PAPPU's StoRy""

PAPPU's StoRy"" জীবনের বাস্তব অথবা কাল্পনিক
গল্প তুলে ধরা হবে সাময়িক,,,,

PAPPU’s StoRy
25/08/2024

PAPPU’s StoRy

Visit the post for more.

Pappu Dx Unimaginable Story 💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔এই চোখের মাঝে অনেকের ভাগ্য বদলাতে দেখেছি।কেউ একা একা চলার পথে খুঁজে পেয়েছে পথচ...
22/08/2024

Pappu Dx Unimaginable Story 💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔এই চোখের মাঝে অনেকের ভাগ্য বদলাতে দেখেছি।কেউ একা একা চলার পথে খুঁজে পেয়েছে পথচলার সাথী।কেউ কেউ অন্ধকারে হারিয়ে গিয়ে দেখেছে আলোর মুখ।কেউ কেউ দুঃখের সাথে বাস করতে করতে পেয়েছে সুখের সন্ধান।কারো কারো চোখের জ্বল বিদায় নিয়ে সে চোখে ঠাই হয়েছে রঙিন স্বপ্নের।এতো মানুষের জীবন বদলাতে দেখলাম, কিন্তু আমি একি স্থানে পড়ে […] Pappu’s StoRy

Pappu Dx Unimaginable Story 💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔💔এই চোখের মাঝে অনেকের ভাগ্য বদলাতে দেখেছি।কেউ একা একা চলার পথে খুঁজে পেয়েছে পথচলা.....

Pappu’s StoRy
20/08/2024

Pappu’s StoRy

Visit the post for more.

Where did your name come from?
20/08/2024

Where did your name come from?

Where did your name come from?

 াথীরে__    🎸🎸🎸🎸🎸🎸🎸🎸এই জীবনের সুখটা আজোরয়ে গেলো অধরায়যাকে নিয়ে সুখ লেখাসে তো আছে অজানায়,,সে বুঝবে একদিন জানিশুধু আমায় খু...
28/11/2023

াথীরে__





🎸🎸🎸🎸🎸🎸🎸🎸
এই জীবনের সুখটা আজো
রয়ে গেলো অধরায়
যাকে নিয়ে সুখ লেখা
সে তো আছে অজানায়,,
সে বুঝবে একদিন জানি
শুধু আমায় খুঁজবে মানি
ঝড়বে তার চোখের পানি
পাবে না আর আমাকে ফিরে
ও সাথীরে,,,,,,,ও সাথীরে--

🎻🎻🎻🎻🎻🎻🎻🎻🎻
ওও ভালবাসি আমায় বলে
চুপিসারে চলে গেলে
কেমনে থাকি তোমাকে ছেড়ে,
পাশে রবে সারাজীবন
থাকবে মোদের প্রেমের বন্ধন
কতো আশা দিলে অন্তরে,
হায় ছলনা করলে শুধু জানি
মিথ্যে ছিলো প্রেমকাহিনী
তুমি ভাসো সুখের জোয়ারে,,
ও -সাথীরে,,,, ও- সাথীরে,,,

🎸🎻🎸🎻🎸🎻🎸🎻🎸🎻
ওও চোখের জলে বইছে নদী
সুখ লেখেনি ভাগ্যে বিধি
তাই তো তোমায় নিল যে কেড়ে,
হয় যদি গো আমার মরণ
বুঝবে তাও প্রেমের কারন
যাবো সেদিন দুনিয়া ছেড়ে,
হায় থাকো তুমি চিরসুখে
স্বপ্ন নিয়ে অন্যের বুকে
হারাবো আমি অচিনপুরে,,
ও--সাথীরে,,,,,,,,, ও-- সাথী-রে

🎸🎹🎻🎹🎸🎹🎻🎹🎸

বিঃদ্রঃ
ভালোবাসা এমনই এক বন্ধন,
যে বন্ধন ছিন্ন হলে,
মরে যায় মন,,,
কি করে পারে সে সব ভুলে যেতে??

#শফিকুল_ইসলাম_পাপ্পু

24/11/2023

#নিতাইগঞ্জ_রিমিক্স🎶🎶
💜



🎸🎸🎻🎹🎹🎻🪗🪗

ঘুমাইয়া ছিলাম,,
ছিলাম ভালো
উইঠ্যা দেখি বেলা নাই,,,
বেলা নাই,,,
কোন বা পথে
নিতাইগঞ্জে যাই,,
ও বন্ধুরে কোন বা পথে,
নিতাই গঞ্জ যাই💀💀
🎶🎶🎶🎶🎶🎶🎶🎶🎶

নিতাই গঞ্জ বন্ধুর বাড়িইইইই
পরের লাইনটা গাইতে না পারি গো,,
নিতাই গঞ্জ বন্ধুর বাড়িইইই
পরের লাইনটা গাইতে না পারি,,
তবু সুরের লগে সুর লাগাইয়া,
হেই,, সুরের লগে সুর লাগাইয়া
উল্টাপাল্টা গান গাই, গান গাই,,
কোন বা পথে
নিতাই গঞ্জ যাই,,,
ও বন্ধুরে,, কোন বা পথে
নিতাই গঞ্জ যাই,,,,,,😜😜

🎶♪♪♪🕴️🕺🕴️♪♪♪♪♪🎶

নিতাই গঞ্জ কতো দূরে এএএ
এই লাইনটা নাই গানের সুরে গো,,
নিতাই গঞ্জ কতো দুরেএএ
এই লাইনটা নাই গানের সুরে ,,
আউলাঝাউলা কথা দিয়া
আউলা ঝাউলা কথা দিয়া
টানের সাথে টান মিলাই
টান মিলাই,,
কোন বা পথে নিতাই গঞ্জ যাই,,
ও বন্ধুরে কোন বা পথে,,,
নিতাই গঞ্জ যাই,,,,,,
😱😜🙊😍🙉☺🙈😎

বিঃদ্রঃ -- নিতাই গঞ্জ কারে কয় সেইটাই জানলাম না,,,
আর এই গানে কি বুঝাইছে তাও বুঝলাম না,,
তাই গানটারে রিমিক্স করলাম,,,
👏👏👏👏👏👏👏👏👏👏
S.I.PAPPU

   🏆🏆Winning🏆🏆🏆🏆 WorlD CuP🏆2023🏆🏆
19/11/2023



🏆🏆Winning🏆🏆
🏆🏆 WorlD CuP🏆2023🏆🏆

SoRRy...এই গল্পের ৫ নম্বর পর্ব না দিয়েই লাস্ট পর্ব দেয়া হয়েছিলো।তাই ৪ পর্বের সাথে কোনো মিল ছিলোনা,,,,এখানে ৫নাম্বার পর্ব...
18/07/2023

SoRRy...
এই গল্পের ৫ নম্বর পর্ব না দিয়েই লাস্ট পর্ব দেয়া হয়েছিলো।
তাই ৪ পর্বের সাথে কোনো মিল ছিলোনা,,,,
এখানে ৫নাম্বার পর্ব দেয়া হলো,,,,

#ভালবাসি_বলে💘💘
🌹
🌹ঃঃঃঃঃঃঃPart-5ঃঃঃঃঃঃঃ🌹
রিমন দিয়ার কাছাকাছি যেতেই দিয়ার মোবাইল বেজে উঠলো।
দিয়া ফোনটা রিসিভ করে কথা বলছে।
দিয়াঃ হ্যালো! হ্যা জানু বলো,,
ওও আচ্ছা জানু। জানু আমি।এখন আমার এক ফ্রেন্ড এর সাথে আছি। পরে কথা হবে এখন রাখছি।
আই লাভ ইউ, উম্মম্মম্মাহ।
এই বলে ফোন কেটে দিলো দিয়া।
রিমন বুঝে গেলো নিশ্চয় জিসানের কল ছিলো। আর রিমনের সামনে দিয়া জিসানের সাথে যেভাবে কথা বললো তা কিছুতেই মানতে পারছে না। তবুও রিমনের কিছুই করার নাই। কারন দিয়া এখন আর রিমনের নাই।
রিমন কিছুক্ষন চুপ থেকে দিয়ার সামনে গেলো।
দিয়া রিমনকে দেখে অনেকটা চমকে গিয়ে উঠে দাঁড়ালো।
রিমন অপলক ভাবে চেয়ে আছে দিয়ার মুখের দিকে।
সেই মুখটা দেখছে যে মুখটাতে কিনা একদিন শুধুই রিমনের নাম ছিলো, সেই চোখটা দেখছে, যে চোখে একদিন রিমনকে নিয়েই স্বপ্ন দেখতো। সেই ঠোট গুলো দেখছে যে ঠোট দিয়ে একদিন রিমনকে দিতো ভালবাসার উষ্ণ ছোয়া।
আজ এই সব কিছুই আলাদা।
কিছুটা চুপ থেকে রিমন বললো।
রিমনঃ কেমন আছো দিয়া?
দিয়াঃ আমি কেমন আছি তা জেনে আপনার কি দরকার?
রিমনঃ দিয়া কেনো এমন করছো। অনেক তো হলো, এবার বন্ধ করো এসব। আমি আর সইতে পারছিনা।
দিয়াঃ তো!! আমি কি করবো।
রিমনঃ তুমি কি সব ভুলে গেছো?
দিয়াঃ ওসব মনে রাখার মতো মেমোরি আমার মাথায় খালি নেই।
রিমনঃ বাহ,, খুব ভাল বলেছো তো।
কিভাবে পারলে এতোটা চেঞ্জ হতে।
দিয়াঃ মানুষ মাত্রই পরিবর্তনশীল।
চেষ্টা। করলে সব পারা যায়।
রিমনঃ বাহ,,বাহ,, তুমি বলছো এই কথা!!! অবাক আমি, বড়ই অবাক।
দিয়াঃ আপনি অবাক হতে থাকেন আমি উঠছি, টয়া চল এখান থেকে।
রিমনঃ থামো, কিছু বলার আছে আমার। না শুনে যেতে পারবে না।
দিয়াঃ জোড় করছেন?
রিমনঃ না, রিকুয়েস্ট করছি।
প্লিজ একটু শুনে যাও।
দিয়াঃ ওকে, বলেন।
রিমনঃ তুমি জানো আজ আমার এই অবস্থা কেনো?
এই কপালটা দেখো তো। কাটার দাগ আছে, দেখছো।
সেদিন তোমাকে ডাকতে ডাকতে রিক্সার পিছু নিয়েছিলাম, তুমি শুনেও শুনোনি। আর বেখেয়ালি ভাবে ছুটতে গিয়ে এই অবস্থা।
দিয়াঃ তো আমি কি করবো।
আমি কি বলেছি আমাকে ডাকুন আপনি, ডেকে ডেকে পিছু ছোটেন।
আপনার জন্য আপনার এই অবস্থা। কেনো আপনি কষ্ট পাচ্ছেন?
আমি যদি পারি আপনি কেনো পারবেন না, সব ভুলে যেতে।
কেনো আমাকে মনে রেখে এখনো ভালবেসে ভুল করছেন?
রিমনঃ ভুল,, কি ভুল?
আমার তো সবই ভুল, তাই না।
ভুল হয়ে গেছে তোমাকে ভালবাসা তাইনা,,
ভুল হয়ে গেছে তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা তাই না,,
ভুল হয়ে গেছে তোমাকে বিশ্বাস করা তাই না দিয়া,,
বলো, আর কি ভুল ছিলো?
তোমাকে ওয়াদা দেয়া ভুল হয়ে গেলো তাই না দিয়া।
ভুল হয়ে গেছে তোমার কাছে হেরে গিয়ে নিজেকে নিঃশেষ করা তাইনা।
অনেক ভুল হয়ে গেলো আমার।
সেই ভুলের জন্যই এখন আল্লাহ্‌র কাছে মৃত্যুর প্রার্থনা করছি।
আমি তো এখন মৃত, যেদিন চলে গেছো আমাকে ছেড়ে সেদিনি আমি মরে গেছি।
কেঁদেছি তোমাকে ভেবে সারারাত।
কষ্ট কাকে বলে তুমি আমাকে হারে হারে শিখিয়েছো।
আমি ক্লান্ত দিয়া, আর পারছিনা।
আমাকে একটু রেহাই দাও।
অনেক তো হলো।
প্লিজ দিয়া কামব্যাক করো। আর পারছিনা দিয়া। আমি মরে যাবো দিয়া, তোমাকে ছাড়া আর পারছিনা বেঁচে থাকতে।
(এগুলো বলতে বলতে রিমন অনেকটা কেঁদে দিলো। আর টয়াও কেঁদে দিলো, শুধু স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে শুনছিলো দিয়া। দিয়ার চোখের কোণেও কিছুটা পানি ছিলো তবে তা ঝড়ে পড়েনি।)
দিয়াঃ Sorry,আমার পক্ষে ফিরে আসা সম্ভব না।
নতুন কাউকে নিয়ে নতুন করে জীবন সাজিয়ে নিন।
আর কেনো আপনি আমাকে ভেবে কষ্ট পাবেন?
রিমনঃ কেনো?
জানোনা কেনো আমি কষ্ট পাই?
শুধু তোমাকে ভালবাসি বলে।
ভালবাসি বলে আমি পারিনি অভিনয় করতে।
ভালবাসি বলে আমি পারিনি সব ভুলে গিয়ে নতুন করে বাঁচতে।
শুধু ভালবাসি বলেই আজ মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছি আমি।
ভালবাসি বলে দিয়া, শুধু ভালবাসি বলেই আজ আমি নিঃস্ব।
দিয়াঃ প্লিজ, অনেক হয়েছে, এবার থামুন, আমাকে যেতে হবে।
ভাল থাকবেন, আর কখনো আমার সাথে দেখা করার চেষ্টা করবেন না।
আপনিও ভাল থাকুন, আর আমাকেও ভাল থাকতে দিন। বাই,,।
এই বলে চলে গেলো দিয়া। টয়া নিজের চোখের পানি মুছে দিয়ার পেছন পেছন চলে গেলো।
রিমন মাথাটা টেবিলে নিচু করে রেখে কাঁদছিলো। কিন্তু তাকে শান্তনা দেয়ার মতো।
রিমন ভাবেনি এভাবে বলার পরেও দিয়া এভাবে চলে যাবে।
রিমন মাথা তুলে দেখলো অনেকেই তাকিয়ে আছে রিমনের দিকে, অনেকে আবার এই দৃশ্য দেখে চোখের পানিও মুছতেছে।
রিমন পাশে ফিরে দেখলো
একটা মেয়ে কিছু বান্ধবী নিয়ে বসে ছিলো। সে মেয়েটাও রিমনের কথা শুনে চোখের পানি মুছতে লাগলো।
রিমন আরো অবাক, রিমনের কষ্ট সবাই অনুভব করলো।
কিন্তু দিয়া তার কোনো পাত্তাই দিলোনা।
তখন এক ছেলে এগিয়ে এসে রিমনকে বললো....।
ছেলেঃ ভাই, এতোক্ষন আমি সবই দেখলাম। আমার জীবনে তোমার মতো প্রেমিক পুরুষ কখনো দেখিনি। যে কি না এতোটা অবহেলা সয়ে গিয়েও তার প্রেমিকাকে এতোটা ভালবাসতে পারে।
ভাই একটা কথা বলি, যদিও তোমার কষ্ট হবে। তবুও বলছি।
তুমি নতুন কাউকে জীবনে খুঁজে নাও। এরপর এই মেয়েকে দেখিয়ে দাও, তুমি তাকে ছাড়া সুখে থাকতে পারো।
একটু ভেবে দেখো, আমি মন্দ কিছু বলিনি,, মুছো চোখের পানি।
তোমার চোখে পানি মানায় না।
আরে চোখে পানি থাকবে তো তার যে কিনা ভালবাসা নিয়ে খেলা করে।
তুমি কেনো কাঁদবে। দেখিয়ে দাও তাকে যে তুমি তাকে ছাড়া হাসতে জানো, তাকে ছাড়া বাঁচতে পারো।
যাও ভাই ঘরে ফিরে যাও।
নিজকে নতুন করে সাজাও।""
এই কথা গুলো বলে সে ছেলেটি চলে গেলো।
রিমন উঠে বের হয়ে গেলো।
তবে বাড়ি ফিরে যাইনি সারারাত।
এদিকে তার মা বাবা রিমনের চিন্তায় অস্থির। রিমনের ফোনটাও বন্ধ পাচ্ছে তারা।
রিমনের বাবা বাইরে গেলো রিমনকে খুঁজতে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বাড়ি ফিরে এলো।
এদিকে রিমন এসেছে বারে ড্রিংকস করতে তার ফোনটা অফ করে রেখেছে সে নিজেই।
আজকের দিয়ার দেয়া আঘাত তাকে আরো বেশি কষ্ট দিলো।
এই প্রথম রিমন ড্রিংকস করছে।
বেশ কয়েক পেগ খেতেই রিমন মাতাল হয়ে গেলো। প্রায় মাঝরাতে রিমন বের হলো বার থেকে।
বের হয়ে মাতলামি করতে করতে বলছিলো,,
রিমনঃ ঐ দিয়া, তুই বেইমান, তুই চীট। আমি তোকে ভালবাসি বলে আমাকে তুই ঠকিয়েছিস।
ঐ দিয়া আয় সামনে আয় তোকে আমি মেরে ফেলবো।
না আমি তোকে পাবো, না কাউকে তোকে পেতে দেবো। কই তুই আয়,
আয় না আমার সামনে,, common diya please coming.... diya..
ঠিক তখনি একটা পুলিশের গাড়ি আসলো, রিমনের এমন পাগলামি দেখে রিমনকে ডেকে বলছে.
পুলিশঃ এই ছেলে, এতো রাতে তুমি এখানে কি করছো?
রিমনঃ(নেশার ঘোরে) কে আপনি?
আপনাকে কেনো বলবো?
পুলিশঃ আমি এস আই জিসান।
রিমনঃ কি!! তুই তাহলে জিসান, ঐ শালা তুই তাহলে আমার দিয়াকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিস। আজ তোকে আমি মেরেই ফেলবো,।
(এই বলে পুলিশকে রিমন চেপে ধরলো। আর অন্য পুলিশ এসে রিমনকে ছাড়ালো,)
রিমনঃ এই ভাই তোমরা ছাড়ো আমায়, জানো এই জিসান আমার দিয়াকে কেড়ে নিয়েছে।
আমার দিয়া আমাকে ভুলে গেছে।
আমি দিয়াকে মেরে ফেলবো, তারপর দেখবো কিভাবে তুই তাকে বিয়ে করিস।
পুলিশ রিমনের ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছে, যে সে নেশার ঘোরে এসব বলছে। আর এই পুলিশ জিসানও প্রেম করে তাই ভালবাসাকে সে সম্মান দিতে জানে। এই জন্য ক্ষিপ্ত হয়নি রিমনের উপর।
পুলিশঃ না ভাই তুমি ভুল করছো। আমি সেই জিসান না, আমি তো দিয়া নামের কাউকে চিনিনা।
রিমনঃ তাহলে তুমি যে বললে তুমি জিসান।
পুলিশঃ হ্যা, আমার নাম জিসান।
আর আমি পুলিশ।
রিমনঃ কি আপনি পুলিশ,, আচ্ছা আপনার বাবার কি অনেক টাকা আছে? বাড়ি আছে গাড়ি আছে?
পুলিশঃ না ভাই, আমার বাবা খুব গরিব গ্রামে থাকে।
রিমনঃ ওহ, তাহলে ভুল হয়ে গেছে স্যার।(তখনি রিমন পুলিশকে স্যালুট দিলো)
Sorry sir.
পুলিশঃ (রিমনের মাতলামিটা উপভোগ করলো) আচ্ছা, তুমি এখানে কি করছো এতো রাতে?
রিমনঃ দিয়ার বাড়ি যাচ্ছি, দিয়াকে মেরে ফেলবো। তাহলে জিসান আর তাকে বিয়ে করতে পারবে না।
দিয়াকে মেরে আমি সুইসাইড করবো।
(পুলিশ রিমনের অবস্থা সুবিধার মনে করছেনা)
পুলিশঃ আচ্ছা, তুমি দিয়ার বাড়ি চেনো?
রিমনঃ নাহ, যেতে।যেতে চেনে নেবো।
পুলিশঃ আমি চিনি, তুমি আমার সাথে চলো।
রিমনঃ তাহলে তুমিই সেই জিসান, তা না হলে দিয়ার বাড়ি চেনো কিভাবে?
পুলিশঃ না আমি তো পুলিশ তাই সবার বাড়ি চিনি, চলো আমার সাথে।
এই বলে পুলিশ রিমনকে থানায় নিয়ে গিয়ে গেলো।
রিমন থানায় গিয়ে বলছে..
রিমনঃ আমাকে এখানে কেনো নিয়ে আসছেন, আমি দিয়ার বাড়ি যাবো, আমাকে দিয়ার বাড়ি নিয়ে যান।
পুলিশঃ হ্যা, নিয়ে যাবো, একটু পর সকাল হোক, এখন তো দিয়া ঘুমাচ্ছে।
রিমনঃ আচ্ছা পুলিশ ভাই আমাকে একটু হেল্প করবেন?
পুলিশঃ কি হেল্প?
রিমনঃ আপনার পিস্তলটা আমাকে দেবেন?
পুলিশঃ কেনো এটা দিয়ে তুমি কি করবে?
রিমনঃ আমার কাছে তো অস্ত্র নাই।
তাই আপনার পিস্তল দিয়ে প্রথমে দিয়াকে ভয় দেখাবো, তারপরেও যদি আমাকে ভাল না বাসে তখন তাকে মেরে ফেলবো।
পুলিশঃ আচ্ছা, দেবো আগে সকাল হোক। আচ্ছা তোমার বাসা কোথায়?
রিমনঃ বাসা কোথায় এখন মনে আসছে না। এখন শুধু দিয়াকে মনে আসছে।
পুলিশঃ আচ্ছা দিয়া কি ক্ষতি করেছে তোমার?
রিমনঃ দিয়া আমাকে খুন করেছে।
আমার সাথে প্রতারণা করেছে।
আমি তাকে ছাড়বোনা।
দিয়া আমার বিশ্বাস ভেঙ্গেছে।
দিয়া আমাকে ঠকিয়েছে।
আমাকে কষ্ট দিয়েছে। আমাকে কাঁদিয়েছে, আমাকে আমাকে দিয়া নষ্ট করেছে, আমাকে আমাকে দিয়া ভুলে গেছে,,,,,,,আমাকে আমাকে,,,,,,,।
এসব বলতে বলতে রিমন ঘুমিয়ে পড়লো। পুলিশও খুব অবাক রিমনকে দেখে। যে একটা মেয়ের আঘাতে একজন প্রেমিক কতোটা ভেঙ্গে পড়তে পারে।
পুলিশটা কনস্টেবলকে বলে রিমনের পকেট সার্চ করিয়ে মোবাইল বের করলো। মোবাইলটা চালু করলো।
এখন প্রায় ভোর তাই আর ফোন দিলোনা কাউকে। সকাল হতেই রিমনের ফোনবুক থেকে বাবা লেখা নাম্বারটা নিয়ে কলদিয়ে রিমনের বাবাকে আসতে বললো।
রিমনের বাবা আসলো এসে দেখে রিমন বসে বসে ঘুমাচ্ছে।
বাবা রিমন কে ডেকে তুললো।
রিমন উঠেই দেখে বাবা ডাকছে।
থানা দেখে অবাক হয়ে বলছে।
রিমনঃ বাবা আমি এখানে কেনো?
বাবাঃ তুই কাল রাতে কোথায় ছিলি তোকে আমি খুঁজেছি পাগলের মতো।
পুলিশঃ তুমি কাল রাতে নেশা করে মাতলামি করছিলে তাই তোমার নিরাপত্তার কথা ভেবে এখানে নিয়ে এসেছি। এখন তুমি তোমার বাবার সাথে চলে যাও।
আর শোন যে যেতে চায় তাকে যেতে দাও, জোড় করে কাউকে আপন করতে চেওনা, তাতে সুখ পাবেনা। সে যদি তোমার আপন হয় তাহলে কখনো তোমায় ছেড়ে যাবেনা। সে যদি তোমায় ছেড়ে অন্যকাউকে নিয়ে সুখি হয়, তাহলে তুমি কেনো পারবে না। চেষ্টা করো সফলতা আসবেই।
রিমন চুপ করে শুনে বাবার সাথে চলে গেলো বাসায়।
বাসায় যাওয়ার পর রিমন মা বাবাকে বললো যে গতকাল দিয়ার কাছে গিয়েছিলো আর দিয়া তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে।
মাঃ আর কতো অপমানিত হবি তার কাছে, এখনো তোর লজ্জা হয়নি।
বেহায়ার মতো যাস তার কাছে।
বাবাঃ আমি আর কোনো কথা শুনবোনা আমি মেয়ে দেখছি তোকে বিয়ে করতে হবে।
রিমনঃ কিন্তু বাবা....
মাঃ কোনো কিন্তু না, আমার কসম লাগে, তুই বিয়ে না করলে আমাকে আর পাবিনা।
বাবাঃ হ্যা, আমাকেও না,
মাঃ অনেক তো দিয়ার ওয়াদা রেখেছিস এবার দেখবো তোর মায়ের ওয়াদা কিভাবে রাখিস।
আর কতো কষ্ট দিবি আমাদের ঐ মেয়ের জন্য।।
(রিমন ভাবছে যে সবাই এক কথা বলছে, নতুন কাউকে নিয়ে জীবন সাজাতে, সেই রেস্টুরেন্ট এর ছেলে ও পুলিশ আর মা বাবা।)
রিমনঃ(কিছুক্ষণ চুপ থেকে) ওকে তোমাদের যা ইচ্ছা তাই করো আমি আর তোমাদের কষ্ট দেবোনা।
এই বলে রিমন ঘরে চলে গেলো।
আর ছেলের মত পেয়েই রিমনের বাবা ঘটক ও পরিচিত লোকদের কাছে মেয়ের সন্ধান করতে লাগলো।
এদিকে রিমন দিয়াকে ভুলে যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করছে।....কয়েকদিন পর......
রিমনকে নিয়ে রিমনের মা বাবা একটা মেয়ে দেখতে যাবে।
মেয়েটার ছবি রিমনের মা বাবা আগেই দেখে পছন্দ করে ফেলেছে।
কিন্তু রিমনকে দেখাতে চাইলে রিমন দেখতে চায়নি।
এখন তারা গিয়ে পৌছালো সেই মেয়েদের বাড়ি।
সবাই বসে নাস্তা করছে। কিন্তু রিমম কিছুই খাচ্ছে না মন মরা হয়ে বসে আছে।
রিমনের বাবা মেয়েকে আনতে বলছে,, মেয়ে পক্ষরা বলছে।
আরেকটু অপেক্ষা করতে মেয়ে সাজানো হচ্ছে।
সবাই বসে আলাপ আলোচনা করছে,,,
কিছুক্ষণ পরেই তারা মেয়েকে নিয়ে হাজির হলো।
রিমনের বাবা মেয়ের ঘোমটা উঠাতে বললে ঘোমটা উঠানো হলো।
মাঃ ওমা কি সুন্দর মেয়ে একেবারে চাঁদমুখ।
বাবাঃ হ্যা, আমার পছন্দ হয়েছে,
মাঃ এই তুমি পছন্দ করে কি করবে শুনি?
এই রিমন দেখ না কতো সুন্দর পরী তোর জন্য ঠিক করেছি।
(রিমন দেখছে না মাথা নিচু করে রেখেছে। আর মেয়েটাও চোখ বন্ধ করে রেখেছে লজ্জায়)
বাবাঃ এই রিমন তাকানা একবার, চেয়ে দেখ।
মাঃ রিমন এটা কিন্তু বেয়াদবি হচ্ছে,
আমরা কিন্তু অপমানবোধ করছি,।
রিমন এবার মাথা তুলে তাকালো মেয়েটির দিকে,,,,।
এক নজর দেখেই রিমন চমকে গেলো...........
রিমন কি দেখছে এটা.............।।।।
★::::::::::বাকী গল্প পড়তে পরের পর্ব পড়ুন::::::::::★

এরপরেই প্রকাশ হবে এই গল্পের শেষ পর্ব। তবে একটা কথা বলে রাখি, আপনার যা ভাবছেন তা কিন্তু তা না......
এই গল্পসহ আরো গল্প পড়তে এই পেজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন।
*********************************
★লেখক★
★মোঃ শফিকুল ইসলাম(পাপ্পু)★

14/02/2023

অনেক ভালোবাসার গল্প এভাবেই হারিয়ে যায়,
যা মন থেকে মেনে নেয়া যায়না,,,

28/01/2023

বুঝি নাইরে আপন মানুষ যাইবো একদিন চলে,,,,,,

15/01/2023

মোল্লা তুমি ভুইলা গেছো তোমার পরিচয়,,,

15/01/2023

আমি কাউকে ভালোবাসলাম 💝💝💝
সে আমাকে বাসলোনা 💔💔💔

27/12/2022

সব অভিমান ভুলে, ফিরে এসো,
ইগো হেরে যাক,, সম্পর্ক টিকে থাক,
জয়হোক ভালোবাসার,,,,

21/12/2022
10/10/2022

হয়তো চলার পথে দুজনের
আবার হতে পারে দেখা,
এক পলক দেখেই দুজন
দুদিকে চলে যাবো তখন
কিন্তু হবেনা আর
প্রেমানুকাব্য লেখা,,

 #ভালবাসি_বলে (The Immoral💝)    ✍️✍️      🌹🌹ঃ-ঃ-ঃ-ঃ-ঃ-*Last-Part*-ঃ-ঃ-ঃ-ঃ-ঃ🌹রিমন চুপ করে অপলক  সে মেয়েকে দেখে যাচ্ছে,আর ...
05/08/2022

#ভালবাসি_বলে (The Immoral💝)
✍️✍️
🌹
🌹ঃ-ঃ-ঃ-ঃ-ঃ-*Last-Part*-ঃ-ঃ-ঃ-ঃ-ঃ🌹
রিমন চুপ করে অপলক
সে মেয়েকে দেখে যাচ্ছে,
আর মনে মনে বলছে এটা কিভাবে সম্ভব।
ওদিকে মেয়েটিও অবাক।
কেউ কখনো কল্পনাও করেনি এমনটা হবে।
মেয়েটাকে রিমন দেখেই চিনে ফেলেছে তাই সে অবাক।
আর মেয়েটিও চিনে ফেলেছে রিমনকে।
দেখাদেখির পর রিমনের মা রিমনের মতামত জানতে চাইছে।
রিমন চুপ করে বসে আছে।
রিমনের বাবাও ইশারায় জানতে চাইছে। তখন রিমন তার মাকে বললো যে সে মেয়েটির সাথে একা একটু কথা বলতে চায়।
পরে রিমনের মা সে ব্যবস্থা করে দেয়। রিমন আর সে মেয়েকে এক ঘরে নেয়া হলো।
রিমন বলতে শুরু করলো।
রিমনঃ আচ্ছা, আপনার নাম জানতে পারি?
সিমিঃ আমার নাম সামিয়া জাহান সিমি,, আপনার নাম?
রিমনঃ আমার নাম রিমন।
আচ্ছা আগে বোধহয় আমাদের দেখা হয়েছিলো তাই না?
সিমিঃ হ্যা, আচ্ছা আপনি এতোটা ভাল কিভাবে বাসতে পারেন একটা মেয়েকে?
রিমনঃ যখন কাউকে মনে স্থান দেয়া যায় তখনি, তাকে মনপ্রাণ উজার করে ভালবাসা যায়।
সিমিঃ এখনো নিশ্চয় তাকে ভালবাসেন, তো বিয়ে করতে এসেছেন কেনো?
রিমনঃ আমি যদি তার জন্য মরে যাই তাহলে আমার মা বাবার কি হবে? তাদের মুখের দিকে চেয়ে এই বিয়ের প্রস্তুতি।
সিমিঃ বিয়ে তো মা বাবার জন্য করছেন, আর মনটা তো থাকবে সে মেয়ের কাছেই, তাহলে বউকে তো আর ভালবাসবেন না তাই না।
রিমনঃ হ্যা এটা ঠিক তাকে ভুলতে কষ্ট হবে। তবে স্ত্রী যদি আমার সব ঘটনা মেনে নিয়ে আমার সাথে মানিয়ে চলতে পারে তাহলে তো ভালবাসাটা তারই প্রাপ্য।
সিমিঃ আচ্ছা কি নাম সে মেয়েটির?
রিমনঃ দিয়া,
সিমিঃ মেয়েটা কিন্তু অনেক সুন্দর।
রিমনঃ হুম,
সিমিঃ আপনাকে বিয়ে করতে আমার কোনো আপত্তি নেই।
কারন, আমি জানি আপনার ভিতর অনেক সুন্দর একটা ভালবাসার মন আছে, সেদিন আপনাকে দেখেই আমি তা বুঝেছিলাম।
কিন্তু দিয়া আপনাকে ভালবেসেও তা বুঝলোনা।
রিমনঃ জানিনা কি থেকে কি হয়ে গেছে। আর আমি আর সেসব নিয়ে ভাবতে চাই না। যে কিনা আমাকে ভুলে যেতে পারে, আমি কেনো পারবোনা?
সিমিঃ পারবেন তাকে ভুলে গিয়ে আমাকে ভালবেসে স্ত্রীর মর্যাদা দিতে?
রিমনঃ পারবো বলেই তো বিয়ের জন্য এসেছি।
আচ্ছা সেদিন কি আপনার চোখে পানি এসেছিলো।
সিমিঃ কেনো?
রিমনঃ আমি দেখেছিলাম, আপনার চোখের পানি মুছতে।
সিমিঃ হ্যা, আমি আমার জীবনেও এভাবে কাউকে ভালবাসতে দেখিনি। এতো ভালবাসার পরেও যে মেয়েটা এভাবে আপনাকে ছেড়ে গেলো তা দেখে তো চোখে পানি আসবেই।
রিমনঃ তবে আপনার সাথে যারা ছিলো তাদের চোখে পানি আসেনি।
সিমিঃ হুম, তবে তারাও আপনার জন্য আফসোস করেছিলো।
তবে কখনো ভাবিনি আপনার কষ্ট মুছে দেয়ার দায়িত্ব আমার উপর আসবে।
রিমনঃ কেনো এতে কি আপনার খারাপ লাগছে?
সিমিঃ না, আরো ভাল লাগছে এই ভেবে যে আমি একজন সত্যিকারের মানুষ পেতে যাচ্ছি।
রিমনঃ তাহলে কথা এ পর্যন্তই থাক। দেখা হচ্ছে আবার আমাদের।
এতোটুকু কথা বলে দুজনে আবার সেখানে ফিরে গেলো।
গিয়ে তাদের বিয়ের সম্মতি জানালো। আর রিমনের মা বাবা বিয়ের জন্য দেরি করতে চায়নি।
তাই আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই বিয়ের দিন ঠিক করা হলো।
এখন রিমনের মা বাবা চলে আসতেছে সিমিদের বাড়ি থেকে।
আসার সময় রিমন ভাবতে লাগলো
সেদিনের রেস্টুরেন্ট এর দিয়ার সাথে শেষ ঘটনার কথা।
সেদিন দিয়ার মন একটুও গলেনি।
কিন্তু রেস্টুরেন্ট এ থাকা সবার চোখে পানি এসেছিলো।
আর সেদিন যে রেস্টুরেন্ট এ কিছু মেয়ে বসে ছিলো। সে মেয়েদের মধ্যে যে মেয়েটা চোখের পানি মুছতেছিলো রিমনের কষ্ট দেখে।
ভাগ্যের পরিহাসে এখন সে মেয়েটিই রিমনের স্ত্রী হতে যাচ্ছে।
তাই রিমন মেয়েটাকে দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলো।
আর মেয়েটাও সহজে রিমনকে চিনে ফেলেছিলো।
এরপরে রিমনের বিয়ের দিন এগোতে থাকলো, এদিকে রিমন সে মেয়ের সাথে নিয়মিত ফোনে কথা বলে তার সাথে নিজেকে মানিয়ে নিচ্ছে।
একে একে পার হয়ে গেলো ছয়দিন
রিমনের গায়ে হলুদ হলো।
পরদিন বিয়ে।
আর রিমনের বাড়িতে লোকজন ভরে গেলো। রিমনের মা বাবাও অনেক খুশি যে তারা আবার তাদের একমাত্র ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে পারছে।
বিয়ের দিন সন্ধ্যায় বিয়ের বরযাত্রী নিয়ে গেলো সিমিদের বাড়ি। অনেক আনন্দ আর উল্লাসে সম্পন্ন হলো
রিমন আর সিমির বিয়ে।
রিমন ও সিমি দুজনেই খুশি এ বিয়েতে।
বিয়ের পর সিমিকে নিয়ে রিমন তাদের বাড়ি ফিরে আসবে।
তবে এখন বিয়ের ফটোসেশন চলছে
এমন সময় রিমনের ফোনে একটা অচেনা নাম্বার থেকে কল এলো।
রিমন ফোনটা পকেটে থেকে বের করলো। আর তখনি রিমনের বাবা ফটো তোলায় ব্যাঘাত ঘটবে বলে ফোনটা নিয়ে নিলো,,
আর রিমনও সে কলটাকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি।
কলটা আর রিসিভ হলোনা।
এখন রিমনের ফোন তার বাবার কাছে। একটুপরে আবারো কল আসলো। আর রিমনের বাবা কল রিসিভ করলো।
বাবাঃ হ্যালো কে?
টয়াঃ হ্যালো কে রিমন?
আমি টয়া।
বাবাঃ কোন টয়া?
টয়াঃ আপনি কে?
বাবাঃ আমি রিমনের বাবা।
টয়াঃ আঙ্কেল, আমি রিমনের বন্ধু। একটু রিমনকে ফোনটা দিন। খুব খারাপ সংবাদ আছে।
বাবাঃ(টয়াকে দিয়া ভেবেছিলো)
রিমন এখানে নেই। আর তুমি কখনো কল দিওনা।
টয়াঃ আঙ্কেল প্লিজ একবার রিমনকে দিন খুব খারাপ খবর আছে ইমার্জেন্সী রিমনকে দরকার।
বাবাঃ বলেছি তো রিমন এখানে নেই। তুমি কল দিয়ে বিরক্ত করোনা।
এই বলে ফোন কেটে দিলো।
কিন্তু টয়া আবারো কল দিলো।
রিমনের বাবা কল কেটে দিয়ে ফোন বন্ধ করে রাখলো।
এরপরে রিমন নতুন বউকে সাথে করে নিয়ে তার বাড়িতে চলে গেলো।
বাসর রাতে কথা হচ্ছে সিমি ও রিমনের।
সিমিঃ আচ্ছা আপনি কি খুশি আমাকে পেয়ে?
রিমনঃ হুম, অনেক খুশি,, আমি অনেক ভাগ্যবান তাই তোমাকে পেয়েছি।
সিমিঃ না, আমি ভাগ্যবতী, তাই আপনাকে পেয়েছি।
রিমনঃ আচ্ছা, একটা কথা রাখবে?
সিমিঃ কি?
রিমনঃ আমাকে কখনো আমার পুরানো ঘটনা মনে করিয়ে দিওনা।
তোমার সত্যিকারের ভালবাসা দিয়ে আমার সব অতীতকে মুছে দেবে দিতে পারবে?
সিমিঃ সেটা আপনাকে বলে দিতে হবে না,
আমি সেরকম প্রস্তুতি নিয়েই বিয়ে করেছি। আপনার মতো মানুষের ভালবাসা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার।
রিমনঃ আমাকে এখনো কিন্তু তুমি আপনি আপনি করে বলছো। আর আপনি করে বলার জন্যই তোমার কাছে আসতে পারছিনা।
সিমিঃ ওকে, তাহলে একটা কথা বলি?
রিমনঃ হাজারটা বলো।
সিমিঃ রিমন আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি।
রিমনঃ সত্যি সিমি আমিও তোমাকে অনেক ভালবাসি।
এবার তো কাছে আসো।
সিমিঃ না কাছে আসা যাবে না।
আগে বাধাটা সরিয়ে ফেলো, তারপর।
রিমনঃ কিসের বাধা?
সিমিঃ তোমার আঙ্গুলে হয়তো দিয়ার আংটি আছে, সেটা আগে খুলো তারপর,, আমি চাইনা দিয়ার কোনো স্মৃতি তোমার কাছে থাকুক।
এরপর রিমন তার ডান হাতের আঙ্গুলের দিকে তাকিয়ে দেখে।
"D"অক্ষর লেখা সেই আংটিটা যেটা ভালবাসা দিবসে দিয়া রিমনকে গিফট করে রিমনের হাতে পড়িয়ে দিয়ে বলেছিলো। এটাই আমার ভালবাসা। এটা যতোদিন থাকবে ততোদিন তুমি আমার।
রিমন আংটি খুলে ফেললো। আর বুঝতে পারলো এখানে D অক্ষর আছে বলেই সিমি বুঝছে এটা দিয়ার আংটি।
রিমনঃ এবার তো কাছে আসতে কোনো বাধা নাই।
সিমি তখনি রিমনকে জড়িয়ে ধরলো।
আর রিমনও দিয়াকে বুক থেকে সড়িয়ে সিমিকেই আপন করে বুকে স্থান দিলো।
বিয়ের পরদিন সকালে সবাই বসে নাস্তা করছে। সবার মুখেই হাসি ছিলো। এ বিয়েতে সবাই খুশি।
নাস্তা খাওয়া শেষ হতেই রিমনের বাড়িতে টয়া এসে উপস্থিত।
আর বাড়ির সাজসজ্জা ও সিমিকে দেখে টয়া বুঝে নিলো যে রিমনের বিয়ে হয়ে গেছে।
তবুও টয়া রিমনকে ডেকে বলতে লাগলো।
টয়াঃ রিমন ভাইয়া, আমার সাথে একটু যাবেন?
রিমনঃ কোথায়?
টয়াঃ মেডিকেলে।
রিমনঃ কেনো?
টয়াঃ দিয়া মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে আর আপনাকে একটু শেষ বারের মতো দেখতে চাইছে।
(এই কথা শুনে রিমনের মনটা কেঁদে উঠলেও রিমন সেই ঘটনা গুলো মনে করে নিজেকে শক্ত করে নিলো।)
রিমনঃ সে মারা যাচ্ছে তাতে আমার কি?
তাকে নিয়ে ভাবার সময় আমার নেই। এখন আমার স্ত্রী আছে। আর সে দিয়ার চেয়ে অনেকগুন ভাল।
টয়াঃ আমি আপনাকে দিয়ার সাথে প্রেম করতে বলছিনা, শুধু বলছি একবার গিয়ে দেখা করতে।
জানেন কাল রাতেও আপনাকে কল দিয়েছি। কিন্তু আপনার বাবা আপনাকে দেয়নি।
প্লিজ রিমন ভাইয়া এখন একটু চলুন।
রিমনঃ বললাম তো যাবোনা। তুমি চলে যাও।
টয়াঃ আপনার ভালবাসা মারা যাচ্ছে আপনি যাবেন না দেখতে?
রিমনঃ কিসের ভালবাসা, প্রতারণার নাম কি ভালবাসা হয়?
টয়াঃ সেটা আপনি গেলেই বুঝতে পারবেন। চলুন প্লিজ।
রিমনঃ বলছি তো যাবোনা। তুমি চলে যাও।
টয়াঃ ওহ, এখন তো আপনার বউ আছে। তাই দিয়া মরলে আপনার কি?
ওকে আমি চলে যাচ্ছি।
সিমিঃ দাঁড়ান মিস টয়া,, রিমন যাবে।
রিমনঃ সিমি কি বলছো?
সিমিঃ হ্যা, ঠিকি বলছি। শুধু তুমি না আমিও যাবো। অহংকারী দিয়াকে তো দেখেছি। আজ অনুতপ্ত দিয়াকে দেখবো চলো।
তারপর টয়া সিমি ও রিমন মেডিকেলে গেলো।
মেডিকেলে দিয়ার কেবিনে যাওয়ার আগে সেই ছেলেকে দেখতে পেলো যাকে দিয়ার সাথে রিক্সা করে যেতে দেখে রিমন ডাকতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করেছিলো।
রিমনঃ টয়া, জিসান তো দেখছি এখানেই আছে, তাহলে আমাকে কেনো নিয়ে এসেছো।
টয়াঃ কে জিসান?
এটা তো দিয়ার বড় ভাই দীপু।
রিমন এটা শুনে কিছুটা বিচলিত হলো, কারন একেই রিমন জিসান ভেবেছিলো।
দিয়ার বেডের কাছে গেলো রিমন টয়া ও সিমি।
রিমন দিয়াকে দেখে চিনতেই পারছেনা। কিছুদিন আগে যে দিয়াকে দেখেছে এটাই কি সেই দিয়া। অনেকটা শরীর ভেঙ্গে গেছে। আর কেমন জানি কালো হয়ে গেছে। সেই সুন্দরী দিয়া।
রিমনকে দেখে কষ্ট মাখা মুখে একটা মিষ্টি হাসি দিলো দিয়া।
ও রিমনকে কাছে ডাকলো।
আর রিমন আস্তে আস্তে গিয়ে দিয়ার পাশে বসলো। তবে কিছুই বুঝতেছেনা কি হয়েছে দিয়ার।
দিয়াঃ কেমন আছো রিমন?
রিমনঃ কি ভেবেছিলে আমি কষ্টে কাতর হয়ে সুইসাইড করবো?
দিয়াঃ ছি, এমন কথা বলতে নেই।
তুমি জানোনা তোমার মৃত্যুর কথা আমি শুনতে পারিনা।
রিমনঃ চুপ, তোমার মতো বেইমানের মুখে এসব কথা মানায় না।
দিয়াঃ আমি জানি আমি তোমাকে ঠকিয়েছি। তাই তো শেষ বেলায় মাফ চাওয়ার জন্য ডেকেছি।
রিমনঃ হায়রে নাটক আর কতো নাটক করবে তুমি?
দিয়াঃ হ্যা, জীবনটাই তো একটা নাটক। তা না হলে কার স্থানে কে আসে। যে স্থানে আমার থাকার কথা সে স্থান আজ অন্যের দখলে।
রিমনঃ বন্ধ করো নীতি কথা।
অনেক হয়েছে। আমি এখন তোমাকে ভুলে গেছি।
দিয়াঃ আমি এটাই চেয়েছিলাম।
তুমি আমাকে ভুলে অন্য কারো সাথে সংসার করো।
রিমনঃ তা তোমার জীসান কই।
তোমার দুর্বস্থা দেখে কি পালিয়েছে?
দিয়াঃ আমার দুর্দিনের যাকে দরকার তাকে তো পেয়েছি আর কাউকে লাগবে না।
রিমনঃ তা কেনো ডেকেছো আমায়?
দিয়াঃ মাফ চাইতে।
আমাকে তুমি ক্ষমা করে দাও।
রিমনঃ ক্ষমা!!
এখন কেনো চাইছো?
তখন মনে ছিলোনা, আমি কোনো দোষ না করার সত্ত্বেও যখন আমাকে কাঁদিয়েছিলে।
তখন কোথায় ছিলো তোমার এই অনুভূতি আজ কেনো ক্ষমা চাইছো?
দিয়াঃ আর তো সময় নেই, সময় ফুরিয়ে গেছে তাই।
রিমনঃ আবার মিথ্যা নাটক!!!
দিয়াঃ সিমি, বোন এদিকে আসো।
আমি যদি ভুল না করি তাহলে তুমি সেই মেয়ে না, সেদিন রেস্টুরেন্ট এ যে মেয়ে আমাদের পাশের টেবিলে বসে সেলফি তুলে ছিলো বান্ধবী নিয়ে?
সিমিঃ হুম, আমি সেই মেয়ে। আর এখন আমি তার বউ যাকে তুমি নিঃশেষ করে দিয়েছো।
আমি এখন তাকে আবার নতুন করে গড়ে তুলছি।
দিয়াঃ ধন্যবাদ বোন, আমি এটাই চেয়েছিলাম যে তোমার মতো কেউ এসে রিমনের জীবনটা সাজিয়ে দিক। প্লিজ বোন তুমি রিমনকে কখনো কষ্ট দিওনা। রিমনের কষ্ট আমি মরে গিয়েও সইতে পারবোনা।
রিমনঃ বাহ, দারুন বলেছো।
যে কিনা নিজেই আমাকে কষ্ট দেয়। সে নাকি আমার কষ্ট সইতে পারে না।
দিয়াঃ আমার হাতের দিকে তাকিয়ে দেখো তো। এই কাটা দাগ গুলো দেখতে পাচ্ছো, যতিদিন তোমাকে কষ্ট দিয়েছি ততোদিন আমি নিজেকে এভাবে আঘাত করেছি।
তোমাকে ভালবাসি বলে তোমার ভাল চাইতাম আমি।
রিমনঃ ভালবাসো বলে!!
আর ভাল চাইতে গিয়ে আমার লাইফটা তছনছ করে দিয়েছো।
আমাকে ভুলে জীসানকে ভালবেসেছো।
টয়াঃ কে জীসান?
রিমন ভাইয়া।
রিমনঃ কেনো তুমিই তো বলেছো।
আর সেদিন তো রেস্টুরেন্ট এ আমি নিজেই কথা বলতে দেখলাম ফোনে।
টয়াঃ সব মিথ্যা নাটক ভাইয়া।
সেদিন রেস্টুরেন্ট এ আপনি দিয়ার কাছাকাছি আসার পরে আমি দিয়ার কথা অনুযায়ী দিয়ার ফোনে কল দিয়েছিলাম। আর দিয়া আপনার সামনে ফোনে কথা বলার মিথ্যা নাটক করে গেছে।
রিমনঃ কি!! তারমানে জীসান নামে কেউ নেই?
টয়াঃ না, কেউ নেই।
আর হ্যা, সেদিন আপনি দিয়া ও দীপু ভাইকে ডাকতে ডাকতে তাদের পিছন ছুটতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করেছিলেন।
তখন আপনি কিভাবে মেডিকেলে গেলেন?
আপনার তো জ্ঞান ছিলোনা।
আমি আজ বলছি। সেদিন দিয়া ও দীপু ভাই আপনাকে মেডিকেলে নিয়ে ভর্তি করেছিলো। আর দীপু ভাইয়া আপনার বাবাকে ফোন দিয়ে এক্সিডেন্ট এর কথা জানায়।
আপনি যতোক্ষন মেডিকেলে ছিলেন ততোক্ষন দিয়া আপনাকে আড়াল থেকে দেখে গেছে।
শুধুই তাই না, প্রতিটা সময় আপনাকে চোখে চোখে রাখতো এই দিয়া।
রিমনঃ( অবাক হয়ে দিয়াকে বলছে) কিন্তু এসবের মানে কি? কেনো এমন করেছো দিয়া?
দিয়াঃ কেনো আবার ভালবাসি বলে।
রিমনঃ যদি ভালই বাসো তবে কেনো দূরে সড়িয়ে দিলে?
দিয়াঃ তোমার মনে আছে রিমন সব ওয়াদার কথা?
কখনো কেউ কাউকে ছেড়ে যাবোনা বলে প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলাম।
কিন্তু যখন জানলাম আমারি সময় হয়েছে চলে যাবার। তখন ভাবলাম তোমাকে আগে দূরে সরিয়ে দেই।
যাতে তুমি আমাকে ছেড়ে বাঁচতে শেখো।
রিমনঃ সব এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কেনো এমন করেছো?
কি হয়েছে তোমার?
টয়াঃ মরনব্যধি ক্যান্সার!!
রিমনঃ কি!!!!
না সব মিথ্যা সব মিথ্যা।
দিয়াঃ কিছুই মিথ্যে নয় রিমন সব সত্যি।
আমি জানি রিমন আমার এই অবস্থার কথা জানলে তুমিও তিলে তিলে নিজেকে শেষ করে দেবে।
কিন্তু আমি তোমাকে ভালবাসি বলে তোমাকে শেষ হতে দেইনি।
বার বার চেয়েছি তুমি যেনো আমাকে ঘৃণা করো। আমাকে যেনো তুমি দেখিয়ে দাও যে আমাকে ছাড়া তুমি বাঁচতে পারো।
শুধু তোমাকে ভালবাসি বলেই এসব করেছি।
তুমিই বলো আজ যদি এসব না করতাম তাহলে আমার শোকে তুমি কি পারতে বেঁচে থাকতে?
পারতেনা আমাকে ভালবাসো বলে
আমার সাথে সাথে তুমি নিজেকেও শেষ করে দিতে।
কিন্তু আমিও তো তোমাকে অনেক ভালবাসি রিমন।
আর ভালবাসি বলে কিভাবে নিজের ভালবাসার মানুষের ক্ষতি হতে দেই বলো?
জানো রিমন, তোমার সাথে কাটানো মুহুর্ত গুলো আমি এতোদিন খুব মিস করেছি।
খুব ইচ্ছা ছিলো জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তোমার পাশেই থাকবো।
কিন্তু ভালবাসি বলে তোমার ভাল চাইতাম তাই নিজেকে আড়াল করে রেখেছি।
আমি জানি আমাকে ছেড়ে আমার রিমন একটুও সুখে থাকবেনা।
সেদিন তুমি যখন জিয়া উদ্যানে বসে একটার পর একটা সিগারেট টানছিলা তখনি আমি টয়াকে ফোন দিয়ে এনে সব শিখিয়ে দেই আমার নামে মিথ্যা বলার জন্য যাতে আমাকে তুমি ঘৃণা করো।
সেদিন রিক্সা দিয়ে যাওয়ার সময় তুমি ডাকছিলা আমি চাইছিলাম তোমার কাছে ছুটে আসতে।
কিন্তু শুধু ভালবাসি বলে তোমার ভালোর জন্য তোমার চোখে ঘৃণার পাত্রী হতে চেয়েছি। কিন্তু ভাবিনি এমন দুর্ঘটনা ঘটবে।
তুমি জানো রিমন সেদি যতোটা তোমার শরীর থেকে রক্ত ঝড়েছে তার চেয়ে বেশি রক্ত আমার শরীর থেকে আমি ঝড়িয়েছি,, শুধু তোমাকে ভালবাসি বলে।
সেদি রেস্টুরেন্ট এ তোমার কান্না গুলো আমি সইতে পারছিলাম না।
কিন্তু তোমাকে ভালবাসি বলে,
তোমার কাছ থেকে আড়াল হওয়ার জন্য নিজের কষ্ট চেপে রেখে এমন আচরণ করেছি।
তোমাকে রেস্টুরেন্ট এ একটা ছেলে বুঝাচ্ছিলো আমাকে ভুলে গিয়ে নতুন করে জীবন সাজানোর কথা।
সেটাও আমার কথায়।
সেই ছেলে আমার কাজিন, আমি তাকে তোমার কাছে পাঠিয়েছি তোমাকে বোঝানোর জন্য।
রিমন মনে আছে তোমার?
সেদিন রাতে তুমি নেশা করে আমাকে গালিগালাজ করতে করতে যাচ্ছিলে। তোমার নেশাটা বেশি হয়েগিয়েছিলো।
তাই আমি আমার এক বান্ধবীর ভাইকে তোমার কাছে পাঠিয়েছিলাম।
সে ছিলো পুলিশ।
তুমি নেশার ঘোরে তার নাম জিসান শুনে তার গায়ে হাত তুলে ছিলে।
কিন্তু সে তোমাকে কিছুই বলেনি উলটো তোমাকে থানায় নিয়ে গিয়ে সমাদর করেছিলো। তুমি সেখানে ঘুমিয়ে পড়ার পর আমি তখন তোমাকে আমার কোলে শুইয়ে দিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়েছিলাম আর অনেক কেঁদেছিলাম।
এসব করেছি শুধুই তোমাকে ভালবাসি বলে।
বার বার চেয়েছি আমার মৃত্যু যেনো তোমাকে নিঃশেষ না করে দেয়। তাই আড়াল থেকে তোমার প্রতি নজর রেখেছি।
আর নিজকে বার বার প্রতারক হিসেবে তোমার কাছে প্রমাণ করেছি।
আমি তোমাকে ভালবাসি বলেই এসব করেছি যাতে তুমি আমাকে ছেড়ে অন্যকাউকে নিয়ে সুখে থাকো।
আমার চেষ্টা সফল হয়েছে। এখন তোমার স্ত্রী আছে সংসার আছে। আমার অভাব তোমাকে কখনো স্পর্শ করবে না। আমি চাই ভাল থাকো তুমি সুখে থাকো।।
এতোক্ষন দিয়ার কথা গুলি সবাই শুনছিলো আর চোখ দিয়ে অশ্রু ঝড়াচ্ছিলো,,,।
দিয়া কিভাবে নিজের ভালবাসাকে ভালবেসে ত্যাগ করলো সে বর্ণনা শুনে সবারি কষ্ট লাগলো।
আর সিমিও নিজের ভুল বুঝতে পারলো। কারন সিমি দিয়াকে অন্যরকম ভাবতো সেদিনের ঘটান দেখার পর।
কিন্তু আজ সব সত্যিটা সবাই জেনে গেছে।
রিমন এখন হাউমাউ করে কাঁদছে।
আবারো দিয়ার ভালবাসার কাছে পরাজিত রিমন।
যে দিয়াকে রিমন এতোটা ভালবাসতো সে দিয়ার ভালবাসার কাছে আজ রিমনের ভালবাসা তুচ্ছ।
দিয়াঃ রিমন কেঁদোনা, আমি সইতে পারিনা। একটা রিকুয়েস্ট রাখবা?
রিমনঃ(কান্না জড়িত গলায়) হ্যা বলো।
দিয়াঃ আমার কিছু হলে তুমি আমাকে ভেবে কেঁদোনা সিমিকে নিয়ে সুখে থেকো। সিমির মাঝে আমাকে খুঁজে নিও।
কি পারবা না রিমন এ রিকুয়েস্ট রাখতে?
রিমনঃ হ্যা পারবো,,,
দিয়াঃ একটা জিনিস চাইবো দিবা?
রিমনঃ হ্যা বলো?
দিয়াঃ তোমার বুকের মাঝে শেষ বারের মতো একটু ঠাই দিবা?
রিমন কেঁদে কেঁদে দিয়াকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে কাঁদতেছিলো।
শুধু রিমন না, সিমি, টয়া, দীপু, ও দিয়ার মা, সবার চোখেই জলের বন্যা বয়ে যাচ্ছে।
কিছুক্ষন পর রিমন দিয়ার কোনো রেসপন্স পাচ্ছিলো না।
দিয়ার শরীরটা ঠান্ডা হয়ে গেছে।
রিমন বুক থেকে দিয়াকে উঠিয়ে দেখলো দিয়া আর নেই,, চলে গেছে ওপারে।
তবে রিমনকে সাথে নেয়নি।
একাই চলে গেলো।
রিমন কিছুক্ষন পাথরের মতো চুপ করে দিয়াকে ধরে তাকিয়েছিলো দিয়ার দিকে, এরপরে শুরু হলো রিমনের আর্তনাদ চিৎকার,ও কান্না।
রিমনের ভালবাসা বৃথা যায়নি।
রিমন ভুল কাউকে ভালবাসেনি।
রিমন মিথ্যা ভালবাসা পায়নি।
সবচেয়ে খাটি ভালবাসা পেয়েছে রিমন।
দিয়া রিমন কে ভালবাসে বলেই রিমনকে অকালে ঝড়ে যেতে দেয়নি। দূর থেকে সাজিয়ে দিয়ে গেছে রিমনের নতুন জীবন।।
সুখে থাকুক ভাল থাকুক সারাজীবন রিমন এটাই শুধু চাইতো দিয়া।
যে আজ নেই, তবে তার ভালবাসা অমর হয়ে থাকবে রিমনের কাছে ও সবার মাঝে।।।।।
**********এখানেই সমাপ্ত*********

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এতোদিন ধরে এই পেজের সাথে থেকে এই গল্পটা পড়ার জন্য।
লেখায় ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন,,
আরো সব গল্প পড়তে এই পেজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন।
আল্লাহ আপনাদের সবাইকে ভালো রাখুক।
********--আল্লাহ হাফেজ--********
💘লেখক💘
💘মোঃ শফিকুল ইসলাম*পাপ্পু💘

Address

Dhaka

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when PAPPU's StoRy"" posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to PAPPU's StoRy"":

Videos

Share

Category