23/08/2022
আমি ভাবতাম— আচ্ছা, সূরা ফাতিহা প্রতি ওয়াক্তে, প্রতি রাক’আতে তিলাওয়াত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে কেনো? কেনো প্রতি ওয়াক্তে আমাদেরকে বলতে হয়— ‘হে আল্লাহ, আমাদেরকে সিরাতুল মুস্তাকীমের পথে আপনি পরিচালিত করুন’?
এর একটা সম্ভাব্য উত্তর আমি পেয়েছিলাম নবিজী সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের হাদিসে। তিনি বলেছিলেন, ‘কিয়ামতের প্রাক্কালে এমন হবে যে— মানুষ সকালবেলা মুমিন থাকলেও সন্ধ্যেবেলা কাফের হয়ে যাবে। সন্ধ্যেবেলা কাফের থাকলেও, সকাল হতে হতে মুমিন হয়ে যাবে। অর্থাৎ— সময়টা এতোটা অস্থির আর সঙ্কটাপন্ন থাকবে যে— কার ঈমান কখন আসছে আর কখন যাচ্ছে তা বুঝে উঠাই মুশকিল হয়ে যাবে।
এজন্যে প্রতি সালাতে, প্রতি ওয়াক্তে এবং প্রতি রাক’আতে আমাদেরকে ঈমানের পথে অটল-অবিচল থাকার প্রার্থনা করতে হয়। আসরের সালাত পড়ে বাসায় এসে মাগরিবের আগে যে ঈমানহারা হয়ে যাবে না— তার কোন নিশ্চয়তা নেই। তাই আসরের সালাতে ‘ইহদিনাস সিরাত্বাল মুস্তাক্বীম’ তথা ‘আমাদেরকে সরল-সঠিক পথে পরিচালিত করুন’ এই আয়াত তিলাওয়াত করে আসার পর মাগরিবের সালাতে গিয়েও একই আয়াত আবার, বারবার আমাদের পড়তে হয়।
আসর থেকে মাগরিব— এই অল্প সময়ের মাঝেও যে আমরা সংশয়ে পড়ে যাবো না, আমাদের ঈমান হুমকির মুখে পড়ে যাবে না তার নিশ্চয়তা আমরা কেউ দিতে পারি না। তাই আসরের সালাতে আল্লাহর কাছে হিদায়াত চেয়ে এসে মাগরিবের সালাতে গিয়ে আবার হিদায়াত চাইতে হয়। মাগরিবের সালাতে হিদায়াত চেয়ে এসে ইশা’তে গিয়ে আবার চাওয়া লাগে। এই হিদায়াত চাওয়াটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া’তায়ালা আমাদের জন্য দৈনিক রুটিন বানিয়ে দিয়েছেন।
মুসা আলাইহিস সালামের কওম বনি ইসরাঈলিদের একটা ঘটনা পড়ে আমার মনে হলো— এই যে প্রতি রাক’আতে সূরা ফাতিহার মাধ্যমে আমরা বাধ্যতামূলকভাবে আল্লাহর কাছে হিদায়াত প্রার্থনা করি, এটা অতি-অবশ্যই জরুরি ছিলো।
ফেরাউনের অত্যাচারের বর্ণনা কুরআন থেকে আমরা যথেষ্ট পাই। বনি-ইসরাঈলিদের জীবনকে ছারখার করে দিচ্ছিলো অত্যাচারী, জালিম ফেরাউন। হেন কোন অত্যাচার-নির্যাতন আর নিষ্পেষণ নেই যা ভোগ করতে হচ্ছিলো না বনি-ইসরাঈল সম্প্রদায়কে।
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া’তায়ালা নবি মুসা আলাইহিস সালামের মাধ্যমে এই জালিম শাসকের হাত থেকে বনি-ইসরাঈলিদের মুক্তি দিলেন। শুধু তা-ই নয়, বনি-ইসরাঈলিদের চোখের সামনে ফেরাউন এবং তার বাহিনীকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া’তায়ালা ডুবিয়ে মারলেন লোহিত সাগরের অতল তলে।
বনি-ইসরাঈলিদের প্রতি এই অপার