমাল: পৃ.১২১-১২২)।

০৫. শিয়াদের একটি আক্বিদা হচ্ছে, যে ব্যক্তি হুসাইন (রা.) এর কবর যেয়ারত করলো সে যেন আরশে আল্লাহ তায়ালার যেয়ারত করলো। (আলমাযার আল মুফীদ: পৃ.৫১)।

০৬. তাদের মতে হুসাইন (রা.) এর কবরের মাটি সকল রোগের জন্য শিফা বা আরোগ্যের মাধ্যম। (আমালী: ৩১৮)।

০৭. আল্লাহ তায়ালা এবং তাদের ইমামদের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। (মাছাবীহুল আনওয়ার ফি হাল্লি মুশকিলাতিল আখবার: খ.২ পৃ.৩৯৭)।

০৮. শিয়াদের শায়খ কুলাইনী তার কিতাবে উল্লেখ করেছে যে, ভাগ্য খারাপ ও ভাল হওয়া এবং জান্নাত জাহান্নামে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু তারকা ও নক্ষত্রের প্রভাব রয়েছে। (আর রওজা মিনাল কাফী খ.৮ পৃ.২১০৩)।

০৯. শিয়াদের ধারণা, আলি (রা.) অদৃশ্যের খবর জানেন। তারা বলে, তিনি বলেছেন, ‘আমি জমিনের প্রতিপালক। আমার মাধ্যমেই জমীন স্থীর রয়েছে। দেখুন: মিরআতুল আনওয়ার: ৫৯)। তারা এটিও বিশ্বাস করে যে, তিনি দুনিয়া ও আখেরাতে যেভাবে ইচ্ছা পরিচালনা করতে পারেন। দেখুন: উসুলুল কাফি: খ.১ পৃ.৩০৮)।

১০. শিয়া শায়খদের অভিমত, আলি (রা.) মৃত ব্যক্তিকে জিবিত করতে সক্ষম। (উসূলুল কাফি: খ.১ পৃ.৩৪৭)।

১১. আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন সময়ে প্রথম আসমানে নেমে আসেন, এটি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের একটি মূল আক্বিদা। অথচ শিয়ারা এটি বিশ্বাস করেনা। বরং তাদের মতে যারা এই বিশ্বাস করে তারা সকলেই কাফের। (উসূলুল কাফী- খ.১ পৃ.৯০-৯১)।

১২. শিয়াদের একটি উপদল ইমামিয়্যাহ, তারা তাদের ইমামদেরকে আল্লাহ তায়ালার গুণে গুণান্নিত মনে করে। এমনকি তারা তাদেরকে আল্লহর নামেও ডাকে। (উসূলুল কাফী-খ.১ পৃ.৩১০)।

১৩. শিয়াদের দাবি যে কালিমা ‘লা ইলাহা ইল্লাহ মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ’ এর সাথে এটিও বলতে হবে যে ‘ওয়া আলিউন ওয়ালিউল্লাহ’ অর্থাৎ আলি আল্লাহ তায়ালার ওয়ালি। আজানে তারা এই বাক্যটি ব্যবহার করে এমনকি মৃত ব্যক্তিকে এই কালিমা বলে তালকীন করে। (ফুরুউল কাফী-খ.৩ পৃ.৮২)।

১৪. শিয়াদের শায়খদের অভিমত হচ্ছে যে ব্যক্তি আবুবকর, ওমর, উছমান, মুআবিয়া , আয়েশা এবং হাফসা রাদিআল্লাহু আনহুমদের প্রতি ফরজ নামাজের পর অভিসাপ দিবে, তারা আল্লাহ তায়ালার অতি নৈকট্যশিল বান্দা হতে পারবে। (ফরুউল কাফী: খ.৩ পৃ. ২২৪)।

১৫. শিয়াদের শায়খদের ধারনা এবং দাবি যে, তারা সাধারণ শিয়াদের জান্নাতে নিয়ে যেতে পারবে। (রিজালুল কাশি: খ.৫ পৃ.৪৯০-৪৯১)।

১৬. মুতা বিবাহ (সাময়ীক সময়ের জন্য চুক্তিভিত্তিক বিবাহ) যা ইসলামে নিষিদ্ধ বা হারাম সেই নিষিদ্ধ বিষয়টিকে তারা হালাল ঘোষণা করে। তারা বলে একজন ব্যক্তি পরিপূর্ণ মুমিন হতে পারবেনা যতক্ষননা সে অবিভাবক ও সাক্ষি ব্যতিত মুতা বিবাহ করে। এমনকি তারা বলে, একজন মুমিন নারীর সাথে মুতা করা সত্তরবার কাবা যিয়ারতের থেকেও উত্তম। (মিসবাহুত তাহাজ্জুদ: পৃ.২৫২)।

১৭. ইমাম খোমেনী বলে, যেকোন ধরণের যৌন লালসা পুরণ করায় কোন গোনাহ নেই এমনকি তা যদি দুগ্ধজাত শিশুর সাথেও হয়। (তাহরীরুর ওয়াসিলাহ: খ.২ পৃ.২২১)।

১৮. শিয়াদের একটি বিশ্বাস হচ্ছে, আল্লাহ তায়ালা ফেরেশতাদেরকে তাদের ইমামদের নূর থেকে সৃষ্টি করেছেন। আর এই ফেরেশতাদের দায়িত্ব হচ্ছে, তারা হুসাইন (রা.) এর কবরের পাশে কাঁদবে। এধরনের চার হাজার ফেরেশতা কেয়ামত পর্যন্ত হুসাইন (রা.) এর কবরের পাশে কাঁদতে থাকবে। এছাড়া অন্যান্য সকল ফেরেশতারা আল্লাহর নিকট অনুমতি চাইবে যেন তাদেরকে হুসাইন (রা.) এর কবর যেয়ারত করার সুযোগ দেয়া হয়। অতএব কিছু ফেরেশÍা যিয়ারত শেষে আকাশে উঠে যাবে আর অন্যরা অবতরণ করবে। (কানযু জামেউল ফাওয়ায়েদ: পৃ.৩৩৪)।

১৯. শিয়াদের শায়খ আলবা ইবনে দিরা মর্যাদার দিক থেকে আলি (রা.) কে রাসুল (স.) এর চেয়ে বেশী প্রধান্য দেয়। একথাও বলে যে মুহাম্মদকে আলি (রা.) ই পাঠিয়েছেন। তাদের ধারণা এটিও যে আল্লাহ তায়ালা মুহাম্মদ (স.) কে পাঠিয়েছেন যেন তিনি মানুষকে আলি (রা.) এর দিকে ডাকেন। কিন্তু তা না করে তিনি মানুষকে নিজের দিকে ডাকতে শুরু করেছেন। (বিহারুল আনওয়ার: খ.২৫ পৃ.৩০৫)।

২০. শিয়াদের শায়খরা বলে, তাদের ইমামরা আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে ওহী ব্যতীত কথা বলে না। এব্যাপারে সকলকে ঈমান রাখতে হবে। (বিহারুল আনওয়ারা: খ.১৭ পৃ,১৫৫)।

২১. খোমেনী তার ইসলামী হুকুমত কিতাবের মধ্যে লিখেছে যে, আমাদের ইমামদের এমন মর্যাদা রয়েছে যেখানে কোন নিকটস্থ ফেরেশÍা বা কোন প্রেরিত নবীও পৌঁছাতে পারবে না।

২২. শিয়াদের একটি আক্বিদা হচ্ছে, মৃত ব্যক্তিকে সর্বপ্রথম আলে বাইতের ভালবাসা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হবে। (বিহারুল আনওয়ার: খ.২৭ পৃ.৭৯)।

২৩. শিয়ারা এই ধারণা পোষণ করে যে, আবুবকর ও ওমর (রা.) কে প্রতি হজের মৌসমে জামারাতে রাখা হয় যেন পাথর নিক্ষেপের সময় তাদেরকেও পাথর নিক্ষেপ করা হয়।

২৪. মাজলিসি তার লিখিত হাক্কুল ইয়াকীন গ্রন্থে বলে যে, আবুবকর ও ওমর তারা দুজন কাফের। আর যারা তাদেরকে ভালবাসবে তারাও কাফের। (পৃ.৫২২)।

২৫. তাদের আক্বিদা যে, উসমান বিন আফফান (রা.) রাসুলের সময়ে প্রকাশ্যে ঈমানদার ছিলেন, তবে ভিতরে ভিতরে তিনি ছিলেন মুনাফিক। (আনওয়ারে নোমানী: খ.১ পৃ.৮১)। সাথে সাথে তারা এ বিশ্বাস করে যে, যে ব্যক্তি উসমান (রা.) এর ক্ষেত্রে মনের মধ্যে শত্রুতা না রাখবে এবং তাকে কাফের মনে না করবে সে আল্লাহ ও তার রাসুলের শত্রু। এবং সে কাফের। (নাফহাতুল উহুত ফী লানিল জিবতি ওয়াততাগুত, কায়েদা নং ৫৭)।

২৬. শিয়ারা আয়েশা (রা.) ও হাফসা (রা.) কে কাফের মনে করে। (তাফসীর কুম্মি পৃ.৫৯৭ সুরায়ে গাফের)। তাদের বিশ্বাস, জাহান্নামের সাতটি দরজাই আয়েশা (রা.) এর জন্য। এবং আয়েশা (রা.) ব্যভিচারিনী। (এটি একটি বিরাট অপবাদ)। তাদের প্রতিক্ষিত ইমাম মাহদি তাকে জিবিত করবেন এবং তার উপর হদ কায়েম করবেন বা তার বিচার করবেন। (ইলালুশ শারায়ে খ.২ পৃ.৫৬৫)।

২৭. শিয়াদের ইমাম ও ওয়ালিদের কবর বা মাজার যেয়ারত করা অন্যান্য ফরজের মত একটি ফরজ। যে ব্যক্তি এটি পরিত্যাগ করবে সে কাফের। (কামেলুয যিয়ারাত পৃ. ১৮৩)।

২৮. শিয়াদের প্রধান ও অন্যতম আক্বিদা হচ্ছে তাকিয়া। অর্থাৎ সত্য গোপন করা এবং নিজের অন্তরের বিশ্বাসটিক প্রকাশ না করা। অন্যভাবে বলা যায় তাকিয়া অর্থ ধোকবাজী ও মুনাফেকীর একটি সমন্বিত রূপ বা পদ্ধতি। এই তাকিয়া যে বিশ্বাস করবেনা তার ঈমান থাকবে না। অর্থাৎ যে ধোকাবাজী করবেনা সে শিয়া হতে পারবেনা। (উসূলুল কাফী: খ.২ পৃ.৫৭৩)। এই তাকিয়া বর্জন করা নামাজ বর্জন করার মত অপরাধ।

২৯. তাদের বিশ্বাস, কেয়ামতের পুনরুত্থানের পূর্বেই অনেক মানুষ মৃত্যুর পর আবার দুনিয়াতে সেই চেহারা ছুরত বা আকৃতি নিয়ে আবার আসবে। এটি একটি কুফুরি মতবাদ বা হিন্দুয়ানী মতবাদ। (আওয়াএলুল মাকালাত পৃ.৪৬)।

৩০. তারা মনে করে প্রতিক্ষিত মাহদি আসার পূর্ব পর্যন্ত তাদের উপর জুমার নামাজ ওয়াজিব নয়। তার যখন আবির্ভাব হবে তখন তিনি তাদের নিয়ে জুমা আদায় করবেন। (মিফতাহুল কারামাহ: খ.২ পৃ৬৯)।

৩১. শিয়ারা প্রতিক্ষিত মাহদি আসার পূর্ব পর্যন্ত জিহাদকে হারাম মনে করে। তাদের মতে এটি রক্ত, শুকরের গোশÍ ও মৃতের মত হারাম।

৩২. শিয়াদের বিশ্বাস, তাদের ইমাম প্রতিক্ষিত মাহদি (আ.) এসে আবুবকর ও ওমর (রা.) কে জিবিত করে শুলিতে চড়াবেন। এবং প্রতিদিন তাদেরকে হাজারবার হত্যা করবেন। (বাসায়েরুদ দারাজাত: পৃ.১৮৭-১৮৮)।

৩৩. তাদের বিশ্বাস, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লোকেরা জাহান্নমী। তারা অপবিত্র, কাফের, তাই তাদে জানাযা নামাজ পড়া জায়েয হবে না।
তাদের কোরবানী হালাল হবে না। এবং তারা সকলেই জারজ সন্তান। তাদেরকে হত্যা করা, তাদের সম্পদ চুরি করা, তাদের সাথে মতবিরোধ করা বৈধ। এমনকি আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের লোকদের অভিসাপ দেয়া উত্তম ইবাদত। (বিহারুল আনওয়ার: খ.৮ পৃ ৩৬৮-৩৭০)।

৩৪. শিয়ারা বলে, আলি (রা.) এর কবর যিয়ারত করলে প্রতিটি পদে পদে তার জন্য একটি কবুল হজ, একটি মাবরুর ওমরা এবং একশত শহীদের ছাওয়াব লেখা হবে। তার পূর্বের ও পরের সকল গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। তার হিসাব সহজ করা হবে। ফেরেশÍারা তাকে স্বাগত জানাবে। (তাহজীবুল আহকাম: খ.৬ পৃ.১৩০৬)।

৩৫. শিয়াদের একটি বিশ্বাস যে কেয়ামতের দিন হিসাব আল্লাহ তায়ালার নিকট নয় বরং তাদের ইমামদের নিকট দিতে হবে। (উসূলুল আইম্মাহ: খ.১ পৃ.৪৪৬)।
সংক্ষিপ্তাকারে উপরোল্লেখিত আক্বিদাগুলোই তাদের কুফুরীর প্রমানের জন্য যথেষ্ট। এছাড়াও শিয়াদের আরও অনেক ভ্রান্ত ও কুফুরী মতবাদ রয়েছে।

অবশেষে বলবো,
আমাদের সাধারন মুসলমানদেরকে এবং বিশেষভাবে ওলামায়েকেরামকে এ বিষয়ে অত্যন্ত গুরুত্ব দিতে হবে।

এই ভয়ানক ও ক্রমবিকাশমান ফিতনাকে অবহেলা করা যাবেনা। কেননা তারা তাদের কাজ ও মিশন নিরলসভাবে চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মত ও চিন্তাধারা প্রচার করে যাচ্ছে বিভিন্ন উপায়ে। অতএব তাদের পরিকল্পনার বিপরীতে ছহীহ ও বিশুদ্ধ আক্বিদা প্রচারে বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে। ব্যাপক প্রচারণার মাধ্যমে সকলকে এই ফিতনা থেকে সচেতন করতে হবে। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সকলকে হকের সাথে থাকার তাওফীক দান করুন।

সিরাতে মুস্তাকীমের উপর অটল অবিচল থাকার হিম্মত ও কুওত দান করুন।

আমীন।

লেখক : মুহিউদ্দীন ফারুকী

প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক: মারকাযুল লুগাতিল আরাবিয়্যাহ বাংলাদেশ

Address

Fatulla
1400

Telephone

+8801959322886

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when চাঁন নগর গুলশান আরা আহলে হাদীস মাসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to চাঁন নগর গুলশান আরা আহলে হাদীস মাসজিদ ও মাদ্রাসা কমপ্লেক্স:

Videos

Share


Other Digital creator in Fatulla

Show All