বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ABBL

  • Home
  • Bangladesh
  • Dhaka
  • বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ABBL

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ABBL আমি বিশ্বাস করি যে, দেশে শান্তি-শৃঙ্খলা এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করিতে হইলে শাসন-ক্ষমতা ধার্মিক, চরি

আলহামদুলিল্লাহ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আনন্দবাজার। লর্ড হার্ডিঞ্জ। লালমোহন। ভোলা জেলা শাখার ২০২৫ সেশনের সেট-আপ সম্পন্ন...
24/01/2025

আলহামদুলিল্লাহ,

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আনন্দবাজার। লর্ড হার্ডিঞ্জ। লালমোহন। ভোলা জেলা শাখার ২০২৫ সেশনের সেট-আপ সম্পন্ন হয়েছে।

সভাপতিঃ মোঃ হুমায়ুন কবির।

আল্লাহ ভাইকে যোগ্যতা, দক্ষতা ও দায়িত্বের আমানত যথাযথ ভাবে পালনের তাওফিক দান করুন।

22/01/2025

বনী ইসরাইলের এক যুবকের সদাকায়ে জারিয়ার গল্প

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রমনা থানার রুকন সমাবেশে মহানগরী দক্ষিণ জামায়াতের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ABBL

22/01/2025
20/01/2025

*জাতিসংঘের নির্বাচনী চাহিদা মূল্যায়ণ মিশন এর সাথে জামায়াতের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ*

২০ জানুয়ারি সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর, সাবেক এমপি ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের এর নেতৃত্বে ৪ সদস্য বিশিষ্ট এক প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফররত জাতিসংঘের নির্বাচনী চাহিদা মূল্যায়ণ মিশন এর সাথে জাতিসংঘের আবাসিক কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হন।

জাতিসংঘ মিশনের পক্ষে ছিলেন মিসেস সারা পিট্রোপাওলি, রাজনৈতিক বিষয়ক কর্মকর্তা, জাতিসংঘের রাজনৈতিক ও শান্তি প্রতিষ্ঠা বিষয়ক বিভাগ এবং নির্বাচনী সহায়তা বিভাগ, মি. আদিত্য অধিকারী, রাজনৈতিক বিষয়ক কর্মকর্তা, এশিয়া প্যাসিফিক বিভাগ, জাতিসংঘের রাজনৈতিক ও শান্তি প্রতিষ্ঠা বিষয়ক বিভাগ এবং শান্তিরক্ষা কার্যক্রম বিভাগ, মিসেস নাজিয়া হাশেমি, উপদেষ্টা, ডিজিটাল যুগে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠান এবং প্রক্রিয়া (ইউএনডিপি)।

জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে ছিলেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য জনাব সাইফুল আলম খান মিলন, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

সাক্ষাৎ শেষে ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোঃ তাহের সংক্ষিপ্ত প্রেস ব্রিফি-এ বলেন, “জাতিসংঘের নির্বাচনী চাহিদা মূল্যায়ণ মিশন এর আমন্ত্রণে আজ আমরা এখানে এক সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয়েছি। তারা কয়েকটি বিষয়ের ওপর জানতে চেয়েছে যে, ইলেকশনে ইউএনডিপি কী ধরনের সহযোগিতা করতে পারে এবং স্বচ্ছ-ফেয়ার ইলেকশন হওয়ার জন্য কী কী পদক্ষেপ নেওয়া দরকার এবং সে ব্যাপারে আমরা কী ভাবছি। এসকল বিষয়ে তারা কথা বলেছে এবং ইউএনডিপির এ মিশনকে আমরা ওয়েলকাম করি কি-না। আমরা বলেছি, যে কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থাকে আমরা ওয়েলকাম করি সহযোগিতার জন্য। তবে ইন্টারফেয়ার করার জন্য নয়। উইদাউট ইন্টারফেয়ার-এ যদি আমাদের টেকনিক্যাল এবং ফান্ডিং এর ব্যাপারে সহযোগিতা করে সেটার জন্য আমরা বলেছি ইউ আর ওয়েলকাম। ইলেকশন ফেয়ার হওয়ার ব্যাপারে আমরা আরেকটি কথা বলেছি, প্রত্যেক কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা সংযোগ করার জন্য। কারণ সিসি ক্যামেরা থাকলে ইলেকশনের সার্বিক পরিস্থিতি বোঝা যাবে। এখানে হিউজ ফান্ডের কথা আসছে। আমরা বলেছি এক্ষেত্রে তোমরা আমাদের সহযোগিতা কর। ইলেকশন ফেয়ার করার জন্য এটা বড় ধরনের সহযোগিতা হবে। তারা পার্টিসিপেটরি ইলেকশনের ব্যাপারে জানতে চাইলে আমরা বলেছি, আমরা নীতিগতভাবে পার্টিসিপেটরি, ফেয়ার, অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই। এটা আমাদের মূলনীতির ভেতরেই আছে। এরপর তারা বলেছে নির্বাচনের তারিখ কখন হতে পারে? আমরা বলেছি এ্যাজ আরলি এ্যাজ পসিবল টাইম-এ সম্ভব। তবে এখানে কিছু জরুরি রিফর্মস প্রয়োজন। উইদাউট রিফর্মস-এ যদি ইলেকশন হয়, তবে ইলেকশন আগের মতই হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। জরুরি রিফর্মস করা এবং ইলেক্টরাল ল’ চেঞ্জ করা যেটা ইলেকশনকে আরও শক্তিশালী করবে এবং বেশি অথরিটি দেবে; আমরা সেটার ওপর জোর দিয়েছি। সাংবিধানিক মৌলিক পরিবর্তন আনা দরকার বলেছি। আমরা বলেছি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী কন্টিনিউ করতে পারবে না। প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। এসকল বিষয়েও রিফর্মস হওয়া দরকার বলে আমরা জানিয়েছি। এক্ষেত্রে রিফর্মস কমিশন যেসব প্রস্তাব জমা দিয়েছে আমরা মনে করি সেগুলোকে নিয়েই সরকারের রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে অনতিবিলম্বে ডায়ালগ শুরু করা দরকার। ডায়ালগ শেষ করেই কনসেসাস তৈরি করা প্রয়োজন মৌলিক বিষয়গুলোতে। এরপর ইলেকশন শুরু করার জন্য যে সময় দরকার তার ভিত্তিতেই যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন করা দরকার। সুতরাং মিনিমাম, পসিবল, নেসেসারি রিফর্মস এবং তারপর নিয়ারেস্ট শর্টেড টাইম-এর ভিতের নির্বাচন করা। এটা হচ্ছে আমাদের স্ট্যান্ড-এর কথা। উইদাউট রিফর্মস-এ যদি ইলেকশন হয়, তবে ইলেকশন ত্রুটিপূর্ণ থেকে যাবে, এটা আমরা মনে করি। আর রিফর্মস-এর নামে অযথা সময়ক্ষেপণ করা এটাও সঠিক হবে না। মৌলিকভাবে এসব বিষয়ে আজ আমাদের কথা হয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, বিএনপি বাংলাদেশের একটি বড় দল। তাদের একটি দৃষ্টিভঙ্গি আছে এবং তারাও তাদের বক্তব্য রেখেছে। আমরা বলেছি প্রয়োজনীয় রিফর্মস করে যথাসম্ভব নির্বাচন দেওয়া। এটাই আমাদের স্ট্যান্ড। আওয়ামী লীগের ইলেকশনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে তিনি বলেন, পিউপল উইল সে, এনভায়ারনমেন্ট উইল সে- পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়। সেখানে পরিস্থিতি এবং জনগণের যে মতামত এবং ম্যান্ডেট থাকবে সেটাই আমাদের স্ট্যান্ড। সেখানে আমাদের বিশেষ কোনো নিজস্ব কিছু নেই। আরেক প্রশ্নের জবাবে ডা. তাহের বলেন, জামায়াতে ইসলামী কোনো দলের পক্ষে বিপক্ষে আইনগত বিষয়ে মতামত দিবে না। এটা জনগণ উইল ডিসাইড, সোসাইটি উইল ডিসাইড, সিসুয়েশন উইল ডিসাইড, এনভায়ারনমেন্ট উইল ডিসাইড। আগে স্থানীয় সরকার না জাতীয় সরকার নির্বাচন সে বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা অবজার্ভ করছি। আমরা এ বিষয়ে চূড়ান্ত কোনো মতামত ঠিক করিনি। আমরা আলোচনা করব এবং তারপর আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানাব। কেয়ারটেকার সরকারের ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা তো একেবারেই আমাদের মৌলিক দাবি। এর আগে যে কেয়ারটেকার সরকারের দাবি উত্থাপন করা হয়েছিল তা জামায়াতে ইসলামীই আগে করেছিল। পরে অন্যান্য দল এটাকে সাপোর্ট দিয়েছে। আমরা এর জন্য আন্দোলন করেছি। এটা সংবিধান সংযোজিত হয়েছিল। কিন্তু আনফর্চনেটলি আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে এটা বন্ধ করে। তারাও আন্দোলন করেছিল আমাদের সাথে কেয়ারটেকার সরকারের জন্য। নিজের সুবিধার জন্য তারা এটি বন্ধ করেছে। সুতরাং কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। এটা আমাদের মৌলিক দাবি এবং এটাই হতে হবে।”

20/01/2025

শোক সংবাদ ও দোয়ার আবেদন।

মহান মাওলার ডাকে সাড়া দিয়ে চলে গেলেন সাবেক এমপি হাফেজা আছমা খাতুন।

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগের সাবেক সেক্রেটারি, সংরক্ষিত আসনের এমপি, মহীয়সী নারী, পরম শ্রদ্ধেয়া হাফেজা আছমা খাতুন মহান মাওলার উদ্দেশ্যে তাঁর দুনিয়ার সফর শেষ করে পরকালীন সফর শুরু করছেন।

দীর্ঘদিন তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহিলা বিভাগীয় সেক্রেটারি হিসেবে অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে এ পবিত্র জিম্মাদারি আঞ্জাম দিয়েছেন। বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জনপদে দ্বীনের একজন দাঈ হিসেবে তাঁর বিরামহীন পথচলা এদেশের নারী সমাজকে মহান আল্লাহর দ্বীনের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করেছে। তাদেরকে দ্বীন-ইসলাম জানার ব্যাপারে, মানার ব্যাপারে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে।

সর্বোপরি ইসলামী আন্দোলনের ব্যাপারে তাদের অন্তরকে আকৃষ্ট করেছে। তিনি দীর্ঘ দিন ধরে বার্ধক্যজনিত কারণে অসুস্থ ছিলেন। আজ সকালে তিনি মহান মাওলার ডাকে সাড়া দিয়ে দুনিয়া ত্যাগ করলেন। তাঁর কাজ, তাঁর দাওয়াহ যুগ-যুগ ধরে নারী সমাজকে আল্লাহ তা'য়ালার দ্বীনের দিকে আকৃষ্ট করতে থাকবে।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাঁর মানবিক ভুল-ত্রুটিসমূহ ক্ষমা করুন। তাঁর উপর রহম করুন,তাঁর এই নতুন সফরে তাঁর রহমতের ফিরিশতা দিয়ে সাহায্য করুন। তাঁর খেদমতগুলোকে কবুল করে এর উপর পরিপূর্ণ বারাকাহ দান করুন। তাঁকে জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান হিসেবে কবুল করুন।

মরহুমার সন্তান-সন্ততি, আপনজন, প্রিয়জন, দলীয় সহকর্মীসহ সকলকে আল্লাহ তা'য়ালা ধৈর্য ধারণ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।।

রাজশাহী জেলা ও মহানগরীর কর্মী সম্মেলনে আমীরে জামায়াত বাংলার জমিনে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি দখলদারিত্বমুক্ত ইনসাফ কায়েমের লড়াই ...
19/01/2025

রাজশাহী জেলা ও মহানগরীর কর্মী সম্মেলনে আমীরে জামায়াত

বাংলার জমিনে সন্ত্রাস চাঁদাবাজি দখলদারিত্বমুক্ত ইনসাফ কায়েমের লড়াই চলবেই
-ডা. শফিকুর রহমান

কুরআনের শাসন প্রতিণ্ঠা করে দুর্নীতি ও দুঃশাসন মুক্ত দেশ গড়ার প্রত্যয় জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, বাংলার জমিনে ইনসাফ কায়েমের লড়াই চলবেই; যতক্ষণ না দেশ সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও দখলদার মুক্ত হবে। তিনি বলেন, বিনয়ের সাথে অনুরোধ করি যারা চাঁদাবাজি দখলদারি এবং মামলা বাণিজ্য করছেন; দয়া করে একাজটা করবেন না। আমাদের শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে। মানবতা অপমানিত হবে, লাঞ্চিত হবে। বন্ধু একাজটা ছেড়ে দেন। আল্লাহর ওয়াস্তে একাজগুলো ছেড়ে দেন। অফিস আদালতে যারা ঘুষ-বাণিজ্য করেন, আবার মামলা বাণিজ্য অনেকে করেন, তাদের প্রতি আন্তরিক অনুরোধ, ভাই একাজগুলো করিয়েন না। তবে যদি আমাদের বিনয়ী অনুরোধ না মানেন, তাহলে তাদের জেনে রাখা উচিত, যুদ্ধ আমাদের শেষ হয়নি।

১৮ জানুয়ারি শনিবার রাজশাহীর ঐতিহাসিক মাদরাসা ময়দানে রাজশাহী মহানগর ও জেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত বিশাল কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. শফিকুর রহমান এসব কথা বলেন।

কর্মী সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন জেলা আমীর ড. কেরামত আলী। মহানগর সেক্রেটারি এমাজ উদ্দিন মন্ডল, সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ শাহাদত হোসাইন ও জেলা সেক্রেটারি গোলাম মর্তুজার যৌথ পরিচালনায় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও রাজশাহাী অঞ্চল পরিচালক অধ্যক্ষ মোঃ সাহাবুদ্দিন ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নূরুল ইসলাম বুলবুল।

জামায়াতের আমীর সামনের উপস্থিতির কাছে জানতে চান, আমি আশা করি রাজশাহীতে ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখের পর চাঁদাবাজি হয় না। এখানকার মানুষ ভদ্র, এখানকার মানুষ বিনয়ী, এখানকার মানুষ কেউ চাঁদাবাজি করে না। মাঠ থেকে জবাব আসে- না, চাঁদাবাজি করে এবং দাখিলদারিত্ব চালায়। জামায়াতের আমীর প্রশ্ন করেন এখানেও চাঁদাবাজি হয়! মাঠ দখল হয়? হাটবাজার? বালু মহাল, জলমহাল বিভিন্ন যানবাহনের স্ট্যান্ড? সবগুলোতে এখনও দখলদারি হয়? মাঠ থেকে উত্তর আসে ‘হয়’। তাহলে এগুলো কী শহীদদের প্রতি ভালবাসা? এটা কী শহীদদের প্রতি সম্মান? অবশ্যই না

আমীরে জামায়াতে তাদের প্রতি অনুরোধ করে বলেন, একাজটা যারা করেন বিনয়ের সাথে অনুরোধ করে একাজটা ছেড়ে দেন। দয়া করে একাজটা করবেন না। আমাদের শহীদদের আত্মা কষ্ট পাবে। মানবতা অপমানিত হবে, লাঞ্চিত হবে। বন্ধু একাজটা ছেড়ে দেন। আল্লাহর ওয়াস্তে একাজগুলো ছেড়ে দেন। অফিস আদালতে যারা ঘুষ বাণিজ্য করেন, আবার মামলা বাণিজ্য অনেকে করেন, তাদের আন্তরিক অনুরোধ, ভাই একাজগুলো করিয়েন না। আমাদের শহীদের আত্মা কষ্ট পাবে। আর আমাদের জীবন্ত সন্তানেরা যারা শহীদ হওয়ার নিয়ত করে ঘর থেকে বের হয়ে রাস্তায় সেদিন লাখো কোটি সন্তান নেমেছিল, তারা অন্তরে বড় কষ্ট পাবে। তাদেরকে কষ্ট দিবেন না মেহেরবানী করে। তবে যদি আমাদের বিনয়ী অনুরোধ না মানেন, তাহলে তাদের জেনে রাখা উচিত, যুদ্ধ আমাদের শেষ হয়নি।

তিনি বলেন, আমাদের সন্তানেরা স্লোগান দিচ্ছে এখনো। ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ।’ তিনি আবার মাঠের উদ্দেশে বলেন, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ,’ মাঠ থেকে সম্মিলিত জবাব আসে ‘শেষ হয়নি যুদ্ধ।’ এ লড়াই চলবেই ইনশা আল্লাহ; যতক্ষণ না ইনসাফ এই জমিনে কায়েম হয়। ইনসাফ কায়েমের জ্ঞান একমাত্র আল কুরআন দিতে পারে। আর কিছুই দিতে পারে না। ‘কুরআন’ এর হেদায়েত শুধু মুসলমানদের নয়; এই কুরআনের শাসন সকল ধর্মের সকল দলের, সকল বর্ণের মানুষের জন্য একমাত্র ইজ্জতের গ্যারান্টি। কোরআনের শাসন কায়েমের মধ্য দিয়েই আমরা একটা মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই। দুর্নীতি এবং দুঃশাসনমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই।

তিনি সকল ধর্মের মানুষদের প্রতি সম্মান এবং ত্যাগ স্বীকার করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, আমরা এক মুহূর্র্তের জন্যও বিশ্রাম নিবো না। বিশ্রাম নেওয়ার কোনো সময় আমাদের নাই। এ জীবন খুব ছোট; কাজ অনেক বড়। উপস্থিত কর্মীদের দেশে কুরআনের রাজ কায়েমে কাজ করার আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের চিত্র তুলে ধরে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর বলেন, তারা মনে করেছিল নিজেরাই সার্বভৌম। সার্বভৌম মানে সর্বময় ক্ষমতার মালিক। তিনি প্রশ্ন রাখেন, আপনারা এত ক্ষমতার মালিক? তো দেশ ছেড়ে পালালেন কেন? সেই ক্ষমতার দাপটে কেয়ামত পর্যন্ত টিকে থাকার চেষ্টা করতেন। আপনাদের পরাজয় এবং পলায়ন প্রমাণ করেছে, সর্বময় ক্ষমতার একমাত্র মালিক আল্লাহ; কোনো দল, গোষ্ঠী, দেশ তথা জনগণ বা কারো পক্ষেই সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক হওয়া সম্ভব নয়।

ডা.শফিকুর রহমান বলেন, মোমেনরা দুনিয়ায় কারো কাছে মাথা নত করে না। করেনি বলেই গত সাড়ে ১৫টি বছর বিশেষ করে আলেম-ওলামা, মোমেন-মোমেনাত, ওফাজ, আইতাব এদের ওপর বিগত সরকার তান্ডব চালিয়েছে। আর জামায়াতে ইসলামীর দুই জন আমীর, তিনজন নায়েবে আমীর, একজন সেক্রেটারি জেনারেল, দুইজন অ্যাসিস্ট্যান্ড সেক্রেটারি জেনারেল এবং একজন নির্বাহী পরিষদ সদস্যসহ মোট ১১ জন দায়িত্বশীল নেতাকে আমাদের বুক থেকে কেড়ে নিয়েছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ যারা করেছে, শত শত আমাদের সহকর্মীকে তারা খুন করেছে। অসংখ্য ভাইবোনকে গুম করেছে। পঙ্গু করেছে, আহত করেছে। তাদের চাকরি কেড়ে নিয়েছে। ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করেছে।

তিনি দেখতে চান কর্মী সম্মেলনে যারা উপস্থিত, তাদের মধ্যে কারা অন্তত একবার হলেও জেলে গিয়েছে? দেখা যায় মাঠে বিপুল সংখ্যক মানুষ হাত তোলেন। মাঠে উপস্থিত অধিকাংশ লোকজনকেই জেল খাটতে হয়েছে। তিনি মঞ্চে বসে থাকা নেতাদের ইঙ্গিত করে দেখান যে এখানে বসে থাকা সবাই জেল খেটেছে। তারা কি চুরি ডাকাতি করেছিলেন? নাকি মানুষ খুন করেছেন, নাকি গুপ্ত হত্যা করেছেন? উত্তর আসে ‘না’।

তৌহিদবাদী একদল লোক আরবের নাজরানে ছিল। মুশরিকরা তাদের আগুনের গর্তে নিক্ষেপ করে হত্যা করেছিল। যাদের হত্যা করা হয়েছিল তাদের বলা হয় ‘আসহাবুল উখদুত’। আাল্লহ তায়ালা আমাকে দেখার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। হাজার বছরের স্মৃতি এখনো সেই এলাকা বহন করে চলছে। সেখানে দেখলাম তাদের হাড়গোড় ও দেহের বিভিন্ন অংশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে আছে। স্বৈরশাসকরা বলেছিল এক আল্লাহ মানলে চলবে না। অমুক অমুককেও ইলাহ মানতে হবে। তারা বলেছিল না। আল্লাহ এবং ইলাহ একজনকেই মানবো দ্বিতীয় কাউকে স্বীকার করবো না। এজন্যই তাদের ওপর ঝাল মিটিয়েছিল। যারা ঝাল মিটিয়েছিল তারা ইতিহাসে নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। যাদের আগুনে পুড়ে হত্যা করা হয়েছে তাদের আল্লাহ কবুল করেছেন শহীদ হিসেবে। বাংলাদেশেও যারা দ্বীনের জন্য, আল্লাহর জন্য জীবন দিয়েছেন, তাদের শাহাদাত কবুল করার জন্য দোয়া করেন। তিনি অভিযোগ করে বলেন, কী দোষ ছিল তাদের? তারা বলেছিল, কোটা রাখেন; কিন্তু সেটাকে যুক্তিসঙ্গত করে সংস্কার করেন। সহ্য করলো না। তাদের বিরুদ্ধে মুগুরবাহিনী গুন্ডাবাহিনী লেলিয়ে দিলো। মুগুরবাহিনী বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে ঢুকে ছেলেদেরতো পিটালো-ই। আমাদের কলিজার টুকরা মেয়েদেরও পিটালো। যাদের ওপর গুলি করলো তারা যেন মানুষ নয়; বন জঙ্গলের পশু। কতগুলো আদম সন্তানকে যে দুনিয়া থেকে বিদায় করা হয়েছে; তার হিসাব দুনিয়ার কেউ দিতে পারবে না।

কর্মী সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সেক্রেটারি অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম. কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম, পাবনা জেলা আমীর আবু তালেব মন্ডল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা আমীর আবু জার গিফারি, নাটোর জেলা আমীর ড. মীর নূরুল ইসলাম. নওগাঁ জেলা আমীর খন্দকার মো. আব্দুর রাকীব, বাংলাদেশ খেলাফতে মজলিস রাজশাহী মহানগর সভাপতি মুফতি মোহাম্মদ আবুল বাশার, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ রাজশাহীর আহ্বায়ক মাওলানা হাবিবুর রহমান কাসেমী।

স্থানীয় নেতাদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী মহানগর জামায়াতের নায়েবে আমীর এডভোকেট আবু মোহাম্মদ সেলিম, রাজশাহাী জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল খালেক, ইসলামী ছাত্রশিবির রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় শাখা সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ, রাজশাহী মহানগর সভাপতি মো. শামীম উদ্দিন, বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক নওসাজ জামান, জামায়াতের রাজশাহী মহানগরীর সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাহবুবুল আহসান বুলবুল, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের মহানগর সভাপতি অধ্যাপক আবদুস সামাদ, রাজশাহী জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নাজমুল হক, জেলার শ্রমিক কল্যাণ সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামান, রাজশাহী মহানগরী সাংগঠনিক সেক্রেটারি জসিম উদ্দিন সরকার, শিবিরের রাজশাহী জেলা পূর্ব সভপতি মো. রুবেল আলী, রাজশাহী জেলা পশ্চিমের সভাপতি মো. ইলিয়াস হোসেন, রাজশাহী বিভাগের উলামা সেক্রেটারি মাওলানা মো. রুহুল আমিন, রাজশাহী জেলা মাদরাসা শিক্ষক পরিষদের সভাপতি মাওলানা এফ.এম ইসমাইল আলম, জামায়াতের রাজশাহী মহানগর যুব বিভাগীয় সেক্রেটারি সালাহ উদ্দিন আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রাজশাহী জেলা আমীর অধ্যাপক আব্দুল খালেক। উদ্বোধন করেন জুলাই বিপ্লবের রাজশাহীর শহীদ সাকিব আনজুমের গর্বিত পিতা মাইনুল হক। এর আগে মাওলানা আরিফুল ইসলামের অর্থসহ কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, রাজশাহীতে এসে জানতে পারলাম কোল্ডস্টোরেজ মালিকরা আলু সংরক্ষণের খরচ দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, দেশের মানুষ আর কোনো জুলুমকারীকে সহ্য করবে না। এক জুলুমবাজ পালিয়েছে। নতুন কোনো জালেম সামনে এলে তাদেরও তাড়িয়ে দেবো। তিনি আরও বলেন দেশ থেকে জালেম পালিয়েছে, জুলুম পালায়নি। জুলুম থেকে বাঁচতে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।

মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান বলেন, ফ্যাসিবাদীরা কাউকে কথা বলতে দেয়নি। তাদের বিরুদ্ধে কেউ বললেই খুন গুম করেছে, আস্তে করে জেলে পাঠিয়ে দিয়েছে। তারা বিচার ব্যবস্থা ও শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সবকিছু ধ্বংস করেছে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। প্রতিশোধ নিয়ে পালিয়েছে। এখন আমরা জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে বৈষম্যমুক্ত দেশ গড়তে চাই। এজন্য ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে।

নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, আমরা বাতিলের কাছে কখনো মাথা নত করবো না।

এরপর আমীরে জামায়াত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডা. কায়সার আহমেদ অডিটরিয়ামে পেশাজীবী সমাবেশ এবং মহিলা রুকন সম্মেলন ও ব্যবসায়ীদের সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।

19/01/2025

দাঁড়িপাল্লা শুধু জামায়াতে ইসলামীর প্রতীক নয়, এটা ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’ এরও প্রতীক

তারিখঃ ১৯ জানুয়ারি ২০২৫*বি বৃ তি*বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্জ হাফিজ ইব্রাহিম ‘জ...
19/01/2025

তারিখঃ ১৯ জানুয়ারি ২০২৫
*বি বৃ তি*

বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্জ হাফিজ ইব্রাহিম ‘জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে এ দেশে মা বোনদের খুন ও সম্ভ্রমহানির সাথে জড়িত ছিল’ মর্মে গত ১৮ জানুয়ারি যে বক্তব্য দিয়েছেন তার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ১৯ জানুয়ারি নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।

“বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও ভোলা-২ আসনের সাবেক এমপি আলহাজ্জ হাফিজ ইব্রাহিম ‘জামায়াতে ইসলামী স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল, তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে এ দেশে মা বোনদের খুন ও সম্ভ্রমহানির সাথে জড়িত ছিল’ মর্মে যে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করেছেন আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তার এ বক্তব্যের মধ্যে সত্যের লেশমাত্রও নেই। তার বক্তব্যের জবাবে আমি স্পষ্ট ভাষায় জানাতে চাই যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে বিএনপি নেতা আলহাজ্জ হাফিজ ইব্রাহিম যে বক্তব্য দিয়েছেন তা তার নিজস্ব মনগড়া। তিনি জামায়াতে ইসলামী ও এই দলের নেতাদের বিরুদ্ধে যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা এ দেশের কোনো আদালতে আজ পর্যন্ত প্রমাণিত হয়নি।

তিনি আরও বলেন, ১৯৭৯ সালের পর থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ১৯৮৮ সালের মার্চের, ১৯৯৬ সালের ফেব্রুয়ারির একতরফা পাতানো নির্বাচন ছাড়া বাকী সকল জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত অংশগ্রহণ করেছিল এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আসনে জয় লাভ করেছিল। জামায়াতের নির্বাচিত জাতীয় সংসদ সদস্যগণ জাতীয় সংসদে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী ১৮টি আসনে জয় লাভ করে বিএনপিকে সরকার গঠনে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছিল। তার পরে বিএনপির সাথে জোটবদ্ধভাবে ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াত অংশগ্রহণ করে ১৭টি আসনে জয় লাভ করে বিএনপির সাথে সরকার গঠন করে। সেই সরকারে জামায়াতে ইসলামীর ২ জন মন্ত্রী ছিলেন। জামায়াতে ইসলামী দেশ, দেশের জনগণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বিএনপি নেতা আলহাজ্জ হাফিজ ইব্রাহিম জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে মিথ্যা বক্তব্য দিয়ে তিনি নিজের এবং নিজ দলের ভাবমর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছেন।

নিজের মর্যাদার কথা চিন্তা করেই জামায়াতের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন ও মিথ্যা বক্তব্য প্রদান করা থেকে বিরত থাকার জন্য আমি বিএনপি নেতা আলহাজ্জ হাফিজ ইব্রাহিমের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।”

ডুমুরিয়ার চুকনগরে জামায়াতে ইসলামীর পুরুষ ও মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত*আমাদের সন্তানেরা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে তাদের সে মর...
19/01/2025

ডুমুরিয়ার চুকনগরে জামায়াতে ইসলামীর পুরুষ ও মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত

*আমাদের সন্তানেরা ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে তাদের সে মর্যাদা রক্ষা করতে হবে*
-অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, ২০১৪ সালের নির্বাচন ছিল ভোটারবিহীন, ১৮ সালে হয় নিশি রাতের নির্বাচন আর ২৪ সালে হয় ডামি নির্বাচন। সুতরাং এমন নির্বাচন আর দেশবাসী দেখতে চায় না। ডামি নির্বাচন করে আওয়ামী লীগ ২০৪১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থাকার স্বপ্ন দেখেছিল। কিন্তু এদেশের ছাত্র-জনতার মাধ্যমে আল্লাহ তাদের সে অপশাসন থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করেছেন। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের বিচার বিভাগ, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, এমনকি শিক্ষাব্যবস্থা সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছে। মেয়েদের ইজ্জতের কোনো গ্যারান্টি ছিল না। এসব বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজ ফুঁসে উঠেছিল। রংপুরের আবু সাঈদের মতো অসংখ্য ছাত্র-জনতার বুকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ এ দেশের মালিক ছিল না। তারা দেশের মালিক থাকলে দেশ ছেড়ে পালাত না। বাড়িওয়ালা বাড়ি ছেড়ে পালায় না। বরং ভাড়াটিয়া খেলাপি হলে পালিয়ে যায়। আওয়ামী লীগের বেলায়ও তাই হয়েছে। শেখ হাসিনা দেশ থেকে চলে গেলেও দেশকে শান্তিতে থাকতে দিচ্ছে না। চারদিকে ষড়যন্ত্রের আগুন জ্বলছে।

তিনি বলেন, আমাদের ওপর অবিচার করা হয়েছে। কিন্তু আমরা বলি আওয়ামী লীগের ওপর সুবিচার করা হোক। কেননা সুবিচার করা হলেও তাদের শাস্তি হবে। তাদের বিচার হতে হবে এ জন্য যে, আর কেউ যেন এমন দুর্বৃত্ত না হতে পারে। আমাদের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছে আমাদের সন্তানরা। তাদের সে মর্যাদা আমাদের রক্ষা করতে হবে বলেও উল্লেখ করেন জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেল।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) বিকেলে খুলনা জেলার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগর ডিগ্রি কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ভোট কেন্দ্র সভাপতি, সেক্রেটারি পুরুষ ও মহিলা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ সব কথা বলেন।

ডুমুরিয়া উপজেলা আমীর মাওলানা মুখতার হুসাইন এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা সহকারী সেক্রেটারি মুন্সি মঈনুল ইসলাম ও অধ্যাপক মিয়া গোলাম কুদ্দুস, জেলা কর্মপরিষদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম। বক্তৃতা করেন উপজেলা সেক্রেটারি সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, সহকারী সেক্রেটারি আব্দুর রশিদ ও মাওলানা ফরহাদ আল মাহমুদ, কর্মপরিষদ সদস্য আলমগীর হোসেন, শেখ মোসলেম উদ্দিন, আবুল হোসেন, মাওলানা আব্দুল হালিম, মাওলানা মতিউর রহমান, হাফেজ মঈন উদ্দীন, মাওলানা মোতালেব হুসাইন, মাওলানা মজিবুর রহমান, আবুল বাসার, মাওলানা রুহুল আমীন।

এর আগে সকালে তিনি শহীদ আব্দুল মোতালেব একাডেমি মিলনায়তনে অনুরূপ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। দুপুরে কাঞ্চনপুরে মরহুম আইয়ুব আলীর কবর জিয়ারত করেন। এ ছাড়া তিনি সামাজিক কাজে অংশ গ্রহণ করেন।

সেক্রেটারি জেনারেল আরও বলেন, ২৪ এর জনস্রোত এমনি এমনি আসেনি। এজন্য আমাদের রাহবারগণ জীবন দিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আমরা একটি ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ গড়তে চাই। দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে চাই। এজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। তিনি জামায়াতের দেওয়া ৪১-দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়ে বলেন, দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা দেশবাসী শুধু জামায়াতে ইসলামী নয়; দেশের আপামর জনগণ জাতি ধর্ম দলমত নির্বিশেষে এদেশে যাদের জন্ম হয়েছে; দেশটাকে যারা ভালবাসে, আমরা সবাই মিলে দেশটাকে গড়তে চাই। আমরা ইনসাফভিত্তিক উন্নয়ন উপহার দিতে চাই।

19/01/2025

Welcome

Address

৫০৫, এলিফ্যান্ট রোড, বড় মগবাজার, ঢাকা-১২১৭, বাংলাদেশ
Dhaka
1217

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ABBL posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category