03/02/2025
সরস্বতী দেবী
দেবী সরস্বতী জ্ঞান, সংগীত ও শিল্পকলার দেবী। ঋগ্বেদে তিনি বৈদিক সরস্বতী নদীর অভিন্ন এক রূপ। সরস শব্দের অর্থ জল। অতএব, সরস্বতী শব্দের আদি অর্থ হলো জলবতী অর্থাৎ নদী। পণ্ডিতরা অনেকেই মনে করেন যে সরস্বতী প্রথমে ছিলেন নদী পরে হলেন দেবী। এ বিষয়ে রমেশ চন্দ্র দত্ত লিখেছেন, "আর্য্যাবর্তে সরস্বতী নামে যে নদী আছে তাই প্রথমে দেবী বলে পূজিত হয়েছিলেন।" বর্তমানে গঙ্গা যেমন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপাস্য দেবী হিসেবে পূজা পেয়ে থাকেন, তেমনি সরস্বতী হলেন জ্ঞানের দেবী।
সরস্বতী দেবীর স্বরূপ
সরস্বতীর প্রকৃত তাৎপর্য নিহিত রয়েছে সূর্যাগ্নির জ্যোতিতে। সূর্যাগ্নির তেজ, তাপ ও চৈতন্যরূপে জীবদেহে বিরাজ করায় চেতনা ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতী। তিনি বিদ্যাদেবী, জ্ঞানদায়িনী, বীণাপাণি, কুলপ্রিয়া, পলাশপ্রিয়া প্রভৃতি নামে অভিহিতা। কখনো তিনি দ্বিভূজা, কখনো আবার চতুর্ভূজা। দ্বিভূজা রূপে তাঁর এক হাতে বীণা অন্য হাতে পুস্তক। চতুর্ভূজা রূপে মা বীণা বাদিনী, অক্ষমালা ও পুস্তকধারিনী।
সরস্বতী নদীর তীরে যজ্ঞের আগুন জ্বেলে সেখানেই ঋষি লাভ করেছিলেন বেদ বা ঋগমন্ত্র। সুতরাং সরস্বতী জ্ঞানের দেবী হিসেবেই পরিচিত হয়েছিলেন এ ধরাতে। কালের বিবর্তনে সরস্বতী তাঁর অন্য বৈশিষ্ট্যগুলো হারিয়ে কেবল বিদ্যাদেবী অর্থাৎ জ্ঞান ও ললিতকলার দেবীতে পরিণত হলেন। ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে গোলোকে বিষ্ণুর তিন পত্নী লক্ষ্মী, সরস্বতী ও গঙ্গার মধ্যে বিবাদের ফলে গঙ্গার অভিশাপে সরস্বতীর নদী রূপ পাওয়াই হচ্ছে সরস্বতীর পৃথিবীতে দেবীরূপে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার তত্ত্ব।
সরস্বতী দেবীর বাহন
সরস্বতী দেবীর বাহন হাঁস। পণ্ডিত কলহনের মতে, "সরস্বতী দেবী হংসের রূপ ধারণ করে ভেড়গিরি শৃঙ্গে দেখা দিয়েছিলেন। এ ধরনের ধারণা সঙ্গত কারণ হংসবাহনা সরস্বতীর। কথিত আছে দেবী এ বাহন ব্রহ্মার কাছ থেকে পেয়েছিলেন। তবে সরস্বতী দেবীর বাহন কিন্তু পাখি নয়। বেদ এবং উপনিষদে হংস শব্দের অর্থ সূর্য। সূর্যে সৃজনী শক্তির বিগ্রহাম্বিতরূপ ব্রহ্মা এবং সূর্যাগ্নির গতিশীল কিরণরূপা ব্রহ্মা-বিষ্ণু-শিব শক্তি। তাই সরস্বতী দেবীর বাহন হংস বা সূর্য হয়েছে একেবারেই যুক্তিসঙ্গত কারণে। তবে বৈদিক সাক্ষ্য থেকেই জানা যায় সিংহ ও ময়ুর সরস্বতী দেবীর আদি বাহন ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দেবী দুর্গা সরস্বতী দেবীর কাছ থেকে সিংহ কেড়ে নেন আর কার্ত্তিক কেড়ে নেন ময়ূর। পরবর্তী সময়ে সরস্বতী দেবী হংসকেই তাঁর চিরস্থায়ী বাহনের মর্যাদা দেন।
দেবী সরস্বতীর জীবরূপ হংস বাহন সম্পর্কে বলতে গেলে বলতে হয় জলে, স্থলে, অন্তরীক্ষে সর্বত্রই তাঁর সমান গতি ঠিক যেমন ভাবে জ্ঞানময় পরমাত্মা সব জায়গায় বিদ্যমান। অপর দিকে রাজহংস জল ও দুধের পার্থক্য করতে সক্ষম। জল ও দুধ মিশ্রিত থাকলে হাঁস শুধু সারবস্তু দুধ বা ক্ষীরটুকু গ্রহণ করে আর জল পড়ে থাকে। জ্ঞান সাধনায় হংসের এ স্বভাব যথেষ্ঠ তাৎপর্য বহন করে। তাই বিদ্যাদেবীর বাহন হিসেবে হংসকে খুব ভালোই মানায়। হাতে বীণা ধারণ করেছেন বলেই তাঁর অপর নাম বীণাপাণি। বীণার সুর মধুর। পূজার্থী বা বিদ্যার্থীর মুখ নিঃসৃত বাক্যও যেন মধুর হয় এবং জীবনও মধুর সংগীতময় হয় এ কারণেই মায়ের হাতে বীণা।
২৮) হোমের জন্য ৮ প্রকার খড়ি (আম, বেল, পলাশ, বট, অসত্ব, যজ্ঞ ডুমুর, পদ্ম, দেবদারু)
২৯) হোম করার জন্য বালু, পাটকাঠি ইত্যাদি ।
হিন্দুদের দেবী হয়েও বৌদ্ধ বা জৈনদের কাছ থেকেও পূজা পেয়েছেন দেবী সরস্বতী। অনেক বৌদ্ধবিহারে দেবী সরস্বতীর মূর্তি দেখতে পাওয়া যায়। জৈনদের ২৪ জন শাসনদেবীর মধ্যে সরস্বতী একজন এবং ষোলজন বিদ্যাদেবীর মধ্যে অনন্যা মা সরস্বতী।
সরস্বতীর ধ্যান মন্ত্র
ওঁ তরুণশকলমিন্দোর্ব্বিভ্রতী শুভ্রকান্তিঃ।
কুচভরণমিতাঙ্গী সন্নিষন্না সিতাব্জে।।
নিজকর কমলোদ্যল্লেখণী পুস্তকশ্রীঃ।
সকল বিভবসিদ্ধৌ পাতু বাগদেবতা নমঃ।।
সরস্বতী প্রণাম মন্ত্র
ওঁ সরস্বতী মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষ্মী বিদ্যাংদেহি নমোহস্তুতে।।
ওঁ ত্বং ত্বং সরস্বতী নির্মল বরণে,
রক্তে বিভূষিত কুণ্ডল করণে।
শিরে জটা গজমোতি হার
দেবী সরস্বতী বিদ্যা দাও ভার।
লাগ্ লাগ্ বিদ্যা মোর কণ্ঠে লাগ
যাবৎ জীবৎ জীবন তাবৎ থাক।
গুরুর যশ মোর ভাগ্যে দিনে দিনে বাড়ে।
ওঁ জয় জয় দেবী চরাচর সারে, কুচযুগশোভিত মুক্তাহারে।
বীনারঞ্জিত পুস্তক হস্তে, ভগবতী ভারতী দেবী নমহস্তুতে।।
সরস্বতীর স্তবঃ
ওঁ শ্বেতপদ্মাসনা দেবী শ্বেত পুষ্পোপশোভিতা।
শ্বেতাম্ভরধরা নিত্যা শ্বেতাগন্ধানুলেপনা।।
শ্বেতাক্ষসূত্রহস্তা চ শ্বেতচন্দনচর্চ্চিতা।
শ্বেতবীণাধরা শুভ্রা শ্বেতালঙ্কারবভূষিতা
বন্দিতা সিদ্ধগন্ধর্ব্বৈর্চ্চিতা দেবদানবৈঃ।
পূঝিতা মুনিভি: সর্ব্বৈঋষিভিঃ স্তূয়তে সদা।।
স্তোত্রেণানেন তাং দেবীং জগদ্ধাত্রীং সরস্বতীম্।
যে স্মরতি ত্রিসন্ধ্যায়ং সর্ব্বাং বিদ্যাং লভন্তি তে।।
সরস্বতীর পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র
ওঁ ভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ।
বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যা-স্থানেভ্য এব চ স্বাহা।।
এস স-চন্দন পুষ্পবিল্ব পত্রাঞ্জলি ওঁ সরস্বতৈ দেবৈ নমঃ।।
Ten unknown Facts About
1. The first film ever made was "Roundhay Garden Scene" in 1888, directed by French inventor Louis Le Prince.
2. The first Hollywood film was "The Squaw Man" in 1911, directed by Oscar Apfel and Cecil B. DeMille.
3. The first 3D film was "The Power of Love" in 1922, directed by Nat G. Deverich and Harry K. Fairall.
4. The first film with sound was "The Jazz Singer" in 1927, directed by Alan Crosland.
5. The longest film ever made was "Ambian" in 2016, directed by Anders Weberg, with a runtime of 720 hours.
6. The highest-grossing film of all time is "Avengers: Endgame" in 2019, directed by Anthony and Joe Russo.
7. The most Academy Awards won by a single film is 11, achieved by "Ben-Hur" in 1959, "Titanic" in 1997, and "The Lord of the Rings: The Return of the King" in 2003.
8. The first film to feature a computer-generated image (CGI) was "Westworld" in 1973, directed by Michael Crichton.
9. The first film to use motion capture technology was "The Lord of the Rings: The Fellowship of the Ring" in 2001, directed by Peter Jackson.
10. The highest-paid actor of all time is Keanu Reeves, with a salary of $250 million for "The Matrix" trilogy.