শত বছরে আগে পূর্ববঙ্গে নির্মিত এসব হিন্দু বাড়ির কর্তারা আজ হয়তো বেঁচে নেই। হতে পারে ভারতে উদ্বাস্তু জীবন কাটিয়ে দুই কামড়ার ছোট্ট ফ্লাটে জীবন কাটিয়েছে তাদের পরবর্তী প্রজন্ম।
দেশভাগের পূর্বে নির্মিত এসব হিন্দু জমিদার বাড়ির দেয়াল এর ইটগুলো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিলাম।এতবছর পরেও টিকে আছে চুন সুরকীর শত বছরের স্থাপত্য। দেশভাগের সময় নারায়ণগঞ্জ থেকে এসব পরিবারের ভারতে চলে যায়।
পশ্চিম বঙ্গের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও সাবেক সাংসদ রূপা গাঙ্গুলী,প্রয়াত অভিনেতা পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায় সহ পশ্চিমবঙ্গের বহু বিখ্যাত মানুষের জন্ম হয়েছিল বাংলাদেশের এই নারায়ণগঞ্জে।আপনি নারায়ণগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় যদি বেড়াতে যান তাহলে দেখতে পারবেন এরকম বহু গুণী মানুষের জন্মভিটা।
পুরনো পুকুর,দেশী জবা, আকন্দ ফুল কিংবা শাপলা অথবা পদ্ম ফুলের দীঘি বাংলার পল্লী গ্রামে পুরনো জমিদার বাড়ি অথবা ঐতিহাসিক স্থাপনার আশপাশ দেখলে মনে হবে এখানে ই আছে বাঙালির অফুরন্ত ইতিহাস।
লোকেশন বিন্নাবতীর দিঘী বা বিন্নাদিঘী
নীলফামারী,বৃহত্তর রংপুর।
বাংলাদেশ।
দেশভাগের আগে ভারতে চলে যাওয়া ডা. নিশিকান্ত বসু ও হেমলতা বসুর বাড়ি খোঁজে নারায়ণগঞ্জে....
বৃহত্তর ঢাকার মানিকগঞ্জের প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকায় এরকম শীতের সময় হিন্দুরা এসব ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে।দেশভাগের সময় মানিকগঞ্জে প্রচুর হিন্দু পরিবার ছিল এখনো আছে তবে বেশিরভাগ হিন্দু পরিবার দেশভাগের সময় রিফিউজি হিসেবে ভারতে চলে যায়।
বৃহত্তর ঢাকার ধামরাইতে হিন্দুদের এরকম বহু মন্দির দেখতে পারবেন যেগুলো বাংলাদেশের অন্যত্র নেই।
বৃহত্তর ঢাকার ধামরাইতে এমন কিছু মন্দির আপনার দেখা মিলবে যেসব মন্দির বাংলাদেশের অন্য শহরে দেখা মিলবে না।এরকম একটি মন্দির।
একই ভূখন্ড অথচ কাঁটাতার বিচ্ছিন্ন করেছে আলাদা দুটো দেশ হিসেবে।
অবাক লাগে শতবছর আগে নির্মিত হিন্দুদের এসব বাড়িঘরের সিঁড়ির নির্মাণ শৈলী দেখে।দেশভাগের সময় ভারতে যাওয়ার পর এসব হিন্দু পরিবার আর ফেরেনি।
সাম্যের কবি দ্রোহের কবি বিপ্লবের কবি কাজী নজরুল এর সমাধিতে আসলে আপনার মন ভরে যাবে।