জানা-অজানা 360

জানা-অজানা 360 YoutTube: youtube.com/
Insta: instagram.com/janaojana360 YouTube: youtube.com/
Insta: instagram.com/janaojana360

শীতে সর্দি-কাশিতে করণীয়গুলো জেনে নিন🟠◑পর্যাপ্ত কুসুম গ*রম পানি পান ও গোসল করুন।◑সুষম খাবার খান।◑ঠাণ্ডা লাগলে এক চামচ মধু...
15/01/2025

শীতে সর্দি-কাশিতে করণীয়গুলো জেনে নিন🟠

◑পর্যাপ্ত কুসুম গ*রম পানি পান ও গোসল করুন।

◑সুষম খাবার খান।

◑ঠাণ্ডা লাগলে এক চামচ মধু খান।

◑সর্দি-কাশির সঙ্গে ব্যথা থাকলে আদা পানি বা আদা চা খান। [fb.com/janaojanaa360]

◑গলা ব্যথা, নাক দিয়ে পানি পড়লে দুধ চা, কফির পরিবর্তে আদার রস বা আদা চা খান।

◑ফ্লু ভ্যাকসিন নেওয়া জরুরি।

◑ঠোঁ*টে ভেসলিন লাগিয়ে রাখুন।

◑হাত ও পায়ে মোজা ব্যবহার করতে পারেন।

◑যাদের হাত-পা অ*বশ হওয়ার মতো সমস্যা আছে তারা আ*গুনের কাছ থেকে দূরে থাকুন।
[ জানা-অজানা 360 ]
◑শীত বাড়লে অবশ্যই গ*রম জামা-কাপড় পরুন।

➤প্রেসক্রিপশন দিয়েছেন: ডা. মো. তৌছিফুর রহমান,
⊕তথ্যসূত্র: আমার দেশ, ১৫/০১/২৫ খ্রি.

রবিন শর্মার বই 'দ্য ৫ এএম ক্লাব' থেকে শিক্ষা...
14/01/2025

রবিন শর্মার বই 'দ্য ৫ এএম ক্লাব' থেকে শিক্ষা...

দ্য ৫ এএম ক্লাব থেকে শিক্ষা⏰

বিশ্ববিখ্যাত লেখক রবিন শর্মার লেখা অন্যতম একটি বই হলো দ্য ৫ এএম ক্লাব। ‘দ্য ৫ এএম ক্লাব’ বইটিতে লেখক চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন আমাদের উৎপাদনশীলতা, সৃজনশীলতা, কর্মক্ষমতা, নেতৃত্বের গুণাবলি এবং সর্বোপরি ব্যক্তিগত জীবনের সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধিতে ভোর ৫টায় ঘুম থেকে ওঠার গুরুত্ব কতখানি। বইয়ের শিক্ষাগুলো তুলে ধরেছেন এম এম মুজাহিদ উদ্দীন।

🌅ভোরে ঘুম থেকে উঠুন

দ্য ৫ এএম ক্লাব বইয়ের সবচেয়ে বড় শিক্ষা হলো ভোর ৫টার সময় ঘুম থেকে ওঠা। এটা একটা সফল এবং প্রাকৃতিক অভ্যাস। যাঁরা ভোর ৫টায় ঘুম থেকে ওঠেন, তাঁরা অন্য যাঁরা দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন তাঁদের চেয়ে বেশি সময় হাতে পান। সেই অতিরিক্ত সময় জীবনের অগ্রগতির কাজে ব্যয়ের সুযোগ তৈরি হয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো ভোর ৫টা থেকে সকাল ৮টার মধ্যে সম্পন্ন করার কথা বলা হয়েছে বইটিতে। ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠলে জীবনে ডিসিপ্লিনের সেন্স তৈরি হয়; যা একটা মানুষকে সফলতার দিকে নিয়ে যায়।

📋রুটিন অনুযায়ী দিন শুরু করুন

বইটির লেখক শর্মা বলেছেন, শুধু ভোর ৫টায় ঘুম থেকে ওঠা আপনাকে সফল করে তুলবে না, বরং আপনি কীভাবে সকালের সময়টা ব্যয় করতে চান, তাও গুরুত্বপূর্ণ। তার ২০/২০/২০ সূত্র অনুসারে, আপনাকে ২০ মিনিট শারীরিক, ২০ মিনিট মানসিক আর ২০ মিনিট আত্মিক উন্নতির জন্য ব্যয় করতে হবে। শারীরিক উন্নতি করতে হলে ব্যায়াম করতে হবে। মানসিক উন্নতির মধ্যে জার্নালিং, ইবাদত, ধ্যান বা শান্ত চিন্তাভাবনা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। আর আত্মিক উন্নতির কার্যক্রমগুলোর মধ্যে আপনার জীবনের লক্ষ্যগুলো পর্যালোচনা করা, পত্রিকা বা বই পড়া অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

🛌সঠিক ঘুম চক্রের ভূমিকা

বইটিতে রবিন শর্মা ইঙ্গিত দিয়েছেন, এই জগৎ ধীরে ধীরে নিদ্রাহীনতার মধ্যে ডুবে যাচ্ছে। মানুষ প্রায়ই কঠোর পরিশ্রম আর সাফল্যকে সারা রাত জেগে থাকার এবং নিজের ধৈর্যের পরীক্ষার ধারণার সঙ্গে জুড়িয়ে দিয়ে ভুল করেন। রাতে দেরিতে ঘুমান আবার সকালে দেরিতে ঘুম থেকে ওঠেন। ফলে শরীর, মন ঠিক থাকে না এবং কাজে ব্যাঘাত ঘটে। বইটিতে লেখক ঘুমের চক্রের যত্ন নেওয়ার এবং ভোর ৫টায় জীবন শুরু করার প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেছেন।

🎯নতুন অভ্যাস তৈরিতে হাল ছাড়বেন না

কখনো কখনো ভোর ৫টায় ঘুম থেকে ওঠা অসম্ভব বলে মনে হতে পারে। আপনার কষ্ট হতে পারে। তবে হাল ছেড়ে দেওয়া আপনার উচিত হবে না। অন্য যেকোনো নতুন অভ্যাসের মতো, এই রুটিনে অভ্যস্ত হতে সময় লাগবে। যেকোনো নতুন অভ্যাস রাতারাতি তৈরি হয় না। বইয়ের লেখক রবিন শর্মা উল্লেখ করেছেন, মানুষের মস্তিষ্ক পরিবর্তনের জন্য তৈরি করা হয়েছে। বিজ্ঞান অনুসারে একটি নতুন অভ্যাস তৈরি করতে প্রায় ৬৬ দিন লাগে। ৬৬ দিন একটানা ভোর ৫টায় ঘুম থেকে উঠুন। দেখবেন এটি আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে। [ ListenLit AudioBook ]

🤔বিভ্রান্তি এড়িয়ে চলুন

আমাদের জীবনে চলার পথে বা কাজ করার ক্ষেত্রে নানা রকম বিভ্রান্তি এসে বাগড়া দেয়। কিন্তু কাজে সফল হতে হলে বিভ্রান্তি এড়িয়ে চলতে হবে। বর্তমান যুগ হলো প্রযুক্তির। ডিজিটাল যুগ। এই যুগে ডিজিটাল ডিভাইস আমাদের প্রায়ই বিভ্রান্তি তৈরি করে। প্রায়ই আপনার সকালকে নিজের মতো ব্যবহার করার পথে এবং আপনাকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পেতে বাধা দেয়। বইটি সোশ্যাল মিডিয়া, ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্যের দ্বারা বিভ্রান্তি এড়াতে আপনার সকালের সময়কে প্রযুক্তিমুক্ত রাখার পরামর্শ দিয়েছে।

🤝নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন

রবিন শর্মা একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য নিজেকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার কথা বলেছেন। তবে শুধু প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষান্ত থাকলেই চলবে না, বরং প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। অনেক সময় মানুষ তাঁদের প্রতিশ্রুতিতে অটল থাকতে বা বলকে ঘুরিয়ে দিতে ব্যর্থ হয়। কাঙ্ক্ষিত ফল না পাওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ এটি। তাই যত বাধাই আসুক না কেন, নিজের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করুন। প্রতিশ্রুতির ওপর অটল থাকুন।

⛓️জীবনে সঠিক ভারসাম্য খুঁজে পাওয়ার ক্ষমতা

মানুষ প্রায়ই যেকোনো জিনিস বোঝার জন্য সঠিক মানসিকতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। কিন্তু বইটি কয়েক ধাপ এগিয়ে মানুষের স্বাধীন মন ও আত্মার ধারণার পরিচয় দেয়।

বইটিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে– শরীর, মন ও আত্মাকে সুন্দর ও সতেজ রাখতে জীবনের সবকিছুতে ভারসাম্য খুঁজে নিতে হবে। যখন জীবনে সবকিছুতে একটা ভারসাম্য থাকবে, তখন শরীর, মন ও আত্মা সুন্দর থাকবে। আর আমরাও সুখী থাকব। আমাদের সাফল্যের সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে।

🧑‍🔧পরিবর্তনের শিল্প

বইটি আত্মপ্রতিফলনে দক্ষতা অর্জনের প্রয়োজনীয়তার ওপর আলোকপাত করেছে। কেউ হয়তো ভাবতে পারেন, এর উদ্দেশ্য কী? এই রুটিনের পেছনে ধারণাটি হলো ভুলগুলো প্রতিফলিত করা, শেখা এবং পরিবর্তন হওয়া। পরিবর্তন একটি চলমান প্রক্রিয়া। তাই আপনার প্রতিদিন নিজের আরও ভালো উন্নতির চেষ্টা করা উচিত। ঘুম থেকে ওঠার পর আপনার যে কাজগুলো করা উচিত, তার মধ্যে একটি হলো আপনার কর্ম এবং আগের দিনের বাদ পড়া সুযোগগুলোর দিকে ফিরে তাকানো। সে অনুযায়ী নতুন দিনটি অতিবাহিত করা।

🗣️নেতৃত্ব দেওয়া মানে সেবা করা

রবিন শর্মা বলেছেন, সেবার হাতিয়ার হওয়াই প্রকৃত শক্তি। চারপাশের অন্যদের জীবনকে সাহায্য ও উন্নত করার জন্য নিজের জীবনকে একটি মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা আপনার মাঝে সত্যিকারের অনুপ্রেরণা আনতে পারে। মানুষের সেবা করার মাধ্যমে আপনি নেতা হয়ে উঠতে পারেন। আশপাশের মানুষকে সেবা করুন। তাহলে আপনার মনে প্রশান্তি থাকবে। মানুষ আপনাকে সম্মান করবে। মানুষের প্রিয়পাত্র হয়ে উঠবেন। [ ListenLit AudioBook Community ]

⌛স্বপ্নে অটল থাকুন

যাই হোক না কেন আপনার স্বপ্নে অটল থাকুন। আপনার স্বপ্ন থেকে কখনো পিছপা হবেন না। আপনি যখন বড় স্বপ্ন দেখবেন, তখন মানুষ আপনাকে নিয়ে ঠাট্টা করবে এবং আপনাকে নিয়ে হাসবে। নিজের সম্পর্কে সন্দেহ থাকাটা স্বাভাবিক। কিন্তু তা সত্ত্বেও, আপনাকে প্রথম পয়েন্টে ফিরে যেতে হবে এবং আবার শুরু করতে হবে। জীবনে যত বাধাই আসুক না কেন, স্বপ্নের সঙ্গে কমপ্রোমাইজ করবেন না।
তথ্যসূত্র: আজকের পত্রিকা, ১২/০১/২৫ খ্রি.
#লিসেনলিট #অডিওবুক

দুনিয়া জয়ের আগে নিজের বিছানা গোছাও🟠যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল উইলিয়াম হ্যারি মাক্রেভেন ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস ...
14/01/2025

দুনিয়া জয়ের আগে নিজের বিছানা গোছাও🟠

যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল উইলিয়াম হ্যারি মাক্রেভেন ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন ছাত্রদের উদ্দেশে ২০১৪ সালে যে স্বাগত বক্তব্য দেন, তা তরুণদের উদ্দীপ্তকারী অন্যতম সেরা ভাষণরূপে সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। ভাষণটি ও তার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য নিয়ে লিখেছেন বিপুল জামান

উইলিয়াম হ্যারি মাক্রেভেন আমেরিকান নৌবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা হলেও সারাবিশ্বে আজ শিক্ষাবিদ ও জনপ্রিয় অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তা হিসেবে পরিচিত। তিনি ২০১৪ সালে ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস, অস্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের নবীন ছাত্রদের উদ্দেশে একটি ভাষণ দেন। এই ভাষণটি সারাবিশ্বে ‘Make your bed’ নামে পরিচিত। ভাষণে তিনি আত্মোন্নয়নের ক্ষেত্রে ছোট ছোট পরিবর্তনের প্রতি নজর দেওয়ার ওপর জোর দেন। এই বক্তব্যে মাক্রেভেন বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর প্রথমে নিজের বিছানা গুছাও। এই কাজ সমাপ্ত করার আত্মবিশ্বাস তোমাকে দিনভর কাজের অনুপ্রেরণা দেবে। যদি বিশ্বকে পরিবর্তন করতে চাও, তাহলে নিজের বিছানা পরিবর্তন করার মাধ্যমে তা শুরু করো। দিনের প্রথম কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার প্রভাব অন্য কাজগুলোর ওপর পড়বে। আশা করা যায় তোমার দিনটি ভালো কাটবে। আর যদি দিনটি খারাপ যায়-ই, তাহলেও ঘরে ফিরে তুমি নিজের বিছানাটি গোছানো অবস্থায় পাবে। ফলে তুমি নিশ্চিন্তে বিশ্রাম নিয়ে পরবর্তী দিনের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবে। কিন্তু বাইরের ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ পরিবেশ থেকে ফিরে যদি তোমার বিছানাটিও অগোছালো পাও, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তাই ঘুম থেকে উঠেই নিজের বিছানা গোছানো একটি প্রজ্ঞাপূর্ণ কাজ।’ [fb.com/janaojanaa360]

পরবর্তী সময়ে একই নামে মাক্রেভেনের একটি বইও প্রকাশিত হয়। যথারীতি বইটিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। বইয়ে তিনি তার বক্তব্য আরও

বিস্তারিতভাবে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, সফলতার জন্য লক্ষ্যপানে কাজ করার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্য সংশ্লিষ্ট খুঁটিনাটি বিষয়ের ওপরও কাজ করতে হবে। কারণ যেকোনো একটি বিষয়ের পরিবর্তনের ফলে পরিবর্তিত হতে পারে গোটা বিষয়টি। সকালে উঠে বিছানা গোছানোও একটি খুঁটিনাটি কাজ, যা দিনের অন্য কাজের ওপর প্রভাব ফেলে। বিছানা গোছানোর আরও তাৎপর্য রয়েছে। এর মাধ্যমে-

➤নিজের কাজ নিজে করার অভ্যাস গড়ে ওঠে।

➤পরনির্ভরশীলতা কমে।

➤যারা অর্থের বিচারে ছোট কাজ করে তাদের প্রতি উন্নাসিকতা লোপ পায়।

➤সমস্যাকে মোকাবিলা করার মানসিকতা তৈরি হয়। সমস্যা সমাধানের দক্ষতা অর্জিত হয়। [fb.com/janaojanaa360]

➤যেকোনো কাজের আনুষঙ্গিক খুঁটিনাটি বিষয়গুলোতে খেয়াল করার প্রশিক্ষণ পাওয়া যায়।

➤যেকোনো কাজের জন্য পূর্বপ্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করা যায়। ইউটিউবে ‘Make your bed’ লিখে সার্চ দিলে মাক্রেভেন বক্তব্যটি পাবেন। এমন অনুপ্রেরণাদায়ী বক্তব্যটি শুনতে ভুল করবেন না। হাজারো তরুণের মতো আপনিও লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়ার দিশা খুঁজে পেতে পারেন তার বক্তব্য শুনে।
[ জানা-অজানা 360 ]
তথ্যসূত্র: দেশ রূপান্তর, ১০/০১/২৫ খ্রি.
#সফলতা

আইইএলটিএস লিসেনিং (পর্ব-২.১)📝[আগের পর্বগুলোর লিংক কমেন্ট বক্সে]Approach to Listeningলিসেনিংয়ের ফাইনাল পরীক্ষায় বসার আগে ...
13/01/2025

আইইএলটিএস লিসেনিং (পর্ব-২.১)📝

[আগের পর্বগুলোর লিংক কমেন্ট বক্সে]

Approach to Listening

লিসেনিংয়ের ফাইনাল পরীক্ষায় বসার আগে বিস্তারিত একটা প্রস্তুতি প্রয়োজন। এখানে রেকর্ডিংয়ের আগে, পরে এবং রেকর্ডিং চলাকালীন কিছু করণীয় রয়েছে। এ কৌশল জানলে লিসেনিংয়ে সহজে ভালো করা সম্ভব। ইংরেজদের দেশে চলতে হলে যেমন ইংরেজিতে কথা বলতে হয়, তেমনি তাদের কথাগুলোও বুঝতে হয়। সুতরাং ভালো লিসেনিংয়ের বিকল্প নেই। [fb.com/janaojanaa360]

সচরাচর পরীক্ষার্থীরা যে সমস্যায় ভোগে

লিসেনিংয়ে কোন ধরনের প্রশ্নের জন্য কোন দক্ষতা প্রয়োজন, তা অনেকে জানলেও সঠিকভাবে প্রয়োগে ব্যর্থ হন।

লিসেনিংয়ে যে দক্ষতাগুলো দেখা হয়

এখানে প্রশ্নের ধরন অনুযায়ী দক্ষতাগুলো আলাদা হয়। পরবর্তী পাঠদানগুলোতে আলাদা করে সেই দক্ষতাগুলো আলোচনা করা হয়েছে। সুতরাং আমাদের সঙ্গে থাকুন।

উদাহরণে শিক্ষণীয় বিষয়াদির বিশদ বিশ্লেষণ [fb.com/janaojanaa360]

এখানে ছোটখাটো কিছু বিষয় জেনেবুঝে অনুশীলন করলে পরীক্ষার জন্য অতীব উচ্চমানের প্রস্তুতি হয়। বিষয়গুলো ক্রমানুসারে করতে হবে। লিসেনিংয়ের প্রস্তুতিকে আমরা মোটাদাগে তিনটি প্রধান ভাগে বর্ণনা করব:

ক। প্রি-লিসেনিং (রেকর্ড শুরুর আগে) প্রস্তুতি

খ। রেকর্ডিং শুরু হলে করণীয়

গ। রেকর্ডিং শেষে করণীয়।

ডিউরিং-লিসেনিং (রেকর্ডিং চলাকালীন) তথা পোস্ট-লিসেনিংয়ে (রেকর্ডিং শেষ) করণীয় এবং মডিফায়ার, প্যারাফ্রেজ, সম্ভাব্য উত্তর অনুমান করা ইত্যাদির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি এখানে আলোচনা করা হয়নি। পরে পর্যায়ক্রমে সবিস্তারে আমরা সেসব আলোচনা করব ইনশা আল্লাহ।
চলবে...(পর্ব-২.২ আগামী সংখ্যায়)

লেখা: এ টি এম মোজাফফর হোসেন, সেলটা ও মোস্তাকিম শুভ, সেলটা
তথ্যসূত্র: আজকের পত্রিকা, ১৩/০১/২০২৫ খ্রি.

দক্ষ হন ক্যারিয়ার সহায়ক সফট স্কিলে🟠ক্যারিয়ারে সফল হতে হলে পেশাভিত্তিক দক্ষতার পাশাপাশি দক্ষ হতে হবে সফট স্কিলে। দৈনন্দিন...
12/01/2025

দক্ষ হন ক্যারিয়ার সহায়ক সফট স্কিলে🟠

ক্যারিয়ারে সফল হতে হলে পেশাভিত্তিক দক্ষতার পাশাপাশি দক্ষ হতে হবে সফট স্কিলে। দৈনন্দিন অভ্যাস ও জীবনাচারের সঙ্গে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে সফট স্কিলে দক্ষ হতে এর চর্চা করতে হয় শিক্ষাজীবনেই। ক্যারিয়ারে সফলতা পেতে সহায়তা করে এমন সফট স্কিলে দক্ষ হওয়ার উপায় জানিয়েছেন শাহরিয়ার হোসেন

🧠আবেগিক বুদ্ধিমত্তা

গাণিতিক দক্ষতা, সাধারণ জ্ঞানে ব্যুৎপত্তি, বুদ্ধিভিত্তিক সমস্যা সমাধানে দক্ষতাকে এই কয়েক বছর আগেও চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু এখন আইকিউর বদলে ইকিউ বা আবেগিক বুদ্ধিমত্তাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। কারণ উৎপাদন ও বাজারজাত ব্যবস্থা মানুষের আবেগের সঙ্গে জড়িত থাকে। মানুষের হৃৎস্পন্দনকে সঠিক সময়ে বুঝে, সে বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ওপরই নির্ভর করে মুক্তবাজার অর্থনীতিতে টিকে থাকা। তাই সব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এমন কর্মীদেরই পছন্দ করে, যাদের আবেগিক বুদ্ধিমত্তা ব্যবহারে দক্ষতা রয়েছে।[fb.com/janaojanaa360]

🗣️যোগাযোগ দক্ষতা

মানুষ সামাজিক প্রাণী। সে একা বাঁচতে পারে না। জীবন ধারণের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসের জন্য মানুষ একে অন্যের ওপর নির্ভরশীল। তার প্রয়োজনের কথা সে প্রকাশ করে নানাভাবে। এই নানা প্রকাশভঙ্গির প্রতিটি মাধ্যমই যোগাযোগ ক্ষেত্রের অন্তর্ভুক্ত। নিজের কথাটি মুখে সুন্দরভাবে, অল্পকথায় বুঝিয়ে বলা ও লেখার সময় প্রাঞ্জল ভাষায় টু দ্য পয়েন্টে লেখার ক্ষমতা শক্তিশালী যোগাযোগ দক্ষতার স্বাক্ষর বহন করে। করপোরেট জগতে সুন্দর পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেওয়ার ক্ষমতাও যোগাযোগ দক্ষতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

⌛অভিযোজন ক্ষমতা

নতুন পরিবেশ ও পরিস্থিতিতে সহজে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতাকে অভিযোজন ক্ষমতা বলে। চাকরি ক্ষেত্রে সবসময় নানা পরিস্থিতি ও মানুষের সঙ্গে কাজ করতে হয় বলে দ্রুত অভিযোজন ক্ষমতাকে চাকরির বাজারের খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হয়। যাদের ছোটবেলা থেকেই চমৎকার সামাজিকীকরণ হয়েছে, তারা দ্রুত পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে। তাদের অভিযোজন ক্ষমতা ভালো। অভিযোজন ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য বেশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ এবং স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করা একটি ভালো উপায়। [fb.com/janaojanaa360]

🧭নির্ভরযোগ্য

একজন নিয়োগদাতা সেই কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে উচ্চতর পদে উন্নীত করেন যিনি নির্ভরযোগ্য। নিজেকে নির্ভরযোগ্য প্রমাণ করতে প্রতিটি কাজ গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে তা যথাসময়ে সম্পন্ন করার চেষ্টা করতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে সফলতা দেখাতে পারলে নির্ভরতা জন্মে এমনিতেই।

👂ভালো শ্রোতা

একজন সচেতন সক্রিয় শ্রোতা খুব সহজেই মানুষের আস্থার জায়গাটি অর্জন করে নেন। সচেতনভাবে কারও কথা শুনলে আপনি খুব সহজেই শনাক্ত করতে পারবেন তিনি আপনার কাছ থেকে কী ধরনের আচরণ প্রত্যাশা করেন। তাই ভালো শ্রোতা হওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

🪁দলে কাজ করার মানসিকতা

দলীয় কাজে অভ্যস্ত হলে খুব সহজেই কর্মক্ষেত্রে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়, যা অফিসে কাজের পরিবেশ সুন্দর রাখে। দলীয় কাজে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য বেশি বেশি স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করতে পারেন। তা ছাড়া শিক্ষাজীবনে বিভিন্ন সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশ নিলেও দলীয় কাজ করার অভিজ্ঞতা বাড়ে। [fb.com/janaojanaa360]

⏰সময় ব্যবস্থাপনা

দিনের সময় নির্দিষ্ট। চাকরির দায়িত্ব পালনের জন্য সময়ও নির্ধারিত। এই স্বল্পসময়ে প্রয়োজনীয় ও অর্পিত দায়িত্ব পালনের জন্য প্রয়োজন সময় ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হওয়া। স্বল্পসময়ে সব কাজ করা সম্ভব না বলেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ করলে সময় ব্যবস্থাপনায় সফল হওয়া সম্ভব।

🎯মানুষের সক্ষমতাকে বোঝা

মানুষ একা কাজ করতে পারে না। তাই অন্যকে নিয়ে তার কাজ এগিয়ে নিতে হয়। এজন্য প্রয়োজন মানুষের সক্ষমতাকে বুঝতে পারা। তা না হলে ভুল মানুষের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করলে সময় ও সম্পদ দুয়েরই অপচয় হয়। [ জানা-অজানা 360 ]

📝সততা

পেশাগত জীবনে সততার গুরুত্ব অপরিসীম। যেকোনো পেশায়, কী চাকরি, কী ব্যবসায় সততার চর্চা না থাকলে তা বেশিদিন টেকে না। আর তাতে উন্নতিও করা সম্ভব হয় না। সততাকে তাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

🤝সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবাপন্ন হওয়া

একে অন্যকে সহযোগিতা করলেই সুন্দরভাবে প্রত্যেকেই নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। তাই কর্মক্ষেত্রে সহযোগিতাপূর্ণ মনোভাবাপন্ন মানুষের আধিক্য বিশেষভাবে প্রত্যাশিত। সেজন্য নিয়োগদাতারা এমন ব্যক্তিকেই নিয়োগ দেন ও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব অর্পণ করেন, যারা অন্যকে সহযোগিতা করেন।
তথ্যসূত্রঃ দেশ রূপান্তর, ১২/০১/২৫ খ্রি.

৪৭তম বিসিএসের আবেদন করবেন যেভাবে🟠বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এবার শূন্য পদ...
12/01/2025

৪৭তম বিসিএসের আবেদন করবেন যেভাবে🟠

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এবার শূন্য পদের সংখ্যা ৩ হাজার ৪৮৭টি। গত ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় আবেদন শুরু হয়ে চলবে ২০২৫ সালের ৩১ জানুয়ারি রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। আবেদনের খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করেছেন ৪১তম বিসিএসের শিক্ষা ক্যা*ডারের মাসুম কামাল।

সার্কুলারটি ভালোভাবে পড়ুন

প্রথমেই পিএসসির ওয়েবসাইট থেকে ৪৭তম বিসিএসের সার্কুলারটি ডাউনলোড করুন এবং সংরক্ষণ করুন। এরপর সার্কুলারটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ভালোভাবে পড়ুন। এতে আবেদনের শর্ত, বিভিন্ন ক্যা*ডারের পদসংখ্যা, যোগ্যতা ও অন্যান্য বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা পাবেন। [fb.com/janaojanaa360]

ক্যা*ডার চয়েস করুন

বিসিএসে কারিগরি বা পেশাগত ও সাধারণ মিলিয়ে মোট ২৬টি ক্যা*ডার রয়েছে। প্রতিটি ক্যা*ডারের দায়িত্ব, সুযোগ-সুবিধা এবং চ্যালেঞ্জ আলাদা। জ্যেষ্ঠদের কাছ থেকে বা অনলাইনের বিভিন্ন মাধ্যম (পত্রিকা, ফেসবুক, ইউটিউব) থেকে ক্যা*ডারগুলোর বিস্তারিত জেনে নিন। মনে রাখবেন, একবার ক্যা*ডার চয়েস দেওয়ার পর তা পরিবর্তনের সুযোগ নেই। তাই ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিন।

প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংগ্রহে রাখুন

আবেদনের জন্য আপনাকে ব্যক্তিগত ও শিক্ষাগত যোগ্যতার তথ্য জমা দিতে হবে। তাই এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স, মাস্টার্সের সনদপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হাতের কাছে রাখুন।
[fb.com/janaojanaa360]

ছবি ও স্বাক্ষর

আবেদনের জন্য সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি (৩০০/৩০০ পিক্সেল) এবং স্বাক্ষর (৩০০/৮০ পিক্সেল) প্রয়োজন। নির্ধারিত ফরম্যাটে ছবি ও স্বাক্ষর সাইজ করে কম্পিউটারে অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নিন। এগুলো ফোন বা পেনড্রাইভে সংরক্ষণ করুন, কারণ আবেদন থেকে যোগদান পর্যন্ত এগুলো দরকার হতে পারে। [ জানা-অজানা 360 ]

আবেদন নিজে করুন

সম্ভব হলে নিজের আবেদন নিজেই সম্পন্ন করুন। অন্য কারও সাহায্য নিলে আবেদন জমা দেওয়ার আগে সব তথ্য যাচাই করে নিন। ভুল তথ্য দিয়ে আবেদন করলে সমস্যা হতে পারে।

কেন্দ্র নির্বাচন

বিসিএস পরীক্ষা আটটি বিভাগীয় শহরে অনুষ্ঠিত হয়। প্রিলিমিনারি ও লিখিত পরীক্ষা একই কেন্দ্রে দিতে হবে এবং কেন্দ্র পরিবর্তনের সুযোগ নেই। তাই নিজের সুবিধাজনক পরীক্ষার কেন্দ্র নির্বাচন করুন। [fb.com/janaojanaa360]

ভুল হলে করণীয়

আবেদনে কোনো ভুল হলে নতুন করে আবেদন করুন। তবে অবশ্যই পেমেন্টের আগে এটি করতে হবে। পেমেন্ট সম্পন্ন হওয়ার পর নতুন করে আবেদন করার সুযোগ থাকবে না। প্রয়োজনে পিএসসির সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করুন।

পরীক্ষার আসন বিন্যাস এলোমেলো করে বসানো হয়। তাই একই সঙ্গে আবেদন করলে একসঙ্গে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাবেন, এমন ধারণা থেকে বিরত থাকুন। শেষ মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা না করে সময়মতো সব তথ্য যাচাই করে আবেদন সম্পন্ন করুন। সবার জন্য শুভ কামনা রইল।

অনুলিখন: আনিসুল ইসলাম নাঈম
তথ্যসূত্র: আজকের পত্রিকা, ১২/০১/২৫ খ্রি.

বিসিএস ছেড়ে করপোরেটে সফল🟠সফট স্কিল ট্রেনিংবিষয়ক প্রতিষ্ঠান শার্পনারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নজর-ই-জ্বিলানী তি...
11/01/2025

বিসিএস ছেড়ে করপোরেটে সফল🟠

সফট স্কিল ট্রেনিংবিষয়ক প্রতিষ্ঠান শার্পনারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) নজর-ই-জ্বিলানী তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছেন। তিনি করপোরেট ট্রেইনার হিসেবেও বেশ পরিচিত। সম্প্রতি তিনি আজকের পত্রিকাকে তাঁর করপোরেট জীবনের অভিজ্ঞতার গল্প শুনিয়েছেন। সে গল্প তুলে ধরেছেন মো. খশরু আহসান।

প্রশ্ন: আপনার ক্যারিয়ারের শুরুর গল্পটা কেমন ছিল?

উত্তর: আমি পড়ালেখা শেষ করে ১৯৮৫ সালে বিসিএসে কোয়ালিফাই করি, তবে জয়েন করিনি। বিসিএস ছেড়ে মাল্টিন্যাশনাল করপোরেশন ফাইজারে যোগ দিয়েছিলাম। যেটা ছিল বাধাহীন ক্যারিয়ার গড়ার একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দীর্ঘ ২৫ বছর আমি ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিতে কাজ করেছি। চ্যা*লেঞ্জ গ্রহণ করতে যেহেতু আমার ভালো লাগে, সেহেতু এরপর জয়েন করলাম অটোমোবাইল খাত রানার মটরসের জিএম (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসে) হিসেবে। তিন বছর পর প্রমোশন পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির মার্কেটিং অ্যান্ড সেলসের ডিরেক্টর হই। [fb.com/janaojanaa360]

পেশাগত জীবনে কোম্পানি চেঞ্জ করাটা বেশ স্বাভাবিক এখন। কিন্তু পুরো ইন্ডাস্ট্রি থেকে ডাইভার্ট হয়ে যাওয়া খানিকটা চ্যালেঞ্জিং। আমি ইচ্ছে করেই সেটি করেছিলাম। কারণ, আমি দেখতে চেয়েছিলাম, আমি পারি কি না। তারপর জয়েন করলাম আকিজ ফুড অ্যান্ড ব্রেভারেজের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর হিসেবে। ক্যারিয়ারে এই তিন ধরনের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করেছি। আমার আজীবনেরই ইচ্ছে ছিল, নিজের একটা কোম্পানি প্রতিষ্ঠান করা। এখন সেটি করতে সক্ষম হয়েছি, নাম শার্পনার। ২০১৮ সাল থেকে শার্পনার নিয়ে আছি।

প্রশ্ন: সেলসে আসার জন্য কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হয়?

উত্তর: তার আগে বলি, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বেশি সুযোগ হলো সেলসে। কারণ এটি এমন একটি জায়গা, যেখানে ১২ মাসের ফলনের মতো। মানে ১২ মাসই চাকরি পাওয়া যায়। সেলসে ভালো করলে তাকে কেউ আটকে রাখতে পারে না। সে সফল হবেই। অতএব বাংলাদেশ এবং সারা পৃথিবীতেই ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্টের সবচেয়ে বেশি সুযোগ হলো সেলসে। এমনকি সেটি নন টেকনিক্যাল মানুষের জন্যও। যেকোনো বিষয় থেকে পড়েও সেলসে কাজের সুযোগ পাওয়া যায়। একবার এই অবস্থানে ভালো করতে পারলে ‘পয়সা’ এবং ‘পজিশন’—দুটির সর্বোচ্চ স্থানে যাওয়া সম্ভব।
[fb.com/janaojanaa360]

তাহলে প্রস্তুতিটা কী? প্রস্তুতির প্রথম ধাপ হলো, নিজের ইগোকে গিলে খেয়ে ফেলতে হবে। সেলসে কাস্টমারের কাছে যেতে হবে এবং প্রচুর ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে। সততা থাকতেই হবে। আমার এক সিনিয়র বলতেন, হোয়েন আ সেলসম্যান লাইজ, হি ডাইজ। মিথ্যে বললেই সে মারা যাবে। যে ইন্ডাস্ট্রিতে সে থাকবে, সে ইন্ডাস্ট্রি সম্পর্কে জানতে হবে। দেশীয় অর্থনীতি, বৈশ্বিক অর্থনীতি সম্পর্কে তাকে জানতে হবে এবং তাকে সেলসের পাশাপাশি ধীরে ধীরে ফিন্যান্স, অ্যাডমিন, অ্যাকাউন্টস সম্পর্কেও জ্ঞানার্জন করতে হবে।

প্রশ্ন: আপনার লেখা বই সম্পর্কে বলুন।

উত্তর: বই দুটোর পেছনে গল্প একটাই। করোনার পূর্বে আমাদের এখানে একটা আলোচনা ছিল ‘ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রে*ভল্যু*শন’। আরেকটা হলো, আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা ক্যারিয়ারে ওপরের দিকে যেতে পারছে না। এই দুটো আইডিয়াকে মাথায় রেখে আমি প্রথম লিখলাম ‘এক্সিকিউটিভ ট্যু এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর’। সোজা কথা যেটা আমার ডেজিগনেশন। কারণ আমার নিজের প্রফেশনাল লাইফ শুরু এক্সিকিউটিভ হিসেবে। শেষ হলো, এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর দিয়ে। আপনাদের কথায় আমি সফল। অতএব সফল হতে গেলে কী প্রয়োজন হয়, সেটিই এখানে লেখা আছে। [fb.com/janaojanaa360]

প্রথম বইতে ১২ মাসের ১২টি নাম দিয়ে টপিক করা হয়েছে। আবার জানুয়ারি মাসের ৩০ দিনের জন্য ৩০টি লেখা আছে। ফেব্রুয়ারি মাসের ২৮ দিন হলে, ২৮টি লেখা আছে একই বিষয়ের ওপরে। যেমন: গোল সেটিং, হার্ড ওয়ার্ক ইত্যাদি। ১২টি ফুল দিয়ে মালাটা গাঁ*থা। বইটি উপন্যাসের না। প্রতিদিনের অংশ প্রতিদিন পড়ে উপলব্ধি করতে হবে। বইটিতে অনেক কিছুর মিশ্রণ যেমন: ইতিহাস, ধ*র্ম, ভূগোল, সাহিত্য—সবকিছু মিলিয়ে আছে।

সেকেন্ড বই হলো, রোড ট্যু বিকামিং আ সিইও। আমরা দেখলাম আমাদের পাশের দেশের অনেকেই বড় বড় অবস্থানে বসে সিইও হয়ে আমাদের সুযোগগুলো নিয়ে যাচ্ছে। তাহলে আমাদের ছেলেমেয়েরা কেন পারছে না? আমি ভারত-শ্রীলঙ্কার কর্মীদের সঙ্গে কাজ করেছি। অতএব আমাদের সঙ্গে তাদের পার্থক্যটা আমি জানি।

প্রশ্ন: সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার লেখালেখি নিয়ে বলুন।
[fb.com/janaojanaa360]

উত্তর: আমার বোধ থেকে আমি লিখেছি। আমার ছেলেমেয়েরা মানুষ হয়ে যাওয়া মানেই আমার দায়িত্ব শেষ না। দেশের আরও অনেক মা-বাবার ছেলেমেয়ে আছে। তাদের মা-বাবাও পরিশ্রম করে, কষ্ট করে পড়ালেখা করাচ্ছেন। আমার দক্ষতার জায়গা থেকে তাদের গাউডলাইনের জন্য লিখেছি। সবার আগ্রহের জায়গা দেখে আমার ভালো লাগে। সবার ফিডব্যাক শুনে আমি উৎসাহ পাই। আমার জীবনের সময় থেকে যে সময় দিয়ে আমি লিখি, তা সবার ভালো লাগবে, এমন না। তবে যে কজনের ভালো লাগে, সেটিই আমাকে আনন্দিত করে।

প্রশ্ন: শার্পনারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে কী ভাবছেন?

উত্তর: শার্পনারের পরিকল্পনা অতীতে যা ছিল, এখন যেমন, ভবিষ্যতেও তাই। শুধু শর্ট টার্মকে লং টার্মে লিংক আপ করতে চাই। শার্পনার তরুণ প্রজন্মের দুটো জায়গা নিয়ে কাজ করে।
এক, সফট স্কিল। [ জানা-অজানা 360 ]
দুই, এথিক এবং মোরাল জায়গায়। অবজেকটিভ যদি জানতে চান, তবে বলব আমি আরও বেশি পরিমাণ তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছাতে চাই।

আমাদের দেশের অধিকাংশ ছেলেমেয়েরা জানে না, তাদের জীবনের গোল কী। জীবনে গোল এবং পারপাস ঠিক করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ দুটির মধ্যে পার্থক্য আছে। আমাদের সামাজিক অবক্ষয়ের অন্যতম কারণ হলো, আমাদের মাঝে নীতিনৈতিকতা আর মূল্যবোধ নেই। এই দুটি জায়গা নিয়েই আমি কাজ করতে চাই। শুধু দেশে না, দেশের বাইরেও। নীতিনৈতিকতার সঙ্গে কোনোভাবেই কম্প্রোমাইজ করা যাবে না। এই সম্পর্কে আমি একটু সচেতন করতে চাই।
তথ্যসূত্রঃ আজকের পত্রিকা, ১১/০১/২০২৫ খ্রি.

আইইএলটিএস লিসেনিং (পর্ব-১.৬)✒️📝[গত সংখ্যার পর। আগের পর্বগুলোর লিংক কমেন্ট বক্সে]১৮। সময়ের সঠিক ব্যবহার (টাইম ম্যানেজমেন্...
11/01/2025

আইইএলটিএস লিসেনিং (পর্ব-১.৬)✒️📝

[গত সংখ্যার পর। আগের পর্বগুলোর লিংক কমেন্ট বক্সে]

১৮। সময়ের সঠিক ব্যবহার (টাইম ম্যানেজমেন্ট)

কাউকে যদি অফুরন্ত সময় দেওয়া হতো, তিনি হয়তো সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে পারতেন। কিন্তু বাস্তবতা বড় কঠিন। এখানে সময়ের স্বল্পতা রয়েছে। এটিও পরীক্ষার অংশ।

সুতরাং জানতে ও শিখতে হবে, কীভাবে অল্প সময়ে সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যায়। টিপসগুলো জেনে অধিক অনুশীলনের মাধ্যমে দক্ষতাটি অর্জন সম্ভব।

১৯। রেকর্ডিংয়ে খেই হারিয়ে ফেললে

রেকর্ডিং একবার শুরু হলে চলতে থাকে। রেকর্ডিংটি শুধু একবারই চলে। তাই কোনো অংশ মিস করলে কোনোভাবেই সেটি আবার শোনার ব্যবস্থা নেই। হতে পারে রেকর্ডিংয়ে আপনি হারিয়ে গেছেন—কী বলছে, কোন প্রশ্নের অংশ নিয়ে কথা বলছে, তা বুঝতে পারছেন না ইত্যাদি। এ অবস্থা চলতে থাকলে একটির পর একটি প্রশ্নের জবাব মিস করতে থাকবেন। তখন ঘাবড়ে যাওয়া অস্বাভাবিক নয়। এমনটি হলে কী করবেন— [fb.com/janaojanaa360]

⊲ আগে থেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে যে এমনটি হতেই পারে। মেনে নিন।

⊲ কোনোভাবেই ঘাবড়ানো যাবে না। মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে। ঘাবড়ে গেলে ক্রমাগত পরবর্তী প্রশ্নের উত্তরও মিস করতে থাকবেন।

⊲ প্রশ্নপত্রে একটু সামনে (পরবর্তী প্রশ্নে) গিয়ে খেয়াল করুন, প্রশ্নের সঙ্গে রেকর্ডিং মেলান। একটু খেয়াল করলে খেই ফিরে পাবেন।

⊲ এখানে খেই ফিরে পাওয়ার একটি সহজ উপায় রয়েছে। সাধারণত যে অংশে কোনো উত্তর থাকে না, রেকর্ডিংয়ের সেই অংশে প্রশ্নপত্রে যা রয়েছে, তা হুবহু বলে থাকে। এখানকার কথায় কোনো প্যারাফ্রেজ বা অন্য কোনো কৌশল অবলম্বন করে না। সুতরাং সুযোগটি আমরা কাজে লাগাতে পারি। রেকর্ডিং শুনে প্রশ্নপত্রে পরবর্তী প্রশ্নের যে অংশে প্রশ্ন নেই, সে অংশ খেয়াল করলে তা পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।

⊲ হারিয়ে না যাওয়ার আরেকটি উপায় হলো, রেকর্ডিং শোনার সময় দুটি প্রশ্ন একসঙ্গে খেয়াল রাখা। সে ক্ষেত্রে একটি প্রশ্ন মিস করলেও পরেরটা তো রয়েছেই। একসঙ্গে পরপর দুটি প্রশ্ন মিস করার সম্ভাবনা নেই বললে চলে। তবে এমনটির জন্য কঠিন অনুশীলন প্রয়োজন।

২০। উত্তরপত্রে সঠিক উত্তর ওঠানো

লিসেনিংয়ের উত্তরপত্রে উত্তরগুলো ওঠানোর জন্য রেকর্ডিং শেষ হওয়ার পর ১০ মিনিট আলাদা সময় দেওয়া হয়। এখানে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন উত্তরগুলো ক্রমানুসারে থাকে, ব্যাকরণ ও বানানে সঠিক হয়। উত্তরগুলো ক্যাপিটাল লেটার অথবা ছোট হাতের অক্ষরে (লোয়ার কেস) লিখতে পারেন। যেটাই করুন না কেন, পুরো উত্তরপত্রে যেকোনো একটি পদ্ধতি ব্যবহার করতে হবে (অবশ্যই)। [fb.com/janaojanaa360]

২১। শেষ পর্যন্ত শুনুন

প্রশ্নপত্রের শেষ অবধি পৌঁছানোর পরও রেকর্ডিং চলতে থাকে। আপাতদৃষ্টিতে মনে হবে যে রেকর্ডিং শোনা বন্ধ করা যেতে পারে, এমনটি মোটেও করবেন না। কারণ, তখনো জরুরি কোনো নির্দেশনা থাকতে পারে। তা ছাড়া কখন উত্তরপত্রে উত্তর লেখা শুরু করবেন, তা এখানে বলে দেয়।

২২। অনুমান করুন

যদি কোনো প্রশ্নের উত্তর ধরতে ব্যর্থ হন, তবে অনুমান করুন। এখনই সময়। ধারণা করুন, সম্ভাব্য একটা উত্তর দিন। উত্তরপত্র অবশ্যই ফাঁকা রাখবেন না। কারণ, ভুল উত্তরের জন্য কোনো নম্বর কাটা যায় না। [fb.com/janaojanaa360]

২৩। লিসেনিং একটি দক্ষতা

অনেকে বলে, লিসেনিংয়ে ভালো করতে কী লাগে? এটা তো নিছক কিছু শোনা। আমি তো কানে ভালোই শুনি। কানে ভালো শুনতে পাওয়া আর ইংরেজি কথোপকথন শুনে তার মর্ম অনুধাবন করা ভিন্ন জিনিস। আবার অনেকে মনে করে, এটি আল্লাহপ্রদত্ত, ওরা পারে, আমি পারি না। বিষয়টি এমন নয়। এটি একটি দক্ষতা। পড়াশোনা করে টিপসগুলো শিখে অনুশীলনের মাধ্যমে এসব দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব। আর তা করতে হলে আমাদের লেখাগুলো শেষ অবধি অনুসরণ করুন। এখানে অনেক জটিল বিষয় খুব সহজভাবে ব্যাখ্যা করে ক্রমানুসারে তুলে ধরা হয়েছে। সঙ্গে রয়েছে অনেক টিপস, যা কম সময়ে বেশি স্কোর তুলতে সাহায্য করবে। [ জানা-অজানা 360 ]

[পাঠদান–২: লিসেনিংয়ের শুরু (আগামী সংখ্যা)]
লেখা: এ টি এম মোজাফফর হোসেন, সেলটা ও মোস্তাকিম শুভ, সেলটা
তথ্যসূত্র: আজকের পত্রিকা, ১১/০১/২০২৫ খ্রি.

সফল ব্যক্তিদের ৯ অভ্যাস🟠সফল ব্যক্তিরা অন্য আর দশজন মানুষের মতোই। তাদের ভিন্ন করে তোলে তাদের কিছু অভ্যাস। যে কেউ এই অভ্যা...
10/01/2025

সফল ব্যক্তিদের ৯ অভ্যাস🟠

সফল ব্যক্তিরা অন্য আর দশজন মানুষের মতোই। তাদের ভিন্ন করে তোলে তাদের কিছু অভ্যাস। যে কেউ এই অভ্যাসগুলো আয়ত্ত করে তিনি নিজেও হতে পারেন সফল। সফল ব্যক্তিদের ৯ অভ্যাস নিয়ে লিখেছেন এজাজ পারভেজ

🎯পরিষ্কার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন

সফল ব্যক্তিরা তাদের লক্ষ্য সম্পর্কে নিঃসন্দেহ থাকেন। তারা যেকোনো কাজ করার আগে স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে নেন। এর ফলে কাজে মনোযোগ নিবদ্ধ করা সহজ হয়। চিত্তবিক্ষেপ ঘটে না। আপনিও যদি সফল হতে চান, তাহলে যেকোনো কাজ শুরুর কাজে স্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে নিন। কাজ ও সময়সীমা ভেদে লক্ষ্য নানা রকম হতে পারে। যেমন, দৈনন্দিন লক্ষ্য, মাসিক লক্ষ্য, বাৎসরিক লক্ষ্য। [fb.com/janaojanaa360]

⏰অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সময় বণ্টন করুন

জীবন সময়ের সমষ্টি। আমরা সময়কে যেভাবে কাজে লাগায় আমাদের জীবন তেমন হয়ে ওঠে। সময়ের সদ্ব্যবহার তাই সফল হওয়ার অন্যতম পূর্বশর্ত। প্যারেটো তত্ত্বানুসারে, আমাদের জীবনের শতকরা ৮০ ভাগ সফলতা নির্ভর করে শতকরা ২০ ভাগ চেষ্টার ওপর। অর্থাৎ এমন কিছু বিষয় আছে যে বিষয়গুলোতে মনোযোগ দিলে আমাদের জীবন অনেকাংশে সফলতার ক্ষেত্রে এগিয়ে যাবে। এই ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে সেখানে সময় ও শ্রম ব্যয় করতে হবে। যেমন, পড়াশোনা, পরিবারকে সময় দেওয়া, পেশাগত দায়িত্বপালন প্রভৃতি ব্যাপারে কোনো কোনো আপস করা যাবে না।

⌛শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনে অভ্যস্ত হন

সফল ব্যক্তিরা হুট করে কোনো কাজ করেন না। তাদের জীবন পরিকল্পিত। নিজেকে তারা একটি নিয়মে আবদ্ধ করেছেন, যা তাদের দৈনন্দিন জীবনকে করেছে মসৃণ। এই রুটিন ও নিয়ম তাদের প্রয়োজনীয় কাজটি করার পর্যাপ্ত সময় ও শক্তির উৎস। যারা আত্মশৃঙ্খলাকে পরাধীনতা মনে করে, তারা জীবনে সফল হতে পারে না। [fb.com/janaojanaa360]

☃️গোছালো হন

বলা হয়ে থাকে, পরিকল্পনা হলো যেকোনো কাজের অর্ধেক। তাই কোনো কাজ শুরু করার আগে পরিকল্পনা করুন। প্রয়োজনীয় তথ্য ও সরঞ্জামাদি গুছিয়ে রাখুন। এর ফলে মনোযোগের ব্যত্যয় ঘটবে না। অল্পতে হাঁপিয়ে পড়বেন না। ঘুম থেকে ওঠার পরে বিছানা গোছান, ফিল্টার থেকে পানি পাত্রে ভরার পরে ফিল্টারে আবার পানি ভরুন। বাইরে থেকে এসে জুতা, মোজা, বেল্ট, ম্যানিব্যাগ, চাবি প্রভৃতি যেখানে সেখানে না ফেলে জায়গা মতো রাখুন। এই গোছালো স্বভাব আপনার অনেক সময় বাঁচিয়ে দেবে।

✒️শেখার কোনো শেষ নেই

‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র’। কবি ঠিকই বলেছেন, শেখার কোনো শেষ নেই। যে কারও কাছ থেকে, যে কোনো বয়সে শেখা যায়। তাছাড়া পৃথিবী প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হলে খেয়াল রাখতে হবে জ্ঞান, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিতে নতুন কী কী যোগ হচ্ছে।

👍ইতিবাচক সঙ্গে বাঁচুন

ইতিবাচক সঙ্গ আপনাকে আশা জোগায়, আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। যারা আপনার সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করেন তাদের কথা ও কাজে হতোদ্যম হয়ে পড়বেন। তাই তাদের সঙ্গ পরিহার করুন। যারা আপনার লক্ষ্য অর্জন করতে উৎসাহ জোগায়, নানাভাবে সাহায্য করে তাদের সঙ্গে থাকার চেষ্টা করুন। [fb.com/janaojanaa360]

😊কৃতজ্ঞ হন

যা আমরা অর্জন করতে চায় সেদিকে বেশি লক্ষ্য দিতে গিয়ে প্রায়শই আমরা ভুলে যাই আমাদের কী কী আছে। আমাদের শক্তি সম্পর্কে আমরা সচেতন থাকি না। ফলে আমাদের চারপাশে থাকা বহু সম্পদ ব্যবহারের সুযোগ থাকলে ব্যবহার করতে পারি না। অথচ এই সম্পদ ব্যবহার করলে লক্ষ্য অর্জনের যাত্রা অনেক মসৃণ হতে পারত। এই চোরাবালি থেকে মুক্তি পেতে নজর ফেরাতে হবে নিজের দিকে। ভেবে দেখতে হবে কী কী আমাদের আছে। এবং তার জন্য কৃতজ্ঞতা পোষণ করতে হবে।

🎯ব্যর্থতাকে শেখার সুযোগ হিসেবে নিন

ব্যর্থ হলে মুচড়ে পড়বেন না। একে শেখার একটি সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করুন। এডিসন বৈদ্যুতিক বাতির টেকসই ফিলামেন্ট আবিষ্কারের জন্য ১০ হাজারবার পরীক্ষা চালিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, আমি ১০ হাজারবার ব্যর্থ হয়নি। বরং আমি জেনেছি, ওই ১০ হাজার প্রকারের উপকরণ দ্বারা টেকসই ফিলামেন্ট তৈরি সম্ভব নয়। এডিসনের মতো আপনিও ব্যর্থতাকে শেষ হিসেবে না দেখে শেখার সুযোগ হিসেবে দেখুন। [ জানা-অজানা 360 ]

🤔কল্পনা নয়, কাজ

অনেকেই আকাশ-কুসুম কল্পনা করে সময় নষ্ট করে। পরিকল্পনা আর সফলতার মাঝে যে ধাপটি থাকে তা হলো, কাজ। পরিকল্পনার শেষ যেখানে কাজের শুরু সেখানে। কাজবিহীন পরিকল্পনা শুধু কল্পনা হিসেবে বিবেচিত হয়। তাই, ব্যর্থতার ভয় না করে কাজে নেমে পড়ুন। কাজই আপনাকে সফলতার দিকে নিয়ে যাবে।
তথ্যসূত্র: দেশ রূপান্তর, ১০/০১/২০২৫ খ্রি.
#সফলতা

আইইএলটিএস লিসেনিং (পর্ব-১.৫) 📝[গত সংখ্যার পর। আগের পর্বগুলোর লিংক কমেন্ট বক্সে...]১৪। ফাঁ*দ (ট্র্যা*প)গ। কথায় সহসাই দিক ...
09/01/2025

আইইএলটিএস লিসেনিং (পর্ব-১.৫) 📝

[গত সংখ্যার পর। আগের পর্বগুলোর লিংক কমেন্ট বক্সে...]

১৪। ফাঁ*দ (ট্র্যা*প)

গ। কথায় সহসাই দিক (তথা ঘটনা) পরিবর্তন—রেকর্ডিংয়ে বক্তা একটি বিষয়ে বলছে। কিছু প্রশ্নের সঙ্গে মিলেও যাবে। তবু সেটি উত্তর নয়। কারণ, কিছুক্ষণ পর হঠাৎ অন্য কিছু নিয়ে বলা শুরু করল, যা আগের বিষয় থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এটি একধরনের ফাঁদ। এখানে সর্বশেষ যে কথাটি বলবে, সেটি সত্য, সেটিই টিকবে। আগেরগুলো পরিবর্তিত হয়েছে বিধায় সেগুলো আর টিকবে না।

উদাহরণ: আমি জাদুঘরটি আগামী শনিবার দেখতে যাব। ওহ! না। শনিবার তো আমার একটা জরুরি কাজ আছে। আমি বুধবারে যেতে পারব আশা করি।
[fb.com/janaojanaa360]

প্রশ্ন: বক্তা কবে জাদুঘর দেখতে যাবে?

উত্তর: (শনিবার) বুধবার

টিপস: এখানে বক্তা প্রথমে এক কথা বলবে, পরে সেটি আবার পরিবর্তন করে ফেলবে। এটি কোনো সংখ্যা, দিন, তারিখ, ঘটনা ইত্যাদি হতে পারে। এ ক্ষেত্রে রেকর্ডিংয়ের সঙ্গে সঙ্গে নোট টেকিং করে যেতে হবে। যদি কথা পরিবর্তিত হয়, তবে আগেরটা কেটে দিয়ে নতুনটা লিখতে হবে। এমন করে যতবারই পরিবর্তন করুক, শেষেরটিই হবে সঠিক উত্তর।

ঘ। সঠিক তথ্য-উপাত্ত, ঘটনা সম্পর্কে জানা—লিসনিংয়ে রেকর্ডিং শোনার সময় ঘটনার বর্ণনায় সব তথ্য-উপাত্ত যেমন ঘটনার সময়, দিন, তারিখ, স্থান ইত্যাদি (উত্তর না হলেও) খেয়াল করতে হবে এবং তা লিসনিং বুকে লিখে রাখতে হবে। যদি কিছু মিস হয়ে থাকে, সে ক্ষেত্রে পরে প্রশ্নের উত্তরে কাজে লাগতে পারে। রেকর্ডিংয়ের মধ্যে উত্তর থাকে, তবে পুরো কথোপকথন নয়। সুতরাং জানতে হবে, বুঝতে হবে কোথায় উত্তরগুলো থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
[fb.com/janaojanaa360]

ঙ। সকল শর্ত পূরণ—কোনো পরিস্থিতিতে ছোট-বড় অনেক শর্ত দেওয়া থাকতে পারে। সব শর্তের দিকেই লক্ষ রাখতে হবে।

রেকর্ডিং: ১ম বর্ষের সব ছাত্রই শিক্ষাসফরে যেতে পারবে, তবে বিদেশি ছাত্র ব্যতীত।

প্রশ্ন: ১ম বর্ষের সব ছাত্রই শিক্ষাসফরে যেতে পারবে।

উত্তর: সত্য/মিথ্যা (কারণ বিদেশি ছাত্ররা যেতে পারবে না)

১৫। বাক্যের শব্দগুলো আলাদা করা এবং বুঝতে পারার দক্ষতা—অনেক সময় কিছু বাক্য বোঝা যায় না, বিশেষ করে যখন বক্তা খুব দ্রুত কথা বলে যায়। অনেক সময় বাক্যও বড় হয়।

টিপস: সে ক্ষেত্রে কার্যকরী উপায় হলো, ওই বাক্যগুলোর প্রতিটি শব্দ আলাদা করে শুনে বুঝতে পারার দক্ষতা অর্জন করা। প্রয়োজন হলে একই রেকর্ডিং রিওয়াইন্ড করে বারবার শুনুন। দেখবেন, একটু অনুশীলনে পারছেন আপনিই।

১৬। শুনুন আর লিখে যান—ধরুন, আপনি পরীক্ষাকেন্দ্রে। প্রশ্নপত্র আপনার সামনে। এমনকি রেকর্ডিং শুরু হয়ে গেছে। ইতিমধ্যে আপনি জানেন প্রশ্নগুলো কী (উত্তরের জন্য কী জানতে হবে)। এখন শুধু শুনুন আর লিখে যান। ক্ষণপরেই আপনি ভুলে যাবেন একটু আগে কী শুনেছেন। তাই লিখে রাখুন সব। [ জানা-অজানা 360 ]

১৭। সংক্ষিপ্ত লিখতে শিখুন (শর্টহ্যান্ড)

লিসনিংয়ের প্রশ্নপত্রে আপনি যা খুশি লিখতে পারেন। সুতরাং রেকর্ডিং শোনার সঙ্গে সঙ্গে লিখতে থাকুন। সব তথ্য-উপাত্ত লিখে রাখা ভালো। তবে বাস্তবে তা সম্ভব নাও হতে পারে। তাই শর্টহ্যান্ডে লেখা শিখুন। শর্টহ্যান্ডে লেখার পদ্ধতি নিজে নিজেই বের করে নিন। চেষ্টা করে দেখুন।

উদাহরণ: ১ম বক্তা: আমি থমাস বব। আমি উদ্ভাবনী ব্যবসা নিয়ে কাজ করছি।

২য় বক্তা: আমি জন স্মিথ। আমি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছি।

৩য় বক্তা: আমি জন ডগলাস। আমি পিস থেরাপি নিয়ে কাজ করছি।

শর্টহ্যান্ড হতে পারে:
বব—ব্যবসা
স্মিথ—কেমি ইঞ্জি
ডগ—পিস থেরাপি

[পর্ব-১.৬ আগামী সংখ্যায়]
লেখা: এ টি এম মোজাফফর হোসেন, সেলটা ও মোস্তাকিম শুভ, সেলটা
তথ্যসূত্র: আজকের পত্রিকা, ০৯/০১/২০২৫ খ্রি.

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when জানা-অজানা 360 posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to জানা-অজানা 360:

Videos

Share