22/02/2023
কওমী শিক্ষকদের বেতন বনাম হাদিয়া!
(কষ্ট হলেও পড়ুন ! বিশেষত মাদ্রাসার দায়িত্বশীলগণ)
ঐ সকল সম্মানিত কওমি মাদ্রাসা শিক্ষক যাদের আউট কোন ইনকামের ব্যবস্হা নেই, অর্থাৎ কোন মসজিদের জিম্মাদারী বা ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ অথবা অন্যকোন ইনকামের ব্যবস্থা নেই ; কেবলমাত্র মাদ্রাসার বেতনে যাদের সংসার চলে তাদের পারিবারিক জীবন কতটা কঠিন ও কষ্টের তা কিছুটা হলেও তুলে ধরা হয়েছে..........
অল্প কিছু সংখ্যক বড় বড় মাদ্রাসা ব্যতীত বর্তমানে কওমী শিক্ষকদের গড় বেতন ৮০০০/৯০০০/এর বেশি নয়। এক বস্তা চালের দাম যখন ২৫০০ টাকা। তখন এই সামান্য বেতনে সন্তান, মা-বাবা, স্ত্রী, ভাই-বোনের দেখভাল কিভাবে চলবে? এটা ভাবার মত সময় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ বা মুহতামিমের কখনোই হয়ে উঠে না ৷ কিংবা থাকলেও মাদ্রাসার যথেষ্ট ফান্ড না থাকার কারণে তারা চাইলেও কিছু করতে পারেন না।
অনেকে বলেন- হুজুরদের টাকায় বরকত আছে। কত ভালো চলেন হুজুররা! كلمة حق اريد بها الباطل (কথা সত্য তবে উদ্দেশ্য খারাপ)।
যার প্রমাণ কিছুদিন আগে মাদরাসার একজন শিক্ষককে নিজের ছেলের অপারেশনে মাত্র ৪০,০০০ টাকার জন্য কাকুতি মিনতি করে সহযোগিতা চাইতে দেখলাম। মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতেও দেখেছি। দেখেছি ৫০ বছর শিক্ষকতার পর সামান্য চিকিৎসা খরচের জন্য চাঁদা কালেকশন করতে।
তবে এটা ঠিক, শত অভাবের মাঝেও হাঁসি মুখে, পরিচ্ছন্ন বদনে সবার মাঝে বিচরণের এক অদ্ভূত যোগ্যতা আছে কওমি ওলামায়ে কেরামদের। কিন্তু
বাস্তবতা বড়ই নিষ্ঠুর! অসম্ভব কষ্টের, যা সহজে প্রকাশ করেন না তারা।
সম্মানিত পাঠক!
মাদরাসায় উঁচু উঁচু ইমারত তৈরিতে টাকার অভাব হয় না। সব অভাব শিক্ষকদের বেতন দিতে। বেতন বাড়ানোর কথা বললে কর্তৃপক্ষের উজ্বল চেহারা মলিন হয়ে যায়। অথচ সবার আগে শিক্ষকদের থাকা, খাওয়ার সুন্দর বন্দোবস্ত করা উচিৎ ছিলো। অথচ মাদরাসা গুলোতে সবচেয়ে অবহেলিত বিষয় শিক্ষকদের অধিকার।
মজার ব্যাপার হচ্ছে, শিক্ষকদের বেতনের এক আজগুবি নাম দেয়া হয়েছে হাদিয়া! তার মানে এটা নিয়ে যেন কেউ জোর খাটাতে না পারে। কিন্তু যখন কোনো শিক্ষক দু’দিন অনুপস্থিত থাকেন তখন তার দুই দিনের টাকা কাটার ব্যাপারে এটা বেতন হয়ে যায়। তখন আর হাদিয়া থাকে না। সুতরাং এটা বেতনই, হাদিয়া নয়। এটা তার প্রাপ্য, তার অধিকার, এটা ন্যায্য হওয়া চাই।
যেখানে একজন প্রাইমারি শিক্ষকের বেতন ২০,০০০ থেকে ২৫,০০০ সেখানে একজন কওমি সিনিয়র শিক্ষকের বেতন ছয় সাত হাজার! এটা শ