আল হেরা

আল হেরা Islam Is Life And Light Dhaka,Bangladesh
(8)

29/05/2024

গোসাইরহাট উপজেলা নির্বাচনে মোশারফ হোসেন সরদার প্রায় ৬০০০ ভোটে বিজয়ী।

কষ্টের সাথে জানাচ্ছি যে আমাদের প্রিয় ড. মাওলানা  Md Abul Kalam Azad বাশার সাহেবের আইডি থেকে তিনি লগ আউট হয়ে গেছেন।  আজ স...
14/05/2024

কষ্টের সাথে জানাচ্ছি যে আমাদের প্রিয় ড. মাওলানা Md Abul Kalam Azad বাশার সাহেবের আইডি থেকে তিনি লগ আউট হয়ে গেছেন। আজ সকাল থেকে তিনি আইডিতে লগ-ইন করতে পারছেন না। আইডি তাঁর নিয়ন্ত্রণে নেই। পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।
গতরাতে মাজলুম আলেম মাওলানা মামুনুল হক সাহেবের সাথে সাক্ষাৎ করার পোষ্টটি ডিলিট হয়েগেছে । এতে কারো কারো মনে বিভিন্ন প্রশ্ন সৃষ্টি হয়েছে ।
অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে , তিনি পোষ্ট টি ডিলিট করেননি। ধারণা করা হচ্ছে , হয় ফেসবুক কতৃপক্ষ অথবা , যে বা যারা আইডি কন্ট্রোল করছেন তারাই একাজ করেছেন । দোয়া করুন তিনি যেন আইডি দ্রুত ফেরত পান।

PHP কুরআনের আলো এর চেয়ারম্যান মুহতারাম আবু ইউসুফ ভাই আজ বাংলাদেশসময় সকাল ৭:৩০ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন ।ইন্না লিল্লাহি ওয...
23/03/2024

PHP কুরআনের আলো এর চেয়ারম্যান
মুহতারাম আবু ইউসুফ ভাই আজ বাংলাদেশ
সময় সকাল ৭:৩০ মিনিটে ইন্তেকাল করেছেন ।

ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন !

তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশ হারালো আল কুরআনের
সত্যিকারের একজন একনিষ্ঠ খাদেমকে ।

মহান আল্লাহ তাঁকে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুন !

20/03/2024
15/03/2024

যে সব আলেমরা ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য কথা বলতে দুনিয়ার শক্তিকে ভয় পায়। আল্লাহ তুমি তাদের সৎ সাহস দেও। যদি ইচ্ছা করে না বলে তা হলে জবান কেরে নেও।

13/03/2024

আপনি যে ধর্মের ই হোন না কেন।
আকিজ আলোকিত জ্ঞানী-১০ম পর্ব করিয়োগ্রাফি দেখে যাদের চোখে পানি আসবে না সে মানুষ-ই না।

12/03/2024

আলহামদুলিল্লাহ

ইসলামে কওমী আলেমদের উপহার, এগুলো নিয়ে কওমি অঙ্গনে কোন প্যারা নেই। ইসলাম থাকবে তাসবির গুটির মধ্যে আর মাওলান আবুল আ'লা মওদ...
12/03/2024

ইসলামে কওমী আলেমদের উপহার, এগুলো নিয়ে কওমি অঙ্গনে কোন প্যারা নেই। ইসলাম থাকবে তাসবির গুটির মধ্যে আর মাওলান আবুল আ'লা মওদুদির সংগঠন জামায়েত করে এর প্রতিবাদ।

আলহামদুলিল্লাহ আমিরে জামায়েত ড. শফিকুল ইসলাম মুক্ত বতাশে।
11/03/2024

আলহামদুলিল্লাহ
আমিরে জামায়েত ড. শফিকুল ইসলাম মুক্ত বতাশে।

I've received 11,000 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉
10/03/2024

I've received 11,000 reactions to my posts in the past 30 days. Thanks for your support. 🙏🤗🎉

আবুল হাসান নদভী, হোসাইন আহমাদ মাদানী, মানজুর নোমানি, শামসুল হক ফরিদপুরি রহঃ সহ মাওলানা মওদুদি রহঃ কে নিয়ে যারা গঠনমূলক দ...
09/03/2024

আবুল হাসান নদভী, হোসাইন আহমাদ মাদানী, মানজুর নোমানি, শামসুল হক ফরিদপুরি রহঃ সহ মাওলানা মওদুদি রহঃ কে নিয়ে যারা গঠনমূলক দালিলিক সমালোচনা করেছেন তাদের কাউকেই আমরা আল্লাহর সার্টিফাইড মুখপাত্র মনে করিনা যে, তারা মাওলানা মওদুদি রহঃ এর লেখনী চিন্তা দর্শনকে ভুল, গোমরাহি বললেই আমরা অন্ধের মতো সেটা মেনে নিয়ে ইকামাতে দ্বীনের চিন্তা দর্শন কর্মপন্থাকে বাতিল হিসেবে সাব্যস্ত করবো।
মাওলানা মওদুদি রহঃ এর ঐ কথার আমাদের কাছে চার পয়সার মূল্য নেই, যেটা কোরআন সুন্নাহার সাথে মিলে না। আমরা একমাত্র কোরআন ও সুন্নাহার অন্ধ অনুসরণকারী।

দীর্ঘদিন যাবৎ গোলামীর জিঞ্জিরে আবদ্ধ থাকার পর মুসলমানরা যখন তাদের নিজস্ব শৌর্য-বীর্য হারিয়ে তাগুতের গোলামী করাকে পরম স্বাধীনতা ভাবতে শুরু করেছিলো, নবী কারীম সঃ এর রেখে যাওয়া পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা "দ্বীন ইসলাম" যখন মানুষের কাছে নিছক আধ্যাত্মিক ধর্ম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলো, আলেমদের একটা গ্রুপ যখন বৌদ্ধ-গ্রীক দর্শনের স্পিরিটকে ইসলামের লেবাজ দিয়ে সুফিবাদকেই ইসলাম হিসাবে প্রচার করা শুরু করেছিলো, ঠিক তখনই দেওবন্দের চির আস্থাভাজন, আল জমিয়ত পত্রিকার সম্পাদক, অসাধারণ প্রতিভাধর, জগৎ বিখ্যাত গবেষক, মুজাদ্দিদ সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদি রহঃ সত্যের মশাল হাতে নিয়ে দাড়িয়ে গেলেন। কোরআন,হাদিস, তাফসির, ফিকাহ, ইতিহাস ও পাশ্চাত্যের বই পুস্তক গভীর গবেষণা করে তিনি একের পর এক যুগের কঠিন কঠিন সমস্যার অভূতপূর্ব সমাধান দেওয়া শুরু করলেন। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মুসলমানদের চিন্তা ও দর্শনে যেসব জাহেলিয়াতের আবরণ পড়েছিল, কোরআন হাদিসের অকাট্য দলিল দিয়ে, তিনি সেগুলোকে নিশ্চিহ্ন করে দিলেন। তার ক্ষুরধারা লেখনীর মাধ্যমে মানুষ ইসলামের মধ্যে বিপ্লবী রুপ খুঁজে পেলো। দিবালোকের মতো স্পষ্ট হয়ে গেলো, মুসলমানরা দুনিয়ায় গোলামী করার জন্য আসেনি বরং দুনিয়া থেকে তাগুতের প্রভুত্বকে খতম করে এক আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করার চিরন্তন মিশন নিয়েই মুসলমান জাতি দুনিয়ায় এসেছে। এই মিশন নিয়েই নবী কারীম সঃ সহ সকল নবী রাসুলগণ দুনিয়ায় আগমন করেছিলেন (সুরা নাহাল-৩৬)। এবং আজীবন তারা তাদের সর্বশক্তি দিয়ে আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠার সংগ্রামই করে গিয়েছেন। নবী কারীম সঃ এর দুনিয়ায় আগমনের উদ্দেশ্য বর্ণনা করতে যেয়ে আল্লাহ পবিত্র কোরআনে সুস্পষ্ট ভাবে ঘোষণা দিয়েছেন, নিছক আধ্যাত্মিক ধর্ম প্রচারক হিসাবে আমি মুহাম্মদ সঃ কে দুনিয়ায় পাঠাইনি বরং বিদ্যমান সকল ধর্ম ও মতবাদের উপর ইসলামকে বিজয়ী করার চূড়ান্ত মিশন নিয়েই তাকে আমি দুনিয়ায় পাঠিয়েছি( সুরা সফ-৯,তাওবা-৩৩,ফাতহা-২৮)।

বিংশ শতকে পুনরায় আল্লাহর দ্বীন বিজয়ের সেই জিহাদকে সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদি রহঃ পুনর্জীবিত করে মুসলমানদের হৃদয়ে বদ্ধমূল করে দিলেছিলেন "দ্বীনই জীবনোদ্দেশ্য" অর্থাৎ মুসলিম তার জীবনের সকল কাজ ইকামাতে দ্বীনের চিন্তাকে মাথায় রেখেই করবে। দ্বীনই হবে সকল কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রবিন্দু।

ব্যক্তি পর্যায় থেকে নিয়ে রাষ্ট্রীয় পর্যায়, সর্বস্তরে এক আল্লাহর সার্বভৌমত্ব প্রতিষ্ঠা করাই হবে মুমিন জীবনের মিশন। সেই লক্ষ্য উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সীমাহীন প্রতিকূল পরিস্থিতিকে উপেক্ষা করে, ত্যাগ কোরবানির উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে, লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন। সাথে রেখে গেছেন ইকামাতে দ্বীনের জান-বাজ সৈনিক তৈরির কারখানা "জামায়াত ইসলামি " আর unparalleled জাদুকরী প্রভাববিস্তারকারী সাহিত্য কর্ম।
যেই সংগঠন ও সাহিত্য কর্মের মাধ্যমে গোটা দুনিয়ার মুসলমানদের মধ্যে "খেলাফত আলা মিন হাজিন নবুয়ত" প্রতিষ্ঠার জন্য পুনর্জাগরণ শুরু হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। যতদিন যাচ্ছে আল্লাহর মেহেরবানীতে সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদি রহঃ এর চিন্তা, দর্শন ও কর্মপন্থা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষের কাছে সমাদৃত হচ্ছে। দেশে দেশে ইকামাতে দ্বীনের শক্তিশালী সংগঠন তৈরি হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু যারা মাওলানা মওদুদি রহঃ এর চিন্তা দর্শনকে ভুল, গোমরাহি সাব্যস্ত করে বক্তৃতা দিয়েছিল, কিতাব লিখেছিলো তাদের চিন্তা ও দর্শনের ধারক বাহক কোন শক্তিশালী সুসংগঠিত কোন সংগঠনতো দেখিনা!!!

জেল জুলুম হামলা মামলা নির্যাতনকে উপেক্ষা করে ইকামাতে দ্বীনের পথে অটল অবিচল থাকার দৃঢ়তাতো তাদের মধ্যে দেখিনা!!

বরং যারা নিজেদেরকে আহলে হক দাবিকরে, জামায়াত ইসলামিকে বাতিল ফেরকা হিসাবে সাব্যস্ত করার জন্য আদাজল খেয়ে নামে, তারাই ৫ মে র শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে শোকরানা মাহফিল করে খুনিকে সংবর্ধনা দিয়েছে। এমনকি তাগুতকে "কওমি জননী" উপাধিও দিয়েছে।

অপরদিকে সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদি রহঃ যেমন তিন তিনবার হকের পথে পাহাড় সম মনোবল নিয়ে ফাঁসির দড়ি হাসি মুখে বরণ করার জন্য প্রস্তুত হয়েছিলেন, তেমনি তার রেখে যাওয়া সংগঠনের শীর্ষ নেতবৃন্দও হাসতে হাসতে ফাঁসির দড়ি গলায় পরেছেন।

শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হকের পথে তাদের অবিচলতা ও নির্ভীকতা পুরো বিশ্বকে নির্বাক করে দিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।

জামায়াত ইসলামি ও ছাত্রশিবিরের হাজার হাজার জনশক্তি আল্লাহর জন্য জীবন দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। ইকামাতে দ্বীনের জন্য এই মানের জান-বাজ সৈনিক মাওলানা মওদুদির সমালোচকরা কি তৈরি করতে পেরেছে?? কক্ষণো না। বরং আমরা নিত্য দেখছি তাগুতের বিরুদ্ধে লড়াই করাতো দূরে থাক বরং তাদের অধিকাংশই বাতিলের পদলেহন করে সুবিধা নেওয়ার জন্য তেলবাজি করেই যাচ্ছে।

আল্লামা মামুনুল হকের মুক্তির পথে বাঁধা হিসেবে দেওবন্দীদের এটা গ্রুপকেই দায়ী করেছে স্বয়ং দেওবন্দীদের অন্য একটা গ্রুপ। সুতরাং যারা নিজেরাই দুনিয়ার সুযোগ সুবিধা নেওয়ার জন্য তাগুতের পদলেহন করছে, যারা বিপদ আপদের ভয়ে ১৩ দফা দাবি বাদ দিয়ে দিয়েছে, যারা মাদরাসায় আসা দান-সাদাকা বন্ধ হওয়ার ভয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাটাও ভুলে গেছে, সচেতন শিক্ষিত মুসলিম সমাজের কাছে তাদের গ্রহনযোগ্যতা আরো বহু আগেই নষ্ট হয়ে গেছে।

বরং তাদের এই দলীয় পদস্খলন পুনরায় প্রমাণ করেছে, সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদি রহঃ এর চিন্তা দর্শন কর্মপন্থা সঠিক ছিলো, আর আবুল হাসান নদভী, হোসাইন আহমদ মাদানি, মানজুর নোমানি, শামসুল হক ফরিদপুরি প্রমূখ বিখ্যাত আলেমদের সমালোচনা ভুল ছিলো। কারণ তাদের ঐ চিন্তা আদর্শকে বাঁচিয়ে রাখার মতো জান-বাজ সংগঠন দুনিয়ায় অবশিষ্ট নেই।
তাদের চিন্তা দর্শন কর্মপদ্ধতি Test of Time এ চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে।

কিন্তু সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদি রহঃ এর চিন্তা দর্শন কর্মপন্থাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য জান-বাজ কোটি কোটি সৈনিক দুনিয়ায় আছে আলহামদুলিল্লাহ।

এটা হওয়ার কারণ একটাই -সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদি রহঃ এর চিন্তা দর্শন তার ব্যক্তিগত চিন্তা দর্শন নয় বরং এটাই কোরআন সুন্নাহার প্রতিচ্ছবি ও সাহাবিদের সংগ্রামী বিপ্লবী চিন্তা-দর্শন। এজন্যই আল্লাহর সাহায্য এই সংগঠনের নিত্য দিনের সঙ্গী।

এজন্য মাওলানা মওদুদি রহঃ এর "কোরআনের ৪ টি মৌলিক পরিভাষা" বইটিকে সমালোচকরা বিভ্রান্তি মনে করলেও সচেতন শিক্ষিত সমাজ বইটিকে ইসলামি খেলাফত ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রেরণার জলন্ত মশাল মনে করে।

বারবারই মুসলিম জাতি সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদি রহঃ এর দূরদর্শিতা ও সূক্ষ্ম চিন্তা শক্তির প্রমাণ পেয়েছে। ১৯৫৭ সালে নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে বিতর্ক করে যেমন দেওবন্দী আকাবীরদের একটা গ্রুপ জামায়াত ত্যাগ করেছিলো, ঠিক তেমনি হাফেজ্জী হুজুর, মুফতি আমিনি, শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হক রহঃ সহ অসংখ্য দেওবন্দী আকাবীর রাজনৈতিক দল প্রতিষ্ঠা করে, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পুনরায় প্রমাণ করেছিল সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদি রহঃ এর চিন্তা দর্শন কর্মপদ্ধতিই সঠিক ছিলো, আর জামায়াত ত্যাগকারী দেওবন্দী আলেমগণ ভুল করেছিলেন।
আলহামদুলিল্লাহ জামায়াত যেটা আগে বুঝে অন্যদেরকে সেটা বুঝতে কয়েক বছর দেরি লাগে।

বিঃদ্রঃ কাউকে ছোট করা, কারো অবদানকে অস্বীকার করার উদ্দেশ্যে আমি কোন কথা বলিনি বরং আজ যারা নানা রকম মিথ্যাচার, অপব্যাখ্যা করে মুসলমানদেরকে ইকামাতে দ্বীনের কাজ থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করছে, তাদেরকে জবাব দিতেই আমি কলম ধরেছি। দেওবন্দী আকাবীর ও কওমি আলেমদের অতুলনীয় খেদমত আছে আলহামদুলিল্লাহ সেটাকে আমরা কখনোই অস্বীকার করিনা কিন্তু যারা ইকামাতে দ্বীনের সংগঠন ও ঈমামে ইনকিলাব সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদি রহঃ এর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও বিদ্বেষ ছাড়াচ্ছে তাদের উচিত জবাব দেওয়াতো ঈমানি দায়িত্ব।

শেয়ার করে অধিক মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। জাযাকাল্লাহ প্রিয়।

Al Mahamud
৯ মার্চ ২০২৪

09/03/2024

মাওলানা মওদুদী সাহাবী বিদ্ধেষী এমন একটি বাক্য কোন মৌলভী আজ পর্যন্ত দেখাতে পারেন নি পারবেনও না। সব মিথ্যাচার প্রমাণিত হয়েছে।

আব্দুল হাই জেহাদী মাওলানা

09/03/2024

আপনি আপনার স্ত্রীরির গর্ভ অবস্থায় পেটের উপরে নিচে হাত দিয়ে ছবি তুলে ফেইসবুকে পোস্ট করে তার অর্জিনাল বাবা খুজেন????

১৯৮৮ সালে ঐতিহাসিক বাহাস দুটি ব্যর্থ এবং কাওমী একশত ওলামার ফতোয়া অকার্যকর। ----------------------------------------লিখকঃ...
08/03/2024

১৯৮৮ সালে ঐতিহাসিক বাহাস দুটি ব্যর্থ এবং কাওমী একশত ওলামার ফতোয়া অকার্যকর।
----------------------------------------
লিখকঃ শায়খুল হাদীস ইসহাক আল মাদানী
সহসভাপতিঃ মাজলিসুল মুফাসসিরিন বাংলাদেশ।
~~~~~~~~~~~~~~~
বাহাস নাম্বার এক :
--------------------------
স্থান : সিলেট দক্ষিন সুরমার -সিলাম টিলা জামে মসজিদ-
----------------------------------------
১..বাহাসকারী আলেম ২ জন
----------------------------------------

১ শায়খুল হাদীস আব্দুল্লাহ শায়খে হরিপুরী (হেমু) (রহ:)।

২. শায়খুল হাদীস ইসহাক আল মাদানী (হাফি:)

১৯৮৮ সালের মার্চে সিলেট কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদের ইমাম ও খতীব প্রথিতযশা ইসলামী স্কলার মাওলানা বশীরুজ্জামান (হাফি:) " সত্যের আলো" -নামক ঐতিহাসিক বইটি লিখেন। তিনি সাইয়েদ আবুল আলা মাওদুদী (রহ:) এর উপর আরোপিত কাল্পনিক ও ভিত্তিহীন অভিযোগের দালিলিক জবাব লিপিবদ্ধ করেন। আমি ইসহাক আল মাদানী বইটির পান্ডুলিপি কয়েকবার পড়ে একটি অভিমত ও দেই। সিলেটের ইলেম হাদীসের উজ্জ্বল নক্ষত্র আল্লামা শফিকুল হক বুলবুল (রহ:) আল্লামা আব্দুর রব কাসিমী (রহ:) এবং প্রিন্সিপাল মাওলানা মুহাম্মদ ইদ্রিস শিব নগরী (রহ :) ও "সত্যের আলো "বইটির পক্ষে মূল্যবান অভিমত ব্যক্ত করেন। বইটি প্রকাশিত হওয়ার পরই সিলেটে প্রতিবাদের ঝড় বইতে থাকে। মিছিলে মিছিলে উত্তাল হয়ে পড়ে সিলেট নগরী। আন্দোলন কারীদের নেতৃত্বে যারা ছিলেন তাদের মধ্যে শায়খে হরিপুরী (রহ:) ছিলেন অন্যতম। আর সিলেটের নবীন আলেম মাওলানা আব্দুল হাই জিহাদী (হাফি:) ছিলেন এ আন্দোলনের যুবকের অগ্রসেনা।

"সত্যের আলো" -বইটি প্রকাশিত হওয়ার পর বৃহত্তর সিলেটের মাঠে ময়দানে, ওয়াজ নসীহতে একই বক্তব্য ছিল যে মাওলানা মাওদুদী (রহ:) গুমরাহ এবং জামায়াত শিবির পথভ্রষ্ট দল।

হরিপুরের শায়খ আব্দুল্লাহ (রহ:) ১৯৮৮ সালে সিলেট দক্ষিন সুরমার সিলাম শাহী ঈদগাহে হাজারো জনতার সামনে স্পষ্ট ফতওয়া দেন যে মাওদুদী (রহ:) গুমরাহ এবং জামায়াত শিবির পথভ্রষ্ট দল। তাদের সাথে সালাম কালাম এবংবিবাহ শাদী জায়েজ নয়।তাদের পিছনে নামাজ জায়েজ নয়। তাদেরকে বয়কট করা ঈমানের দাবী।

তখন সিলামী নিবাসী প্রথিতযশা চিকিৎসক ডাঃ শাহ মাহবুব সামাদ ( রহ:) যিনি একজন জামায়াত নেতা ছিলেন তিনি সভাস্হলে দাড়িয়ে শায়েখের বক্তৃতার তীব্র প্রতিবাদ করেন। তখন শায়খ রাগান্বিত হয়ে বলেন জামায়াতের কোন আলেম থাকলে আমার কাছে নিয়ে আসবেন, আমি প্রমাণ করে দিব যে, মাওদুদী (রহ:) গুমরাহ ও পথভ্রষ্ট। ডাঃ সাহেব তার চ্যালান্জ গ্রহণ করলেন। সভা স্হলেই সর্ব সম্মতিতে ও শায়খের অনুমতি ও সম্মতিতে বাহাসের তারিখ নির্ধারিত হল পরবর্তী জুমুআবারে সিলাম টিলা মসজিদে বাদ জুমুআ। ডাঃ সাহেবকে জামায়াতের পক্ষে আলেম হাযির করার দায়িত্ব দিলেন এলাকার মুরব্বিগণ।

জামায়াতের দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে
ডাঃ শাহ মাহবুব সামাদ (রহ:) আমাকে বাহাসে যাওয়ার অনুরোধ করলে আমি সম্মতি প্রকাশ করি। আমি তখন সিলেট হাউজিং ইস্টেট মসজিদের জুমুআর খতীব আর হরিপুরের শায়খ জেল রোড মসজিদের জুমুয়ার খতীব। আমি নির্ধারিত তারিখে জুমায়ে সিলাম টিলা মসজিদে উপস্থিত হলাম।
মসজিদ ও তার আশ পাশ লোকে লোকারণ্য দেখতে পেলাম। শায়খে হরিপুরী কে আনার জন্য সিলাম থেকে ৪ জন যুবক নোহা গাড়ী নিয়ে জেল রোড মসজিদে নামায পড়েন। নামায শেষে প্রথম শায়েখ সাহেব তাদেরকে একটু অপেক্ষা করতে বললেন। কিছুক্ষন পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসা করেন বাহাসের জন্য জামায়াতের কোন আলেম এসেছে। তারা বললেন, শায়েখ ইসহাক আল মাদানী
উত্তর শুনেই শায়েখ সাহেব সুর পাল্টিয়ে দিলেন এবং যুবকদের বললেন, জামায়াতের সাথে কিসের বাহাস। আমাদের আকাবিররা অনেক আগেই মাওদুদী (রহ:) কে গুমরাহ বলেছেন। যুবকরা বললেন, আপনার সম্মতিতেই বাহাসের স্হান, তারিখ ও সময় নির্ধারিত হল শতশত লোক মসজিদে অপেক্ষা করছে। এখন আপনি যাবেন না এটা কেমন কথা। তিনি আরো রাগান্বিত হলে যুবকরা ফিরে এসে সিলাম বাসীকে ঘটনাটির বর্ণণা দিলেন উপস্থিত মুসল্লিগণ যার যার মত শায়েখের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেন।বাহাস আর হলো না। মসজিদ কর্তৃপক্ষ আমাকে মাওলানা সাইয়্যেদ আবুল আলা মাওদুদী (রহ:) এর আকীদা আলোচনা করতে অনুরোধ জানালে আমি মসজিদে ৪০ মিনিট আলোচনা করি এতে অনেক জামায়াত বিদ্বষীরাও জামায়াতের প্রতি আকৃষ্ট হয়।আলহামদুলিল্লাহ সিলাম এলাকার শতশত মুসাল্লী এ ঘটনার এখন ও জীবন্ত সাক্ষী রয়েছেন।

বাহাস নাম্বার দুই:
-----------------------
সিলেট নগরী ১৯৮৮ সালে -সত্যের আলো- বইটি প্রকাশিত হলে তখনকার সিলেটের জেলা প্রশাসক আব্দুল লতিফ সাহেব, সিলেটের প্রথিতযশা মুতাওয়াল্লী খন্দকার আব্দুস সোবহান (রহ:) এবং বিশিষ্ট সালিসি ব্যাক্তি আলহাজ দ্বারা মিয়াকে (রহ:) উভয় দলের বৈঠকে ব্যবস্হা করতে বলেন। উভয়দল থেকে ৩ জন করে আলেম নিয়ে বাহাসের ব্যবস্হা করতে বলেন। জামায়াত থেকে ৩ জন আলেমের লিস্ট আমি নিজে প্রদান করি। তারা হলেন ১. প্রিন্সিপাল মুহাম্মদ ইদ্রিস আহমদ শিব নগরী (রহ:) ২. বইটির লিখক মাওলানা বশীরুযযমান (হাফি:) ৩.আমি ইসহাক আল মাদানী।

আলহাজ্ব দারা মিয়া (রহ:) শায়খে হরিপুরী (রহ:) কেও ৩ জন আলেমের লিস্ট দিতে বলেন। বাহাসটি জেলা প্রশাসকের সভাপতিত্বে হবে এ কথাটি বলেন। শায়খে হরিপুরী (রহ:) ২ সপ্তাহের সময় নেন। আমার সহপাঠী কাওমী মাদ্রাসার মুহাদ্দিস আমাকে বলেন - সত্যের আলো- বইটি ঢাকার শায়খুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক (রহ:) বায়তুল মাকাররামের খতীব আমার ওস্তাদ উবায়দুল হক জালালাবাদী (রহ:) এবং মাসিক মদীনার সম্পাদক মাওলানা মুহীউদ্দীন খান সাহেবের (রহ:) কাছে পাঠানো হয়েছে তাদের সিদ্ধান্তেই বাহাসের ব্যবস্হা হবে। বইটির ভুলগুলো চিহ্নিত করার জন্য। এ তিন জন স্কলার বইটি পড়ে সিলেটের আন্দোলন কারীদেরকে বাহাসে না যাওয়ার নির্দেশনা দেন। তারা বইটিতে আকীদাগত ও তত্ত্বগত কোন ভুল পান নি।

দু সপ্তাহ পরে শায়খে হরিপুরী (রহ:) বাহাসের সমন্বয়কারী হাজি দারা মিয়াকে বলেন - জামায়াতের সাথে আমাদের কিসের বাহাস। কারণ মাওদুদী (রহ:) যে পথভ্রষ্ট ও গুমরাহ তা আমাদের আকাবিররা অনেক আগেই বই পত্র লিখে স্পষ্ট করে গেছেন।

এ হলো মাওদুদীবাদের স্বরূপ উন্মোচন কারী ওলামাদের অতীত ইতিহাস।

১৯৮৮ সালের ঐতিহাসিক ফতওয়া অকার্যকর :
-------------------------------
১৯৮৮ সালে হেমুর শায়খ আব্দুল্লাহ (রহ:) সহ কাওমী একশত আলেম ফতওয়া দেন যে সিলেটের কুদরত উল্লাহ মসজিদের ইমাম ও খতীব গণ মাওদুদী পন্হী। তাদের পিছনে নামাজ জায়েজ নয়।

তখন বিশ্বনন্দিত মুফাসসিরে কুরআন আল্লামা দেলওয়ার হোসেন সাঈদী (রহ:) সহ জামায়াত পন্হী দেশ বিদেশের একশত ওলামা ফতওয়া দেন যে কুদরত উল্লাহ মসজিদে ইমাম ও খতীবদের পিছনে নামাজ জায়েজ তাদের আকীদা বিশুদ্ধ।

মজার ব্যাপার হলো এত কাওমীপন্হী মুফতী ও আলেমদের ফতওয়ার পর ও কুদরত উল্লাহ মসজিদে মুসাল্লীর সংখ্যা তো কমে নি, বরং আরো বৃদ্ধি পেয়েছিল। -সত্যের আলো - বইটির ২য় সংস্করন ডিসেম্বর ১৯৮৮ সালে জামায়াত সমর্থক এ খ্যাত নামা একশত আলেমের নাম ঠিকানা আজও লিপিবদ্ধ রয়েছে।

এ সব ঘটনা প্রমাণ করে যে ইসলামের আলোকে মুখের ফুৎকার দিয়ে নেভানো ম্ভব হয়নি আর হবেও না ইনশা-আল্লাহ।।

 #চরমোনাইকে_যারা_হক_দাবি_করেন_তারা_যদি_হক প্রমান করতে পারেন তবে আমিও চরমোনাই পীরের মুরিদ হবো। ইনশাআল্লাহ।  চোরমুনাই পীরদ...
08/03/2024

#চরমোনাইকে_যারা_হক_দাবি_করেন_তারা_যদি_হক প্রমান করতে পারেন তবে আমিও চরমোনাই পীরের মুরিদ হবো। ইনশাআল্লাহ।

চোরমুনাই পীরদের নিজ লেখা বই থেকে চরমুনাই পীরের আকিদা তুলে ধরলাম। পারলে হক প্রমাণ করুন। দলিল পেশ করুন। মিথ্যা প্রমাণ করুন।

২। আখেরাতে পীরগণ মুরিদের জন্য সুপারিশ করবে। (ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা-৬০) এর প্রমাণ কোরআন ও হাদিস হতে দিন।

(৩) পীরের হুকুমে মৃত ব্যক্তিকে জীবিতকরে। (ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা-১৫) এটার কি সম্ভব? কোরআন ও হাদিসের কোথায় আল্লাহ বলেছেন যে, পীর এরকম করতে পারবে? তার দলিল দিন।

(৪) পীরের কাছে মুরীদ হওয়া ফরজ । ( মাওয়ায়েজে এহছাকিয়া পৃষ্ঠা-৫৫)কোরআন ও হাদিস হতে একটা দলিল দিতে হবে,পারবেন? এটা কি হক পীরের নমুনা?

মারেফতের পীর ও ওলীদের মর্যাদা
নবীদের চেয়েও বেশী। (আশুক- মাশুক ৮৮-৯০) এটা কত বড় বেয়াদবী চিন্তা করেন। কোরআন ও হাদিসের দলিল দেন,?

(৫) আল্লাহর আন্দাজ নাই।
(ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা-১৫)
এটা আল্লাহর সাথে চরমোনাই পীরের কতবড় বেয়াদবী? একবার চিন্তা করুন।

(৬) শরীয়ত বহির্ভুত হলেও পীরের হুকুম মানা
মুরীদের জন্য বাধ্যতামূলক।
(আশেক মাশুক বা এস্কে এলাহী পৃষ্ঠা-৩৫) এতো বড় জাহেলী কথা কোন হক্কানি পীরের হতে পারে? চিন্তা করুন। শরীয়তের হুকুমের কি কোন মুল্য থাকলো? পীরের দাম্ভিকতায়।

(৭) পীর কাফন চোরকে হাত ধরিয়া পুলসিরাত পার করিয়া দিবেন। (ভেদে মারেফত পৃস্টা-২৭-২৮) এই কথার দলিল
হাদিস ও কোরআন হতে দিতে পারবেন?

(৮)পরকালে পীর ও ওলীদের ক্ষমতার সীমা
থাকিবে না। (আশেক মাশুক পৃষ্ঠা-৮১) এই কথা কোরআন বা হাদিসের কোথায় পেলেন চরমোনাই পীর। দলিল দিতে হবে।।

(৯) পীর কেয়ামতের দিন সকল মুরীদেরগুনাহ মাফ করিয়ে দিবেন।
(ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা-৩৪)

হাদিস ও কোরআন হতে প্রমাণ পেশ করুন। এরকম কথা শুধু শয়তানের মুখেই শোভা পায়।

(১০) যার দুই পীর আছে তাকে দুই পীরে দুই ডানা ধরে জান্নাতে নিবে।
(মাওয়ায়েজে এহছাকিয়া পৃষ্ঠা-৫৫-৫৬)
কোরআন ও হাদিস দিয়ে প্রমাণ দিন।

(১১) আমি আল্লাহ পাকের দরবার থেকে জোরপূর্বক রুহ নিয়ে আসিয়াছি ।(ভেদে মারেফত-পৃষ্ঠা-১৫)
কতবড় জাহেল একবার চিন্তা করুন। মনে হয় আল্লাহর দরবার পীরের মামা বাড়ি। জোর করে নিয়ে আসেছে।

(১২) পীরগণ কেয়ামতের দিবসে মুরীদগণকে সাহায্য করবে। (ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা-২৫-২৬ ও আশেক মাশুক পৃষ্ঠা-৬৬-৮১)
কোরআন বা হাদিস হতে একটা দলিল পেশ করুন।আমি চরমোনাই মুরিদ হবো।

(১৩) মৃত্যুর সময় পীর স্বীয় মুরীদকে শয়তানথেকে বাঁচাতে পারেন। (ভেদে মারেফত পৃষ্ঠা-৩১)
এই কথা দলিল কি কোরআন হাদিসে আছে? দিতে পারবেন?

চরমোনাই পীর জান্নাতে যাওয়ার ১২৬ তরীকা কোথায় পাইলেন?

আল্লাহ বলেন,জান্নাতে যাওয়ার রাস্তা একটি।আল্লাহ তার নবীকে দিয়ে বলে দিয়েছেন বলুনঃ

"নিশ্চই আল্লাহ আমার রব তোমাদেরও রব, অতএব তোমরা রবের এবাদত করো, এটিই সরল ও সঠিকপথ সিরাতে মুস্তাকিম]"।
(সুরা আল-ইমরান-৫১/মারইরাম-৫১/ যুখরুফ-৬৪)

এক তরিকা ব্যপারে মহান আল্লাহ বলেনঃ

এরপর আমি আপনাকে রেখেছি ধর্মের এক বিশেষ শরীয়তের উপর। অতএব, আপনি এর অনুসরণ করুন এবং অজ্ঞানদের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করবেন না।(আল-জাসিয়া, ১৮ আয়াত)

চরমোনাই পীরের কথাগুলোর দলিল কোরআন হাদিস হতে দিতে পারলে আমি চরমোনাইকে হক্কানি পীর মেনে নিয়ে চরমোনাই মুরিদ হবো। ইনশাআল্লাহ।
আর যদি প্রমাণ করতে না পারেন তবে নিজেকে ভন্ড পীরের মুরিদ হিসাবে মেনে নিন। নতুবা তওবা করে কোরআন ও হাদিস অর্থ সহ বুঝে পড়েন। সাথে ভালো কাজ করতে থাকেন। তাহলে হেদায়েত ও আল্লাহর রহমত পাবেন । ইনশাআল্লাহ।।

আলহামদুলিল্লাহ কাম হয়ে গেছে। আসাদ নুরের পেইজ এখন ভালো মানুষের হতে চলে গেছে।
08/03/2024

আলহামদুলিল্লাহ কাম হয়ে গেছে।
আসাদ নুরের পেইজ এখন ভালো মানুষের হতে চলে গেছে।

08/03/2024

রমাদানের প্রস্তুতি ।। মিজানুর রহমান আযাহারী ゚
ওয়াজ

বদরের যুদ্ধ-পর্ব-০১............-------------------------------বদরের যুদ্ধঃ (আরবি: غزوة بدر) ২ হিজরির ১৭ রমজান (১৭ মার্চ ...
08/03/2024

বদরের যুদ্ধ-পর্ব-০১............
-------------------------------
বদরের যুদ্ধঃ (আরবি: غزوة بدر) ২ হিজরির ১৭ রমজান (১৭ মার্চ ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দ) মদিনার মুসলিম ও মক্কার কুরাইশদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধ। ইসলামের ইতিহাসে এটি প্রথম প্রধান যুদ্ধ। এতে জয়ের ফলে মুসলিমদের ক্ষমতা পূর্বের তুলনায় বৃদ্ধি পায়।
যুদ্ধের পূর্বে ৬২৩ থেকে ৬২৪ সালের মধ্যে মুসলিম ও কুরাইশদের মধ্যে বেশ কিছু খন্ডযুদ্ধ হয়। বদর ছিল দুই বাহিনীর মধ্যে প্রথম বড় আকারের যুদ্ধ। যুদ্ধে সুসংগঠিত মুসলিমরা মক্কার সৈনিকদের সারি ভেঙে ফেলতে সক্ষম হয়। যুদ্ধে মুসলিমদের বিপক্ষের আবু জাহল(আমর ইবনে হিশাম),উতবা ইবনে রাবিয়া,উমাইয়া ইবনে খালাফ,শায়বা ইবনে রাবিয়া' ওয়ালিদ ইবনে উতবা,'উক্ববা ইবনে আবি মুইত নিহত হয়। (সূত্রঃ The Sealed Nectar, Page 274 ) মুসলিমদের বিজয়ে অন্যদের কাছে বার্তা পৌছায় যে মুসলিমরা আরবে নতুন শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে এবং এর ফলে নেতা হিসেবে মুহাম্মাদের অবস্থান দৃঢ় হয়।
বদরে যাত্রাঃ---------
মুহাম্মাদ সা: এর সাথে মুসলিম বাহিনীতে ছিলেন আবু বকর, উমর ইবনুল খাত্তাব, আলি ইবনে আবি তালিব, হামজা ইবনে আবদুল মুত্তালিব রা:), মুসআব ইবনে উমাইর, যুবাইর ইবনুল আওয়াম, আম্মার ইবনে ইয়াসির ও আবু যার আল-গিফারী [রা]। স্ত্রীর অসুস্থতার কারণে উসমান ইবনে আফফান যুদ্ধে যেতে পারেননি।(সুত্রঃ "Sahih al-Bukhari: Volume 4, Book 53, Number 359"। Usc.edu। সালমান ফারসি এসময় অন্যের দাস ছিলেন তাই তিনিও যুদ্ধে অংশ নেননি।(সুত্রঃ"Witness-pioneer.org"। Witness-pioneer.org) বাহিনীতে সৈনিক সংখ্যা ছিল ৩১৩জন। এর মধ্যে মুহাজির ছিলেন ৮২জন এবং আনসারদের মধ্যে আওস গোত্রের ছিলেন ৬১জন ও খাজরাজ গোত্রের ছিলেন ১৭০জন। মুসলিমদের সাথে ৭০টি উট ও দুইটি ঘোড়া ছিল। ফলে তাদের সামনে পায়ে হেটে যাওয়া বা প্রতি দুই বা তিনজনের জন্য একটি উট ব্যবহার ছাড়া উপায় ছিল না।(সুত্রঃআর-রাহীকুল মাখতুম, বদরের যুদ্ধ অধ্যায় ও Lings, pp. 138–139)। একটি উটে পালাক্রমে দুই বা তিনজন আরোহণ করতেন। এই ব্যবস্থায় মুহাম্মাদ, আলি ইবনে আবি তালিব ও মারসাদ ইবনে আবি মারসাদের জন্য একটি উট বরাদ্দ হয়েছিল।না।(সুত্রঃআর-রাহীকুল মাখতুম, বদরের যুদ্ধ অধ্যায় ও সিরাত ইবনে হিশাম, বদরের যুদ্ধ অধ্যায় )
মুহাম্মাদ সা: সার্বিক নেতৃত্বের জন্য মুসআব ইবনে উমাইরকে একটি সাদা পতাকা প্রদান করেন। মুহাজিরদের ও আনসারদের জন্য একটি করে কালো পতাকা যথাক্রমে আলি ইবনে আবি তালিব এবং সাদ ইবনে মুয়াজকে প্রদান করা হয়। বাহিনীর ডান ও বাম অংশের প্রধান হিসেবে যথাক্রমে যুবাইর ইবনুল আওয়াম ও মিকদাদ ইবনে আমরকে নিযুক্ত করা হয়। মুসলিম বাহিনীতে থাকা দুইটি ঘোড়ায় তারা আরোহণ করেছিলেন। পেছনের অংশের প্রধান হিসেবে কাইস ইবনে আবিকে নিয়োগ দেয়া হয়। মুহাম্মাদ সমগ্র বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন।(সুত্রঃআর-রাহীকুল মাখতুম, বদরের যুদ্ধ অধ্যায়)
কুরাইশ কাফেলাঃ-------------
আক্রমণের আশঙ্কায় কুরাইশ কাফেলার নেতা আবু সুফিয়ান যাত্রাপথে সাক্ষাত লাভ করা বিভিন্ন কাফেলাগুলির কাছ থেকে মুসলিম বাহিনীর সম্ভাব্য অভিযানের ব্যাপারে তথ্য নিচ্ছিলেন। ফলে তিনি মুসলিমদের আক্রমণের খবর পান। তাই সাহায্য চেয়ে জমজম ইবনে আমর গিফারিকে বার্তা বাহক হিসেবে মক্কা পাঠানো হয়। সে দ্রুত মক্কা পৌছায় এবং তৎকালীন আরব রীতি অনুযায়ী উটের নাক চাপড়ায়, আসন উল্টিয়ে দেয়, নিজের জামা ছিড়ে ফেলে এবং উটে বসে ঘোষণা করে যে মক্কার কাফেলা মুসলিমদের হাতে পড়তে পারে।
সূত্রঃ আর-রাহীকুল মাখতুম, বদরের যুদ্ধ অধ্যায় ও সিরাত ইবনে হিশাম, বদরের যুদ্ধ অধ্যায়।
মক্কার বাহিনীঃ-----------
এই খবর শোনার পর মক্কায় আলোড়ন শুরু হয়। দ্রুত ১,৩০০ সৈনিকের এক বাহিনী গড়ে তোলা হয় এবং আবু জাহল বাহিনীর প্রধান হন। এই বাহিনীতে অসংখ্য উট, ১০০ ঘোড়া ও ৬০০ লৌহবর্ম ছিল। নয়জন সম্ভ্রান্ত কুরাইশ রসদ সরবরাহের দায়িত্ব নেন। বাহিনীর জন্য দৈনিক কখনো ৯টি এবং কখনো ১০টি উট জবাই করা হত। সূত্রঃ আর-রাহীকুল মাখতুম, বদরের যুদ্ধ অধ্যায় ও সিরাত ইবনে হিশাম, বদরের যুদ্ধ অধ্যায়।
আবু জাহল, উতবা ইবনে রাবিয়া, শাইবা ইবনে রাবিয়া, আবুল বাখতারি ইবনে হিশাম, হাকিম ইবনে হিজাম, নওফেল ইবনে খুয়াইলিদ, হারিস ইবনে আমির, তুয়াইমা ইবনে আদি, নাদার ইবনে হারিস, জামআ ইবনে আসওয়াদ ও উমাইয়া ইবনে খালাফসহ মক্কার অনেক অভিজাত ব্যক্তি মক্কার বাহিনীতে যোগ দেন। এর কয়েকটি কারণ ছিল। কেউ কাফেলায় নিজেদের সম্পদ রক্ষা করতে চেয়েছিলেন, অন্যরা ইবনে আল-হাদরামির মৃত্যুর বদলা নিতে চেয়েছিলেন। এছাড়া মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহজে জয়ী হওয়া যাবে এই বিশ্বাসেও কেউ কেউ যোগ দেয়।(সূত্রঃ Martin Lings, p. 139–140.) আবু লাহাব নিজে যুদ্ধে অংশ না নিয়ে তার কাছে ৪,০০০ দিরহাম ঋণগ্রস্থ আসি ইবনে হিশাম ইবনে মুগিরাকে ঋণের বিনিময়ে পাঠায়।(সূত্রঃ আর-রাহীকুল মাখতুম, বদরের যুদ্ধ অধ্যায় ও সিরাত ইবনে হিশাম, বদরের যুদ্ধ অধ্যায়।) উমাইয়া ইবনে খালাফ প্রথমে যুদ্ধে অংশ না নেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এসময় উকবা ইবনে আবু মুয়াইত তাকে নারী হিসেবে সম্বোধন করে। এর ফলে উমাইয়া ইবনে খালাফ লজ্জিত হয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে। তবে কুরাইশদের মধ্যে বনু আদি গোত্রের কেউ এই যুদ্ধে অংশ নেয়নি।(সূত্রঃআর-রাহীকুল মাখতুম, বদরের যুদ্ধ অধ্যায়)
অন্যদিকে আবু সুফিয়ান ক্রমাগত খবরাখবর সংগ্রহ করছিলেন। বদরের নিকটে পৌছার পর মাজদি ইবনে আমর নামক এক ব্যক্তির সাথে তার সাক্ষাত হয়। তাকে তিনি মদিনার বাহিনী সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে মাজদি স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি। তবে জানান যে দুইজন উষ্ট্রারোহীকে তিনি টিলার পাশে উট বসিয়ে মশকে পানি পূর্ণ করতে দেখেছেন। তাই আবু সুফিয়ান সতর্কতা হিসেবে সেখানে যান এবং উটের গোবর ভেঙে দেখেন। গোবর থেকে প্রাপ্ত খেজুরের বিচি দেখে বুঝতে পারেন এগুলি মদিনার খেজুর ফলে মুসলিমদের আগমনের ব্যাপারে তিনি সন্দেহমুক্ত হন। এরপর তিনি কাফেলাকে নিয়ে সমুদ্র উপকূলের দিকে ইয়ানবুতে চলে যান।(সূত্রঃMartin Lings, p. 140) মক্কার বাহিনী জুহফা নামক স্থানে পৌছার পর আবু সুফিয়ানের প্রেরিত বার্তা বাহক এসে জানায় যে কাফেলা নিরাপদ আছে তাই আর অগ্রসর না হয়ে ফিরে যাওয়া উচিত।(সূত্রঃআর-রাহীকুল মাখতুম, বদরের যুদ্ধ অধ্যায় ও Lings, p. 142)
এই খবর পাওয়ার পর মক্কার বাহিনীর অধিকাংশ ফিরে যাওয়ার পক্ষে মত দেয়। কিন্তু বাহিনীর প্রধান আবু জাহল যুদ্ধ না করে ফিরে যেতে অসম্মতি দেখান। এরপর বনু জুহরা গোত্রের মিত্র ও গোত্রটির সেনাপ্রধান আখনাস ইবনে শারিক ফিরে যাওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু অধিকাংশ তার পক্ষে সায় না দেয়ায় তিনি বনু জুহরা গোত্রের ৩০০ সদস্য নিয়ে মক্কা ফিরে আসেন। এর ফলে মক্কার বাহিনীতে সেনাসংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১,০০০। পরবর্তীতে বনু জুহরা গোত্রের সদস্যরা আখনাসের এই সিদ্ধান্তের কারণে আনন্দ প্রকাশ করেছিল।উচিত।(সূত্রঃআর-রাহীকুল মাখতুম, বদরের যুদ্ধ অধ্যায়)। একইভাবে বনু হাশিমও মক্কায় ফিরে যেতে চায়।(সূত্রঃআর-রাহীকুল মাখতুম, বদরের যুদ্ধ অধ্যায় ও Armstrong, p.174) কিন্তু আবু জাহলের জেদের কারণে তারা যুদ্ধে অংশ নেয়। মক্কার বাহিনী অগ্রসর হয়ে বদর উপত্যকার একটি টিলার পেছনে আশ্রয় নেয়।উচিত।(সূত্রঃআর-রাহীকুল মাখতুম, বদরের যুদ্ধ অধ্যায়)|

03/03/2024

অনেকদিন পর হঠাৎ করে কেন আবার আল্লামা মওদুদী রহঃ এর বিরুদ্ধে মিথ্যাচারে মেতে উঠেছে দেওবন্দী কওমি?

আমার কেন জানি মনে হচ্ছে এটা ভারতীয় একটা চক্রান্ত!
যেহেতু নতুন করে কোনো ইস্যু হাতে নেই তথাকথিত নির্বাচনের পর,
ভারতীয় পণ্য বয়কটের একটা আহ্বান চলতেছে
জাতির বৃহত্তর একটা অংশকে বয়কটের আহ্বান থেকে দূরে রাখার জন্য,
দৃষ্টি অন্যদিকে ঘুরিয়ে ভারতীয় প্রোডাক্ট দেওবন্দী কওমীর মাধ্যমে নতুন ইস্যু সৃষ্টি!

আমার সন্দেহ হওয়ার যৌক্তিক কারণ আছে
নির্বাচনের আগে প্রায় একই প্লাটফর্মে চলে এসেছিল জামায়াত কওমি!
বিশেষ করে বরিশাল সিটি নির্বাচনের পর থেকে
কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ হয়ে গিয়েছে শীতল হয়ে গেছিল আলেম সমাজের মধ্যে দ্বন্দ্ব বিভেদ!
এখানেই ভয় কাজ করতেছে ভারতীয় র এর,
তারা হয়তো ধারণা করতেছে
এভাবে শীতল থাকলে যেকোনো মুহূর্তে
দেশের স্বার্থে কিংবা দলীয় স্বার্থে জাতীয় ঐক্য হয়ে যেতে পারে আলেমদের মাধ্যমে! যদিও এটার সম্ভাবনা নাই মনে করি,

যার কারনে শুকৌশলে ভারতীয় প্রোডাক্ট দেওবন্দীদের কে দিয়ে পুরনো খেলা নতুন করে মাঠে নামিয়ে দিয়েছে!

আপনাদের সুযোগ থাকলে অংশ নিন।।আল্লাহ হুজুরকে জান্নাত নসীব করুন আমীন।***************************************২য় জানাযা : আ...
03/03/2024

আপনাদের সুযোগ থাকলে অংশ নিন।।
আল্লাহ হুজুরকে জান্নাত নসীব করুন আমীন।
***************************************
২য় জানাযা :
আগামীকাল - সকাল -- ৮ টা ৩০ মিনিটে।
হুজুরের এলাকায় (৪-৩-২০২৪)
নাগের হাট (ইমামগঞ্জ কেন্দ্রীয় মাসজিদ)
ধানমণ্ডি --তাকওয়া মসজিদ থেকে

03/03/2024

মুক্ত বাহাস-২
👉 আমাদের ক্বওমী দেওবন্দী কিছু ওলামায়ে কেরাম নিজেদের বর্তমান জামানার মিয়ারে হক্ব দাবী করে তাদের কাছে গিয়ে একটি রাজনৈতিক দলকে ও দলের সমর্থকদের আক্বীদার ইন্টারভিউ দিয়ে সহী আক্বীদা গ্রহণের জন্য তাদের অফিসে/দোকানে যোগাযোগ করার নোটিশ দিচ্ছেন তাদের খেদমতে আমাদের আকাবীরে দেওবন্দের কিছু কিতাবী আকীদার কথা পেশ করছি।‌আমার কথার হয়রত حيرت বুঝে জবাব দিলে জাতী উপকৃত হবে। আমরাও উপকৃত হই যে আমাদের আক্বীদা সহী আছে না ঈমান ও গেছে? আবারো বলছি হয়রত বুঝে জবাব দেবেন?! আমরাও আকাবীরে দেওবন্দ ও দেওবন্দিয়তকে লালন করি বটে আসলটা। আমরা আগাছা নয় খাটি।
(১)
# জনৈক মুরিদ বললেন‌ ------ ? বার বার “লা ইলাহা ইল্লালাহু আশরাফ আলী রাসূলুল্লাহ্‌” পড়লেন।‌ বার বার চেষ্টা করলেন মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ পড়ার কিন্তু পারলাম না।----
অনুরূপ দরূদ শরীফ-এ “আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা সাইয়্যিদিনা নাবিয়ানা মুহম্মদ” এর পরিবর্তে “আল্লাহুম্মা ছল্লি আলা সাইয়্যিদিনা নাবিয়ানা আশরাফ আলী” পড়তে থাকি।‌ অতঃপর --------
এর জবাবে থানবী সাহেব বললেন - 'পড়লে কোন ক্ষতি হবে না। (নাঊযুবিল্লাহ)‌
দ্র: রিসালা আল ইমদাদ, পৃষ্ঠা ৩৪-৩৫। আশরাফ আলী থানবী (রঃ)
২- দারুল উলুম দেওবন্দ এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও প্রথম মোহতামীম কাসীম নানুতবী রঃ বলেছেন কেউ নতুন করে নবুওতি দাবী করলেও খাতামান্নাবিয়্যিন এর কোন ব্যথয় ঘটেনা। দ্র: তাহযীরুন নাস

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামিক বক্তা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা লুৎফর রহমান কিছুক্ষণ আগে ইন্তেকাল করেছেন।ইন্না লিল্লাহি ওয়...
03/03/2024

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামিক বক্তা আলহাজ্ব হযরত মাওলানা লুৎফর রহমান কিছুক্ষণ আগে ইন্তেকাল করেছেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
হে আল্লাহ আপনি হুজুরকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুন আমীন।

01/03/2024

কেমন আছেন

29/02/2024
29/02/2024
বিশ্ববরেণ্য মুজাদ্দিদে মিল্লাত সাইয়েদ আবুল আলা আল মওদুদী (রহঃ) এর বিরুদ্ধে হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী (কুয়াকাটা)র অভিযোগ এ...
17/04/2022

বিশ্ববরেণ্য মুজাদ্দিদে মিল্লাত সাইয়েদ আবুল আলা আল মওদুদী (রহঃ) এর বিরুদ্ধে হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী (কুয়াকাটা)র অভিযোগ এবং তার জবাব

☞ মাওলানা মওদুদী বলেছেন, সমস্ত নবী রাসুল (সাঃ) গুনাহ করেছেন.,ইহুদিদের দালাল কোথাকার...(নাউযুবিল্লাহ্)

মাওলানা মওদুদীর বিরুদ্ধে এতো বড় অভিযোগ ও অপবাদের ইস্যু হচ্ছে
১. তাফহীমের ২য় খন্ডের ৪৩ নং পৃষ্ঠার একটি টীকা।
২. সূরা আন নাসর এর শেষ আয়াতের টীকা।

যেখানে মাওলানা মওদুদী (রহঃ) একটি বারের জন্যও গুনাহ শব্দটি ব্যবহার করেননি।

তিনি তাফসীর করেছেন এইভাবেঃ

১. এটি একটি সূক্ষ্ম রহস্য যে আল্লাহ তাআলা নবীদের থেক কোনো কোনো সময় তার হেফাজত উঠিয়ে নিয়ে দু'একটি ভুলত্রুটি হতে দিয়েছেন যাতে মানুষ নবীদেরকে খোদা না বুঝে। এবং জেনে নেয় যে, এরা খোদা নয় বরং মানুষ।
—(তাফহীমুল কুরআন, খন্ডঃ ২য়, পৃষ্ঠাঃ ৪৩)

২. তাফসীরঃ (হে নবী) ..... তোমার রবের কাছে দোয়া করো। তিনি তোমাকে যে কাজ করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন তা করতে গিয়ে তোমার যে ভুল- ত্রুটি তা যেন তিনি মাফ করে দেন। এর মাধ্যমে ইসলাম বান্দাকে এ আদব শিষ্টাচার শিখিয়েছে, কোনো মানুষের দ্বারা আল্লাহর দ্বীনের যত বড় খিদমতই সম্পন্ন হোক না কেন.....
(লম্বা আলোচনা বাদ দিয়ে।)
তার মনে কখনো এ চিন্তার উদয় হওয়া উচিত নয় যে, তার উপর তার রবের যে যে হক্ব ছিলো তা সে পুরোপুরি আদায় করে দিয়েছে।......

—(তাফহীমুল কুরআন সূরা নাসর, আয়তঃ ০৩ টীকাঃ ০৪)

✍ কি বুঝলেন?
১. এখানে কি রাসুল গুনাহ করেছেন বলা হয়েছে?
২. এখানে যেই “ভুলত্রুটি” শব্দটি উল্লেখ করা হয়েছে তার উদ্দেশ্য কি রাসুল (সাঃ) নাকি সাধারণ বান্দাহ?
৩. “ভুলত্রুটি” শাব্দিক অর্থ কি গুনাহ, পাপ বা শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে ধরে নেয়া যাবে?

এবার আসুন দারুল উলুম দেওবন্দের তৎকালীন বিখ্যাত শায়খুল হাদিস মাওলানা মাহমুদুল হাসান দেওবন্দির তাফসীর দেখিঃ

তার রচিত তাফসীর গ্রন্থ তারজুমানুল কুরআনে সূরা নাসরের ০৩ নং আয়াতের তাফসীর করতে গিয়ে তিনি লিখেছেনঃ

..... তিনি (আল্লাহ) দ্বীনের যে দায়িত্ব দিয়েছেন তা করতে গিয়ে যে ছোট ছোট গুনাহ (گنہ ) গুলো হয়ে গেছে তার জন্য মাফ চান।
—(তাফসীরে তারজুমানুল কুরআন, সূরা নসর আয়াত ০৩)

✍কি বুঝলেন?
১. ইসলামের পরিভাষায় গুনাহ শব্দটি মারাত্মক নাকি ভুলত্রুটি শব্দটি বেশি মারাত্মক?

এবার আসুন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের বড় বড় আলেমদের তাফসীর ও মতামত গুলো দেখিঃ

১. বিখ্যাত দেওবন্দী আলেম মুহাম্মদ শফি তার তাফসীরে বলেছেনঃ জীবনে যেসব ছোটখাটো ব্যতিক্রমী আচরণ অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশ পেয়েছে সেগুলো থেকেও ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
—(তাফসীরে মারিফুল কুরআন, শেষ খন্ড, পৃষ্ঠা: ৮৮৪)

২.আল্লামা সাদ উদ্দীন তাফতাজানী(রহঃ) এর মতঃ
নবীরা সর্বাবস্থায় কুফুরী হতে পবিত্র, তবে জমহুর ওলামায়ে কেরামের মতে ভুলবশত কবিরা গুনাহ নবীদের থেক হতে পারে।
—(শরহে আকাঈদ ফী নাফসী, অধ্যায়ঃ ইসমতে আম্বিয়া)

৩. ইমাম ফখরুদ্দিন রাযী (রহঃ) এর অভিমতঃ
আমরা যা বলি তা হচ্ছে যে, আম্বিয়ায়ে কেরাম নবুয়াত প্রাপ্তির পর থেকে ইচ্ছাকৃত কবিরাহ এবং ছগিরা গুনাহ থেকে পবিত্র কিন্তু ভুলবশত কবিরাহ ও ছগিরা গুনাহ হতে পারে।
—( ইসমতুল আম্বিয়া, পৃষ্ঠাঃ ২৮)

৪. বিশ্ববিখ্যাত মুফাসসির আল্লামা আলুসী (রহঃ) এর অভিমতঃ
নবুয়ত প্রাপ্তির পরও নবীদের থেক ইচ্ছাকৃতভাবে ছগিরা গুনাহ হতে পারে, কিন্তু যা ঘৃণা স্বভাবের পরিচয় দেয় ঐ ধরনের ছগিরা গুনাহ হতে পারে না। আর অনিচ্ছাকৃত ছগিরা গুনাহ সকলের ঐক্যমতে হতে পারে।
—(তাফসীরে রুহুল মা'নী, খন্ডঃ ১৬, পৃষ্ঠাঃ ২৭৪)

৫. বিখ্যাত দেওবন্দী আলেম আল্লামা আশরাফ আলী থানবী (রহঃ) এর অভিমতঃ
কোনো কোনো সময় নবীদের থেক কোনো কোনো ব্যাপারে ভুলত্রুটি হওয়ার যে ঘটনা কুরআন শরীফের মধ্যে উল্লেখিত হয়েছে এগুলো প্রকৃত পক্ষে আল্লাহর হেকমত ও রহমত। এর মধ্যে একটা বড় ফায়দা এটা যে মানুষের মনে যেন নবীদের খোদা হওয়ার সন্দেহ না হয়।
—(মাজালিসে হাকীমুল উম্মাত, পৃষ্ঠাঃ ৬৫)
✍কি বুঝলেন?

১. দেওবন্দী আলেম আশরাফ আলী থানবীর কথার সাথে মাওলানা মওদুদীর প্রথম বক্তব্য মিলে যায়নি?

২. বড় বড় মুফাসসিরগণ যেখানে সরাসরি “কবিরাহ ও ছগিরা গুনাহ” শব্দগুলো উল্লেখ করেছেন তারচেয়ে ভুলত্রুটি শব্দটি বেশি খারাপ?

৩. মাওলানা মওদুদীর বক্তব্যের জন্য তিনি যদি ইহুদির দালাল হন,
তবে একই বক্তব্যের কারণে মাহমুদুল হাসান দেওবন্দী, আশরাফ আলী থানবী,মুফতি মুহাম্মদ শফি, ইমাম ফখরুদ্দিন রাযী, আল্লামা আলুসী (রহঃ) মতো বড় বড় আলেমও কি ইহুদির দালাল?

এবার আসুন, নবীদের গুনাহ সম্পর্কে মাওলানা মওদুদী (রহঃ) এর আক্বীদা বা অভিমত কি তা দেখিঃ

১. ত্রুটিহীনতা ও নিষ্পাপত্ব একমাত্র নবীদেরই বৈশিষ্ট্য।
—( রাসায়েল মাসায়েল, খন্ডঃ ৫, পৃষ্ঠাঃ ১৯৮)

২. আমি নবী ছাড়া অন্য কাউকে মাসুম মনে করি না।
—( রাসায়েল মাসায়েল, খন্ডঃ ২, পৃষ্ঠাঃ ৩৩১)

৩. নবীগণ ত্রুটি ও গুনাহ মুক্ত হওয়া নিঃসন্দেহে একটি মৌলিক বিষয়।
—( রাসায়েল মাসায়েল, খন্ডঃ ৩, পৃষ্ঠাঃ ৬১)

৪. মানুষের মধ্যে কেবলমাত্র নবী রাসুলেরাই নিষ্পাপ নিষ্কলুষ।
—(খেলাফত ও রাজতন্ত্র, পৃষ্ঠাঃ ২৯৫)

৫. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কুপ্রবৃত্তি থেকে মুক্ত ছিলেন, তার সবকিছুই গোমরাহী ও লালসা থেকে মুক্ত ছিলো।
—( সিরাতে সরওয়ারে আলম, খন্ডঃ ০১, পৃষ্ঠাঃ ২২২)

✍কি বুঝলেন?
১. মাওলানা মওদুদী (রহঃ) তার লিখিত এইরকম অনেক গুলো গ্রন্থে তাঁর আক্বীদা স্পষ্ট করার পরও কি তিনি নবী বিদ্বেষী?

২. তিনি কি এখানে নবীগণকে সম্পূর্ণ মাসুম বলে অবহিত করেননি?

৩. এরপরও কি শুধুমাত্র অন্ধত্ব ও হিংসার কারণে এতো বড় মিথ্যাচার করা প্রয়োজন?

✍এভাবে ঘৃণা ছড়িয়ে কি লাভ বলুন ?
কি লাভ উম্মতের মাঝে বিভ্রান্তি ও বিভক্তি ছড়িয়ে?

সুতরাং হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী সহ বিভ্রান্তি সংক্রমণকারী আলেমদের বলবো আগে নিজেদের ভুল গুলো খুঁজে খুঁজে শুধরে নিয়ে, নিজেরা সঠিক হয়ে তবেই অন্যের ভুল ধরতে আসেন।
একটি কথা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি তা হলো “দেওবন্দ আলেম ভুলের ঊর্ধ্বে” সেটা মনে করা নবীদের মর্যাদার সাথে গাদ্দারী হবে।

আল্লাহ আপনাদের বুঝার তাওফিক দান করুন.... আমিন। কালেক্ট..

Address

Dhaka
8050

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when আল হেরা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to আল হেরা:

Videos

Share


Other Digital creator in Dhaka

Show All