20/09/2023
মাহমুদুল্লাহ চার সিরিজ পরে জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। অনেকেই ভাবছেন তার বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত। আপাতদৃষ্টিতে এত সোজাসাপ্টা লাগলেও আমাদের কাছে বিষয়টা জটিল লাগছে। ব্যাখ্যা করি কেন?
তামিম, লিটন ওপেনিংয়ে। তিনে শান্ত, তারপর পর্যায়ক্রমে সাকিব, হৃদয়, মুশফিক, মিরাজ। এই সাতজন শিওর স্টার্টার প্লেইং ইলেভেনে। তারপর প্রতিপক্ষ, কন্ডিশন বিবেচনায় তাসকিন, হাসান, শরিফুল, মুস্তাফিজ এর মধ্যে যেকোনো তিনজন পেসার।
বাকি থাকলো একটা স্পট:
- স্পিন ফ্রেন্ডলী পিচ হলে একজন একস্ট্রা স্পিনার। নাসুম অথবা শেখ মেহেদী। ব্যাটিংয়ে দুইজনই কন্ট্রিবিউট করাতে ব্যাটিং ডেপথ নিয়েও হয়তো কিছুটা চিন্তা দূর হয়েছে ম্যানেজম্যান্টের।
- পেস ফ্রেন্ডলী পিচ হলে হয়তো চার পেসার নিয়ে খেলবে। এবাদত নাই, তানজিম সাকিব অলরেডি ইমপ্রেস করে ফেলছে ম্যানেজমেন্টকে।
ওপরের দুইটা অপশনেই ৬ বোলার হয়ে যায় যেটা কিনা দলের ভারসাম্য তৈরী করে। একজন নিয়মিত বোলারের দিন খারাপ যেতে পারে, তখন কোটা পূরণ করবে কে?
প্রশ্ন আসতে পারে, মাহমুদুল্লাহ অফ স্পিনটা তো মন্দ করেন না। হ্যাঁ, করেন না কিন্তু শেখ মেহেদী বা নাসুম বোলার হিসেবে যতটা নির্ভরযোগ্য অতটা তো না। আবার পার্ট টাইমার লাগলে শান্ত ও আছেন অফ স্পিনার হিসেবে।
তাহলে ৫ পেসার, সাকিব বাদে ৩ স্পিনার, ৬ ব্যাটসম্যান - ১৪ জন হয়ে গেল। ১৫তম প্লেয়ার কে হবে?
আমার মনে হয় সৌম্য এখানে ঢুকে যাবে। নাঈম শেখ ব্যর্থ, তানজিদ তামিম একদম নতুন, বিজয়ের ওপর আগ্রহ কম। একজন থার্ড ওপেনার নিয়ে যাবে এটা কথা থাকলেও অন্যদের ব্যর্থতা, মিরাজের মেকশিফট ওপেনার হিসেবে ক্লিক করা, শান্ত ওপেনার হিসেবে ব্যাকাপ অপশন থাকা মিলে এখন আর থার্ড ওপেনারের চিন্তা করছে না ম্যানেজমেন্ট। এই অবস্থায় সৌম্যর ভার্সেটিলিটি প্লাস পয়েন্ট: কোনো ওপেনার ইঞ্জুর্ড হলে ওখানে খেললো, সাতে লাগলে ওখানে খেললো, মিডিয়াম পেস দিয়ে ৩,৪ ওভার পার্ট টাইম বল করলো।
আবার নিউজিল্যান্ড সিরিজে সুযোগ পাওয়া সোহান ও হতে পারেন রিয়াদের প্রতিদ্বন্দ্বী, আছেন ভালো ফর্মে। অতএব সামনের সিরিজে রিয়াদ পারফর্ম না করলে বিশ্বকাপে যাওয়া আমাদের কাছে কঠিনই মনে হচ্ছে, রিজার্ভ হিসেবে থাকতে পারেন।
এতকিছুর পরে আশা রাখি রিয়াদ ভাল খেলে ওয়ার্ল্ডকাপে জায়গা করে নিক!