Sabbir Ahm

Sabbir Ahm online business, eshop, products & service. Information & tech support.

03/02/2025

১৯৭১

মিডল ক্লাস মানুষের জন্য একটা ইজি স্কেপ হলো দেশ থেকে বাইরে চলে যাওয়া। বাইরে বেশির ভাগ মানুষই মিডল ক্লাস। সেখানে মিডল ক্লা...
06/01/2025

মিডল ক্লাস মানুষের জন্য একটা ইজি স্কেপ হলো দেশ থেকে বাইরে চলে যাওয়া।

বাইরে বেশির ভাগ মানুষই মিডল ক্লাস। সেখানে মিডল ক্লাস লাইফ বেশ কম্ফোর্টেবল, গাড়ি বাড়ি কিনা সেখানে কোন বিগ ডিল না। উন্নত বিশ্বে ডিফল্ট লাইফও বাংলাদেশের মিডল ক্লাস লাইফ থেকে ফার ফার বেটার।

কিন্তু সমস্যাটা অন্যখানে। এই উন্নত জীবনটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই আপনাকে একা ভোগ করা লাগবে। আপনার বাপ মা ভাই বোন দেশের নরকেই থাকবে।

মিডল ক্লাস সেন্টিমেন্টের ফ্যামিলি ভ্যালু নিয়ে বড় হওয়া যে কেউই তখন একটা অদ্ভুত গিল্টে ভোগে। সুইস আল্পে কফিতে চুমুক দিয়ে ইন্সটাগ্রাম স্টোরি দিতে প্রথম সেকেন্ডে ভাল লাগলেও, দ্বিতীয় সেকেন্ডে মনে হবে আমার আম্মা এইখানে থাকলে ভাল হইত।

থার্ড ওয়ার্ল্ড কানট্রিতে জন্ম নেয়ার মত অভিশাপ আর হয়না। আমার দেশ বদলে দেয়ার মত বড় বড় হ্যাডমওলা স্বপ্ন নাই। আমি জাস্ট বাপ মা ভাইদের নিয়ে এক সাথে একটা সুস্থ স্বাভাবিক নরমাল জীবন চাচ্ছিলাম। যেখানে জীবনের পাঁচটা ব্যাসিক নিড খুব স্বাভাবিক ভাবে ফুলফিল্ড হবে।

Is it too much to ask?..

04/01/2025

অভিশাপ দিলাম ভাই
জীবনে অনেক বড় হ।
এমন অভিশাপ প্রতিদিন যেন পাই।

04/01/2025

লাউড এন্ড ক্লিয়ার ভাইয়া, কথা হবে স্ট্রেইট; বললেই বদলায় -

04/01/2025

লাউড এন্ড ক্লিয়ার ভাইয়া, কথা হবে স্ট্রেইট; বললেই বদলায় -

#আমিওজিততেচাই


02/01/2025

২০০ টাকার পেয়াজ এখন ৫০ টাকা, ৪০০ টাকার কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা কেজি, নতুন আলু ৫০ টাকা, এক পিস লাউ ৬০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা কেজি, সব ধরনের সবজি সস্তা, দাম কমলে কেউ ফেসবুকে পোস্ট দেয়না কেন??

31/12/2024

ঘোষণা
ফ্যাসিবাদ ও দুনীতি মুক্ত বাংলাদেশ।

21/12/2024

আমরা কারা?
আমাদেরকে জানার আগে জেনে নিন জুলাই মাসে আপনারা কারা ছিলেন। আমরা তো তারাই যারা "আমরা কারা" প্রশ্নকারীদের বাক শক্তি ও মুক্তভাবে পথ চলার অধিকার ফিরিয়ে দিয়েছি। আমরা তো তারাই যারা টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রুপসা থেকে পাটুরিয়াকে স্বৈরাচার মুক্ত করেছি। আবার যদি জানতে ইচ্ছা হয় আমরা কারা? তবে জেনে নিন তাদের থেকে- স্বজন হারিয়েছে যারা।

**বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন জার্নি**এটা বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন যাত্রা,  প্রায় ২১ দিন স্থায়ী এই যাত্রা।শুরু হয় ইউরো...
29/11/2024

**বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন জার্নি**
এটা বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম ট্রেন যাত্রা,
প্রায় ২১ দিন স্থায়ী এই যাত্রা।
শুরু হয় ইউরোপের পর্তুগাল থেকে এবং শেষ হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালোয়শিয়ায়।
জীবনে যদি কখনো সুযোগ আসে তবে একদিন এই ট্রেন জার্নি করতে চাই ইনশাআল্লাহ।
পর্তুগালে শুরু হওয়া এই যাত্রা, স্পেন, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড, বেলারুশ, রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া, চীন, লাওস, থাইল্যান্ড হয়ে মালয়েশিয়ায় শেষ হয়।
সব মিলিয়ে ১৩ টি দেশ অতিক্রম করতে হয়। এটা একক কোন ট্রেন যাত্রা না।
ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করার জন্য আপনাকে থামতে হবে।
এই দীর্ঘ যাত্রায় আপনি অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগের পাশাপাশি বিশ্বের অনেকগুলো দর্শনীয় স্থান দেখতে পাবেন।
বিশ্ব সংস্কৃতি জানার জন্য এমন সুন্দর সুযোগ আর দ্বিতীয়টি নেই।
কাজেই কখনো সুযোগ আসলে ২১ দিনের এই ট্রেন ভ্রমণ সবার শেষ করা উচিৎ।
ধন্যবাদ

23/11/2024

নিরবে কাজ করো
যেন
সফলতা চিৎকার করে।

20/10/2024

রিজার্ভ থেকে কোনো অর্থ খরচ না করেই দুই মাসে দেড় বিলিয়ন ডলার দেনা পরিশোধ।

জ্বী, এটাই পরিবর্তন — ভালো লাগেনাই বুঝি আপনার!

20/10/2024

"সিস্টেম মেনে বিপ্লব হয়নাই, সুতরাং আপনারা কাজ না করলে সিস্টেমের বাইরে যেয়ে আপনাদের বরখাস্ত করতে আমরা দ্বিধা করবো না।"

আজ সচিবদের উদ্দেশ্যে Asif Mahmud র বার্তাটি গণমানুষের বিপ্লবের স্পিরিটের প্রতিফলন ঘটিয়েছে✊🇧🇩"

Pray for
13/10/2024

Pray for

10/10/2024

🔴ঢাকার ১০০টি সুস্বাদু খাবারের তালিকাঃ 🔴

১. বেচারাম দেউরীতে অবস্হিত নান্না বিরিয়ানি এর মোরগ-পোলাও।
২. কামালের বিরিয়ানী৷
৩. খিঁলগাও এর ভোলা ভাই বিরিয়ানী এর গরুর চাপ এবং মুক্তা বিরিয়ানী এর গরুর চাপ, খাসীর চাপ এবং ফুল কবুতর।
৪. মতিঝিলের ঘরোয়া হোটেল এবং হীরাঝীলের ভূনা খিচুড়ী।
৫. হোটেল আল-রাজ্জাকের কাচ্চি+গ্লাসি।
৬. লালমাটিয়ার স্বাদ এর তেহারী।
৭. নবাবপুর রোডে হোটেল স্টার এর খাসীর লেকুশ, চিংড়ি, ফালুদা।
৮. নয়াপল্টনে হোটেল ভিক্টোরীতে ৭০টি আইটেমের বুফে।
৯. হাতিরপুল মোড়ে হেরিটেজ এর শর্মা।
১০. ধানমন্ডির কড়াই গোশত এর ইলিশ সস।
১১. মোহাম্মদপুর জেনেভা/বিহারী ক্যাম্পের গরু ও খাশির চাপ।
১২. মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজারের সামনের বিহারী ক্যাম্পের "মান্জারের পুরি"
১৩. চকবাজারের শাহ সাহেবের বিরিয়ানী।
১৪. মিরপুর-১০-এর শওকতের কাবাব।
১৫. নারিন্দার শাহ সাহেবের ঝুনার বিরিয়ানী।
১৬. ইংলিশ রোডের মানিকের নাস্তা।
১৭. গুলশানের কস্তুরির সরমা।
১৮. রয়্যালের বাদামের শরবত লালবাগ।
১৯. পুরান ঢাকার মদিনা হোটেলের লুচি-ডাল৷
২০. নাজিরা বাজারের হাজীর বিরিয়ানী।
২১. জেলখানা গেটের পাশে হোটেল নিরবের ব্রেন ফ্রাই।
২২. নয়া বাজারের করিমের বিরিয়ানী।
২৩. হাজি বিরিয়ানী এর উল্টা দিকের হানিফের বিরিয়ানী।
২৪. লালবাগের ভাটের মসজিদের কাবাব বন।
২৫. মোহাম্মদপুরে সেন্ট জোসেফ স্কুলের গেটে এক মামার চানাচুর মাখা।
২৬. বংশালের শমসের আলীর ভূনা খিচুড়ী।
২৭. খিলগাঁও বাজারের উল্টো পাশে আল রহমানিয়ার গ্রীল চিকেন আর তেহারী।
২৮. মতিঝিল সিটি সেন্টারের পিছনের বালুর মাঠের পিছনের মামার খিচুড়ী।
২৯. চানখারপুলের নীরব হোটেলের ভুনা গরু আর ভর্তার সাথে ভাত।
৩০. ধানমন্ডী লায়লাতির খাসির ভুনা খিচুড়ী।
৩১. হোসনী দালান রোডে রাতের বেলার পরটা আর কলিজা ভাজি।
৩২. নাজিরা বাজার মোড়ে বিসমিল্লার বটি কাবাব আর গুরদার।
৩৩. পুরানা পল্টনে খানা-বাসমতির চাইনিজ প্যাকেজ।
৩৪. বনানীর বুমারস রেস্টুরেন্টের বুফে প্যাকেজ।
৩৫. মিরপুর ১ ঝালমুড়ি মামার মুড়ি ভর্তা৷ (কান্ট্রি বয়ের সামনে৷)
৩৬. গুলশান ২ এর খাজানার মাটন দম বিরিয়ানী এবং হাইদ্রাবাদী বিরিয়ানী।
৩৭. উত্তরার একুশে রেস্তোরার গ্রীল চিকেন।
৩৮. ধানমন্ডি/বনানীর স্টার হোটেলের কাচ্চি এবং কাবাব।
৩৯. মৌচাকের স্বাদ রেস্তোরার ভাতের সাথে ৩৬ রকমের ভর্তা।
৪০. সাইন্স ল্যাবে মালঞ্চ রেস্তোরার কাচ্চি বিরিয়ানী।
৪১. ফার্মগেটের ছোট সিঙ্গারা
৪২. বেইলী রোডে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির সামনের গরু, খাশির চাপ+স্যুপ।
৪৩. চানখারপুলের মামুন হোটেলে'র স্পেশাল (প্রতি মাসের ১ম শুক্রবার) কাচ্চি।
৪৪. মালিবাগ সোহাগ বাস কাউন্টারের সামনে শীতলের গ্রিলের সাথের সস (কিনতে পাওয়া যায় অর্ডার দিলে, খুব বেশী জোশ)।
৪৫. ধানমন্ডি ৮ নম্বরের চাপের দোকান।
৪৬. সেগুন বাগিচার এনজইয় রেস্টুরেস্ট এর গরুর কাবাব আর নান; দই ফুচকা।
৪৭. পুরানা পল্টনের ভাই ভাই রেস্টুরেন্ট এর কাচ্চি।
৪৮. হোটেল আল কাদেরিয়ার গ্রীল ৷
৪৯. স্টারের লেগ রোস্ট।
৫০. গ্যান্ড নওয়াবের কাচ্চি বিরিয়ানী৷
৫১. নবাবী ঝালমুড়ি (রামপুরা)
৫২. নীলক্ষেত এ ইয়াসিন আর ঢাকা বিরিয়ানি এর গরুর কাচ্চি।
৫৩. চকের নুরানী লাচ্ছি।
৫৪. চকবাজারের আলাউদ্দিন এর ভাযি-পুরি।
৫৫. চকবাজারের Bombay এর আফ্লাতুন।
৫৬. চকবাজারের আমানিয়া-র খাসীর গ্লাশী।
৫৭. মধ্য বাড্ডায় (গুদারাঘাট) 'নয়ন বিরিয়ানি হাউজ'-এর কাচ্চি, মোরগ পোলাও, তেহেরি (স্পেশাল)।
৫৮. গুলশানের পিনক সিটিতে 'Baton Rouge' এর বুফে।
৫৯. মটকা চা এন্ড মমো ৷
৬০. ঠাটারীবাজার স্টার এর কাচ্চি বিরিয়ানি।
৬১. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঢাকসু ভবনের পিছনের ফুসকা মামার ফুসকা৷
৬২. মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্পের মুস্তাকিমের চাপ৷
৬৩. লক্ষীবাজার এর মাসহুরের লুচি, ভাজি আর ডাল
৬৪. সুলতান ডাইন মেন্যু সেট।
৬৫. ভূত এর কাকড়া, সিজলিং, সূপ
৬৬. শর্মা এন পিজ্জার বীফ শর্মা
৬৭. মিরপুর ঝুট পট্টির রাব্বানির চা
৬৮. চকের নূরানি ড্রিংস এর লাচ্ছি
৬৯. চকের বিসমিল্লাহ হোটেলের মোঘলাই পরটা
৭০. সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলের সামনের মামার আলুর দম।
৭১. সোহরয়ার্দী কলেজের সামনে জসিমের চটপটি ও ফুচকা।
৭২. কলকাতা কাচ্চি ঘরের কাচ্চি বিরিয়ানী৷
৭৩. অমূল্য মিষ্টান্ন ভান্ডারের (শাঁখারীবাজার) হালুয়া, পরোটা, সন্দেশ।
৭৪. গোপীবাগের খাজা হালিম ও টিটির কাচ্চি
৭৫. বাসাবোর হোটেল রাসেলের "শিককাবাব"
৭৬. বায়তুল মোকাররমে অলিম্পিয়া কনফেকশনারীর "চকলেট পেস্টি"
৭৭. কর্নফুলি গার্ডেন সিটির চার তালার "ফুচকা" ৷
৭৮. কাঁটাবন ঢালে অষ্টব্যঞ্জনের বিফ খিচুড়ী ৷
৭৯. নারিন্দা/রায় সাহেব বাজারের সফর বিরিয়ানি (তেহারি)
৮০. ডিসেন্ট (মতিঝিল, হাতিরপুল, বনশ্রী, ধানমন্ডি, চক, নওয়াব---এদের প্রচুর শাখা) এর ডেজার্ট আইটেমগুলা ভালো।
৮১. ব্রাক ভার্সিটির কাছে নন্দনের বিফ আইটেম।
৮২. গুলশান ২ এর মোড়ে ঝালমুড়ি ওয়ালার টমেটো মাখানো।
৮৩. মহাখালি কন্টিনেন্টাল হোটেলের শর্মার সঙ্গে সস৷
৮৪. নিউমার্কেট এরিয়ায় পেয়ারা, আম মাখানো।
৮৫. নিমতলির বাদশাহ মিয়ার চা৷
৮৬. আগামাসিহ লেনের মাকসুদের খাসসির পায়ার নেহারী৷
৮৭. রায় সাহেব বাজারের বিউটি লাচ্ছি ৷
৮৮. ভিক্টোরিয়া পার্কের সুলতান ভাইয়ের দারুন মজার চা ৷
৮৯. ফকরুদ্দিনের কাচ্চি বিরিয়ানি, বোরহানি।
৯০. বিহারি ক্যাম্পের গরুর মগজ ফ্রাই ৷
৯১. মিরপুর ১ এর মিজানের ঝাল ফুচকা।
৯২. আরমানিটোলা তারা মসজিদের পাশে জুম্মন মামার চটপটি ৷
৯৩. পলাশীর মোড়ের ফ্রেশ ফলের জুস ৷
৯৪. সুত্রাপুর বাজারের রহিম মিয়ার খাসির বিরিয়ানি ৷
৯৫. গেন্ডারিয়ার আল্লার দান বিরিয়ানি আর রহমান এর কাবাব৷
৯৬. কলতাবাজারের নাসির হোটেলের বিখ্যাত গরুর মাংশ আর পরাটা ৷
৯৭. সিদ্দিক বাজারের মাজাহার সুইটস ৷
৯৮. সোনা মিয়ার দই
৯৯. উর্দু রোড এর খেতাপুরি, বাখরখানি ৷
১০০. নর্থ ব্রুক হল রোডের চৌরঙ্গীর লুচি-ডাল ৷

[বিঃদ্রঃ ইহা অনেকগুলো পুরাতন পোষ্ট থেকে মিলিয়ে করা৷ এর অনেক কিছুই হয়তোবা এখন পরিবর্তন হয়েছে৷ আগের অনেক কিছুতেই আগের সেই টেষ্টটা এখন পাওয়া যায়না৷ আবার নতুন অনেক রেষ্টুরেন্টও হয়েছে যেগুলোর খাবারের মান অনেক ভালো৷ তাই সকলে কমেন্ট করে জানান কোন কোন জিনিষগুলো এই লিষ্ট থেকে বাদ দেওয়া উচিত আর কি কি এড করা উচিত৷]

07/10/2024

3, 2, 1
"কাউন্ট ডাউন"
শুরু হয়েছে "৩৬ জুলাই" থেকে এই বিপল্লবী ও নতুন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ও নরপশুদের পক্ষপাতীত্বকারিদের প্রতি ব্যক্তি কে শাস্তির আওতায় আনা হবে।
ইনশাআল্লাহ আল্লাহ ন্যায় বিচারক।

05/10/2024

পকেট শূন্য পুরুষেরা কোথায়ও শান্তি পায়না...

02/10/2024

কিছু প্রশ্ন বিশেষ করে বাংলাদেশ #সেনাপ্রধানের নিকট #শেখ_হাসিনা কে সেফ প্যাসেজ দিয়ে সেনা বা বিমান বাহিনীর নিজস্ব বিমানে দুপুর ৩ টার পর কি করে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়?

রহস্যময় পুরুষ ইলিশ! যাকে দেখা যায় না, ধরা যায় না!(শিবব্রত বর্মন)ইলিশের বিচরণ কেবল মেঘনার অববাহিকাতেই সীমাবদ্ধ নয়। সাগ...
02/10/2024

রহস্যময় পুরুষ ইলিশ! যাকে দেখা যায় না, ধরা যায় না!

(শিবব্রত বর্মন)

ইলিশের বিচরণ কেবল মেঘনার অববাহিকাতেই সীমাবদ্ধ নয়। সাগর থেকে তারা মিয়ানমারের ইরাবতী নদী এবং পশ্চিমবঙ্গের ভাগীরথী-হুগলী নদীতে প্রবেশ করে। তা ছাড়া ইলিশের উপস্থিতি রয়েছে আরও সুদূরে। পূর্বের মেকং বদ্বীপ থেকে শুরু করে পশ্চিমের পারস্য উপসাগরেও দেখা মেলে তাদের।


আপনি যখন নিজ শহরের স্থানীয় বাজার থেকে একটি ইলিশ কিনবেন, সম্ভাবনা অত্যন্ত প্রবল যে সেই মাছটি হবে নারী ইলিশ, যার পেটভর্তি ডিম। ইলিশের মৌসুমে আক্ষরিক অর্থেই দেশের কোণে কোণে প্রতিটি বাজার উপচে পড়ে নারী ইলিশে। অথচ পুরুষ ইলিশ যেন অমাবস্যার চাঁদের মতোই দুর্লভ।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অক্টোবর মাসে যখন ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম চলে, তখন প্রায় সমপরিমাণ নারী ও পুরুষ ইলিশই নদীর উজান পেরিয়ে আসে মিঠাপানিতে। তাহলে এই পুরুষ ইলিশরা সব যায় কই? কীভাবে তারা লোকচক্ষুর অন্তরালে স্রেফ উধাও হয়ে যায়?

মধ্য-সেপ্টেম্বরে আমি যখন চাঁদপুরে দেশের সর্ববৃহৎ ইলিশের পাইকারি বাজারে হাজির হলাম, আমি এ ব্যাপারটা দেখে খুবই অবাক হলাম যে মাটিতে সারি বেঁধে থাকা সকল ইলিশই নারী ইলিশ।

যে প্রশ্নটিকে সামনে রেখে আমি আমার যাত্রা শুরু করেছিলাম, সেটিই ছুড়ে দিতে থাকলাম সকল ব্যবসায়ীর সামনে : সব পুরুষ ইলিশ কোথায় গেছে?

কিন্তু এত বড় বাজারের একটি লোকও আমাকে এই রহস্যের মীমাংসা সম্ভব এমন কোনো বিশ্বাসযোগ্য জবাব দিতে পারল না।

'আমরা পুরুষ ইলিশ নিয়ে মাথা ঘামাই না। আমরা এতেই খুশি যে সবগুলো মাছই নারী ইলিশ, আর তাদের পেটভর্তি ডিম। ক্রেতারাও এমন ইলিশই চায়, তাই এগুলোই বিক্রি হয়,' বলেন মাছ ব্যবসায়ী মিরাজ আহমেদ। হাজী সিরাজ এন্টারপ্রাইজ নামে তার একটি ট্রেডিং হাউজ আছে।


এদিকে মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ নিয়ে কাজ করে ওয়ার্ল্ডফিশ নামের একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। সেখানকার ইলিশ বিশেষজ্ঞ ড. আব্দুল ওয়াহাব বলেন, 'ইকোফিশ প্রকল্প থেকে পরিচালিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, প্রজনন মৌসুমে একটি ইলিশের ঝাঁকে নারী পুরুষের অনুপাত থাকে ৫৫:৪৫।'

তাহলে আমরা চারদিকে কেবল নারী ইলিশই দেখি কেন? কয়েক বছর আগে একই প্রশ্ন তাড়া করে বেড়ায় আব্দুল কাইয়ুম নামের আরেক সাংবাদিক ও পপুলার সায়েন্সের লেখককেও। তিনি চেষ্টা করেন রহস্যভেদের।

কাইয়ুম বলেন, 'বেশ কয়েকজন জেলে ও বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলে আমি জানতে পারি, পুরুষ ইলিশ আসলে আমরা যতটা ভাবি ততটা বিরল নয়। জেলেরা তাদের জালে পুরুষ মাছও ধরে, কিন্তু কোন মাছটি পুরুষ আর কোনটি নারী, তা তারা আলাদা করতে পারে না, কেননা পুরুষ ইলিশের কোনো জননাঙ্গ নেই।'

ড. ওয়াহাব বলেন, 'নারী ইলিশরা যেভাবে পানিতে তাদের ডিম ছাড়ে, পুরুষ ইলিশরা পানি ঠিক সেভাবেই ছাড়ে তাদের বীর্য। আর এই দুটি জিনিস প্রায় একই রকম দেখতে। শুধু এটুকুই ব্যতিক্রম যে, পুরুষ ইলিশদের ভেতরে ডিম থাকে না, কিন্তু সে কথা ডিম ছাড়া নারী ইলিশদের বেলায়ও প্রযোজ্য।'

তাই কেবল একজন বিশেষজ্ঞের চোখই বলতে পারে কোন ইলিশ পুরুষ। ঠিক তেমনই একজন বিশেষজ্ঞ হলেন ইকোফিশের চাঁদপুরভিত্তিক গবেষণা সহযোগী কিঙ্কর সাহা।

কিঙ্কর বলেন, 'বেশ কয়েক বছর আগে একটি গবেষণার কাজে আমি ছিলাম চর ভৈরবের একটি মাছধরা নৌকায়। পানি থেকে জাল গোটানোর পর জেলেরা সবাই খুব মর্মাহত হয়ে পড়েন। জালে আটকা পড়া মাছগুলো ছিল আকারে ছোট এবং এরা দেখতেও ছিল তুলনামূলকভাবে দুর্বল, ক্ষীণকায় ও অনাকর্ষণীয়। একটু ভালোভাবে খেয়াল করতেই আমি বুঝলাম, সেখানকার প্রায় ৬২ শতাংশ মাছই ছিল পুরুষ। এটি ছিল প্রধানত একটি পুরুষ ইলিশের ঝাঁক, যা বেশ বিরল একটি ব্যাপার, কেননা একটি মাছের ঝাঁকে সাধারণত ৪০-৪৫ শতাংশ ইলিশ পুরুষ হয়ে থাকে।'

চাঁদপুরের মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ড. আনিসুর রহমান বলেন, 'নারী ইলিশের মাঝে যে দীপ্তি দেখা যায়, পুরুষ ইলিশের ভেতর তা অনুপস্থিত। তারা দেখতে কদাকার না হলেও কিছুটা অনাকর্ষণীয় তো বটেই।'

গতানুগতিক মাছের বাজারে তাই আর এসব পুরুষ ইলিশের ঠাঁই হয় না। জেলেরা সেগুলোকে আলাদা করেন এবং পাঠিয়ে দেন লবণ মাখিয়ে শুকানোর জন্য। স্থানীয় কৌশলে সংরক্ষিত এসব ইলিশকে বলা হয় 'নোনা ইলিশ'।

ড. ওয়াহাব এভাবে ব্যাখ্যা করেন, স্যামন, স্মেল্ট, হিকরি শ্যাড, ল্যাম্প্রে এবং গালফ স্টার্জনের মতো ইলিশও একটি অ্যানাড্রোমাস মাছ, যারা একটি বিশেষ ধরনের জীবনচক্র অনুসরণ করে থাকে। তাদের জন্ম হয় মিঠাপানিতে। এরপর অভিবাসিত হয়ে আট মাস তারা সমুদ্রে চলে যায় এবং সেখানেই কৈশোর পেরিয়ে পরিণত মাছ হয়ে ওঠে। তারপর তারা আবার মিঠাপানিতে ফিরে আসে প্রজননের উদ্দেশ্যে।


ইলিশ যৌনকর্মে লিপ্ত হয় না। পুরুষ মাছ পানিতে তাদের ফোমের মতো শুক্রাণু ছেড়ে দেয় এবং নারী মাছ ওই ফোম-সদৃশ ব্রথের ওপর তাদের ডিম্বাণু ছেড়ে সেগুলোকে নিষিক্ত করে।

অক্লান্ত প্রচেষ্টার মাধ্যমে গবেষকেরা অবশেষে ইলিশের প্রজনন মৌসুমের দিনক্ষণ শনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। বাংলা আশ্বিন মাসের প্রথম চাঁদের আগে-পরে মেঘনা নদীসহ এর অসংখ্য শাখা-প্রশাখা ধরে ইলিশ মাছ উজান বেয়ে মিঠাপানিতে আসতে থাকে।

'নদীর শক্তিশালী স্রোতের ফলে নারী ও পুরুষ উভয় ইলিশের শিরদাঁড়া বেয়েই শিহরণ বয়ে যায়।' ড. আব্দুল ওয়াহাব ব্যাখ্যা করেন, 'এতে তারা তীব্র যৌন উদ্দীপনা অনুভব করে, ফলে তুমুল বেগে উজান বেয়ে সাঁতরাতে থাকে।'

ইলিশের বিচরণ কেবল মেঘনার অববাহিকাতেই সীমাবদ্ধ নয়। তারা মিয়ানমারের ইরাবতী নদী এবং পশ্চিমবঙ্গের ভাগীরথী-হুগলী নদীতে প্রবেশ করে। তা ছাড়া ইলিশের উপস্থিতি রয়েছে আরও সুদূরে। পূর্বের মেকং বদ্বীপ থেকে শুরু করে পশ্চিমের পারস্য উপসাগরেও দেখা মেলে তাদের। এমনকি ইউফ্রেটিস নদীতেও খুঁজে পাওয়া যেতে পারে ইলিশকে।

'কিন্তু মেঘনার মোহনায় যে পরিমাণ ইলিশ দেখা যায়, আর কোথাও এই মাছকে এত বেশি দেখা যায় না,' বলেন ওয়ার্ল্ডফিশের ইকোফিশ প্রকল্পের প্রধান ড. ওয়াহাব।

'তা ছাড়া সব ইলিশের পেটভর্তিও ডিম থাকে না,' যোগ করেন তিনি।


ড. আনিসুর রহমান বলেন, 'আমরা বাজারে ডিমহীন নারী ইলিশও পাব। ডিম ছাড়ার পর ফিরতি যাত্রায় নারী মাছদের খুব ক্লান্ত দেখায়। তখন তাদেরকে পুরুষ ইলিশের মতোই অনাকর্ষণীয় দেখায়। ফলে একজন সাধারণ জেলের পক্ষে একটি ইলিশ নারী না পুরুষ, তা শনাক্ত করা আরও দুরূহ ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। স্থানীয় ভাষায় জেলেরা তাদের ডাকে "পাইক মাছ" বলে।'

মেঘনার এক জেলে মানিক দেওয়ান বলেন, 'আমরা জানি এবং শুনেছিও আমাদের ধরা মাছের মধ্যে পুরুষ ইলিশ আছে। কিন্তু আমরা তাদের শনাক্ত করার ব্যাপারে মাথা ঘামাই না। আমাদের একমাত্র চিন্তার বিষয়- মাছের আকার ও চেহারা। আমাদের জন্য মাছ দুরকম, ভালো মাছ ও পাইক মাছ।'

হাইমচরের কাছাকাছি মেঘনার মোহনা ইলিশ ধরার জন্য খুবই বিখ্যাত এলাকা। সেখানে ঘুরতে ঘুরতে আমি একটি গুজব শুনতে পাই। পানিতে বীর্য ছাড়া এবং বাহ্যিকভাবে ডিম নিষিক্ত করার পর পুরুষ ইলিশ একধরনের লিঙ্গ রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যায়। তারা পরিণত হয় নারী ইলিশে।

ড. ওয়াহাব বলেন, 'আমাদের কাছে এমন কোনো প্রমাণ নেই। এখন পর্যন্ত কোনো গবেষণাই আমাদেরকে এ ধরনের মেটামরফোসিসের ইঙ্গিত দেয়নি।'

(লেখাটি প্রথম প্রকাশিত হয় দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডে, ২০১৯ সালের ৯ অক্টোবর)

মূল লেখা: The illusive male hilsha
🐟

Address

Dhaka

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Sabbir Ahm posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Sabbir Ahm:

Videos

Share