Nazim-Ud-Daula

  • Home
  • Nazim-Ud-Daula

Nazim-Ud-Daula Welcome to the official page of author, screenwriter, and social activist Nazim-Ud-Daula. He likes to tell stories. are some of his notable works.

If you are a good listener and love to hear stories, follow this page and keep visiting to stay updated. Nazim Ud Daula is a Bangladeshi author and screenwriter. He has written a number of popular thriller novels. Bloodstone, Mithya Tumi Dosh Pipra, Mohazatra, Scarlet, Chompa House etc. Besides, he has written the screenplay for some of the most anticipated Bangla movies, such as: Surongo, MR-9: D

o or Die, Damal, Operation Sundarban, Shaan etc.

নাজিম উদ দৌলা একজন বাংলাদেশী লেখক এবং চিত্রনাট্যকার। তিনি বেশ কিছু জনপ্রিয় থ্রিলার উপন্যাস ও গল্প গ্রন্থ লিখেছেন। ব্লাডস্টোন, মিথ্যা তুমি দশ পিঁপড়া, মহাযাত্রা, স্কারলেট, চম্পা হাউজ ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য বই। এছাড়া তিনি সুড়ঙ্গ, দামাল, অপারেশন সুন্দরবন, শান, এমআর-৯ ইত্যাদি বহুল আলোচিত ও প্রশংসিত বাংলা সিনেমার চিত্রনাট্য লিখেছেন।

27/10/2024

কী দেখার কথা, কী দেখছি? বিশ্বের সব মিডিয়া যেখানে ইলন মাস্কের রকেট বুস্টার ক্যাচ ধরার ঘটনা ফলাও করে দেখাচ্ছে, সেখানে আমাদের মিডিয়া ব্যস্ত দেশি হেলিকপ্টার নিয়ে। আমরা যে অন্যদের তুলনায় যুগ যুগ পিছিয়ে যাচ্ছি তা কি একবারও ভেবে দেখেছি?

আমার জীবনের অন্যতম আনন্দের মুহূর্তটি এমন তিক্ত অভিজ্ঞতায় পরিণত হবে তা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি। আমার চিত্রনাট্যে নির্মিত...
03/09/2024

আমার জীবনের অন্যতম আনন্দের মুহূর্তটি এমন তিক্ত অভিজ্ঞতায় পরিণত হবে তা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি। আমার চিত্রনাট্যে নির্মিত প্রথম সিনেমা "শান"। শুটিংয়ের প্রথম দিন ক্যামেরা ওপেন করার পর প্রথম সংলাপটা উচ্চারিত হয়েছিলো অরুণা বিশ্বাস আপার মুখ থেকে। এমন বড় মাপের একজন শিল্পীর মুখ থেকে নিজের লেখা সংলাপ শুনে আবেগাপ্লুত হয়েছিলাম।

এই স্মরণীয় মুহূর্তটি নিমিষেই বরবাদ হয়ে গেলো যখন জানতে পারলাম অরুণা বিশ্বাস শিক্ষার্থীদের উপর গরম জল ঢেলে দিতে চেয়েছেন। "আলো আসবেই" নামে স্বৈরাচারের পা-চাটা শিল্পীদের একটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে অরুণা বিশ্বাসের মতো বেশকিছু নামকরা শিল্পী আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা করেছেন। আমার আপন ছোটোভাই এই আন্দোলনে গিয়ে গুলি খেয়ে হাসপাতালে পড়ে আছে। স্বৈরাচারের দোসর পুলিশ আর ভাড়াটে গুন্ডারা তাদের উপর নির্মম নৃশংসতা চালিয়েছে। আর সেই নৃশংসতায় ইন্ধন যুগিয়েছে এমন সব মানুষ, যাদেরকে আমরা শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় এতকাল মাথায় তুলে রেখেছিলাম!

আমি অরুণা বিশ্বাসের কাছে জানতে ভাই- আপনার কি সন্তান নাই? তাদের উপর যদি কেউ গরম পানি ঢেলে দেয় তাহলে আপনার কেমন লাগবে? কীভাবে পারলেন সন্তানের বয়সী বাচ্চাদের এমন অনিষ্ট কামনা করতে? বুঝলাম একটু সুবিধা পাওয়ার আশায় লাজ-শরমের মাথা খেয়ে সরকারের পা চেটেছেন, তাই বলে নিজের বিবেকটাও কি বিক্রি করে দিয়েছেন?

আমি প্রয়োজনে চিত্রনাট্য লেখা ছেড়ে দেবো, তবুও অরুণা বিশ্বাসের মতো বিবেকবর্জিত অমানুষদের সাথে আর কখনো কাজ করবো না! আমি দেশের মানুষকে আহবান জানাই- যেসব শিল্পী নামের কুলাঙ্গাররা শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলো, তাদেরকে বয়কট করুন। সেই সাথে সরকারের প্রতি আহবান থাকলো- স্বৈরাচারের খুনী হাতকে যারা শক্তিশালী করেছে, তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দেশের শিল্পাঙ্গনকে কলঙ্কমুক্ত করুন।

---

নাজিম উদ দৌলা
লেখক ও চিত্রনাট্যকার
৩/৯/২০২৪

ওয়েট আ মিনিট! মমতা ব্যানার্জি নাকি কলকাতায় নারী চিকিৎসকের মৃত্যুর বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।কিন্তু ব...
17/08/2024

ওয়েট আ মিনিট! মমতা ব্যানার্জি নাকি কলকাতায় নারী চিকিৎসকের মৃত্যুর বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

কিন্তু বিক্ষোভ মিছিলটা কার বিরুদ্ধে হচ্ছে? হেলথ মিনিস্টারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে যাতে হেলথ মিনিস্টার গিয়ে চিফ মিনিস্টারকে প্রেসার দিয়ে বাধ্য করেন এই ঘটনায় দোষীদের শাস্তি দিতে।

কিন্তু পশ্চিম বঙ্গের হেলথ মিনিস্টার আর চিফ মিনিস্টার দুইটাই তো মমতা ব্যানার্জি নিজেই!

তারমানে মমতা ব্যানার্জি নিজেই নিজের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করছেন যাতে নিজেকে প্রেসার দিয়ে দোষীদের শাস্তি দিতে বাধ্য করতে পারেন!

মাথাটা চক্কর দিচ্ছে! এমন চক্কর খেয়েই হয়তো বাংলার জনৈক কবি বলেছিলেন, "নাটক কম করো, পিও!"

এই ঘটনায় অনেকেই মমতা ব্যানার্জিকে বোকা ভাবতে পারে। কিন্তু তিনি মোটেও বোকা নন, পাক্কা খেলোয়াড়! জঘন্য হত্যাকাণ্ডকে আত্মহত্যা বলে চালানো, পোস্টমর্টেম রিপোর্ট ম্যানিপুলেশন করা, ধর্ষকদের পালানোর সুযোগ দেওয়া- এই সবকিছুর দায়ভার মমতার ঘাড়েই পড়ে। কেইসটা সিবিআই-এর হাতে ছেড়ে, তিনি এখন কৌশলে আন্দোলনটাকে নিজের পক্ষে নিয়ে আসলেন। শেখ হাসিনার যদি এই বুদ্ধি থাকতো তাহলে তার দলের নেতা-কর্মীদের এখন পালায় থাকতে হতো না!

যাই হোক, দোষীরা ধরা পড়ুক, তাদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক- এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

---
নাজিম-উদ-দৌলা
১৭/৮/২০২৪

সারাদেশ যখন বিজয়ের আনন্দে মাতোয়ারা, তখন আমার পরিবারের সময়টা কাটছিলো ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের মধ্যে। আমার ছোটোভাই তপু বাড্ডা থান...
10/08/2024

সারাদেশ যখন বিজয়ের আনন্দে মাতোয়ারা, তখন আমার পরিবারের সময়টা কাটছিলো ভয়ংকর দুঃস্বপ্নের মধ্যে। আমার ছোটোভাই তপু বাড্ডা থানার সামনে পুলিশের এলোপাথারি গুলিতে আহত হয়ে একটা বাড়ির ভেতর লুকিয়ে ছিলো। তারপর থেকে দুইটা দিন দুর্বিষহ কেটেছে আমাদের! কী ঘটেছিলো সেদিন বাড্ডা থানা ও তার আশেপাশের এলাকায়- তা নিজের চোখেই দেখেছি।

আমার ছোটোভাই আবিরুল ইসলাম (তপু), হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের ছাত্র। আমরা থাকি ঢাকার বাড্ডা এলাকায়। কোটাবিরোধী আন্দোলনে যখন বেসরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো জড়িয়ে গেলো, তখন থেকেই আমার ভাই ও তার বন্ধুরা আন্দোলনে সক্রিয় ছিলো। ওদের কিছু ফ্রেন্ড ছিলো ব্র্যাক ইনিউনিভার্সিটির আর কিছু ফ্রেন্ড ছিলো ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির। ওরা নিয়মিত বাড্ডা এরিয়াতে আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। গত ৪ আগস্ট ওরা বিপুল পরিমাণ ছাত্র-জনতার সাথে হেঁটে শহীদ মিনারে গিয়ে সমবেত হয়েছিলো। সেদিনই ঘোষণা হয়- পরদিন, অর্থাৎ ৫ আগস্ট, সারা দেশের ছাত্র-জনতা মিলে লংমার্চ করে শাহবাগে গিয়ে জড়ো হবে।

৫ আগস্ট সকালে ঘুম থেকে উঠেই তপু বাইরে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু আমাদের মন সায় দিচ্ছিলো না। মনে হচ্ছিলো- শেখ হাসিনার লোকেরা আজ সব শক্তি নিয়ে মাঠে নামবে। কারণ আন্দোলনটাকে দমন করার এটাই ছিলো ওদের শেষ সুযোগ। আমরা তপুকে আটকে রেখেছিলাম বাসায়। এর মধ্যে ১০টার দিকে সারাদেশের ইন্টারনেটের লাইনও অফ করে দেওয়া হলো। কী হচ্ছে, না হচ্ছে- কিছুই খবর পাচ্ছিলাম না! ভয় পাচ্ছিলাম যে খুব খারাপ কিছু হতে যাচ্ছে। এদিকে তপু অস্থির হয়ে উঠলো বের হওয়ার জন্য। এই যুগের জেন-জি পোলাপান, মনে অদম্য সাহস, শরীরে টগবগে রক্ত- এদেরকে কি ঘরে আটকে রাখা যায়? বেলা ১১টার দিকে তপু বেরিয়ে যায় বাসা থেকে।

ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে গিয়ে তপু দেখা করে ওর বন্ধু ইমতিয়াজ ও ফাহিমের সাথে। আরও কিছু বন্ধু আফতাব নগরের দিক থেকে আসছিলো, তাদের জন্য ওরা অপেক্ষা করছিল। এরই মধ্যে বাড্ডা থেকে থেকে পুলিশ মাইকিং করে জানায় যে তারা স্যারেন্ডার করেছে, কারো উপর আর গুলি চালাবে না। এই কথা শুনে তপুরা তাদের বন্ধুদের এগিয়ে আনার জন্য বাড্ডা থানার কাছাকাছি একটা জায়গায় এসে দাঁড়ায়। কিছুক্ষণ পরেই আচমকা গুলি করতে শুরু করে পুলিশ (পরে শুনেছি যে কেউ একজন ঢিল ছুড়ে মেরেছিলো থানার দিকে, তাই ক্ষেপে গিয়ে পুলিশ গুলি করেছে)।

গুলির প্রথম ধাক্কাটাই লাগে তপু ও তার আশেপাশের কয়েকজনের গায়ে। একটা ছেলে স্পট ডেড! তপুর বাম চোখসহ মুখের বিভিন্ন অংশে শটগানের স্প্লিন্টার ঢুকে যায়। সেই অবস্থায় তপু দৌড়ে পালাতে চেষ্টা করে, তখন দ্বিতীয় গুলিতে তপুর পিঠের বিভিন্ন অংশে গুলি ঢুকে যায়। এমন অবস্থার মধ্যে পড়লে আপনি-আমি অনেকেই হয়তো হাল ছেড়ে দিতাম। কিন্তু তপু হাল ছাড়ে নাই। ঐ যে বললাম না? এই যুগের পোলাপানের দারুণ সাহস? তপু সামনে খোলা রাস্তায় দৌড়ে যাওয়ার বদলে পাশেই একটা দেয়াল টপকে টিনের চালে উঠে পড়ে। ওর সব বন্ধুরা তখন ছত্রভঙ্গ হয়ে গেছে। যে যেদিকে পেরেছে, সেদিকেই পালিয়েছে। তপু টিনের চালে বসে থাকা অবস্থায় প্রথমবার বুঝতে পারে যে ও বাম চোখে কিছু দেখতে পাচ্ছে না!

অনেকটা সময় এভাবে কেটে যায়। এদিকে গুলি খাওয়ার আগেই তপুর মোবাইল বন্ধ হয়ে গিয়েছিলো, তবে ভাগ্যক্রমে বন্ধু ইমতিয়াজের মোবাইলটা তপুর পকেটেই ছিলো। ইমতিয়াজ একজনের নাম্বার থেকে ফোন করে তপু কোথায় লুকিয়ে আছে তা জেনে নেয়। ইমতিয়াজ জীবন বাজি রেখে আরেকটা গলি দিয়ে ঢুকে তপুকে টিনের চাল থেকে নামায়। পুলিশ তখন বিভিন্ন গলিতে ঢুকে নির্বিচারে গুলি করছিলো। ওরা গলি থেকে পালানোর পথ পাচ্ছিলো না। এই সময় এক বিল্ডিং থেকে বাড়িওয়ালা বের হয়ে এসে ওদেরকে বলেন- “বাবারা, তোমরা বাসার ভেতর ঢুকে যাও। পুলিশ এদিকে আসতে পারে। তোমাদের দেখলে গুলি করে দিবে।” ওরা তৎক্ষণাৎ ঐ লোকের বাসায় গিয়ে ঢোকে, সেখানে ওদের সাথে আরও অনেক মানুষ আশ্রয় নিয়েছিলো। কেউ পায়ে গুলি খেয়েছে, কেউ হাতে খেয়েছে, কেউ চোখে খেয়েছে… চারিদিকে রক্ত!

এদিকে বাইরে তখন যুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। পুলিশের গুলিতে অনেকেই হতাহত হয়েছে, থানার আশেপাশে বেশকিছু ডেডবডি পরে আছে। ফলে ছাত্র-জনতাও ক্ষেপে গেছে। তারাও পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়ছে। আর পুলিশও পাগলের মতো একটু পর পর গুলি চালাচ্ছে। পুলিশের গুলির ভয়ে ডেডবডিগুলো কেউ সরিয়ে আনার সাহস পাচ্ছিলো না। তপুরাও ঐ বিল্ডিং থেকে বের হওয়ার সাহস পাচ্ছিলো না। ঐ সময় তপুর বন্ধু ইমতিয়াজ আমাকে ফোন করে জানায় যে তপু গুলি খেয়েছে। নেটওয়ার্কের সমস্যার কারণে ফোন কেটে যায়। "তপু গুলি খেয়েছে"- এই কথাটাই শুধু শুনেতে পেয়েছিলাম আমি। কোথায় গুলি খেয়েছে, এখন কই আছে, কীভাবে আছে- কিছুই তখন বুঝতে পারছিলাম না! বারবার ফোন দিচ্ছিলাম, ঢুকছিলো না। এদিকে বাসার সবাই কান্নায় ভেঙে পড়লো।

আমার আরেক ভাই শুভ তখন ওর বন্ধুদের নিয়ে দৌড়ে গিয়েছিলো বাড্ডা থানার দিকে। ওরা তপুকে রেসকিউ করে নিয়ে আসতে চাচ্ছিলো। কিন্তু পুলিশের গুলির কারণে কাছাকাছি যেতে পারছিলো না কেউ। থানার আশেপাশে মানুষ দেখলেই পুলিশ গুলি করছিলো। এভাবে প্রায় চার-পাঁচ ঘণ্টা তপু ও অন্যরা আটকে ছিলো ঐ বাড়িতে। এরপর তপুকে ওর বন্ধুরা কোনোমতে ঐ বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে আসে। স্থানীয় এএমজেড হাসপাতালে নিয়ে আসে। আমিও সেখানে যাই। ওর মুখের দিকে তাকাতে পারছিলাম না তখন। সারা মুখে গুলির ক্ষত। আর রক্তের ভেসে গেছে পরনের টিশার্ট ও জিন্সের প্যান্ট। নার্সরা কিছু গুলি বের করতে পেরেছিলো, বাকিগুলো অনেক গভীরে চলে গিয়েছিলো বলে বের করা সম্ভব হচ্ছিলো না। একজন ডাক্তার এসে তপুর চোখ পরিক্ষা করে বলেন- “ওর চোখে ক্রিটিকাল জায়গায় গুলি লেগেছে, ইমিডিয়েটলি অপারেশন করে গুলি বের করতে হবে। আপনারা দ্রুত কোনো আই হসপিটালে নিয়ে যান।”

আমি আর ইমতিয়াজ মিলে দ্রুত একটা রিকশা নিয়ে তপুকে প্রথমে নিয়ে যাই বসুন্ধরা আই হসপিটালে। সেখান থেকে আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। কারণ ওদের ইমার্জেন্সি সার্ভিস নাকি বন্ধ আছে! এরপর আমরা এভারকেয়ারে নিয়ে যাই তপুকে। সেখানেও নাকি ইমার্জেন্সি সার্ভিস বন্ধ, অনেক গুলি খাওয়া রোগীর ভিড় দেখছিলাম। আর সময় নষ্ট না করে আবার একটা রিকশা ভাড়া করে তপুকে আগারগাও-এর জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হই। কাজটা খুব একটা সহজ হয়নি। রাস্তায় লক্ষ লক্ষ মানুষ, সব গণভবনের দিকে যাচ্ছিলো। চিৎকার করে মানুষকে সরিয়ে পথ বের করে আগারগাঁও গিয়ে পৌঁছাতে রাত সাড়ে আটটার মতো বেজে যায়। লোকমান নামে আমার এক স্থানীয় বড় ভাইয়ের সহযোগিতায় তপুকে ইমার্জেন্সিতে ডাক্তার দেখিয়ে জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে ভর্তি করি। ভাগ্য ভালো যে রাতের বেলা অপারেশন থিয়েটার কাজ চলছিলো। ডাক্তাররা বললো যে সম্ভব হলে রাতেই তপুকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হবে।

আমি যখন তপুকে নিয়ে হাসপাতালে বসে আছি, তখন বাড্ডা এলাকায় কী ঘটছে না ঘটছে- সব খবর পাচ্ছিলাম বাসা থেকে। অনেক রাত পর্যন্ত বাড্ডা থানা এলাকায় গোলাগুলি চলেছে। থানার চারিদিকে সাধারণ জনগণ অবস্থান নিয়েছিলো, আর থানার ভেতর আটকা পড়েছিলো পুলিশরা। তারা একটু পর পর গুলি করছিলো মানুষের দিকে, যাতে ভয়ে কেউ থানার দিকে এগিয়ে আসতে না পারে। অনেক স্টুডেন্ট আর সাধারণ মানুষের ডেডবডি পড়ে ছিলো থানার আশেপাশে। পরে রাত আড়াইটার দিকে সেনাবাহিনীর দুইটা গাড়ি আসে থানার সামনে। তারা আটকে পড়া ২৫-৩০ জন পুলিশকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় পুলিশেরা রাস্তার দুই দিকে ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে যায়, যাতে কেউ সামনে আসতে সাহস না পায়। পরে ভোরের দিকে থানায় ঢুকে কিছু লোক ভাংচুর করে ও আগুন লাগিয়ে দেয়। দমকল এসে আগুন নেভানোর পর থানার ভেতর প্রচুর বুলেট পাওয়া যায়। বোঝা যায় যে তাদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণ গোলা-বারুদ মজুদ ছিলো।

এদিকে ঐ রাতেই তপুকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়, চোখের গুলি বের করে সেলাই ও ড্রেসিং করে দেওয়া হয়। পরদিন সকালে ডাক্তার ড্রেসিং খুলে চোখ পরিক্ষা করেন। আমরা খুব আশায় বুক বেঁধে ছিলাম। কিন্তু ডাক্তারের কাছ থেকে ব্যাড নিউজ পেয়ে সবাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়লাম। আমার ভাইটি বাম চোখে দেখতে পাচ্ছে না। তবে ডাক্তার বললেন যে এখনো আশা আছে, চোখের ক্ষত কিছুটা সারার পর ফাইনালি বোঝা যাবে। আমরা সেখান থেকে তপুকে নিয়ে গেলাম ধানমন্ডির বাংলাদেশ আই হসপিটালে। সেখানে দুজন ডাক্তার বেশ আন্তরিকভাবে চেক করলেন তপুকে। তারাও একই কথা জানালেন চোখের ব্যাপারে, তবে আশা হারাতে মানা করলেন। আমরা এখন সেই আশায় বুক বেঁধেই অপেক্ষা করছি।

আজ তপুকে আবার স্থানীয় এএমজেড হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম শরীরের বিভিন্ন অংশ থেকে গুলি বের করার জন্য। কিছু গুলি বের করা হয়েছে। কপালের গুলিটা বের করতে গিয়ে ওরা আর্টারি কেটে ফেলেছিলো, ফলে প্রচুর রক্তপাত হয়েছে। অবশেষে তিনদিন পর তপুকে বাসায় নিয়ে এসেছি। ওর চেহারাটার দিকে আর তাকাতে পারছি না! বাসার সবাই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছে। অথচ আমাদের সবার তুলনায় শক্ত আছে তপু! ঐ যে বললাম না? এই যুগের পোলাপান আসলেই অন্যরকম। তপু উল্টো আমাদের ভরসা দিচ্ছে- “এত টেনশন করো কেন? আমরা একটা চোখ তো ঠিক আছে। দেশের জন্য একটুকু স্যাক্রিফাইস করতে পারবো না?”

আপনারা সবাই দোয়া করবেন আমার ভাইটির জন্য, যেন ওর চোখ অন্তত কিছুটা হলেও ভালো হয়। স্বৈরাচার মুক্ত একটা নতুন বাংলাদেশ জন্ম দেওয়ার পেছনে আমার ছোটো ভাইটির এই স্যাক্রিফাইস আপনারা মনে রাখবেন কিন্তু! সবাই ভালো থাকুন, নিরাপদে থাকুন।

---

নাজিম উদ দৌলা
১০/৮/২০২৪

15/07/2024

এমন এক দেশে বাস করি, যেই দেশের মানুষকে মন খুলে কথা বলার জন্য বিদেশে যাইতে হয়!

11/07/2024

ধর্মের লেবাসের আড়ালে যারা পাপ ঢাকার চেষ্টা করে, তারাই ধর্মের সবচেয়ে বড় ক্ষতি করে।

10/07/2024

যে দেশের গোটা সিস্টেমেই সমস্যা সেখানে প্রশ্ন কিনে পরিক্ষা দিয়ে যারা সিস্টেমের ভেতরে ঢুকে গেলো, তারা যে দুর্নীতি করবে না তার কোনো গ্যারান্টি আছে? এই দেশটা শেষ হয়ে গেছে...

যাদেরকে আমরা ভালোমানুষ ভাবি, তাদের অনেকেই আসলে সুযোগের অভাবে ভালো। সুযোগ পেলেই আসল রূপটা বেরিয়ে আসবে। ছবির এই লোকটাকে দে...
01/07/2024

যাদেরকে আমরা ভালোমানুষ ভাবি, তাদের অনেকেই আসলে সুযোগের অভাবে ভালো। সুযোগ পেলেই আসল রূপটা বেরিয়ে আসবে। ছবির এই লোকটাকে দেখেন। ইনোসেন্ট টাইপের একজন সাধারণ মানুষ বলে মনে হচ্ছে। কিন্তু এর ভেতরে লুকিয়ে আছে এক ঘৃণ্য নরপশু। এরা ৪জন মিলে চলন্ত ট্রেনে একটা মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো- এরা ৪জনই ট্রেনের ক্যাটারিং সার্ভিসের কর্মী!

ভয়ংকর এই ঘটনাটাকে র‍্যানডম একটা ধর্ষণের ঘটনা ভাবলে ভুল করবেন। রীতিমতো বুদ্ধি খাটিয়ে প্ল্যান করে কাজটা করা হয়েছে। একটু মন দিয়ে শুনুন...

মেয়েটির বাড়ি বান্দরবানে। সে সিলেটে বড় ভাইয়ের বাসায় বেড়াতে গিয়েছিল। বান্দরবানে ফেরার জন্য গত ২৫ জুন রাতে বড় ভাইয়ের সাথে সিলেট রেলওয়ে স্টেশনে যায়। চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট না পেয়ে বড় ভাই তাকে খাবারের বগিতে তুলে দেয়। সেখানে আগে থেকেই আরও ২০-২৫ জন যাত্রী ছিল। ফলে মেয়েটি ঘুণাক্ষরেও ভাবতে পারেনি যে তার সাথে খারাপ কিছু ঘটতে পারে!

বিপদের ঘণ্টাটা বেজে ওঠে ট্রেন লাকসাম স্টেশনে পৌঁছানোর পর। ওখানে খাবারের বগির যাত্রীদের বেশিরভাগই নেমে যায়। বাকি ছিল ঐ মেয়েটি সহ মোট ৫ জন। এইবার ক্যাটারিং সার্ভিসের কর্মীরা শিকারের গন্ধ পায়! তারা ইনস্ট্যান্ট একটা পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলে। ঘুমানোর জায়গা পাচ্ছে না- এই অযুহাতে আরও দুজন যাত্রীকে ঠেলাঠেলি করে অন্য বগিতে পাঠিয়ে দেয়। বাকি থাকে ভিক্টিম মেয়েটি, একজন নারী ও একজন বয়স্ক ব্যক্তি। খানিক বাদে ঐ নারী ও বয়স্ক ব্যক্তি ঘুমিয়ে পড়ে। তখনই জেগে ওঠে মানুষের চেহারার আড়ালে ঘাপটি মেরে থাকা ৪ নরপশু।

ওরা প্রথমে এসে তরুণীকে উত্যক্ত ও শ্লীলতাহানি করে। তরুণী বাধা দেয়ার চেষ্টা করলে সবাই মিলে তাকে টেনে হিঁচড়ে রান্নাঘরে নিয়ে যায়। এরপর শুরু হয় শুয়োরের বাচ্চাগুলোর তাণ্ডব। পালাক্রমে ৪ জন ধর্ষণ করে মেয়েটিকে। অথচ রান্নাঘরের পাশেই ছিলো ট্রেনের গার্ডরুম। গার্ডরা কিচ্ছু টের পেলো না!

জানোয়ারগুলোর প্ল্যান ছিলো- ধর্ষণের পর মেয়েটিকে চলন্ত ট্রেন থেকে সুবিধাজনক কোনো স্থানে ফেলে দেবে। কেউ কিচ্ছু টের পাবে না! কিন্তু তার আগেই ধর্ষিত মেয়েটির কান্নার আওয়াজে খাবারের বগিতে ঘুমিয়ে থাকা দুই যাত্রী জেগে ওঠে। তারা এই ঘটনা দেখতে পেয়ে চিৎকার শুরু করে। এতক্ষণে রেল পুলিশের টনক নড়ে! তারা এসে ক্যাটারিং সার্ভিসের চার কর্মীর মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করতে পারে। রাসেল নামে আরেকজন পালিয়ে যায়। পরে তাকে নোয়াখালি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আপনারা ছবিতে যে লোকটাকে দেখছেন, তার নামই রাসেল!

দেখুন, আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে ট্রেনকে ভাবা হয় মেয়েদের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ বাহন। অনেক মেয়েরাই যখন দূরের পথে একা যাতায়াত করার প্রয়োজন পড়ে, তখন ট্রেনকে বেছে নেয়। কিন্তু সেই নিরাপদ বাহনও আর নিরাপদ নাই! কারণ ট্রেনে কাজের দায়িত্বে থাকা লোকেরাই ধর্ষণ শুরু করেছে! এই দেশে কোন জায়গাটা আসলে মেয়েদের জন্য নিরাপদ? বলতে পারেন?

এই ঘটনার অনেক নিউজের কমেন্ট বক্সে দেখেছি- কিছু লোক মেয়েটার দোষ ধরার চেষ্টা করছে। তারা বলছে, "মেয়েটা কেন একা যাতায়াত করছিলো?" আরে ভাই! সবসময় কি একটা মেয়ের পক্ষে কাউকে সাথে নিয়ে যাতায়াত করা সম্ভব? সবাই ব্যস্ত থাকে, কত রকম কাজ থাকে, হুটহাট কত জায়গায় যেতে হয়। সবসময় কি সাথে কাউকে রাখা যায়? যেসব পরিবারে ভাই নেই, বাবাও মারা গেছেন, সেই পরিবারের মেয়েরা চলাচলের সময় সাথে কাকে রাখবে?

ধরুন, মধ্যরাতে আপনি হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, ওষুধ আনতে যেতে হবে বাইরে। ঘরে অন্য কোনো পুরুষ মানুষ নাই। তখন আপনার বোন কিংবা স্ত্রী কি চুপচাপ বসে থাকবে? তারা কি দৌড়ে বাইরে যাবে না ওষুধ আনার জন্য? তখন যদি একদল নরপশু আপনার বোন বা স্ত্রীকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে? তারপরও আপনি বলবেন- মেয়েটা কেন একা বাইরে গেল? এই মেন্টালিটি থেকে বের হয়ে আসেন। ধর্ষণের ঘটনায় ভিক্টিমকে ব্লেইম না দিয়ে ধর্ষকের বিচারের দাবিতে আওয়াজ তোলেন।

মেয়েদের বলছি- এই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিন। বাইরে চলাচলের ব্যাপারে আরও বেশি সাবধান হন। কারো চেহারা দেখে তাকে ভালো মানুষ ধরে নেবেন না। ট্রেনে, বাসে, লঞ্চে- যেখানেই চড়েন না কেন, চেষ্টা করবেন মানুষজনের মাঝে থাকতে। পারতপক্ষে কোনো নির্জন স্থানে একলা যাবেন না। আশেপাশে কয়েকজন পুরুষ মিলে কিছু একটা প্ল্যান করছে মনে হলেই পরিচিত কাউকে ফোন করে পরিস্থিতি জানাবেন। ব্যাগের ভেতর সবসময় পেপার-স্প্রে, কাটার জাতীয় কিছু রাখবেন। আর পরিচিত কাছের মানুষদের ফোনের স্পিড ডায়ালে রাখবেন।

যাই হোক, আশার কথা হচ্ছে- দ্রুততম সময়ে ধর্ষকরা গ্রেফতার হয়েছে। কিন্তু ধর্ষকদের জেল-ফাঁসি যাই হোক না কেন, ভিক্টিম মেয়েটির যা চলে গেছে তা কি ফেরত আসবে? বাকিটা জীবন মেয়েটিকে একটা ট্রমার মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। আমরা অপরাধ হয়ে যাওয়ার পর শাস্তি দেওয়ার ব্যাপারে যতটা আগ্রহী হই, অপরাধ হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধের ব্যাপারে ততটাই উদাসীন থাকি। একটা যাত্রীবাহি ট্রেনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা এতটা নাজুক কীভাবে হয়? আশা করি এই ঘটনার কারণে আমাদের রেল কতৃপক্ষের ঘুম ভাঙবে। তারা ট্রেনকে নিরাপদ বাহন করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।

আমি দোয়া করি যেন ভিক্টিম মেয়েটি এই ভয়ংকর ঘটনাটা ভুলে গিয়ে নতুন করে বাঁচার প্রেরণা পায়। সেই সাথে দাবি জানাই- ঐ ৪ জানোয়ারকে প্রকাশ্যে নির্মম শাস্তি দেওয়া হোক। এই শাস্তি দেখে, ওদের মতো মানুষের চেহারার আড়ালে ঘাপটি মেরে থাকা অন্যান্য জানোয়ারগুলো যেন প্রচন্ড ভয় পায়, এমন কাজ করার কথা যেন তারা কখনও চিন্তাও করতে না পারে!

#নরপশু #জানোয়ার
#ধর্ষকের_বিচার_চাই
নাজিম-উদ-দৌলা
১/৭/২০২৪

24/06/2024

আগে শুনেছি কেঁচো খুঁড়তে গেলে সাপ বের হয়। এখন তো দেখতেছি ছাগল খুঁজতে গিয়ে বাপ বের হয়ে গেছে। আবার সেই বাপ বলতেছে- "এটা আমার ছেলেই না!" এখন কোটি টাকার প্রশ্ন হচ্ছে- ছেলে তুমি কার?

11/06/2024

ওরা আসে রাতের আঁধারে, যখন আমরা থাকি গভীর ঘুমে। সেই সুযোগে ওরা লুকিয়ে লুকিয়ে গাছগুলো খেয়ে ফেলে। আমরা সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি গাছের কোনো চিহ্নই নাই! মাথা চুলকাই আর ভাবি- এত গাছ গেল কই?

17/05/2024

আমরা খুব ভাগ্যবান যে আমরা ফেসবুকের যুগে জন্মেছি, তাই না? ওয়েট! আসলেই কি ভাগ্যবান? নাকি দূর্ভাগা? দূরের মানুষকে কাছে আনতে গিয়ে আমাদের কাছের মানুষগুলো যে দূরে সরে যাচ্ছে- সেটা কি আমরা খেয়াল করেছি? আসুন, আজ একটু খেয়াল করি...

কেমন আছেন সবাই? একটা সুখবর শেয়ার করছি সবার সাথে। আমার চিত্রনাট্যে নির্মিত ৬ষ্ঠ সিনেমা "নীলচক্র", খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পেত...
06/05/2024

কেমন আছেন সবাই? একটা সুখবর শেয়ার করছি সবার সাথে। আমার চিত্রনাট্যে নির্মিত ৬ষ্ঠ সিনেমা "নীলচক্র", খুব তাড়াতাড়ি মুক্তি পেতে চলেছে। পরিচালনা করছেন মিঠু খান, মূল প্রটাগনিস্ট চরিত্রে আছেন আমাদের সবার প্রিয় অভিনেতা "আরিফিন শুভ"।

২০২০ সালে লক ডাউনের সময় গৃহবন্দী থাকাকালীন গল্পটি মাথায় এসেছিলো আমার, সেই গল্প এতদিনে আলোর মুখ দেখতে চলেছে।

দুটি কারণে এই সিনেমাটি আমার জন্য স্পেশাল হয়ে থাকবে।
১. সিনেমার নামটিও আমার দেয়া।
২. প্রিয় অভিনেতা আরিফিন শুভ'র সাথে এটা আমার প্রথম কাজ।

সাসপেন্স থ্রিলার ধর্মী সিনেমা "নীলচক্র" খুব তাড়াতাড়ি দেখতে পাবেন সিনেমা হলের পর্দায়। সবাইকে দেখার অগ্রীম আমন্ত্রণ জানিয়ে রাখলাম।

এক নজরে:

বাংলা চলচ্চিত্র: নীলচক্র
জনরা: সাসপেন্স থ্রিলার, সাইবার ক্রাইম থ্রিলার
কাহিনী: নাজিম উদ দৌলা, অংকন পোদ্দার
চিত্রনাট্য: নাজিম উদ দৌলা, অঞ্জন সরকার জিমি, মিঠু খান
পরিচালনা: মিঠু খান
অভিনয়ে: আরিফিন শুভ, মন্দিরা চক্রবর্তী, ফজলুর রহমান বাবু, মনির আহমেদ শাকিল, প্রিয়ন্তী ঊর্বি, মাসুম রেজওয়ান, শিরীন আলম, খালেদা আক্তার কল্পনা, শাহেদ আলী, টাইগার রবি, পারভীন পারু, আয়মান শিমলা, ডলার প্রমুখ।






01/05/2024

লাগলে গরম, ভুলে যাই শরম! তবে এখন শুধু শরম ভুললেই হবে না, মুখে আওয়াজ তুলতে হবে! কাদের নির্বুদ্ধিতায় বাড়ছে এই অঞ্চলের তাপমাত্রা? আর চুপ করে বসে না থেকে, আসুন, সমাধান খুঁজি!

22/04/2024

পুরো পৃথিবীটা যদি একটা দেশ হতো, তাহলে আমাদের "ঢাকা" হতে পারতো সে দেশের রাজধানী। অবাক হলেন? অবাক হবার কিছু নেই। ভিডিও দেখতে থাকেন, ক্লিয়ার হয়ে যাবে।

06/04/2024

আমরা সবচেয়ে বেশি যে কাজটা করি সেটা হচ্ছে আজাইরা সময় নষ্ট করা। আর আমাদের এই সময় নষ্ট করার প্রবণতাকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুটছে কেউ কেউ! কারা ওরা? দেখে নিন ভিডিওতে।

আমি এদের বিষয়ে আগে কখনও কোনো কথা বলিনি। আজই প্রথম বলবো এবং আজই শেষ। কারণ আমি চাই না এদের বিষয়ে অন্য কেউ কথা বলুক। কথাটা শুনতে একটু উদ্ভট শোনাচ্ছে হয়তো। পুরো ভিডিওটা দেখুন, আশাকরি ক্লিয়ার হয়ে যাবে।

27/03/2024

MLM কোম্পানিতে ইনভেস্ট করার চেয়ে ডিপজলের সিনেমা দেখা ভালো! বিশ্বাস হয় না? তাহলে দেখে নিন ভিডিওটা!

লাইফে বেশ কয়েকবার আমি MLM কোম্পানির খপ্পড়ে পড়েছি। সেই অভিজ্ঞতার আলোকে সবাইকে সতর্ক করার চেষ্টা করছি। MLM বিজনেসকে আমি খারাপ বলছি না, সারা পৃথিবীতেই এই বিজনেস চলে। কিন্তু বাংলাদেশে বিগত বছরগুলোতে বেশ কিছু MLM কোম্পানি গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ করে পালিয়েছে। অনেক মানুষকে চোখের সামনে নিঃস্ব হয়ে যেতে দেখেছি। তাই, কেউ যদি এ ধরনের বিজনেসের সাথে জড়াতে চান, তাহলে কোম্পানির লাইসেন্স, কোম্পানির ফাউন্ডারদের ব্যাকগ্রাউন্ড, কোম্পানির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ইত্যাদি বিষয়ে ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করে নেবেন। ভাল থাকুন।



ভোর চারটার সময় টেলিফোন বেজে উঠল, অসময়ে টেলিফোন মানেই রিসিভার না নেয়া পর্যন্ত বুক ধড়ফড়। নির্ঘাৎ বাংলাদেশের কল। একগাদ...
26/03/2024

ভোর চারটার সময় টেলিফোন বেজে উঠল, অসময়ে টেলিফোন মানেই রিসিভার না নেয়া পর্যন্ত বুক ধড়ফড়। নির্ঘাৎ বাংলাদেশের কল। একগাদা টাকা খরচ করে কেউ যখন বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় কল করে তখন ঘটনা খারাপ ধরেই নিতে হবে। নিশ্চয়ই কেউ মারা-টারা গেছে।

তিনবার রিং হবার পর আমি রিসিভার তুলে ভয়ে ভয়ে বললাম, হ্যালো।

ওপার থেকে ভারী গলা শোনা গেল, হুমায়ূন ভাই, খিচুড়ি কি করে রান্না করতে হয় জানেন?

আমি স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললাম। টেলিফোন করেছে মোরহেড স্টেট ইউনিভার্সিটির মিজানুল হক। সেখানকার একমাত্র বাঙালি ছাত্র। অ্যাকাউন্টিং-এ আন্ডার গ্রাজুয়েট কোর্স করছে।

হ্যালো হুমায়ূন ভাই, কথা বলছেন না কেন? খিচুড়ি কী করে রান্না করতে হয় জানেন?

না।

তাহলে তো বিগ প্রবলেম হয়ে গেল।

আমি চুপ করে রইলাম। মিজানুল হক হড়বড় করে বলল, কাচ্চি বিরিয়ানির প্রিপারেশন জানা আছে?

আমি শীতল গলায় বললাম, কটা বাজে জান?

ক’টা?

রাত চারটা।

বলেন কি? এতরাত হয়ে গেছে? সর্বনাশ।

করছিলে কি তুমি?

বাংলাদেশের ম্যাপ বানাচ্ছি। আপনি ঘুমিয়ে পড়ুন হুমায়ুন ভাই। সকালে টেলিফোন করব, বিরাট সমস্যায় পড়েছি।

মিজানুল হক খট করে টেলিফোন রেখে দিল। আমি বিছানা ছেড়ে উঠলাম। পার্কোলেটরে কফি বসিয়ে দিলাম। আমার ঘুমাবার চেষ্টা করা বৃথা। মিজানুল হকের মাথার ঠিক নেই, কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার টেলিফোন করবে। অন্য কোনও খাবারের রেসিপি জানতে চাইবে।

এ ব্যাপারটা গত তিন দিন ধরে চলছে। মোরহেড স্টেট ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক বর্ষ উদ্যাপন উপলক্ষে অন্যান্য দেশের সঙ্গে উদ্যাপিত হবে বাংলাদেশ নাইট। এই অঞ্চলে বাংলাদেশের একমাত্র ছাত্র হচ্ছে মিজান, আর আমি আছি নর্থ ডাকোটা স্টেট ইউনিভার্সিটিতে। মিজানের একমাত্র পরামর্শদাতা। আশপাশে সাতশ মাইলের মধ্যে দ্বিতীয় বাঙালি নেই।

কফির পেয়ালা হাতে নেবার সঙ্গে সঙ্গে মিজানের টেলিফোন—

হ্যালো হুমায়ুন ভাই?

হ্যাঁ।

প্ল্যান-প্রোগ্রাম নিয়ে আপনার সঙ্গে আরেকবার বসা দরকার।

এখনো তো দেরি আছে।

দেরি আপনি কোথায় দেখলেন? এক সপ্তাহমাত্র। শালাদের একটা ভেলকি দেখিয়ে দেব। বাংলাদেশ বললে চিনতে পারে না, হা-করে তাকিয়ে থাকে। ইচ্ছা করে চড় মেরে মুখ বন্ধ করে দেই। এইবার শালারা বুঝবে বাংলাদেশ কি জিনিস। ঠিক না হুমায়ুন ভাই?

হ্যাঁ, ঠিক বলেছ।

শালাদের চোখ ট্যারা হয়ে যাবে দেখবেন। আমি আপনার এখানে চলে আসছি।

মিজান টেলিফোন নামিয়ে রাখলো। আমি আরেকটি দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেললাম। এই ছেলেটিকে আমি খুবই পছন্দ করি। তার সমস্যা একটাই, সারাক্ষণ মুখে বাংলাদেশ বাংলাদেশ। বাংলাদেশ এসোসিয়েশন একটা খোলার চেষ্টা করেছিল। একজন ছাত্র থাকলে এসোসিয়েশন হয় না বলে সেই চেষ্টা সফল হয়নি। অন্য স্টেট থেকে বাংলাদেশী ছাত্র আনার চেষ্টাও করেছে, লাভ হয়নি। এই প্রচণ্ড শীতের দেশে কেউ আসতে চায় না। শীতের সময় এখানকার তাপমাত্রা শূন্যের ত্রিশ ডিগ্রি নিচে নেমে যায়, কে আসবে এই রকম ভয়াবহ ঠাণ্ডা একটা জায়গায়?

মিজান এই ব্যাপারে বেশ মনমরা হয়েছিল। বাংলাদেশ নাইট-এর ব্যাপারটা এসে পড়ায় সেই দুঃখ খানিকটা কমেছে। এই বাংলাদেশ নাইট নিয়েও বিরাট কাও। মোরহেড স্টেট ইউনিভার্সিটির ফরেন স্টুডেন্ট অ্যাডভাইজার মিজানকে বলল, তুমি এক কাজ কর–তুমি বাংলাদেশ নাইট পাকিস্তানীদের সঙ্গে কর।

মিজান হুংকার দিয়ে বলল, কেন?

এতে তোমার সুবিধা হবে। ডবল ডেকোরেশন হবে না। এক খরচায় হয়ে যাবে। তুমি একা মানুষ।

তোমার এত বড় সাহস, তুমি পাকিস্তানীদের সঙ্গে আমাকে বাংলাদেশ নাইট করতে বলছ? তুমি কি জান, ওরা কী করেছে? তুমি কি জান ওরা আমাদের কতজনকে মেরেছে? তুমি কি জান…?

কী মুশকিল–তুমি এত উত্তেজিত হচ্ছ কেন?

তুমি আজেবাজে কথা বলবে, তুমি আমার দেশকে অপমান করবে, আর আমি তোমার সঙ্গে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলব?

মিজান, ফরেন স্টুডেন্ট অ্যাডভাইজারের সামনের টেবিলে প্রকাণ্ড এক ঘুসি বসিয়ে দিল। টেবিলে রাখা কফির পেয়ালা উন্টে পড়ল। লোকজন ছুটে এল। প্রচণ্ড হৈচৈ।

এরকম মাথা গরম একটা ছেলেকে সব সময় সামলে-সুমলে রাখা মুশকিল। তবে ভরসা একটাই–সে আমাকে প্রায় দেবতার পর্যায়ে ফেলে রেখেছে। তার ধারণা আমার মতো জ্ঞানী-গুণী মানুষ শতাব্দীতে এক-আধটা জন্মায়। আমি যা বলি, শোনে।

মিজান তার ভাঙা মরিস মাইনর নিয়ে ঝড়ের গতিতে চলে এল। সঙ্গে বাংলাদেশের ম্যাপ নিয়ে এসেছে। সেই ম্যাপ দেখে আমার আক্কেল গুড়ুম। যে কটা রঙ পাওয়া গেছে সব কটাই সে লাগিয়েছে।

জিনিসটা দাঁড়িয়েছে কেমন বলুন তো?

রঙ একটু বেশি হয়ে গেল না?

ওরা রঙ-চঙ একটু বেশি পছন্দ করে হুমায়ূন ভাই।

তাহলে ঠিকই আছে।

এখন আসুন প্রোগ্রামটা ঠিক করে ফেলা যাক। বাংলাদেশী খাবারের নমুনা হিসাবে খিচুড়ি খাওয়ানো হবে। খিচুড়ির শেষে দেওয়া হবে পান-সুপারি।

পান-সুপারি পাবে কোথায়?

শিকাগো থেকে আসবে। ইন্ডিয়ান শপ আছে–ওরা পাঠাবে। ডলার পাঠিয়ে চিঠি দিয়ে দিয়েছি।

খুব ভালো।

দেশ সম্পর্কে একটা বক্তৃতা দেয়া হবে। বক্তৃতার শেষে প্রশ্ন-উত্তর পর্ব।

সবার শেষে জাতীয় সঙ্গীত।

জাতীয় সঙ্গীত গাইবে কে?

কেন, আমি আর আপনি।

তুমি পাগল হয়েছ? জীবনে আমি কোনোদিন গান গাইনি।

আর আমি বুঝি হেমন্ত? এইসব চলবে না, হুমায়ুন ভাই। আসুন গানটা একবার প্রাকটিস করি।

মিজান, মরে গেলেও আমাকে দিয়ে গান গাওয়াতে পারবে না। তাছাড়া এই গানটার আমি কথা জানি না, সুর জানি না।

কথা সুর তো আমিও জানি না হুমায়ূন ভাই। চিন্তা নেই, একটা ব্যবস্থা হবেই।

উৎসবের দিন ভোর বেলাতে আমরা প্রকাণ্ড সসপ্যানে খিচুড়ি বসিয়ে দিলাম। চাল, ডাল, আনাজপাতি সেদ্ধ হচ্ছে। দুটো মুরগি কুচি কুচি করে ছেড়ে দেয়া হলো। এক পাউন্ডের মতো কিমা ছিল তাও ঢেলে দিলাম। যত ধরনের গরম মসলা ছিল সবই দিয়ে দিলাম। জ্বাল হতে থাকল।

মিজান বলল, খিচুড়ির আসল রহস্য হলো মিক্সিং-এ। আপনি ভয় পাবেন না। জিনিস ভালোই দাঁড়াবে।

সে একটা খুন্তি দিয়ে প্রবল বেগে নাড়াতে শুরু করল। ঘণ্টা দুয়েক পর যা দাঁড়াল তা দেখে বুকে কাঁপন লাগে। ঘন সিরাপের মতো একটা তরল পদার্থ। উপরে আবার দুধের সরের মতো সর পড়েছে। জিনিসটার রঙ দাঁড়িয়েছে ঘন কৃষ্ণ। মিজান শুকনো গলায় বলল, কালো হলো কেন বলুন তো হুমায়ূন ভাই। কালো রঙের কিছুই তো দেইনি।

আমি সেই প্রশ্নের জবাব দিতে পারলাম না। মিজান বলল, টমেটো পেস্ট দিয়ে দেব নাকি?

দাও।

টমেটো পেস্ট দেয়ায় রঙ আরো কালচে মেরে গেল। মিজান বলল, লাল রঙয়ের কিছু ফুড কালার কিনে এনে ছেড়ে দেব?

দাও।

তাও দেয়া হলো। এতে কালো রঙের কোনো হেরফের হলো না। তবে মাঝে মাঝে লাল রঙ ঝিলিক দিতে লাগলো। দুজনেই মাথায় হাত দিয়ে বসে পড়লাম। জাতীয় সংগীতেরও কোনো ব্যবস্থা হলো না। মিজানের গানের গলা আমার চেয়েও খারাপ। যখন গান ধরে মনে হয় গলায় সর্দি নিয়ে পাতিহাঁস ডাকছে। শিকাগো থেকে পানও এসে পৌঁছল না।

অনুষ্ঠান সন্ধ্যায়। বিকেলে এক অদ্ভুত ব্যাপার হলো। অবাক হয়ে দেখি দূর দূর থেকে গাড়ি নিয়ে বাঙালি ছাত্রছাত্রীরা আসতে শুরু করেছে। শুনলাম মিজান নাকি অশপাশের যত ইউনিভার্সিটি আছে সব ইউনিভার্সিটিতে বাংলাদেশ নাইটের খবর দিয়ে চিঠি দিয়েছিল। দেড় হাজার মাইল দূরে মন্টানো স্টেট ইউনিভার্সিটি, সেখান থেকে একটি মেয়ে গ্রে হাউন্ড বাসে করে একা একা চলে এসেছে। মিনেসোটা থেকে এসেছে দশজনের একটা বিরাট দল। তারা সঙ্গে নানান রকম পিঠা নিয়ে এসেছে। গ্রান্ড ফোকস থেকে এসেছেন করিম সাহেব, তাঁর ছেলেমেয়ে এবং স্ত্রী! এই অসম্ভব কর্মঠ মহিলাটি এসেই আমাদের খিচুড়ি ফেলে দিয়ে নতুন খিচুড়ি বসালেন। সন্ধ্যার ঠিক আগে আগে সাউথ ডাকোটার ফলস স্প্রিং থেকে একদল ছেলেমেয়ে এসে উপস্থিত হল।

মিজান আনন্দে লাফাবে না চেচাবে কিছুই বুঝতে পারছে না। চুপচাপ বসে আছে, মাঝে মাঝে গম্ভীর গলায় বলছে–দেখ শালা বাংলাদেশ কী জিনিস। শালা দেখে যা।

অনুষ্ঠান শুরু হল দেশাত্মবোধক গান দিয়ে।

–এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি…।

অন্যান্য স্টেট থেকে মেয়েরা যারা এসেছে তারাই শুধু গাইছে। এত সুন্দর গাইছে। এই বিদেশ-বিভূইয়ে গান শুনে দেশের জন্যে আমার বুক হু-হু করতে লাগল। চোখে জল এসে গেল। কেউ যেন তা দেখতে না পায় সে জন্যে মাথা নিচু করে বসে রইলাম।

পরদিন ফার্গো ফোরম পত্রিকায় বাংলাদেশ নাইট সম্পর্কে একটা খবর ছাপা হ’ল। খবরের অংশবিশেষ এ রকম–একটি অত্যন্ত আবেগপ্রবণ জাতির অনুষ্ঠান দেখার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। অনুষ্ঠানটি শুরু হয় দেশের গান দিয়ে। আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করলাম গান শুরু হবার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশী ছেলেমেয়েরা সব কাঁদতে শুরু করল। আমি আমার দীর্ঘদিনের সাংবাদিকতা-জীবনে এমন মধুর দৃশ্য দেখিনি…।

বাংলাদেশ নাইট
- হুমায়ূন আহমেদ

---

হুমায়ূন স্যারের এই লেখাটা যতবার পড়ি, প্রতিবারই চোখ ভিজে যায়। বাংলাদেশের বাইরে যারা থাকেন, তারাই প্রকৃত অর্থে দেশকে হৃদয়ে লালন করেন। এদিকে আমরা সোনার দেশটাকে লুটে পুটে খাচ্ছি।

ছবি কার্টেসি: Bangladeshi Student's Association of Asia Pacific University, Malaysia

18/03/2024

রমজান মাসে নন-মুসলিম দেশগুলোতে খেজুর ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর দাম কমানো হয়। অথচ বাংলাদেশের মতো ৯০% মুসলিমের দেশে রমজানে পণ্যের দাম বাড়াটা যেন ট্রাডিশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। রমজান তো আমাদের শেখায় সংযম করতে, লোভ সংবরণ করতে। উল্টো আমাদের ব্যবসায়ীরা শুরু করে শয়তানী কর্মকান্ড! তাদের সেসব কর্মকান্ড তুলে ধরার চেষ্টা করেছি এই ভিডিওতে।

Address

Dhaka

Website

https://www.goodreads.com/author/show/7734452.Nazim_Ud_Daula,

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Nazim-Ud-Daula posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Nazim-Ud-Daula:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share

নাজিম উদ দৌলা (লেখক ও চিত্রনাট্যকার)

নাজিম উদ দৌলার জন্ম ১৯৯০ সালের ৪ নভেম্বর নানাবাড়ি কেরানীগঞ্জে। পৈত্রিক নিবাস যশোর জেলায় হলেও বেড়ে উঠেছেন ঢাকার আলো বাতাসের মাঝে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে বিবিএ ও এমবিএ শেষ করে বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এজেন্সি “অ্যানালাইজেন”-এ কর্মরত আছেন। লেখালেখির চর্চা অনেক দিনের। দীর্ঘসময় ধরে লিখছেন ব্লগ, ফেসবুক সহ বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্মে। ২০১২ সালে প্রথম গল্প “কবি” প্রকাশিত হয় কালান্তর সাহিত্য সাময়িকীতে। অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৫-তে প্রকাশিত হয় তার প্রথম থ্রিলার উপন্যাস “ইনকারনেশন”। একই বছর আগস্টে প্রকাশিত হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার “ব্লাডস্টোন” তাকে এনে দেয় বিপুল পাঠকপ্রিয়তা। এ পর্যন্ত ৬টি থ্রিলার উপন্যাস ও ১টি গল্পগ্রন্থ লিখেছেন তিনি। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লেখায় মনোনিবেশ করেছেন। কাজী আনোয়ার হোসেনের কালজয়ী চরিত্র “মাসুদরানা” নিয়ে নির্মিতব্য চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লিখেছেন তিনি। এছাড়াও “শান”, “অপারেশন সুন্দরবন” সহ বেশ কিছু বড় বাজেটের বাংলা চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট লিখেছেন। অবসর সময় কাটে বইপড়ে, মুভি দেখে আর বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে। সদালাপী, হাসি খুশি আর মিশুক স্বভাবের এই মানুষটি স্বপ্ন দেখেন একটি সুন্দর বাংলাদেশের, যেখানে প্রত্যেকটি এক হয়ে মানুষ দেশ গড়ার কাজে মন দেবে।