14/09/2023
ইস্তিগফারের সীমাহীন উপকারিতা সম্পর্কে জানলে আমরা এই আমলটিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতাম। আসুন, আজ বিস্তারিত জেনে নিই।
(১) ইস্তিগফার আজাব-গজব থেকে সুরক্ষা:
আল্লাহ তা‘আলা কুরআন কারিমে বলেন, ‘‘আল্লাহ কখনই তাদের উপর আজাব দেবেন না, যতক্ষণ আপনি (নবিজি) তাদের মাঝে অবস্থান করছেন এবং তারা ইস্তিগফার করা অবস্থায়ও তাদের উপর আজাব অবতীর্ণ করবেন না।’’
[সুরা আনফাল, আয়াত: ৩৩]
আজাব আসার প্রতিবন্ধক ছিলেন নবিজি। তিনি চলে গেছেন। এখন বাকি আছে ইস্তিগফার। সুতরাং এর গুরুত্ব কত বেশি, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
(২) উপভোগ্য জীবনের নিশ্চয়তা:
আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ‘‘আর, তোমরা তোমাদের রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো, অতঃপর তাঁর দিকে ফিরে আসো। তাহলে, তিনি তোমাদেরকে নির্দিষ্ট সময় (মৃত্যু) পর্যন্ত (দুনিয়াতে) উৎকৃষ্ট ভোগ-উপকরণ উপভোগ করাবেন এবং প্রত্যেক (আমলকারী) মর্যাদাশীলকে (আখিরাতে) প্রাপ্য মর্যাদা দেবেন। আর যদি তোমরা বিমুখ হয়ে থাকো, তবে আমি তোমাদের উপর এক মহা-দিবসের শাস্তির আশঙ্কা করছি।’’
[সুরা হুদ, আয়াত: ০৩; ব্রাকেটে উল্লেখিত ব্যাখ্যা তাফসিরে ইবনে কাসির: ২/৪৩৬ ও তাফসিরে আদওয়াউল বায়ান হতে]
(৩) ইস্তিগফার করলে গুনাহ মাফ হয় এবং আল্লাহর রহমতপ্রাপ্ত হওয়া যায়:
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন, ‘‘যে গুনাহ করবে অথবা নিজের উপর জুলুম করবে, অতঃপর আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা (ইস্তিগফার) করবে, সে আল্লাহকে ক্ষমাশীল, দয়াময় পাবে।’’
[সুরা নিসা, আয়াত: ১১০]
(৪) ধন-সম্পদ ও সন্তানাদি বৃদ্ধি এবং উত্তম জীবনের নিয়ামত লাভের উপায় ইস্তিগফার:
কুরআন কারিমে এসেছে, ‘‘(নুহ আ. বললেন) অতঃপর আমি বললাম, তোমরা তোমাদের রবের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করো। তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল। তিনি তোমাদের উপর মুষলধারে বৃষ্টি দেবেন, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি বাড়িয়ে দিবেন, তোমাদের জন্য বাগ-বাগিচা স্থাপন করবেন এবং তোমাদের জন্য নদী-নালা প্রবাহিত করবেন।’’
[সুরা নুহ, আয়াত: ১০–১২]
(৫) শয়তানকে পরাজিত করার শক্তিশালী এক হাতিয়ার হলো ইস্তিগফার:
হাদিসে কুদসিতে এসেছে, “ইবলিস তার রবকে বললো, আপনার সম্মানের শপথ! আমি আদম-সন্তানকে পথভ্রষ্ট করতেই থাকবো, যতক্ষণ তাদের মধ্যে রূহ থাকে। আল্লাহ বলেন, আমার সম্মান, আমার বড়ত্ব ও আমার উচ্চ অবস্থানের শপথ! আমিও তাদের ক্ষমা করতেই থাকবো, যতক্ষণ তারা আমার নিকট ইস্তিগফার করবে।”
[ইমাম আহমাদ, আল-মুসনাদ: ১১২৩৭; শায়খ আলবানি,