Ftv Network

Ftv Network Online tv network in BD

12/07/2024
মধুখালী নেপথ্যে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বারচাঁদা না পেয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় দুই ভাইকে----------------------------...
23/04/2024

মধুখালী নেপথ্যে স্থানীয় চেয়ারম্যান-মেম্বার
চাঁদা না পেয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয় দুই ভাইকে
-------------------------------------

ফরিদপুরের মধুখালীতে মন্দিরে আগুনের ঘটনা ৬৯নং পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার নির্মাণের চাঁদা না পেয়ে ক্ষুব্ধ ১নং ওয়ার্ড মেম্বার অজিত কুমার সরকার ও পার্শ্ববর্তী জাননগর গ্রামের বাসিন্দা বিনয় সাহাসহ বেশ কয়েকজনের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান নেপথ্যে থেকে সহযোগিতার অভিযোগ পেয়েছেন তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তারা। ঘটনার পর গত রোববার ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন এবং জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দেয়ার পর নতুন করে তদন্তে নেমেছে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন। পরে তিনি ডুমাইন ইউনিয়নের কৃষ্ণনগর গ্রামের পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন কালিমন্দির এবং নিহত হওয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। দুই ভাইয়ের মৃত্যুতে ওই এলাকায় বইছে শোকের ছায়া। গতকালও শত শত মানুষ নিহতদের বাড়িতে গিয়ে শোক প্রকাশ করতে দেখা গেছে।
এ দিকে মধুখালীতে মন্দিরে আগুনের ঘটনা কেন্দ্র করে উগ্র হিন্দুদের হাতে ২ মুসলমান শ্রমিক হত্যাকা-ের ঘটনায় পুরো মুসলিম উম্মাহ ব্যথিত ও মর্মাহত। বর্বরোচিত এই নৃশংস হত্যাকা-ের সাথে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে বিভিন্ন সংঘটনের পক্ষ থেকে জোর দাবি জানানো হচ্ছে। বিভিন্ন ইসলামী দলের তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ অব্যাহত রেখে তারা বলছেন, নিহত ও আহতদের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যথায় যে কোন উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই তার দায়ভার বহন করতে হবে। মধুখালীর মন্দিরে আগুনকে কেন্দ্র করে উগ্র-সন্ত্রাসীদের পিটুনীতে দু’সহোদর হত্যাকা-ের ঘটনা ঘটে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা বলেন, মধুখালীতে মন্দিরে আগুন এবং দুই ভাইকে পিটিয়ে হত্যার নেপথ্যে কারন উদ্ধারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এরই মধ্যে এ ঘটনার সাথে জড়িতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। তারা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ঘটনার ইন্ধন দিয়েছিল। এদের গ্রেফতারে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, কৃষ্ণনগর গ্রামে সার্বজনীন কালীমন্দিরের পাশে অবস্থিত ৬৯নং পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শৌচাগার নির্মাণ প্রকল্পটি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। শৌচাগার নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পায় ফরিদপুরের মাহিদা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। পরে সাব- কন্ট্রাক্টে ওই কাজ বাগিয়ে নেন নওয়াপাড়া ইউনিয়ের চোপেরঘাট গ্রামের সাব-ঠিকাদার জালাল শেখ। স্থানীয় একটি সূত্র ও নিহতের পরিবার বলছে, শৌচাগার নির্মাণকাজ শুরু করার পর থেকেই স্থানীয় ইউপি সদস্য অজিৎ কুমার সরকার ওই কাজে নানাভাবে বাধা সৃষ্টি করেন। গত ঈদের আগে অজিতের লোকজন নির্মাণকাজের স্থলে গিয়ে নগদ টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না দিলে মারধরেরও হুমকি দেন। পরে নির্মাণকাজের রড নিয়ে যেতে গেলে এতে বাধা দেন শ্রমিক (ঘটনাস্থলে নিহত) আশরাফুল খান। পরে ওই যুবকরা উত্তেজিত হয়ে আশরাফুলসহ অন্যান্য শ্রমিকদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে চলে যান। পরে পুরো ঘটনাটি আশরাফুল মুঠোফোনে তার বাবা মো. শাহজাহান খানকে বিষয়টি জানান। ভয়ে শাহজাহান খান তার দুই ছেলেকে পঞ্চপল্লী থেকে বাড়ি ফিরিয়ে নেন। পঞ্চপল্লীতে কাজে যেতে বারণ করেন। তবে ঈদের পরে সাব-ঠিকাদার জলিল শেখের অনুরোধে আবার কাজে যোগ দেয় দুই সহোদর আশরাফুল ও আরশাদুল। অগ্নিকা-ের ঘটনার দিন ১৮ই এপ্রিল বিকালে ১নং ওয়ার্ড মেম্বার অজিত কুমার সরকারের নির্দেশে পার্শ্ববর্তী জাননগর গ্রামের বাসিন্দা বিনয় সাহা একদল যুবক নিয়ে স্কুলের ভেতর প্রবেশ করেন এবং নির্মাণকাজের এক বান্ডিল রড ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। তখন নির্মাণ শ্রমিকদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি-ধাক্কাধাক্কি হয়। পরে দুই পক্ষই নানা বাজে ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন।
চাঁদা ও হুমকির বিষয়ে আরশাদুলের মা শারমিন বেগম বলেন, ওদের কাছে ওই এলাকার কিছু ছেলে এসে চাঁদা চায়। টাকা না দিলে মারধরের হুমকি দেয়। কাজ করতে দিবে না বলে শাসিয়ে যান। আশরাফুল ওর বাবাকে এই ঘটনা জানায়। পরে ওদের বাড়ি নিয়ে আসি। ওরা আমার আব্বাদের জান নিয়ে নিবে জানলে আর পাঠাতাম না। আল্লাহ আমি খুনিদের বিচার চাই। আল্লাহ তুমি ওদের বিচার কইরো।
সূত্র জানায়, ঘটনার সময় স্থানীয় প্রভাষ কুমারের ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য অজিৎ কুমার সরকার। তিনি এসে শ্রমিকদের স্কুলের শিশু শ্রেণিকক্ষে ঢোকান। যেখানে নির্মাণ শ্রমিকরা দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছিলেন। পরে ২নং ওয়ার্ডের মেম্বার লিংকন বিশ্বাস ঘটনাস্থলে আসেন। তখন উত্তেজিত জনতা ‘ধর ধর’ বলে ইটপাটকেল, রড, বাঁশ ও কাঠ দিয়ে রুমের দরজা জালানা ভাঙতে শুরু করে। পরে উত্তেজনা বাড়তে থাকলে ইউপি সদস্য অজিৎ কুমার সরকার স্থানীয় ডুমাইন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আসাদুজ্জামান তপনকে ফোন করলে তিনি ঘটনাস্থলে আসেন। তিনি আশরাফুলকে শাসিয়ে রড দিয়ে প্রথমে আঘাত করেন। পরে স্থানীয়রা মারধর শুরু করেন। ওই হামলায় আশরাফুল ও আরশাদুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। তাদের বাড়ি নওপাড়া ইউনিয়নের চোপেরঘাট গ্রামে। গুরুতর আহত হন আনোয়ার হোসন ও সিরাজ শেখ।
হামলা থেকে বেঁচে ফেরা নসিমন চালক মো. লিটন মোল্লা বলেন, চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তখন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কারও কথা না শুনেই লোহার পাইপ দিয়ে আশরাফুলকে পেটাতে শুরু করেন। তিনি বলতে থাকেন তোর কতো বড় সাহস, তুই মন্দিরে আগুন দিস। দাঙ্গা সৃষ্টি করিস, এসব বলতে বলতে মেরে আশরাফুলকে মাটিতে ফেলে দেন। পরে শ্রমিক আনোয়ারকেও মারধর করেন। মেম্বার অজিৎ কুমারও আরশাদুলকে কাঠ দিয়ে পেটাতে থাকেন। তখন স্থানীয়রা আরও উত্তেজিত হয়ে উঠে এবং দরজা-জানালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। কিছু লোক জানালা দিয়েই ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে ইট থেকে বাঁচতে চেয়ারম্যান ওই রুম থেকে বের হয়ে যান। পরে লাঠিসোটা নিয়ে শত শত লোকজন রুমে প্রবেশ করে বেধড়ক পেটাতে থাকে। রড ও ইট দিয়ে আরশাদুল, আশরাফুল ও আনোয়ারের হাত-পা ভেঙে দেয়। মাথা থেতলে দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আমি অন্ধকারে সিঁড়ির নিচে লুকিয়ে ছিলাম।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কৃষ্ণনগর, জান নগর, সীধলাজুড়ি ও তারাপুর মিলে গঠিত পঞ্চপল্লী। এই পাঁচ গ্রামের সবাই সনাতন ধর্মের। হামলার দিন আশপাশের ৫ গ্রামের অন্তত ২ হাজার লোক অংশ নেয়। একটি মামলার এজাহারে হামলায় অংশ নেয়া ও পুলিশের উপর হামলায় ৩১ জনকে আসামি করা হয়। তারা হলেন- গোবিন্দ সরকার, অনয় ভাদুরী, কাঙ্গাল ম-ল, কালিপদ ম-ল, রবীন্দ্রনাথ ম-ল, কেশব ম-ল, সজিব ম-ল, মঙ্গল সরকার, প্রেম কুমার ম-ল, অনিল কুমার বালা, অসিম বিশ্বাস, কৃষ্ণ বিশ্বাস, হরিচন্দ্র অধিকারী, গোবিন্দ বালা, সজিব ম-ল, সুফল ওরফে মুক্ত, মানিক ম-ল, গোপাল সরকার, পলাশ সরকার, মনি কুমার বিশ্বাস, উজ্জ্বল দাস, কৌশিক জোয়ার্দ্দার, বিপ্লব ম-ল, গণেশ বসু, মিল্টন সরকার, হৃদয় বিশ্বাস, মনোজিৎ বালা, গৌতম ম-ল, মিহির সরকার, উজ্জ্বল মিত্র, রাজ কুমার সরকার।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ১নং ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ সদস্য অমৃত কুমার বসু বলেন, বিনয় সাহা মূলহোতা। সে এখানে কেন আসলো। তাকে কে এখানে ফোন করে আনলো? সে সন্দেহজনক ব্যক্তি। তার চরিত্রই ভালো না। সে ধর্মীয় উস্কানিমূলক কাজকর্ম করে। সে ঘটনার সময় নেতৃত্ব দিয়েছে। মেম্বার চেয়ারম্যানের সঙ্গে সেও রুমের ভেতরে ছিল। তার ওখানে কাজ কি? ২নং ওয়ার্ড গ্রাম পুলিশ সদস্য সুজিত অধিকারী সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার সময় অসিম বিশ্বাসের হাতে গোড়ালি ছিল। সে খুব উত্তেজিত ছিল। গোবিন্দা নামের ছেলেটি মধুখালী থানার ওসির সঙ্গে অনেক বাকবিত-া করেছে। গোবিন্দ এলাকায় তরুণদের মধ্যে নেতৃৃত্ব দেয়।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, পঞ্চপল্লীর কালিমন্দিরে আগুনের ঘটনায় গুজব ছড়িয়ে দুজন নির্মাণশ্রমিককে হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে। মন্দিরে আগুন ও পিটিয়ে দুইজনকে হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।
আনোয়ার জাহিদ, ফরিদপুর থেকে জানান, নিহত আশরাফুল আরশাদুলের চাচা রাজ্জাক খান বলেন, দৈনিক ইনকিলাব আমাদের প্রানের কথা গুলো তুলে ধরছেন। আমার ভাতিজারা গত রোজার আগে বাড়ীতে বলেছে ওদের এলাকার কিছু হিন্দু যুবক আছে ওদেরকে এক বান্ডিল রড বা সমপরিমাণ টাকা বকশিস চায়। ওদের সাথে অনেক কথার কাটাকাটি হয়েছে এর আগে। ওরাই ওদের উপর নির্যাতন করছে। এটা পরিকল্পিত হত্যা বলে আমরা মনে করি। আমরা এর কঠোর বিচার দাবি করছি। তিনি বলেন, পুলিশ আমাদের সাথে রহস্যময় আচারন করে। দিন রাত আমার চার পাশ দিয়েই থাকেন। আমাদের সন্তানদের কবর পর্যন্ত পাহাড়া দিচ্ছে এর কারন কি? পুলিশ কি আমাদের নিরাপওা দিচ্ছেন নাকি পাহাড়া দিচ্ছেন? এটাই আমাদের সন্দেহ হয়।
নিহতদের ভাবী মুক্তা বেগম ইনকিলাবকে বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত হত্যা। পুলিশ ৩/৪ দিন ধরে আমাদের শান্তনা দিচ্ছে খুনীদের অবশ্যই আটক করে শাস্তি দিবো। কিন্তু কোন কিছুই দেখছি না। তিনি এখন আর লুকোচুরির কিছু নাই। যারা ওদেরকে পিটিয়ে হত্যা নিশ্চিত করতে নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে। পুলিশ এদের দেখে শুনে কেন আটক করছে না। মধুখালির পুলিশ সরসসরি হিন্দু সন্ত্রাসী গং এবং খুনীদের বাঁচানোর জন্য তাদের পক্ষে কাজ করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। মুক্তা বেগম বলেন, নিহত দুই ভাই কোরআনের হাফেজ ছিলেন। তারা শান্ত মানুষ ছিলেন। অথচ তাদেরকে নিষ্টুরভাবে হত্যা করা হয়েছে। নিহতরা ছিলেন ওই এলাকার পাল্লা হাফেজি মাদরাসার ছাত্র।

06/10/2023

নারায়ণগঞ্জ টু ফরিদপুর ভ্রমণ সম্পূর্ণ ভিডিও।

30/08/2023

মেঘনা নদী

25/08/2023

তিন নদীর মোহনা তীব্র স্রোত...

21/08/2023

মটকা চা...

19/07/2023

নৌ-বন্দর

14/07/2023

Padma Bridge Full View

26/06/2023

শালিক পাখির খাবার আহরণ

20/06/2023

#রথযাত্রা_নারায়নগন্জ

24/12/2022

কর্ম ব্যাস্ত বন্দর

18/12/2021

Mind your language
No Sure
No Never......

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ftv Network posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Ftv Network:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share