মার্জিন - Margin

মার্জিন - Margin The Official page of " মার্জিন ",
a Bi-Annual Business Magazine. Bangladesh is a country with much potential for business and entrepreneurship.

আমাদের পরিচয়

বাংলাদেশ ব্যবসায় এবং উদ্যোক্তাদের জন্য একটি অপার সম্ভাবনাময় দেশ। এদেশের মানুষ পরিশ্রমী, সৃজনশীল ও দক্ষ এবং সফলতা অর্জনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

মার্জিন ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা। আমরা আমাদের সাময়িকীতে তুলে ধরি সর্বশেষ ব্যবসায় শিক্ষার জ্ঞান ও শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার-বিষয়ক পরামর্শ।

ক্রমবর্ধমান বিশ্বায়নের যুগে সফলতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশের বিজনেস লিডা

রদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চিন্তা করার সক্ষমতা অর্জন করা প্রয়োজন। তা ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বড় পরিসরে বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তা করার সক্ষমতার অভাব রয়েছে।

মার্জিন শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানগত শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মাধ্যমে বৈশ্বিক নেতৃত্ব তৈরিতে উৎসাহিত করে। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে এমন একটা প্লাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের সমসাময়িক ব্যবসায় চিন্তা ও অর্থনৈতিক ধারণা তুলে ধরতে পারে। এর মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে চাই, যেখানে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তাদের জটিল ও বুদ্ধিভিত্তিক চিন্তার উন্নতি সাধন করতে পারবে।

আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা রাখে। এই সম্ভাবনা উপলব্ধি করাতে আমরা আমাদের পাঠকদের নিকট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আপনি যদি ব্যবসায়িক বিশ্ব সম্পর্কে প্রতিনিয়ত সর্বশেষ তথ্য ও অনুপ্রেরণা পেতে চান তাহলে মার্জিন-এ চোখ রাখুন।


‘মার্জিন’-এর পেছনের গল্প

ব্যবসায় শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের ভিত্তি মজবুতের প্রয়োজনীয়তাই মার্জিন সৃষ্টির কারণ। বর্তমানে সাহিত্য, বিজ্ঞান, বিনোদনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাময়িকী প্রকাশিত হলেও বাংলাদেশে ব্যবসায় শিক্ষা সম্পর্কিত উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা দেখা যায় না। তাই ব্যবসায় শিক্ষায় আগ্রহী এবং এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও গাইডলাইন প্রদানের উদ্দেশ্যেই মার্জিন-এর আত্মপ্রকাশ।


‘মার্জিন’ টিম

অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বড় শিক্ষক। তাই পরামর্শ কিংবা গাইডলাইন নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে নেওয়াই উত্তম। এজন্য মার্জিন-এর লেখক তালিকায় স্থান পেয়েছে চিন্তায় তরুণ, মেধাবী ও অভিজ্ঞ একদল মানুষ। যাদের মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞ শিক্ষক, গবেষক, মেধাবী শিক্ষার্থী, দক্ষ সংগঠক ও সফল উদ্যোক্তা। যাতে শিক্ষার্থীরা মার্জিন-এর মাধ্যমে তাদের জীবনের সেরাটুকু পায়।





Who We Are? The people of Bangladesh are hardworking, creative, and resourceful. They have a strong desire to succeed. We're Bangladesh's leading publication for business studies students. We feature the latest business knowledge and give career advice. In a rapidly globalizing world, the business leaders of Bangladesh need to be able to think on a global level to be successful. However, many students lack the cognitive skills necessary to think on such a grand scale. Margin strives to develop business leadership at both the national and international levels by promoting cognitive excellence among students. We aim to provide a platform for students to share their ideas and thoughts on current affairs, business, and economics. In doing so, we hope to foster an environment of critical thinking and intellectual curiosity that will allow future leaders to thrive in an increasingly complex world. We believe that Bangladesh has the potential to become a leading economic power in the world. And we are dedicated to helping our readers realize this potential. So if you are looking for information, inspiration, or just want to stay up-to-date on what's happening in the world of Bangladeshi business, then be sure to check out Margin. The Story Behind Margin’s Creation

The necessity to strengthen the "foundation of business studies students" is the driving force behind margin creation. Periodicals are being published on a variety of subjects, such as literature, science, and entertainment, but there are no significant publications on business studies in Bangladesh. Hence, Margin is introduced to provide necessary information and guidelines to students interested in business studies. "Margin" team

Experience is the greatest teacher. So it is better to take advice or guidance from experienced people. That is why a group of young, talented, and experienced people have been included in the list of writers of Margin. Among them are , scholars teachers, researchers, talented students, skilled organizers, and successful entrepreneurs. So that students get the best of their life through Margin.

মার্কেটিং একটি সাইকোলজিক্যাল গেমআবু হানিফা মোহাম্মদ নোমান আমরা প্রায়ই বিভিন্ন বিজ্ঞাপনগুলোতে দেখতে পাই— ৯৯ টাকা মাত্র, ...
03/01/2023

মার্কেটিং একটি সাইকোলজিক্যাল গেম

আবু হানিফা মোহাম্মদ নোমান


আমরা প্রায়ই বিভিন্ন বিজ্ঞাপনগুলোতে দেখতে পাই— ৯৯ টাকা মাত্র, ৭০% ছাড়, স্টক সীমিত, দুই বছরের বা পাঁচ বছরের গ্যারান্টি, নববর্ষ অফার অথবা একটি পণ্য কিনলে আরেকটি ফ্রি ইত্যাদি এ ধরনের শব্দগুলো আমাদের মধ্যে আকর্ষণ তৈরি করে বা পণ্য ক্রয়ে মানসিক আবেদন তৈরি করে আর সেটি হলো সাইকোলজিক্যাল মার্কেটিং। ক্রেতা বা ভোক্তা কীভাবে চিন্তা করে, অনুভব করে, যুক্তি দেয় এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তা বোঝার মাধ্যমে তাদের ক্রয় সিদ্ধান্তকেই ক্রয়ে প্ররোচিত করা সাইকোলজিক্যাল মার্কেটিং—এর কাজ।

Good Marketing Makes the Company Look Smart,

Great Marketing Makes the Customer Feel Smart.

এখানে সাইকোলজিক্যাল মার্কেটিং হলো গ্রেট মার্কেটিং, যা ক্রেতা বা ভোক্তা অনুভব করে বা তাদের মধ্যে সাইকোলজিক্যাল প্রভাব সৃষ্টি হয়। এ সাইকোলজিক্যাল মার্কেটিং আমাদের জন্য সহজ হয়েছে আধুনিক তথ্য—প্রযুক্তির কারণে বিশেষ করে ডিজিটাল মার্কেটিং—এর মাধ্যমে। সাইকোলজিক্যাল মার্কেটিং—এর কিছু টেকটিস দেখা যেতে পারে—

মূল্য সংবেদনশীলতা : বিভিন্ন বিজ্ঞাপনে প্রায় দেখি গ্রামীনফোনে ৯৯ টাকায় ১৬০ মিনিট, ৯৯৯০ টাকায় শাওমি মোবাইল ফোন। এখানে পণ্যের মূল্য খুব বেশি একটা কম না হলেও ১/১০ টাকার জন্য একটা ডিজিট কম থাকায় টাকার পরিমাণ কম মনে হয়। এভাবে কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য ক্রয়ে সাইকোলজিক্যাল আবেদন তৈরি করে।

স্টক সীমিত : আমাদের ব্রেন রেয়ার বিষয়গুলোকে বেশি চায়; কারণ আমরা কোনো বিষয়ে হেরে যেতে চাই না। সেক্ষেত্রে অর্জনের জন্য আমরা লিমিটেড সংখ্যাকে গ্রহণ করতে চাই। বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্স ৫টি নতুন আইফোন’১৪ আছে বা ক্রিকেট ম্যাচের ২০টি টিকেট বা দারাজে ১১.১১ অফার রাত ১২টা পর্যন্ত আর সেটি গ্রহণ করার জন্য আমাদের মধ্যে এক ধরনের সাইকোলজিক্যাল আকর্ষণ তৈরি হয়।

সামাজিক স্বীকৃতি : ৭০% ক্রেতা রিভিউ দেখে পণ্য ক্রয় করে এবং ৬৩% ক্রেতা পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে যেখানে রিভিউ/রেটিং আছে, সেখান থেকে পণ্য ক্রয় করে থাকে। বিক্রেতা ক্রেতাকে আকর্ষণের জন্য এ ধরনের পন্থা অবলম্বন করে— রকমারিতে বেস্ট সেলার বই, দারাজে ১টি পণ্যের ১০০০ রিভিউ বা ফাইভ স্টার রেটিং ইত্যাদির মাধ্যমে পণ্য ক্রয়ের সাইকোলজিক্যাল আবেদন তৈরি করে।

ব্যক্তিত্ব : কিছু ব্র্যান্ড ব্যবহারকারীকে আলাদা ব্যক্তিত্ব বা আইডেন্টিটি তৈরি করে— iphone, Rolls-Royce, Lamborghini, BMW ইত্যাদি ব্যবহার করে সমাজে মধ্যে নিজেদেরকে আলাদা ব্যক্তিত বোঝানো বা তাদের মধ্যে সাইকোলজিক্যাল অনুভূতি তৈরি করা হয়। আবার কখনো কখনো তামিম, রোনালদো, মেসি, সাকিব ইত্যাদি ব্যক্তি পণ্যের বিজ্ঞাপন করার মাধ্যমে বিশ্বস্ততা তৈরি করে।

ক্ষতি বিমুখতা : বর্তমান সময়ে মানুষ অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন, তাই পণ্য প্রচারণায় কোম্পানি সে বিষয়গুলো সামনে নিয়ে আসে— Coca-Cola Zero সুগার, Walton সিএফসি ফ্রি রিফ্রেজেটর, LG টিভিতে ক্ষতিকর রেডিয়েশন মুক্ত ইত্যাদি বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্রেতার ওপর সাইকোলজিক্যাল প্রভাব সৃষ্টি করে।

কারণ কি/ কেন কিনবো? আমরা প্রায় দেখি যে GREE AC ৭০% এনার্জি সাশ্রয়ী, HONDA কম জ্বালানি ব্যবহার, OPPO বেস্ট ক্যামেরা ইত্যাদি সুবিধাগুলো হাইলাইটস করে পণ্য ক্রয়ে মানসিক আবেদন তৈরি করে থাকে।

পারস্পরিকতা : ফ্রি পণ্যের প্রতি আকর্ষণ কার না থাকে, পণ্য বা সেবা ১টি কিনলে তার সাথে অন্য ১টি ফ্রি, ক্রয়ের জন্য বোনাস পয়েন্ট বা কোপন ইত্যাদি বিষয়গুলো সাথে আমরা প্রায় পরিচিত; যেমন— Pepsodent এর সাথে ব্রাশ ফ্রি, Harpic —এর সাথে মগ ফ্রি, প্যারাসুট তেলের সাথে শ্যাম্পু ফ্রি ইত্যাদির মাধ্যমে পণ্য ক্রয়ের সাইকোলজিক্যাল আবেদন তৈরি করে।

ওয়ারেন্টি বা গ্যারান্টি : গ্রাহকের আস্থা বা বিশ্বাস অর্জনের জন্য বিভিন্ন পণ্যের ওয়ারেন্টি বা গ্যারান্টি দিয়ে থাকে। তাই কোম্পানিগুলো সে বিষয়গুলো সামনে রাখে— Casio ঘড়ির ২ বছরের গ্যারান্টি, Walton রিফ্রেজেটর এর ১০ বছরের ওয়ারেন্টি, HP ল্যাপটপের ২ বছরের ওয়ারেন্টি, Daraz খারাপ পণ্যের ক্ষেত্রে টাকা ফেরত বা ৭ দিনে পণ্য ফেরত ইত্যাদির মাধ্যমে ক্রেতার মধ্যে সাইকোলজিক্যাল প্রভাব সৃষ্টি করে বা বিশ্বাসের জন্ম দেয়।

নতুন শুরু : ঈদ মানে নতুন জামা বা বিজয় দিবস মানে লাল—সবুজ জামার ইত্যাদি আকাঙ্ক্ষাগুলোকে কোম্পানিগুলো মার্কেটিং এ কাজে লাগানোর চেষ্টা করে। তা ছাড়া ইংরেজি নতুন বছর, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, বাংলা নববর্ষ, জন্মদিন, ঈদ ইত্যাদি দিবসকে সামনে রেখে কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের জন্য প্রচারণা চালায় বা ছাড় দেয়। অনেক ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যে নতুন নিয়ম বা নির্দিষ্ট দিনের জন্য গিফট ইত্যাদি চেতনা তৈরি বা নতুন প্রজন্মের আকাঙ্ক্ষাগুলোকে সাইকোলজিক্যাল আবেদন হিসেবে ফুটিয়ে তোলে।

প্রভাবধীন প্রভাব : ভাষা, কালচার ব্যবহার করে ক্রেতাদের ইতিবাচক অনুভূতি গ্রহণ করা হয়— Sunsilk হিজাব সেম্পু, Lifebuoy সাবান আতর ফ্লেভার ইসলাম প্রিয় মানুষের কাছে অনুভূতি আদায় জন্যই বাজারে নিয়ে আসা হয়েছে।

খোদাই শব্দ : কিছু শব্দ যা আমাদের মধ্যে আকর্ষণ তৈরি করে— “ফ্রি, সুখী, ভালোবাসা, আনন্দ, বিজয়ী, শক্তি, নিরাপদ, বিষ্ময়কর” ইত্যাদি শব্দগুলোতে আমরা আকর্ষিত হই বা ইতিবাচক অনুভূতি তৈরি হয়। কোম্পানিগুলো মার্কেটিং এ এই শব্দগুলো ব্যবহার করে গ্রাহকদের আগ্রহী করে তোলে বা সাইকোলজিক্যাল আকর্ষণ তৈরি করে। Horlicks তাদের মার্কেটিং এ “শক্তি বা বিজয়ী” শব্দ ব্যবহার করে থাকে, Lifebuoy সাবান মার্কেটিং এ “নিরাপদ” শব্দ ব্যবহার করে থাকে।

নতুনত্ব : নতুন শব্দটা ক্রেতার আকর্ষণকে পরিবর্তন করে। কোম্পানি তাদের নতুন প্রোডাক্ট, নতুন ফিচার, নতুন কোয়ালিটি ইত্যাদি বিষয়গুলো সুন্দরভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে ক্রেতাদের মধ্যে এক ধরনের সাইকোলজিক্যাল আবেদন সৃষ্টি করে। অ্যাপল ২০০৭ সালে ipad প্রথম বাজারে এনে ৪০০ মিলিয়ন কপি বিক্রি করে। তাছাড়া প্রায়ই দেখি নতুন iphone বাজারে আসার সাথে সাথেই ক্রেতাদের মধ্যে এক ধরনের সাইকোলজিক্যাল আবেদন সৃষ্টি হয়।

উৎপত্তি দেশ প্রভাব : Made in শব্দের সাথে আমরা সবাই পরিচিত। পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে কান্ট্রি অফ অরিজিন একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে— জুতা মানে ইতালি (Made in Italy), পারফিউম মানেই ফ্রান্স (Made in France), ইলেকট্রিক পণ্য মানে জাপান (Made in Japan) ইত্যাদি পণ্যের মান নিয়ে তাদের মধ্যে একটা ইতিবাচক মনোভাব বা বিশ্বাস তৈরি করে।

মানবিক প্রভাব : ব্যান্ডের খ্যাতি ইকুইটি বাড়ানোর জন্য পণ্যের মূল্যের অংশ হিসেবে অনুদান ধরা হয়— যেমন বসুন্ধরা টিস্যু বক্সের গায়ে লেখা আছে ১ টাকা অন্ধ কল্যাণ সমিতি তে জমা দেওয়া হবে এটা ক্রেতাদের মধ্যে এক ধরনের সাইকোলজিক্যাল প্রভাব সৃষ্টি করে। পণ্যে ক্রয়ে ক্রেতা নিজেকে মানবিক কাজের অংশীদার মনে করে।

প্রদত্ত সুবিধার প্রভাব : কেউ আপনার জন্য কিছু করলে আপনিও তার জন্য কিছু করবেন দেখা গেল পণ্যকে কোম্পানি তাদের পণ্য কে ট্রায়ালের ব্যবস্থা রাখে, ট্রায়ালের করার পর ম্যাক্সিমাম ৮৫ শতাংশ ক্রেতা পণ্য ক্রয় করে এটা একটা সাইকোলজিক্যাল প্রভাব।

সবশেষে বলা যায়, Customer is King তাই কোম্পানি সব সময় ক্রেতাদের গুরুত্ব দিয়ে থাকে। মার্কেটিং—এর এই সাইকোলজিক্যাল গেমে ক্রেতাদের সাইকোলজি বিবেচনা করার সময়, ক্রেতার আচরণ, অনুপ্রেরণা, উপলব্ধি, মনোভাব, বিশ্বাস এবং জীবনধারা বুঝতে চেষ্টা করে, যাতে তাদের কাছে সফলভাবে আবেদন তৈরি করা যায়। আর এই সাইকোলজিক্যাল গেমে ক্রেতাকে যে যত বেশি বুঝবে, প্রতিযোগিতামূলক বাজারে তার বিজয়ী হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।

https://bdmargin.com/12/436/

বাংলাদেশে ব্যবসায় শিক্ষা কোথায় কীভাবে?আরিফুল ইসলামবাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি জনবহুল দেশ। ব্যবসায় শিক্ষা সমগ্র শিক্ষ...
02/01/2023

বাংলাদেশে ব্যবসায় শিক্ষা কোথায় কীভাবে?

আরিফুল ইসলাম

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার একটি জনবহুল দেশ। ব্যবসায় শিক্ষা সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা। একটি দেশের উন্নয়নে ব্যবসা অপরিমেয় সম্ভাবনার দুয়ার খুলে দেয়। সামাজিক পরিবর্তন ও উন্নয়নের ফলে ব্যবসার আওতা যেমন বিস্তার লাভ করেছে, তেমনই ব্যবসা বাণিজ্য শিক্ষার পরিধিও বিস্তৃত হয়েছে। এতে ব্যবসা—বাণিজ্যে সুষ্ঠু জ্ঞানের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। যেকোনো ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান দক্ষতার সাথে পরিচালনার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থাপনা নীতি ও কলাকৌশল—সংক্রান্ত জ্ঞানই ব্যবসায় শিক্ষা। এ শিক্ষা সীমিত সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার, কাঙ্ক্ষিত খাতে বিনিয়োগ এবং অর্জিত আয়ের যথাযথ ব্যবহারের ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে।

বাংলাদেশে ব্যবসায় শিক্ষার সূচনা ব্রিটিশ আমল থেকেই। তবে ১৯২১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর এ অঞ্চলে আনুষ্ঠানিক ব্যবসায় শিক্ষার পথ সুগম হয়। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভক্তির পর সরকার বাণিজ্য শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে একটি সমীক্ষা পরিচালনা করে। বিশেষজ্ঞরা এ সময় বাণিজ্য শিক্ষার পরিবর্তে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা চালু করার সুপারিশ করেন।

বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা তিন স্তর বিশিষ্ট; প্রাথমিক স্তর, মাধ্যমিক স্তর এবং উচ্চশিক্ষা বা বিশ্ববিদ্যালয় স্তর। বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থার প্রাথমিক স্তরে ব্যবসায় শিক্ষার তেমন কোনো বিশেষ সুযোগ নেই। এদেশে ব্যবসায় শিক্ষা শুরু হয় মূলত মাধ্যমিক স্তর থেকে। মাধ্যমিক পর্যায়ে ব্যবসায় শিক্ষা অধ্যয়নের জন্য শিক্ষার্থীদের জেএসসি বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। মাধ্যমিক পর্যায়ে দুই ধরনের বিদ্যালয়ে ব্যবসায় শিক্ষা অধ্যয়নের সুযোগ আছে; জেনারেল ও উন্মুক্ত। উভয় ক্ষেত্রে কোর্সের ব্যাপ্তি ২ বছর। তবে সর্বোচ্চ ব্যাপ্তিকাল ৫ বছর।

উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর একজন শিক্ষার্থী উচ্চতর শিক্ষার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পায়। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনার্স (স্নাতক/ সম্মান), মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর), ডক্টরাল প্রভৃতি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। এক্ষেত্রে অনার্স ডিগ্রি ৪ বছর মেয়াদি, মাস্টার্স ডিগ্রি ১/২ বছর মেয়াদি। পিএইচডি বা ডক্টরাল ডিগ্রি ৩—৫ বছর মেয়াদি হয়। এ ছাড়াও পোস্ট গ্রাজুয়েশন ডিপ্লোমাসমূহে ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে ডিপ্লোমার মেয়াদ সাধারণত ১ বছর। কিন্তু কোনো কোনো ক্ষেত্রে যারা ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে গ্রাজুয়েট নয়, তাদের জন্য ডিপ্লোমার মেয়াদ ১.৫ বছর হতে পারে। আবার কিছু কিছু ডিপ্লোমার ব্যাপ্তি ১ বছরের কম সময় হয়।

বাংলাদেশে ৫৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ও ১০৩টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় আছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় সম্পর্কিত নিম্নোক্ত বিভাগসমূহ পড়ানো হয়—

অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস
ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ
ফিন্যান্স
মার্কেটিং
ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্সুরেন্স
ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস
ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট
ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস
অর্গানাইজেশনাল স্ট্রাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ
হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট
ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট
ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং
এনট্রাপ্রেনিউরশিপ
সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট
সাধারণত ব্যবসায় শিক্ষা ব্যাকগ্রাউন্ডের ছাত্র—ছাত্রীরা বিবিএ করতে পারে, তবে কিছু সংখ্যক মানবিক ও বিজ্ঞান শাখার ছাত্র—ছাত্রীরাও এ ডিগ্রি অর্জন করতে পারে।

যারা আইবিএ, বিবিএ ডিগ্রি অর্জন করতে চায় তাদের জন্য বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় আইবিএ, বিবিএ ও আইবিএ, এমবিএ ডিগ্রি প্রদান করে। সকল শাখার ছাত্র—ছাত্রী এতে আবেদন করতে পারে। যে সকল বিশ্ববিদ্যালয়ে আইবিএ আছে তাদের তালিকা নিচে দেওয়া হলো—

আইবিএ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
আইবিএ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়
আইবিএ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আইবিএ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়


অ্যাকাডেমি অব বিজনেস প্রফেশনালস (এবিপি) ব্যবসায় শিক্ষাবিষয়ক একটি উদীয়মান প্রশিক্ষণ ও পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান। এবিপি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পিজিডি ও সার্টিফিকেশন কোর্স চালু করেছে। এসব পিজিডির ব্যাপ্তিকাল সাধারণত ৬ মাস। ইন্ডাস্ট্রি প্রফেশনালরা এসব পিজিডি করে থাকেন।

পিজিডিসমূহ:

পিজিডি অন হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট
পিজিডি অন লজিস্টিক অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট
পিজিডি অন প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট
পিজিডি অন ইসলামিক ফিন্যান্স প্রাকটিস
পিজিডি অন সফ্ট স্কিল অ্যান্ড লিডারশিপ ডিভেলোপমেন্ট
পিজিডি অন রিস্ক অ্যান্ড কমপ্লায়েন্স ম্যানেজমেন্ট
পিজিডি অন সেলস অ্যান্ড ডিজিটাল মার্কেটিং


এবিপিতে পিজিডি ছাড়াও বিভিন্ন সার্টিফিকেট কোর্স চালু আছে। সার্টিফিকেট কোর্সগুলো নিম্নরূপ—

সার্টিফিকেট অন ইসলামিক ব্যাংকিং প্রডাক্ট

সার্টিফিকেট অন এসএমই এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ

সার্টিফিকেট অন ইসলামিক ফিনান্সিয়াল মডেল

সার্টিফিকেট অন ডিজিটাল মার্কেটিং

সার্টিফিকেট অন ওয়ারহাউস অ্যান্ড ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট

সার্টিফিকেট অন প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট টেকনোলজি

সার্টিফিকেট অন ইসলামিক ক্যাপিটাল মার্কেট অ্যান্ড সুকুক

সার্টিফিকেট অন ফিন্যান্স ফর নন ফিনান্সিয়াল ম্যানেজার

সার্টিফিকেট অন মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়াশন

এ সকল সার্টিফিকেট কোর্স সাধারণত ২ মাস মেয়াদি হয়।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ব্যবসায়বিষয়ক বিভিন্ন কোর্সে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এসব প্রশিক্ষণ কোর্সে যে কেউ অংশগ্রহণ করতে পারে। এ সকল প্রশিক্ষণ কোর্স সাধারণত স্বল্পমেয়াদি হয়। যেমন : ৫—৭ দিন।

স্কিটি নিম্নোক্ত প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে

নারী উদ্যোক্তা উন্নয়ন

বুক কিপিং অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং

হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট

ফিনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্ট

ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লায়েন্স ম্যানেজমেন্ট

এসএমই ম্যানেজমেন্ট

অফিস ম্যানেজমেন্ট

এক্সপার্ট মার্কেটিং

ইসলামিক ফিনান্সের এর জন্য বাংলাদেশে ইসলামিক ফিন্যান্স একাডেমি কনসালটেন্সি প্রতিষ্ঠানটি (আইএফএসি) বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।

এসব প্রশিক্ষণে সবাই অংশগ্রহণ করতে পারে। প্রশিক্ষণ কোর্সসমূহ নিম্নরূপ :

সার্টিফিকেট কোর্স ইন সুকুক (২.৫ মাস)

সার্টিফিকেট কোর্স ইন ইসলামিক ব্যাংকিং (২.৫ মাস)

সার্টিফিকেট কোর্স ইন ইসলামিক ইকোনমিকস অ্যান্ড ফিন্যান্স (৬ মাস)

সার্টিফিকেট কোর্স ইন ই—কমার্স অ্যান্ড শরিয়াহ্ (৬ মাস)

সার্টিফিকেট কোর্স ইন ফ্যামিলি ইকোনমিকস অ্যান্ড কনজুগাল লাইফ (৫ মাস)

সার্টিফিকেট কোর্স ইন ইসলামিক ফিনান্সিয়াল কন্ট্রাক্ট (৬ মাস)

সার্টিফিকেট কোর্স ইন ইসলামিক প্রফেশনালস অ্যাকাউন্টান্টস (শুধু অ্যাকাউন্টান্টস ও অডিটর করতে পারে, (৫ মাস মেয়াদি)

সার্টিফিকেট কোর্স ইন ইসলামি ইকোনমিক্স প্রিন্সিপাল অ্যান্ড প্রাকটিস (৬ মাস)

বিআইবিএমএ বিভিন্ন ধরনের সার্টিফিকেশন প্রোগ্রাম চালু আছে। এগুলো মূলত ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য ট্রেইনিং প্রোগ্রাম। এসব প্রোগ্রামের মধ্যে আছে—

সার্টিফায়েড ইসলামিক ব্যাংকিং অ্যান্ড ফিন্যান্স প্রফেশনালস (২৮ সপ্তাহ)

সার্টিফায়েড এক্সপার্ট ইন রিস্ক ম্যানেজমেন্ট (৯ মাস)

সার্টিফায়েড এক্সপার্ট ইন ক্রেডিট ম্যানেজমেন্ট (৬ মাস)

সার্টিফায়েড এক্সপার্ট ইন ট্রেড সার্ভিসেস (৬ মাস)

সার্টিফায়েড এক্সপার্ট ইন ই—ব্যাংকিং (৬ মাস)

সার্টিফায়েড এক্সপার্ট ইন অ্যান্টি—মানিলাউন্ডারিং অ্যান্ড ফিনান্সিয়াল ক্রাইম (৬ মাস)

মাস্টার্স শেষ করার পর অনেকেই উচ্চতর গবেষণার জন্য পোস্ট গ্রাজুয়েশন স্তরে পিএইচডি করতে পারে। এক্ষেত্রে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩—৫ বছর মেয়াদে পিএইচডি ডিগ্রি করতে পারে।

পিএইচডি সাধারণত অ্যাকাডেমিক ক্যারিয়ারের জন্য করা হয়। পিএইচডি ছাড়াও ডিবিএ করার সুযোগ আছে। এক্ষেত্রে ৩—৫ বছর সময় লাগতে পারে। DBA সাধারণত প্রফেশনাল ইন্ডাস্ট্রি বিশেষজ্ঞরা করে থাকেন।

উপরোক্ত ডিগ্রিসমূহ ছাড়াও কেউ প্রফেশনাল লেবেলে CA (Chartered Account), CMA (Cost and Management Accounting) প্রভৃতি পেশাগত ডিগ্রি অর্জন করতে পারে। এক্ষেত্রে CA ডিগ্রি প্রদান করে CAB এবং CMA ডিগ্রি প্রদান করে CMAB প্রতিষ্ঠান।

এ ছাড়াও চার্টার্ড সেক্রেটারিজ সার্টিফিকেট অর্জন করতে পারে। এটি প্রদান করে CSB । এ সকল প্রফেশনাল কোর্সে সাধারণত গ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে থাকে।

বাংলাদেশ বর্তমানে প্রকট বেকার সমস্যার প্রেক্ষাপটে শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য দ্রুত শিল্পায়ন ও ব্যবসায় উন্নয়ন আবশ্যক। দক্ষ ব্যবস্থাপক ও শিল্প উদ্যোক্তা সৃষ্টির জন্য ব্যবসায় শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। দেশের শ্রমবাজারে ব্যবসায় শিক্ষা গ্রাজুয়েটদের ভবিষ্যৎ বেশ উজ্জ্বল এবং ব্যবসায় শিক্ষায় উন্নয়নের জন্য পর্যাপ্ত যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক ও গবেষক দরকার।

লেখক: সহকারী অধ্যাপক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

https://bdmargin.com/12/414/

31/12/2022

Happy New Year 💖

স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিয় অনুষদএনামুল হক‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও সর...
08/12/2022

স্বপ্নের বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিয় অনুষদ

এনামুল হক

‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও সর্ববৃহৎ উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। ১৯১১ সালের ১২ই ডিসেম্বর বঙ্গভঙ্গ রদ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণের করার কারণে বাংলার মুসলমান তথা সর্বশ্রেণির জনগণের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়টি ক্ষুণ্ণ হয়। বঙ্গভঙ্গ রদ হওয়ার পর পূর্ব বাংলার বিক্ষুব্ধ ও বিমর্ষ মুসলমানদের মধ্যে সৃষ্ট অসন্তোষ প্রশমনের জন্য তৎকালীন বড়লাট লর্ড হার্ডিঞ্জ পূর্ববঙ্গ সফরের কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তদনুযায়ী তিনি ১৯১২ সালের ৩১শে জানুয়ারি ঢাকা সফরে আসেন। ওই দিনই নবাব স্যার সলিমুল্লাহ, নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী ও এ কে ফজলুল হক প্রমুখ মুসলিম নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল তাঁর সাথে সাক্ষাৎ করে ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার অনুরোধ জানান। এই অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে তিনি ঢাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দেন। এরই ধারাবাহিকতায় ১৯২১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রতিষ্ঠাসময় ব্যবসায় শিক্ষার জন্য বিশেষায়িত কোনো অনুষদ ছিল না। পরে ১৯৭০ সালে ম্যানেজমেন্ট ও অ্যাকাউন্টিং নামে ২টি বিভাগ নিয়ে বাণিজ্য অনুষদ যাত্রা শুরু করে। ১৯৭৪ সালে মার্কেটিং ও ফিন্যান্স নামে আরও দুটি নতুন বিভাগের সূচনা হয়। ১৬ জুলাই ১৯৯৫ সালে বাণিজ্য অনুষদ থেকে নাম পরিবর্তন করে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ করা হয়। এ অনুষদে এমবিএ ও বিবিএ প্রোগ্রামে ৯টি বিভাগে প্রায় ৬০০০ নিয়মিত ছাত্রছাত্রী রয়েছে। এ ছাড়াও সান্ধ্য এমবিএ কোর্স চালু রয়েছে।

বিভাগসমূহ

ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ : ১৯৭০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ম্যানেজমেন্ট বিভাগ স্থাপিত হয়। ২ জুন, ২০০১ পর্যন্ত এই বিভাগের নাম ছিল ব্যবস্থাপনা বিভাগ। ৩ জুন, ২০০১ সালে এর নামকরণ করা হয় ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগ। স্থাপিত হবার পর থেকেই এই বিভাগ দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য যুগোপযোগী সিলেবাস প্রণয়ন করে বিশেষায়িত শিক্ষা প্রবর্তন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আসছে। এই বিভাগে স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর, এম. ফিল ও পিএইচ.ডি প্রোগ্রাম চালু আছে। উক্ত বিভাগে মাস্টার্স অফ প্রফেশনাল হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট (এমপিএইচআরএম) নামে একটি বিশেষ কোর্স চালু আছে।

অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ : অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ ১৯৭০ সালে ১৪০ জন ছাত্র—ছাত্রী এবং ৮ জন শিক্ষক নিয়ে হিসাববিজ্ঞান বিভাগ নামে যাত্রা শুরু করে। এর উদ্দেশ্য বাস্তব ক্ষেত্রে হিসাববিজ্ঞান পেশা গ্রহণ ও প্রয়োগের লক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের সুনির্দিষ্ট জ্ঞান ও কৌশল শিক্ষাদানের জন্য স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর প্রোগ্রাম চালু করা। দেশের হিসাববিজ্ঞান পেশা, শিক্ষা ও গবেষণায় বিভাগের অবদান এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে।

মার্কেটিং বিভাগ : মার্কেটিং বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদের অন্তর্গত একটি বিভাগ, যা বাংলাদেশের ব্যবসায় শিক্ষা ক্ষেত্রে একটি আন্তর্জাতিক মানের প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৭৪ সালের ১ জুলাই এই বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রথম বিভাগীয় প্রধান ছিলেন প্রয়াত অধ্যাপক ড. আবদুল্লাহ ফারুক। ১৯৭৪—৭৫ শিক্ষাবর্ষে মাত্র চারজন শিক্ষক ও ৪৯ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই বিভাগ যাত্রা শুরু করে। এই বিভাগ থেকে প্রতিবছর নিয়মিত প্রকাশিত হয় “জার্নাল অফ মার্কেটিং” নামক একটি স্বীকৃত জার্নাল। ২০০১—০২ শিক্ষাবর্ষে মার্কেটিং বিভাগে EMBA (সান্ধ্য MBA) প্রোগ্রাম চালু হয়। এই বিভাগ থেকে বিবিএ, এমবিএ, ইএমবিএ, এমফিল ও পিএইচ.ডি প্রদান করা হয়।

ফিন্যান্স বিভাগ : ফিন্যান্স বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয় ১ জুলাই ১৯৭৪ সালে। এই বিভাগ থেকে বিবিএ, এমবিএ, এমফিল ও পিএইচ.ডি প্রদান করা হয়। সম্প্রতি সান্ধ্য এমবিএ চালু করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই ফিন্যান্স বিভাগ দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নের জন্য যুগোপযোগী সিলেবাস প্রণয়ন করে বিশেষায়িত শিক্ষা প্রবর্তন ও প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে আসছে।

ব্যাংকিং ও ইনস্যুরেন্স বিভাগ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই সর্বপ্রথম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে বাণিজ্য অনুষদের অধীনে ব্যাংকিং বিভাগ চালু হয়। মুক্ত বাজার অর্থনীতি ও ব্যবসা—বাণিজ্যে বিশ্বায়ন প্রক্রিয়ার কারণে ব্যাংকিং বিষয়ের শিক্ষা কার্যক্রম যখন চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে বাস্তবমুখী ও জটিল হচ্ছে, তখন ব্যাংকিং বিভাগ সময়ের প্রয়োজনে দেশের ব্যাংক তথা ব্যবসা—বাণিজ্য পরিচালনায় সুযোগ ও দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে অগ্রণী ভূমিকা পালনের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০০৪ সালের আগস্ট মাসে এই বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়।

ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগ : অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান চৌধুরীকে প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান নিয়োগের মাধ্যমে ২০০৫ সালের ১২ এপ্রিল এই বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। এমবিএ প্রোগ্রামের সাথে সাথে এই বিভাগে সান্ধ্য এমবিএ প্রোগ্রাম চালু হয়েছে। বিভাগটি বিবিএ ও পিএইচ.ডি প্রোগ্রাম চালুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ : ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগ ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই বিভাগ ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অন্তর্ভুক্ত। এটি আন্তর্জাতিক ব্যবসায় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর শিক্ষা প্রদান করে। আন্তর্জাতিক ব্যবসায় বিভাগ আন্তর্জাতিক ব্যবসায়ের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির দায়িত্ব পালন করছে।

ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ : ২০০৭ সালে ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়। পর্যটন ও আতিথেয়তা শিল্পে যোগ্য এবং প্রশিক্ষিত কর্মীর প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ এই বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানের জন্য এটি প্রতিষ্ঠা করে।

অর্গানাইজেশন স্ট্রাটেজি অ্যান্ড লিডারশিপ বিভাগ : প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মঈনের হাত ধরে ২০১৬ সালের ৩০ জুন এই বিভাগটি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। ব্যবসা অধ্যয়ন অনুষদের একটি গুরুত্বপূর্ণ ও সর্বকনিষ্ঠ বিভাগ এটি। সফল উদ্যোক্তা তৈরিতে দেশের একমাত্র বিভাগ হিসেবে নিরন্তর গবেষণাকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে বিভাগটি। শুরু থেকেই বৈচিত্র্যময় পাঠ কার্যক্রম, প্রয়োগমুখী শিক্ষা এবং ধারাবাহিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্পোরেট লিডার গড়ে তোলার এই উদ্যোগ দেশের ব্যবসা—বাণিজ্যের জন্য অন্যতম মাইলফলক। বর্তমানে এই বিভাগে BBA, DBA, MBA, EMBA, M-Phil এবং PhD কোর্স করার সুযোগ রয়েছে।

‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড’ খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের প্রাচীনতম ও সর্ববৃহৎ উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠ...

ফিনটেক অর্থনৈতিক লেনদেনে নতুন জাগরণওসামা আদনানধরা যাক, বেশি পরিমাণ ফলমূল-সবজি আছে, কিন্তু চাল-ডাল নেই। আবার পাশের জনের ক...
13/10/2022

ফিনটেক অর্থনৈতিক লেনদেনে নতুন জাগরণ

ওসামা আদনান

ধরা যাক, বেশি পরিমাণ ফলমূল-সবজি আছে, কিন্তু চাল-ডাল নেই। আবার পাশের জনের কাছে চালের মজুদ এত বেশি যে, নিজের প্রয়োজন পূরণ শেষ করার পরও অতিরিক্ত থেকে যাবে। এ অবস্থায় যার কাছে ফলমূল-সবজি বেশি আছে, তিনি এর বিনিময়ে যার কাছে চাল আছে তার কাছ থেকে চাল নিতে পারেন। এটাই বিনিময় প্রথা আর ইংরেজিতে Barter System বলে। তবে একটা সময় একে জটিল প্রক্রিয়া মনে করে বিনিময়ের সহজ মাধ্যম হিসেবে মুদ্রার প্রচলন করা হয়।

বর্তমানে বিদ্যমান মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে ডলার, ইউরো, রুপি, পাউন্ড, দিরহাম ইত্যাদি। বাংলাদেশে মুদ্রা হিসেবে টাকার প্রচলন রয়েছে। কিন্তু চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগে এসে মনে করা হচ্ছে উক্ত বিনিময় প্রথাগুলো সনাতন পর্যায়ের। প্রযুক্তিবিদগণ মনে করেন আর্থিক সেবাগুলোকে আরও সহজ করার সুযোগ আছে। আর এই চিন্তা থেকেই মূলত ফিনটেকের উৎপত্তি।

এখন প্রশ্ন হলো ফিনটেক কী?

ফিনটেক মূলত ইংরেজি ফিন্যান্স এবং টেকনোলজি অর্থ্যাৎ Financial Technology-এর সংক্ষিপ্তায়ন। প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক লেনদেনকে ফিনটেক বলা হয় । তাই প্রযুক্তিনির্ভর আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের কাজগুলোকে সহজ এবং তাদের উদ্দেশকে নতুন প্রযুক্তির জন্য আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করে।
ফিনটেক কোম্পানিগুলো তাদের আর্থিক পরিসেবা গ্রাহক পর্যায়ের জন্য সর্বোত্তম উপায়ে প্রদান করে নতুন প্রযুক্তির সমন্বয়ে। ফিনটেক এখন আর্থিক শিল্পের জন্য কাজ করতে বৈচিত্র্যময় হয়েছে এবং ফিনটেক কোম্পানিগুলো ছোট, মাঝারি এবং বড় কোম্পানিগুলিকেও তার সেবা প্রদান করে।

ফিনটেকের পরিধি বেশ বিস্তৃত। মোবাইল ব্যাংকিং, অনলাইন ব্যাংকিং, ই-ওয়ালেট, ই-পেমেন্ট, ক্রাউডফান্ডিং ও ক্রিপ্টোকারেন্সি সবকিছুই ফিনটেকের অন্তর্ভুক্ত। তবে বাংলাদেশে ফিনটেকের ফিচার হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং ও অনলাইন ব্যাংকিং ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়। মোবাইল ব্যাংকিং ও অনালাইন ব্যাংকিং-এর কারণে ই-কমার্স পূর্বের তুলনায় অনেক জনপ্রিয় হয়েছে।

অনলাইন ব্যাংকিং, ডিজিটাল পেমেন্ট এবং প্রযুক্তি নির্ভর লেনদেনের কার্যক্রমকে সহজ করছে। কোম্পানি এবং ব্যবসার গুরুত্বপূর্ণ ডাটা সংগ্রহ করে উন্নত নিরাপত্তা ও সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে। তা ছাড়া প্রযুক্তি সম্পর্কিত আর্থিক পরিষেবা সহজ করতে ডেটা, ব্লকচেইন ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং অন্যান্য ডিজিটাল
সম্পদ পরিচালনায় ব্যবহার করা।

ফিনটেক সম্পর্কিত কোম্পানিগুলো সামাজিক বলয় তৈরির মাধ্যমে বিনিয়োগ নেটওয়ার্ক তৈরি করে অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের সাথে দেখা করার জন্য বৈশ্বিক বাজারে প্রবেশের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়। তারা বিনিয়োগ অটোমেশন হিসেবে কাজ করে। অনেক সময় তারা বিটকয়েন ফিন্যান্স কিনে এবং পরিচালনা করে। এ ধরনের কোম্পানির মধ্য উল্লেখযোগ্য হলো- ইটোরো, সাধারণ বন্ধন, P2P, ইনডেক্সা ক্যাপিটাল, মুভারং এবং বিটনোয়ো। ফিনটেক কীভাবে কাজ করে তা বোঝা খুব কঠিন কাজ নয় এবং ফিনটেক কোম্পানিগুলো কিছু নিয়ম.......

07/10/2022
নটরডেম বিজনেস ক্লাব কতৃক আয়োজিত "বিজনেস ফেস্ট বাংলাদেশ 2022, সিজন - 7" পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। বিশেষ অতিথি হিসেবে মার...
04/10/2022

নটরডেম বিজনেস ক্লাব কতৃক আয়োজিত "বিজনেস ফেস্ট বাংলাদেশ 2022, সিজন - 7" পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠান। বিশেষ অতিথি হিসেবে মার্জিনের সম্পাদক আরিফুল ইসলাম স্যার।

"Business Fest Bangladesh 2022, Season - 7" Award Ceremony organized by Notre Dame Business Club. Margin Editor Ariful Islam Sir as special guest.

ব্যবসায় প্রশাসনে বিদেশে উচ্চশিক্ষার খোঁজখবরমাসুদ কবীরদেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বর্তমানে তরুণদের জন্য খুব রোমাঞ্চকর একটি বি...
03/10/2022

ব্যবসায় প্রশাসনে বিদেশে উচ্চশিক্ষার খোঁজখবর

মাসুদ কবীর

দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষা বর্তমানে তরুণদের জন্য খুব রোমাঞ্চকর একটি বিষয় হয়ে উঠেছে। অতীতের যেকোনো সময়ের থেকে এখন বেশি পরিমাণে শিক্ষার্থী যাচ্ছে বাইরের দেশগুলোতে পড়তে। সাধারণত STEM (SCIENCE, TECHNOLOGY, ENGINEERING, MATH/MEDICINE) প্রোগ্রামগুলোতে শিক্ষার্থী পড়তে যাওয়ার হার বেশি হলেও বর্তমানে ব্যবসায় প্রশাসন থেকে এ সংখ্যাটা কম নয়। বিশ্বব্যাপী ব্যবসায় প্রশাসনের প্রতিনিয়ত চাহিদা বৃদ্ধির কারণে বাইরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী ভর্তির সংখ্যাও বাড়ছে। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের বৈচিত্র্য এবং চাকরিতে বর্ধিত ক্ষেত্র এ বিভাগের আবেদনকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

দেশের বাইরে ব্যবসায় প্রশাসনে ভর্তি বিষয়টিকে সাধারণত তিনভাগে ভাগ করা যায়। নর্থ আমেরিকা- যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা। ইউরোপ-জার্মানি, যুক্তরাজ্য, হাঙ্গেরি, নরওয়ে, ফিনল্যান্ডসহ অন্যান্য ইউরোপীয়
দেশ। এশিয়া-চীন, জাপানসহ অন্যান্য দেশ।

এই লেখাতে মূলত আমরা প্রথম দুইটা পার্ট
নিয়ে আলোচনা করব। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইউরোপের দেশগুলোতে বৃত্তির বিষয়ে।

বিস্তারিত.....

আমাদের পরিচয়বাংলাদেশ ব্যবসায় এবং উদ্যোক্তাদের জন্য একটি অপার সম্ভাবনাময় দেশ। এদেশের মানুষ পরিশ্রমী, সৃজনশীল ও দক্ষ এবং ...
02/10/2022

আমাদের পরিচয়
বাংলাদেশ ব্যবসায় এবং উদ্যোক্তাদের জন্য একটি অপার সম্ভাবনাময় দেশ। এদেশের মানুষ পরিশ্রমী, সৃজনশীল ও দক্ষ এবং সফলতা অর্জনে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।

মার্জিন ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীদের জন্য দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রকাশনা। আমরা আমাদের সাময়িকীতে তুলে ধরি সর্বশেষ ব্যবসায় শিক্ষার জ্ঞান ও শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার-বিষয়ক পরামর্শ।

ক্রমবর্ধমান বিশ্বায়নের যুগে সফলতা অর্জনের জন্য বাংলাদেশের বিজনেস লিডারদের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চিন্তা করার সক্ষমতা অর্জন করা প্রয়োজন। তা ছাড়া অধিকাংশ শিক্ষার্থীর বড় পরিসরে বুদ্ধিবৃত্তিক চিন্তা করার সক্ষমতার অভাব রয়েছে।

মার্জিন শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানগত শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের মাধ্যমে বৈশ্বিক নেতৃত্ব তৈরিতে উৎসাহিত করে। আমাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে এমন একটা প্লাটফর্ম তৈরি করা, যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের সমসাময়িক ব্যবসায় চিন্তা ও অর্থনৈতিক ধারণা তুলে ধরতে পারে। এর মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান প্রতিযোগিতামূলক বিশ্বে এমন একটি পরিবেশ তৈরি করতে চাই, যেখানে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব তাদের জটিল ও বুদ্ধিভিত্তিক চিন্তার উন্নতি সাধন করতে পারবে।

আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নেতৃত্ব দেওয়ার সক্ষমতা রাখে। এই সম্ভাবনা উপলব্ধি করাতে আমরা আমাদের পাঠকদের নিকট প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তাই আপনি যদি ব্যবসায়িক বিশ্ব সম্পর্কে প্রতিনিয়ত সর্বশেষ তথ্য ও অনুপ্রেরণা পেতে চান তাহলে মার্জিন-এ চোখ রাখুন।


‘মার্জিন’-এর পেছনের গল্প
ব্যবসায় শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের ভিত্তি মজবুতের প্রয়োজনীয়তাই মার্জিন সৃষ্টির কারণ। বর্তমানে সাহিত্য, বিজ্ঞান, বিনোদনসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাময়িকী প্রকাশিত হলেও বাংলাদেশে ব্যবসায় শিক্ষা সম্পর্কিত উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা দেখা যায় না। তাই ব্যবসায় শিক্ষায় আগ্রহী এবং এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য ও গাইডলাইন প্রদানের উদ্দেশ্যেই মার্জিন-এর আত্মপ্রকাশ।


‘মার্জিন’ টিম
অভিজ্ঞতাই সবচেয়ে বড় শিক্ষক। তাই পরামর্শ কিংবা গাইডলাইন নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে নেওয়াই উত্তম। এজন্য মার্জিন-এর লেখক তালিকায় স্থান পেয়েছে চিন্তায় তরুণ, মেধাবী ও অভিজ্ঞ একদল মানুষ। যাদের মধ্যে রয়েছে বিজ্ঞ শিক্ষক, গবেষক, মেধাবী শিক্ষার্থী, দক্ষ সংগঠক ও সফল উদ্যোক্তা। যাতে শিক্ষার্থীরা মার্জিন-এর মাধ্যমে তাদের জীবনের সেরাটুকু পায়।





Who We Are?

Bangladesh is a country with much potential for business and entrepreneurship. The people of Bangladesh are hardworking, creative, and resourceful. They have a strong desire to succeed.

We're Bangladesh's leading publication for business studies students. We feature the latest business knowledge and give career advice.

In a rapidly globalizing world, the business leaders of Bangladesh need to be able to think on a global level to be successful. However, many students lack the cognitive skills necessary to think on such a grand scale.

Margin strives to develop business leadership at both the national and international levels by promoting cognitive excellence among students. We aim to provide a platform for students to share their ideas and thoughts on current affairs, business, and economics. In doing so, we hope to foster an environment of critical thinking and intellectual curiosity that will allow future leaders to thrive in an increasingly complex world.

We believe that Bangladesh has the potential to become a leading economic power in the world. And we are dedicated to helping our readers realize this potential. So if you are looking for information, inspiration, or just want to stay up-to-date on what's happening in the world of Bangladeshi business, then be sure to check out Margin.


The Story Behind Margin’s Creation

The necessity to strengthen the "foundation of business studies students" is the driving force behind margin creation. Periodicals are being published on a variety of subjects, such as literature, science, and entertainment, but there are no significant publications on business studies in Bangladesh. Hence, Margin is introduced to provide necessary information and guidelines to students interested in business studies.

"Margin" team

Experience is the greatest teacher. So it is better to take advice or guidance from experienced people. That is why a group of young, talented, and experienced people have been included in the list of writers of Margin. Among them are , scholars teachers, researchers, talented students, skilled organizers, and successful entrepreneurs. So that students get the best of their life through Margin.

ম্যাগাজিন পার্টনার হিসেবে দ্বিতীয় দিনে সম্পাদক স্যারের উপস্থিতি আমাদের কার্যক্রম (মার্জিন দল)নটরডেম বিজনেস ক্লাব কতৃক আয...
19/09/2022

ম্যাগাজিন পার্টনার হিসেবে দ্বিতীয় দিনে সম্পাদক স্যারের উপস্থিতি আমাদের কার্যক্রম (মার্জিন দল)

নটরডেম বিজনেস ক্লাব কতৃক আয়োজিত "বিজনেস ফেস্ট বাংলাদেশ 2022, সিজন - 7"

Editor Sir's presence on the second day as Magazine Partner Our Activities (Margin Team)

"Business Fest Bangladesh 2022, Season - 7" organized by Notre Dame Business Club

ম্যাগাজিন পার্টনার হিসেবে  আজকে আমাদের কার্যক্রম (মার্জিন দল)নটরডেম বিজনেস ক্লাব কতৃক আয়োজিত "বিজনেস ফেস্ট বাংলাদেশ 202...
16/09/2022

ম্যাগাজিন পার্টনার হিসেবে আজকে আমাদের কার্যক্রম (মার্জিন দল)

নটরডেম বিজনেস ক্লাব কতৃক আয়োজিত "বিজনেস ফেস্ট বাংলাদেশ 2022, সিজন - 7"

Today Our Activities as a Magazine Partner (Margin Team)

"Business Fest Bangladesh 2022, Season - 7" organized by Notre Dame Business Club.

25/08/2022

বর্তমান বিশ্বে ব্যবসার প্রভাব, প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবসায় শিক্ষার বিভিন্ন তথ্যে সাজানো দেশের প্রথম বিজনেস সাময়িকী ‘.....

https://www.google.com/amp/s/www.jagonews24.com/amp/787720
21/08/2022

https://www.google.com/amp/s/www.jagonews24.com/amp/787720

বর্তমান বিশ্বে ব্যবসার প্রভাব, প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবসায় শিক্ষার বিভিন্ন তথ্যে সাজানো দেশের প্রথম বিজনেস সাময়িকী ‘.....

https://bhorer-dak.com/details.php?id=200016
21/08/2022

https://bhorer-dak.com/details.php?id=200016

অনলাইন ডেস্ক: বর্তমান বিশ্বে ব্যবসায় প্রভাব, প্রয়োজনিয়তা এবং ব্যবসায় শিক্ষার বিভিন্ন তথ্যে সাজানো দেশের প্রথম ব....

https://projonmonews24.com/article/70678/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6...
21/08/2022

https://projonmonews24.com/article/70678/%E0%A6%A6%E0%A7%87%E0%A6%B6%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%A5%E0%A6%AE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B8-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%80-%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%A1%E0%A6%BC%E0%A6%95-%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%9A%E0%A6%A8-1661000356

বর্তমান বিশ্বে ব্যবসায় প্রভাব, প্রয়োজনিয়তা এবং ব্যবসায় শিক্ষার বিভিন্ন তথ্যে সাজানো দেশের প্রথম বিজনেস সাময়িকী...

https://dbcnews.tv/articles/%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-...
20/08/2022

https://dbcnews.tv/articles/%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%BE-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%B0%E0%A7%81-%E0%A6%95%E0%A6%B0%E0%A6%B2%E0%A7%8B-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%AC%E0%A6%B8%E0%A6%BE-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B7%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AE%E0%A6%AF%E0%A6%BC%E0%A6%BF%E0%A6%95%E0%A7%80-%E2%80%98%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%9C%E0%A6%BF%E0%A6%A8

বর্তমান বিশ্বের সার্বিক পরিস্থিতির ওপর ব্যবসার প্রভাব, প্রয়োজনীয়তা এবং ব্যবসা শিক্ষার বিভিন্ন তথ্য নিয়ে যাত্রা...

দেশের প্রথম বিজনেস সাময়িকী “মার্জিন” এর মোড়ক উন্মোচনবর্তমান বিশ্বে ব্যবসায় প্রভাব, প্রয়োজনিয়তা এবং ব্যবসায় শিক্ষার বিভিন...
20/08/2022

দেশের প্রথম বিজনেস সাময়িকী “মার্জিন” এর মোড়ক উন্মোচন

বর্তমান বিশ্বে ব্যবসায় প্রভাব, প্রয়োজনিয়তা এবং ব্যবসায় শিক্ষার বিভিন্ন তথ্যে সাজানো দেশের প্রথম বিজনেস সাময়িকী “মার্জিন” এর মোড়ক উন্মোচিত হয়েছে। আজ শনিবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টায় বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে এ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মার্জিনের সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যনেজমেন্ট ইনফরমেশন স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আরিফুল ইসলাম অপুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মুহাম্মদ রাকিব উদ্দিন ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন থিমেটিক সলুশানের, প্রতিষ্ঠতা ও সিইও এবং ‘‘নিজের বলার মতো একটি গল্প ফাউন্ডেশন’’, ঢাকা বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক হোসাইন আল মামুন এবং বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. নুরুল ইসলাম।

Address

৪১/১
Dhaka
1000

Telephone

+8801985302035

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when মার্জিন - Margin posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to মার্জিন - Margin:

Videos

Share

Category

Nearby media companies