04/10/2023
এক ব্যক্তি মাজারের দরজা চুরি করে নিয়ে যায়। লোকেরা তাকে খুঁজে বের করে ধরল আর বলল, ওহে নরাধম! তুই বাবার মাজারের দরজাটা চুরি করলি কেন? আর কিছু চুরি করার পেলি না বুঝি! লোকটা বলল, কই আমি চুরি করলাম! বাবাই তো আমাকে দরজাটা দান করেছেন। মাজারপূজারীরা চেঁচিয়ে ওঠল, ওরে পিচাশ! বাবা তোকে কীভাবে দান করবেন? বাবা তো ভেতরে মৃত, তিনি কথা বললেন কী করে আর তুই তার কথা শুনলিই কী করে! লোকটা বলল, কেন! বাবা তোমাদেরকে সন্তান দিতে পারলে, চাকরি দিতে পারলে, রিজিক দিতে পারলে, আমাকে কেন বাবা তার মাজারের দরজাটা দান করতে পারবেন না! সবাই নিশ্চুপ।
আসলে কোন বাবা, পীর, ওলী, গাউস, কুতুব কবর থেকে কিছুই করতে পারেন না। তাঁরা তো নিজেরাই নিজেদের নিয়ে ইয়া নাফসী ইয়া নাফসী! তাঁরা কাউকে সন্তান দিতে পারেন না, অন্ন দিতে পারেন না, অর্থ দিতে পারেন না। তাঁরা যে এসব পারেন না এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ মাজারের ভিক্ষুকগুলো। একটা ভিক্ষুকও ভালো করে জানে বাবা কিছুই করতে পারে না, তাই সে কিন্তু হাত বাবার কাছে পাতে না, পাতে দর্শনার্থীর কাছে। অথচ মাজারে তো ২৪ ঘণ্টা থাকে সে। তার চেয়ে মাজারের বড় আবিদ কে? আমাদের বুঝ কি একটা ভিক্ষুক থেকেও কম হয়ে গেল!
সংগৃহীত