Color Life

Color Life It's a online news portal & a online TV.

আমন ধানের জমিতে আলু চাষ, লাভবান কৃষকরাবর্তমান বাজারে আলু ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। অতিরিক্ত আয় করতে আমন...
11/01/2023

আমন ধানের জমিতে আলু চাষ, লাভবান কৃষকরা

বর্তমান বাজারে আলু ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। অতিরিক্ত আয় করতে আমন ধান কাটার পর একই জমিতে আলু চাষ করে বাম্পার ফলন পেয়েছেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবির কৃষকরা। এতে চাষের খরচ পুষিয়ে নেয়ার পাশাপাশি একই জমিতে তিন ফসল উৎপাদন করছেন কৃষকরা।

পাঁচবিবির প্রধান অর্থকরি ফসল হলো ধান। এখন চাষিরা ধান চাষের পাশাপাশি সবজির আবাদও করছেন। চলতি মৌসুমে কৃষকরা আমন ধান কাটার পর অতিরিক্ত লাভের আশায় আলু চাষ করেছেন। এলাকার বিভিন্ন পাইকাররা জমি থেকে আলু কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে কৃষকরা জমি থেকে আলু উত্তোলন করছেন।

কৃষকরা আমন ধান ঘরে তোলার পর সেই জমিতে পাকরি, রোমানা, কার্ডিনাল (লাল), গ্রানোলা, বিনেলা, ক্যারেজ এবং ডায়ামন্ড জাতের আলুর চাষ করেছেন। কয়েক দফা বৃষ্টিতেও আলুর ক্ষতি হয়নি। কৃষকরা জমি থেকে পরিপক্ক আলু উঠিয়ে বিক্রি শুরু করেছেন। ফলে এ বছর পাঁচবিবিতে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে।

খোর্দ্দা গ্রামের কৃষক হাজেরা বিবি ও প্রদীপ চন্দ্র বলেন, আমরা ধান কাটার পর জমি খালি ফেলে না রেখে আলু চাষ করেছি। আলুর বীজ রোপনের ৬৫ দিনের মধ্যে পরিপক্ক হয়েছে। আলু চাষে আমার খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। এই অল্প সময়েই আমার ৪৫ হাজার টাকা আয় হয়েছে। এখন পাইকাররা আমরা ১ একর জমি ৭৫ হাজার টাকা কিনে নিয়েছে।

কৃষক হবিবর বলেন, আমি ১৫ কাঠা জমিতে আলুর চাষ করেছি। বিঘাপ্রতি ৪৫-৫০ মণ আলুর ফলন পাওয়া যায়। এতে বিঘাপ্রতি আলু চাষে ১০-১২ হাজার টাকা খরচ হয়। আলু চাষ করে লাভবান হয়েছি। প্রতিমণ আলু ৭০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফর রহমান বলেন, চলতি বছর উপজেলায় ৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে। লাভের আশায় কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষে নেমে পড়েছেন। আশা করছি কৃষকরা লাভবান হবেন। আলুর ভালো ফলন হয়েছে।

বিভিন্ন জেলায় অব্যাহত থাকবে শৈত্যপ্রবাহদেশের ১৮ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যশোর, চুয়াডাঙ্গাসহ রাজশাহী ও...
11/01/2023

বিভিন্ন জেলায় অব্যাহত থাকবে শৈত্যপ্রবাহ

দেশের ১৮ জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। যশোর, চুয়াডাঙ্গাসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। বুধবার (১১ জানুয়ারি) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সাথে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের নদী অববাহিকায় মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা ও দেশের অন্যত্র হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা থাকতে পারে। দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

মনোয়ার হোসেন বলেন, আজ সকালে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী ও ঈশ্বরদীতে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হচ্ছে ফেনীতে ৩০ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের কোথাও কোনো বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়নি। এছাড়া, আগামী দুইদিনে দেশের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

অবশেষে সবকিছু ভুলে বিশেষ দিনে একসঙ্গে পরীমণি-রাজঅবশেষে সবকিছু ভুলে বিশেষ দিনে একসঙ্গে পরীমণি-রাজ। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে চ...
11/01/2023

অবশেষে সবকিছু ভুলে বিশেষ দিনে একসঙ্গে পরীমণি-রাজ

অবশেষে সবকিছু ভুলে বিশেষ দিনে একসঙ্গে পরীমণি-রাজ। প্রায় দুই সপ্তাহ আগে চিত্রনায়িকা পরীমণি ও শরিফুল রাজের ‘বিচ্ছেদ’ এর খবরটি ছিলো বহুল চর্চিত! পাল্টাপাল্টি অভিযোগও তুলেছিলেন এই তারকা দম্পতি। বিশেষ করে পরীমণি জোর দিয়ে ঘোষণা দিয়েছিলেন, টিকছে না তাদের সংসার!

এখন তাদের মধ্যে গলছে সেই অভিমানের পারদ! অন্তত এমনটাই দেখা গেলো তাদের ফেসবুক ঘেঁটে। ধারণা করা হচ্ছে, নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে মান-অভিমান থাকলেও একমাত্র সন্তান রাজ্যের টানে একসঙ্গে এক হয়েছেন তারা!

দিনকে দিন বড় হচ্ছে রাজ্য। তার পাঁচ মাস পূর্ণ হওয়ার দিনেই মূলত রাজ-পরীকে দেখা গেলো চেনা ভঙ্গিতে! পরীমণি ও রাজ দুজনই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেলের সঙ্গে কাটানো মুহূর্ত শেয়ার করেছেন! রাজ্যের পাঁচ মাস পূর্ণ হওয়ার দিনে ছেলের সঙ্গে ছবি দিয়ে পরী লিখেছেন, ‘বাজানের হাসি! আমাদের ছেলের পাঁচ মাস পূর্ণ হলো। আলহামদুলিল্লাহ।’

রাজ্যের সাথে পরীর ছবিটি ক্লিক করেছেন রাজ। তাকে ক্রেডিটও দিতে দেখা গেছে পরীকে। অন্যদিকে পরী ও রাজ্যের সাথে দুটি ছবি দিয়ে রাজ লিখেছেন, ‘হ্যাপি ফাইভ মান্থ অব মাই ডিয়ার রাজ্য।’ লাভ ইমোজি সহ রাজ লিখেছেন ‘ফ্যামিলি’! রাজের দুটি ছবির একটিতে দেখা গেছে, ছেলের পাঁচ মাস পূর্ণ হওয়া উপলক্ষ্যে টেবিলে রাখা পাঁচটি কেক!

খেজুরের রস বিক্রি করে লাখপতি জসিম উদ্দিনশীত মানেই খেজুর রস আর পিঠাপুলির আয়োজন। খেজুরের রস ও রস থেকে তৈরি গুড় বাংলাদেশের ...
11/01/2023

খেজুরের রস বিক্রি করে লাখপতি জসিম উদ্দিন

শীত মানেই খেজুর রস আর পিঠাপুলির আয়োজন। খেজুরের রস ও রস থেকে তৈরি গুড় বাংলাদেশের গ্রামাঞ্চলের চিরায়িত একটি ঐতিহ্য। যুগ যুগ ধরে দেশের এই ঐতিহ্য বহন করে আসছে খেজুরের রস ও গুড়। গরম রস খেতে সবাই যেমন পছন্দ করেন, তেমন অনেকে কাঁচা রস খেতেও পছন্দ করেন। এই রস বিক্রি করে আবার অনেকে অন্য পেশার পাশাপাশি বাড়তি অর্থ উপার্জন করছেন। তেমনই একজন নোয়াখালীর জসিম উদ্দিন (৫০)।

জসিম উদ্দিন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের মোল্লাগ্রামের মৃত খুরশিদ আলমের ছেলে। পেশায় তিনি কৃষক। প্রতি বছর পৌষ মাসে তিনি খেজুর রস বিক্রি করেন। এ বছর ৮৫টি গাছ থেকে নিয়মিত রস আহরণ করেছেন জসিম উদ্দিন। এর মধ্যে প্রতিদিন ৭০-৮০ টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করেন তিনি। প্রতিদিন ১০০ লিটারের মতো রস পান তিনি। শুধু পৌষ মাসেই তিনি ২ লাখ টাকার রস বিক্রি করেন।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, চলতি মৌসুমে জেলায় ৬৭ হেক্টর জমিতে ৭৩ হাজার ৪৩৩টি গাছ থেকে খেজুরের রস সংগ্রহ করছে গাছিরা। যার মধ্যে সদরের ১০ হেক্টর, বেগমগঞ্জে তিন, সেনবাগে দুই, চাটখিলে এক, কোম্পানীগঞ্জে পাঁচ, হাতিয়ায় ৩০, সোনাইমুড়ীতে দুই, সুবর্ণচরে ১০ ও কবিরহাট উপজেলা চার হেক্টর জমির ৭৩ হাজার ৪৩৩টি গাছ থেকে খেজুর রস সংগ্রহ করা হচ্ছে। প্রতি হেক্টর রস থেকে গুড়ের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৭ টন করে।

কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, শীতে অন্যান্য কৃষি কাজ কম থাকে। নিঝুম দ্বীপে জেলার সব থেকে বেশি খেজুর গাছ রয়েছে। এসময় খেজুর গাছ থেকে ভালো আয় করা যায়। আমি ৮৫টি গাছ থেকে রস সংগ্রহ করি। তারপর তাওয়ায় দিয়ে গরম করে গুড় বানাই। সেই গুড় আমরা বিক্রি করি। গুড় পুরো নোয়াখালী-ঢাকাসহ দেশের বাহিরেও পাঠাই। আমার এবারের পৌষে প্রায় দুই লাখ টাকা আয় হবে। ভোরবেলা থেকে গাছ থেকে রস সংগ্রহ করি। হাড়ি পরিষ্কার করতে করতে রাত ৯টা বেজে যায়। আবার সকাল ৯টা থেকে গাছে উঠে যাই। গাছ কাটতে কাটতে বিকেল ৫টা বাজে। যাতায়াত ব্যবস্থা ভাল না থাকায় কাচা রস বিক্রি করা যায় না। জাল দিয়ে গরম করে বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যায়। রসের থেকে গুড়ের দাম বেশি পাওয়া যায়। গুড়ের কেজি ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা হয়। পর্যটকরা রস খায় এবং গুড় নিয়ে যায়।

কৃষক জসিম উদ্দিনের ছেলে বেলাল উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমাদের প্রায় ৮৫টি গাছ আছে। আমরা রস সরবরাহ করি। গতকালও পর্যটকদের কাছে রস পৌঁছে দিয়েছে তারা রস খেয়ে খুব খুশী। পাশাপাশি ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে অনলাইনেও বিক্রি করি। এই পৌষে খেজুরের গাছ থেকে আমাদের দুই লাখ টাকা থাকবে।

নামার বাজারের গাছি আবুল কাশেম বলেন, আমি প্রায় ৪০ বছর ধরে গাছ কাটি। আমার নিজের গাছ কম আছে। বেশিরভাগ গাছ অন্যের। গাছি হিসেবে আমি অর্ধেক পাই আর গাছের মালিক অর্ধেক পায়। ৮০-৮৫টি গাছ থেকে দুই লাখ টাকার রস বিক্রি করা যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন খান বলেন, নিঝুমদ্বীপ হলো দ্বিতীয় কক্সবাজার। এখানে নোনাপানিতে অনেক গাছ মরে গেলেও খেজুর গাছ বেঁচে থাকে। সেই খেজুর গাছ থেকে প্রতিটি গাছি লাখ লাখ টাকা রোজগার করে। পর্যটকরা তাজা রস খেয়ে খুশী হয় এবং ফিরে যাওয়ার সময় তারা গুড় নিয়ে যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। কৃষকদের জন্য যা যা প্রয়োজন সরকার তা তা করছে। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে নিঝুমদ্বীপে নোনা পানি প্রবেশ করে। খেজুর গাছের জন্য নোনা পানি আশির্বাদ হিসেবে কাজ করে। এখানে খেজুর গাছের সংখ্যা সব থেকে বেশি। খেজুর গাছ কে কেন্দ্র করে এখানে শীত কালে উৎসব মুখর পরিবেশ তৈরি হয়। কোনো কোনো গাছি দুই-চার লাখ টাকা রোজগার করছেন এক শীতে। খেজুর গাছের পরিমাণ বৃদ্ধির জন্য আমরা কৃষি বিভাগ ও বনবিভাগের সাথে সমন্বয় করছি। কৃষকরা যেনো লাভবান হয় সেই জন্য উপজেলা প্রশাসন সর্বদা পাশে আছে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নোয়াখালীর উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. শহীদুল হক বলেন, নোয়াখালী জেলায় খেজুরের চাষ হচ্ছে অনেক আগ থেকে। আমাদের হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৬৭ হেক্টর জমিতে খেজুরের চাষ হচ্ছে। এখানে প্রায় ৭৪ হাজার খেজুর গাছ রয়েছে এবং এই সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এসব গাছ থেকে ১১৩৯ মেট্রিক টন গুড় হচ্ছে। এর মধ্যে সব থেকে বেশি গাছ হাতিয়ায়। বিশেষ করে নিঝুমদ্বীপ ইউনিয়ন। শীতের মধ্যে পর্যটকরা খেজুর রসকে খুব পছন্দ করে এবং পিঠা পায়েসের জন্য এই রসের গুড় তারা বাড়িতে নিয়ে যায়। কৃষকরাও ভালো দাম পাচ্ছে।

চাহিদার তুঙ্গে বেগুনি ফুলকপি, চাষে লাভবান কৃষকনতুন জাতের এই ফুলকপি চাষে তিনি সফল হওয়ার পর এখন অনেকেই এই ফুলকপি চাষে আগ্র...
11/01/2023

চাহিদার তুঙ্গে বেগুনি ফুলকপি, চাষে লাভবান কৃষক

নতুন জাতের এই ফুলকপি চাষে তিনি সফল হওয়ার পর এখন অনেকেই এই ফুলকপি চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।জয়পুরহাটে বাণিজ্যিকভাবে বেগুনি ফুলকপির চাষ হচ্ছে। সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের কৃষক আমেদ আলী বেগুনী ফুলকপির চাষ করেছেন।

কৃষক আমেদ আলী জয়পুরহাট সদর উপজেলার ভাদসা ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের বাসিন্দা। একটি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় তিনি তার ১৫ শতাংশ জমিতে বেগুনি ফুলকপির চাষ করছেন। বেগুনি ফুলকপি চাষে তিনি সফল হয়েছেন। আশা করছেন আরো ৪০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করতে পারবেন। ইতোমধ্যে ১৫ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রিও করেছেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. কায়সার ইকবাল বলেন, সাধারনত এই ফুলকপি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে এর প্রচলন ও চাহিদা বেশি। এর চাষ পদ্ধতি সাধারন ফুলকপির মতোই। সাধারন ফুলকপির থেকে বেগুনি ফুলকপির চাহিদা অনেক বেশি। ফলে বেগুনি ফুলকপি চাষ লাভজনক হওয়ায় কৃষকদের মধ্যে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

বেগুনি ফুলকপি চাষি আমেদ আলী বলেন, আমি একটি বে-সরকারি সংস্থার সহযোগিতায় আমার ১৫ শতাংশ জমিতে ৩ হাজার বেগুনি ফুলকপির চারা রোপন করেছি। চারা রোপনের ৬৫ দিনের মধ্যেই পরিপক্ক হয়। ফুলকপি চাষে আমার ৮ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। প্রথমদিকে ৫০ টাকা পিস বিক্রি করতে পারলেও এখন ৩০ টাকা পিস বিক্রি করছি। আশা করছি আরো ৪০ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রি করতে পারবো। ইতোমধ্যে ১৫ হাজার টাকার ফুলকপি বিক্রিও করেছেন।

কৃষি কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন শাহিন বলেন, বেগুনি ফুলকপি অধিক খাদ্য গুণাগুণ সমৃদ্ধ ও এর চাষ লাভজনক হওয়ায় এলাকার অনেক কৃষক আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। আমরা কৃষকদের বেগুনি ফুলকপি চাষে সহযোগিতা করছি।

নাড়ির টানে বাবার ভিটায় সুপারস্টার ওমর সানী১৯৬৯ সালের ৬ মে জন্মগ্রহণ করেন ওমর সানী। তার জন্ম, শৈশব, কৈশোর কেটেছে পুরাণ ঢা...
09/01/2023

নাড়ির টানে বাবার ভিটায় সুপারস্টার ওমর সানী

১৯৬৯ সালের ৬ মে জন্মগ্রহণ করেন ওমর সানী। তার জন্ম, শৈশব, কৈশোর কেটেছে পুরাণ ঢাকার জিঞ্জিরা এবং কালীগঞ্জে।

কিন্তু তার বাবার পৈতৃক নিবাস বরিশালের গৌরনদী উপজেলার মহিশা শরিকল গ্রামে। গত ১৩ আগস্ট বাবার বংশের আত্মীয়-স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে মহিশা শরিকল গ্রামে ছুটে গিয়েছিলেন ওমর সানী।

সেখানে বসবাসরত আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সময় কাটান ওমর সানী। আর এ মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করতেও ভুল করেননি। তারই কিছু ছবি নিজের ফেসবুকে শেয়ার করেছেন এই অভিনেতা।

এ বিষয়ে ওমর সানী বলেন, ‘বাবার দেশ, বংশ, আত্মীয় বলে কথা। সবকিছু মিলিয়ে আমার সফর সঙ্গী হয়েছিলেন ‘ওমর সানী ফ্যান ক্লাব’-এর প্রেসিডেন্ট কিরন খান, সেক্রেটারি এস কে সুমন সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদী, আর হীরা।’

আত্মীয়-স্বজনদের কাছ থেকে বিদায় নেওয়া কষ্টের। তা উল্লেখ করে ওমর সানী বলেন, ‘বংশের মানুষের কাছ থেকে চলে আসাটা অনেক কষ্টের। বড় দাদা, চাচার কবর জিয়ারত করলাম।

অনেকেই আছেন অনেকেই নেই- এইভাবেই জীবন বয়ে যায়। একদিন আমিও থাকব না, আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন।’

নাড়ির টানে বাবার ভিটায় গিয়ে ভক্তদের প্রশংসা কুড়াচ্ছেন ওমর সানী। মাসুদ আহমেদ লিখেছেন, ‘শেকড় বড়ই কঠিন অনুভব, অনুভূতির জায়গা।’ মোজোম্মেল হোসেন লিখেছেন, ‘রক্তের টান একটা বিশাল ব্যপার! এটাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। খুব ভালো লাগলো।’

হাফিজ নামে একজন লিখেছেন, ‘আপনি আপনার গ্রামের বাড়ি ঘুরে বেড়াচ্ছেন তা দেখে ভালো লাগছে।

আপনার প্রতি শ্রদ্ধা, সালাম রইলো।’ এমন অনেক মন্তব্য শোভা পাচ্ছে ওমর সানীর কমেন্ট বক্সে।

ব্ল্যাক ওয়ার: জমজমাট ট্রেলারে বছর শুরুগেল কয়েক বছরে ঢালিউডে খ্রিষ্টিয় নববর্ষে বড় কোনো সিনেমার দেখা পায়নি দর্শক। এবা...
09/01/2023

ব্ল্যাক ওয়ার: জমজমাট ট্রেলারে বছর শুরু

গেল কয়েক বছরে ঢালিউডে খ্রিষ্টিয় নববর্ষে বড় কোনো সিনেমার দেখা পায়নি দর্শক। এবার ব্যতিক্রম ঘটাচ্ছে বহুল প্রতিক্ষীত ‘ব্ল্যাক ওয়ার’। আলোচিত ‘মিশন এক্সট্রিম’-এর দ্বিতীয় কিস্তিটি এক সপ্তাহ পিছিয়ে মুক্তি পাচ্ছে ১৩ জানুয়ারি।

গতকাল ১ জানুয়ারি প্রকাশ হয়েছে ‘ব্ল্যাক ওয়ার’-এর ট্রেলার। সেখানে জমজমাট অ্যাকশনের আভাস দিলেন পরিচালক জুটি সানী সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদ।

২০২১ সালের ৩ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া ‘মিশন এক্সট্রিম’ প্রত্যাশিত সাফল্য পায়নি। দর্শকেরও ছিল মিশ্র প্রতিক্রিয়া। তবে শেষ কিস্তির ট্রেলার প্রকাশেই উল্লসিত তারা। কাহিনিতে নতুন বাঁক, নতুন মুখ ও লোকেশনে বৈচিত্র্য দেখা গেছে। আগে প্রকাশ হওয়া টিজারে শুভ অ্যাকশন অবতার পছন্দ করেছিল ভক্তরা। এবার আরেকটু ডিটেইলস রয়েছে। সব মিলিয়ে ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ দিয়ে শুভ সূচনা হতে পারে।

এদিকে মুক্তির তারিখ পেছানো প্রসঙ্গে নির্মাণের সঙ্গে জড়িতরা জানান, মুক্তির আগে প্রচারণায় কিছুটা ঘাটতি থাকায় ‘ব্ল্যাক ওয়ার’ নির্ধারিত তারিখে মুক্তি পাচ্ছে না। সেই সঙ্গে টেকনিক্যাল কিছু জটিলতাও আছে। আর এসব কারণে কোনো রিস্ক না নিয়ে ১৩ জানুয়ারি মুক্তি চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এ ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরিফিন শুভ, ঐশী, তাসকিন রহমান, সাদিয়া নাবিলা, সুমিত সেনগুপ্ত, মিশা সওদাগর, ফজলুর রহমান বাবু, মনোজ প্রামাণিক, শতাব্দী ওয়াদুদ, শহীদুজ্জামান সেলিম, ইরেশ যাকের, মাজনুন মিজান, সুদীপ বিশ্বাস, সৈয়দ আরেফ প্রমুখ।

একজন গায়ক-নায়ক, খামখেয়ালি বিরল প্রতিভা‘সুখে থেকো ও আমার নন্দিনী’ এই গানটির কথা মনে পড়লেই মনে পড়ে যায় সাদা প্যান্ট, সাদা ...
09/01/2023

একজন গায়ক-নায়ক, খামখেয়ালি বিরল প্রতিভা

‘সুখে থেকো ও আমার নন্দিনী’ এই গানটির কথা মনে পড়লেই মনে পড়ে যায় সাদা প্যান্ট, সাদা সু ও সাদা টি শার্ট পরা এক তরুণ কণ্ঠশিল্পীর কথা এবং তার চেয়েও বেশি মনে পড়ে যায় বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের একজন জনপ্রিয় নায়কের কথা।

যিনি ঐ গানটির গায়ক তিনি যতটা না গায়ক হিসেবে মানুষের কাছে জনপ্রিয় তার চেয়ে বেশি সিনেমার নায়ক/ অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয়। অর্থাৎ যিনি গায়ক তিনিই নায়ক। তিনি আমাদের বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের চিরসবুজ নায়ক জাফর ইকবাল। যিনি ছিলেন তাঁর সময়ের সবচেয়ে ফ্যাশন সচেতন ও স্টাইলিস্ট নায়ক।

বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সোনালী সময়ে যারা নিজেদের উজ্জ্বলতায় আমাদের চলচ্চিত্রকে উজ্জ্বল করেছেন তাদের অন্যতম একজন জাফর ইকবাল। যিনি বাংলাদেশের গানের কিংবদন্তী সুরকার আনোয়ার পারভেজের ছোট ভাই ও কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতউল্লাহ’র বড় ভাই।

১৯৫০ সালের ১৯ এপ্রিল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করা জাফর ইকবালের শুরুটা গান দিয়ে। ভাই-বোনের মতো নিজেও গান গাইতে ভালোবাসতেন। তিনি ভালো গীটার বাজাতেন। সেই সময়কার বিখ্যাত গায়ক এলভিস প্রিসলির দারুণ ভক্ত ছিলেন তাই তো চলনে-বলনে এলভিস প্রিসলিকে অনুকরণ করতেন। গানের প্রতি ভালোবাসা থেকেই ১৯৬৭ সালে বন্ধু তোতা, মাহমুদ ও ফারুক’কে নিয়ে গঠন করেছিলেন ব্যান্ড দল ‘র‌্যাম্বলিং স্টেনস’। সেই সময়ে ব্যান্ড নিয়ে দারুণ ব্যস্ত হয়ে পড়েন । ১৯৬৮ সালে হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে আইওলাইটস, উইন্ডিসাইট অব কেয়ার, লাইটনিংস এর সাথে জাফর ইকবালের ব্যান্ড র‌্যাম্বলিং স্টোনস একটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

১৯৬৯ সালে একটি গানের অনুষ্ঠানে মঞ্চে জাফর ইকবালকে দেখে বাংলা চলচ্চিত্রের প্রবাদ পুরুষ খান আতাউর রহমানের মনে ধরে যায় এবং তিনি অনুষ্ঠান শেষে জাফর ইকবালকে চলচ্চিত্রে অভিনয় করার প্রস্তাব দেন । সেই বছরেই ‘আপন পর’ ছবির মাধ্যমে কবরীর বিপরীতে নায়ক হিসেবে পর্দায় আগমন ঘটে চিত্রনায়ক জাফর ইকবালের।

এরপর দেশে যুদ্ধ শুরু হলে জাফর ইকবাল মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন । যুদ্ধ শেষে আবার চলচ্চিত্রে যোগ দেন । স্বাধীনতার পর জাফর ইকবাল সবার নজর কাড়েন ইবনে মিজান পরিচালিত ‘এক মুঠো ভাত’ ছবিতে । রাজেশ খান্না অভিনীত ‘রুটি’ নকল করে ‘এক মুঠো ভাত’ তৈরি করেন।

সেই ছবির ‘শোন ভাইরা তোমরা শোন/ এমন একজন মানুষ আনো’ গানটি খুব জনপ্রিয়তা পায় । প্রথম থেকেই জাফর ইকবাল চলচ্চিত্রে অভিনয়, ফ্যাশন সব দিক দিয়ে নিজেকে আলাদাভাবে তুলে ধরেন । জাফর ইকবাল ছিলেন তাঁর সময়কার নায়কদের মধ্যে সবচেয়ে আধুনিক ফ্যাশন সচেতন নায়ক ।তিনি ছিলেন সেই সময়ে তরুনদের ফ্যাশন আইকন ।

পরিবারের সাথে সিনেমাহলে ছবি দেখতে যাওয়ায় সেই শিশু বয়সেই অভিনেতা জাফর ইকবালের সাথে আমার পরিচয় হয় । যতদূর মনে পড়ে জাফর ইকবালকে আমি প্রথম দেখি প্রয়াত দারাশিকো পরিচালিত ‘ফকির মজনু শাহ’ ছবিতে। যে ছবির গানগুলো ছিল দারুণ। তখন এতো কিছু বুঝতাম না। ধীরে ধীরে জাফর ইকবালকে আরও দেখতে থাকি এবং মুগ্ধ হই। আমার কাছে জাফর ইকবাল মানে কালজয়ী অনেক গানে অভিনয় করা প্রিয় একটি মুখ। সেই আশির দশকেই দেখেছিলাম প্রয়াত বেলাল আহমেদ পরিচালিত ‘নয়নের আলো’ ছবিটি । সেই ছবিতে গ্রামের একজন বাউলের ছেলে বাউল শিল্পী হিসেবে অভিনয় করেন। একঘরে করে দেয়া অসুস্থ মায়ের পাশে বসে গেয়েছিলেন ‘আমার সারাদেহ খেয়ো গো মাটি / এই চোখ দুটো তুমি খেয়ো না ’ গানটি । যা আজো বাংলার গানপাগল মানুষের মুখে মুখে ।

এরপর জাফর ইকবাল কে দেখেছি আরও অনেক রুপে অনেক ছবিতে। কখনও প্রেমিক, কখনও পুলিশ অফিসার, কখনও মাস্তান , কখনও পিতৃহত্যার প্রতিশোধ পরায়ণ এক সন্তান , কখনও ডাক্তার, কখনও ভিখারি, কখনও গায়ক রূপে। সব ছবিতেই জাফর ইকবাল নিজের মতো করে। জাফর ইকবালকে আমার ব্যক্তিগতভাবে যেসব ছবিতে বেশি ভালো লেগেছে সেগুলো হলো আশীর্বাদ, বেদ্বীন, মিসলংকা, আদেশ, ওগো বিদেশিনী, সিআইডি, অপেক্ষা ,উছিলা, অবদান,ভাইবন্ধু, প্রতিরোধ, যোগাযোগ, অবুঝ হৃদয়, গর্জন, চোরের বউ, গৃহলক্ষ্মী, লক্ষ্মীর সংসার ও সন্ত্রাস, বন্ধু আমার ছবিগুলো ।

আদেশ, ভাইবন্ধু ছবিতে কাঞ্চনের সাথে দুর্দান্ত অভিনয় করেন । বিশেষ করে ভাইবন্ধু ছবিতে অন্ধ ভিখারি থেকে পর্দার আড়ালে থাকা একগায়কের চরিত্রটা দারুণ অভিনয় করেন ।অপেক্ষা ছবিতে মায়ের আদর বঞ্চিত থাকা পিতার কাছে বড় হওয়া এক যুবক যাকে ছোট বেলায় তাঁর বাবা আলমগীর ধনাঢ্য পরিবারের কন্যা শাবানার কাছ থেকে রাতের আঁধারে চুরি করে নিজের কাছে নিয়ে আসেন ।

গর্জন ছবিতে প্রথমে শহরের নাম করা মাস্তান যুবক যে পরবর্তীতে একজন পুলিশ অফিসার হিসেবে জীবন শুরু করে । মাস্তান ও পুলিশ অফিসার দুটো চরিত্রেই জাফর ছিলেন সফল । গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ‘সন্ধি’ ছবিতে সুচরিতার সাথে ‘জয় আবাহনী , জয় মোহামেডান’ গানটির পর দর্শকরা মনে করেছিল জাফর ইকবাল বুঝি মোহামেডান এর সমর্থক।

ববিতার সাথে তাঁর জুটিটি সেই সময়ে বেশ জনপ্রিয় ও আলোচিত ছিল। এক সময় জাফর ইকবাল ও ববিতার সম্পর্ক নিয়ে দর্শক ও ভক্তদের মাঝে বেশ গুঞ্জন উঠে । আজহারুল ইসলাম খান পরিচালিত ‘অবুঝ হৃদয়’ ছবিতে জাফর ইকবাল ও ববিতার রোমান্টিক দৃশ্যগুলো সেই গুঞ্জনকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল । ‘অবুঝ হৃদয়’ ছবিতে ববিতা ও চম্পা দুই বোনের বিপরীতে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেছিলেন এবং দুজনের বিপরীতেই দারুন মানিয়ে গিয়েছিলেন। জুটি হিসেবে শুধু ববিতা নয় , চম্পা, সুচরিতা, রাণী, দিতি সবার সাথেই দর্শক তাঁকে পছন্দ করেছিল।

লিখার মাঝখানে বলছিলাম ছায়াছবির কিছু কালজয়ী গানের কথা। সেই গানের কথায় আবারো ফিরে আসি । প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী বশির আহমেদ এর বিখ্যাত ‘পিঞ্জর খুলে দিয়েছি / যা কিছু বলার ছিল বলে দিয়েছি’ গানটি আজো শ্রোতারা গায় । সেই গানটি ছিল জাফরের প্রথম ছবি ‘আপনপর’ ছবির গান যা লিখেছিলেন ও সুর করেছিলেন খান আতাউর রহমান । সেই গানটি যখন মনে হয় তখন মনে পড়ে যায় জাফর ইকবাল এর কথা। ঠিক তেমনি এন্দ্রু কিশোরের কণ্ঠের ‘আমার বুকের মধ্যখানে’ , ‘ আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’ , ‘এই আছি এই নাই’ গানগুলো মনে পড়লে মনে পড়ে যায় গানগুলোর দৃশ্য ছিলেন জাফর ইকবাল ।

একই ভাবে ‘আশীর্বাদ’ ছবির ‘চাঁদের সাথে আমি দিবো না তোমার তুলনা’, ‘ওগো বিদেশিনী’ ছবিতে ‘ওগো বিদেশিনী তোমার চেরি ফুল নাও’ , ‘প্রেমিক’ ছবিতে ‘ফুল ফোটা ফাগুনে, মন পোড়া আগুনে’’, ‘অবুঝ হৃদয়’ ছবিতে ‘ তুমি আমার জীবন আমি তোমার জীবন’ ‘ভাইবন্ধু’ ছবির ‘অন্ধ হয়ে থেকো না কেউ’ , ‘ভেঙ্গেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’ , ‘যোগাযোগ’ ছবির ‘সকালটা যে তোমার বিকেলটা যে আমার’, ‘প্রতিরোধ’ ছবির ‘শোন সোমা একটু দাঁড়াও, কথা শুনে যাও’ , ‘উছিলা’ ছবিতে ‘কত যে তোমাকে বেসেছি ভালো , সে কথা তুমি যদি জানতে’’ ,’বন্ধু আমার’ ছবিতে ‘একটাই কথা আছে বাংলাতে’ দারুণ সব গানগুলোর কথা মনে পড়লেই মনে পড়ে যায় জাফর ইকবালের কথা ।

লিখার শুরুতেই বলেছিলাম জাফর ইকবালের নিজের কণ্ঠের গানের কথা।মজার ব্যাপার হচ্ছে জাফর ইকবাল কোনদিন কারো কাছে গান শিখেননি। বড় ভাই আনোয়ার পারভেজ ও বোন শাহনাজ রহমতউল্লাহ’র দেখাদেখি নিজেও গান গাওয়ার চেষ্টা করতেন এবং কোথাও গান না শিখেও খুব ভালো গাইতে পারতেন। চলচ্চিত্রে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় সেই কণ্ঠশিল্পীর ক্যারিয়ার আর গড়া হয়নি তারপরেও তিনি মাঝে মাঝে গান গেয়ে শ্রোতাদের মন কেড়েছিলেন ।

‘ফকির মজনু শাহ’ ছবিতে রুনা লায়লার সাথে প্লেব্যাক করেছিলেন আলাউদ্দিন আলির সুর ও সঙ্গীত পরিচালনায় । ‘বদনাম’ ছবিতে বড় ভাই আনোয়ার পারভেজ এর সুরে ‘হয় যদি বদনাম হোক আরও’ গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছিলেন যা ছবিতে নায়করাজ রাজ্জাক ঠোঁট মেলান। নিজের কণ্ঠে ‘কেন তুমি কাঁদালে’ শিরোনামে একটি অডিও অ্যালবাম প্রকাশ করেন আশির দশকের মাঝামাঝি সময়ে ।

জাফর ইকবালের হারিয়ে যাওয়া সেই একমাত্র অ্যালবামটি প্রায় ৩ দশক পর অনলাইনে আমি প্রকাশ করে নতুন প্রজন্মের শ্রোতাদের শুনিয়েছিলাম যারা তখন প্রথম জেনেছিল নায়ক জাফর ইকবাল গানও করতেন । বাংলাদেশ টেলিভিশনের যুগে ‘সুখে থাকো নন্দিনী ‘ গানটি গেয়ে দারুন জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন । এরপর বাংলাদেশ টেলিভিশনের ২৫ বছর (রজত জয়ন্তী) উদযাপন বিশেষ অনুষ্ঠানে গেয়েছিলেন ‘এক হৃদয়হীনার কাছে হৃদয়ের দাম কি আছে’ গানটি যা পরবর্তীতে শিল্পী রফিকুল আলমও গেয়েছিলেন।

জাফর ইকবালের শেষ গানটি প্রচারের পর ভক্তরা মনে করেছিলেন ববিতার সাথে হয়তো সম্পর্ক বিচ্ছেদের কারণে তিনি ঐ গানটি গেয়েছিলেন । অর্থাৎ জাফর ইকবালকে নিয়ে ভক্ত দর্শকদের আলোচনা, সমালোচনা ও আগ্রহের কোন কমতি ছিল না।

অভিনয় জীবনে কাজ করেছেন খান আতাউর রহমান, দারাশিকো, ইবনে মিজান, ফখরুল হাসান বৈরাগী, শিবলি সাদিক, আজহারুল ইসলাম খান, মোতালেব হোসেন, আওকাত হোসেন, মমতাজ আলী, শহিদুল ইসলাম খোকন সহ সময়ের সব গুণী পরিচালকদের সাথে । জাফর ইকবাল ছিলেন প্রচণ্ড অভিমানী ও খামখেয়ালী একজন মানুষ । ১৯৯২ সালের ৮ জানুয়ারি এই চিরসবুজ নায়ক মৃত্যুবরণ করেন । মৃত্যুর আগে তাঁর জীবিতঅবস্থায় শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিল ‘লক্ষ্মীর সংসার’ যে ছবিতে একটি দৃশ্য ছিল জাফর ইকবাল গ্রাম থেকে ঢাকা শহরে নতুন এসেছেন এবং ঢাকার আজিমপুর যাওয়ার রাস্তা খুঁজছিলেন । ছবিটি মুক্তির এক সপ্তাহের মাথায় জাফর ইকবাল মৃত্যুবরণ করেন এবং আজিমপুরে গোরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হোন যা নিয়তির এক নির্মম পরিহাস ।

সেই সময় শেষ ছবিতে ‘ভাই আজিমপুর যাবো কিভাবে’ সংলাপটি ভক্তদের খুব কাঁদিয়েছিল। জাফর ইকবাল চলে গেছেন আজ প্রায় ২ যুগ কিন্তু নতুন আরেকজন জাফর ইকবাল আমাদের চলচ্চিত্রে আর আসেনি এবং হয়তো আসবেও না।একজন গায়ক, নায়ক জাফর ইকবালের জন্য আমাদের আর কতদিন অপেক্ষা করতে হবে জানিনা। জাফর ইকবাল বেঁচে থাকবেন তাঁর অভিনীত ছবিগুলোর মাধ্যমে চিরদিন ।

জাফর ইকবাল অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবিগুলো হলো – আপনপর, সাধারন মেয়ে, এক মুঠো ভাত, ফকির মজনু শাহ, সূর্য সংগ্রাম, রাতের পর দিন, এক মুঠো ভাত , বেদ্বীন, অংশীদার, আশির্বাদ, মেঘ বিজলি বাদল , নয়নের আলো, সিআইডি, আদেশ, গৃহলক্ষ্মী, অপমান, প্রেমিক, ফুলের মালা ,মিসলংকা, ভাইবন্ধু, অবদান, আবিস্কার, উসিলা, অবুঝ হৃদয়, গর্জন, সন্ত্রাস, চোরের বউ, লক্ষ্মীর সংসার , বন্ধু আমার ।

দুই.

জাফর ইকবাল ছিলেন সোহেল রানা, জসিম , ইলিয়াস কাঞ্চনদেরও সিনিয়র অর্থাৎ রাজ্জাক, ফারুক, আলমগির, বুলবুলদের সমসাময়িক । কিন্তু মজার ব্যাপার হলো স্টাইলিশ ও বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জাফর ইকবালের চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ার রাজ্জাক, আলমগীর, বুলবুলদের মতো এতো রঙিন হয়নি, এমনকি জুনিয়র সোহেল রানা, ইলিয়াস কাঞ্চন, জসিমদের মতো জাফর ইকবালের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী হয়নি।

জাফর ইকবাল মেগাস্টার, সুপারস্টার কিংবা অ্যাকশন কিং=এর মতো কোন উপাধিও পাননি । আমার কথার সাথে আজ অনেকেই দ্বিমত পোষণ করবেন কিন্তু আমার সমবয়সী যারা চলচ্চিত্রের নিয়মিত দর্শক তাঁরা অধিকাংশই আমার কথার সাথে একমত পোষণ করবেন ।

এবার একটু সংক্ষেপে বিষয়টি বুঝিয়ে বলি। জাফর ইকবালের চলচ্চিত্রের আগমন ঠিক স্বাধীনতা যুদ্ধের কিছু আগে। তখন পুরো চলচ্চিত্র ছিল রাজ্জাকময়। আলমগীর , ফারুক, বুলবুলরাও তখনও থিতু হোননি। স্বাধীন বাংলাদেশে চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশ ও বিস্তৃতি যখন ঘটে তখন রাজ্জাকের পাশাপাশি আলমগীর, ফারুক, বুলবুলরা থিতু হতে লাগলেন অন্যদিকে আগমন ঘটে সোহেল রানা, উজ্জ্বল , ওয়াসিমের মতো একাধিক তরুণ যার কিছুদিন পর ‘বসুন্ধরা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আগমন ঘটে ইলিয়াস কাঞ্চনের ।

ইলিয়াস কাঞ্চন আসার আগ পর্যন্ত আলমগীর মধুমিতা, মাটির মানুষ, ঝুমকা, মনিহার, ফারুক লাঠিয়াল, সারেং বউ এর মতো চলচ্চিত্র দিয়ে দর্শকদের মাঝে জনপ্রিয় হয়ে গিয়েছে। অন্যদিকে জাফর ইকবাল তখনও একক নায়ক হয়ে তেমন সাফল্য পাননি।

কিন্তু জাফর ইকবালকে অন্যদের চেয়ে একটু বেশি মেধাবি মনে হতো। ৭০-৮০র দশক স্বাধীন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্পের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য সময় যখন সারাদেশে চলচ্চিত্র শিল্প বেশ নাড়া দিয়েছে এবং সিনেমা হলের সংখ্যাও দিনকে দিন বাড়ছিল। এই এক দশকে জাফর ইকবালের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের দিকে তাকালে দেখবেন বেলাল আহমেদের ‘নয়নের আলো’, ‘আজহারুল ইসলাম খানের ‘ অবুঝ হৃদয়’ , গাজী মাজহারুল আনোয়ারের ‘সন্ধি’, ‘যোগাযোগ’, ইলতুতমিশের ‘মাই লাভ’, ‘প্রেমিক’ ব্যতীত একক বা কেন্দ্রীয় নায়ক হিসেবে চলচ্চিত্রের সংখ্যা নেই বললেই চলে।

ঐ একই সময়ে জাফর ইকবালের অভিনীত ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রগুলো ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘ বেদীন’, দিলিপ বিশ্বাসের ‘ আশীর্বাদ’, ‘অপেক্ষা’, ‘অবদান’, ‘গর্জন’, ‘বিস্ফোরণ’, ‘ভাইবন্ধু’, ‘ সাহস’, ‘আদেশ’, ‘প্রতিরোধ’, ‘উসিলা’, ‘সাজানো বাগান ‘, ‘ আকর্ষণ’, ‘লায়লা আমার লায়লা’, ‘জবাব চাই ‘, ‘মিসলংকা’র মতো চলচ্চিত্রগুলোতে ছিল আলমগীর, জসিম, ইলিয়াস কাঞ্চন, উজ্জ্বল , ওয়াসিম , ফারুক, সোহেল রানা’র মতো অন্য জনপ্রিয় নায়কেরা যেখানে জাফর ইকবালের চরিত্রের চেয়ে অন্যদের গুরুত্ব একটু বেশী ছিল । অর্থাৎ জাফর ইকবাল ছবিতে থাকলেও কিংবা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে থাকলেও উল্লেখিত চলচ্চিত্রগুলোতে দর্শকদের কাছে জাফর ইকবালের চেয়ে অন্যদের জনপ্রিয়তা বেশী ছিলো এবং চলচ্চিত্রগুলো ব্যবসা সফল হওয়ার পেছনে কৃতিত্বটা কখনও আলমগীর, কখনও কাঞ্চন , কখনও জসিমের উপর গিয়ে পড়েছে।

এমনকি সন্ধি , যোগাযোগ চলচ্চিত্রে জাফর ইকবাল খুব ভালো অভিনয় করলেও চলচ্চিত্রগুলোর সাফল্যর কৃতিত্বটা ‘বুড়ো’ রাজ্জাকের উপর পড়েছিল । দারাশিকোর ‘ভাইবন্ধু’ চলচ্চিত্রে জাফর ইকবালের খুব গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ছিল এবং অভিনয়ও দারুণ ছিল কিন্তু ‘ভাইবন্ধু’ চলচ্চিত্রের সাফল্যর পেছনে ইলিয়াস কাঞ্চনের চরিত্র ও অনবদ্য অভিনয়কেই সবাই কৃতিত্ব দিবে আগে কারণ ছবিটি দেখলে যে কেউই মনে করবে ‘ভাইবন্ধু’ রুপে এখানে ইলিয়াস কাঞ্চনকেই বুঝানো হয়েছে কারণ ছবির গল্পে কাঞ্চনই পথে ভিক্ষা করা অন্ধ জাফর ইকবালকে রাস্তা থেকে তুলে এনে অন্য এক জীবন দিয়েছিলেন কাঞ্চন এবং একেবারে শেষ দৃশ্যর আগ পর্যন্ত কাঞ্চনই সবসময় সেক্রিফাইস করে গেছে সব পরিস্থিতিতে।

ঠিক একই রকম দর্শকদের মাঝে জাফর ইকবালের চেয়ে বেশী গুরুত্ব কাঞ্চন পেয়েছে শিবলি সাদিকের ‘আদেশ’, ফজল আহমেদ বেনজিরের ‘প্রতিরোধ’, জসিম পেয়েছে জহিরুল হকের ‘সাহস’, ‘গর্জন’, হাফিজউদ্দিনের ‘অবদান’, এফ আই মানিকের ‘বিস্ফোরণ’ চলচ্চিত্রে ।

জাফর ইকবালকে পর্দায় দেখে কখনও মনে হয়নি উনি চলচ্চিত্রের ক্যারিয়ারে খুব বেশী সচেতন ছিলেন এবং নিজের চরিত্রগুলো সম্পর্কে খুব বেশী সচেতন ছিলেন অথচ জাফর ইকবালের জনপ্রিয়তা বেশ ভালোই ছিল তখন।

জাফর ইকবালকে রোমান্টিক চরিত্রের বাহিরে খুব বেশী অভিনয় করার মতো চরিত্র খুব বেশী দেখা যায়নি বা সামাজিক অ্যাকশন, কমেডি কোন ধারার চরিত্রে জাফর ইকবাল নিজেকে একাই যথেষ্ট প্রমাণ করতে পারেননি। অন্য নায়কদের সাথে জাফর ইকবালের বেশিরভাগ চরিত্র ছিল পুলিশের আর বাকীগুলোতে একই রকম রোমান্টিক চরিত্র । জাফর ইকবালের জনপ্রিয়তাটা ছিল একটা শ্রেণী নির্ভর অর্থাৎ শহুরে শিক্ষিত শ্রেণী নির্ভর যেখানে অন্য নায়কদের জনপ্রিয়তা ছিল সব শ্রেণীর দর্শকদের মাঝে যার ফলে জাফর ইকবালের প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও প্রযোজক পরিচালকরা খুব বেশী পরীক্ষা নিরীক্ষা করেননি বা জাফর ইকবালকে নিয়ে ব্যতিক্রমধর্মী কোন কিছু করার চেস্টা করেননি।

জাফর ইকবালকে সবসময় একটা গণ্ডীর ভেতর রেখেই পর্দায় উপস্থাপন করা হতো। ব্যক্তিগত জীবনেও জাফর ইকবাল ছিলেন খুব বেশী বেপরোয়া ধারার জীবন যাপনে অভ্যস্ত । চলচ্চিত্র পাড়ায় জাফর ইকবালের সাথে কখনও ববিতা, কখনও চম্পাকে নিয়ে নানারকম মুখরোচক আলোচনা/স্ক্যান্ডাল সেই সময় ছড়িয়ে পড়েছিল , যার ফলে জাফর ইকবালের উপর নির্ভর করে খুব বেশী রিস্কি/ঝুঁকিতে যায়নি প্রযোজক পরিচালকরা অথচ সেই একই সময়ে ইলিয়াস কাঞ্চন, জসিমরা তরতর করে সামনের দিকে নিজেদের এগিয়ে নিয়েছিলেন রোমান্টিক, সামাজিক অ্যাকশন, ফ্যামিলি ড্রামা, ফোক ফ্যান্টাসি সহ সব ধারার চলচ্চিত্রে নিজেদের প্রমাণ যোগ্যতা প্রমাণ করে । অথচ কাঞ্চন, জসিমের চেয়েও আরও বেশী এগিয়ে যাওয়ার যোগ্যতা ছিলো জাফর ইকবালের বেশী যার সদ্ব্যবহার তিনি করতে পারেননি।

জাফর ইকবাল শুধুই একজন ‘স্টাইলিশ’ কিংবা ‘ফ্যাশনেবল’ হিরো হিসেবে রয়ে গেছেন দর্শকদের মাঝে যেখানে চলচ্চিত্রে জাফরের প্রায় ১০ বছরের জুনিয়র অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন হয়েছিলেন ‘সুপারস্টার’ অভিনয় জীবনের শুরুতে খলনায়ক থেকে পরে নায়ক হওয়া জসিম হয়েছিলেন ‘অ্যাকশন কিং’ আর ১৫ বছরের জুনিয়র অভিনেতা মান্না হয়েছিলেন ‘মহানায়ক’। জাফর ইকবাল সারাজীবন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের বহুমুখী প্রতিভার এক অবহেলিত নায়ক হিসেবেই রয়ে গেলেন যার দায়টা প্রযোজক, পরিচালক , দর্শকদের চেয়ে জাফর ইকবালের নিজের।

আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন ডলি জহুর ও ইলিয়াস কাঞ্চনপ্রতি বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য আজীবন স...
08/01/2023

আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন ডলি জহুর ও ইলিয়াস কাঞ্চন

প্রতি বছর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। এবার এ সম্মাননায় ভূষিত হতে যাচ্ছেন প্রখ্যাত অভিনয়শিল্পী ডলি জহুর ও ইলিয়াস কাঞ্চন।

২০২১ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে তাদের এ সম্মনানা দেওয়া হবে। বিষয়টি এখনো গেজেট আকারে প্রকাশ না হলেও তথ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এমনটাই জানা গেছে।

আজীবন সম্মাননা পাওয়া প্রসঙ্গে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘যে কোনো পুরস্কারই আনন্দের। এখন পুরস্কার বা স্বীকৃতি নিয়ে আমার তেমন কোনো আগ্রহ নেই। তারপরও এবার আমাকে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে, ভালো লাগছে। তবে সম্মাননা দেওয়ার ব্যাপারে একটি বিষয় আমাকে কষ্ট দেয়। সেটি হচ্ছে, যারা এ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার কিংবা আজীবন সম্মাননা পায় তাদের পরে তেমন কোনো সুবিধা দেওয়া হয় না। বিষয়টি কর্তৃপক্ষের ভেবে দেখা উচিত।’

ডলি জহুর বলেন, ‘পুরস্কার তো অনেক আনন্দের বিষয়। আমিও আনন্দিত, তবে নিজের কাছে আবার একটু কেমন যেন লাগছে। আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়ে মনে হয় আমার বয়স বেড়ে গেছে। কারণ এর পর তো আর কোনো বড় সম্মাননা নেই। তবে আমার বয়স বাড়েনি আমি আরও অনেক কাজ করতে চাই। সবার কাছে দোয়া চাই।’

জানা গেছে, ২০২১ সালের জন্য বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা সিনেমা লাল মোরগের ঝুঁটি ও নোনাজলের কাব্য, সেরা পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত, সেরা অভিনেতা যৌথভাবে সিয়াম আহমেদ ও মীর সাব্বির মাহমুদ, সেরা অভিনেত্রী যৌথভাবে আজমেরী হক বাঁধন এবং তাসনুভা তামান্না ছাড়াও তৌকীর আহমেদ, ফজলুর রহমান বাবু, শম্পা রেজা, জয়রাজ, মিলন ভট্ট, সুজেয় শ্যাম, প্রয়াত গাজী মাজহারুল আনোয়ার, নির্মাতা নূরুল আলম আতিকও পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।

৩ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে টিউশনি করা মেয়েটাই আজ ম্যাজিস্ট্রেটক্লাস এইট পর্যন্ত কোনো শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়েননি শিল্পী মো...
07/01/2023

৩ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে টিউশনি করা মেয়েটাই আজ ম্যাজিস্ট্রেট

ক্লাস এইট পর্যন্ত কোনো শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়েননি শিল্পী মোদক। মা-ই ছিলেন তার শিক্ষক। হবিগঞ্জের রামকৃষ্ণ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রথম ছাত্রী হিসেবে তিনি জুনিয়র বৃত্তি লাভ করেন। সে সময়কার প্রধান শিক্ষক শিল্পীর নাম স্কুলের দেয়ালে লিখে রাখেন। সেই প্রধান শিক্ষক আজ বেঁচে নেই, কিন্তু তার প্রিয় ছাত্রী শিল্পীর নাম আজও স্কুলের দেয়ালে আছে।

সেই মেধাবী শিল্পীই ৩৭তম বিসিএসে উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। স্কুলের পরীক্ষায় সবসময় প্রথম হয়েছেন শিল্পী। পরিবারে আর্থিক অনটন ছিল, কাপড় সেলাইয়ের কাজ করে মা ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ জোগাড় করতেন, কিন্তু ভালো ফলাফলের জন্যই শিল্পীকে স্কুলে বেতন দিতে হতো না;

এমনকি শিক্ষকরাই তাকে বই দিতেন। স্কুলে সবসময় বিতর্ক প্রতিযোগিতা, খেলাধুলা ও গানে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন। ২০০৬ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাধ্যমিক সম্পন্ন করার পর উচ্চমাধ্যমিকে পড়ার সময় দারিদ্র্যকে খুব ভালোভাবে বুঝতে শেখেন। তখন থেকেই টিউশনি শুরু।

সিলেট সরকারি মহিলা কলেজে ভর্তির পর প্রতিদিন মেহেন্দীবাগ এলাকার বাসা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার হেঁটে কলেজে আসতেন। কলেজের শিক্ষকরা আন্তরিক ছিলেন, এদের মধ্যে বিনাবেতনে প্রাইভেট পড়িয়েছেন কয়েকজন। ২০০৮ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাস করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলায় ভর্তি হন শিল্পী। তবে যেহেতু বিজ্ঞানের ছাত্রী ছিলেন, তাই বাংলা ছেড়ে সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ভর্তি হন উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব ও বীজবিজ্ঞান বিভাগে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় প্রতিদিনই বিকাল থেকে রাত পর্যন্ত টিউশনি করাতেন নিজের খরচ জোগাড়ের জন্য। অনার্স ও মাস্টার্স, দুটোতেই সিজিপিএ ৩.৯ পেয়ে পড়াশোনা শেষ করেন, আর এই অসাধারণ ফলাফলের জন্য অর্জন করেন রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক। ইচ্ছা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হবেন, কিন্তু সার্কুলার না হওয়াতে শুরু করেন বিসিএসের প্রস্তুতি। মাঝে শাহজালাল সিটি কলেজে এক বছর শিক্ষকতা করেছেন। ৩৭তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার একমাস আগে চাকরি ছেড়ে দিয়ে দিনরাত পড়াশোনা শুরু করেন।

সারাক্ষণ বইয়ে ডুবে থাকতেন দেখে মা-ই তাকে মুখে তুলে খাইয়ে দিতেন। বিসিএসে ধাপে ধাপে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার পর অবশেষে ফলাফলে তিনি সুপারিশপ্রাপ্ত হলেন প্রশাসন ক্যাডারে। শিল্পী চান তার মতো মেয়েদেরকে সাহায্য করতে, যারা দারিদ্র্যের সঙ্গে সংগ্রাম করে পড়াশোনা করেন। পাশাপাশি দেশসেবা ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য কিছু করার স্বপ্ন দেখেন। প্রশাসন ক্যাডার তাকে সেই সুযোগ দেবে বলে বিশ্বাস তার।

১৪ বছরের ভাই, ৯ বছরের বোন; মাসিক আয় ৩০ লক্ষ টাকাক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়টা অনেকের কাছেই একটা অজানা বিষয় মতো। কিন্তু ১৪ বছর ...
07/01/2023

১৪ বছরের ভাই, ৯ বছরের বোন; মাসিক আয় ৩০ লক্ষ টাকা

ক্রিপ্টোকারেন্সি বিষয়টা অনেকের কাছেই একটা অজানা বিষয় মতো। কিন্তু ১৪ বছর বয়সী ঈশান এবং ৯ বছরের অনন্যার কাছে তা যেন নস্যি! ভারতীয় বংশোদ্ভূত আমেরিকান দুই ভাই-বোন বর্তমানে এই ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকেই মাসে আয় করছে ৩৫ হাজার ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা)।

অনেকেই ক্রিপ্টোকারেন্সি নিয়ে হিমশিম খেলেও এই বয়সে দুই ভাই-বোন তা আয়ত্ত করলো পাকা পেশাদারদের মতো।

সংবাদমাধ্যম সিএনবিসিকে এ প্রসঙ্গে ঈশান জানিয়েছে, সাত মাস আগে ক্রিপ্টোকারেন্সি, বিটকয়েন এই শব্দগুলো সম্পর্কে শুনেছিল সে। বিষয়টি নিয়ে প্রবল আগ্রহ তৈরি হয় তার। এর পরই বিষয়টি নিয়ে ইউটিউব এবং বিভিন্ন পত্রিকা ঘাঁটাঘাটি শুরু করে সে।

ঈশানের কথায়, তখনই ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের পরিকল্পনা মাথায় আসে। কিন্তু বিনিয়োগ করার মতো অত টাকা ছিল না আমাদের কাছে। তাই ঠিক করেছিলাম বিনিয়োগ করার আগে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের জন্য সঠিক সামগ্রী কিনবো।

অন্য দিকে অনন্যা বলে, দাদা আর আমি দু’জনে মিলে এই বিনিয়োগের পরিকল্পনা করি। বিষয়টি ভাল লাগার পর দাদাকে এ বিষয়ে উৎসাহও দিয়েছি।

তবে কয়েক দিনের মধ্যেই বিষয়টি আয়ত্ত করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে দু’জনে। সাত মাস ধরে ইউটিউব ঘেঁটে, বিটকয়েন এবং ক্রিপ্টো সংক্রান্ত নানা পত্রিকা পড়ে বিনিয়োগ সম্পর্কে ভাল ভাবে জানার চেষ্টা করেছে তারা। তার পরই গেম খেলার জন্য কেনা নিজের কম্পিউটারকে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের উপযোগী করে তোলে তারা।

ঈশান বলেন, শুরুতে দিনে ৩ ডলার আয় করছিলাম। এখন সেখানে মাসে ৩৫ হাজার ডলার আয় করছি। আমরা খুব খুশি।

এটাকেই কি ভবিষ্যতের পেশা হিসেবে বেছে নিতে চাইছে ঈশান-অনন্যা জানতে চাইলে জানায়, এখনও সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু স্থির না করলেও তবে এই টাকা নিজেদের উচ্চশিক্ষার কাজেই খরচ করতে চায় তারা।

ঈশান পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন নিয়ে পড়াশুনা করে ডাক্তার হতে চায়। অনন্যাও মেডিসিনে পড়তে চায় তবে তার পছন্দ নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়।

জিপিএ ৫ পাওয়া রাজমিস্ত্রি সালমানের দায়িত্ব নিলেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসকরাজমিস্ত্রির কাজ করে জিপিএ ৫ পাওয়া অদম্য মেধাবী ...
07/01/2023

জিপিএ ৫ পাওয়া রাজমিস্ত্রি সালমানের দায়িত্ব নিলেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক

রাজমিস্ত্রির কাজ করে জিপিএ ৫ পাওয়া অদম্য মেধাবী সালমান মৃধার শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার (পিএএ)। দারিদ্র্যের মধ্যে বেড়ে ওঠা সালমান মৃধা (১৬) এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়ে শহরের আলোচনায় রয়েছেন।

দরিদ্র পরিবারের সন্তান হওয়ায় রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতে হয় তাকে। ফরিদপুর সদর উপজেলার অম্বিকাপুর ইউনিয়নের ইজা দুর্গাপুর গ্রামের বিল্লাল মৃধরের অদম্য মেধাবী সালমান মৃধর এবারের এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ পেয়েছে। দরিদ্র পরিবারের এই মেধাবী শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার দায়িত্ব নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ফরিদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার (পিএএ)। তার পরিবারের খোঁজ খবর নিতে তাকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় এবং তার সাফল্যে প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে অভিনন্দন জানানো হয়। অদম্য মেধাবী সালমান ফরিদপুরের ইশান গোপালপুর ইউনিয়নের ইশান ইনস্টিটিউশনের কারিগরি শিক্ষা বিভাগ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছে।

সালমানের বাবা বিল্লাল মৃধা (৫০) অন্যের জমিতে কাজ করেন এবং তাদের পরিবার কোনোভাবে বেঁচে থাকে। তার বাবার পাশাপাশি, সালমান অন্য লোকের জমিতে কাজ করতেন, পরিবারের ভরণপোষণের জন্য রাজমিস্ত্রির কাজও করতেন এবং পড়াশোনা চালিয়ে যান। সালমান বলেন, এসএসসি পাসের পর উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার খরচ নিয়ে খুব অনিশ্চিত ছিলাম। আমার পরিবারের সদস্যরাও চিন্তায় ছিল কিভাবে খরচ মেটাব। তিনি বলেন, হঠাৎ করে জেলা প্রশাসন আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে। জেলা প্রশাসক আমার ও আমার পরিবারের খোঁজ খবর নেন। পরে তিনি আমার ও আমার ছোট ভাইয়ের লেখাপড়ার খরচ বহন করার ঘোষণা দেন।

ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, সালমানের সাফল্য দেখে আমি খুবই খুশি। পরে জানতে পারি তার পরিবার হতদরিদ্র। পড়াশোনা করার মতো আর্থিক অবস্থা নেই সালমানের। তাকে অফিসে নিয়ে এসে তার ইচ্ছার কথা শুনে সালমান ও তার ছোট ভাইয়ের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিলাম।

Address

North Badda
Dhaka
1212

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Color Life posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Color Life:

Videos

Share

Color Life 24

Color Life 24 is a online TV.