03/01/2025
পৃথিবীর বিভিন্ন ভাষার মত বাংলা ভাষাতেও মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে-ওয়াসাল্লাম-এর উপর অসংখ্য গ্রন্থ রচিত ও সংকলিত হয়েছে। হযরত (দ.)-এর জীবন ও আদর্শ নিয়ে রচিত বর্তমান গ্রন্থ নবী পরিচয় ইসলামী চিন্তাবিদগণ কর্তৃক প্রশংসিত একখানা গ্রন্থ। এই গ্রন্থে লেখক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দ.)-এর আদর্শ ও কর্মময় জীবনকে যেভাবে সুসংগত যুক্তির মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন তা বিরল।
লেখক মহানবীর জীবন ও আদর্শের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্যকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের কষ্টি পাথরে যুক্তির আলোকে এমনভাবে তুলে ধরেছেন, যা যেকোন বিদগ্ধজনকেই অনায়াসে আকৃষ্ট করে। গ্রন্থটিতে বিশ্বনবীর পরিচয় সার্থকভাবে বর্ণিত হয়েছে। ফলে এটি ইসলাম ধর্মাবলম্বীসহ সকল ধর্মের মানুষের কাছেই তথ্যপূর্ণ ও সাবলীল গ্রন্থ হিসেবে দেখা দেবে।
বইটির লেখক মাওলানা মমতাজ উদ্দীন আহমেদ প্রথমে কোলকাতা ও পরে ঢাকা আলিয়া মাদরাসায় অধ্যাপনা করেছন। এছাড়াও, তিনি ঢাকায় 'বড় মাওলানা ছাহেব' নামে খ্যাতি লাভ করেছিলেন।
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী ও মধ্যপ্রাচ্য বিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক আলফ্রেড গিয়োমকে বিবেচনা করা হতো আরবী ভাষা, ইসলাম ধর্ম ও এই অঞ্চলটি বিষয়ে অন্যতম প্রভাবশালী পণ্ডিত হিসেবে। পশ্চিমা পৃথিবীতে ইসলাম ও প্রাচ্য জগত নিয়ে এমনকি অ্যাকাডেমিক মহলেও যে বিদ্বেষ, অপপ্রচারের রাজত্ব ছিলো, তা থেকে মুক্ত করতে যারা ভূমিকা রেখেছেন, তাদের মাঝে অন্যতম ব্যক্তিত্ব হলেন আলফ্রেড গিয়োম।
আলফ্রেড গিয়োমের “ইসলাম” গ্রন্থটি সঙ্গতকারণেই প্রথম প্রকাশের পর থেকে এখন পর্যন্ত পৃথিবী জুড়ে সমান জনপ্রিয়। নয়টি অধ্যায়ে বিভক্ত এই বইতে ইসলামের ঐতিহাসিক পটভূমি, নবীর আবির্ভাব, আল কোরআন ও নবিজীর হাদিসের সংরক্ষণ ও এর পাঠ, ইসলামী সাম্রাজ্যের বিকাশ ও বিস্তার, ইসলামী দর্শন ও ধর্মমতের বিকাশ, মরমীবাদ এবং আধুনিক পৃথিবীতে ইসলামের অবস্থান বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
ইসলাম বিষয়ে আলোচনার সময়ে আলফ্রেড গিয়োম যথাসম্ভব পদ্ধতিগতভাবে নিরপেক্ষতা অবলম্বন করেছেন। এর ফলে যে কোন পাঠক ভাবাবেগ কিংবা বিদ্বেষ মুক্ত হয়ে ইসলামের উদ্ভব ও বিকাশ যেমন ইতিহাসগতভাবে বুঝতে পারবেন, তেমনি বিশ্বব্যাপী ইসলামী সভ্যতা ও সংস্কৃতি ছড়িয়ে পড়ার রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণগুলোও উপদ্ধতি করতে পারবেন। যে কোন মহান সভ্যতাকে বুঝতেই আসলে যে দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত জরুরি।
ইসলামের বুনিয়াদ ও ইতিহাস সম্পর্কে মৌলিক ধারণাগুলো অর্জনে অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা পালন করবে আলফ্রেড গিয়োমের বই “ইসলাম”। এর অনুবাদটিও অত্যন্ত সাবলীল ও ঝরঝরে বাংলা হওয়াতে পাঠকরাও বইটি পড়তে আনন্দ পাবেন।
অনূদবাদক মোজাফফর হোসেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের বিভাগীয় চেয়ারম্যান হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছেন।
পবিত্র কোরআন মজীদ সম্পর্কে জানার উৎসাহ নিয়ে যাঁরা "কোরআন পরিচয়" পাঠে ব্রতী হবেন, তাঁদের জন্য কালামে মজীদ সম্পর্কিত অসংখ্য উত্তর এতে সন্নিবেশিত হয়েছে। কোরআন মজীদ সম্পর্কিত বিভিন্ন খুঁটিনাটি বিষয় এই গ্রন্থে উঠে এসেছে।
কোরআন কখন কিভাবে, কোথা থেকে নাযিল হলো, কার প্রতি নাযিল হলো, কিভাবে তা অদ্যাবধি অক্ষত থাকলো, পূর্বে নাযিলকৃত অন্যান্য আসমানী কিতাবের সাথে কোরআন মজীদের সম্পর্ক বা সামঞ্জস্য কি, স্থায়ী সুরক্ষার ব্যবস্থাটা কি, অবতরণের নিখুঁত বিবরণ, পাঠরীতি নিয়ে বিভ্রান্তির নিরসন, যতিচিহ্নসমূহের ব্যবহার কিভাবে সন্নিবেশিত হয়েছে এবং সূরাহ্, আয়াত, পারা ইত্যাদি বিষয়ে গভীর তথ্যবহুল আলোচনা এ গ্রন্থে বিশ্লেষিত হয়েছে।
আদি মানব থেকে শুরু করে মানবজাতির ক্রমবিকাশ এবং তাদের ইতিহাস-ঐতিহ্য মহাগ্রন্থ কোরআন মজীদে কিভাবে বর্ণিত হয়েছে, মানব সৃষ্টির মূল রহস্য, নবী-রছুল ও ওলীগণের বিবরণ, আল্লাহ্ প্রেমিক সৎকর্মশীল এবং অসৎ, দাম্ভিক-অহংকারী মানুষদের বিষয়াবলী কিভাবে কোরআন মজীদে আলোচিত হয়েছে তাও জানা যাবে এ গ্রন্থ পাঠে। এমনকি পাক কোরআন ও বর্তমান আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞানের পারস্পরিক গভীর সম্পর্ক অত্যন্ত সাবলীলভাবে এ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে।
অর্ডার করতে আপনার ঠিকানা ও ফোন নাম্বার লিখে ইনবক্স করুন আমাদের ফেসবুক পেইজে অথবা সরাসরি কল করুন +৮৮০১৯১৭৭৩৩৭৪১-- এই নম্বরে।
#ইসলাম #মুসলিম #সাম্রাজ্য #আরব #মুসলমান
#ইসলাম #নবী #রাসুল #মহানবী #হযরত #বই #বাংলাদেশ #নবীজীবনী