13/12/2024
।।কিং ফাহাদ সেতু (King Fahd Causeway)।।
২০২৪ সালে কেএফসিএ-এর তথ্য অনুযায়ী, কিং ফাহাদ সেতু দিয়ে ৩০ মিলিয়নেরও বেশি ভ্রমণকারী এবং ১৩ মিলিয়ন যানবাহন পার হয়েছে। সেতুটি সৌদি আরব এবং বাহরাইনের মধ্যে সংযোগকারী একটি গুরুত্বপূর্ণ সেতু, যা দুই দেশের মধ্যে ভ্রমণ ও বাণিজ্য সহজ করেছে। এটি বিশ্বের অন্যতম দীর্ঘ সেতুগুলোর একটি এবং মধ্যপ্রাচ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা।
২৬ নভেম্বর ১৯৮৬ সালে সেতুটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫ কিলোমিটার। তন্মধ্যে সৌদি আরবের অংশে ১৪ কি মি এবং বাহরাইনে অংশে ১১ কি মি। সেতুটি সৌদি আরবের খোবর শহরকে বাহরাইনের আল-জাসরা শহরের সাথে সংযুক্ত করে।
এটি নির্মাণে প্রায় ১.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ হয়েছিল। যার পুরোটা খরচ করেছে সৌদি আরবের তৎকালীন বাদশা ফাহাদ বিন আব্দুল আজিজ আ-লে সৌদ। সেতুটির নির্মাণ কাজ ১৯৮১ সালে শুরু হয় এবং ১৯৮৬ সালে শেষ হয়।
সেতুটি দুই দেশের মধ্যে সহজে যাতায়াতের সুযোগ তৈরি করেছে। এটি পর্যটন এবং বাণিজ্যের প্রসার ঘটিয়েছে। প্রতিদিন হাজার হাজার গাড়ি এবং ভ্রমণকারী সেতুটি ব্যবহার করে। সেতুর মাঝামাঝি একটি চেকপয়েন্ট রয়েছে, যা দুই দেশের ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস কার্যক্রম পরিচালনা করে।
আরব উপসাগরের মধ্যে দিয়ে চলে যাওয়া ২৫ কিমি সেতুর মধ্যখানে রয়েছে আধুনিক রেস্তোরাঁ এবং পর্যবেক্ষণ ডেক, যেখানে ভ্রমণকারীরা থেমে সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারে। কিং ফাহাদ সেতু দুই দেশের মধ্যে শুধু ভৌগোলিক সংযোগ নয়, বরং ঐতিহাসিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের প্রতীক।
#নাসিহাহ্