19/10/2022
চাঁদপুরী শাহ্ দরবার শরীফ এর বর্তমান পীর সাহেব কেবলা ও
★★বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (বি.টি.এফ) মহাসচিব
সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী’র”
সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
★★নাম সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী, পিতা- মাওলানা সৈয়দ গাজীউল হক চাঁদপুরী, গ্রাম- আশরাফ নগর দরবারে চাঁদপুরী শাহ, পোঃ দক্ষিণ চাঁদপুর, উপজেলা- লাকসাম, জেলা-কুমিল্লা।
১লা মার্চ ১৯৭২খ্রিঃ জন্ম গ্রহণ করেন। উনার কামিল (এম.এ) পাস করে ঢাকাস্থ World Spiritual Institute of New York থেকে রেক্টর প্রফেসর ড. কাজী দীন মোহাম্মদ এর তত্তাবধানে,তাঁরই প্রপিতামহ, উপমহাদেশের প্রখ্যাত ওলি-আল্লাহ ও সূফী সাধক হযরত মাওলানা সৈয়দ আশ্রাফ আলী চাঁদপুরী (রাঃ) এর ত্যাগ ময় ও কর্মময় জীবন বৃত্তান্তের উপর সফল গভেষণা চালিয়ে, Doctor of Comparative Religion ডিগ্রি লাভ করেন।
★★ছাত্র জীবন থেকে তাঁর গভীর সাধনা ছিল, মহান স্রষ্টার নৈকট্য লাভ করে বিশ্বের সকল মানুষকে শান্তির পথ, সুফীবাদের দিকে ধাবিত করা।
ইতিমধ্যেই তিনি মিশর, জেরুজালেম,ইরাক,সিরিয়া জর্ডান, উজবেকিস্তান,তাজাকিস্তান,ইরান এবং প্রাক-ভারত উপমহাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করে, সৃষ্টা কৃর্তৃক স্বীকৃত নবী-রাসুল,জগৎ বিখ্যাত,ওলি-আল্লাহ ও সূফী-সাধকদের মাজার যিয়ারতের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের প্রখ্যাত সূফী, সূফী মতবাদে বিশ্বাসী এবং শান্তিকামী মানুষদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করে, একজন সুফীবাদের সফল ব্যক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছেন এবং ধর্মীয় ক্ষেত্রে সেতুবন্ধন ও যোগাযোগের অনুস্বরনীয় ব্যক্তিত্তে পরিনত হয়েছেন।উনি এ পর্যন্ত বহুবার হজ্জে বায়তুল্লাহর পাশাপাশি মদীনা শরীফ যিয়ারত করেন।
★★উনি বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডিয়াম সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের বিভিন্ন দরবার, দরগাহ্ এবং খানকা শরীফে যোগাযোগ করে সম্প্রীতি, ঐক্য এবং সেতুবন্ধন গড়ে তোলার ক্ষেত্রে যারপর নেই আপ্রাণ চেষ্টা করেন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত একটি অরাজনৈতিক সংগঠন বিধায় মওদুদীবাদ, ওহাবীবাদ, তথা উগ্রপ্রন্থী, জঙ্গিবাদে বিশ্বাসীরা ব্যতীত বাংলাদেশের যে কোন রাজনৈতিক সংগঠনের লোকজনকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতে শরীক করার আপ্রাণ চেষ্টা চালান।
★★এক সময় বাংলাদেশে যুদ্ধ অপরাধীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে বাংলাদের স্বাধীনতা এবংঅস্তিত্তে বিরোধী, উগ্রপন্থি, সন্ত্রাসী এবং জঙ্গীবাদীরা, বোমাবাজ কায্যক্রম চালায় সারা বাংলাদেশে। ২০০৪ সালে ১২ই মে সিলেটে, বাংলার সম্রাট খ্যাত বাংলাদেশের অলিকুল শিরমণি বাবা হযরত শাহ জালাল (রাঃ) এর মাজারে হামলা হয়। ঐ সময় ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূত আনোয়ার চৌধুরী সহ অনেকে মারাত্মক আহত হয়। উগ্রবাদীরা ১৭ই আগস্ট ২০০৫ সালে বাংলাদেশের ৬৩টি জেলায় একযোগে বোমা হামলা চালায়। জেলা আদালতের কয়েকজন বিচারক এতে নিহত হন।
★★তাছাড়া ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে ইসলামের মুখোশধারী জামায়াতে ইসলামী, স্বাধীনতা যুদ্ধের বিপক্ষে অবস্থান নেয় এবং যুদ্ধ পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশে প্রিয় মাতৃভূমির কিছু প্রাপ্ত বয়ষ্ক সরলমনা মুসলিমএবং কচিকাচা শিশুদেরকে ভুল তথ্য দিয়ে এবং ধর্মীয় উগ্রপ্রন্থী মতবাদে আকৃষ্ট করে পাকিস্তানি আদিপত্যের কাজ চালায়। জামাত ধর্মের নামে মানুষদেরকে ইসলামের অপব্যাখ্যা দিয়ে সরলমনা মুসলমানদের ঈমান ধ্বংসের কাজ করে।
★★এসব থেকে পরিত্রাণের উদ্দেশ্যেই ডঃ সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরী সুফীবাদী এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, বিভিন্ন পীর মাশায়েখদের সমন্বয়ে তরিকত পন্থী জনগণের দাবীর মুখে বাংলাদেশের তরীকত ফেডারেশন গঠন করার কাজে অগ্রনী ভূমিকা রাখেন।
★★বাংলাদেশের প্রায় দেড় হাজারের অধিক দরগাহ, মাজার ও দরবার শরীফের কোটি কোটি ভক্তদেরকে একত্রিত করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০০৯ সালে জানুয়ারীতে জাতীয় কাউন্সিল অধিবেশনে সর্ব সম্মতিক্রমে ডঃ সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীকে বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন (বিটিএফ) এর মহাসচিব নির্বাচিত করা হয় ।
★★ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার কারণে তৎকালীন জামাতে ইসলামের নেতা মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহীদ এবং দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সহ জামাতের র্শীষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে সিএমএম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। ঐ মামলায় তাদেরকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেলহাজতে প্রেরন করে। এরই ধারাবাহিকতায় তাদের পতন ঘটে। তার মামলায় মহামান্য আদালত জামাতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে।
★★ উনার দাদা আলী আজ্জম চাঁদপুরী শাহ একজন বড় মাপের আলেম এবং আল্লাহর মহান ওলি ছিলেন।
★★জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ২৩ জিন্নাহ্ এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের প্রথম অফিস করে, তখন উনার দাদা প্রখ্যাত ওলিয়ে কামেল,হযরত আলী আজম চাঁদপুরী (রহঃ) কে দিয়ে ঐ দলীয় কার্যালয়ে মিলাদ শরীফ ও দোয়া-মুনাজাতের মাধ্যমে অফিস শূভ-উদ্বোধন করেন।
★★উনাদের বাড়ী ঐতির্য্যবাহী চাঁদপুরী শাহ্ দরবার ছিল, যুদ্ধকালীন সময়ে লাকসাম উপজেলা সহ আশেপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি। স্বাধীনতার পূর্বে নোয়াখালী লক্ষীপুরের হাবিব উল্লাহ চেয়ারম্যানের সহায়তায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বহুবার বিভিন্ন জায়গায় সাক্ষাত করে দোয়া প্রার্থনার পাশাপাশি সূফীবাদের প্রসার এবং পূর্বপাকিস্থানে ও শোষিত-বঞ্চিত,জনমানুষের মুক্তির জন্য, উনার দাদা আলী আজ্ম চাঁদপুরী শাহ,এর সাথে আলোচনা,করনীয় সম্পর্কে পরামর্শ ও দোয়া কামনা করেন।
★★উনার দাদার দেশ বিদেশে লক্ষ লক্ষ ভক্ত মুরিদান ছিল। উনি ১৩৫ বছর বেঁচে ছিলেন। সৈয়দ রেজাউল হক চাঁদপুরীর নানা ছিলেন মাওলানা আবদুল হক (রহঃ)। উনি বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত আলেম ও সুফীসাধক ছিলেন। ফেনী জেলার দুধমাখা গ্রামে তার আস্তানা ছিল। উনার ও ছিল দেশ বিদেশে লক্ষ লক্ষ ভক্ত মুরিদান। উনার প্রচেষ্টায় কুমিল্লা জেলার লাকসাম উপজেলার চাঁদপুরী শাহ, দোগাইয়া চাঁদপুর দরবার শরীফে দিল্লির ঐতিহাসিক জামে মসজিদের আদলে তৈরি করেন একটি কমপ্লেক্স। এখানে গড়ে তোলেন মেহমানদের জন্য বিশ্রামখানা, এবাদতের জন্য মসজিদ, ঈদগাহ, শিক্ষার্থীদের জন্য গড়ে তোলেন একটি আলিম মাদ্রাসা, একটি এবতেদায়ী মাদ্রাসা, একটি হেফজখানা, এতিমদের জন্য লিল্লাহ বোর্ডিং এবং উনাদের ভূমিতে গড়ে ওঠে উনাদের প্রচেষ্টায় ৫০ শয্যার একটি সরকারি হাসপাতাল করা হয়েছে ।