MusafiR

MusafiR নিশ্চয় যারা বিশ্বাস স্থাপন করে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্যে রয়েছে অফুরন্ত পুরস্কার।সূরা-ফুসসিলাত.৮

16/07/2023
04/12/2022
❤️
16/10/2022

❤️

Halaal is not easy to Earn💔
27/08/2022

Halaal is not easy to Earn💔

26/05/2022

ইমাম ইবনুল কাইয়িম রাহিমাহুল্লাহর কথাগুলো সত্যিই মুগ্ধকর—

শরীর অসুস্থ হয় চারটি কাজ করলে :
১। অতিরিক্ত কথা
২। অতিরিক্ত ঘুম
৩। অতিরিক্ত খাওয়া
৪। অতিরিক্ত সহবাস (বা হস্তমৈথুন)

শরীর ধ্বংস হয় চারটি কারণে :
১। দুশ্চিন্তা
২। দুর্দশা
৩। ক্ষুধা
৪। রাত জাগা

চেহারার সৌন্দর্য নষ্ট হয় চারটি কারণে :
১। মিথ্যা বলা
২। দুরাচারী হওয়া
৩। অনর্থক প্রশ্ন করা
৪। পাপাচারে লিপ্ত হওয়া

চেহারায় সৌন্দর্য আসে চারটি কারণে :
১। তাকওয়া
২। বিশ্বস্ততা
৩। মহানুভবতা
৪। অনুগ্রহ

রিজিকে বারাকাহ আসে চারটি কারণে :
১। কিয়ামুল লাইল তথা রাত্রিকালীন সালাত
২। ভোররাতে ইস্তিগফার
৩। ধারাবাহিক সাদাকাহ
৪। রাতদিন জিকির

রিজিক সংকীর্ণ হয় চারটি কারণে :
১। ফজরের পর ঘুম
২। সালাতে অনভ্যস্ততা
৩। অলসতা
৪। খেয়ানত ও অসততা

------------------------------
- আবুল হাসানাত কাসিম

লাইলাতুল কদরের জন্য ১৩ টি সহজ আমল, যেগুলো তুলনামূলক অনেক সহজ(আজ রাত থেকেই কদর তালাশ করা হবে)▬▬▬▬▬▬▬◖◉◗▬▬▬▬▬▬▬প্রথমেই জেন...
22/04/2022

লাইলাতুল কদরের জন্য ১৩ টি সহজ আমল, যেগুলো তুলনামূলক অনেক সহজ
(আজ রাত থেকেই কদর তালাশ করা হবে)
▬▬▬▬▬▬▬◖◉◗▬▬▬▬▬▬▬
প্রথমেই জেনে খুশি হোন: আল্লাহ সূরা কদরে বলেছেন, কদরের রাতটি হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। তাই এই রাতে একটি নেক আমল করা মানে হাজার মাস যাবত এই নেক আমলটি করা। সুবহানাল্লাহ্! রামাদানের শেষ দশ দিনে কদর তালাশ করতে বলেছেন নবিজি। তাই, আমরা শেষ দশ দিন নিচের এই আমলগুলো করতে পারি।
❖ (এক.) তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা (বিশেষত শেষ রাতে তাহাজ্জুদ আর রাতের প্রথম প্রহরে নিচের বাকি আমলগুলো করা যায়)
লাইলাতুল কদরের প্রধান আমল হলো, কিয়াম তথা নামাজে দণ্ডায়মান হওয়া। রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে, সওয়াবের আশায় কদরের রাতে (ইবাদতের জন্য) দণ্ডায়মান হবে, তার পূর্বের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’’ [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ২০১৪]
সম্ভব হলে ৮/১০ রাকাত তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা যায়। এরপর আন্তরিকতার সাথে সময় নিয়ে দু‘আ করুন।
❖ (দুই.) সুরা ইখলাস পাঠ করা
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যাঁর হাতে আমার জীবন, তাঁর কসম করে বলছি, নিশ্চয়ই এই সুরা ইখলাস কুরআনের এক তৃতীয়াংশের সমান।’’ [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ৫০১৩]
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘‘যে ব্যক্তি সুরা ইখলাস ১০ বার শেষ করবে, তার জন্য জান্নাতে আল্লাহ্ একটি প্রাসাদ নির্মাণ করবেন।’’ [শায়খ আলবানি, সিলসিলা সহিহাহ: ৫৮৯; হাদিসটি সহিহ]
তাই, আমরা শেষ দশকের প্রতিটি রাতে ২০/৩০ বার বা আরও বেশি সুরা ইখলাস পড়তে পারি।
এছাড়া সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, সুরা মুলক ও বাকি তিন কুল পড়তে পারি।
❖ (তিন.) সুবহানাল্লাহ্, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ ও আল্লাহু আকবার—প্রতিটি ১০০ বার করে মোট ৪০০ বার পড়া।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মে হানি (রা.)-কে বলেন—
◉ তুমি ১০০ বার ‘সুবহানাল্লাহ’ বলবে, এটি তোমার পক্ষে ইসমাইল (আ.)-এর বংশের ১০০ ক্রীতদাস মুক্ত করার সমতুল্য হবে;
◉ তুমি ১০০ বার ‘আলহামদুলিল্লাহ্’ বলবে, এটি তোমার পক্ষে আল্লাহর রাস্তায় যু[দ্ধে]র জন্য ১০০ টি সাজানো ঘোড়ায় মু[জা]হিদ প্রেরণের সমতুল্য হবে;
◉ তুমি ১০০ বার ‘আল্লাহু আকবার’ বলবে, এটি তোমার পক্ষ থেকে ১০০টি মাকবুল (কবুলকৃত) উট কুরবানির সমতুল্য হবে;
◉ তুমি ১০০ বার ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ বলবে, এত সওয়াব পাবে, যার ফলে আসমান ও যমিন পূর্ণ হয়ে যাবে। [শায়খ আলবানি, সহিহুত তারগিব: ১৫৫৩; হাদিসটি হাসান]
❖ (চার.) একটি গুরুত্বপূর্ণ তাসবিহ কমপক্ষে ১০০ বার পড়ার চেষ্টা করা।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার পড়বে—
لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ
[মোটামুটি উচ্চারণ: লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহূ লা শারীকা লাহূ লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর]
এটি বিশুদ্ধ উচ্চারণে শিখতে শুনুন:
https://youtu.be/wIqccjmjoeE
অর্থ: আল্লাহ্ ব্যতীত কোনো সত্য উপাস্য নেই। তিনি এক; তাঁর কোনো অংশীদার নেই। রাজত্ব এবং প্রশংসা কেবল তাঁরই; তিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।
◉ সে ১০টি গোলাম মুক্ত করার সওয়াব পাবে;
◉ তার জন্য ১০০ সওয়াব লেখা হবে;
◉ তার ১০০ গুনাহ মিটিয়ে দেওয়া হবে;
◉ ওই দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত সে শয়তান থেকে নিরাপদ থাকবে এবং (সন্ধ্যায় বা রাতে পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত নিরাপদ থাকবে)
◉ ওই দিনের হিসেবে কেউ তার চেয়ে উত্তম সওয়াবের কাজ করতে পারবে না। তবে হ্যাঁ, ওই ব্যক্তি সক্ষম হবে, যে এর চেয়ে বেশি পড়বে।’’ [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ৩২৯৩; ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান: ৫০৭৭]
অন্য হাদিসে এসেছে, ‘‘যে ব্যক্তি প্রত্যেকটি দশবার করে বলবে, সে ইসমাঈল (আ.)-এর বংশের চারজন ক্রীতদাস মুক্ত করে দেওয়ার নেকি পাবে।’’ [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ৬৪০৪]
❖ (পাঁচ.) কদরের রাতের বিশেষ দু‘আটি মনোযোগের সাথে পড়া।
আয়িশা (রা.) বলেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি বুঝতে পারি, কোন রাতটি লাইলাতুল কদর, তাহলে ওই রাতে কী বলবো?’ নবিজি বলেন, তুমি বলো—
اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ
[আল্লাহুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউ-উন, তু‘হিব্বুল ‘আফওয়া ফা’ফু ‘আন্নী]
অর্থ: হে আল্লাহ্! তুমি ক্ষমাশীল, তুমি ক্ষমা করতে পছন্দ করো। অতএব, আমাকে ক্ষমা করে দাও। [ইমাম ইবনু মাজাহ, আস-সুনান: ৩৮৫০; হাদিসটি সহিহ]
এই দু‘আটি রামাদানের শেষ দশকের প্রতিটি রাতে প্রচুর পরিমাণে পড়তে চেষ্টা করবো।
❖ (ছয়.) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই ইস্তিগফার ও তাওবার যিকরটি বেশ কয়েকবার পড়া।
ইবনু মাস‘উদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি এই দু‘আ পড়বে, তার গুনাহ্ ক্ষমা করে দেওয়া হবে—যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলায়নকারী হয়।’’
ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠّٰﻪَ ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻻَ ﺇِﻟٰﻪَ ﺇِﻻَّ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﺤَﻰُّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮْﻡُ ﻭَﺃَﺗُﻮْﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻪِ
[আস্তাগফিরুল্লাহাল্লাযি লা ইলাহা ইল্লা হুওয়াল ‘হাইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতূবু ইলাইহি]
অর্থ: আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যিনি ব্যতীত কোনো সত্য উপাস্য নেই—তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী—এবং আমি তাঁর নিকট তাওবাহ্ করছি। [ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান: ১৫১৭; হাদিসটি সহিহ]
❖ (সাত.) বেশি বেশি সাইয়িদুল ইসতিগফার পড়া। সাইয়িদুল ইস্তিগফার অর্থ ‘ইস্তিগফারের নেতা’।
ﺍَﻟﻠّٰﻬُﻢَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺭَﺑِّﻲْ ﻟﺎَ ﺇِﻟٰﻪَ ﺇِﻟﺎَّ ﺃَﻧْﺖَ ﺧَﻠَﻘْﺘَﻨِﻲْ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﺒْﺪُﻙَ ﻭَﺃَﻧَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻋَﻬْﺪِﻙَ ﻭَﻭَﻋْﺪِﻙَ ﻣَﺎ ﺍﺳْﺘَﻄَﻌْﺖُ ﺃَﻋُﻮْﺫُ ﺑِﻚَ ﻣِﻦْ ﺷَﺮِّ ﻣَﺎ ﺻَﻨَﻌْﺖُ ﺃَﺑُﻮْﺀُ ﻟَﻚَ ﺑِﻨِﻌْﻤَﺘِﻚَ ﻋَﻠَﻲَّ ﻭَﺃَﺑُﻮْﺀُ ﺑِﺬَﻧْﺒِﻲ ﻓَﺎﻏْﻔِﺮْ ﻟِﻲ ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟﺎَ ﻳَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﺬُّﻧُﻮﺏَ ﺇِﻟﺎَّ ﺃَﻧْﺖَ
[আল্লাহুম্মা আনতা রব্বী লা-ইলাহা ইল্লা আনতা খালাক্বতানী ওয়া আনা ‘আবদুকা, ওয়া আনা ‘আলা ‘আহ্দিকা ওয়া ওয়া’দিকা মাসতা ত’তু আ‘উযুবিকা মিন শাররি মা সনা’তু আবূ-উ লাকা বিনি’মাতিকা ‘আলাইয়া ওয়া আবূ-উ বিযানবী, ফাগফিরলি ফা ইন্নাহু লা-ইয়াগফিরুয যুনূবা ইল্লা আনতা]
অর্থ: হে আল্লাহ! আপনিই আমার রব। আপনি ছাড়া কোনো সার্বভৌম সত্তা নেই। আপনিই আমাকে সৃষ্টি করেছেন আর আমি আপনারই গোলাম। আপনি আমার কাছ থেকে যে অঙ্গীকার ও প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন, সাধ্যানুযায়ী আমি তার ওপর চলবো। আমি আমার কৃতকর্মের অনিষ্ট থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই। আপনি আমার প্রতি আপনার যে নিয়ামত দিয়েছেন তা স্বীকার করছি এবং আমার গুনাহের কথাও স্বীকার করছি। অতএব, আপনি আমাকে মাফ করে দিন। কারন আপনি ছাড়া কেউ গুনাহ ক্ষমা করতে পারে না।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি দিনের বেলায় এ দু‘আটি দৃঢ় বিশ্বাসের সাথে পড়বে, অতঃপর সেদিন সন্ধ্যা হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতিদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় দৃঢ় বিশ্বাস নিয়ে এটি পড়বে, অতঃপর সকাল হওয়ার আগেই মারা যাবে, সে জান্নাতিদের অন্তর্ভুক্ত হবে।’’ [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ৬৩০৬]
❖ (আট.) নিজের জন্য, বাবা-মার জন্য এবং যেকোনো জীবিত ও মৃত মুসলিমের জন্য দু‘আ করা।
মুসলিম জাতির পিতা ইবরাহিম (আ.)-এর চমৎকার দু‘আ (ইসতিগফার)। এর মাধ্যমে একই সাথে নিজের জন্য, বাবা-মার জন্য এবং সকল জীবিত ও মৃত ঈমানদারের জন্য দু‘আ করা হয়। খুবই গুরুত্বপূর্ণ দু‘আ।
رَبَّنَا اغْفِرْ لِيْ وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ يَوْمَ يَقُوْمُ الْحِسَابُ
‘‘হে আমাদের রর! যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দিয়েন।’’ [সুরা ইবরাহিম, আয়াত: ৪১]
হাদিসে এসেছে, কোনো অনুপস্থিত মুসলিমের জন্য দু‘আ করলে, ফেরেশতারা বলেন, ‘তোমার জন্যও অনুরূপ হোক!’ [ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ৬৮২০]
❖ (নয়.) গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপক অর্থবোধক একটি দু‘আ বেশি করে পড়া।
​​​​​​​اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ
[আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল ‘আ-ফিয়াতা ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আ-খিরাহ।]
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখেরাতের নিরাপত্তা প্রার্থনা করছি। [ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান: ৫০৭৪; হাদিসটি সহিহ]
❖ (দশ.) দ্বীনের উপর টিকে থাকার দু‘আ, এটিও বেশি করে পড়া উচিত কদরের রাতে।
উম্মু সালামাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দু‘আটি সবচেয়ে বেশি পড়তেন, তা হলো–
يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلٰي دِيْنِكَ
[ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলূব! সাব্বিত ক্বলবী ‘আলা দীনিকা]
অর্থ: হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী! আপনি আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের (ইসলামের) উপর অটল রাখুন।
[ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ৩৫২২; হাদিসটি সহিহ]
❖ (এগারো.) কিছু দান-সদাকাহ্ করা।
নবি করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “প্রত্যেক ব্যক্তি (হাশরের মাঠে) তার সদাকার ছায়াতলে থাকবে, যতক্ষণে লোকদের মাঝে ফয়সালা শেষ না হবে।” [শায়খ আলবানি, সহিহুল জামি’: ৪৫১০; হাদিসটি সহিহ]
যদি সম্ভব হয়, তবে রাতেই করুন। এটাই উত্তম। এক টাকা দান করলে হাজার মাস (৮৪ বছর) ধরে এক টাকা দান করার নেকি পাবেন। এই রাতের প্রতিটি আমল এভাবেই বৃদ্ধি পাবে। কারণ আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন, ‘‘কদরের রাতটি (মর্যাদার দিক থেকে) হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।’’ [সুরা ক্বাদর, আয়াত: ০৩]
যদি রাতে দিতে না পারেন, তবে রাতেই কিছু টাকা সাদাকাহ করার জন্য আলাদা করে রেখে দিন। এগুলো দিনের বেলা গরিবদেরকে দিয়ে দিন।
❖ (বারো.) বেশি করে দরুদ পড়বেন রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর। শ্রেষ্ঠ দরুদ সেটিই, যা আমরা নামাজের শেষ বৈঠকে পড়ি।
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার প্রতি ১০ বার রহমত বর্ষণ করবেন, ১০ টি গুনাহ মোচন করবেন এবং তার জন্য ১০ টি স্তর উন্নীত করবেন।’’ [ইমাম নাসায়ি, আস-সুনান: ১২৯৭; ইমাম ইবনু হিব্বান, আস-সহিহ: ৯০৪; হাদিসটি সহিহ]
❖ (তেরো.) সহজ দুটো যিকর পাঠ করা:
হাদিসে নিচের বাক্যটিকে বলা হয়েছে জান্নাতের রত্নভাণ্ডার। এটি বেশি বেশি পড়তে পারেন—
ﻻَ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
লা হাউলা ওয়ালা ক্বুও-ওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ
অর্থ: আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কারো (গুনাহ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় নেই এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি নেই। [ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ৬৩৮৪]
জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘‘সর্বশ্রেষ্ঠ যিকর হলো, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ।’’ [ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ৩৩৮৩; হাদিসটি হাসান]
■ বেশি বেশি আমল করতে গিয়ে কোয়ালিটির দিকে উদাসীন হবেন না। আল্লাহর কাছে আন্তরিকতাপূর্ণ আমলের মূল্য অনেক বেশি।
■ এগুলোর বাইরে কুরআন তিলাওয়াত, মাসনুন যিকর, অনির্ধারিত বিভিন্ন যিকর, তাসবিহাত, দু‘আ ইত্যাদি তো আছেই। মোট কথা ইবাদতে লেগে থাকা। বিশেষত ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদি সুবহানাল্লাহিল আযীম’, দু‘আ ইউনুস, ‘সুবহানাল্লাহিল আযীমি ওয়া বিহামদিহ’ ইত্যাদি সব রকমের যিকর বেশি বেশি পড়া উচিত।
■ লাইলাতুল কদরের জন্য নির্ধারিত বা নির্দিষ্ট বিশেষ পদ্ধতির কোনো নামাজ বা ইবাদতের কথা সহিহ বর্ণনা থেকে জানা যায় না, কেবল আয়িশা (রা.)-কে শেখানো দু‘আটি ব্যতীত, যা পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে। তাই, সব ধরনের নেক আমলই সাধ্যানুযায়ী কদরের রাতে করা উচিত। নামাজ পড়বেন দুই রাকাত করে, সাধারণ নফলের মতো। কোনো বিশেষ সুরা বা নিয়ম নেই।
আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
#মহিমান্বিত_রাত (তৃতীয় পর্ব)
আগের দুটো পর্বের লিংক কমেন্টে দেওয়া হলো।

প্রতিদিন সম্ভব হলে ১০০ বার পড়বেন। .لَا إِلٰهَ إِلَّا اللّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلٰى كُلِّ شَيْئٍ ق....

10/04/2022

মাসজিদ আল-হারামের ইমাম শাইখ মাহির রমজানের শেষ দশ দিনের জন্য চমৎকার এক আমলের ফর্মুলা দিয়েছেন।

১. প্রতিদিন এক দিরহাম (এক টাকা) দান করুন, যদি দিনটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৪ বছর বা ১০০০ মাস পর্যন্ত প্রতিদিন এক টাকা দান করার সাওয়াব পাবেন।

২. প্রতিদিন দুই রাকা'আত নফল সালাত আদায় করুন, যদি দিনটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৪ বছর পর্যন্ত প্রতিদিন দুই রাকা'আত নফল সালাত আদায় করার সাওয়াব পাবেন।

৩. প্রতিদিন তিনবার সূরা ইখলাস পাঠ করুন, যদি দিনটি লাইলাতুল ক্বদরের মাঝে পড়ে, তবে আপনি ৮৪ বছর পর্যন্ত প্রতিদিন এক খতম ক্বুর'আন পাঠের সাওয়াব পাবেন।

তিনি আরো বলেন, এ কথাগুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিন, যারা আপনার এ কথা শুনে আমল করবে, আপনিও তাদের আমলের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ্। কারণ রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, "ভালো কাজের পথপ্রদর্শনকারী আমলকারীর সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে, কিন্তু আমলকারীর সাওয়াবে কোনো ঘাটতি হবে না।" (মুসলিম, ২৬৭৪)

আল্লাহ্ সবাইকে বেশি বেশি আমল করার তৌফিক দান করুন।
আমিন।
সংগৃহীত

20/12/2021

যোহরের নামাযটা শেষ করলাম, সাথে সাথেই ফোনটা বেঁজে উঠল, একটি বিশেষ কাজে এখনই বের হতে হবে। উতপ্ত রোঁদে ধূ ধূ মরুভূমি, কপাল বেয়ে নামে ঘামের ফোঁটা, কিন্তু তারপরও রিজিকের অন্বেষণে বিশ্রামহীন ছুটে চলা এই নিয়েই আমার প্রবাস জীবন!
ছয়'শ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে যখন ফিরছি, রাত তখন দশটা। চারিদিক নিরব নিস্তব্দ। কোথাও কোন সাড়া শব্দ নেই। রাতের অনেক অংশ এখনও বাকী কিন্তু আশেপাশে কাউকে দেখছিনা। রাস্তার লাইটগুলিও বন্ধ, ঠান্ডা বাতাসের সাথে ধূলোবালি উড়ছে। এদিকে এশার নামাযটাও পড়া হয়নি। চতুর্দিকের কোথাও মসজিদের মিনার নজরে আসছে না। খানিকটা সামনে যেতেই বাউন্ডারী ওয়াল করা একটি মসজিদের সন্ধান পেলাম।
অত:পর গেইটের ভিতরে প্রবেশ করেই অন্তরটা কাঁপুনি দিয়ে উঠলো! হায়, হায় এ তো দেখি গণ-কবরস্থান। দুপাশে শত শত কবর আর মধ্যখানে সরু রাস্তাটা চলে গেছে মসজিদের দরজার দিকে। তড়িৎ গতিতে গিয়ে অজু করে এশার ছালাত আদায় করলাম। তারপর বাহিরে এসে মিনিট পাঁচেক দুপাশে কবরগুলোর দিকে তাকিয়ে রইলাম, হৃদয়টা কেমন যেন কোমল হতে শুরু করল। অত:পর সামনের দিকে হাঁটা শুরু করলাম...
দক্ষিণদিকে কয়েকটা নতুন কবর দেখা যাচ্ছে, সম্ববত দু'একদিন আগেই দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। হয়ত অল্প কিছুদিনই দুনিয়ার বুকে বিচরণ করেছিলেন! পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, মৃত্যুর পরেও এই কবরস্থানে তাঁরা ছয়মাসের বেশী থাকতে পারবেন না, নতুনদের আগমনে পুরানাদের বিদায় ঘন্টা বেজে যাবে। মাথার খুলি, দেহের হাড়গুলি উঠিয়ে ফেলা দেয়া হবে! এখানে ভি আই পি থেকে শুরু করে বে-ওয়ারিশ সবার কবর রয়েছে। ইয়েমেনী, সুদানী, মিশরী, কেরালা, পাকিস্তানী, বাংলাদেশীদের কবরগুলো দেখে চোখের পানি আপনা-আপনিই গড়িয়ে পড়ল!
ইতোমধ্যে দুজন খাদেম প্রবেশ করলেন, তাঁরা বলাবলি করছে যে, কবর খুঁড়তে হবে, সকালে নাকি দুজন নতুন মেহমান আসছেন। হতভম্ব হয়ে গেলাম, হায় আল্লাহ! এ কোথায় দাঁড়িয়ে আছি আমি!? কিছুক্ষণ আকাশ পানে তাকিয়ে রইলাম। মুহুর্তের মধ্যেই দুনিয়াবী সকল পেরেশানী দূর হয়ে গেল! এই কবরস্থান এমন এক জায়গা যা ব্যক্তির সমস্ত অহংকারকে নিঃশেষ করে দেয়। আমাদের সালাফগন যখন কোনো কবরের পাশ দিয়ে যেতেন তখন নিরব -নিথর হয়ে যেতেন, আল্লাহর ভয়ে সেজদায় লুটিয়ে পড়তেন, খুব কাঁদতেন আর নিজেকে তিরস্কৃত করতেন।
উছমান [রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু] যখন কোন কবরের নিকট দাঁড়াতেন তখন তিনি অঝরে কাঁদতেন। তিনি এতটাই কাঁদতেন যে, চোখের পানিতে তাঁর দাড়িগুলো ভিজে যেত। তাঁকে প্রশ্ন করা হল, জান্নাত-জাহান্নামের বর্ণনায় আপনি কাঁদেন না, অথচ কবর দেখলেই আপনি এত কাঁদেন কেন?
জবাবে তিনি বললেন, রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘কবর হ’ল পরকালের যাত্রাপথের প্রথম মনযিল। যদি এখানে কেউ মুক্তি পায় তাহ’লে পরের মনযিলগুলি তার জন্য সহজ হয়ে যায়। আর যদি এখানে মুক্তি না পায় তাহ’লে পরেরগুলি আরও কঠিন হয়ে যায়’। রাসূলুল্লাহ ﷺ আরো বলেছেন, ‘আমি কবরের চাইতে ভয়ংকর কোন দৃশ্য আর দেখিনি’। [তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত ১৩২]
বারা বিন আযেব [রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু] থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, "একদা আমরা রাসূলুল্লাহ ﷺ এর সাথে ছিলাম। হঠাৎ তিনি একদল লোককে দেখতে পেয়ে বললেন, ওরা কি উদ্দেশ্যে এখানে একত্রিত হয়েছে? একজন বললেন, এরা একটি কবর খুঁড়ছে। রাবী বলেন, একথা শুনে রাসূলুল্লাহ ﷺ আতংকিত হয়ে পড়লেন এবং সঙ্গী-সাথীদের আগেই দ্রুতবেগে কবরের নিকটে পৌঁছে হাঁটু গেড়ে বসলেন।
রাবী বলেন, তিনি কি করছেন তা দেখার জন্য আমি তাঁর মুখোমুখি বসলাম। তিনি কেঁদে ফেললেন, এমনকি অশ্রুতে মাটি পর্যন্ত ভিজে গেল। অতঃপর তিনি আমাদের দিকে ফিরে বসে বললেন, হে ভাইয়েরা! এ রকম দিবসের জন্য রসদ প্রস্তুত করে রেখো’। [আহমাদ, সিলসিলা ছহীহাহ ১৭৫১]
প্রিয় সর্তীর্থবৃন্দ,
মৃত্যুর একটা ঝাপটা দুনিয়ার সকল ব্যস্ততার অবসান ঘটিয়ে দিবে। স্থায়ী বাসিন্দা হবার আগে মাঝেমধ্যে কবরস্থানে ঘুরে আসুন। আপনার প্রিয় মানুষদের কবরের পাশে দাঁড়ান। সেই সময়গুলোর কথা স্মরণ করুন যখন তারা ছিলেন সুস্থ-সবল এবং অবস্থান করছিলেন আপনার মাঝেই। সেই কবরবাসীদের জায়গায় নিজেকে কল্পনা করুন।
উন্মুক্ত মন ও উন্মুক্ত অন্তর নিয়ে যান, ভাবুন মৃত্যুকে নিয়ে, মৃত্যু পরবর্তী জীবন নিয়ে; এই ভাবনাই যেন মৃত্যু এবং আখিরাতের জন্য আপনাকে প্রস্তুতি নিতে প্রেরণা জোগায়। নিশ্চয়ই মৃত্যুচিন্তা মৃত অন্তরকেও জীবিত করতে পারে। আসার সময় শেষবারের মত পিছনের দিকে তাকিয়ে দেখলাম, কবরে শানিত মানুষগুলি যেন চিৎকার করে বলছে - "হে পথিক ! আমিও একদিন তোমার মত ছিলাম।"

হে আমাদের রব! আপনার কাছে উত্তম ও বরকতপূর্ণ মৃত্যু এবং কবরের যাবতীয় ফিতনা থেকে মুক্তি চাই! [আমীন]
▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂▂
লেখাঃ আখতার বিন আমীর (আল্লাহ্‌ তাকে উত্তম প্রতিদান দান করুন!)
(Y) শেয়ার করুন, বন্ধুদের সাথে ইন শা আল্লাহ !
_
#ওহী (Seeking The Way To Jannah)

“নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে”[সূরা 'আনকাবুত:৪৫]
11/12/2021

“নিশ্চয়ই নামাজ অশ্লীলতা ও খারাপ কাজ থেকে বিরত রাখে”

[সূরা 'আনকাবুত:৪৫]

অতঃপর সীমালংঘন করার পর কেউ তওবা করলে ও নিজেকে সংশোধন করলেনিশ্চয় আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন; নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম ...
11/12/2021

অতঃপর সীমালংঘন করার পর কেউ তওবা করলে ও নিজেকে সংশোধন করলে
নিশ্চয় আল্লাহ তার তওবা কবুল করবেন; নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু!

[সূরা: আল-মায়িদাহ; ৩৯]

Allah ❤️
09/12/2021

Allah ❤️

আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই, তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক।-----(সূরা আল ইমরান (آل عمران), আয়াত: ২)------
30/11/2021

আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই,
তিনি চিরঞ্জীব, সবকিছুর ধারক।
-----(সূরা আল ইমরান (آل عمران), আয়াত: ২)------

Address

Dhaka
1200

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when MusafiR posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to MusafiR:

Videos

Share

Category