08/01/2024
বিটবুর্গ রহস্য: একটি বাস্তব প্যারানরমাল ও
আধিভৌতিক কাহিনী
লেখক: আবদুল্লাহ আল-হারুন
পৃথিবীতে এমন কিছু কিছু ঘটনা আছে যার কোনো কারণ দর্শানো যায় না। কিছু ঘটনা থাকে যা বিজ্ঞানের ধরাছোঁয়ার বাইরেÑ রহস্য হয়েই থেকে যায়। সমাধান করার কোনো গাণিতিক সূত্রও থাকে না, আর সেই কারণেই সম্ভবত আধিভৌতিক বা প্যারানরমাল শব্দটির জন্ম। অনেকে বলেন প্যারানরমাল বা আধিভৌতিক রহস্যের অনেক ঘটনা, চিত্র, পটভূমি, প্রতিবেশ, পরিপ্রেক্ষিত বোঝা যায় না। বিটবুর্গ রহস্য তেমনি একটি বাস্তব আধিভৌতিক ও সময়ভ্রমণ (টাইম ট্র্যাভেল) কাহিনী। এই বইটিতে কাহিনীর ঘনঘটা এমনভাবে বর্ণিত হয়েছে যে অনেক কিছুই বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হবে না। সব কিছুর হেতু ও তাৎপর্য কখনই বিশ্লেষণ করা যাবে না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে ঘটনাগুলো ঘটেছে এবং সেটা আধিভৌতিক বলে প্রবল যুক্তিবাদী পাঠককেও কিছুটা দ্বিধায় ফেলে দেবে। বিশ্বাস এবং জ্ঞানের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করা খুব একটা সহজ ব্যপার নয়; যেমনটা বোধ এবং উপলব্ধির মধ্যে হয়ে থাকে। পদার্থবিদ্যার নতুন কোনো থিয়োরি প্রথমে অনুমানের মধ্যে জন্ম নেয় এবং পরে ক্রমে প্রমাণের মাধ্যমে নিশ্চয়তা লাভ করে, নতুবা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু বিশ্বাসের বেলায় এটা প্রযোজ্য নয়।
ভালোবাসার মানুষকে না পাওয়ার হাহাকার সর্বজনিন। এই না পাওয়াকে কেন্দ্র করে গল্পে মেলি নামের মূল চরিত্র অন্যলোকে গিয়েও কীভাবে দয়িতকে নিয়ে যাবার জন্য টাইম ট্র্যাভেলে ফিরে আসে তার একটি লোমহর্ষক বাস্তব বর্ণনা আছে। গল্পের উত্তেজনা আর নানারকম ঠাসবুনন পাঠককে অবিশ্বাস্য এক ঘোরের মধ্যে রাখবে সন্দেহ নেই।
শেষ পরিণতি জানার জন্য পাঠককে বইটি পড়তে হবে এবং সম্পৃক্ত থাকতে হবে কাহিনীর সাথে।
এই বইর কাহিনীতে ষাটের দশকে এদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা এবং সত্তর দশকের মাঝামাঝি লেখকের ইউরোপে থিতু হওয়ার প্রেক্ষিত তথা তাঁর বিশ্ব ভ্রমণের প্রেক্ষাপট বর্ণিত হয়েছে খুব নির্মোহভাবে। এই বর্ণনায় লেখকের ব্যক্তিগত অনুভূতি, পাওয়া-না পাওয়ার টানাপোড়েন, প্রাচ্য ও পাশ্চাত্তের দ্বন্দ্ব, টান টান উত্তেজনায় বিধৃত হয়েছে পরতে পরতে। এর সাথে সম্পৃক্ত চরিত্রগুলোর নানারকম বৈচিত্র্য এবং মানবজমিনের এক অদ্ভুত বিশেষত্ব ধরা পড়বে পাঠকের চোখে।
বইটি লিখেছেন জার্মানপ্রবাসী লেখক আবদুল্লাহ আল-হারুন। যিনি মৃত্যু নিয়ে গবেষণা করেন এবং এ নিয়ে ইতোমধ্যে কয়েকটি মূল্যবান বইও লিখেছেন। বাংলা ভাষায় মৃত্যু নিয়ে গবেষণাধর্মী এত বেশি আর কোনো লেখক সম্ভবত লেখেননি। প্রায় ৪৭ বছর যাবৎ প্রবাস জীবনে তিনি হাঁপিয়ে উঠেছেন। দেশের প্রতি অদ্ভুত এক টান অনুভব করেন প্রতিনিয়ত। বিদেশের প্রাচুর্য আর বৈভব থাকলেও মরতে চান নিজে দেশে। তাই বার বার ছুটে আসতে চাইলেও স্বাস্থ্যগত কারণে তা অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। নিজের ব্যক্তিগত দুঃখ এবং হতাশা থেকে মুক্তি ও মৃত্যুর মত বিষয় নিয়ে লেখালেখি শুরু করেন। এদেশের বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সেসব লেখা ছাপা হওয়ার পরে পরিচিতিও পায়।
বইটি প্রকাশ করেছে অঙ্কুর প্রকাশনী। ৪২৪ পৃষ্ঠার এই বইটির মূল্য: ৮৫০.০০ টাকা। বইটিতে ৪০% কমিশন দিলে মূল্য আসে ৫১০.০০ টাকা। প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের বাইরে কেউ কুরিয়ারে সংগ্রহ করতে চাইলে ৫১০ টাকা এবং কুরিয়ার চার্জ ৫০ টাকাসহ মোট ৫৬০.০০ টাকা বিকাশ অথবা নগদ নাম্বারে পাঠিয়ে বই সংগ্রহ করতে পারবেন। বিকাশ নং: ০১৮১৫-৩৮৭৭৫৮, নগদ নাম্বার: ০১৯১৪-৭৩৫৮৫৮