21/02/2024
💥💥ডার্ক জাস্টিজ💥💥
শুরুতেই বলি সম্পূর্ন লেখাটা পড়বেন,তাতে গল্পটা হয়তো জানতে পারবেননা,কিন্তু গল্পের আকর্ষন কতটা তা ঠিকই বুঝতে পারবেন।
পরিচালক তপু খান আগেই বলেছেন এটা একটা ফিল্ম কিন্তু ইউটিউবে রিলিজ হচ্ছে বলে তিনি নাম দিয়েছেন ইউটিউব ফিল্ম।
আমার খুব একটা মুভি দেখা হয়না,আগে কোলকাতা মুভি দেখতাম,মাঝেমাঝে আমাদের দেশের মুভিও টুকটাক দেখতাম,লাস্ট কয়েক বছর নাটকের প্রতি ভালো লাগা শুরু হলো তাই মুভি আর দেখা হয়নি,এখন শুধু নাটকই দেখি,কিন্তু এই "ডার্ক জাস্টিজ" দেখে মনে হলো যেনো কোলকাতা মুভি দেখতে বসেছি।(কারন আমি অন্য মুভি দেখিনা,তাই কোলকাতা মুভির সাথে তুলনা দিলাম)
শুরুতে অপূর্বর এন্ট্রিটা ছিলো মাস্টারক্লাস,এটা যে কোনো সিনেমায় নায়কের এন্ট্রিকেও হার মানানোর যোগ্যতা রাখে।তাছাড়া প্রতিটা ক্যারেক্টারেরই এন্ট্রি ছিলো অসাধারন,ইরফান সাজ্জাদ,রাশেদ মামুন অপু,মনিরা মিঠু সবার এন্ট্রিই ছিলো যেনো নাটককে আকর্ষিত করার জন্য যথেষ্ট।
গল্পটা এতোটা পরিমার্জিত যে কোথাও সামান্য পরিমান ত্রুটি পাইনি,সাধারণত এ ধরনের থ্রিলার,সাসপেন্স,একশন টাইপ গল্পে অনেক কিছুর হিসাব মেলানো যায়না,তবে এই গল্পে গল্পকার ও পরিচালক খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে গল্পটা উপস্থাপন করতে পেরেছে,তাই কোথাও সেধরনের ত্রুটি নেই।
এই ইউটিউব ফিল্মে বাজেট ছিলো অনেক বেশী,রানিং টাইম ১ ঘন্টা ৩৫ মিনিট,পরিচালক খুব দক্ষতা ও মেধা দিয়ে কাজটা পরিচালনা করেছে,মেকিং ছিলো অসাধারন,শুরু হওয়ার কিছুক্ষন পর মহিমার রোমান্টিক অঙ্গভঙ্গি দেখে কিংবা সাজ্জাদের প্রেমিকাকে মানানোর চেষ্টা করা দেখে মনে হচ্ছিলো রোমান্টিক কিং এটাতে আছে কিন্তু রোম্যান্স করতেছে অন্যরা,বিষয়টা বেশ উপভোগ্য ছিলো।
একটা মুভিতে ঠিক এ ধরনের গল্প থাকে সাথে ২-৩ টা গান যুক্ত করে কাহিণীটা আরেকটু বড় করা হয়,সেটা বাদে এটাকে আমি মুভিরই গল্প বলবো।এটাকে তপু খান সিনেমা হলে চালালেও দর্শকরা দেখে তৃপ্তি পেতো।আর এটা শুধু একশন,সাসপেন্স,থ্রিল দিয়েই নয় সাথে একটুখানি রোম্যান্স ও তার চেয়ে আরেকটু বেশী ইমোশনও আছে।আর যতোক্ষন দেখছিলাম মনে হচ্ছিলো সবকিছু যেনো খুব দ্রুত ঘটে যাচ্ছে,এটা এক সেকেন্ডের জন্যও টানতে হয়নি।
অভিনয়ে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ফাটিয়ে দিয়েছে,সে আবারো দেখিয়েছে যে শুধু রোমান্টিক নয় বরং ভিন্ন চরিত্রেও অপূর্বই সেরা।আমি নিশো,মোশাররফ করিম,চন্চল চৌধুরীদের কোনো মুভি দেখিনি,তাদের কখনো ফাইট করতেও দেখিনি,অভিনয়ে ফাইটিং সিন আছে।