মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা

মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা Mozammel Hosain Toha-এর অফিশিয়াল পেজ। এখানে মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহার লেখালেখি এবং ভিডিও পোস্ট করা হবে।

হামাসের আল-আকসা ফ্লাড অপারেশনের অন্যতম একটা লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিন সঙ্কট সমাধান করা ছাড়াই মধ্যপ্রাচ্য যে "শান্তিময়" হয়ে উঠ...
02/01/2025

হামাসের আল-আকসা ফ্লাড অপারেশনের অন্যতম একটা লক্ষ্য ছিল ফিলিস্তিন সঙ্কট সমাধান করা ছাড়াই মধ্যপ্রাচ্য যে "শান্তিময়" হয়ে উঠেছিল, সেই মিথ্যা শান্তির মুখোশ উন্মোচন করে দেওয়া। মধ্যপ্রাচ্যকে যুদ্ধে টেনে আনা, এবং বোঝানো, ফিলিস্তিনিদেরকে দাসত্বের শৃঙ্খলে আবদ্ধ রেখে কোনো শান্তি স্থায়ী হবে না।

হামাসের এই লক্ষ্য পরিষ্কার বোঝা যায় মোহাম্মদ দেইফের বক্তব্য থেকে। দেইফ শুধু গাযাবাসীকে না, পশ্চিম তীরবাসীকেও যা কিছু আছে, সব নিয়ে শত্রুর উপর ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানিয়েছিল। অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্সকে তাদের পাশে এসে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছিল।

কিন্তু জোলানি এখন বলছে, তারা যে এই মুহূর্তে সিরিয়াতে অপারেশন চালিয়েছে, এর কারণ ছিল, মধ্যপ্রাচ্য একটা বড় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছিল।

তাদের কাছে তথ্য ছিল, ইসরায়েল সিরিয়া আক্রমণ করতে যাচ্ছে। সেটা করলে ইরান এই যুদ্ধে সিরিয়ার পক্ষে, ইসরায়েলের বিপক্ষে জড়িয়ে পড়ত, ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দিলে তুরস্কও ইরানের পক্ষে যোগ দিতে বাধ্য হতো, ফলে রাশিয়া-আমেরিকাও জড়িয়ে পড়ত, তেহরানে আক্রমণ হতো, বিপরীতে অ্যাক্সিসের বিভিন্ন ঘাঁটি থেকে গালফে আক্রমণ হতো ...

তার বক্তব্য অনুযায়ী, তাদের এই অপারেশন মধ্যপ্রাচ্যকে বড় ধরনের যুদ্ধ থেকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। "আগামী ৫০ বছরের জন্য গালফের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।"

সিরিয়ানদের মুক্তির জন্য, বাশারের পতন ঘটানোর জন্য তাদের বিদ্রোহ সম্পূর্ণ যুক্তিযুক্ত। কিন্তু এই যে ধরেন, ইয়াহইয়া সিনওয়ারের মতোই আপনারা যারা চেয়েছিলেন ইরান এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ুক, সেই সাথে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোও জড়িয়ে পড়ুুক, এবং এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েলের পতন ঘটুক, বিপরীতে জোলানি যে তার নিজের দাবি অনুযায়ীই সেই সম্ভাবনা ধ্বংস করে দিয়েছে, এটাকে আপনারা কীভাবে দেখছেন?

01/01/2025

২০২৪ সালটা মধ্যপ্রাচ্যের বাস্তবতাকে এমনভাবে পাল্টে দিয়েছে, যেটা আমরা হয়তো এখন বুঝতে পারছি না। আরও পাঁচ-দশ-পনের বছর পরে বুঝতে পারব।

শুরুটা হয়েছিল ২০২৩ সালেই। কিন্তু সেই যুদ্ধ যদি ২০২৪ সালের শুরুতে এসে থেমে যেত, তাহলেও পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারত। কিন্তু সেটা হয়নি। যুদ্ধ কন্টিনিউ করেছে। এবং পশ্চিমা বিশ্ব তো বটেই, আরব এবং মুসলিম বিশ্বের নীরবতার মধ্য দিয়েই কন্টিনিউ করেছে।

প্রতিরোধ করে গেছে শুধুমাত্র দুইটা শক্তি - হেজবুল্লাহ এবং হুথিরা। অবশ্যই তাদের পৃষ্ঠপোষক ইরানের সমর্থনে। এবং বছরের শেষের দিকে এসে তারা তাদের সেই প্রতিরোধের মূল্যও পেয়েছে।

হেজবুল্লাহ পরাজিত বা ধ্বংস হয়েছে বলা যাবে না, তবে নিশ্চিতভাবেই তারা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের প্রধান নেতা তো বটেই, টপ কমান্ডারদের অনেকেই নিহত হয়েছে।

তারা ইসরায়েলকে উইথড্র করতে বাধ্য না করেই এমন সব শর্তে সীজফায়ারে রাজি হয়েছে, যেই শর্তগুলো পরাজয়েরই লক্ষণ। এবং সেই সীজফায়ার কার্যকর হতে না হতেই তাদের প্রধান সাপ্লাই রুট ধ্বংস হয়ে গেছে। বাশারের পতন ঘটেছে।

২০২৪ ছিল মূলথ অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্সের ধ্বংসের বছর। এ কথা সত্য যে সিরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্সের সদস্য হিসেবে কোনো ভূমিকা রাখছিল না। পুরো গাযা যুদ্ধে সিরিয়ান বাহিনী একটা গুলিও ছোঁড়েনি। বরং আসাদ সরকার আমেরিকার সাথে, আরব আমিরাতের সাথে আর্থিক সহায়তার বিনিময়ে ইরানের কাছ থেকে দূরে সরে যাওয়ার ব্যাপারে গোপনে আলাপ করছিল।

বাট তারপরেও বাশারের পতন অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্সের জন্য সিরিয়াস ব্লো। মোরালি এবং স্ট্র্যাটেজিক্যালি। হেজবুল্লাহ'র কাছে অস্ত্র সাপ্লাই দেওয়া এখন ইরানের জন্য অনেক কঠিন হয়ে যাবে। তাছাড়া সিরিয়াতে কট্টর ইরানবিদ্বেষী, শিয়াবিদ্বেষীরা ক্ষমতায় আসায়, এবং তাদের সাথে গালফের সুন্নি আরব রাষ্ট্রগুলোর সুসম্পর্ক গড়ে ওঠায়ও ইরান প্রচণ্ড ব্যাকফুটে থাকবে।

এক্ষেত্রে আহমেদ আল-শারার সাম্প্রতিক বক্তব্য-বিবৃতি লক্ষ্যণীয়। সে সবার সাথে সহাবস্থান, সুসম্পর্ক নিয়ে কথা বলছে। একমাত্র ইরানের বিরুদ্ধে তার অবস্থান পুরোপুরি হার্ডলাইনে। বিপরীতে সে পশ্চিমের সাথে তো বটেই, গালফের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছে।

সে প্রথম ফুল লেংথ আরবি সাক্ষাত্‍কার আল-জাজিরার সাথে দেয়নি; দিয়েছে সৌদি চ্যানেল আল-আরাবিয়ার সাথে। জোলানির পররাষ্ট্রমন্ত্রির সৌদি আরব সফরে যাওয়ার ব্যাপারেও কথা শোনা যাচ্ছে।

সব মিলিয়ে ইরাক যুদ্ধের পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে যে শিয়া ক্রিসেন্টের ডমিন্যান্স ছিল, ২০২৪ এসে সেই ভারসাম্য অনেকটাই নষ্ট হয়ে গেছে। দীর্ঘ ২১ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ইরান ব্যাকফুটে চলে গেছে। সুন্নি রাষ্ট্রগুলো পুনরায় শক্তিশালী হয়ে উঠছে।

এর প্রভাব ভবিষ্যতে ঠিক কীভাবে পড়বে, এখনও বলা মুশকিল। এই সুন্নি গালফ স্টেটগুলোর মধ্যে এবং সেই সাথে তুরস্কের মধ্যে ইসলামপন্থা এবং গণতন্ত্র নিয়ে বিপরীতমুখী অবস্থান আছে। ফলে এদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ অনিবার্য। কিন্তু বিপরীতে ইরানের রেজিস্ট্যান্সের অ্যাক্সিসের দুর্বল হয়ে পড়ার কারণে এই সংঘর্ষের প্রকৃতি নিশ্চিতভাবেই আর আগের মতো থাকবে না।

আপাতত ‌অ্যাক্সিস অব রেজিস্ট্যান্সের দুর্বল হয়ে পড়াকে ক্ষতিকর মনে হলেও দীর্ঘমেয়াদে সেটা লাভজনকও হয়ে উঠতে পারে। সিরিয়ার বিদ্রোহীদের পক্ষে তুরস্কের স্ট্রং ব্যাকিং থাকায় সৌদি-আমিরাত এককভাবে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পারবে না।

অন্যদিকে ইরানভীতি কমে গেলে সৌদি-আমিরাতের আমেরিকা-ইসরায়েলের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতাও কমে আসতে পারে। একইসাথে বাশারের পতন মিসর এবং জর্ডানসহ অন্যান্য আরব রাষ্ট্রেও বিদ্রোহকে অনুপ্রাণিত করতে পারে।

২০২৪ সালে বাশারের যে পতন ঘটতে পারে, সেটা কেউ অনুমান করতে পারেনি। অথচ সেটাই ঘটেছে। আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে ভবিষ্যতে কী ঘটবে সেটা অনুমান করা অসম্ভব ব্যাপার। কিন্তু ২০২৪ সাল যে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিকে পুরোপুরি পাল্টে দিয়েছে, সেটা পরিষ্কার। ২০২৪ সালের আগের মধ্যপ্রাচ্য এবং পরের মধ্যপ্রাচ্য নিশ্চিতভাবেই এক হবে না।

31/12/2024

হাফেজ আল-আসাদের ক্ষমতায় আসার কাহিনীটা ইন্টারেস্টিং। তিনি ক্ষমতায় এসেছিলেন মূলত ব্যর্থতার মধ্য দিয়ে। ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যর্থতা। অনেকে যেটাকে ষড়যন্ত্র হিসেবেও সন্দেহ করে।

১৯৬৬ সালে যখন বাথ পার্টির চরম বামপন্থী অংশ, যারা নিও বাথ নামে পরিচিত, তারা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করে, তখন প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নূর উদ্দিন আল-আতাসিকে দেওয়া হলেও কার্যত ক্ষমতায় বসেন মিলিটারি কমিটির প্রতিষ্ঠাতাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিক্রিয়াশীল হিসেবে পরিচিত জেনারেল সালাহ আল-জাদিদ। মাত্র ৩৬ বছর বয়সী হাফেজ আল-আসাদকে তিনি নিযুক্ত করেন সিরিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার ছয় মাসের মধ্যেই সিরিয়া জড়িয়ে পড়ে ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধে। আরব বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী হিসেবে পরিচিত মিসরও যেখানে ঐ যুদ্ধে ইসরায়েলের শক্তিশালী বিমান বাহিনীর কাছে নাস্তানাবুদ হয়ে গিয়েছিল, সেখানে অনভিজ্ঞ এবং অন্তর্দ্বন্দ্বে লিপ্ত সিরিয়ান সেনাবাহিনীর পক্ষে যুদ্ধে জয়লাভ করাটা প্রায় অসম্ভবই ছিল।

কিন্তু তারপরেও এই যুদ্ধে পরাজয়ের দায় এসে পড়ে সরাসরি হাফেজ আল-আসাদের উপর। কারণ বিশৃঙ্খলার মধ্যে যুদ্ধের ময়দান থেকে প্রাপ্ত তথ্য ভালোভাবে যাচাই না করেই তিনি ভুল বার্তা প্রচারের নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং এর ফলেই সিরিয়ান বাহিনীর পরাজয় ঘটে।

যুদ্ধে পরাজয়ের পর বাথ পার্টির ভেতরে এবং মিলিটারি কাউন্সিলে হাফেজ অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে পড়েন। সেনাবাহিনীর চিফ অফ স্টাফ জেনারেল সালাহ জাদিদের সাথে তার সম্পর্কের চরম অবনতি ঘটে। সালাহ জাদিদের বিভিন্ন নীতির সাথেও হাফেজ পুরোপুরি একমত হতে পারছিলেন না।

তার মতে, সালাহ জাদিদের কট্টর সমাজতান্ত্রিক নীতিগুলো সিরিয়ার জন্য দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর ছিল। ফলে এর আগের একাধিক অভ্যুত্থানের সময় পেছন থেকে নীরবে কাজ করে যাওয়া হাফেজ আল-আসাদ প্রথমবারের মতো সালাহ জাদিদকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন।

১৯৭০ সালে হাফেজের সামনে সে সুযোগ চলে আসে। সে সময় জর্ডানে বসবাসরত ফিলিস্তিনি গেরিলারা জর্ডানের বাদশাহ হুসেইনকে ক্ষমতাচ্যুত করার চেষ্টা করলে হুসেইনের বাহিনী তাদেরকে জর্ডান থেকে বিতাড়িত করার উদ্দেশ্যে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। ব্ল্যাক সেপ্টেম্বর নামে পরিচিত ঐ ঘটনায় সালাহ জাদিদের নির্দেশে হাফেজ ফিলিস্তিনি গেরিলাদেরকে সাহায্য করার জন্য ট্যাংক বহর প্রেরণ করেন।

কিন্তু তার এ সাহায্য ছিল সীমিত। ট্যাংক বহর পাঠালেও জর্ডানিয়ান বিমান বাহিনীর আক্রমণ থেকে সেগুলোকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় এয়ার সাপোর্ট দেওয়ার ব্যবস্থা তিনি করেননি। ফলে যুদ্ধে তার বাহিনী পরাজিত হয়ে ফিরে আসে।

ফিলিস্তিনি গেরিলাদেরকে সাহায্য করার ব্যাপারে হাফেজের সাথে জাদিদের চিন্তা-ভাবনায় মৌলিক পার্থক্য ছিল। হাফেজ ১৯৬৭ সালের যুদ্ধে আরব রাষ্ট্রগুলোর পরাজয়ের পেছনে গেরিলাদের অনিয়ন্ত্রিত ভূমিকাকে দায়ী করতেন।

তার মতে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হওয়া উচিত শুধুমাত্র রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে, যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করার মধ্য দিয়ে। গেরিলারা যদি রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণের বাইরে থেকে যখন-তখন ইসরায়েলের উপর আক্রমণ করে বসে, তাহলে ইসরায়েলের বড় কোনো ক্ষতি তো হবেই না, বরং ঐ আক্রমণগুলোকে উপলক্ষ্য করে তারা অতর্কিত আক্রমণ করে উল্টো আরব রাষ্ট্রগুলোরই ক্ষতি করার সুযোগ পাবে।

১৯৭০ সালের সংকটকেও হাফেজ ফিলিস্তিনি গেরিলাদের কারণে সৃষ্ট একটি অনাকাঙ্খিত সংকট হিসেবে বিবেচনা করেছিলেন। সিরিয়া তখনও ১৯৬৭ সালের পরাজয়ের রেশ থেকে পুরোপুরি ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। যুদ্ধের পর জর্ডান এবং মিসর যেখানে উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলো থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য পেয়েছিল, সালাহ জাদিদের উগ্র বামপন্থী নীতির কারণে অনেকটা একঘরে হয়ে থাকা সিরিয়া সেরকম কোনো সাহায্য পায়নি।

বরং ফিলিস্তিন থেকে আসা শরণার্থীদের চাপ সামলাতেই সিরিয়া বেশি ব্যস্ত ছিল। ফলে ঐ মুহূর্তে ফিলিস্তিনি গেরিলাদেরকে সাহায্য করার জন্য বিমান বাহিনী পাঠিয়ে নতুন করে ইসরায়েলের আক্রমণের শিকার হওয়ার ঝুঁকি নেওয়ার কোনো ইচ্ছে হাফেজের ছিল না।

মূলত হাফেজের অসহযোগিতার কারণে জর্ডানিয়ান রয়্যাল এয়ারফোর্সের তীব্র আক্রমণের মুখে পরাজিত হয় সিরিয়ান ট্যাংক ডিভিশন। ক্ষিপ্ত সালাহ জাদিদ হাফেজ আল-আসাদকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর পদ থেকে এবং বাথ পার্টির নেতৃত্ব থেকে অব্যাহতি দেন। হাফেজ অবশ্য আগেই বুঝতে পেরেছিলেন কী ঘটতে যাচ্ছে। ফলে জাদিদের নির্দেশ কার্যকর হওয়ার আগেই পাল্টা এক রক্তপাতহীন অভ্যুত্থান ঘটিয়ে বসেন তিনি।

শুরু হয় আসাদ রাজপরিবারের দীর্ঘ পাঁচ দশকের শাসন।

নিউজ: নেতানিয়াহু ক্যানসারে আক্রান্ত।বিজয় প্রসাদ: নেতানিয়াহুর ক্যানসার হওয়া সম্ভব না। কারণ সে নিজেই ক্যানসার।
31/12/2024

নিউজ: নেতানিয়াহু ক্যানসারে আক্রান্ত।
বিজয় প্রসাদ: নেতানিয়াহুর ক্যানসার হওয়া সম্ভব না। কারণ সে নিজেই ক্যানসার।

বাশার আল-আসাদও বক্তব্য দিছে, তার রাশিয়ায় পালানোর ইচ্ছা ছিল না। সে রাশিয়ান ঘাঁটিতে গেছিল, রাশিয়ানরা নিজেদের নিরাপত্তার স্...
30/12/2024

বাশার আল-আসাদও বক্তব্য দিছে, তার রাশিয়ায় পালানোর ইচ্ছা ছিল না। সে রাশিয়ান ঘাঁটিতে গেছিল, রাশিয়ানরা নিজেদের নিরাপত্তার স্বার্থে তাকে সাথে নিয়ে পালাইছে।

//প্রতিটি গল্পেই একাধিক মুহূর্ত আছে যখন চোখে পানি ধরে রাখা সম্ভব হয় না। জুলাই বিপ্লবের পরোক্ষ অভিজ্ঞতা আর আসাদের পতনের ...
30/12/2024

//প্রতিটি গল্পেই একাধিক মুহূর্ত আছে যখন চোখে পানি ধরে রাখা সম্ভব হয় না। জুলাই বিপ্লবের পরোক্ষ অভিজ্ঞতা আর আসাদের পতনের দিনই বই পড়া শুরুর জন্য হয়ত প্রতিটি ঘটনার মধ্যেই অনেক মিল পাচ্ছিলাম। নি:সন্দেহে ২০২৪ সালে পড়া সেরা বই। নতুন সিরিয়ার নতুন গল্পগুলো যেন আনন্দের হয়, সিরিয়ার সেই গল্পগুলোর অপেক্ষায় থাকব!//

25/12/2024

সিরিয়ার বিদ্রোহীরা নিজেদেরকে বিলুপ্ত করে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেতে সম্মত হয়েছে। এত দ্রুত এরকম একটা ডিসিশন বেশ প্রশংসনীয়। কিন্তু এটা সফল হবে কি না, সেটা নির্ভর করবে এর ডিটেইলসের উপর। এর আগে লেবানন এবং ইরাকে তো বটেই, লিবিয়াতেও এটা সফল হয়নি।

এসব দেশে, বিশেষ করে লিবিয়াতে যেটা হয়েছে, বিদ্রোহীদেরকে প্রতিরক্ষা এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেটা প্রফেশনাল আর্মির স্ট্রাকচারে না; বরং বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর স্ট্রাকচার অনুযায়ী।

অর্থাত্‍ একেকটা বিদ্রোহী গ্রুপকে একেকটা কাতিবা বা ব্রিগেড/ব্যাটালিয়ন হিসেবে রিক্রুট করা হয়েছে। জাস্ট তাদেরকে আনুষ্ঠানিক ইনিফর্ম দেওয়া হয়েছে, রাষ্ট্রীয় অর্থে কেনা অস্ত্রশস্ত্র এবং ইকুয়েপমেন্ট/ভেহিকেল দেওয়া হয়েছে, রাষ্ট্রীয় বেতন কাঠামোর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে; কিন্তু বাস্তবে তাদের আনুগত্য আগের মতোই রাষ্ট্রের চেয়ে বরং যে আদর্শকে কেন্দ্র করে তাদের গ্রুপটা তৈরি হয়েছিল, সেটার প্রতিই রয়ে গেছে।

ফলে লিবিয়াতে আমরা যেটা দেখেছি, ইস্টার্ন লিবিয়ার কথা সম্পূর্ণ বাদ দিলেও, শুধুমাত্র ত্রিপোলির বিদ্রোহীদেরই একেকটা গ্রুপ, যারা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিরক্ষা বা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ, তাদের মধ্যেই দুই দিন পর পর যুদ্ধ লেগে যায়।

ত্রিপোলিতে যে গত এত বছরে এতগুলো যুদ্ধ হয়েছে, মাল্টিপল সরকার গঠিত হয়েছে, সেইসব সরকারকে বিভিন্ন বিপরীতপন্থী গ্রুপ সাপোর্ট দিয়েছে, তাদের কেউই রাষ্ট্রীয় কাঠামোর বাইরে কেউ না। সবাই সরকারের কোনো না কোনো মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ, এবং রাষ্ট্রীয় বেতনভোগী।

এসব সশস্ত্র বাহিনীগুলোর হাতে এত বেশি অস্ত্রশস্ত্র, এবং তাদের অনেকের পেছনে আবার সেই এলাকার ট্রাইবাল সাপোর্টও এত স্ট্রং, পুরো সিস্টেমকে বিলুপ্ত না করে কোনো একটা বা দুইটা বাহিনীকে বিলুপ্ত করা বা বেতন বন্ধ করে দেওয়া প্রায় অসম্ভব।

সিরিয়া এই সমস্যা ট্যাকল করতে পারবে কিনা, কীভাবে পারবে, তারাও কি বিদ্রোহী গ্রুপগুলোর আদর্শ এবং স্ট্রাকচার বজায় রেখেই তাদেরকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনবে, নাকি সব ভেঙেচুরে প্রফেশনাল আর্মি গঠন করতে পারবে, সেটা করতে চাইলে আদর্শিক গ্রুপগুলোর রিঅ্যাকশন কী হবে, এই সব কিছুই অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার হবে।

রাজত্ব চলে গেছে, এখন রানিও চলে যাচ্ছে? হায়রে বেডি মানুষ!
24/12/2024

রাজত্ব চলে গেছে, এখন রানিও চলে যাচ্ছে?
হায়রে বেডি মানুষ!

23/12/2024

জোলানি যেভাবে মডারেট হয়ে যাচ্ছে, সেটা উদ্বেগজনক।

স্যুট সে আগেই পরা শুরু করেছিল, এখন পুরো পশ্চিমা কালচার অনুসরণ করে টাইও পরছে।

তার প্যান্টের দৈর্ঘ্য টাখনু ছাড়িয়ে পশ্চিমাদের চেয়েও নিচে নেমে গেছে।

তার মন্ত্রিসভায় স্থান নারী মন্ত্রী হিসেবে স্থান পেয়েছে নিকাব না পরা, শুধু হিজাব পরা নারী।

যেই দ্রুজদেরকে আলাউইদের মতোই হেরেটিক বিবেচনা করা হয়, সেই দ্রুজ লিডারদের সাথে সাক্ষাতে সে তাদের প্রশংসা করেছে। তাদেরকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছে, তার নিজের দাদা দ্রুজ ন্যাশনালিস্ট লিডার সুলতান আতরাশের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেছিল।

দ্রুজদের সাথে মিটিংয়ে সে "ভাগ্যের পরিহাস" টাইপের টার্ম ইউজ করেছে, যে ধরনের টার্মকে অনেকে ইসলামের বিশ্বাসের সাথে সাংঘর্ষিক হিসেবে দেখে।

এগুলোর কোনোটাই খুব বড় কোনো ব্যাপার না। মানে সাধারণ মুসলমানদের দৃষ্টিতে। কিন্তু সাবেক জিহাদি নেতার জন্য, যার অনুসারীদের বা প্রেশার গ্রুপের একটা বড় অংশ সাবেক জিহাদি, তার জন্য এগুলো খুবই রিস্কি।

আমাদের মতো সাধারণ মুসলমানদের ক্ষেত্রেই ফেসবুকে অনেকে এগুলো নিয়ে বাড়াবাড়ি করে। সেখানে তার প্রতি তাদের এক্সপেক্টেশন তো আরও অনেক বেশি থাকবে।

তার সাবেক অনুসারীরা তার এই মডারেট হয়ে ওঠা ঠিক কতদিন পর্যন্ত, কতটুকু সীমা পর্যন্ত সহ্য করবে, কতটুকু ক্রস করলে তার বিরোধিতা শুরু করবে, তার উপর সিরিয়ার ভবিষ্যত অনেকটাই নির্ভর করবে।

সিরিয়ার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পর্কে তার পিএইচডি শিক্ষক ☺
21/12/2024

সিরিয়ার নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সম্পর্কে তার পিএইচডি শিক্ষক ☺

বিবিসি: তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন যে আপনারা কোনো ধরনের খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবেন না, বা সিরিয়াকে আফগানিস্তানের মতো রাষ্ট্র...
19/12/2024

বিবিসি: তার মানে আপনি বলতে চাচ্ছেন যে আপনারা কোনো ধরনের খিলাফত প্রতিষ্ঠা করবেন না, বা সিরিয়াকে আফগানিস্তানের মতো রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করবেন না? কারণ আপনি জানেন অনেকে হয়তো ভাবতে পারে যে আপনারা হয়তো ছাত্রদের মতোই আচরণ করবেন?

আহমেদ আল-শারা: সিরিয়ার সাথে ছাত্রদের প্রচুর পার্থক্য আছে। আমাদের শাসনপদ্ধতি ভিন্ন। আফগানিস্তান হচ্ছে ট্রাইবাল কমিউনিটি। সিরিয়া সম্পূর্ণ ভিন্ন। দুই দেশের মানুষ একভাবে চিন্তা করে না। সিরিয়ার সরকার এবং শাসনপদ্ধতি নির্ধারিত হবে সিরিয়ার ইতিহাস এবং সংস্কৃতি অনুযায়ী।

18/12/2024

বাশারের পতন থেকে আরেকটা শিক্ষা হলো, আপনি যদি বিদেশী প্রভুর উপর নির্ভরশীল হন, তাহলে আজীবন আপনাকে সেই প্রভুকেই চেটে যেতে হবে। প্রভুকে অসন্তুষ্ট করতে গেলেই আপনি বিপদে পড়বেন।

বাশার সেটা মনে রাখে নাই। সে টিকে ছিল ইরান আর রাশিয়ার দয়ায়। কিন্তু সেটা সে ভুলে গিয়েছিল। বাপের মতো সেও ম্যাক্সিমালিস্ট অবস্থান ধরে রাখার চেষ্টা করছিল। ইরান এবং রাশিয়ার রিকোয়েস্ট বারবার রিকোয়েস্ট সত্ত্বেও সে তুরস্কের সাথে ছাড় দিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয় নাই। উল্টা আরব আমিরাত আর সৌদি আরবের সাথে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করছিল, যারা হচ্ছে ইরানের শত্রু।

সে ভুলে গিয়েছিল, সবার সাথে সম্পর্ক রেখে, সবার সাথে দর কষাকষি করে নিজের জন্য সর্বোচ্চটা আদায় করা স্বাধীন এবং শক্তিশালী নেতাদের ক্ষেত্রেই মানায়। প্রভুর দয়ায় টিকে থাকা অজনপ্রিয় শাসকের ক্ষেত্রে মানায় না।

কারণ ঐ গেম ব্যাকফায়ার করলে প্রভু যদি এগিয়ে না আসে, তাহলেই তার খেল খতম হয়ে যাবে। এবং সেটাই হয়েছে।

17/12/2024

বাশারের পতনের পর থেকে যে প্রশ্নটা অনেকের মাথায়ই আসছে, সেটা হচ্ছে সিরিয়ার রাজনীতির ভবিষ্যত কী হবে? সেখানে কি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে, নাকি শরিয়াতন্ত্র টাইপের কিছু একটা প্রতিষ্ঠিত হবে?

এ কথা সত্য যে নিজেদের জীবন বাজি রেখে যারা যুদ্ধ জয় করে, ভবিষ্যত নির্মাণে তাদের ইচ্ছারই সবচেয়ে বেশি প্রতিফলন ঘটা স্বাভাবিক। সে হিসেবে আফগানিস্তানের মতো সিরিয়াতেও যেহেতু প্রধানত ইসলামপন্থী যোদ্ধাদের বিজয় হয়েছে, তাই সেখানেও গণতন্ত্র না এসে ইসলামিক কোনো এক ধরনের শাসনব্যবস্থা আসার পক্ষেই জোরালো অবস্থান দেখা যেতে পারে।

কিন্তু একইসাথে এটাও সত্য, সিরিয়া এবং আফগানিস্তান এক না। সিরিয়ার আন্দোলনটা শুরুই হয়েছিল গণতন্ত্রের জন্য। পরবর্তীতে সেখানে ইসলামপন্থী যোদ্ধারা নেতৃত্ব দিয়েছে ঠিকই; কিন্তু ২০১১ থেকে অন্তত ২০১২ সালের শেষ দিক পর্যন্ত সেখানে বাশারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিল গণতন্ত্রপন্থীরা।

তারা এমনকি লিবারেটেড এরিয়াগুলোতে "তানসিক্বিয়া" তথা লোকাল কোর্ডিশন কমিটি (LCC) গঠন করে অনেকটা গণতান্ত্রিকভাবেই এলাকাগুলো পরিচালনা করেছিল। অনেক এলাকায় তারা সরাসরি নির্বাচনেরও আয়োজন করেছিল।

ইনফ্যাক্ট, ২০১১ সালেরও শত বছর আগে, ইউরোপেরও অনেক দেশে যখন গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়নি, তখনই সিরিয়ান আরবরা উদ্যোগ নিয়েছিল সময়ের তুলনায় অনেক আধুনিক একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার। সেসময় সিরিয়ার নির্বাচিত জনপ্রতিধিরা এমন একটি সংবিধান রচনা করেছিলেন, শত বছর পরেও বিশ্বের অনেক দেশের জন্য যা ঈর্ষণীয় হয়ে আছে।

সেই সংবিধানে বিলাদ আল-শাম তথা বৃহত্তর সিরিয়াকে ঘোষণা করা হয়েছিল একটি গণপ্রতিনিধিত্বমূলক রাজতন্ত্র হিসেবে, যেখানে রাজার ক্ষমতা ছিল খুবই সীমিত এবং অধিকাংশ ক্ষমতা ছিল নির্বাচিত সংসদের হাতে ন্যস্ত।

কামাল আতাতুর্কের তুর্কি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠারও তিন বছর আগে রচিত সিরিয়ার এই সংবিধান ছিল একটি ধর্মনিরপেক্ষ সংবিধান। এই সংবিধানে কোনো রাষ্ট্রধর্ম ছিল না। বরং সকল ধর্মের নাগরিকদের জন্য সেখানে ছিল সমানাধিকার।

ধর্ম বিষয়ে সেখানে কেবল বলা ছিল, রাজার ধর্ম হতে হবে ইসলাম। অথচ যে সংসদ সদস্যরা এই সংবিধান পাশ করেছিলেন, তাদের অধিকাংশ সদস্যই ছিলেন অটোমান আমলের রক্ষণশীল নেতা। এবং সেসময় সংসদের প্রেসিডেন্ট, যার উদ্যোগেই মূলত এই সংবিধান আলোর মুখ দেখেছিল, তিনি ছিলেন সে সময়ের আরব বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ইসলামিক স্কলার রাশিদ রিদা।

এমনকি খোদ আমেরিকায়ও যখন নারীরা ভোটাধিকার পায়নি, তখন এই সংবিধানের খসড়া প্রস্তুত করার সময় সিরিয়ান আরব কংগ্রেসের সদস্যরা সিরিয়ান নারীদেরকে ভোটাধিকার দেওয়ার সম্ভাবনা যাচাই করেছিলেন।

শেষপর্যন্ত সমাজের প্রতিক্রিয়ার আশঙ্কায় ঐ মূহুর্তে নারীদেরকে ভোটাধিকার না দিলেও তারা সংবিধানের ঐ ধারার জন্য এমনভাবে লিঙ্গ-নিরপেক্ষ শব্দ নির্বাচিত করেছিলেন, যেন যেকোনো মুহূর্তে নারীদেরকে ভোটাধিকার দিতে কোনো সমস্যা না হয়।

সিরিয়ার এই সংবিধান যদি কার্যকর হতে পারত, তাহলে তার ধারাবাহিকতায় আজ হয়তো আমরা সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি আরব বিশ্ব দেখতে পেতাম, যে বিশ্বের অধিকাংশ রাষ্ট্রই হতো গণতান্ত্রিক। কিন্তু সেটি যে হয়নি, তার কারণ আর কিছুই না; ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের ঔপনিবেশিক স্বার্থ এবং পরবর্তীতে জোরপূর্বক শাসন করা একের পর এক স্বৈরতন্ত্র।

মূল বিষয়টা হচ্ছে, আফগানিস্তানের ইতিহাস এবং সিরিয়ার ইতিহাস এক না। এবং সে কারণেই সিরিয়ার ভবিষ্যত নির্মাণে আগামী দিনগুলোতে বিজয়ী ইসলামপন্থী যোদ্ধাদের ইচ্ছার প্রতিফলন যেমন থাকবে, তেমনি এই ইতিহাসের ধারাবাহিকতাও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

বিজয়ী যোদ্ধাদের চাওয়া-পাওয়া বাদ দিয়ে যদি পশ্চিমা ফর্মূলা অনুসরণ করতে বাধ্য করা হয়, তাহলে যেমন শুরুতেই সহিংসতা ফিরে আসবে, তেমনই এই দীর্ঘকালীন ইতিহাসকে অগ্রাহ্য করে যদি নতুন কোনো একদলীয় বা এক-গ্রুপীয় শাসনব্যবস্থা চাপিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে সেটাও সিরিয়ার জন্য ক্ষতিকর হবে।

17/12/2024

বাশারের পতনের পর থেকে লিবিয়ানদের কথাবার্তায় কিছুটা উদ্বেগ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাশিয়া তেমন কোনো প্রচেষ্টা ছাড়াই মধ্যপ্রাচ্যে তাদের প্রধান ঘাঁটির পতন ঘটতে দিয়েছে - এটা অনেকের কাছেই বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না।

লিবিয়ানদের সন্দেহ, পর্দার আড়ালে হয়তো রাশিয়া, তুরস্ক এবং আমেরিকার মধ্যে কোনো ধরনের ডিল হয়েছে। এবং এক্ষেত্রে সম্ভাব্য ডিল একটাই হতে পারে - রাশিয়া সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ ছেড়ে দিবে, বিনিময়ে লিবিয়াতে তারা শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলবে।

আসলেই যদি এটা হয়, তাহলে গত চার-বছর ধরে লিবিয়াতে যে স্ট্যাটাস কো বজায় ছিল, সেটা হয়তো আর বেশিদিন থাকবে না।

16/12/2024

বেন আলি পালাইছিল। মোবারকও পালাইছিল। সালেহ পালাইতে গিয়ে মারা পড়ছিল।

এই বছর হাসিনা পালাইছে। বাশারও পালাইছে।

একমাত্র স্বৈরাচার, যে পালায় নাই, সে হচ্ছে গাদ্দাফি।

ত্রিপোলির পতনের আগেরদিন পর্যন্ত সে ত্রিপোলিতে ছিল। এরপর ফিরে গেছে নিজের জন্মস্থান সিরতে।

চারপাশ থেকে বিদ্রেহীরা ঘিরে রাখছিল। উপর থেকে ন্যাটো রাতদিন বম্বিং করছিল। এরমধ্যেও মাত্র ৩০০ স্বেচ্ছাসেবী যোদ্ধা নিয়ে শেষ পর্যন্ত সে লড়াই করে গেছে। এরপর ন্যাটোর বিমান হামলায় আহত হইছে। বিদ্রোহীদের হাতে অস্ত্রসহ ধরা পড়ছে। শেষে গুলি খেয়ে মারা গেছে।

গাদ্দাফিও স্বৈরাচার ছিল। তার হাতেও প্রচুর মানুষের রক্তের দাগ আছে। কিন্তু তারপরেও সব স্বৈরাচার যে এক না, গাদ্দাফি সেটা প্রমাণ করে গেছে।

বিদ্রোহের শুরুতেই গুজব উঠছিল, গাদ্দাফি ভেনেজুয়েলায় পালায় গেছে। দুই দিন পর গাদ্দাফি ভাষণ দিয়ে বলছে - আমার দাদা (ইতালির বিরুদ্ধে) লিবিয়ার প্রথম শহিদ (কিছুটা অতিরঞ্জন), তার কবর লিবিয়ার মাটিতে। আর আমি ভেনেজুলায় পালাবো? ওয়াল্লাহে? হাহ!

গাদ্দাফিই সেই স্বৈরাচার, যার মুখে মানায় - গাদ্দাফি পালায় না।

Address

Mirpur 12
Dhaka
1206

Telephone

+8801849722568

Website

https://www.rokomari.com/book/author/76288, https://www.goodreads.com/author/show/19727151

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মোজাম্মেল হোসেন ত্বোহা:

Videos

Share