Welsh Bangla News

Welsh Bangla News গোপন খবর আমাদের ইনবক্স করুন, আমরা নিজ ?

বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক বৃটিশ পাসপোর্টে নো- ভিসা ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও অবিলম্বে এই সীদ্ধান্ত প্রত্যাহার এর জোর দাবি জান...
08/12/2024

বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক বৃটিশ পাসপোর্টে নো- ভিসা ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও অবিলম্বে এই সীদ্ধান্ত প্রত্যাহার এর জোর দাবি জানিয়েছে গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে,,
"বাংলাদেশ হাইকমিশন কর্তৃক বৃটিশ পাসপোর্টে নো- ভিসা ফি সহ অন্যান্য সার্ভিসে ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও অবিলম্বে এই সীদ্ধান্ত প্রত্যাহার এর জোর দাবি জানিয়েছেন গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে নেতৃবৃন্দ।
গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয়
কনভেনার কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ মকিস মনসুর, কো- কনভেনার, মসুদ আহমদ,সদস্য সচিব,ডঃ মুজিবুর রহমান,ও অর্থ সচিব,এম আসরাফ মিয়া সহ বিভিন্ন রিজিওনাল ও শাখা কমিটির নেতৃবৃন্দ এক যুক্ত বিবৃতিতে "এক দিনের নোটিশে বৃটিশ পাসপোর্টে নো ভিসা ফি ৪৬ পাউন্ড থেকে কেন ৭০ পাউন্ড করা হলো ? যাহা কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না,বলে উল্লেখ করে বৃটিশ পাসপোর্টে নো- ভিসা ফি সহ অন্যান্য সার্ভিসে ও ফি বৃদ্ধির তীব্র প্রতিবাদ ও ক্ষোভ প্রকাশ করে অবিলম্বে বাংলাদেশ হাইকমিশনের এই সীদ্ধান্ত প্রত্যাহার এর জোর দাবি জানিয়েছেন।

বাংলাদেশ হাইকমিশন মাত্র একদিনের স্বল্প নোটিশে নো ভিসা ফি ৪৬ পাউন্ড থেকে বৃদ্ধি করে ৭০ পাউন্ড করায় বৃটিশ বাঙালি কমিউনিটির মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে বলে উল্লেখ করে সংবাদপত্রে প্রেরিত বার্তায়
গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয়
কনভেনার ও ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মকিস মনসুর বলেন, আমাদের নিজের দেশ বাংলাদেশে যেতে ৭০ পাউন্ড নো ভিসা ফি এটা বাংলাদেশীদের জন্য অনেক বেশি। বিশেষ করে এখন হলিডে টাইমে যখন হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করতেছেন ঠিক সেই মুহূর্তে এই নো ভিসা ফি বৃদ্ধি করায় প্রবাসীরা হতাশ।
প্রবাসীদের হাই কমিশনের মাধ্যমে দ্রুত এনআইডি কার্ড প্রদান ,পাওয়ার অফ এটরনির জটিলতা নিরসন ও বাংলাদেশে খাজনা প্রদানে অযথা হয়রানী না করে প্রবাসীদের পাসপোর্টকে আইডি হিসাবে গ্রহণের জোর দাবী জানানো হয় ।
**************************************
সংবাদ পরিবেশক;
নুরুল ইসলাম
প্রেস সেক্রেটারি
গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকে,
৮ই ডিসেম্বর ২০২৪ ইংরেজি,

"বিলেতে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব জননেতা মোহাম্মদ ফিরুজ এর দাফন সম্পন্ন ;বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ ; আতিকু...
22/10/2024

"বিলেতে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব জননেতা মোহাম্মদ ফিরুজ এর দাফন সম্পন্ন ;বিভিন্ন মহলের শোক প্রকাশ ;
আতিকুল ইসলাম,
"বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় জাতীয় পরিষদের সদস্য,মৌলভীবাজার মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভাপতি, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, ওয়েলস আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্য ৭১ এর একশন কমিটির ওয়েলসের সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন এর সাবেক প্রেসিডেন্ট বিলাতের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব জননেতা মোহাম্মদ ফিরুজ বৃটেনের কার্ডিফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৭ ই অক্টোবর বৃহস্পতিবার ওয়েলসের লন্ডন সময় দুপুর ১২.৩০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নি:শাস ত্যাগ করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহির রাজিউন) মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৮০ বছর। তিনি স্ত্রী, ১ ছেলে ও ৩ মেয়ে, নাতি নাতনি সহ অসংখ্য আত্মীয় সজ্জন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
২১ শে অক্টোবর সোমবার মৌলভীবাজার জেলা সদরের কচুয়াস্থ নিজ বাড়িতে ২য় নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মরহুম এর ১ম নামাজের জানাজা গত ১৯ শে অক্টোবর শনিবার ২ টায় কার্ডিফ শাহজালাল মসজিদে
বিপুল সংখ্যক লোকের উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে। মরহুমের ১ম জানাজায় ইমামতি করেন মরহুম এর নাতি মোহাম্মদ রায়হান মোস্তফা,দোয়া পরিচালনা করেন কার্ডিফ শাহজালাল মসজিদের ঈমাম ও খতীব বিশিষ্ট মাওলানা কাজি ফয়জুর রহমান।
এর পূর্বে কমিউনিটিতে মরহুমের নানা অবদানের কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন শাহজালাল মসজিদের সাবেক ট্রাষ্টি আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ মোস্তফা,
যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আলহাজ্ব জালাল উদ্দিন,সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাজিদুর রহমান ফারুক, সহ সভাপতি এমএ রহিম
সি আই পি,সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আহাদ চৌধুরী, গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় কনভেনার মোহাম্মদ মকিস মনসুর ও ওয়েলস আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি এম এ মালিক,
মরহুম এর দামান্দ এনায়েত সরওয়ার, মল্লিক মোসাদ্দেক আহমেদ ও একমাত্র ছেলে মোহাম্মদ রাসেল ফিরুজ সহ প্রমুখ।
নামাজে জানাজায় ওয়েলস কার্ডিফ ছাড়াও বৃটেনের বিভিন্ন শহর থেকে রাজনৈতিক, সামাজিক, ইসলামিক, ও কমিউনিটি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ আত্মীয়-স্বজন, গ্রামবাসী ও বিশিষ্টনেরা উপস্থিত ছিলেন।
মরহুমের দেহ বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্সে সিলেটে নেওয়ার পর ২১ শে অক্টোবর সোমবার মৌলভীবাজার জেলা সদরের কচুয়াস্থ নিজ বাড়িতে বিকেল ৩ ঘটিকার সময় অনুষ্ঠিত ২য় জানাজার নামাজের ঈমামতি করেন কচুয়া জামে মসজিদের ঈমাম ও খতীব মাওলানা শফিকুর রহমান।দোয়া পরিচালনা করেন কচুয়া মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা আব্দুল মুকিত ও সহকারী ঈমাম মোহাম্মদ আলী।
এর পূর্বে বাংলাদেশের রাজনীতি ও সমাজসেবায় মরহুমের নানা অবদানের কথা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আয়কর উকিল মাহমুদুর রহমান, প্রেসক্লাব মৌলভীবাজারের সাবেক সভাপতি এম এ সালাম,সাংবাদিক সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহীন, মুহিবুর রহমান মুহিব, প্রেসক্লাব মৌলভীবাজারের সাবেক সেক্রেটারি সৈয়দ উমেদ আলী, ও মরহুম এর ছেলে মোহাম্মদ রাসেল ফিরুজ সহ প্রমুখ।
২য় জানাজার নামাজের পর প্রচুর ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের উপস্থিতিতে জামে মসজিদের সামনে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এদিকে শাহজালাল মসজিদের সাবেক ট্রাষ্টি আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ মোস্তফা উনার ছোট ভাইয়ের রুহের মাগফিরাত কামনা সহ মহাণ আল্লাহু রাব্বুল আলামিন যেনো ছোট ভাইকে জান্নাতবাসী করেন এই দোয়া করার জন্য সবার প্রতি পরিবারের পক্ষ থেকে বিনীতভাবে অনুরুধ জানিয়েছেন।।
উল্লেখ্য, বর্ণাঢ্য জীবনের অধিকারী মৌলভীবাজার জেলা সদরের কচুয়া গ্রামের মোল্লা বাড়ির জন্ম নেয়া মোহাম্মদ ফিরোজ প্রবাস জীবনে একাধিক সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থেকে মানুষের সেবা করে গেছেন।
৬০ এর দশকে মৌলভীবাজারের চৌকষ ফুটবল
খেলোয়াড় ও বৃটেনের কার্ডিফ বসবাসকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় জাতীয় পরিষদের সদস্য, প্রবাসের মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক কমিউনিটি ব্যাক্তিত্ব জননেতা মোহাম্মদ ফিরুজ মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যুক্তরাজ্য ৭১ এর একশন কমিটির ওয়েলসের সেক্রেটারি ও বাংলাদেশ এসোসিয়েশন এর সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকে সাউথ ওয়েলস এর চেয়ারপার্সন ও একাটুনা ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন নিষ্ঠার সাথে।
এদিকে কার্ডিফ বাংলাদেশ কমিউনিটি ও যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সভাপতি সুলতান মাহমুদ শরীফ ও সাধারণ সম্পাদক সাজিদুর রহমান ফারুক, বৃটেনের বাংলাদেশের সাবেক হাইকমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন মনির,সাবেক মন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট এর সাবেক মেয়র আনোয়ারউজ্জামান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুনুর রশিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা দোওয়ান গৌস সুলতান,
বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মান্নান, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ আব্দুল কাইয়ুম কয়সর, রাজনগর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান শাহজাহান খান, শাহজালাল বাংলা সকুল কমিটির সহ সভাপতি শাহ আলী আকবর,শাহজালাল বাংলা সকুল কমিটির সাবেক সভাপতি এম আক্তারুজ্জামান কুরেশি নিপু, মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আহমেদ হাসান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম অকিব,একাটুনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব অদুদ আলম, সাবেক ছাত্রনেতা কাজি মাসুম, নিউপোট আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ তাহির উল্লাহ, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির যুক্তরাজ্য সভাপতি সৈয়দ আনাস পাশা, সাধারণ সম্পাদক মুনিরা পারভিন, সাবেক সভাপতি সৈয়দ এনামুল ইসলাম,ইউকে বাংলা রিপোর্টার্স ইউনিটির প্রেসিডেন্ট আনসার আহমেদ উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমেদ, সাবেক প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ শাহেদ রাহমান, সাবেক প্রেসিডেন্ট গবেষক মতিয়ার চৌধুরী, ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মকিস মনসুর, ম্যানেজিং ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার খায়রুল আলম লিংকন, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ নুরুল ইসলাম, ফাইন্যান্স ডিরেক্টর শাহ শাফি কাদির, ডিরেক্টর রাধা কান্ত ধর, ডিরেক্টর আব্দুর রুউফ তালুকদার, পোগ্রাম ডিরেক্টর হেলেন ইসলাম, বিশ্ববাংলা নিউজ টুয়েন্টি ফোরের সম্পাদক শাহ মোস্তাফিজুর রহমান বেলাল, অনুপম নিউজ এর সম্পাদক এম মুহিব চৌধুরী, কার্ডিফ বাংলা অনলাইনের সম্পাদক কারি মোজাম্মেল আলী, ইউকে অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়নুল আবেদীন রোজ ও সেক্রেটারি আজিজুল আম্বিয়া প্রমুখ। ওয়েলস আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার খান, যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ওয়েলস আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ মকিস মনসুর, ওয়েলস আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ মালিক, সহ সভাপতি সাইফুল ইসলাম নজরুল,সহ সভাপতি এস এ রহমান মধু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মর্তুজা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মল্লিক মোসাদ্দেক আহমেদ, ট্রেজারার আলহাজ্ব লিলু মিয়া, আইন বিষয়ক সম্পাদক হারুন তালুকদার, দফতর সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বদর উদ্দিন চৌধুরী বাবর, প্রবাসী বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব আসাদ মিয়া, ওয়েলস আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল আহমদ শিবুল, মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুব বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল ওয়াহিদ বাবুল, ওয়েলস আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ভিপি সেলিম আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মফিকুল ইসলাম, সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কালাম মুমিন, ওয়েলস সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি হাজি জুয়েল মিয়া, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ কয়েছ মনসুর,ওয়েলস তাতীলীগের সভাপতি জামাল আহমেদ বকুল, সেক্রেটারি জহির আলী, ওয়েলস বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব ছালিক মিয়া, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ ইকবাল আহমেদ, জাতীয় শ্রমিক লীগের সদস্য সচিব এস এ খান লেনিন,
নিউপোট যুবলীগের সাবেক সভাপতি মুহিবুর রহমান, বর্তমান সভাপতি শাহ শাফি কাদির, সাধারণ সম্পাদক ফখরুল ইসলাম,সহ সভাপতি শেখ আব্দুর রুউফ তালুকদার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনহার মিয়া,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক সিতাব আলী, সোয়ানসী আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি হাবিবুর রহমান মকবুল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান মনা,সোয়ানসী যুবলীগের সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের সাউথ ওয়েলস কনভেনার মুজিবুর রহমান, যুগ্ম কনভেনার কাওসার হোসেন, সদস্য সচিব রকিবুর রহমান, ট্রেজারার এ বি রুনেল, ওয়েলস ছাত্রলীগের সভাপতি মোহাম্মদ বদরুল হক মনসুর, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান তালুকদার শাওন, একাটুনা ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন এর সভাপতি সিরাজুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা তরফদার, ট্রেজারার মোহাম্মদ মুজিব মনসুর, কচুয়া যুব সংঘের সভাপতি নাজমুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক মুজিবুর রহমান, প্রতিভা যুব সংঘের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ফয়ছল মনসুর, সাবেক সেক্রেটারি রুমন আহমেদ, বর্তমান সভাপতি জামান আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মাফিক আহমদ,শাহজালাল মসজিদ কমিটির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল মুমিন, সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান টুটুল চৌধুরী ও ট্রেজারার খায়রুল ইসলাম সহ কচুয়া জামে মসজিদ ও মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ পৃথক পৃথক শোক বার্তায় তারা গভীর শোক ও শোকাবহ পরিবারবর্গ এর প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন সহ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে নেতৃবৃন্দ বলেন,উনার মৃত্যুতে ব্রিটেনের বাঙালি কমিউনিটির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তিনি খুবই সজ্জন ও ভালো মানুষ ছিলেন। তার মৃত্যুতে কমিউনিটিতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।মুক্তিযোদ্ধের বাংলাদেশের বর্তমানের ক্রান্তিকালে জনাব ফিরুজের মতো সাহসি নেতাদের প্রয়োজন যখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেসময় তিনি চলে গেলেন। তিনি কমিউনিটির অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ও সমাজসেবক ব্যক্তি ছিলেন বলে উল্লেখ করে মহাণ আল্লাহু রাব্বুল আলামীন যেনো উনাকে জান্নাতবাসী করেন, এই দোয়া করার জন্য দেশে বিদেশের সবার প্রতি বিনীতভাবে অনুরুধ জানানো হয়েছে।************************************
সংবাদদাতা;
আতিকুল ইসলাম
মনসুর মিডিয়া,
কচুয়া হাউস
২১শে অক্টোবর২০২৪ ইংরেজি,

01/10/2024

"সেন্ট্রাল লন্ডনে ইউকে বিডি টিভির ৪র্থ বার্ষিকী উদ্‌যাপন,"সমবেত কন্টে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন
ও কেক কেটে অনুষ্ঠানের ঊদ্ভোধন এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বৃটেনের কমিউনিটির নানা শ্রেণি পেশার বিশিষ্টজনদের উপস্থিতিতে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় ও আনন্দঘন পরিবেশে জাঁকজমক পুর্ণ ভাবে রোববার সন্ধ্যায় লন্ডনের ব্রাডি আর্ট সেন্টারে উদ্‌যাপন করা হয়েছে অনলাইন চ্যানেল ইউকে বিডি টিভির ৪র্থ বার্ষিকী।

"ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়; আহলান সাহলান মাহে রবিউল আউয়াল;মকিস মনসুর, "জাজিরাতুল আরব যখন আইয়ামে জাহেলিয়া...
14/09/2024

"ত্রিভুবনের প্রিয় মুহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়; আহলান সাহলান মাহে রবিউল আউয়াল;
মকিস মনসুর,

"জাজিরাতুল আরব যখন আইয়ামে জাহেলিয়াত বা পাপাচারের অন্ধকারে ডুবে ছিল,আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃংখলা।তখন মানুষ হানাহানি ও কাটাকাটি সহ নানান অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। এমনকি মূর্তিপূজা করত। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানবকুলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে তখন মহাণ আল্লাহু রাব্বুল আলামিন ইসলাম ধর্মের প্রবর্তক সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ নূরে খোদা, আমাদের মহানবী ও রাসুল হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা (সা:) সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে আলোকবর্তিকা হিসেবে বিশ্বজগতের জন্য রহমতস্বরূপ পাঠিয়েছিলেন।
গত ১৩ ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার জুম্মার নামাজের পূর্বের বয়ানে বৃটেনের ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফ শহরের শাহজালাল মসজিদের ঈমাম ও খতীব মাওলানা কাজি ফয়জুর রহমান ও রিভারসাইড জালালিয়া মসজিদের ঈমাম ও খতীব মাওলানা আব্দুল মোক্তাদির সহ বিভিন্ন মসজিদের ঈমামগন পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) এর তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা করা সহ এই দিনটি যথাযথ মর্যাদায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদ্‌যাপন করার আহবান জানিয়েছেন।
"যিনি সমগ্র সৃষ্টিজগতের মধ্যে সর্বোত্তম সৃষ্টি, যিনি মহত্তম আদর্শের অধিকারী, যিনি সমগ্র মানবজাতির জন্য শ্রেষ্ঠতম পথিকৃৎ, যিনি স্রষ্টা ও পালনকর্তা মহাণ আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের প্রিয়তম রাসুল, পিয়ারা হাবিব, বিশ্ব সভ্যতায় যাঁর অবদান সর্বাধিক, যিনি সমগ্র বিশ্বমানবের কল্যাণের জন্য প্রেরিত, যাঁর আগমনের অপেক্ষা করেছেন যুগ যুগ ধরে,
লক্ষাধিক আম্বিয়ায়ে কিরামগন। যিনি সাইয়িদুল মুরসালিন, খাতিমুন নাবিয়্যিন,যাঁর দিদার (সাক্ষাৎ) এর জন্য ব্যাকুল ছিলেন বিশ্বকূল।
মহান আল্লাহু রাব্বুল আলামিনের অপার রহমতে
আমাদের বিশ্বনবী প্রায় এক হাজার ৪০০ বছর আগে তথা ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়াল সোমবার মক্কা নগরীর মরু প্রান্তরে বিশ্ব মুসলমানদের সবচেয়ে বড় পবিত্রস্থান মসজিদুল হারাম থেকে সামান্য দূরেই রাসুল (সা:) এর পিতা আবদুল্লাহর ঘরে সম্ভ্রান্ত কুরাইশ গোত্রে সুবহে সাদিকের সময় মা- আমেনার কোল আলোকিত করে শুভ আবির্ভাব তথা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। "ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়...।’
এবং ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের ১২ রবিউল আউয়ালের একই দিনে তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যান, তাই এই দিনটিকে তথা মানব জাতির শিরোমণি মহানবী হজরত মুহম্মদ (সা:)এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতিময় ও পুণ্যময় দিন হিসেবে বিবেচনা করেন মুসলিম জাহান।
অধিকাংশ ঐতিহাসিকদের মতে, যেহেতু নবী করীম (সা:) ১২ রবিউল আউয়াল তারিখে জন্মগ্রহণ করেন, সেহেতু এই দিনটি ইসলামের ইতিহাসে অত্যন্ত তাৎপর্যমন্ডিত। বিশেষত দু’টি কারণে ১২ রবিউল আউয়াল বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ দিন। প্রথমত, সব ইতিহাসবিদের ঐকমত্য বর্ণনা মতে, এই দিনেই মহানবী (সা:) পৃথিবীবাসীকে কাঁদিয়ে ওফাত লাভ করেন। দ্বিতীয়ত, প্রসিদ্ধ অভিমত অনুযায়ী, এই ১২ রবিউল আউয়াল তারিখেই মহানবী (সা:) জন্মগ্রহণ করেন। [সিরাতে ইবনে হিসাম (খ- ১) পৃষ্ঠা- ১৫৮]
মহানবী হযরত মুহম্মাদ (সা:) এর জন্মদিন হিসেবে তারিখ নিয়ে ভিন্নমত থাকলে ও সোমবার দিন সম্পর্কে কোনো মতভেদ নেই। কারণ, জীবন চরিতকাররা সবাই একমত যে রবিউল আউয়াল মাসের ৮ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে সোমবার দিন নবী মুহম্মাদ (সা:)-এর জন্ম হয়েছিল। এই সোমবার ৮ অথবা ৯ কিংবা ১২ তারিখ এটুকুতেই হিসাবের পার্থক্য রয়েছে মাত্র। আমাদের উপমহাদেশে সুদীর্ঘকাল হতেই ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী (সা:)-এর জন্মদিন হিসেবে পালন হয়ে আসছে। তবে ১২ রবিউল আউয়াল যে মহানবী (সা:)-এর ওফাত দিবস তাতে সব ঐতিহাসিকই ঐকমত্য পোষণ করেছেন।
(সূত্র: ইসলামী বিশ্বকোষ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
"সত্যবাদিতা ও সততার প্রতীক, শান্তি প্রতিষ্ঠার অগ্রদূত, করুণা, ক্ষমাশীলতা, বিনয়, দানশীলতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানবের আগমনের ১২ রবিউল আউয়াল এর এই দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) (আরবি: مَوْلِدُ النَبِيِّ মাওলিদু এন-নাবীয়ী, আরবি: مولد النبي মাওলিদ আন-নাবী, কখনো কখনো সহজভাবে বলা হয় مولد মাওলিদ, মেভলিদ, মেভলিট, মুলুদ আরো অসংখ্য উচ্চারণ; কখনো কখনো: ميلاد মিলাদ) হচ্ছে শেষ নবীর জন্মদিন হিসেবে মুসলমানদের মাঝে পালিত একটি উৎসব।
প্রতিটি ঈদ আমাদের সবার জীবনে বয়ে আনে অনাবিল আনন্দ। আরবি শব্দ ‘ঈদ’ এর আভিধানিক অর্থ খুশি হওয়া, ফিরে আসা, আনন্দ উদযাপন করা ইত্যাদি। আর ‘মিলাদ’ শব্দের অর্থ জন্মতারিখ, জন্মদিন, জন্মকাল ইত্যাদি। "সকল ঈদের ঈদ, ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলতে
জগতের প্রতিটি মুমিন-মুসলমানের সমস্ত আবেগ-অনুরাগ প্রাণোত্সারিত ভালোবাসা আর উচ্ছ্বাসে একাকার হওয়া প্রাণ-মন-মনন আকুল করা দিন তথা নবীজীর আগমনে খুশী উৎযাপন করাকে বুঝায়।
বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, আলজেরিয়া, বাহরাইন, বেনিন, ব্রুনাই, বুরকিনা ফাসো, চাদ, মিশর, গাম্বিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, ইরাক, জর্দান, কুয়েত, লেবানন, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মৌরিতানিয়া, মরক্কো, নাইজার, নাইজেরিয়া, ওমান, পাকিস্তান, সেনেগাল, সোমালিয়া, সুদান, তিউনিসিয়া এবং ইয়েমেন সহ বিশ্বময় বিভিন্ন দেশে সরকারি ছুটির দিন হিসেবে উৎযাপিত হয়। এবছর ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে যথাযথ মর্যাদায় মধ্যপ্রাচ্য ও বাংলাদেশ সহ বিশ্বময় বসবাসকারী মুসলমানরা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:)পালন করার উদ্দ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
এই দিনে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিশেষ পুণ্যলাভের আশায় মিলাদ-মাহফিল, নফল নামাজ আদায়, জিকির ও কোরআন তেলাওয়াতে মশগুল থাকবেন।
"পবিত্র কোরআন শরীফে বর্ণিত আছে, ‘মহানবীকে সৃষ্টি না করলে মহাণ আল্লাহু রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না’।
আমাদের প্রিয় বিশ্বনবীর জন্মকে কেন্দ্র করে অনেক আশ্চর্যজনক কাজের জন্ম হয়েছে, যা সব জাতিকে বিমোহিত করেছে এবং তৎকালীন সময়ে গোটা বিশ্বে তা আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল; সৃষ্টি হয়েছিল বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনাও। তাঁর পবিত্র জন্মের পর তিন দিন তিন রাত পর্যন্ত পবিত্র কা’বা শরীফ দুলতে থাকে। এই দৃশ্য দেখে কুরাইশ গোত্রের লোকেরা তথা গোটা আরব জাহানের মানুষেরা রাসূলুল্লাহ্ (সা:)’র জন্ম সম্পর্কে প্রথমে জানতে পারে (সিরাতে হালবিয়া, নবী (সা.)’র আবির্ভাব অধ্যায়)। পৃথিবীর ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি, যার স্মরণ সব জাতি সব যুগে করেছে। তিনি সেই মহামানব, যার নাম পবিত্র ইঞ্জিল ও তাওরাত শরীফে উল্লেখ আছে। সেখানে তাকে সম্বোধন করা হয়েছে ‘আহমদ’ নামে আর কুরআনে পাকে ‘মুহম্মাদ’ নামে। (তাফসিরে ইবনে কাসির, খ-- ২, পৃষ্ঠা ৩২৪)
মহানবী (সা:) যে রাতে জন্মগ্রহণ করেন, সেই রাতে পারস্যের রাজ প্রাসাদে প্রবল ভূকম্পনের সৃষ্টি হয়, যার ফলে তৎক্ষণাৎ সেই প্রাসাদের ১৪টি গম্বুজ ভেঙে পড়ে। এই নিদর্শনের মাধ্যমে তাদের ১৪ জন বংশধর ক্ষমতাবান হওয়ার ইঙ্গিত প্রদান করা হয়।
আর এই ১৪ জনের মধ্যে পরবর্তীতে মাত্র ৪ বছরে ১০ জন শাসক ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। আর বাকী শাসকরা ইসলামের চতুর্থ খলীফা হযরত উমর (রা:)’র শহীদ হওয়া পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল। মহানবী (সা:)’র জন্মের দিন পারস্য তথা ইরানের আগুন নিভে যায়, যা হাজার বছর ধরে প্রজ্জ্বলিত ছিল। [বায়হাকি, দালাইলুন নবুয়্যাহ্ (প্রথম খ-) পৃ. ১২৬]
হযরত আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ (সা:) ইরশাদ করেন, মহান আল্লাহর আমার প্রতি সম্মান হলো, আমি খাত্নাবিশিষ্ট অবস্থায় জন্মগ্রহণ করেছি, যাতে আমার লজ্জাস্থান কেউ না দেখে। (মু’জামে আওসাত, হাদীস নং- ৬১৪৮)

হজরত ইরবাদ ইবনে সারিয়াহ (রা:) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সা:) বলেছেন, তখন থেকে আমি আল্লাহর প্রিয় বান্দা ও নবীকুলের সর্বশেষ নবী, যখন আদম (আ.) মাটির সঙ্গে মিশ্রিত ছিলেন। আমি তোমাদের আরো জানাচ্ছি, আমি হাবিব আমার পিতা নবী হজরত ইবরাহিম (আ:)-এর দোয়ার ফসল এবং নবী হজরত ইসা (আ:)-এর সুসংবাদ, আর আমার মাতা (আমিনার) স্বপ্ন।
নবীদের মাতারা এভাবেই স্বপ্ন দেখতেন। রাসুল (সা:)-এর মা তাঁকে প্রসবের সময় এমন এক নূর প্রকাশ পেতে দেখলেন যার আলোয় সিরিয়ার প্রাসাদগুলো দেখা যাচ্ছিল (তাবারানি, হাদিস নম্বর : ১৫০৩৩)।
রাসুল (সা:)-এর আগমনের উৎসব আল-কোরআন দ্বারা স্বীকৃত। আল্লাহ বলেন, ‘হে রাসুল! আপনি বলুন তোমরা আল্লাহর অনুগ্রহ ও তার দয়াপ্রাপ্ত হয়ে আনন্দ প্রকাশ কর। এটি উত্তম সেই সমুদয় থেকে, যা তারা সঞ্চয় করেছে।’ (সুরা ইউনুস, আয়াত ৫৮)
রাসুল (সা:) প্রতি সোমবার রোজা পালনের মাধ্যমে মিলাদুন্নবী (সা:) পালন করতেন। হজরত কাতাদা (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সা:)-এর কাছে সোমবার দিন রোজা পালন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি উত্তরে বললেন, ‘এই দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং এই দিনে আমার প্রতি কোরআন অবতীর্ণ হয়েছে।’ (মুসলিম : ১১৬০)।
মহানবী অতি অল্প বয়সেই আল্লাহুর প্রেম অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। পঁচিশ বছর বয়সে মহানবী বিবি খাদিজা নামের এক ধর্ণাঢ্য মহিলার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নব্যুয়ত প্রাপ্ত হন এবং আল্লাহ তাআলার নৈকট্য লাভ করেন।
ফেরেশতাদের দলপতি জিবরাইল (আ:), যাঁর দরবারে
জিবরাইলকে ২৩ বছরে ২৪ হাজার বার হাজির হতে হয়েছে, যিনি আল্লাহর দিদার লাভ করেছেন শবে মিরাজে,
যিনি সর্বপ্রথম মহাশূন্য পরিভ্রমণ করেছেন, সারা বিশ্বে আজ শতকোটি মানুষ যাঁর অনুসারী, যাঁর আদর্শ মহান, অতুলনীয়, অদ্বিতীয়, চিরস্মরণীয়, চিরঅনুকরণীয়, চির সংরক্ষিত, চির-প্রশংসিত, তিনিই তো সেই অনন্যসাধারণ ফুল, যাঁর সম্পর্কে বিখ্যাত সাহাবি আনাস (রা:) বর্ণনা করেন : আমি কোনো কস্তুরি, কোনো আম্বর এবং কোনো সুগন্ধি বস্তু রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর চেয়ে অধিকতর খুশবুদার পাইনি। যদি কারো সঙ্গে প্রিয় নবী (সা:) মুসাফাহা (করমর্দন) করতেন, তবে সমস্ত দিন ওই ব্যক্তির হাতে নবী (সা:)-এর মুসাফাহার খুশবু লেগেই থাকত। আর যদি কখনো কোনো শিশুর মাথায় তিনি হাত বুলিয়ে দিতেন, তাহলে খুশবুর কারণে ওই শিশু হাজারো শিশুর মধ্যে অত্যন্ত সহজে পরিচিত হতো। প্রিয় নবী (সা:) একবার আনাস (রা:)-এর ঘরে বিশ্রাম করছিলেন।
নবী (সা:)-এর দেহ মোবারক ঘর্মাক্ত হয়ে উঠল। আনাসের মা নবীজি (সা:)-এর দেহ মোবারকের ঘাম একটি শিশিতে পুরে নিচ্ছিলেন। তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করলেন : তুমি কী করছ? তিনি উত্তর দিলেন : হে আল্লাহুর রাসুল! আমরা এগুলোকে আমাদের খুশবুর সঙ্গে মিশ্রিত করব। কেননা আপনার এই ঘাম সর্বোত্তম সুগন্ধি।
ইমাম বুখারি (রহ.) জাবির (রা:)-এর সূত্রে ‘তারিখে কবির’ গ্রন্থে উল্লেখ করেন : নবীজি (সা:) যদি কোনো দলের সঙ্গে কোথাও গমন করতেন, যদি কেউ তাঁর অনুসন্ধান করত, তাহলে সে শুধু খুশবুর কারণেই তাঁর সন্ধান লাভ করত। তাই তিনিই সেই অপূর্ব বিস্ময়কর ফুল ‘যে ফুলের খুশবুতে সারাজাহান মাতোয়ারা’।
মানবজাতিকে সত্যের সংবাদ দিতে তাদের কাছে তুলে ধরেন মহান রাব্বুল আলামিনের তাওহীদের বাণী।
অশান্তি আর বর্বরতায় ভরপুর সংঘাতময় আরবের বুকে আধারের বুক চিড়ে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শান্তি নিয়ে এসে মানবজাতিকে সত্যের, সভ্যতা ও ন্যায়ের দিক নির্দেশনা দিয়ে গোটা বিশ্বকে শান্তিতে পরিপূর্ণ করে তুলেন।
"বিদায় হজ্বের ভাষণে মহানবী আল্লাহর বাণী শুনিয়েছেন মানবজাতিকে :
‘আজ থেকে তোমাদের জন্য তোমাদের দিন তথা জীবনব্যবস্থা পরিপূর্ণ করে দেওয়া হলো। তোমাদের জন্য দিন তথা জীবনব্যবস্থা হিসেবে একমাত্র ইসলামকে মনোনীত করা হয়েছে।’
হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইতিহাসের অতুলনীয় ব্যক্তিত্ব। অন্য ধর্মাবলম্বীরাও তাকে মানবজাতির সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সংস্কারক ব্যক্তিত্ব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী বিখ্যাত পণ্ডিত মাইকেল এইচ হার্ট তার বহুল আলোচিত ‘দ্য হান্ড্রেড’ গ্রন্থে হজরত মুহাম্মদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ’ হিসেবে স্থান দিয়েছেন। ব্রিটিশ মনীষী সাহিত্যিক জর্জ বার্নার্ড শ বলেছেন, এই অশান্ত পৃথিবীতে তার মতো একজন মানুষের প্রয়োজন। তিনি বেঁচে থাকলে পৃথিবী জুড়ে সুখের সুবাতাস বইত। তার আগমনে যে বিপ্লবের সূচনা হয়েছিল, দুনিয়া জুড়ে তা বিস্তৃত হয়েছে।
দীর্ঘ ২৩ বছরের সংগ্রামের পর মানবজাতির জন্য রেখে গেলেন আসমানী মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন। যার মধ্যে রয়েছে মানুষের ইহকালীন ও পরকালীন মুক্তির পথ নির্দেশিকা। মাত্র ৬৩ বছর বয়সে পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেও এখনো তার আদর্শে অনুপ্রাণিত পৃথিবীর প্রতিটি প্রান্তর।
শুধু আমার ও আমাদের নয় সমগ্র মুসলিম উম্মার
দৃঢ় বিশ্বাস, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা:)-এর সুমহান আদর্শ ও সুন্নাহ বিশ্ববাসীর জন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ, উৎকৃষ্টতম অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় এবং এর মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে।’
‘বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব, বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারি, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা:)-এর জন্ম ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতিবিজড়িত ১২ই রবিউল আউয়াল তথা ঈদে মিলাদুন্নবী (সা:) বিশ্ববাসী বিশেষত মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিনে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানানো সহ আসুন মহানবী (সা:)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণ করে ভ্রাতৃত্ববোধ ও মানবকল্যাণে কাজ করা সহ ইসলামের সঠিক আকিদা অনুযায়ী আমাদের জীবন পরিচালিত করি, আমিন,,সুম্মা আমিন,,
******************************************
মোহাম্মদ মকিস মনসুর,
লেখক ও সাংবাদিক,
সাবেক সেক্রেটারি,
কাডিফ শাহজালাল মস্ক এন্ড ইসলামিক কালচারাল সেন্টার ইউকে,
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক,
আনজুমানে আল- ইসলাহ ইউকে ওয়েলস ডিভিশন,
চেয়ারম্যান,ইউকে বিডি টিভি,ওয়েলস বাংলা নিউজ,
*********************************************

https://www.ajkernaljur.com/2024/08/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e...
24/08/2024

https://www.ajkernaljur.com/2024/08/%e0%a6%aa%e0%a7%8d%e0%a6%b0%e0%a6%ac%e0%a6%be%e0%a6%b8%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%95%e0%a7%8d%e0%a6%a4%e0%a6%bf%e0%a6%af%e0%a7%81%e0%a6%a6%e0%a7%8d%e0%a6%a7%e0%a7%87%e0%a6%b0-%e0%a6%85/

এমন জীবন তুমি করিবে গঠন/মরণে হাসিবে তুমি কাঁদিবে ভুবন।’ একজন সদালাপী,বিনয়ী,হাস্যোজ্জ্বল,সাদা মনের মানুষ, যার মাঝ.....

"ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহির রাজিউন,"আমার শ্রদ্ধেয় চাচা ও শশুর,বৃটেনের কার্ডিফ শাহজালাল মসজিদের সাবেক ট্রাষ্টি ও ...
19/08/2024

"ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহির রাজিউন,
"আমার শ্রদ্ধেয় চাচা ও শশুর,বৃটেনের কার্ডিফ শাহজালাল মসজিদের সাবেক ট্রাষ্টি ও মোতওয়াল্লী, ইউকে আনজুমানে আল- ইসলাহ ওয়েলস ডিভিশনের প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট,একাটুনা ইউনিয়ন ডেভেলপমেন্ট এন্ড ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা, প্রবাসের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, মৌলভীবাজার জেলা সদরের কচুয়া গ্রামের প্রবীণ মুরুব্বী আলহাজ্ব আবু বক্কর (কুটু মিয়া) কার্ডিফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯ শে আগষ্ট সোমবার সকাল সাড়ে দশটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না লিল্লাহির রাজিউন)
মৃত্যুকালে উনার বয়স হয়েছিলো ৮৭ বছর। মৃত্যুকালে
তিনি ৩ ছেলে ও ৩ মেয়ে সহ আত্মীয়-স্বজন, নিকটজন ও অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। মহাণ আল্লাহু রাব্বুল আলামিন যেনো আমার শ্রদ্ধেয় চাচা ও শশুরকে
জান্নাতবাসী করেন এই দোয়া করার জন্য সবার প্রতি বিনীতভাবে অনুরুধ জানাচ্ছি। নামাজের জানাজা তারিখ ও সময় পরবর্তীতে জানানো হবে।

"বৃটেনের কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ারএসোসিয়েশনের উদ্দ্যোগে টেনবী বীচেগ্রীষ্মকালীন বিনোদন বনভোজন অনুষ্ঠিত, আতিকুল ইসলাম,...
16/08/2024

"বৃটেনের কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ারএসোসিয়েশনের উদ্দ্যোগে টেনবী বীচে
গ্রীষ্মকালীন বিনোদন বনভোজন অনুষ্ঠিত,
আতিকুল ইসলাম,
প্রবাসের শৃঙ্খলিত জীবনের কর্মব্যস্ততাকে মাড়িয়ে, সাড়া বিশ্বের ন্যায় বৃটেনে এখন ধুমধাম চলছে গ্রীষ্মকালীন বিনোদন বনভোজন বা পিকনিক উৎসবের। পিকনিক স্পটে হই হুল্লোড়-আনন্দের মাখামাখিতে রোমাঞ্চিত প্রবাসীরা। এ যেনো এক প্রাণের বন্ধন, কমিউনিটির একে অন্যের সাথে পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক, বিশ্বাস ও আস্থাকে আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে বৃটেনের কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের উদ্দ্যোগে ১২ ই আগষ্ট সোমবার বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনায় ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে সামুদ্রভ্রমণের উদ্দেশ্যে দু'টি কোচ বহরে ওয়েলসের টেনবী বীচে এক পিকনিক উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এরে চেয়ারপার্সন কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান এর সভাপতিত্বে ও গ্ৰেটার সিলেট কমিউনিটি ইউ কে এর কনভেনার ও ওয়েলফেয়ার এর ট্রাষ্টি বিশিষ্ট সাংবাদিক মোহাম্মদ মকিস মনসুর এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পিকনিক উৎসবের আনন্দ সভায় বক্তব্য রাখেন কার্ডিফ কাউন্টি কাউন্সিলার দিলওয়ার আলী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. সৈয়দ দেওয়ান আব্দুল লতিফ, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও ওয়েলফেয়ারের ডিরেক্টর শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার, ওয়েলফেয়ার এর ডিরেক্টর নজির উদ্দিন, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট শাহ্ গোলাম কিবরিয়া, আনসার মিয়া, সেবুল আলী,
রমজান মিয়া, শহিদুল ইসলাম,জিলু মিয়া, আনছার মিয়া ও কচুয়া আদর্শ গ্রাম আল- মনসুর ওয়েলফেয়ার ট্রাষ্ট অব মৌলভীবাজার এর ট্রাষ্টি মোহাম্মদ ফয়ছল মনসুর সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
উক্ত পিকনিক স্পটে কার্ডিফ শহরের বিভিন্ন সামাজিক- সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য কমিউনিটি সংগঠন এর নেতৃবৃন্দ কর্মব্যস্ততার ক্লান্তি থেকে মুক্তি ও আনন্দ দিতে পরিবার -পরিজন সহকারে যোগদান করায় এক মিলনমেলায় পরিণত হয় বার্ষিক এ বনভোজন।
গ্রীষ্মকালীন এই বনভোজনে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি পরিবারের পক্ষ থেকে আনা মাজাদার খাবার একে অন্যের মাঝে ভাগাভাগি করে খাওয়া দাওয়ার মাধ্যমে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরও জোরদার করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন এরে চেয়ারপার্সন কমিউনিটি লিডার মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান বলেন বাংলাদেশীদের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে এক নতুন অধ্যায় সংযোজিত হয়েছে। দূর বিদেশে অবস্থানকালে সকলের সাথে সকলের মেলামেশা একান্ত প্রয়োজন বলে উল্লেখ করে তিনি আজকের এই আয়োজনে যারা সহযোগিতা করেছেন সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ট্রাষ্টি মোহাম্মদ মকিস মনসুর আগামী দিনের ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন পথচলায় সবার সহযোগিতা কামনা করে বলেন কর্মব্যস্ততার ক্লান্তি থেকে মুক্তি ও আনন্দ দিতে বিপুলসংখ্যক প্রবাসীদের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এক মিলনমেলায় পরিণত হয় আমাদের আজকের বার্ষিক এ বনভোজন।
কার্ডিফ বাংলাদেশ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ডিরেক্টর শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার এই আনন্দঘন দিন আমাদের ভবিষ্যতের স্মৃতি চারণে সবসময় জাগ্রত থাকবে বলে উল্লেখ করে আগামী বছর এ-রকম আয়োজন কমিউনিটির জন্য উম্মুক্ত থাকবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
*****************************************
সংবাদদাতা;
আতিকুল ইসলাম,
কার্ডিফ, ওয়েলস, ইউকে,
১৩ ই আগষ্ট ২০২৪ ইংরেজি,

"মুহাররম ও পবিত্র আশুরার তাৎপর্য ও ফজিলত উপলক্ষে  বৃটেনের কার্ডিফে ওয়াজ ও মিলাদ  মাহফিল অনুষ্ঠিত,, নাজমুল সুমন, বৃটেনের ...
22/07/2024

"মুহাররম ও পবিত্র আশুরার তাৎপর্য ও ফজিলত উপলক্ষে বৃটেনের কার্ডিফে ওয়াজ ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত,,
নাজমুল সুমন,
বৃটেনের ওয়েলস এর রাজধানী কার্ডিফ শহরের
জালালীয়া মসজিদ এন্ড ইসলামিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে "মুহাররম ও পবিত্র আশুরার তাৎপর্য ও ফজিলত" উপলক্ষে গত মঙ্গলবার এক ওয়াজ, দু'আ ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।
জালালীয়া মসজিদের ইমাম ও খতিব বিশিষ্ট মাওলানা
আব্দুল মুকতাদির সাহেব এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা পেশ করেন লন্ডনস্থ দারুল হাদিস মাদ্রাসার ভাইস প্রিন্সিপাল, বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল কাহ্হার মহোদয়,
ওয়াজের শুরুতেই পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ মাওলানা জালাল উদ্দিন ও গজল পরিবেশন করেন শাহিদুল ইসলাম,
কমিটি ও কমিউনিটির উপস্থিত সবাইকে সহযোগিতার জন্য ধনবাদ জানান জালালীয়া মসজিদ কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়াম্যান ইউসুফ খান জিমি,
ওয়াজ মাহফিলে উপস্হিত ছিলেন আন্জুমানে আল ইসলাহ ওয়েলস ডিভিশন সভাপতি হাফিজ মাওলানা ফারুক আহমদ,কার্ডিফ বাংলাদেশ এসোসিয়েশন সভাপতি আলহাজ্ব কাপ্তান মিয়া, গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের কেন্দ্রীয় ফাউন্ডার্স কনভেনার
ও ইউকে বিডি টিভির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মকিস মনসুর, কার্ডিফ বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি মোহাম্মদ হারুন তালুকদার, জালালীয়া মসজিদ কমিটির সেক্রেটারি মুহিবুর ইসলাম মায়া,
গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আনোয়ার, গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের ইয়ুথ সেক্রেটারি ও ওয়েলসের সিনিয়র সহ সভাপতি আবুল কালাম মুমিন,
গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের ওয়েলসের কনভেনার ও মসজিদ কমিটির এসিষ্টেন্ট সেক্রেটারি মুজিবুর রহমান মুজিব,গ্রেটার সিলেট কাউন্সিল ইউকের সাউথ ওয়েলস রিজিওনএর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি খলিলুর রহমান, গ্রেটার সিলেট কমিউনিটি ইউকের ওয়েলসের জয়েন্ট কনভেনার সৈয়দ ইকবাল আহমেদ, জয়েন্ট কনভেনার শাহ গোলাম কিবরিয়া,
মসজিদের ট্রাস্টি আলহাজ্ব জিলু মিয়া, আলহাজ্ব মুছব্বির আলী, খাদিমুল ইসলাম, মসজিদ কমিটির ট্রেজারার সুমন আলী, খলিলুর রহমান, সদস্য সৈয়দ আশরাফ আলী, মুসলিম আলী, আব্দুল মালিক, আলমগীর আলম, ইকবাল আহমদ, ফয়েজ মিয়া, কয়েস খান, তায়েফুল ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান দিলওয়ার আলী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াওর আলী, আন্জুমানে আল ইসলাহ ওয়েলস ডিভিশনের সেক্রেটারি আনসার মিয়া, ট্রেজারার শাহ কারি শাহ মোহাম্মদ তসলিম, বিশিষ্ট সমাজসেবক আকিল আহমদ, আলহাজ্ব আসাদ মিয়া, সৈয়দ শামসুল হক রানু, আহাদ মিয়া, কার্ডিফ আল ইসলাহ্'র সভাপতি কারি নুরুল ইসলাম, সেক্রেটারি সাংবাদিক মুজাম্মিল আলী, মিজানুর রহমান, আলহাজ্ব আব্দুল হামিদ, শাহিদুল ইসলাম,ও ফারুক মিয়া, সহ বিভিন্ন শহর থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।
ওয়াজ মাহফিলে বিশিষ্ট মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল কাহ্হার মহোদয়, তাঁর বয়ানের প্রারম্ভের দিকে মহান রবের শুকরিয়া জ্ঞাপন করে বলেন- আল্লাহ তা'আলা কিছু দিনকে কিছুদিনের উপর, কিছু মাসকে কিছু মাসের উপর এবং কিছু সময়কে সময়ের উপর মর্যাদা ও শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। আর প্রতিটি ফজিলতমন্ডিত মাস, সময়, দিনকে ইমানদারদের দান করেছেন নাফরমানি থেকে বেঁচে সহজে আল্লাহ্'র সন্তুষ্টি ও পরকালের পুঁজি সংগ্রহের জন্য।তিনি বলেন আরবি মাস সমূহের মধ্যে মহররম মাস সম্মানিত মাস এবং আশুরার দিন বরকতময় দিনগুলোর মধ্যে একটি।
আল্লাহ তায়ালা মুহররম মাসে অনেক ফজিলত দান করেছেন: তন্মধ্যে কিছু উল্লেখ করা হলো।
১) মুহররম এর প্রথম ফজিলত ও তাৎপর্য হলো, হিজরী বছরের ১২ মাসের মধ্যে এটি প্রথম মাস।
২) এই মাসটি বছরের সম্মানিত চারটি পবিত্র মাসের মধ্যে একটি।আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সুরা তাওবার ৩৬নং আয়াতে বলেন- “নিশ্চয় আল্লাহর বিধান ও গননায় মাস বারটি, আসমানসমূহ ও পৃথিবী সৃষ্টির দিন থেকে। তন্মধ্যে চারটি সম্মানিত। এটিই সুপ্রতিষ্ঠিত বিধান।
৩) এই মাসে রোজা রাখা অন্যান্য মাসের চেয়ে উত্তম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “রামাদানের পর সর্বোত্তম রোজা মুহররম মাসের এবং ফরজ নামাজের পর সর্বোত্তম নামাজ হল রাতের নামাজ। (সহিহ মুসলিম, সুনান আবু দাউদ, সুনান আল-তিরমিযী)
৪) নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ মাসটিকে “আল্লাহর মাস” বলে উল্লেখ করেছেন, যদিও সমস্ত মাস আল্লাহ তাআলার সৃষ্ট । কিন্তু এই মাসের গুরুত্ব ও মর্যাদার কারণে আল্লাহর দিকে সম্পৃক্ত করেছেন।আর এটা স্পষ্ট কথা যে আল্লাহ তা'য়ালার সাথে সম্পর্কিত বিষয়গুলি সম্মানজনক এবং শ্রেষ্ঠতর। যেমন বাইতুল্লাহ, কা'বাতুল্লাহ ইত্যাদি।
৫) এই মাসে আশুরার দিন রয়েছে, যে দিনের রোযা এক বছরের গুনাহের কাফফারা।
এ মর্মে তিনি উল্লেখ করেন- রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আশুরার রোজা সামনের এবং পিছনের এক বছরের গুনাহের কাফ্ফারা।(সহিহ মুসলিম)।
তিনি বলেন এই মহররম মাসের ১০ম তারিখ তথা আশুরার দিনে আল্লাহ তাআলা মুসা (আ.) ও বনি ইসরাইলকে ফেরাউনের অত্যাচার থেকে মুক্ত করেছিলেন। মুসা (আ.)-এর দোয়ায় আল্লাহ তাআলা রেড-সি বা লোহিত সাগরকে বিভক্ত করে দিয়েছিলেন এবং মুসা (আ.) ও তার অনুসারীরা নিরাপদে পার হতে পেরেছিলেন, কিন্তু ফেরাউন ও তার বাহিনী ডুবে যায়। আরো বলেন আশুরার দিনে আল্লাহ তাআলা আদম (আ.)-এর তওবা কবুল করেছিলেন। আশুরার দিনে আল্লাহ তাআলা অনেক নবী ও তাদের অনুসারীদের বিভিন্ন বিপদ-আপদ থেকে মুক্তি দিয়েছেন, অনেক নবী রাসুলদের আল্লাহ পরিক্ষা নিয়েছেন ও তাঁহারা উত্তীর্ন হয়েছেন।
সর্বশেষ যে ঘটনাটি ইমানদার নবী প্রেমিকদের মনে পীড়া দেয় সেটি হচ্ছে আশুরার দিনেই ৬১ হিজরিতে নবী দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন (রা.) ও তার অনুসারীরা কারবালার ময়দানে ইয়াজিদের বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে শাহাদাত বরণ করেন। এই ঘটনা ইসলামের ইতিহাসে একটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও হৃদয়বিদারক ঘটনা হিসেবে স্মরণীয় হয়ে আছে। তিনি বলেন
ইসলামের বর্ণনামতে- আশুরার দিন কেয়ামত ঘটবে বলে হাদিসে উল্লেখ রয়েছে। তিনি সকলকে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায়, হালাল উপার্জন ও বিশেষত: বাচ্চাদের দ্বীনি শিক্ষা দীক্ষার প্রতি যত্নশীল হওয়ার তাগিদ দেন।
বিশেষত: আশুরার দিনটি মুসলমানদের নিকট অত্যন্ত গুরুত্ববহ এবং তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে সবাই যেন তা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারেন সে বিষয়ে গুরুত্বারূপ করেন।পরিশেষে মীলাদ, দোয়া ও শিন্নী বিতরণের মাধ্যমে মাহফিল সমাপ্তি করা হয়। দোয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ সহ মুসলিম উম্মার সূখ শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়েছে।। *********************************************
সংবাদদাতা; নাজমুল সুমন, কার্ডিফ, ওয়েলস ইউকে,
২১ শে জুলাই ২০২৪ ইংরেজি,

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Welsh Bangla News posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share