শিরোনাম প্রকাশন

শিরোনাম প্রকাশন সৃজনশীল প্রকাশনা

শোণিত সংগ্রহ করুন বইয়ের অবনী থেকে..
15/01/2025

শোণিত সংগ্রহ করুন বইয়ের অবনী থেকে..

আরবান ফ্যান্টাসির নাম শুনেছেন কখনো? লর্ড অফ দ্য রিংস, হ্যারি পটারের বইগুলোর মতো অনেক বিখ্যাত ফ্যান্টাসি জনরার বই রয়েছে। সেই ফ্যান্টাসি জনরার একটি বিভাগ হলো আরবান ফ্যান্টাসি। বর্তমান সময়ে শহুরে প্রেক্ষাপটে ফ্যান্টাসি লেখাকেই আরবান ফ্যান্টাসি বলা হয়।

বাইরের দেশের সাহিত্যে আরবান ফ্যান্টাসির অনেক বিখ্যাত বই রয়েছে, যার মধ্যে জিম বুচারের ‘দ্য ড্রেসডেন ফাইলস’, নিল গেইম্যানের ‘নেভারহোয়্যার’ এবং জর্জ আর আর মার্টিনের ‘ফিভার ড্রিম’ উল্লেখযোগ্য।

আমাদের দেশে খুব কম লেখকই ফ্যান্টাসি জনরার বই লেখেন, আরবান ফ্যান্টাসি তো দূরে থাক। শিরোনাম প্রকাশন হাত ধরে বেশ কিছু নতুন জনরার বই পেয়েছে বাংলাদেশের পাঠকরা। এর মধ্যে আরবান ফ্যান্টাসির একটি হলো সৈয়দ অনির্বাণের লেখা ‘শোণিত উপাখ্যান’ সিরিজ, যা নিয়ে আজকের এই লেখার অবতারণা।

‘শোণিত উপাখ্যান: বর্তমান, অতীত এবং অতঃপর’ নামেই ট্রিলজির বই তিনটি সাজানো।

আধুনিক এই ঢাকা শহরের ভেতরে পিশাচ, স্কন্ধকাটা, চুড়েল, জাদুকরদের নিয়েই কাহিনীর বিস্তার! আরবান এবং হিস্টোরিক্যাল ফ্যান্টাসির কাতারে পড়া এই সিরিজ থ্রিলার পাঠকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

সিরিজের তিনটি বইয়েরই সারসংক্ষেপে বলা আছে,

ইতিহাস কথা বলে – বিজয়ীদের কথা। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় – অতীত গৌরবের সাক্ষ্য। কিন্তু কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া ঘটনাবলির কতটুকু তাতে অটুট থাকে?

📨অর্ডার করতে ইনবক্স করুন।

প্রহর শেষে। যে প্রহরের কোনও শেষ নেই।আওয়ামী লীগের আগ্রাসন, ভারত প্রেম, ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব সবকিছুর সূচনালগ্নই হচ্ছে, ২০...
15/01/2025

প্রহর শেষে। যে প্রহরের কোনও শেষ নেই।

আওয়ামী লীগের আগ্রাসন, ভারত প্রেম, ইসলাম বিদ্বেষী মনোভাব সবকিছুর সূচনালগ্নই হচ্ছে, ২০১৩ সালের শাপলা চত্বর।

শাপলা চত্বরের ঘটনাটি ছিলো একটি বীজ। যে বীজ বটবৃক্ষে রূপান্তরিত হয়ে, উপরে ফেলেছিলো ফ্যাসিবাদের সাম্রাজ্য ২৪ এর আগষ্টে। প্রহর শেষে বইটি আমাদের পাঠক প্রিয় একটি বই।

যুগ যুগ ধরে এই আগ্রাসনের বর্ণনা চলতে থাকুক। পিলখানা থেকে শাপলা। ফেব্রুয়ারী থেকে মে, মে থেকে জুলাই প্রতিটি ঘটনাই ছিলো, এ প্রজন্মের ইতিহাসের রক্তাক্ত এবং সংগ্রামী অধ্যায়। আমরা তা কখনোই ভুলবো না! যে প্রহর কভু শেষ হওয়ার নয়!

ভোজের রাত। জমিদার কৃষ্ণদেবের প্রাসাদে আলোর রোশনাই। আমন্ত্রিত অতিথিরা সবাই এসে পড়েছেন ইতোমধ্যে। বিভিন্ন অঞ্চলের জমিদার, স...
13/01/2025

ভোজের রাত। জমিদার কৃষ্ণদেবের প্রাসাদে আলোর রোশনাই। আমন্ত্রিত অতিথিরা সবাই এসে পড়েছেন ইতোমধ্যে। বিভিন্ন অঞ্চলের জমিদার, সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তি। এসেছে কৃষকদের উপর অত্যাচারের নির্মম খড়্গ চালানো, শোষণের জোয়াল চাপিয়ে দেওয়া নীল সাহেবরাও। তারা সব সময়ই জমিদারের আতিথেয়তা গ্রহণ করতে আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করে। কারণ এই জমিদারেরাই তাদের শাসনকে এদেশে সুসংহত করে রেখেছে। এছাড়াও জমিদারদের জলসা বা ভোজ মানেই নির্মল বিনোদন।

নীল সাহেবদের ধারণা ঠিক৷ জমিদারদের ভোজ মানেই বিনোদন। আজকের বিনোদনের উপলক্ষ্য নিম্নবর্গের মণিভূষণ জোলার গর্ভবতী বউ সুমতি বালা।

ভোজের আয়োজন শুরু হলে কৃষ্ণদেবের দেহরক্ষী সুমতিকে ছেঁচড়াতে ছেঁচড়াতে এনে বসিয়ে দিলো কৃষ্ণদেবের উরুর উপর। সুমতি বসতে চাইল না, বিদ্রোহ করে বসল। কাঁদতে কাঁদতে অনুনয়বিনয় করতে লাগল। তার সতীত্বের দোহাই দিতে লাগল, ঈশ্বর ভগবানের দোহাই দিতে লাগল, দোহাই দিতে লাগল অনাগত সন্তানের। কিন্তু তাতে কারোই মন গলল না। না জমিদারের, না ইংরেজদের, না সমাজের অভিজাত ব্যক্তিদের, না ভগবান ঈশ্বরের। এগিয়ে আসার বদলে সবাই দাঁত বের করে সুমতিকে দেখতে লাগল। যেন একটা খেলা! আর সুমতি সেই খেলার কোনো উপকরণ। বাকিরা দর্শক। কারো কোনো বিকার নেই। এতে উৎসাহ বেড়ে গেল ক্রীড়নক কৃষ্ণদেবের, লকলকে জিহ্বা বের চেটে দিলো সুমতির গাল। যে দু’একজনের মনে একটু দয়ার উদয় হয়েছিল, জমিদারের উৎসাহ দেখে তাতে ভাটা পড়ল। যোগ দিলো হর্ষোল্লাসে। সুমতি শরীরের সমস্ত শক্তি দিয়ে উঠে যেতে চাইল কিন্তু পারল না। কৃষ্ণদেব বাম হাতে ওর চুলের মুঠি খাঁমচে ধরে ওকে ঠেসে বসিয়ে রেখেছে উরুর উপর। এই বেলায় এসে চিৎকার করে করে সুমতি ভগবানকে ডাকতে লাগল, কিন্তু কোনো আওয়াজ এলো না। এলো শুধু ভোজে উপস্থিত মানুষের বিকৃত হাসির আওয়াজ। সুমতি মনে মনে ভাবল, ভগবান নিশ্চয় তাকে ত্যাগ করেছে; পৃথিবী মনে হয় ফিরে গেছে আদিম যুগে, হঠাৎ ঘুরে গেছে সভ্যতার চাকা। সবকিছু পেছনের দিকে চলতে শুরু করেছে। মানুষজন ধীরে ধীরে জীব-জন্তু হয়ে উঠছে। বনের পশু শিকার পেলে যেভাবে উন্মত্ততা প্রকাশ করে, তেমনিই উন্মত্ততা সে কৃষ্ণদেবের ভোজের অনুষ্ঠানে দেখতে পেল। হাল ছেড়ে দিলো সে, বন্ধ করে দিলো নড়াচড়া। কৃষ্ণদেবের উরুর উপর মূর্তির মতো বসে থাকল।

সুমতি মূর্তি হয়ে গেলে, থেমে গেল ভোজে আগতদের হাসি। বিনা বাঁধায় রাজ্য জয় করে যেমন আনন্দ নেই, তেমনি নির্যাতিত চুপ করে গেলে নির্যাতন করেও আরাম নেই। এতে ক্ষেপে গেলেন জমিদার কৃষ্ণদেব। সুমতির চুলের মুঠি ধরে ঝাঁকি দিয়ে বলে উঠলেন,

‘তুই আমার পায়ের জুতোর ধুলোর যোগ্যও নস। তোর মতো নীচু জাতের কেউ আমার সামনেই আসার সাহস পায় না, সেখানে তোকে কোলে বসিয়েছি। তাতেও তোর এত দেমাগ! আজকে তোর দেমাগ ভেঙে শেষ করে দেবো আমি।’

সুমতির শরীরে তাও নড়াচড়া দেখা গেল না, দেখা গেল না জংলি হরিণীর মতো বিদ্রোহী মনোভাব।

এরই মধ্যে হুগলী নীলকুঠির মালিক উইলিয়াম স্টর্ম বলে উঠলেন, ‘শিকারকে কীভাবে বশ মানাতে হয় তা জমিদার কৃষ্ণদেবের কাছে শেখা উচিত। ছোটো জাতকে কীভাবে উচিত শিক্ষা দিতে হয়, তিনি খুব ভালো করে জানেন।’

আসলে নীলকর সাহেবরা জমিদারের এমন বিকৃত ও অভিনব কায়দায় অত্যাচার দেখে মজা পাচ্ছিল৷ তারা উপস্থিত দেশীয় জমিদার, অমাত্য ও অভিজাত ব্যক্তিদের চোখেমুখে কৃষ্ণদেবের কদাকার কাজকে ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে দেখছিল। ইংরেজরা জানত, এদেশের জমিদারেরা যত ক্ষমতাশালী হবে, তাদের শাসন তত সুসংহত হবে, মজবুত হবে।

উইলিমা স্টর্মের কথা শুনে খুশি হলেন সরফরাজপুরের জমিদার কৃষ্ণদেব। আগের চেয়েও বেশি উৎসাহে সুমতির গাল চেটে দিলেন─থকথকে লালা আটকে গেল সুমতির নরম গালে। তবুও নড়ল না সে। বসে রইল নির্বিকার।

দর্শকদের কেউ কেউ হেসে ফেলল। কিন্তু কৃষ্ণদেব একে নিজের অপমান হিসেবে দেখলেন। মাথায় রক্ত উঠে গেল তার। এরপর উনি যা করলেন, তা হার মানাল মহাভারতের দুঃশাসনকেও। সবার সামনে দুমড়েমুচড়ে দিলেন সুমতির শরীর।

সুমতি তবুও নড়ল না, চড়ল না। চোখ দিয়ে শুধু গড়িয়ে পড়ল জল। শরীর ভেঙে বেরিয়ে এলো রক্ত।

সুমতির রক্ত, সুমতির কান্না, তার অসহায় করুণ চোখ, গর্ভ থেকে রক্ত হয়ে বেরিয়ে আসা সন্তান ভোজে উপস্থিত কারও মধ্যে কোনো অনুভূতি জাগাতে পারল না। বরং তারা আরও বেশি আনন্দে ফেটে পড়ল, মদ গিলল, নোংরা জিহ্বা দিয়ে চেটে নিল ঠোঁট।

নীলকর সাহেবরা এই ঘটনাকে দেখল ক্ষমতার নিদর্শন ও নীচু জাতির প্রতি অভিজাতের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন হিসেবে।

প্রকাশিতব্য উপন্যাস তিতুমীর: জান অথবা জমিন থেকে।
পরাগ ওয়াহিদ ভাইয়ের প্রচ্ছদে তিতুমীর প্রকাশিত হবে শিরোনাম প্রকাশন থেকে।

শিরোনামের বই নিয়ে আমাদের যাবতীয় প্রচারণা বা আপডেট এই পেজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু আমি পারলে ঢাকঢোল পিটিয়ে এই বইটার প্রচ...
10/01/2025

শিরোনামের বই নিয়ে আমাদের যাবতীয় প্রচারণা বা আপডেট এই পেজের মধ্যেই সীমাবদ্ধ।
কিন্তু আমি পারলে ঢাকঢোল পিটিয়ে এই বইটার প্রচারণা করতাম।
বইমেলায় সম্ভবত শিরোনামের একমাত্র মৌলিক বই।
বাঙ্গালা আমিরাত রাষ্ট্রের বাদশাহ সৈয়দ মীর নিসার আলী এর জীবনীভিত্তিক উপন্যাস
"তিতুমীর: জান অথবা জমিন।"
আপনাদের শুধু একটা কথাই বলতে চাই, বইটা পইড়েন। আমাদের ভুলে যাওয়া অতীত জানতে হইলেও....

পাঠকের ক্যামেরায় শোণিত উপাখ্যান। ছবি কৃতজ্ঞতা : Nabiha Nupur
10/01/2025

পাঠকের ক্যামেরায় শোণিত উপাখ্যান।

ছবি কৃতজ্ঞতা : Nabiha Nupur

বইমেলায় দুইটি ইউনিট বরাদ্দ পাওয়ায় শিরোনাম প্রকাশন এর বইমেলা পরিবেশক চিরকুট প্রকাশনীকে অভিনন্দন।
10/01/2025

বইমেলায় দুইটি ইউনিট বরাদ্দ পাওয়ায় শিরোনাম প্রকাশন এর বইমেলা পরিবেশক চিরকুট প্রকাশনীকে অভিনন্দন।

পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বস্তু নাকি বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ। তারচেয়েও ভারী হয়তো, সন্তানের মৃত্যুতে বাবা খুনী।ভেডিভ বারোজ যে...
09/01/2025

পৃথিবীর সবচেয়ে ভারী বস্তু নাকি বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ। তারচেয়েও ভারী হয়তো, সন্তানের মৃত্যুতে বাবা খুনী।

ভেডিভ বারোজ যেনো,তেমনই এক হতভাগ্য পিতা। আপন সন্তানের হত্যাকারী হিসেবে, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত। হঠাৎই একদিন, বহুবছর পর জানতে সন্ধান পাওয়া যায় একটি ছেলের। যে দেখতে ডেভিডের ছেলে, ম্যাথিউর মতো অবিকল। প্রাক্তন স্ত্রী'র বোনের কল্যাণে, এমন খবর পায় ডেভিড।

তাহলে কী তাঁর সন্তান খুন হয়নি? কে হতে পারে সেই ছেলেটি? নিজ সন্তান হত্যার দায়ে,সাজাপ্রাপ্ত বাবা ডেভিড তখনই জেল থেকে পালানোর সিদ্ধান্ত নেয়৷ পুত্রের নিখোঁজ রহস্য উদঘাটন করতে গিয়ে, সম্মুখীন হয় একের পর এক নির্মম সত্যের।

শেষ পর্যন্ত আসলে কী হয়? ডেভিডই কী তাঁর ছেলের খুনী? তাঁর পুত্রের আসল হত্যাকারী কে, এবং অবিকল দেখতে সেই ছেলেটি কে, তাঁর রহস্য কী?

সব রহস্যের সমাধান এবং অসাধারণ টুইস্টে ভরপুর বইটি, আই উইল ফাইন্ড ইউ। যেখানে পাঠক চলে যাবেন, এক রোমাঞ্চকর জগতে। আহনাফ তাহমিদের সাবলীল অনুবাদে, সহজেই আপনি বইটি পড়তে পারবেন। তাহলে আর দেরি কেন!

08/01/2025

জান অথবা জমিন..✊

রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে, কিন্তু পোষা প্রাণী টি অন্ততকাল রয়ে যাবে পাশে। যদি প্রাণীটিকে আপনি...
05/01/2025

রুটি মদ ফুরিয়ে যাবে, প্রিয়ার কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে আসবে, কিন্তু পোষা প্রাণী টি অন্ততকাল রয়ে যাবে পাশে। যদি প্রাণীটিকে আপনি ভালোবাসেন। ওমর খৈয়াম হয়তো এই কথাটি বলতে ভুলে গেছেন।

সুদিনে তো সবাই থাকে। দুর্দিনে ক'জনই বা রয়ে যায়? মানুষ চলে গেলেও, ভুলে গেলেও আপনার সেই পোষা প্যাট টি রয়ে যাবে।

শী এন্ড হার ক্যাট। টোকিওর রাস্তার পাশের,বিড়ালগুলো হয়ে গেলো তাদের মালিকদের জীবনের হাসিকান্নার সঙ্গী। জীবন সত্যিই অদ্ভুত! দুঃখ,বিপর্যয়, বেদনার কালে আমরা কোনও মানুষকে কাছে পাই না। তখন হয়তো সঙ্গী হয় বই অথবা পোষা প্রাণী। বোবা প্রাণীটি মুখ ফুটে কিছু বলতে না পারলেও, অনুভূতি ঠিকই বুঝে নেয়।

চারজন মেয়ে আর চারটি বিড়ালের গল্প। সেই সাথে তাঁদের হাসি কান্না, আনন্দ বেদনার গল্প নিয়ে,সাজানো এই বইটি।

বইটির একটি চমৎকার দিক হচ্ছে, পড়ার পর মন ভালো হয়ে যায়। এই মন ভালো হয়ে যাওয়ার ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ুক,মানসিকভাবে বিপর্যস্ত কিংবা ভেঙ্গে পড়া,মানুষগুলোর কাছে।

দুদিন আগে, রুটিন চেক-আপ করতে গেলাম। ডাক্তার হার্টের চেক-আপ করার আগে বললেন, আপনি কী  অন্বয় আকিবের দ্য মোস্ট ডেঞ্জারাস গেম...
05/01/2025

দুদিন আগে, রুটিন চেক-আপ করতে গেলাম। ডাক্তার হার্টের চেক-আপ করার আগে বললেন, আপনি কী অন্বয় আকিবের দ্য মোস্ট ডেঞ্জারাস গেম বইটা পড়েছেন?

আমি বললাম,জি ডক্টর। দুইবার পড়েছি। তিনি বললেন, তাহলে আপনার হার্ট সুস্থ আছে। চেক-আপ করতে হবে না। কারণ, এই বইটা তো দুর্বল হৃদয়ের জন্য না।

এখন সিদ্ধান্ত আপনার হাতে, আপনি কী ডেঞ্জারাস গেম পড়ে নিজের হার্টকে সুস্থ রাখবেন। নাকি দুর্বল হৃদয়ের হয়েই থাকবেন😒? দেখেন যেটা ভালো মনে করেন।

শক্তিশালী হার্টের মানুষগুলো কে দেখতে চাই। যাঁরা শিরোনামের, ডেঞ্জারাস গেম বইটা পড়েছেন।

ছবি: উমর ফারুক আকাশ।

দ্য ক্রসিং। শিরোনাম প্রকাশনীর যাত্রা শুরু হয়েছে, যাঁর মাধ্যমে।  মাইকেল কনেলির, এই ক্রাইম থ্রিলারটি খুব অল্পদিনেই বিশ্বে ...
04/01/2025

দ্য ক্রসিং। শিরোনাম প্রকাশনীর যাত্রা শুরু হয়েছে, যাঁর মাধ্যমে।

মাইকেল কনেলির, এই ক্রাইম থ্রিলারটি খুব অল্পদিনেই বিশ্বে জনপ্রিয় হয়েছে। ইশরাক অর্ণবের অনুবাদের কল্যাণে, বাংলা ভাষার পাঠকের কাছেও বইটি ছড়িয়ে পড়েছে।

যাঁরা ক্রাইম থ্রিলার বই পড়তে পছন্দ করেন। এবং দ্য ক্রসিং বইটি পড়েছেন। তাঁরা জানেন, বইটি কত চমৎকার।

আমরা জানি, পুলিশ/গোয়েন্দা এবং ক্রিমিনাল ল ইয়ার দুটোই দা-কুমড়া সম্পর্ক। পুলিশ যাকে অপরাধী হিসেবে, উপস্থাপন করে। পুলিশ যে সকল প্রমাণের বিরুদ্ধে, একজন আসামী কে প্রকৃত আসামী হিসেবে প্রমাণ করে।ক্রিমিনাল ল ইয়ার করে, ঠিক তাঁর উল্টো টা। অর্থাৎ সে তাঁর ক্লায়েন্ট কে নির্দোষ প্রমাণ করতে চেষ্টা করে।

হ্যারি বশ অবসরপ্রাপ্ত গোয়েন্দা কর্মকর্তা। অন্যদিকে তাঁর ভাই মিকি হলার, ডিফেন্স এর্টনি। ভাই মিকি হলারের অনুরোধে, নৈতিকতার বিরুদ্ধে গিয়ে ভাই হ্যারি বশ একটি আসামির খুনের মামলাটি, আবার খতিয়ে দেখা শুরু করে। যদিও অনিচ্ছা ছিলো, হ্যারি বশের।

কিন্তু মামলাটি খতিয়ে দেখতে গিয়েই, চলে আসে রহস্য। খুনের দায়ে যে লোকটি, অভিযুক্ত হয়ে সাজাপ্রাপ্ত। সে আসল খুনি নয়। এই বিষয়গুলো উদঘাটন করতে গিয়ে,সামনে চলে আসে আরও অনেক অনেক মামলার রহস্য।

দূর্দান্ত এই ক্রাইম থ্রিলারটি পড়ার সময়, আপনারাও হ্যারি
বশের সাথে গোয়েন্দা হয়ে যাবেন। টানটান উত্তেজনায়, বইটি আপনি শেষ করবেন। সাথে থাকবে অসংখ্য রহস্যের সমাধান।

বাংলায় একটা বাক্য আছে, বিষন্ন সুন্দর। ৮৪, চ্যারিং ক্রস রোড বইটি পড়ার পর,এই বাক্যটিই মনে পরে। প্রকাশনীতে বই বিক্রি করি। ত...
01/01/2025

বাংলায় একটা বাক্য আছে, বিষন্ন সুন্দর। ৮৪, চ্যারিং ক্রস রোড বইটি পড়ার পর,এই বাক্যটিই মনে পরে।

প্রকাশনীতে বই বিক্রি করি। তখন নিজেকে 'মার্কস এন্ড কো. এর ফ্রাঙ্ক মনে হয়। ইচ্ছে করে, এদেশে বসে সূদুর মিশর কিংবা রাশিয়ায় বই পাঠাই। হেলেন হ্যানফের মতো একজন ক্রেতা থাকুক, যে চিঠিতে তাঁর বইয়ের চাহিদার কথা বলবে।

ভাবা যায়, ৭০ বছর আগে লন্ডন থেকে আমেরিকায় বই পাঠাতো ফ্রাঙ্ক। সেই বইগুলোর ভাব বিনিময় হতো, চিঠির মাধ্যমে। সেটা দীর্ঘ ২০ বছর ধরে চলে। এখনকার প্রযুক্তির যুগে, আমাদের একটি ম্যাসেজের রিপ্লাই করতেই কতো না বিলম্ব। কতোই না, বিরক্তি। অথচ তাঁরা তিন হাজার মাইল দূরত্বে, চিঠির মাধ্যমে বই আদানপ্রদান করতো।

৮৪ চ্যারিং ক্রস রোডের মতো, ৩৮ বাংলাবাজারের ৩য় তলার শিরোনাম প্রকাশনীও হয়ে উঠুক,আপনাদের জন্য কম দূরত্বের। বিদেশে না হোক, দেশের প্রতিটি অঞ্চলে ছড়িয়ে যাক, শিরোনাম থেকে প্রকাশিত ৮৪, চ্যারিং ক্রস রোড বইটি। বইটির অনুবাদ যেকোনো পাঠককেই মুগ্ধ করতে বাধ্য।

বইটি সংগ্রহ করেছেন তো?

ছবি: Kazi Hasan Jamil

  ★বই: সুইট বিন পেস্ট ★ক্যাটাগরি: ফিকশন★লেখক: ডুরিয়ান সুকিগাওয়া★অনুবাদক: অর্নব কবির★মূদ্রিত মূল্য: ৪০০৳★পৃষ্ঠা: ১৯২★গল্প...
29/12/2024



★বই: সুইট বিন পেস্ট
★ক্যাটাগরি: ফিকশন
★লেখক: ডুরিয়ান সুকিগাওয়া
★অনুবাদক: অর্নব কবির
★মূদ্রিত মূল্য: ৪০০৳
★পৃষ্ঠা: ১৯২

★গল্প সংক্ষেপে:
জীবন যুদ্ধে সেনতারো পরাজিত একজন মানুষ। ইতোমধ্যে কারাগারের চার দেয়াল ঘুরে আসা হয়ে গেছে। ব্যক্তিগত জীবনে এখন প্রচুর মদ্যপান করার পাশাপাশি লেখক হওয়ার ইচ্ছে ক্রমশ ক্ষীণ থেকে ক্ষীণতর যাচ্ছে তার। সময়ের সাথে সাথে চেরি গাছে ফুল ফোটে। দিন বদলের জানান দেয়। আর সেনতারোর দিন কাটে ছোট্ট এক কনফেকশনারি দোকানে ডোরিয়াকি বিক্রি করতে করতে। ডোরিয়াকি জিনিসটা এক ধরনের প্যানকেক, যার মধ্যে ভরতি থাকে মিষ্টি বিন পেস্ট।
কিন্তু সবকিছুতে একটা বদল আসতে চলছে।
তার জীবনে আগমন ঘটলো তোকু নামক এক বয়স্ক মহিলার। যার হাতটা বিকৃত, আর রয়েছে এক ক্লেশিত অতীত। তোকু এমন মজার মিষ্টি বিন পেস্ট বানায় যা সেনতারো আগে কোনোদিন খায়নি। তার নিজের মিষ্টি বিন পেস্ট বানানোর প্রক্রিয়া সেনতারোকে শেখাতে শুরু করে। তাদের বন্ধুত্বের বিকাশের সাথে সাথে অসম্ভব হয়ে পড়ে সামাজিক চাপকে এড়ানোর। একসময় প্রকাশ পেয়ে যায় তোকুর তমসাচ্ছন্ন জীবনের গল্প। সেই সাথে বয়ে নিয়ে আসে এক নিদারুণ পরিণতিকে।

★বই সম্পর্কে পার্সোনাল অপিনিয়ন:
জাপানিজ গল্পগুলো সবসময়ই একটু সাধারণ ভাবেই শুরু হয়। ধীরে ধীরে পাঠককে গল্পে আকৃষ্ট করে। এই বিষয়টা আমি প্রায় সব ক্যাটাগরির জাপানিজ বইয়েই দেখেছি। এই বিষয়টা বেশ উপভোগ্য।

সেনতারোর প্রতিদিন একঘেয়ে ভাবে ডোরিয়াকি বানানোর গল্প দিয়ে শুরু হয় গল্প। এরপর সেখানে আসে তোকু। তোকুর সাথে পরিচয়ের পর সেনতারোর মধ্যে অনেক পরিবর্তন আসতে শুরু করে। যে কাজ সে ফেলে পালিয়ে যেতে চাইতো, সেটা নিয়ে সে নতুন করে স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। ধীরে ধীরে সেনতারো জানতে পারে তোকুর করুণ অতীত। তাদের সাথে ডোরিয়াকি শপের থেকেই যুক্ত হয় এক স্কুল পড়ুয়া তরুনী ওয়াকানা। তবে শেষ পর্যন্ত সব কিছু ওলট পালট হয়ে যায় সেমতারোর। তোকুর জন্য খারাপ লেগেছে অনেক।

চেরি ব্লসমের বর্ননা ছিলো অসাধারন। একদম জীবন্ত বর্ণনা করেছেন লেখক। তবে গল্পের শুরুতে আর শেষে কাহিনিতে বার বার দৃশ্য পরিবর্তন হলেও মাঝের দিকে বার বার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি কিছুটা বোরিং করে তুলছিলো। তবে ওভারঅল হিসাব করলে অসাধারণ ছিলো বইটা।

শিরোনাম প্রকাশন এর প্রোডাকশন নিয়ে বলার কিছু নেই। বরাবরের মতো অসাধারণ। কিছু বানান ভুল ছিলো। এগুলো পরবর্তীতে ঠিক করে দিবে আশা করি। আর সবচেয়ে ভালো লাগছে যেটা সেটা হলো প্রচ্ছদ। এত্ত সুন্দর! আমার প্রথমে এটার ইংরেজিটা কেনার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু পরে অনুবাদ আসতেছে আর এই প্রচ্ছদ দেখে আমি এটাই নেয়ার জন্য ঠিক করে ফেলি। যদিও আমি নেয়ার আগেই বইটা গিফ্ট হিসাবে পেয়ে গেছিলাম।

★পার্সোনাল রেটিং: ৭.৫/১০

★সাজেশন: পড়ে দেখতে পারেন। বিশেষ করে যাদের জাপানিজ সাহিত্য ভালো লাগে তারা এটা মিস করবেন না।

© মারুফের বইস্বর্গ

29/12/2024

জান অথবা জমিন...

গোয়েন্দা গল্প তো বরাবরই আমাদের কাছে,রোমাঞ্চকর। কিন্তু সেই গল্পগুলো যদি বাস্তবতা থেকে উঠে আসে, তাহলে তো রোমাঞ্চ আরও কয়েক ...
26/12/2024

গোয়েন্দা গল্প তো বরাবরই আমাদের কাছে,রোমাঞ্চকর। কিন্তু সেই গল্পগুলো যদি বাস্তবতা থেকে উঠে আসে, তাহলে তো রোমাঞ্চ আরও কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়।

শিরোনাম প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত,আমাদের স্পাই স্টোরিজ-২ বইটি, ইতিহাসের সেই সকল স্পাইদের নিয়ে রচিত যাঁরা ডাবল এজেন্ট হিসেবে কাজ করেছিলো। কিন্তু এই ডাবল এজেন্টদের খুঁজে পেতে কিন্তু এফবিআই সহ মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের কিন্তু নাকানিচুবানি কম খেতে হয়নি। এছাড়াও ভুল সন্দেহের শিকার হয়ে, ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে গেছে বহু সৎ অফিসারদের।

স্পাই স্টোরিজ -২ এ সেইসব সত্য ঘটনা অবলম্বনে,বইটি সাজানো হয়েছে। ইতিহাসের বহু অজানা রহস্য, রোমাঞ্চ ও চাঞ্চল্যে ভরপুর গল্প জানতে চাইলে। স্পাই স্টোরিজ -২ বইটি নিয়ে বসে পড়ুন।

আপনাদের কেমন লেগেছে, আমাদের এই বইটি?

ডোরিয়াকি দোকান পরিচালনা করেন সেনতারো। জীবনের প্রতি তাঁর রয়েছে, প্রচন্ড বিতৃষ্ণা।  যে কাজ করে সে, সেটাও তাঁর পছন্দের না। ...
23/12/2024

ডোরিয়াকি দোকান পরিচালনা করেন সেনতারো। জীবনের প্রতি তাঁর রয়েছে, প্রচন্ড বিতৃষ্ণা। যে কাজ করে সে, সেটাও তাঁর পছন্দের না। অনিচ্ছা সত্বেও কাজটা সে করে। নেই কোনও ভালোবাসা কাজের প্রতি।

তাঁর এই ডোরিয়াকি শপে, সুইটবিন পেস্ট বানানোর কাজ পায়, তোকু। তোকুর বয়স অনেক। বৃদ্ধ হওয়ায় প্রথমে কাজে নিতে চায়নি, সেনতারো। কিন্তু তোকুর বানানো সুইট বিন পেস্ট খেয়ে, সে তাঁকে কাজে নেয়। কারণ এতো মজার সুইট বিন পেস্ট, সেনতারো কখনো খায় নি।

সেনতারো এবং তোকু। দু'জনেরই রয়েছে মর্মান্তিক অতীত। জীবনযুদ্ধে পরাজিত সেনতারো, জেলও খেটেছেন। এদিকে কুষ্ঠরোগের কারণে, সমাজ একঘরে করে দিয়েছে তোকু কে।

ঠিক এমনই একটি মূহুর্ত থেকে, শুরু হয় নতুন জীবনের গল্প। যে গল্পের পরিণতি কিংবা প্রণয় সবকিছুই আপনাকে নাড়া দেবে।

সামাজিক বাঁধা, লোমহর্ষক অতীত সবকিছুই আমাদের কখনো না কখনো অতিক্রম করতে হয়। কিন্তু সেইসব ছাপিয়ে গিয়ে,আমাদের পূর্নজন্ম নিতে হয়। যে জন্ম আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে শেখায়। জীবনের ছোট ছোট আনন্দের মূল্য ঠিক কতখানি তা শেখাবে এই বই।

জীবন জীবনের নিয়মে চলে যাবে। কিন্তু সেই জীবনে তোকুর আগমন খুব প্রয়োজন আছে। অন্তত সেনতারোর মতো মানুষদের জন্য তো অবশ্যই।

চমৎকার এই বইটি, আপনার সংগ্রহে রয়েছে কী?

কোনও বিশেষ খাবারের সাথে কী, আপনার কোনও স্মৃতি জড়িয়ে আছে? কেমন হবে, একটি খাবার যা এখন আপনার অতীত তা আরেকটিবার স্বাদ নিতে ...
22/12/2024

কোনও বিশেষ খাবারের সাথে কী, আপনার কোনও স্মৃতি জড়িয়ে আছে? কেমন হবে, একটি খাবার যা এখন আপনার অতীত তা আরেকটিবার স্বাদ নিতে পারার সুযোগ পাচ্ছেন।

হিসাশি কাশিওয়াই এর জনপ্রিয় এই গোয়েন্দা গল্পের একটি হচ্ছে, কামোগাওয়া রেস্তোরাঁয় আপনাকে স্বাগতম৷ খাবারের সাথে সাথে উঠে আসতেছে, একের পর এক অতীত কাহিনী। আপনি অবলীলায় সব দেখতে পারছেন।

বইটি পড়ে,আপনাদের কেমন লেগেছে?

আমাদের সবারই হয়তো ইচ্ছে করে, তোত্তোচানের তোমোয়ে গোকুয়েনের মতো কোনও স্কুলে পড়ার। সোসাকু কোবায়াসির মতো, একজন শিক্ষক পাওয়ার...
21/12/2024

আমাদের সবারই হয়তো ইচ্ছে করে, তোত্তোচানের তোমোয়ে গোকুয়েনের মতো কোনও স্কুলে পড়ার। সোসাকু কোবায়াসির মতো, একজন শিক্ষক পাওয়ার।

স্কুলের প্রথম ক্লাসটা শুরু হতো, আমাদের পছন্দের বিষয়ের ওপর। আমার ইচ্ছে হলো, আমি আর্ট দিয়ে দিন শুরু করলাম। আমার বন্ধুর ইচ্ছে হলো, গান গেয়ে শুরু করলো। দিনের শুরুটা বোরিং কোনও বইয়ে কিংবা জটিল কোনও বিষয়ে না হয়ে, এমন হলে কতোই না ভালো হতো।

আচ্ছা আপনার যদি স্কুলে, এরকম সুযোগ থাকতো আপনি কী দিয়ে শুরু করতেন দিনটা? বইটি পড়ে বারবার ইচ্ছে হয়, শৈশবে ফিরে যাই৷ এমন একটি স্কুল হোক আমার। এদেশে যদিও এই চাওয়াটা দুর্লভ বটে।

তোত্তো-চান এমন একটি বই, যা শিশু থেকে প্রৌঢ় সবাই পড়তে পারবে। শিশুরা পড়বে,নিজেকে গড়ে তোলার জন্য। বৃদ্ধরা পড়বে,নিজেকে নতুন করে আবিস্কারের জন্য।

শিরোনাম প্রকাশনীর চমৎকার প্রচ্ছদের, তোত্তো-চান বইটি কী আপনার সংগ্রহে রয়েছে?

Address

৩৮, বাংলাবাজার (৩য় তলা)
Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when শিরোনাম প্রকাশন posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category