12/12/2024
৭১ নিয়ে আওয়ামীলীগ ব্যবসা করেছে বলেই ৭১ মিথ্যা হয়ে যায়নি।
যেমন ৪৭ নিয়ে মুসলিম লীগ ব্যবসা করেছিলো, হাসিনা আর ভারতের পোষা বুদ্ধিজীবীরা হাজার চেষ্টা করেও ৪৭ মুছতে পারেনি।
৭১ রাখা বা মুছে ফেলা সরকারের কাজ না। সরকারের কাজ হলো, ৭১ কে আওয়ামীমুক্ত করা।
৭১ কে হাসিনা গত ১৫ বছর ধরে বাপের সম্পত্তি বানাইয়া রাখছিলো। সেই সম্পত্তি এখন মানুষের কাছে ফেরত দেওয়ার সময় এসেছে।
৭১ এ কি ভারতের স্বার্থ ছিলো? থাকতেই পারে। যেমন ২৪ এর আন্দোলনেও মার্কিন সমর্থন ছিলো।সিরিয়ার বাশাদ বিরোধী আন্দোলনে তো তুর্কি সরাসরি অস্ত্র আর টাকা দিয়ে সাহায্য করেছে।
এইসব হলো ভূ রাজনৈতিক বাস্তবতা।
শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু, এই মূলনীতি রেখেই ভারত আমাদের ৭১ এ সাহায্য করেছে।
সামনে ভারতের সাথে যদি কোনদিন যুদ্ধ লাগে, পাকিস্তান আর চীন আমাদের সাহায্য করবে, এটাও কোন অপরাধ হবে না। যুদ্ধ বা লড়াইটা তাতে মিথ্যা হয়ে যাবে না।
৭১ কে আমাদের অবশ্যই ওউন করতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ যে চাড্ডি পাজিতদের আন্ডারে থাকতে চায় না, সেটার প্রমাণ ৪৭। বাংলাদেশের মানুষ যে মিলিটারি ডিকটেটরশিপ পছন্দ করে না, তার প্রমাণ ৭১। বাংলাদেশের মানুষ যে ফ্যাসিবাদ ঘৃণা করে, তার প্রমাণ ২৪।
এটা একটা ছাড়া আরেকটা অসম্পূর্ণ।
বাদ দেওয়ার কোন প্রশ্নই তাই আসবে না।
এতে কোন দলের সমস্যা হলে, তাদের হিপোক্রেসি আর শয়তানি বের হয়ে পড়লে, বরং তাদের সেটা ফিক্স করতে হবে।
২৪ কে আমেরিকার ষড়যন্ত্র বলে আওয়ামীলীগ ডিনাই করে যাইতেছে এখনই। বাট এইটা বললেই গণহত্যার রক্ত আওয়ামীলীগের হাত থেকে মুছে যাবে না।
ঠিক তেমনি ৭১ কে ভারতের ষড়যন্ত্র বলে ডিনাই করলেই ৭১ এর গণহত্যার রক্ত কারো হাত থেকে মুছে যাবে না।
বাংলাদেশের সংসদ, বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থা বা বাংলাদেশের প্রশাসনের মতো বাংলাদেশের ইতিহাসকেও আওয়ামীলীগ দখল করেছিলো অন্যায়ভাবে।
এখন সেই ইতিহাসটাকে আমাদের আওয়ামীলীগের দখলমুক্ত করতে হবে।
মেজর জিয়া, কর্ণেল তাহেল, খালেদ মোশাররাফ, এমএজি ওসমানী, তাজউদ্দীন আহমেদদের ইতিহাস আনতে হবে। মুজিবের ১ থেকে ২৫ শে মার্চের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ঝাপের সত্যটা তুলে আনতে হবে।
মানুষের ইতিহাস মানুষের কাছে ফিরিয়ে দিলে মানুষ ৭১ কেও ধারণ করবে অন্তর দিয়ে।
মিথ্যা ইতিহাসকে প্রতিস্থাপন করতে হয় সত্য ইতিহাস দিয়ে।
ইতিহাস মুছে ফেলে না।