18/07/2023
SoRRy...
এই গল্পের ৫ নম্বর পর্ব না দিয়েই লাস্ট পর্ব দেয়া হয়েছিলো।
তাই ৪ পর্বের সাথে কোনো মিল ছিলোনা,,,,
এখানে ৫নাম্বার পর্ব দেয়া হলো,,,,
#ভালবাসি_বলে💘💘
🌹
🌹ঃঃঃঃঃঃঃPart-5ঃঃঃঃঃঃঃ🌹
রিমন দিয়ার কাছাকাছি যেতেই দিয়ার মোবাইল বেজে উঠলো।
দিয়া ফোনটা রিসিভ করে কথা বলছে।
দিয়াঃ হ্যালো! হ্যা জানু বলো,,
ওও আচ্ছা জানু। জানু আমি।এখন আমার এক ফ্রেন্ড এর সাথে আছি। পরে কথা হবে এখন রাখছি।
আই লাভ ইউ, উম্মম্মম্মাহ।
এই বলে ফোন কেটে দিলো দিয়া।
রিমন বুঝে গেলো নিশ্চয় জিসানের কল ছিলো। আর রিমনের সামনে দিয়া জিসানের সাথে যেভাবে কথা বললো তা কিছুতেই মানতে পারছে না। তবুও রিমনের কিছুই করার নাই। কারন দিয়া এখন আর রিমনের নাই।
রিমন কিছুক্ষন চুপ থেকে দিয়ার সামনে গেলো।
দিয়া রিমনকে দেখে অনেকটা চমকে গিয়ে উঠে দাঁড়ালো।
রিমন অপলক ভাবে চেয়ে আছে দিয়ার মুখের দিকে।
সেই মুখটা দেখছে যে মুখটাতে কিনা একদিন শুধুই রিমনের নাম ছিলো, সেই চোখটা দেখছে, যে চোখে একদিন রিমনকে নিয়েই স্বপ্ন দেখতো। সেই ঠোট গুলো দেখছে যে ঠোট দিয়ে একদিন রিমনকে দিতো ভালবাসার উষ্ণ ছোয়া।
আজ এই সব কিছুই আলাদা।
কিছুটা চুপ থেকে রিমন বললো।
রিমনঃ কেমন আছো দিয়া?
দিয়াঃ আমি কেমন আছি তা জেনে আপনার কি দরকার?
রিমনঃ দিয়া কেনো এমন করছো। অনেক তো হলো, এবার বন্ধ করো এসব। আমি আর সইতে পারছিনা।
দিয়াঃ তো!! আমি কি করবো।
রিমনঃ তুমি কি সব ভুলে গেছো?
দিয়াঃ ওসব মনে রাখার মতো মেমোরি আমার মাথায় খালি নেই।
রিমনঃ বাহ,, খুব ভাল বলেছো তো।
কিভাবে পারলে এতোটা চেঞ্জ হতে।
দিয়াঃ মানুষ মাত্রই পরিবর্তনশীল।
চেষ্টা। করলে সব পারা যায়।
রিমনঃ বাহ,,বাহ,, তুমি বলছো এই কথা!!! অবাক আমি, বড়ই অবাক।
দিয়াঃ আপনি অবাক হতে থাকেন আমি উঠছি, টয়া চল এখান থেকে।
রিমনঃ থামো, কিছু বলার আছে আমার। না শুনে যেতে পারবে না।
দিয়াঃ জোড় করছেন?
রিমনঃ না, রিকুয়েস্ট করছি।
প্লিজ একটু শুনে যাও।
দিয়াঃ ওকে, বলেন।
রিমনঃ তুমি জানো আজ আমার এই অবস্থা কেনো?
এই কপালটা দেখো তো। কাটার দাগ আছে, দেখছো।
সেদিন তোমাকে ডাকতে ডাকতে রিক্সার পিছু নিয়েছিলাম, তুমি শুনেও শুনোনি। আর বেখেয়ালি ভাবে ছুটতে গিয়ে এই অবস্থা।
দিয়াঃ তো আমি কি করবো।
আমি কি বলেছি আমাকে ডাকুন আপনি, ডেকে ডেকে পিছু ছোটেন।
আপনার জন্য আপনার এই অবস্থা। কেনো আপনি কষ্ট পাচ্ছেন?
আমি যদি পারি আপনি কেনো পারবেন না, সব ভুলে যেতে।
কেনো আমাকে মনে রেখে এখনো ভালবেসে ভুল করছেন?
রিমনঃ ভুল,, কি ভুল?
আমার তো সবই ভুল, তাই না।
ভুল হয়ে গেছে তোমাকে ভালবাসা তাইনা,,
ভুল হয়ে গেছে তোমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখা তাই না,,
ভুল হয়ে গেছে তোমাকে বিশ্বাস করা তাই না দিয়া,,
বলো, আর কি ভুল ছিলো?
তোমাকে ওয়াদা দেয়া ভুল হয়ে গেলো তাই না দিয়া।
ভুল হয়ে গেছে তোমার কাছে হেরে গিয়ে নিজেকে নিঃশেষ করা তাইনা।
অনেক ভুল হয়ে গেলো আমার।
সেই ভুলের জন্যই এখন আল্লাহ্র কাছে মৃত্যুর প্রার্থনা করছি।
আমি তো এখন মৃত, যেদিন চলে গেছো আমাকে ছেড়ে সেদিনি আমি মরে গেছি।
কেঁদেছি তোমাকে ভেবে সারারাত।
কষ্ট কাকে বলে তুমি আমাকে হারে হারে শিখিয়েছো।
আমি ক্লান্ত দিয়া, আর পারছিনা।
আমাকে একটু রেহাই দাও।
অনেক তো হলো।
প্লিজ দিয়া কামব্যাক করো। আর পারছিনা দিয়া। আমি মরে যাবো দিয়া, তোমাকে ছাড়া আর পারছিনা বেঁচে থাকতে।
(এগুলো বলতে বলতে রিমন অনেকটা কেঁদে দিলো। আর টয়াও কেঁদে দিলো, শুধু স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে শুনছিলো দিয়া। দিয়ার চোখের কোণেও কিছুটা পানি ছিলো তবে তা ঝড়ে পড়েনি।)
দিয়াঃ Sorry,আমার পক্ষে ফিরে আসা সম্ভব না।
নতুন কাউকে নিয়ে নতুন করে জীবন সাজিয়ে নিন।
আর কেনো আপনি আমাকে ভেবে কষ্ট পাবেন?
রিমনঃ কেনো?
জানোনা কেনো আমি কষ্ট পাই?
শুধু তোমাকে ভালবাসি বলে।
ভালবাসি বলে আমি পারিনি অভিনয় করতে।
ভালবাসি বলে আমি পারিনি সব ভুলে গিয়ে নতুন করে বাঁচতে।
শুধু ভালবাসি বলেই আজ মৃত্যুর দুয়ারে দাঁড়িয়ে আছি আমি।
ভালবাসি বলে দিয়া, শুধু ভালবাসি বলেই আজ আমি নিঃস্ব।
দিয়াঃ প্লিজ, অনেক হয়েছে, এবার থামুন, আমাকে যেতে হবে।
ভাল থাকবেন, আর কখনো আমার সাথে দেখা করার চেষ্টা করবেন না।
আপনিও ভাল থাকুন, আর আমাকেও ভাল থাকতে দিন। বাই,,।
এই বলে চলে গেলো দিয়া। টয়া নিজের চোখের পানি মুছে দিয়ার পেছন পেছন চলে গেলো।
রিমন মাথাটা টেবিলে নিচু করে রেখে কাঁদছিলো। কিন্তু তাকে শান্তনা দেয়ার মতো।
রিমন ভাবেনি এভাবে বলার পরেও দিয়া এভাবে চলে যাবে।
রিমন মাথা তুলে দেখলো অনেকেই তাকিয়ে আছে রিমনের দিকে, অনেকে আবার এই দৃশ্য দেখে চোখের পানিও মুছতেছে।
রিমন পাশে ফিরে দেখলো
একটা মেয়ে কিছু বান্ধবী নিয়ে বসে ছিলো। সে মেয়েটাও রিমনের কথা শুনে চোখের পানি মুছতে লাগলো।
রিমন আরো অবাক, রিমনের কষ্ট সবাই অনুভব করলো।
কিন্তু দিয়া তার কোনো পাত্তাই দিলোনা।
তখন এক ছেলে এগিয়ে এসে রিমনকে বললো....।
ছেলেঃ ভাই, এতোক্ষন আমি সবই দেখলাম। আমার জীবনে তোমার মতো প্রেমিক পুরুষ কখনো দেখিনি। যে কি না এতোটা অবহেলা সয়ে গিয়েও তার প্রেমিকাকে এতোটা ভালবাসতে পারে।
ভাই একটা কথা বলি, যদিও তোমার কষ্ট হবে। তবুও বলছি।
তুমি নতুন কাউকে জীবনে খুঁজে নাও। এরপর এই মেয়েকে দেখিয়ে দাও, তুমি তাকে ছাড়া সুখে থাকতে পারো।
একটু ভেবে দেখো, আমি মন্দ কিছু বলিনি,, মুছো চোখের পানি।
তোমার চোখে পানি মানায় না।
আরে চোখে পানি থাকবে তো তার যে কিনা ভালবাসা নিয়ে খেলা করে।
তুমি কেনো কাঁদবে। দেখিয়ে দাও তাকে যে তুমি তাকে ছাড়া হাসতে জানো, তাকে ছাড়া বাঁচতে পারো।
যাও ভাই ঘরে ফিরে যাও।
নিজকে নতুন করে সাজাও।""
এই কথা গুলো বলে সে ছেলেটি চলে গেলো।
রিমন উঠে বের হয়ে গেলো।
তবে বাড়ি ফিরে যাইনি সারারাত।
এদিকে তার মা বাবা রিমনের চিন্তায় অস্থির। রিমনের ফোনটাও বন্ধ পাচ্ছে তারা।
রিমনের বাবা বাইরে গেলো রিমনকে খুঁজতে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে বাড়ি ফিরে এলো।
এদিকে রিমন এসেছে বারে ড্রিংকস করতে তার ফোনটা অফ করে রেখেছে সে নিজেই।
আজকের দিয়ার দেয়া আঘাত তাকে আরো বেশি কষ্ট দিলো।
এই প্রথম রিমন ড্রিংকস করছে।
বেশ কয়েক পেগ খেতেই রিমন মাতাল হয়ে গেলো। প্রায় মাঝরাতে রিমন বের হলো বার থেকে।
বের হয়ে মাতলামি করতে করতে বলছিলো,,
রিমনঃ ঐ দিয়া, তুই বেইমান, তুই চীট। আমি তোকে ভালবাসি বলে আমাকে তুই ঠকিয়েছিস।
ঐ দিয়া আয় সামনে আয় তোকে আমি মেরে ফেলবো।
না আমি তোকে পাবো, না কাউকে তোকে পেতে দেবো। কই তুই আয়,
আয় না আমার সামনে,, common diya please coming.... diya..
ঠিক তখনি একটা পুলিশের গাড়ি আসলো, রিমনের এমন পাগলামি দেখে রিমনকে ডেকে বলছে.
পুলিশঃ এই ছেলে, এতো রাতে তুমি এখানে কি করছো?
রিমনঃ(নেশার ঘোরে) কে আপনি?
আপনাকে কেনো বলবো?
পুলিশঃ আমি এস আই জিসান।
রিমনঃ কি!! তুই তাহলে জিসান, ঐ শালা তুই তাহলে আমার দিয়াকে আমার কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছিস। আজ তোকে আমি মেরেই ফেলবো,।
(এই বলে পুলিশকে রিমন চেপে ধরলো। আর অন্য পুলিশ এসে রিমনকে ছাড়ালো,)
রিমনঃ এই ভাই তোমরা ছাড়ো আমায়, জানো এই জিসান আমার দিয়াকে কেড়ে নিয়েছে।
আমার দিয়া আমাকে ভুলে গেছে।
আমি দিয়াকে মেরে ফেলবো, তারপর দেখবো কিভাবে তুই তাকে বিয়ে করিস।
পুলিশ রিমনের ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছে, যে সে নেশার ঘোরে এসব বলছে। আর এই পুলিশ জিসানও প্রেম করে তাই ভালবাসাকে সে সম্মান দিতে জানে। এই জন্য ক্ষিপ্ত হয়নি রিমনের উপর।
পুলিশঃ না ভাই তুমি ভুল করছো। আমি সেই জিসান না, আমি তো দিয়া নামের কাউকে চিনিনা।
রিমনঃ তাহলে তুমি যে বললে তুমি জিসান।
পুলিশঃ হ্যা, আমার নাম জিসান।
আর আমি পুলিশ।
রিমনঃ কি আপনি পুলিশ,, আচ্ছা আপনার বাবার কি অনেক টাকা আছে? বাড়ি আছে গাড়ি আছে?
পুলিশঃ না ভাই, আমার বাবা খুব গরিব গ্রামে থাকে।
রিমনঃ ওহ, তাহলে ভুল হয়ে গেছে স্যার।(তখনি রিমন পুলিশকে স্যালুট দিলো)
Sorry sir.
পুলিশঃ (রিমনের মাতলামিটা উপভোগ করলো) আচ্ছা, তুমি এখানে কি করছো এতো রাতে?
রিমনঃ দিয়ার বাড়ি যাচ্ছি, দিয়াকে মেরে ফেলবো। তাহলে জিসান আর তাকে বিয়ে করতে পারবে না।
দিয়াকে মেরে আমি সুইসাইড করবো।
(পুলিশ রিমনের অবস্থা সুবিধার মনে করছেনা)
পুলিশঃ আচ্ছা, তুমি দিয়ার বাড়ি চেনো?
রিমনঃ নাহ, যেতে।যেতে চেনে নেবো।
পুলিশঃ আমি চিনি, তুমি আমার সাথে চলো।
রিমনঃ তাহলে তুমিই সেই জিসান, তা না হলে দিয়ার বাড়ি চেনো কিভাবে?
পুলিশঃ না আমি তো পুলিশ তাই সবার বাড়ি চিনি, চলো আমার সাথে।
এই বলে পুলিশ রিমনকে থানায় নিয়ে গিয়ে গেলো।
রিমন থানায় গিয়ে বলছে..
রিমনঃ আমাকে এখানে কেনো নিয়ে আসছেন, আমি দিয়ার বাড়ি যাবো, আমাকে দিয়ার বাড়ি নিয়ে যান।
পুলিশঃ হ্যা, নিয়ে যাবো, একটু পর সকাল হোক, এখন তো দিয়া ঘুমাচ্ছে।
রিমনঃ আচ্ছা পুলিশ ভাই আমাকে একটু হেল্প করবেন?
পুলিশঃ কি হেল্প?
রিমনঃ আপনার পিস্তলটা আমাকে দেবেন?
পুলিশঃ কেনো এটা দিয়ে তুমি কি করবে?
রিমনঃ আমার কাছে তো অস্ত্র নাই।
তাই আপনার পিস্তল দিয়ে প্রথমে দিয়াকে ভয় দেখাবো, তারপরেও যদি আমাকে ভাল না বাসে তখন তাকে মেরে ফেলবো।
পুলিশঃ আচ্ছা, দেবো আগে সকাল হোক। আচ্ছা তোমার বাসা কোথায়?
রিমনঃ বাসা কোথায় এখন মনে আসছে না। এখন শুধু দিয়াকে মনে আসছে।
পুলিশঃ আচ্ছা দিয়া কি ক্ষতি করেছে তোমার?
রিমনঃ দিয়া আমাকে খুন করেছে।
আমার সাথে প্রতারণা করেছে।
আমি তাকে ছাড়বোনা।
দিয়া আমার বিশ্বাস ভেঙ্গেছে।
দিয়া আমাকে ঠকিয়েছে।
আমাকে কষ্ট দিয়েছে। আমাকে কাঁদিয়েছে, আমাকে আমাকে দিয়া নষ্ট করেছে, আমাকে আমাকে দিয়া ভুলে গেছে,,,,,,,আমাকে আমাকে,,,,,,,।
এসব বলতে বলতে রিমন ঘুমিয়ে পড়লো। পুলিশও খুব অবাক রিমনকে দেখে। যে একটা মেয়ের আঘাতে একজন প্রেমিক কতোটা ভেঙ্গে পড়তে পারে।
পুলিশটা কনস্টেবলকে বলে রিমনের পকেট সার্চ করিয়ে মোবাইল বের করলো। মোবাইলটা চালু করলো।
এখন প্রায় ভোর তাই আর ফোন দিলোনা কাউকে। সকাল হতেই রিমনের ফোনবুক থেকে বাবা লেখা নাম্বারটা নিয়ে কলদিয়ে রিমনের বাবাকে আসতে বললো।
রিমনের বাবা আসলো এসে দেখে রিমন বসে বসে ঘুমাচ্ছে।
বাবা রিমন কে ডেকে তুললো।
রিমন উঠেই দেখে বাবা ডাকছে।
থানা দেখে অবাক হয়ে বলছে।
রিমনঃ বাবা আমি এখানে কেনো?
বাবাঃ তুই কাল রাতে কোথায় ছিলি তোকে আমি খুঁজেছি পাগলের মতো।
পুলিশঃ তুমি কাল রাতে নেশা করে মাতলামি করছিলে তাই তোমার নিরাপত্তার কথা ভেবে এখানে নিয়ে এসেছি। এখন তুমি তোমার বাবার সাথে চলে যাও।
আর শোন যে যেতে চায় তাকে যেতে দাও, জোড় করে কাউকে আপন করতে চেওনা, তাতে সুখ পাবেনা। সে যদি তোমার আপন হয় তাহলে কখনো তোমায় ছেড়ে যাবেনা। সে যদি তোমায় ছেড়ে অন্যকাউকে নিয়ে সুখি হয়, তাহলে তুমি কেনো পারবে না। চেষ্টা করো সফলতা আসবেই।
রিমন চুপ করে শুনে বাবার সাথে চলে গেলো বাসায়।
বাসায় যাওয়ার পর রিমন মা বাবাকে বললো যে গতকাল দিয়ার কাছে গিয়েছিলো আর দিয়া তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে।
মাঃ আর কতো অপমানিত হবি তার কাছে, এখনো তোর লজ্জা হয়নি।
বেহায়ার মতো যাস তার কাছে।
বাবাঃ আমি আর কোনো কথা শুনবোনা আমি মেয়ে দেখছি তোকে বিয়ে করতে হবে।
রিমনঃ কিন্তু বাবা....
মাঃ কোনো কিন্তু না, আমার কসম লাগে, তুই বিয়ে না করলে আমাকে আর পাবিনা।
বাবাঃ হ্যা, আমাকেও না,
মাঃ অনেক তো দিয়ার ওয়াদা রেখেছিস এবার দেখবো তোর মায়ের ওয়াদা কিভাবে রাখিস।
আর কতো কষ্ট দিবি আমাদের ঐ মেয়ের জন্য।।
(রিমন ভাবছে যে সবাই এক কথা বলছে, নতুন কাউকে নিয়ে জীবন সাজাতে, সেই রেস্টুরেন্ট এর ছেলে ও পুলিশ আর মা বাবা।)
রিমনঃ(কিছুক্ষণ চুপ থেকে) ওকে তোমাদের যা ইচ্ছা তাই করো আমি আর তোমাদের কষ্ট দেবোনা।
এই বলে রিমন ঘরে চলে গেলো।
আর ছেলের মত পেয়েই রিমনের বাবা ঘটক ও পরিচিত লোকদের কাছে মেয়ের সন্ধান করতে লাগলো।
এদিকে রিমন দিয়াকে ভুলে যাওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করছে।....কয়েকদিন পর......
রিমনকে নিয়ে রিমনের মা বাবা একটা মেয়ে দেখতে যাবে।
মেয়েটার ছবি রিমনের মা বাবা আগেই দেখে পছন্দ করে ফেলেছে।
কিন্তু রিমনকে দেখাতে চাইলে রিমন দেখতে চায়নি।
এখন তারা গিয়ে পৌছালো সেই মেয়েদের বাড়ি।
সবাই বসে নাস্তা করছে। কিন্তু রিমম কিছুই খাচ্ছে না মন মরা হয়ে বসে আছে।
রিমনের বাবা মেয়েকে আনতে বলছে,, মেয়ে পক্ষরা বলছে।
আরেকটু অপেক্ষা করতে মেয়ে সাজানো হচ্ছে।
সবাই বসে আলাপ আলোচনা করছে,,,
কিছুক্ষণ পরেই তারা মেয়েকে নিয়ে হাজির হলো।
রিমনের বাবা মেয়ের ঘোমটা উঠাতে বললে ঘোমটা উঠানো হলো।
মাঃ ওমা কি সুন্দর মেয়ে একেবারে চাঁদমুখ।
বাবাঃ হ্যা, আমার পছন্দ হয়েছে,
মাঃ এই তুমি পছন্দ করে কি করবে শুনি?
এই রিমন দেখ না কতো সুন্দর পরী তোর জন্য ঠিক করেছি।
(রিমন দেখছে না মাথা নিচু করে রেখেছে। আর মেয়েটাও চোখ বন্ধ করে রেখেছে লজ্জায়)
বাবাঃ এই রিমন তাকানা একবার, চেয়ে দেখ।
মাঃ রিমন এটা কিন্তু বেয়াদবি হচ্ছে,
আমরা কিন্তু অপমানবোধ করছি,।
রিমন এবার মাথা তুলে তাকালো মেয়েটির দিকে,,,,।
এক নজর দেখেই রিমন চমকে গেলো...........
রিমন কি দেখছে এটা.............।।।।
★::::::::::বাকী গল্প পড়তে পরের পর্ব পড়ুন::::::::::★
এরপরেই প্রকাশ হবে এই গল্পের শেষ পর্ব। তবে একটা কথা বলে রাখি, আপনার যা ভাবছেন তা কিন্তু তা না......
এই গল্পসহ আরো গল্প পড়তে এই পেজে লাইক দিয়ে একটিভ থাকুন।
*********************************
★লেখক★
★মোঃ শফিকুল ইসলাম(পাপ্পু)★