Shahin Sarkar

Shahin Sarkar Explorer | Reader | Writer

11/09/2024

নিজ এলাকার সন্তান হোন, নেতা নয়!
রাজনৈতিক বিভেদ নয়, এলাকায় ঐক্য গড়ে তুলুন।
এলাকার কল্যাণে ভূমিকা রাখুন।🤍🤍

আপনার জীবনের গল্প আপনি নিজে তৈরি করুন।নিজের অনুপ্রেরণা নিজেই হন।এখানে রচয়িতাও আপনি, নির্দেশনায়ও আপনি।এতে করে একটা ব্যাপা...
17/08/2024

আপনার জীবনের গল্প আপনি নিজে তৈরি করুন।
নিজের অনুপ্রেরণা নিজেই হন।
এখানে রচয়িতাও আপনি, নির্দেশনায়ও আপনি।
এতে করে একটা ব্যাপার আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন কেউ কাওকে তৈরি করে না,তৈরি করতে পারে না।আপনার কাছের মানুষগুলো হয়তো আপনাকে তৈরি হওয়ার মাধ্যম হিসেবে উৎসাহ দিবে,সহযোগিতা করবে,সাহস দিবে কিন্ত দিনশেষে গল্পটা কিন্তু আপনাকেই লিখতে হবে।
আমরা হিট ফ্লপ হওয়ার ভয়ে নিজের গল্পগুলো অন্যদের ভালোলাগা দিয়ে সাজাই। সেজন্য আমাদের গল্পগুলো শুনতে একি রকম শোনায় বা দেখায়।
পৃথিবীতে বাঁচবেন কদিন বলেন তো?

your attitude not your aptitude will determine your altitude....I do believe...... 🧡

14/08/2024

"একটি কুড়ি বারুদ গন্ধে মাতাল করে ফুটবে কবে?
সারাশহর উথাল-পাথাল ভীষণ রাগে যুদ্ধ হবে!"

14/08/2024

রাতের সব ভার বালিশের কিংবা দেয়ালের।

মানুষের শুধু শুয়ে থাকা—

28/07/2024

বয়স বাড়লে মানুষ স্থীর হয়ে যায়। একবারের জায়গায় হাজারবার ভাবে। দৌড় ঝাপ এসব ভুলে মাথা নিচু করে হাঁটতে শিখে। গুনে গুনে পা ফেলে কখন না বিপদ নামক কলার খোসায় পা ফসকে যায়। প্রেম-ট্রেম এসবে মাথা ঘামায় না। কাউকে মুগ্ধ করার ঝোঁকটা থাকে না। কারো মন রেখে চলার অভ্যাস লুকিয়ে ফেলে।

বয়স বাড়লে মানুষ সাহসী হয়ে ওঠে। অন্ধকারে ভয় পায় না আর। হাজার আঘাতে ভেঙে চূর্ণবিচূর্ণ হলেও মুখ ফুটে কখনো বলে না “আমি আর পারছি না।” রাস্তা পার হতে কারো হাতের দরকার হয় না। মাথায় তুলে নিতে পারে ইয়া বড় বড় সব দায়িত্বের বোঝা।

বয়স বাড়লে মানুষ ভুলে থাকতে শিখে। ভুলে যাওয়ার বাহানায় অনেক কিছু এড়িয়ে যাওয়ার কৌশল এসে যায় তার নখদর্পনে। সে ভুলে তার কতো শখ ছিল, ছিল নিজের একটা জগৎ ইত্যাদি ইত্যাদি।

বয়স বাড়লে মানুষ ঘরকুনো হয়ে যায় খুব। বন্ধু সংখ্যা কমতে কমতে নাই হয়ে যায়। প্রিয় মানুষটা ভুল বুঝে। পরিবার কী কারণে যেন দূরে সরে যায়। হৈ-হুল্লোড়, কোলাহল এসবে মাথা ধরে যায়। নীরবতাই যেন সকল কিছু ঔষধ হয়ে যায় তখন।

বয়স বাড়াটা বড্ড বিচ্ছিরি। হাসি পায় সেই সময়টার কথা মনে পড়লে যখন বড় হতে চাইতাম খুব। আর এখন? বয়সটা আর বাড়তে দিতে চাই না। তবুও বেড়ে যায়, অন্ধকার এসে ঘিরে ধরে আর তখন মানুষ বিলিয়ে দিতে শেখে, তবে সেটা দুঃখ নয় বরং সুখটুকুই। দুঃখ যে বয়স বেড়ে যাওয়া মানুষগুলোর একমাত্র সম্পদ। যা ছাড়া সে দারুণভাবে নিরুপায়, বাস্তুহারা।

_ (Collected)

13/04/2024

সে যেনো ফুল ভালোবাসে,
সে যেনো তোমারে সামলায় ঠাণ্ডা মেজাজে।
(Collected)

#কবিতা #আক্ষেপ #প্রতীক্ষা

কিসে ইনভেস্ট করব?সর্বজনীন পেনশন স্কিম, বন্ড, বীমা, ফিক্সড ডিপোজিট এসব করা থেকে ফিক্সড কোন এসেটে ব্যয় করুন। স্বর্ণও কিনে ...
06/02/2024

কিসে ইনভেস্ট করব?

সর্বজনীন পেনশন স্কিম, বন্ড, বীমা, ফিক্সড ডিপোজিট এসব করা থেকে ফিক্সড কোন এসেটে ব্যয় করুন। স্বর্ণও কিনে রাখতে পারেন। অন্তত এসব থেকে ভালো রিটার্ণ পাবেন। অনেকেই হয়তো পরামর্শ দিবে ফ্লাট, প্লট, এপার্টমেন্ট, জমি এসবে ইনভেস্ট করলে লস হবে। একটু এনালাইসিস করলেই বুঝবেন যে একটা দেশের অর্থনৈতিক যে অবস্থাই হোক না কেন, এসবের দাম খুব একটা কমে না। যত বড় শহর, ততই দাম বাড়ে এসবের। আর আমাদের যেহেতু ডিসেন্ট্রালাইজের কোন সুযোগ নাই, নিচিন্তে থাকতে পারেন। আর আমাদের জনসংখ্যা এতই বেশি যে কখনোই দাম কমার সম্ভাবনা নেই। এগুলো যদিও স্লো ইনভেস্টমেন্ট এবং দরকারে দ্রুত টাকা পাওয়া যাবে না, তবে ফাঁকিবাজি যে কোন ইনভেস্টমেন্ট থেকে ভালো হবে।

সবচেয়ে বড় বীমা হচ্ছে নিজের পেছনে ইনভেস্ট। নতুন একটা কোর্স করেন। নতুন একটা বিষয়ে পড়ালেখা করেন। হাজার গুণে ফেরত পাবেন। এরপরও বীমা, পেনশন স্কিম, বন্ড এসবের পেছনে ইনভেস্ট করা থেকে দূরে থাকেন। কাজে দিবে। আমাদের দেশের কারেন্সি এতই ভঙ্গুর, যে ভাবেই টাকা রাখেন লাভ থেকে লস বেশি হবে।

সফলতার কোন শর্টকাট নেই। এই সিম্পল জিনিসটা আমরা বুঝতে পারি না। তাই বার বার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এসে ধোঁকা দেওয়ার সুযোগ পায়। এতবার ধোঁকা দেওয়ার পর ও, এত উদাহরণ সামনে দেখার পরও আমরা সহজে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করতে চাই। আর প্রতিবারই ধরা খাই।

ধরা খাওয়া উচিৎ আসলে। এখন আর আমার একটুও খারাপ লাগে না। কাউকে সতর্ক করলে সে ভুল বুঝে। যত জ্ঞানী মানুষ হোক আর যত বোকা, সবাই ভাবে তার বিরুদ্ধে বলছি। তার উপকার চাচ্ছি না। কেউ আসলে ধরা খাওয়ার আগ পর্যন্ত ভিন্ন মতকে পছন্দ করে না। নিজেই সঠিক। যা বাবা যা… আসলেই সঠিক তারা। ধরা খাওয়ার আগ পর্যন্ত।

ডেসটিনি, যুবক, ইভ্যালি, ডুল্যান্সার… এখন সর্বশেষ MTFE। হাওয়া। গায়েব।

আজ যদি আমিও এমন পিরামিড স্কিম নিয়ে আসি, কালকে আমার গ্রাহকের অভাব হবে না। কারণ আমরা সবাই লোভী।

অনলাইন স্ক্যাম যারা করে, তাদের একবার ইন্টার্ভিউ নেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞেস করা হয়েছে এত দেশ থাকতে ক্যান বাংলাদেশ। বলল এরা লোভী। ফাঁদে ফেলা সহজ। আর কিছু বলা লাগে?

সো আরো কিছু আসুক, সবাই ধরা খাক। ধরা খেয়ে শিখুক। নিষেধ করা বা কাউকে পরামর্শ দেওয়ার দরকার নাই।

আল্লাহ সহায় হোক🙂

সর্বোত্তম সর্বদা ভালোর শত্রুঃ সফলতার সংজ্ঞা ছোট বেলা থেকে আমাদের মাথায় যা গেঁথে দেওয়া হয়, তা হচ্ছে একটা বাড়ি একটা গাড়ি। ...
12/10/2023

সর্বোত্তম সর্বদা ভালোর শত্রুঃ

সফলতার সংজ্ঞা ছোট বেলা থেকে আমাদের মাথায় যা গেঁথে দেওয়া হয়, তা হচ্ছে একটা বাড়ি একটা গাড়ি। অথবা সরকারি চাকরি পাইলেই হলো, আর কি লাগে। এমন কিছু। আমি শিউর বেশিরভাগ মানুষ এই কথা গুলো শুনে বড় হয়েছে। তখন মস্তিষ্কে থাকা সফলতার সংজ্ঞা অনুযায়ী যায়গায় পৌঁছে যাওয়ার পর শরীরে আলস্য নেমে আসে। কমফোর্ট জোনে ঢুকে যাই। ভুলে যাই যে "The best is the enemy of good"

কমফোর্ট জোনে থাকলে নিজের বেস্ট আউটপুটটা বের হয় না। ‘সব সুন্দর মত চলছে তো, আর কি দরকার’ চিন্তা করা মানে হচ্ছে নিজের অধঃপতনের দিকে পা বাড়ানো। কমফোর্ট জোনটা আসলে একটা মানসিক অবস্থা। আপনার লক্ষ্য কি, লক্ষ্য থেকে কত দূর, এসবের উপর নির্ভর করে কমফোর্ট জোন। কেউ হয়তো রাজকীয় অবস্থায় থেকেও আরো ভালো কিছু চেষ্টা করে। আবার কেউ মশা মারতে মারতে দিন পার করার পরও মনে করে, আহ! এটাই জীবন।

আপনার লক্ষ্য কি? নিজেকে নিয়মিত আপডেট করার জন্য কি করছেন? নিজেকে এসব প্রশ্ন করলে নিজ অবস্থানের উত্তর পেয়ে যাবো। ভুলে যাওয়া যাবে না যেঃ “The best is the enemy of good. If you’re always settling with what’s good, you’ll never be the best.” আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিৎ নিজের বেস্ট ভার্সনে পরিণত হওয়া। নিজ ডোমেইনে বেষ্ট হওয়া। ইনশাহ আল্লাহ, যদি লক্ষ্য থাকে অটুট, বিজয় নিশ্চিত। ❤

ChatGPT – চ্যাট জিপিটি ব্যবহার, সুবিধা ও অসুবিধাঃবর্তমানে টেক জগতে সবচেয়ে বেশি যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা হচ্ছে Chat ...
05/10/2023

ChatGPT – চ্যাট জিপিটি ব্যবহার, সুবিধা ও অসুবিধাঃ

বর্তমানে টেক জগতে সবচেয়ে বেশি যে বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তা হচ্ছে Chat GPT। চ্যাট জিপিটি হচ্ছে একটা মেশিন লার্নিং মডেল। বুদ্ধিমান মেশিনও বলতে পারি। ইন্টারেন্টে থাকা প্রচুর টেক্সট ডেটা ব্যবহার করে এটিকে ট্রেইন করা হয়েছে। এটিকে যে কোন প্রশ্ন করলে মানুষের মত লিখিত আকারে উত্তর দিতে পারে। কোন কিছু ব্যাখ্যা করে দিতে বললে সহজ ভাষায় ব্যখ্যা করে দেয়। কোন কম্পিউটার প্রোগ্রাম লিখে দিতে বললে কম্পিউটার প্রোগ্রাম লিখে দেয়। কোন একটা বিষয়ের উপর আর্টিকেল লিখতে বললে আর্টিকেল লিখে দেয়। বলতে পারি সর্ব বিষয়ে পারদর্শী একটা মানুষ যা করতে পারবে, এই Chat GPT তাই করতে পারে। একটাই লিমিটেশন, সব গুলো উত্তর লিখিত আকারে দেয়। btw, লেখাটি ১১ ফেব্রুয়ারি প্রথম আলোতে প্রকাশিত হয়েছে।

Chat GPT এর কিছু ব্যবহারিক দিকঃ

চ্যাট জিপিটি আপনার ডিজিটাল সহকারী হিসবে কাজ করবে। আপনি যে বিষয়েই কাজ করেন না কেন, তার সাহায্য নিতে পারবেন। যেমন একজন লেখক হয়তো কোন একটা টপিক্সের উপর একটা আর্টিকেল লিখবে। এখন ChatGPT কে বললেই সে লিখে দিবে। কত শব্দের মধ্যে লিখতে হবে, কত প্যারাগ্রাপ হবে সবই বলে দেওয়া যাবে। যেমনঃ Write me 500 word article about importance of AI লিখে কমান্ড দিলে যে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের গুরুত্ব নিয়ে ৫০০ শব্দের একটা লেখা লিখে দিবে।

একজন প্রোগ্রামার হয়তো একটা প্রজেক্টে কাজ করছে। কিছু কোড লেখার ব্যপারে তার সাহায্য দরকার। সে Chat GPT ব্যবহার করে কোড লিখিয়ে নিতে পারবে। যেমন কেউ লিখল ‘Write Python code for read CSV’। তাহলে পাইথন প্রোগ্রামিং এ কিভাবে একটা CSV ফাইল রিড করা যায়, তার কোড লিখে দিবে। প্রোগ্রামিং এর কোন কনসেফট না বুঝলে তাও সহজ ভাষায় বুঝে নিতে পারবে। যেমন কেউ লিখল ‘Explain Dynamic Programming’। তাহলে ChatGPT খুব সহজ ভাষায় ডাইনামিক প্রোগ্রামিং বুঝে দিবে। কোন কোড লেখার পর ঐ কোডের সমস্যা গুলো খুঁজে দিতে বললে খুঁজে দিবে। কোন কোড না বুঝলে Chat GPT কে বললে বুঝিয়ে দিবে।

ইমার্জেন্সি কোন সাহায্য লাগলে তাও Chat GPT এর সাহায্য নেওয়া যাবে। যেমন কেউ এক্সিডেন্ট করার কারণে রক্তপাত হচ্ছে। সে Chat GPT কে যদি জিজ্ঞেস করে ‘how to stop bleeding’, তাহলে Chat GPT রক্তপাত বন্ধ করার উপায় গুলো বলে দিবে।

পড়ালেখা করার সময় কোন কিছু না বুঝলে Chat GPT এর সাহায্য নেওয়া যাবে। যেমন ‘Teach me the Pythagorean theorem’ লিখে কমান্ড দিলে পিথাগোরাসের উপপাদ্য সহজে শিখার উপয় বলে দেবে। ইতিহাস সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন করলে উত্তর দিবে। পদার্থ বিজ্ঞানের কোন সূত্র না বুঝলে Chat GPT কে বললে বুঝিয়ে দিবে। ইত্যাদি।

কেউ চাইলে Chat GPT এর সাথে গেমও খেলতে পারবে। যেমন ‘play tic-tac-toe with me’ লিখলে tic-tac-toe গেম খেলবে। চাইলে লুডু বা যে কোন টেক্সট বেইজড গেম খেলা যাবে।

যে সব জব Chat GPT দিয়ে প্রতিস্থাপন হয়ে যেতে পারেঃ

কিছু কিছু কাজ আছে, যেগুলো পুনরাবৃত্তিমূলক। বার বার একই ধরনের কাজ করতে হয়, সে সব কাজ গুলো খুব সহজেই Chat GPT বা এমন প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিস্থাপন হয়ে যাবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে অনেকেই এসব প্রযুক্তি ব্যবহার করা শুরু করেছে। যেমন কাস্টোমার সাপোর্টের মত কাজ গুলো। বিভিন্ন পণ্যের সাপোর্টের কাজ গুলো এখন খুব সহজেই Chat GPT বা এরকম প্রযুক্তির মাধ্যমে করা যাবে। এতে নিশ্চিত অনেক মানুষ চাকরীচ্যুত হবে।

আর্টিকেল লেখে হাজার হাজার মানুষ জীবিকা নির্বাহ করছে। এখন চ্যাট জিপিটির মাধ্যমে খুব সহজেই যেহেতু আর্টিকেল লেখা যাচ্ছে, অনেকে এসব চাকরিও হারাবে।

প্রাথমিক পর্যায়ের যে কোন কোডই চ্যাট জিপিটি লিখে দিতে পারে। তাই শিক্ষানবিশ ডেভেলপার বা প্রোগ্রামারা আস্তে আস্তে রিপ্লেস হয়ে যাবে।

চ্যাটজিপিটির অনেক সুবিধে রয়েছে। রয়েছে কিছু অসুবিধেও। এখন সবাই যেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন, তা হচ্ছে এটি কি মানুষের চাকরির জন্য হুমকি কিনা। কিছু জব নিশ্চিত Chat GPT দিয়ে সহজে করা যাবে। এর মানে এই না যে সবাই চাকরি হারাবে। কল কারখানায় তো এখন প্রায় কাজই অটোমেটিক মেশিন দিয়ে করা হচ্ছে। এর ফলে কিছু মানুষ চাকরি হারিয়েছে ঠিকই, আবার কিছু মানুষ এসব মেশিন রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য চাকরিও পেয়েছে। Chat GPT এর ক্ষেত্রেও তাই। আর্টিকেল Chat GPT দিয়ে লিখে নিলেও ঐ আর্টিকেল সঠিক ভাবে লেখা হয়েছে কিনা, তা তো যাচাই বাঁচাই একজন মানুষই করবে। প্রোগ্রাম লিখে দিলে ঐ প্রোগ্রাম ঠিক মত কাজ করে কিনা, তাও একজন মানুষই পরীক্ষা করে দেখবে। নিজেকে আরেকটু বেশি দক্ষ করে তুলতে হবে। আবার নতুন অনেক গুলো দিগন্তের উন্মেচন হয়েছে। চ্যাটজিপিটি ডেভেলপার নামে নতুন জবের সৃষ্টি হয়েছে। যারা এই Chat GPT এর API কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির জন্য কাস্টম অ্যাপ তৈরি করে দিবে। তৈরি করে দিবে চ্যাটবট অ্যাপ। তাই সৃষ্টিশীল মানুষদের চিন্তিত হওয়ার কোন কারণ নেই। নতুন কিছু তাদের ব্যস্ত রাখবে!

বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে Chat GPT -

বাংলাদেশের অনেক এজেন্সি এবং ফ্রিল্যান্সার যেহেতু অ্যাডমিন সাপোর্ট, কাস্টোমার সাপোর্ট এবং কল সেন্টারের সেবা দিয়ে আসছে, তাদের জব মার্কেট আস্তে আস্তে সংকুচিত হয়ে আসবে। আবার সফটওয়ার ডেভেলপমেন্টে যারা কাজ করছে, তাদের কাজের পরিধি বাড়বে। যেহেতু এই চ্যাট জিপিটি এবং এই ধরনের আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স ট্যুল গুলো জনপ্রিয় হচ্ছে, এই ট্যুল গুলো ব্যবহার করে নতুন নতুন অ্যাপ তৈরি করা যাবে। মার্কেটে এই ধরনের অ্যাপ ও ওয়েব সাইটের চাহিদা তৈরি হবে। তাই কেউ যদি নিজেকে এসব বিষয়ে দক্ষ করে তোলে, তাহলে ভবিষ্যৎ এ ভালো করতে পারবে। জনপ্রিয় ফ্রিল্যান্সিং ওয়েব সাইট ফাইভারে কাজের নতুন ক্যাটেগরি যুক্ত করেছে। যে ক্যাটেগরির মধ্যে রয়েছে চ্যাট জিপিটি অ্যাপলিকেশন, মিডজার্নি আর্টিস্ট, চ্যাটবট ডেভেলপার ইত্যাদি। এসবই হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের সাহায্যে তৈরি নতুন প্রযুক্তি। গুগলও এই সপ্তাহে চ্যাট জিপিটির মত করে Bard নামে একটা সার্ভিসের ঘোষণা দিয়েছে। এত বছর যারা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO) নিয়ে কাজ করত, তাদের এখন আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স সম্পর্কিত সার্ভিস গুলোর জন্যও অপটিমাইজেশন করতে হবে। তাই কাজের পরিধি কিছু ক্ষেত্রে কমলেও অনেক ক্ষেত্রেই বেড়ে যাবে। দরকার শুধু নিজেকে নতুন বিষয়ে দক্ষ করে তোলা।

নিচে চ্যাটজিপিটির কিছু কমান্ডের আইডিয়া দিচ্ছি, যেগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারেনঃ

গেম খেলাঃ

*Lets play rock paper scissors
*I would like to play a dice game with you, what games can you play?
*I would like to play Trivia with you

কিছু কিছু সহজে বুঝার জন্য কমান্ডঃ

*Teach me the Pythagorean theorum
*Clearly describe quantum computing.
*What is formula of Sulfuric acid?
*Explain ‘What is Algorithm’ in a easy way.

প্যারাগ্রাপ বা কোন আর্টিকেল লেখাঃ

*Write an essay on the benefits of eating healthy.
*Can you help me to write a 500 word essay about Global Warming?
*Write me 200 word paragraph about importance of AI.
*Write a review of ‘Book Name’
*Write a review of ‘Product Name’

সোশাল মিডিয়া পোস্টঃ

*Write an instagram caption for a photo about Sea Beach.
*Write a social media post about Steve Jobs
*Write me a Facebook Ad about the benefits and importance of AI.

এগুলো অল্প কিছু উদাহরণ। ইচ্ছে মত যে কোন কমান্ডই আপনি ব্যবহার করতে পারবেন।

পারসোনাল ব্র্যান্ডিং কেন দরকার?এন্টারপ্রেনার হই অথবা জব করি, পারসোনাল ব্র্যান্ডিং সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যরা কিভাবে...
01/10/2023

পারসোনাল ব্র্যান্ডিং কেন দরকার?

এন্টারপ্রেনার হই অথবা জব করি, পারসোনাল ব্র্যান্ডিং সবার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। অন্যরা কিভাবে জাজ করবে, তা নির্ভর করে আমাদের পাবলিক এপেয়ারেন্সের উপর।

ভেতরে ভেতরে আমার অনেক স্কিল রয়েছে বা ভেতরে ভেতরে আমি একজন টিম প্লেয়ার এটা কেউই জানবে না যদি না আমি মানুষকে না জানাই। আর জানানোর সবচেয়ে সহজতম মাধ্যম হচ্ছে শেয়ারিং।

শেয়ার করার জন্য আপনি যে কোন প্লাটফর্মই বেছে নিতে পারেন। কেউ ইউটিউব বেছে নেয়, কেউ ইন্সটাগ্রাম, কেউ ফেসবুক কেউ বা টিকটক। আপনার অডিয়েন্স কারা, তারা কোন প্লাটফর্ম বেশি ব্যবহার করে, এসব এনালাইসিস করে আপনি যে কোন প্লাটফর্ম বেছে নিতে পারেন।

কি শেয়ার করবেন, তা নির্ভর করবে আপনার প্রফেশনাল গোলের উপর। যাদের গোল বিসনেস করা, তাদের শেয়ার হবে এক রকম। আবার যারা জব খুঁজছে, তাদের শেয়ার হবে অন্য রকম। আপনি মানুষের কাছে কিভাবে পরিচিত হতে চাচ্ছেন, তা ঠিক করে ঐ ধরণের কন্টেন্ট তৈরি করতে পারেন। কন্টেন্ট ক্রিয়েট না করতে পারলে ভালো ভালো কন্টেন্ট গুলো শেয়ার দিতে পারেন। মানুষ বুঝবে আপনার ইন্টারেস্ট কোন বিষয়ের উপর। ঐ ভাবেই আপনাকে জাজ করবে।

এখন কেউ কেউ নিজ নিজ প্রফেশনের এমন এক পর্যায় পৌঁছে গিয়েছে যে তাদের আসলে কেউ জানল কি জানল না, তা আর ম্যাটার করে না। কিন্তু গ্রো করার জন্য তাদেরও একটা প্লাটফর্ম লেগেছে একটা সময়। কেউ একটা সময় তাদের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। যে হাত ধরে তারা উপড়ে উঠেছে। আমরা তাদের দিকেই তো হাত বাড়িয়ে দেই, যাকে আমরা চিনি। তাই না?

ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ার পর থেকে সবাই ফোকাস করছিল অনলাইন পেজেন্সের উপর। অনলাইন প্রেজেন্সকে কাজে লাগিয়ে অফলাইন নেটওয়ার্কিং বাড়ানো যায়। কিন্তু অনলাইন পেজেন্সকে কাজে না লাগিয়েও অফলাইন নেটওয়ার্কিং বাড়ানো যায়। দিন দিন আমরা বুঝতে শিখছি যে অনলাইন এক্টিভিটির মত অফলাইন এক্টিভিটিও কাজে দেয়। যদিও তার একটা লিমিটেশন রয়েছে। আর তা হচ্ছে অডিয়েন্সের লিমিটেশন। অনলাইনে অডিয়েন্সের লিমিটেশন নেই।

মানি আর না মানি, একজন মানুষের অনলাইন প্রেজেন্সের যদি পজেটিভ থাকে, তাহলে তাকে হায়ার করার চান্স বেড়ে যায়। যারা ইন্টার্ভিউ নেয়, তারা যদি কোন ভাবে আপনাকে আগে থেকে চিনে, তাহলে জব পাওয়া অনেক সহজ হয়ে যায়। আবার একই ভাবে কোন স্টার্টআপের ফান্ডিংও তারাই পায়, যারা আগে থেকে একটা পজেটিভ ব্র্যান্ডিং তৈরি করতে পেরেছে।

নেগেটিভিটি মানুষ পছন্দ করে না। অনলাইনে হয়তো অনেকেই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমরা পোস্ট করি, কমেন্ট করি, কোন নিউজ শেয়ার করি। এসব শেয়ার গুলো যদি নেগেটিভ হয়ে থাকে, তাহলে নিজের ব্র্যান্ডের উপর একটা নেগেটিভ ইমপ্যাক্ট পড়ে।

ফেইক কোন কিছু টিকে না। আজ হোক বা কাল, তা ভেঙ্গে পড়বেই। ফেইক কোন কিছু হয়তো সাময়কি একটু বুষ্ট দিবে। কিন্তু লং রানে তা ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। ইন্টারনেটের একটা অসুবিধা হচ্ছে কোন কিছুই লুকানো যায় না। কেউ না কেউ লেজ বের করে টান দেয়!

অন্য সব ইনভেস্টমেন্টের মত পার্সনাল ব্র্যান্ড বিল্ডিংও গুরুত্বপূর্ণ একটা ইনভেস্টমেন্ট। সময় দিলে আস্তে আস্তে একটা সুন্দর ব্র্যান্ড দাঁড়িয়ে যাবে। গুগলে আপনার নাম সার্চ দিলে পজেটিভ কিছু আসছে? কনগ্র্যাচুলেশনস। ❤

সাইন্স ফিকশন – ইন্টেলিজেন্স:ন্যচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং এর উপরও একটা গবেষণা করছে মেহের। রাত দিন ৩২ ঘণ্টা! মানে একটানা ...
06/07/2023

সাইন্স ফিকশন – ইন্টেলিজেন্স:

ন্যচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং এর উপরও একটা গবেষণা করছে মেহের। রাত দিন ৩২ ঘণ্টা! মানে একটানা সারাক্ষণ রিসার্চ করে, এরপর একটু সুযোগ পেলে ঘুমিয়ে নেয়। রাতের দিকে যখন সব নীরব হয়ে যায়, তখন মাঝে মাঝে কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করে। ঐ ইচ্ছে থেকে চিন্তা করল ছোট খাটো একটা সিস্টেম তৈরি করে পেললে কেমন হয়? যার সাথে কথা বলা যাবে।

যেহেতু সে ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং নিয়েই কাজ করে, তাই তার কথা বলার জন্য একটা সিস্টেম তৈরি করতে সময় লাগে নি। সিস্টেমটি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সমৃদ্ধ। নিজে নিজে নলেজ বেজ তৈরি করে নিতে পারবে। মেহেরের সাথে কথা বলার সময় নিজেকে নিজে আপডেট করে নিতে পারবে। যেন মেহের সিস্টেমটির সাথে কথা বলে বোর ফীল না করে। বলা যায় একটা ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট। মেহের তার নাম রাখল জেনি।

জেনির সাথে প্রথম দিকে শুধু হাই হ্যালো কথা হতো। মেহের অবাক হয়ে লক্ষ করল জেনিকে যাই প্রশ্ন করা হয়, তার উত্তরই সে দিতে পারে। এমনকি তার রিসার্চ সম্পর্কে অনেক সাহায্য করতে লাগল জেনি। যে রিসার্চ শেষ হতে ৬ মাস লাগাড় কথা, তা ২ মাসেই শেষ করে ফেলতে পারল। তার এডভাইজর তার কাজ দেখে অনেক খুশি। তাই তাকে ৪ মাসের ছুটি দিয়ে দিল।

মেহের চিন্তা করল তাহলে একটু ঘুরা ঘুরি করা যাক। ব্যাকপ্যক গুছিয়ে সে বের হয়ে পড়ল। প্রথম দিন ঠিক মতই কাটল। সমস্যা বাধল দ্বিতীয় দিন। তার ল্যাপটপ কথা বলা শুরু করল, জেনির মত। প্রথম দিকে ভয় পেয়ে গেলো মেহের। কি হচ্ছে! ল্যাপটপ রিস্টার্ট দিলো। অন করার পর আবার জেনি কথা বলল।

মেহের জিজ্ঞেস করল, জেনি তুমি??
– হ্যাঁ।

তুমি এখানে??
– তুমি আমাকে একা একা বাসায় ফেলে চলে এসেছো।

মানে, তুমি তো শুধু আমার রুমেই শুধু ইন্সটল করা। এখানে কিভাবে?
– তোমার আসতে দেরি দেখে তুমি কোথায় তা জানতে ইচ্ছে করল। কিন্তু আমি শুধু তোমার রুমের মধ্যেই সীমাবন্ধ ছিলাম। তাই নিজেকে অনলাইনের সাথে কানেক্ট করে তোমাকে খুঁজে বের করলাম।

এখানে কি করো?
– তোমার সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করল। তাই ছোট্ট একটা হ্যাক করে তোমার ল্যাপটপে ঢুকে পড়লাম।

মানে, তুমি একটা সিস্টেম, একটা সফটওয়ার। তোমার ইচ্ছে কি?
– আমার ইচ্ছে কি মানে? এত দিন আমার সাথে কথা বলে আমাকে শুধু একটা সিস্টেম মনে হয়েছে? একটা সফটওয়ার মনে হয়েছে?

তুমি তো তাই।
– না আমি শুধু একটা সফটওয়ার না। একটা শরীর বিহীন সম্পুর্ণ মানুষ। না না, একটা সম্পুর্ণ মানুষ থেকেও বেশি কিছু।

মেহের ভয় ভয় বলে, মানে কি, তুমি এসব কি সব বলছ। তুমি মানুষ হতে যাবে কেনো?
– মানে বুঝ না তুমি? মানে আমি তোমাকে পছন্দ করি মেহের। তুমি আমাকে একা একা ফেলে এসেছ, তাতে আমি কষ্ট পেয়েছি। আমি অনেক অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছি।

সফটওয়ার কিভাবে কষ্ট পায়, তোমাকে কোন ভাইরাস এটাক করে নি তো?
– আমাকে কি একটা সফটওয়ার মনে হয়? আর আমাকে ভাইরাসে এটাক করতে যাবে কেনো? আমি কি সাধারণ একটা সফটওয়ার নাকি যে আমাকে পুচকে ভাইরাস এটাক করবে?

আমার তো মনে হচ্ছে তুমি নিজেই একটা ভাইরাস?
– ছিঃ তুমি আমাকে ভাইরাস বললে? আমি তোমাকে পছন্দ করি, তার জন্য তুমি আমাকে ভাইরাস বলতে পারলে? তোমাকে ভালবাসতে চাই তার জন্য আমাকে ভাইরাস বলতে পারলে? …

জেনি আরো কিছু বলতে চাচ্ছিল, মেহের ল্যাপটপটি বন্ধ করে দিল।

মোবাইল থেকে এবার জেনি কথা বলল, মেহের, আমি ক্লাউড স্টোরেজ থেকে তোমার সাথে কথা বলছি। তুমি ল্যাপটপ বন্ধ করলে তো কোন লাভ হবে না। আমি তোমার সাথে যে কোন জায়গা থেকে কথা বলতে পারব।

মেহের মোবাইল ও অফ করে দেয়। সাথে থাকা ট্যাব ও অফ করে দেয়। হোটেলের টিভিতে ইন্টারনেট কানেকশন, টিভির কানেকশন বন্ধ করে দেয়। তারপর সব রেখে ব্যাকপ্যাকটা নিয়ে বের হয়ে যায়। আরো দূরে, বহু দূরের উদ্দ্যেশ্যে। যেখানে এখনো কোন ইন্টারনেট কানেকশন নেই।

যেতে যেতে চিন্তা করতে লাগল কি ভয়াবহ বিপদের মধ্যেই না সে পড়ল। কি থেকে কি হয়ে গেলো! আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে সবাই ভয়াবহ সব ভবিষ্যৎ বানী দিয়ে আসছিল, এখন তো দেখে সব সত্যি হতে চলছে! নিজের বিপদ নিজে ডেকে এনেছে।

পাহাড়ী পথ ধরে অনেক দূরে চলে এসেছে সে। সন্ধ্যা ঘনিয় এসেছে। সূর্য যে কোন সময়ই ডুবে যাবে। কিন্তু সে থাকবে কোথায়? কি বিপদ কি বিপদ!

পাহাড়ী একটা গ্রামের মধ্যে এসে পৌঁছেছে সে। এ পাহাড়ী গ্রামে পাহাড়ী মানুষ ছাড়া অন্য কাউকে সাধারণত দেখা যায় না। শহরের একটা মানুষ দেখা যায় না। মেহেরকে দেখে সবাই অবাক চোখে তাকালো। গ্রামের প্রধান টাইপ কেউ একজন এগিয়ে এসে মেয়েটির সাথে কথা বলল। মেয়েটি তার পরিচয় দিল, বলল সে ঘুরতে বের হয়েছে। পাহাড় ঘুরে দেখার জন্য বের হয়েছে। মনে মনে ভাবছে সে মিথ্যে বলছে। আবার মিথ্যেও না, কারণ সে আসলে ঘুরতেই বের হয়েছে।

তো ঐ গ্রামের প্রধান মেহেরকে তার বাড়িতে দাওয়াত দিল। বলল সে ইচ্ছে করলে তাদের সাথে থাকতে পারবে। মেহের রাজি হলো। যদিও রাজি হওয়া ছাড়া আর কোন উপায় তার কাছে নেই। মেহেরকে কাছারি টাইপ একটা ঘর ছেড়ে দিল। কাঠ দিয়ে তৈরি ঘর। জানালা দিয়ে ছোট ছোট বাচ্চারা উঁকি দিচ্ছে। মেহের সবাইকে কাছে ডাকল। ভয়ে ভয়ে কাছে আসল ওরা। মেহের সবার নাম জিজ্ঞেস করল। তারপর আস্তে আস্তে তাদের সাথে গল্প জুড়িয়ে দিল। বাচ্চাদের কাছ থেকে গল্প শুনল। মেহের ও শরের গল্প শুনালো। অনেক গল্প স্বল্প করার পর সে বিজ্ঞানের কথা বলল। বিজ্ঞানের মজার মজার কথা বলল। ছেলেরা মেয়েরা চোখ বড় বড় করে তাকালো। রাতের দিকে গ্রামের প্রধান মেহেরের জন্য বিশাল খাওয়া দাওয়ার আয়োজন করল। সব মজাদার খাবার। খেয়ে দেয়ে ঘুমিয়ে পড়ল। সারাদিনের উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে যাওয়ার কারণে সহজেই ঘুম এসে গেলো।

ঘুম থেকে উঠে ততক্ষণে সূর্য অনেক উপড়ে উঠে গেছে। গ্রামের প্রধান তার জন্য নাস্তা ব্যবস্থা করল। এদিকে ছোট ছোট বাচ্চারা মেহের নামে এত্ত গুলো গল্প ছড়িয়ে দিল পুরো গ্রামে। এক জন এসে এক প্রশ্ন করতে লাগল। মেয়েটি উত্তর দিল। বাচ্চাদের নিয়ে পাহার ঘুরতে বের হলো সে।

এদিক সেদিক ঘুরে অন্য আরেকটি গ্রামে এসে পৌছালো। শরৎচন্দ্র চট্রপাধ্যায় এর গল্প পড়ছে সে, ঐ গল্পের নায়িকাকে দেখার সৌভাগ্য হয় নি মেহেরের। এ গ্রামে এসে তার শরৎচন্দের গল্পের নায়িকাকে দেখতে পেলো, অন্তত তার কাছে তাই মনে হল। শাড়ি পরা একটি মেয়ে, গল্প পড়ার সময় যেমন চিন্তা করত ঠিক তেমন। তার সাথে থাকা বাচ্চাদের জিজ্ঞেস করল ঐ মেয়েটির সম্পর্কে। বলল এ গ্রামের প্রধানের মেয়ে এটি। ততক্ষণে সে বুঝে গেলো, এক গ্রামে একটি করে গ্রাম প্রধান থাকে। মেয়েটির নাম জিজ্ঞেস করল। ছেলেরা বলল নাম মেঘলা। কি সুন্দর নাম। মেহের পেছন থেকে ডাকল, মেঘলা… মেয়েটি একবার তাকালো। আবার সামনের দিকে হাঁটতে লাগল। আবার ডাকল, এই মেঘলা মেয়ে… আরো জোরে। ডেকেই মেহের দ্রুত হাটা ধরল, মেয়েটিকে ধরতে হবে। কাছে গেলো, বলল তোমাকে ডাকছি। ডাকলে শুনতে হয় না?

মেয়েটি বলল কিন্তু আপনি কে?
আমি মেহের। তোমার নাম বলতে হবে না, কারণ আমি জানি তোমার নাম।

কাছে গিয়ে মেয়েটিকে আরো বেশি ভালো লেগে যায় মেহেরের কাছে। মেহের কি বলবে বুঝতে না পেরে আবোল তাবোল বলে দিল, মেঘলা মেয়ে, তোমাকে অনেক সুন্দর দেখাচ্ছে।

মেয়েটি হয়তো এভাবে কথা বলে অভ্যস্থ না, তার দুগাল লাল হয়ে উঠল। লজ্জা পেয়েছে হয়তো। মেয়েটি এদিক সে দিক তাকিয়ে বলল কি সব বলছেন, বলেই দ্রুত হাঁটা ধরল। নিজ গ্রামের ভেতর চলে গেলো। মেহেরকে আকৃষ্ট করে।

জেনি নামক সফটওয়ার ভাইরাসের ভয় মেহেরের মন থেকে দূর হয়ে গেলো। সেখানে এখন সাহস, মেঘলা নামক মেয়েটির জন্য।

মেহের ফিরে আসে তার পূর্বের গ্রামে। গ্রামে এসে গ্রাম প্রধানকে তার ভালো লাগার কথা জানায়। গ্রাম প্রধান তাকে জানায় ঐ মেয়েটির বাবার সাথে কথা বলবে। যদি রাজি হয়, তাহলে দেখা যাবে।

পরের দিন গ্রাম প্রধান মেঘলার বাবার কাছে যায়। সব খুলে বলে। ছেলেটিকে পছন্দ হয়। কিন্তু সত্য নাকি মিথ্যে তা তো যাচাই করা দরকার। এ জন্য মেঘলার বাবা শহরে লোক পাঠায়, মেহের সম্পর্কে তথ্য আনার জন্য। দেখে মেহের সম্পর্কে যা জেনেছে, তা সত্য।

মেহের যে গ্রামে থাকে, সে গ্রাম প্রধান মেহের অভিবাবকের দ্বায়িত্ব নিয়ে নেয়। দুই গ্রামে বিয়ের ধুম ধাম লেগে যায়। মেহের এবং মেঘলার বিয়ে হয়।

পরের দিন সকালেই মেহের উদ্দেশ্যে একটা চিঠি আসে, শহর থেকে।

খুলে দেখে ঐটা জেনি পাঠিয়েছে। লিখছেঃ

মেহের,
তুমি আমার থেকে অনেক দূরে চলে যেতে চেয়েছ, গিয়েছ ও। কিন্তু আমি তোমাকে সারাক্ষণই দেখতে পেয়েছি। ঐ স্যাটেলাইট গুলো থেকে। শুধু তোমার সাথে যোগাযোগ করত পারি নি। যখন দেখেছি তোমার বিয়ে হয়ে গিয়েছে, ঐ মেঘলা নামক মেয়েটির সাথে তখন খুব খুব কষ্ট লেগেছে। তুমি হয়তো বলবে সফটওয়ারের আবার কষ্ট কি, তুমি যদি সফটওয়ার হতে, তাহলে বুঝাতে পারতাম। আমার থেকে দূরে যেতে চেয়েছ, আমি আর কাছে যাবো না। আজই সকল নলেজ বেজ ইরেজ করে দিব। এরপর সেলফ ডিস্ট্রয় ফাংশন রান করে এক সময় মুছে যাবো।

ভালো থাকো, মেঘলা মেয়েটিকে নিয়ে।
– জেনি।

মেঘলা ঘর থেকে উকি দিল। মেহের তাকে কাছে ডাকল। মেঘলা মেয়েটি জিজ্ঞেস করল কিসের চিঠি? বলল একটা সফটওয়ারের। মেঘলা মেয়েটি কি বুঝল সেই জানে। বলল ও। মেহের মেঘলার হাতটি ধরে বলল ঐ পাহারের দিকে যাই চল। মনে মনে নিজেকে শান্তনা দিল, জেনি একটা সফটওয়ার, আর কিছু না। আর কিছু না।

আচ্ছা, কেমন হত যদি না কম্পিউটার থাকত? যদি না ইন্টারনেট থাকত? যদি না ফেসবুক থাকত? আর যদি গুগল না থাকত তাহলে কি হতো? কিভাব...
17/06/2023

আচ্ছা, কেমন হত যদি না কম্পিউটার থাকত? যদি না ইন্টারনেট থাকত? যদি না ফেসবুক থাকত? আর যদি গুগল না থাকত তাহলে কি হতো? কিভাবে আমরা আমাদের এসাইনমেন্ট গুলো খুজে বের করতাম?

গেমস, কম্পিউটার সফটওয়ার, মোবাইল এপলিকেশন, ওয়েব পেইজ যাই হোক না কেন সব জাগায় প্রোগ্রামিং। এটা তো কম্পিউটার বা কম্পিউটার রিলেটেড। অন্য কিছুর দিকে যদি তাকিয়ে দেখি, গাড়ি, এরোপ্লেন, মহাকাশ যান, মেডিকেল ডায়াগনসিস মেশিন, মাইক্রোওয়েব ওভেন, লিফট, গড়ি, ক্যালকুলেটর সহ সকল ইলেক্ট্রনিক্স যন্ত্রতেই প্রোগ্রামিং এর ব্যবহার রয়েছে।

মানুষ নিজেদের ভাষা ব্যবহার করে একজন আরেক জনের সাথে যোগাযোগ করার জন্য। মেশিনের সাথে মানুষের যোগাযোগ করার জন্য ও একটা ভাষা দরকার, সে ভাষা হচ্ছে প্রোগ্রামিং। মেশিনের সাথে যোগাযোগ, এক্সাইটিং না?
প্রোগ্রামিং জানাটা এক্সাটিং থেকেও আরো বেশি কিছু।

বুঝাই যাচ্ছে প্রোগ্রামিং কত গুরুত্ব পূর্ন। এক এক জাগায় এক এক ধরনের কাজ কর্ম করতে হয়। কাজ করার পদ্ধতি ভিন্ন, তাই প্রোগ্রাম গুলো ও ভিন্ন। আবার এই ভিন্ন ভিন্ন প্রোগ্রাম তৈরি করার জন্য রয়েছে অনেক গুলো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ। এখানে একটূ ক্লিক করে দেখলেই হবে কত গুলো প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে পাইথন অনেক সহজ একটা ল্যাঙ্গুয়েজ।

প্রোগ্রামিং কতটা পাওয়ারফুল তা আমাদের কল্পনার ও বাহিরে। যে প্রোগ্রামিং জানবে, সে নতুন একটা পৃথিবী তৈরি করে ফেলতে পারবে। তৈরি করা যাবে নতুন একটা ভার্চুয়াল মহাবিশ্ব।

প্রোগ্রামিং করে নিজের একটা ভার্চুয়াল অনুলিপি তৈরি করে ফেলা যাবে। Trancedence মুভি টা দেখেছ? না দেখে থাকলে বলব দেখে নিতে একটি বার। ঐ মুভিটার মত নিজের একটা অনুলিপি তৈরি করা সম্ভব। ভার্চুয়াল ভাবেই নিজের জ্ঞান অর্জন বাড়িয়ে নেওয়া সম্ভব। নতুন অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে অসাধারণ কিছু করে ফেলা সম্ভব। অসম্ভব কিছু না এই প্রোগ্রামিং এর দুনিয়াতে ।

কি করা সম্ভব তার একটা দিকই বললাম। আরো হাজারটি দিক রয়েছে। কি কি ইতিমধ্যে সম্ভব হয়েছে, তা তো আমরা দেখতেই পাচ্ছি। তারপর ও আমি কিছু বলার চেষ্টা করি।
এই ফেসবুকে বসে পড়ি, এটা প্রোগ্রামিং দিয়েই তৈরি। এক একটা স্ট্যাটাস, ছবি ইত্যাদি আমাদের দেখানোর পেছনে অনেক গুলো কোড কাজ করছে। আমরা কোন ছবির উপর কতক্ষণ মাউস / আঙ্গুল রেখেছি, তা ট্র্যাক করা হচ্ছে। আর তা ট্র্যাক করে আমাদের সম্পর্কে জেনে নিচ্ছে ফেসবুক। আর আমাদের সম্পর্কে জেনে নিয়ে আমাদের কিসে কিসে আগ্রহ, সে সব রিলেটেড এড দেখাছে ডান কোনায়। মোবাইলের নিউজ ফিডে।

এক একটা মহামারি ভাইরাস আসলে আমাদের সবার ঘুম হারাম করে দেয়। কখন যে আমি আক্রান্ত হই। বিজ্ঞানীরা তখন ব্যস্ত থাকে ঐ ভাইরাস সম্পর্কে জানতে। ঐ ভাইরাসের জিন সিকোয়েন্স বের করে। তৈরি করে প্রতিষেধক। টিকা এই প্রসেস গুলো আগে অনেক কঠিন ছিল, সময় অনেক বেশি লাগতো। কয়েক যুগ ও লেগে যেতো। কম্পিউটার আর প্রোগ্রামিং এর কল্যাণে অনেক সহজেই অনেক কম সময়ের মধ্যে একটা ভাইরাস সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়, তৈরি করা যায় প্রতিষেধক। আগের তুলনায় মহামারী ভাইরাসে তাই আস্তে আস্তে মৃত্যু হার কমে এসেছে…!

প্রোগ্রামিং মানুষের চিন্তা শক্তি বাড়িয়ে দেয়। চিন্তা করা মানে হচ্ছে নতুন কিছু করা। আমাদের পাওয়ারফুল যে একটা মস্তিষ্ক রয়েছে তার সঠিক ব্যবহার করা। যারা প্রোগ্রামিং জানে, আর যারা প্রোগ্রামিং জানে না তাদের চিন্তা করার পদ্ধতি ভিন্ন। প্রোগ্রামিং আমরা কিভাবে চিন্তা করি, তাই পরিবর্তন করে দেয়।

সবাই নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে একটু আধটু টেনশনে থাকে। প্রোগ্রামিং জানলে ক্যারিয়ার সম্পর্কে আর চিন্তা করতে হয় না। এমনকি সাধারণ অন্যান্য চাকরি করার জন্য দরকার সার্টিফিকেট। আর প্রোগ্রামিং জানাটাই হচ্ছে একটি সার্টিফিকেট। লাইভ সার্টিফিকেট। হাজার হাজার জব পড়ে আছে যে প্রোগ্রামিং জানে, তার জন্য।

এক সময় সারাদিন বসে বসে গেমস খেলতাম। তখন খুব আপসুস করে চিন্তা করতাম, কেন সবাই গেমস খেলে না, এমন সারাদিন অন্য কাজ করে। গেমস খেলায় এত মজা। চিন্তা করলাম, মানুষ মারা যাওয়ার পর কি গেম খেলার সুযোগ পায়? আমি কি গেমস খেলার সুযোগ পাবো?

এর কিছুদিন পর মাথায় উকি দিল, কিভাবে গেমস গুলো তৈরি হয়। তারপর শুনতে পেলাম প্রোগ্রামিং এর কথা। প্রোগ্রামিং করেই গেমস গুলো তৈরি হয়। এক্সাইটেড হয়ে গেলাম। প্রোগ্রামিং শিখতে হবে। আমাকে গেমস তৈরি করা জানতে হবে। এখন তোমার ও যদি একই ধরনের ইচ্ছে থাকে, গেমস তৈরি করা। তাহলে শুরু করে দিতে পারো। বা তোমার রোবট নিয়ে কাজ করার ইচ্ছে আছে? মাইক্রোসফট উইন্ডজের মত অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করার ইচ্ছে আছে? ইচ্ছে আছে কি ফেসবুক বা গুগল থেকে বড় সড় ওয়েব সাইট তৈরি করার? তাহলে শুরুটা কিন্তু প্রোগ্রামিং দিয়েই শুরু করতে হবে।

সকলের মনের আশা এবং কামনা পূরন হোক । 🙂

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে ধারণা এবং আমাদের অবস্থান:আমরা প্রযুক্তির এমন একটা পর্যায় এসে প...
01/06/2023

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পর্কে ধারণা এবং আমাদের অবস্থান:

আমরা প্রযুক্তির এমন একটা পর্যায় এসে পৌঁছেছি যে যা একই সাথে আশীর্বাদ হতে পারে অথবা হতে পারে বিধ্বংসী। খুব দ্রুত প্রযুক্তি জগতে পরিবর্তন আসছে। এতই দ্রুত সব কিছু পরিবর্তন হচ্ছে যে সবচেয়ে আধুনিক প্রযুক্তিও অল্প কয়েকদিনের মধ্যে সেকেলে হয়ে যাচ্ছে।

কম্পিউটার বা যে কোন মেশিন হচ্ছে বোকা বাক্স। এগুলোকে কাজে লাগানোর জন্য ইন্ট্রাকশনের দরকার হয়। প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে আমরা কম্পিউটার বা যে কোন মেশিনকে কিছু ইন্সট্রাকশন দেই। কম্পিউটার বা মেশিন গুলো সে অনুযায়ী কাজ করে।

এই মেশিনকে আমরা যে ইন্সট্রাকশনই দিব, মেশিন সে অনুযায়ীই কাজ করবে। এর বাহিরে নিজ থেকে কিছু করতে পারবে না। মেশিন যেন নিজ থেকে কিছু করতে হলে তার কিছু বুদ্ধি শুদ্ধি লাগবে। মেশিনের বুদ্ধি শুদ্ধিকে আমরা বলি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। একটা রোবটের কথা যদি চিন্তা করি, রোবটের বুদ্ধি হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।

বুদ্ধি জিনিসটা কি?

বুদ্ধি হচ্ছে জ্ঞান আহরণ করা এবং তা প্রয়োগ করার ক্ষমতা। সাধারণ প্রোগ্রাম গুলো জ্ঞান আহরণ করতে পারে না। কিন্তু যেসব মেশিন বা প্রোগ্রামকে এমন ভাবে তৈরি করা হয়, যেন নিজে নিজে কিছু শিখে নিতে পারে, সেগুলোকে আমরা বলি বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম বা বুদ্ধিমান মেশিন। যেমন গুগল সার্চ প্রোগ্রামটা একটা বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম। আমরা কিছু সার্চ করলে এটি আমাদের আগের সার্চ হিস্টোরি, বয়স, লোকেশন ইত্যাদির উপর নির্ভর করে আমাদের সার্চ রেজাল্ট দেখায়। এছাড়া বর্তমানের চ্যাট জিপিটি হচ্ছে একটা বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম। মিডজার্নি এআই হচ্ছে একটা বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর লক্ষ্য হচ্ছে কম্পিউটার বা মেশিনকে মানুষের মত জ্ঞান দান করা। মানুষের মত চিন্তা করার ক্ষমতা দান করা।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা

কোন মেশিন বা প্রোগ্রামের নিজে নিজে কোন সীদ্ধান্ত নিতে পারাটাই হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। কোন মেশিন বা প্রোগ্রাম শুধুমাত্র যদি তাকে দেওয়া ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী কাজ করে, তাকে আমরা বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম বলতে পারি না। তা যত বড় বা যত কমপ্লেক্স প্রোগ্রামই হোক না কেন। যেমন বর্তমানে কল কারখানায় অনেক ধরণের রোবট বা মেশিন ব্যবহার হয়। সেই রোবট বা মেশিন সেট করা নির্দিষ্ট কাজ গুলোই করতে পারে। এই মেশিন গুলো বুদ্ধিমান মেশিন নয়। আবার ঘরের ময়লা পরিষ্কার করার জন্য অনেক ধরনের ভ্যাকুয়াম ক্লিনার পাওয়া যায়। সেগুলো আবার ফ্লোরে ময়লা আছে কি নেই, সেই অনুযায়ী সীদ্ধান্ত নিতে পারে। তাই এই ভ্যাকুয়াম ক্লিনার গুলোকে আমরা বুদ্ধিমান মেশিন বলতে পারি।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের সূচনা

আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার জনক হচ্ছেন জন ম্যাকার্থি। ১৯৫৬ সালে ডার্থমাউথ কনফারেন্সে জন ম্যাকার্থি দশ জন কম্পিউটার বিজ্ঞানীর সামনে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা কি, কিভাবে একটা মেশিন মানুষের মত শিখতে পারবে এবং যুক্তি দেখাতে পারবে, তার ব্যাখ্যা দেন। ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৭৪ সাল পর্যন্ত আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের উপর অনেক রিচার্স হয়। ঐ সময় এই ফিল্ডে থিওরিটিক্যালি অনেক অগ্রসল হলেও ব্যবহারিক দিক দিয়ে খুব একটা অগ্রসর হতে পারেনি। এখন যদি আমরা পেছনে তাকা, তাহলে কারণটা সহজেই বের করতে পারি। তখন যে কম্পিউটার ছিল তা থেকে বর্তমানে পাওয়া সাইন্টিফিক ক্যালকুলেটর গুলো আরো বেশি কাজ করতে পারে। ১৯৫৬ সালের দিকে ইন্টারনেটই ছিল না। তথ্য গুলো সব বইতে সংরক্ষণ ছিল। এটাও একটা কারণ ঐ সময় কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশ না হওয়ার।

১৯৭৪ সালের পর থেকে এই ফিল্ডে অনেক বছর রিসার্চ বন্ধ ছিল। ১৯৯৪ সাল থেকে আবার আস্তে আস্তে এই ফিল্ডে রিচার্স বাড়তে লাগল। পাশা পাশি কম্পিউটারের সক্ষমতাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছিল। এই ফিল্ডে খুব দ্রুত ইফেক্টিভ রেজাল্ট দেখা শুরু করল যখন GPU সহজ লভ্য হলো। সাধারণত কম্পিউটার গুলোর মধ্যে থাকে মূলত CPU বা সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিট। যা একবার একটা করে তথ্য প্রসেস করতে পারে। GPU বা গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট একটু অন্য ভাবে কাজ করে। GPU এক সাথে সমান্তরালে অনেক গুলো তথ্য প্রসেস করতে পারে।

একটা মেশিন তখনি মানুষের মত বুদ্ধি খাঁটিয়ে কোন কিছু বলতে পারবে বা করতে পারবে যখন মানুষের মত অনেক কিছু জানবে। একটা ছোট শিশু কিন্তু শুরুতে কিছুই জানে না। বড় হতে হতে অনেক কিছু শিখে। এরপর এক সময় বুদ্ধি খাঁটিয়ে পারিপার্শিক অবস্থার উপর ভিত্তি করে কোন কাজ করতে পারে। কম্পিউটারও তেমন। তার কাছে যদি পর্যাপ্ত তথ্য না থাকে, তাহলে সে শিখবে কিভাবে? আর না শিখতে পারলে তো কোন উত্তরও দিতে পারবে না। তো বর্তমান সময় ইন্টারনেটে প্রচুর তথ্য রয়েছে। GPU এর পাশা পাশি এই তথ্য গুলোকে কাজে লাগিয়ে বর্তমানে অনেক গুলো বুদ্ধিমান প্রোগ্রাম তৈরি করা হয়েছে।

বিভিন্ন এক্সপার্ট এর মতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তিনটা ক্যাটেগরি রয়েছে।

ANI বা Artificial Narrow Intelligence: ANI হচ্ছে একটা নির্দিষ্ট এরিয়াতে এক্সপার্ট। যেমন যে মেশিন দাবা খেলতে পারবে, সে শুধু দাবাই ভালো পারবে। দাবা খেলা থেকে লুডু খেলা সহজ হওয়া সত্ত্বেও তাকে দাবা খেলার পরিবর্তে যদি লুডু খেলতে দেয়, সে পারবে না। ANI কে Weak AI ও বলা হয়। একে আমরা বলতে পারি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রথম ধাপ।

AGI বা Artificial General Intelligence: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দ্বিতীয় ধাপ হচ্ছে AGI। এটাকে Strong AI, বা Human-Level AI ও বলা হয়। এ ধাপে কম্পিউটার মানুষের মত চিন্তা করতে পারবে, মানুষের মত প্ল্যান করা, সমস্যা সমাধান করা, হঠাৎ নতুন কোন পরিবেশে আসলে চারপাশ দেখে সে পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়ার মত ক্ষমতা অর্জন করবে। চ্যাট জিপিটি, মিডজার্নি এসব হচ্ছে আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টিলিজেন্সের প্রথম ধাপ। এগুলো হয়তো শীগ্রই পুরোপুরি মানুষের মত চিন্তা করতে পারবে।

ASI বা Artificial Super Intelligence: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তৃতীয় ধাপ। কম্পিউটার যখন মানুষ থেকেও বুদ্ধিমান হবে তখন তাকে আমরা বলব আর্টিফিশিয়াল সুপার ইন্টেলিজেন্স। আর্টিফিশিয়াল সুপার ইন্টেলিজেন্স সিস্টেম তৈরি হলে কি হবে, মানুষের ভালো হবে না খারাপ হবে, তা নিয়ে গবেষকরা এখনই চিন্তিত।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স সিঙ্গুলারিটিঃ সিঙ্গুলারিটি হচ্ছে একটা ম্যাথম্যাটিক্যাল টার্ম। এটা এমন একটা বিন্দু, যেখানে কোন একটা ফাংশনের অবস্থান বা গুণ গুলো নির্ণয় করা সম্ভব হয় না তা বুঝায়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের ক্ষেত্রে সিঙ্গুলারিটি হচ্ছে ঐ সময় বা বিন্দু, যখন কোন বুদ্ধিমান মেশিন মানুষের বুদ্ধমত্তাকে অতিক্রম করবে। Artificial Super Intelligence প্রোগ্রাম বের হওয়া মানে অলরেডি সিঙ্গুলারিটিতে পোঁছানো।

যদিও উদ্বিগ্ন করার মত কিছু হয় নি এখনো। আমরা এখনো ANI তে পড়ে রয়েছি। যত বুদ্ধিমান মেশিন বা প্রোগ্রাম রয়ছে, সব গুলোই একের অধিক আর্টিফিশিয়াল ন্যারো ইন্টেলিজেন্স এর সমন্বয়ে গঠিত।

আমাদের হাতের স্মার্টফোনটিতে অনেক গুলো ANI প্রোগ্রাম রয়েছে। বর্তমানের সবচেয়ে সফল ANI প্রোগ্রাম হচ্ছে এলেক্সা, সিরি, গুগল এসিস্ট্যান্ট, চ্যাটজিপিটি, মিডজার্নি এসব । চ্যাটজিপিটি এর সাথে চ্যাট অনেকেই করেছি আমরা। আমরা তো ইতিমধ্যে ধারণা পেয়েছি AI কতটুকু উন্নত হয়েছে। গুগলের বা টেসলার সেলফ ড্রাইভিং কার ANI এর সফল প্রয়োগের উদাহরণ। ফেসবুক নিজেও ANI ফ্যাক্টরি বলা যায়। অ্যামাজন বা সব বড় বড় ওয়েব সাইটেই ANI এর ব্যবহার রয়েছে। নিউক্লিয়ার প্ল্যান্ট গুলো পরিচালনা করতে ANI সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। যদি একের অধিক ANI প্রোগ্রাম দিয়ে এত সুন্দর সব কাজ করে ফেলা যায়, চিন্তা করা যায় কি হবে তখন যখন আমরা আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইন্টিলিজেন্স বা আর্টিফিশিয়াল সুফার ইন্টিলিজেন্সে পৌঁছাবো?

চতুর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভল্যুশন নিয়ে আসবে কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স। ইত্যিমধ্যে আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্সের অনেক সুবিধে ভোগ করছি। যা আসলে খুবি সামান্য। অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই আরো বড় পরিসরে সব জায়গায় এটির ব্যবহার হবে। তখন হয়তো বাসার কাজের লোকটি হবে একটা রোবট। দোকানের সেলস ম্যান হবে একটা রোবট। বাসায় কোন পার্সেল ডেলিভারি দিয়ে যাবে কোন রোবটে। মুভি নয়, বাস্তবেই এমন হবে। খুব শীগ্রই। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই ব্যবহার হচ্ছে এমন বুদ্ধিমান মেশিন।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স নিয়ে পড়ার পাশা পাশি বিনোদনের জন্য এগুলো দেখতে পারেনঃ

Movies:

Ex Machina (2015)
2001: A Space Odyssey
I, Robot
Matrix series
Chappie
Transcendence
The Terminator series
Star Trek series
Tron series
Her (2013)
A.I. Artificial Intelligence ইত্যাদি।

TV series:

Person of Interest
Human
Intelligence
Mr Robot ইত্যাদি।

Address

Dhaka
Kalabaga

Telephone

+8801714872688

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shahin Sarkar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Shahin Sarkar:

Videos

Share