TINKI's Gallery

TINKI's Gallery Welcome to my Page
And my YouTube Channel -https://youtube.com/?si=UryZ_amGLqXNvr5B আসসালামু আলাইকুম।
" TINKI's Gallery " পেইজ এ আপনাকে স্বাগতম।

28/12/2024

কম সময়ের মধ্যে অথেন্টিক সরিষা ইলিশ রেসিপি/ Easy shorsheillish recipe

07/12/2024

সবাই মিলে যখন মাটির চুলায় বিরিয়ানি খেতে মন চায়

28/11/2024

চালতা দিয়ে মাছের ঝোল এই রেসিপিটা দারুন লাগবে
chalta diye fish curry recipe


নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের ' দাম ' বুঝতে শিখুন।  নিজের ' ভালো খারাপ ' টা বুঝতে শিখুন। নিজেকে নিজেই              ' মোটিভেট '...
25/11/2024

নিজেকে ভালোবাসুন, নিজের ' দাম ' বুঝতে শিখুন। নিজের ' ভালো খারাপ ' টা বুঝতে শিখুন। নিজেকে নিজেই ' মোটিভেট ' করুন। নিজের উপর 'ভরসা' রাখুন। নিজেই নিজের ' সবচেয়ে প্রিয় ' হয়ে থাকুন। এই দুনিয়ায় আপনার আপনি ছাড়া আর কেউ নেই।

05/06/2023

প্রেম-ভালোবাসা, বিয়ে এর ক্ষেত্রে বংশ/ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

ধর তুমি বদরুল। পড়ছ প্রাইমারী স্কুলে, পাব্লিক ভার্সিটিতে। ছোটবেলায় শখ আহলাদ বলে কিছুই তোমার ছিল না। সারাজীবন বাবা-মা র কাছে ফিজিকালি আর মেন্টালি এবিউসড হইছ।

আগের জন্মে কোন এক পূণ্যের কারণে ধনীর দুলালী আফসানার সাথে তোমার বিয়ে হল।

আফসানার বাবা-মা আফসানার জন্য কোন কিছু করা বাকি রাখে নাই। সে যা চাইছে পাইছে।

এখন আফসানা তার বন্ধুদের সাথে হ্যাংআউটে গেলে তোমার খারাপ লাগে। কারণ তোমার ফ্যামিলিতে মেয়েদের এত খুশী দেখে তুমি অভ্যস্ত না।

সারাজীবন নিজের মা কে রান্নাঘরে পচতে দেখে তুমি অভ্যস্ত। তুমি বা তোমার মা কেউ ই চাবে না আফসানা রান্না না করে ঘুরে বেড়াক।

আফসানা যে নিজের মত থাকতে চায় এটাও তোমার ভাল লাগে না। কারণ, একে অন্যের পিছে আঙুল দেওয়াই তোমাদের পারিবারিক রীতি।

আফসানার ভাল থাকাটাকে তোমার মনে হবে স্বার্থপরতা। কেননা, নিজের ভালো চাওয়াটাকে তোমার ফ্যামিলিতে এভাবেই দেখা হয়।

আসলে তোমার ও দোষ নাই। যে পাখি উড়তে পারে না সে উড়াটাকে পাপ না ভাবলে মানসিক শান্তি বিঘ্নিত হবে।

এইকারণে বিসিএস ক্যাডার, ইউএস সিটিজেন, ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার এসব দেখে বিয়ে দেওয়ার আগে, পরিবারটাও দেখবেন। পরিবার যদি ফকিন্নী মার্কা হয়, পাত্র/পাত্রী নিজ গুণে বিলগেটস হলেও কোথাও না কোথাও রিস্ক থেকে যায়।

হুট করে দুইটা পয়সা বেশি কামানো যতটা কঠিন
জাতে ওঠা তার চাইতে শত গুণে কঠিন।

©

10/05/2023

স্ত্রী যখন আট মাসের গর্ভবতী তখন আমার শাশুড়ি এসে স্ত্রীকে নিয়ে গেলো বাপের বাড়ি।
ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস, মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার দুদিন পর শাশুড়ি স্ট্রোক করলো। এতে তার শরীরের বাঁ দিক অবশ হয়ে গেলো। যে মেয়েকে নিয়ে গিয়েছিলো দেখাশোনা করার জন্য, সেই মেয়ে এখন উল্টো মাকে দেখাশোনা করতে লাগলো।
অসুস্থ শাশুড়িকে দেখতে গিয়ে স্ত্রীকে বললাম,"সন্তান জন্মের পরই বাড়িতে চলে এসো।"
স্ত্রী বললো,"বাবা সারাদিন চাকরিতে ব্যস্ত থাকেন। ছোটো ভাইও ভার্সিটি, টিউশনি নিয়ে দিনভর বাইরে থাকে। গোটা দিন মাকে দেখার কেউ নেই। এই অবস্থায় অসুস্থ মাকে রেখে কী করে যাই?"
"কী বলতে চাও তুমি?"
"মা নিজে নিজে উঠতে বসতে পারলে, এবং কিছুটা হাঁটতে পারলে আমি চলে যাবো। সেই পর্যন্ত আমাকে থাকতে দাও।"
বিরক্ত হয়ে বললাম,"তোমার মায়ের ঐ অবস্থায় আসতে ছয় মাস লাগবে। ততোদিন থাকবে এখানে?"
"ছয় মাস লাগবে না। ডাক্তার বলেছেন দু মাসের মধ্যে হয়ে যাবে।"
অসন্তুষ্ট হয়ে শ্বশুরবাড়ি থেকে চলে এলাম। যথা সময়ে আমার একটা ছেলে সন্তান হলো। স্ত্রী ঐ সদ্যজাত ছেলেকে নিয়ে মায়ের সেবা করে যেতে লাগলো।
এই সময় আমার মা অসুস্থ হয়ে পড়লো। এবার তো স্ত্রীকে আনতেই হবে।
স্ত্রীকে যেদিন আনতে গেলাম সেদিন অসুস্থ শাশুড়ি বাচ্চাদের মতো কাঁদলো।
শাশুড়ি মেয়ের হাত ধরে বারবার বলছিলো,"তুই চলে গেলে আমি মরে যাবো। একদম মরে যাবো।"
উত্তরে মেয়ে বললো,"মাগো, মেয়েদের জীবন এতো কঠিন কেনো? নিজের অসুস্থ মাকে ফেলে কেনো চলে যেতে হয়?"
মেয়ে চলে যাক এটা ওদের বাড়ির কেউ চাইছিলো না। কিন্তু আমি নিরুপায়। স্ত্রী যেমন তার মায়ের কথা ভাবছিলো, আমিও তেমনি আমার মায়ের কথা ভাবছিলাম।
স্ত্রীকে নিয়ে আসার পর শাশুড়ির শরীরের অবস্থার অবনতি হলো।
আমার মা কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে স্ত্রী একদিন আমাকে বললো,"আমাকে এবার মায়ের কাছে যেতে দাও। তুমি তো জানোই মায়ের শরীর খুব খারাপ হয়ে গেছে।"
স্ত্রী চলে গেলে মায়ের সেবা যত্নের ঘাটতি হবে। এতে মা'র অসুস্থতা বেড়ে যেতে পারে।
তাই বললাম,"অবশ্যই না। আমার মা পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তুমি যেতে পারবে না।"
সে স্তব্ধ হয়ে আমার দিকে চেয়ে রইলো।
এর কিছু দিন পর আমার শাশুড়ি মারা গেলো। সেদিন স্ত্রী আমার দিকে এমন ভাবে তাকালো, যার অর্থ হলো, "তোমার জন্য আমার মা মারা গেলো।"
জানি, মায়ের মৃত্যুর জন্য সে আজীবন আমাকে দায়ী করবে। কিন্তু সে কখনোই আমার অবস্থার কথা ভাববে না।
তবে সাতাশ বছর পর এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি হলো, যখন আমি প্রমাণ করতে পারলাম, শাশুড়ির মৃত্যুর জন্য আমি দায়ী নই।
ঘটনা কী হয়েছিলো বলি। আমার স্ত্রী তখন অসুস্থ। ছেলের বউ তার সেবা করছিলো। এই সময় আচমকা ছেলের শাশুড়িও অসুস্থ হয়ে পড়লো। তাকে দেখাশোনা করার কেউ নেই।
ছেলের বউ তখন বাপের বাড়ি যেতে চাইলে ছেলে ঠিক আমার কথাটাই বললো,"অবশ্যই না। আমার মা পুরোপুরি সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তুমি যেতে পারবে না।"
ছেলের বউ স্তব্ধ হয়ে তার স্বামীর দিকে তাকালো, ঠিক যেভাবে আমার স্ত্রী একদিন আমার দিকে তাকিয়েছিলো।
আমি সেদিন আমার স্ত্রীকে বললাম,"তোমার মায়ের মৃত্যুর জন্য তুমি আমাকে দায়ী ভাবো। কিন্তু এখন নিজের ছেলেকে দেখে বুঝলে তো, আমি পরিস্থিতির স্বীকার ছিলাম। আমার মা যদি সে সময় অসুস্থ না থাকতো, তাহলে তোমাকে যেতে দিতাম। আমার কিছু করার ছিলো না।"
স্ত্রী শোয়া অবস্থায় বললো,"কিছু করার ছিলো না?"
"না।"
সে তখন ছেলেকে আর ছেলের বউকে ডাকলো।
ওরা এলে প্রথমে ছেলেকে বললো,"তুই নিজের মায়ের কথা ভাবছিস, এটা মা হিসেবে আমার জন্য আনন্দের। কিন্তু এটা ভুলে গেলে চলবে না, তোর শাশুড়ি হলো তোর স্ত্রীর মা। তোর যেমন মন কাঁদছে মায়ের জন্য, তোর বউয়েরও তেমন মন কাঁদছে তার মায়ের জন্য।"
ছেলে তখন বললো,"কিন্তু আমি কী করতে পারি? তোমাকে এই অবস্থায় রেখে বউকে তো আর বাপের বাড়িতে পাঠাতে পারি না।"
আমার স্ত্রী তখন যে কথা বললো তার জন্য আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।
সে বললো,"তোর শাশুড়িকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আয়। নতুবা আমাকে নিয়ে চল তোর শ্বশুরবাড়িতে।"
তারপর ছেলের বউকে বললো,"এক সাথে দুই অসুস্থ মায়ের সেবা করতে আপত্তি নেই তো তোমার?"
ছেলের বউ অপ্রত্যাশিত এই কথা শুনে আমার স্ত্রীর হাত ধরে কেঁদে দিলো।
এবং বললো,"কোনো আপত্তি নেই মা।"
ছেলে কিছুক্ষণ চুপ থেকে বললো,"শাশুড়িকে এখানে নিয়ে আসার ব্যবস্থা করছি।"
খরচ নিয়ে ভাবতে হয় নি। ছেলের শ্বশুরবাড়ি থেকে সব খরচ বহন করা হয়েছিলো। এমনকি আমার স্ত্রীর চিকিৎসার খরচও তারা অনেকখানি দিয়েছিলো।
মেয়ের সান্নিধ্যে থেকে ছেলের শাশুড়ি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠলো। এবং যেদিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেলো, সেদিন থেকে অপরাধ বোধের কারণে স্ত্রীর চোখের দিকে আর তাকাতে পারি নি। কেননা, অবশেষে শাশুড়ির মৃত্যুর জন্য দায়ী হয়ে গেলাম।
আমার স্ত্রী ছেলের শাশুড়িকে এনে যে সমাধান দিয়েছিলো সেটা আমার শাশুড়ির ক্ষেত্রেও করতে পারতাম। কিন্তু করতে পারি নি, কারণ সেদিন শুধু আমার মায়ের কথা ভেবেছিলাম। স্ত্রীর মায়ের কথা নয়। আর তাছাড়া আমার স্ত্রী যদি সেদিন এই সমাধানের কথা বলতো, তবে ঝামেলা হবে ভেবে রাজি হতাম না।
আসলে অন্যের জন্য ভাবতে গেলে বড়ো মন লাগে। যা আমার স্ত্রীর আছে। আমার নেই।
এই শেষ বেলায় চাওয়া এখন একটাই, ছেলে তার মায়ের মতো হোক। বাবার মতো নয়।

বয়স থাকতেই হাসবেন্ড ওয়াইফ,  কোয়ালিটি টাইম এনজয় করা উচিৎ, ভালো কোথাও বছরে একবার ঘুরতে যাওয়া,মাসে অথবা সপ্তাহে রেস্টুরেন্ট...
10/05/2023

বয়স থাকতেই হাসবেন্ড ওয়াইফ, কোয়ালিটি টাইম এনজয় করা উচিৎ, ভালো কোথাও বছরে একবার ঘুরতে যাওয়া,মাসে অথবা সপ্তাহে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া
অনেক সময় টাকা পয়সা অপচয় মনে হতে পারে,জীবনে বেঁচে থাকলে রিজিকের ব্যাবস্থা হবেই..

কিন্তু একটা সময় আসে বৃদ্ধ বয়সে আপনার টাকাই থাকবে হয়তো কিন্তু আপনি চাইলেই কিছু খেতে পারবেন না,শারিরীক অসুস্থতায়, ঘুরতে মন চাইলেও তখন পারবেন না,দামী জামা কাপড় চাইলেও পড়তে মন চাইবে না৷ ।

সন্তানের লেখা পড়া অথবা বিভিন্ন রেসপন্সিবিলিটি আসবে, তার মধ্যেও সময় বের করা যায়... সব, সম্পদ, টাকা সন্তানের জন্য সঞ্চয় করবেন কিন্তু অল্প কিছু নিজেদের জন্য বরাদ্দ রাখা উচিৎ...

দিন শেষে আপনার বাচ্চার ও আলাদা লাইফ হবে,সে তার লাইফ এনজয় করবে,তখন খারাপ লাগবে.....
তখন মেয়ে মেয়ের জামাই, ছেলে ছেলের বউ ঘুরতে গেলে, রেস্টুরেন্টে গেলে, আফসোস হবে না, তাদের এনজয়মেন্ট তখন ভালো লাগবে... তারাও সম্মান করবে..

টেনশন , টাকা পয়সার টানাটানি , ব্যবসায় প্রবলেম , হাজার হাজার মানসিক কস্ট।কিন্তু এইগুলো যেনো সম্পর্কে প্রভাব না ফেলে।

জীবনের এই ছোট ছোট এনজয়মেন্ট এর জন্য আপনার মন মানসিকতা উদার হবে, সবাই কে নিয়ে ভালো থাকতে পারবেন,
একটা সময় লাইফ পার্টনার থাকবে না পাশে কিন্তু আপনাদের অসংখ্য স্মৃতি বাঁচতে শিখাবে বাকি জীবন.…

সংগৃহীত

সদ্য স্নাতক পাশ করা ছেলেকে ভাল একটা উপহার দেয়ার জন্য বাবা তাকে নিয়ে গ্যারেজে গেলেন।বললেন, এখানের এই গাড়িটা অনেক বছর আগে ...
15/12/2022

সদ্য স্নাতক পাশ করা ছেলেকে ভাল একটা উপহার
দেয়ার জন্য বাবা তাকে নিয়ে গ্যারেজে গেলেন।

বললেন, এখানের এই গাড়িটা অনেক বছর আগে আমি নিয়েছিলাম। এখন এর অনেক বয়স হয়ে গেছে। তোমার খুশীর এই মুহূর্তে এটা আমি তোমাকে উপহার হিসেবে দিতে চাই।

তবে তার আগে তুমি এটা বিক্রির জন্য ব্যবহার করা গাড়ির শোরুমে যাও এবং দেখ তারা এটার কত দাম বলে।”

ছেলে ব্যবহৃত গাড়ির শোরুম থেকে বাবার কাছে ফিরে এসে বলল, ′′ তারা এই গাড়ির মূল্য এক হাজার ডলার বলেছে, কারণ এটি দেখতে খুব জরাজীর্ণ।”

বাবা বললেন, “এবার এটা ভাঙ্গারি দোকানে নিয়ে যাও, দেখ ওরা কি বলে!”

ছেলে ভাঙ্গারি দোকান থেকে ফিরে এসে বলল, “এটা অনেক পুরনো গাড়ি বলে ওরা মাত্র ১০০ ডলার দাম দিতে চায়।′′

বাবা তখন একটা গাড়ির ক্লাবে গিয়ে গাড়িটা দেখাতে বললেন।

ছেলে গাড়িটি ক্লাবে নিয়ে গেল এবং ফিরে এসে খুশিতে তার বাবাকে বলল, "ক্লাবে কিছু লোক খুবই কৌতূহলি হয়ে গাড়িটি পর্যবেক্ষণ করলো এবং এর জন্য এক লক্ষ ডলার অফার করেছে। যেহেতু এটি একটি Nissan Skyline R34, একটি আইকনিক গাড়ি।"

তখন বাবা তাঁর ছেলেকে বললেন, "সঠিক জায়গার সঠিক লোক তোমাকে সঠিক ভাবেই মূল্যায়ন করবে। আর যদি কোথাও তোমাকে মূল্য না দেওয়া হয়, তবে রাগ করবেনা।

বুঝে নিবে এর মানে তুমি ভুল জায়গায় আছো। তারাই তোমার মূল্য দিবে, যাদের নিজেদের মূল্যবোধ আছে, গুণের মর্ম উপলব্ধি করার মত যোগ্যতা আছে।

এমন জায়গায় কখনো থেকো না যেখানে তোমার প্রকৃত মূল্যায়ন কেউ করে না।”

আমি বিয়ে করেছি ২০০১ সালের ৭ই জুন।সেই হিসেবে এই বছর  ৭ই জুন ছিল আমাদের ২১তম বিয়ে বার্ষিকী। বিয়ের দুই তিন বছর,বাচ্চা হওয়ার...
28/09/2022

আমি বিয়ে করেছি ২০০১ সালের ৭ই জুন।

সেই হিসেবে এই বছর ৭ই জুন ছিল আমাদের ২১তম বিয়ে বার্ষিকী।

বিয়ের দুই তিন বছর,বাচ্চা হওয়ার আগ পর্যন্ত বিয়ে বার্ষিকী পালন করতাম।

বউকে বাইরে নিয়ে যেতাম,পছন্দের ড্রেস কিনে দিতাম। ফুল কিনে দিতাম।পছন্দের মুভি দেখতাম। ফেরার পথে ভালো কোন রেস্টুরেন্টে খাওয়াদাওয়া করতাম।

বাচ্চা হওয়ার পর এসব বন্ধ হয়ে গেলো।

স্বাভাবিক কারনেই বাচ্চা হওয়ার পর বউয়ের কাছে স্বামীর গুরুত্ব কমে যায়। হয়তো ভালবাসাও। এই সময়ে এসে ভালবাসা বাচ্চার সাথে ভাগাভাগি হয়ে যায়।

আমার দুই বাচ্চা। ওদেরকে নিয়েই বউয়ের জগৎ। আমার চেয়ে বাচ্চাদের দিকেই তার মনোযোগ বেশি। হয়তো সব মায়েরাই তা করেন।

আজকাল বিয়ে বার্ষিকীর কথা মনেই থাকে না। কেউ হয়তো মনে রাখার চেষ্টাও করি না। নিজেদের জম্মদিনও তেমন একটা পালন করা হয় না।

এই বছর ৭ই জুনের ঘটনা।

আমি ডায়াবেটিস রোগী। সকাল বেলা রুটি সবজি আর একটা সিদ্ধ ডিম খেয়ে বেরিয়ে গেলাম। বউকে বলে গেলাম, দুপুরবেলা বাসায় এসে খাবো।

নারায়ণগঞ্জ গিয়ে কাজে আটকা পড়ে গেলাম। দুপুর গড়িয়ে রাত হয়ে গেল।

এই সময়ের মধ্যে বাসা থেকে কয়েকবার ফোন চলে এলো।

সন্ধ্যার পর একটা কফিশপে গিয়ে একজনের সাথে কফি খাচ্ছি। পাশে এক লোক দাঁড়িয়ে আছে। সে তাদের বিয়ে বার্ষিকীর কেক নিতে এসেছে। তখন আমার মনে হলো, আরে! আজকে তো আমাদেরও বিয়ে বার্ষিকী!

হিসাব করে দেখলাম,সেদিন আমাদের ২১তম বিয়ে বার্ষিকী! মনে মনে বললাম, বউকে একটা সারপ্রাইজ দিলে কেমন হয়?

বাসায় ফোন দিলাম। ধরলো মেয়ে। আমি বললাম, মামুনি, আজকে বাসায় খেও না,তোমার জন্য নানরুটি আর গ্রিল আনবো। মাকেও খেতে নিষেধ কর।

গ্রিল আর নানরুটি আমার মেয়ের ভীষন পছন্দ।

কিছুক্ষণ পরই বউ ফোন দিয়ে বলল, কিছু আনার দরকার নাই, দুপুর এবং রাতের খাবার রান্না করা আছে। তুমি এমনিতেই দুপুরে খাও নাই। খাবার নষ্ট হবে।

আমি বললাম, নষ্ট হয় হউক। একদিনের ব্যাপার। ছেলেকেও খেতে নিষেধ কর। তোমার জন্য কী আনবো?

বউ বলল, কিছুই আনতে হবে না। শুধু শুধু টাকা নষ্ট করার দরকার নাই। ফ্রিজে খাবার আছে, গরম করে নিলেই হবে।

আমি জানি, বউ কাচ্চি বিরিয়ানি আর টিক্কা বেশ পছন্দ করে। সাথে বাদামের জুস।

আমি একটা দুই পাউন্ড জম্মদিনের কেক অর্ডার করে smartex এর দোকানে গেলাম। দোকানদার আমার বেশ ঘনিষ্ঠ। ঈদ উপলক্ষে তো এমনিতেই বউকে কিছু দিতে হবে। এই উপলক্ষে বউয়ের পছন্দের কালারের একটা ড্রেস কিনে ফেললাম।

এখন কিনলে ঈদে আর লাগবে না।

'সুগন্ধা' রেস্টুরেন্টে গিয়ে চারটা গ্রিল, নানরুটি আর বোরহানি নিলাম।

চাষাড়ায় 'কাচ্চিভাই' বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। ওখানে গিয়ে কাচ্চি বিরানি আর বাদামের জুস নিলাম। সাথে টিক্কা।

তারপর কেক নিয়ে বাসায় ফিরলাম।

বাসায় ফিরতে ফিরতে দশটা বেজে গেল।

আমার এক ছেলে এক মেয়ে।
ওরা বসে বসে টিভি দেখছে। ওদের মা পাশের রুমে কাপড় গোছাচ্ছে।

মেয়েকে সব খুলে বললাম।

মেয়ে দ্রুতই টেবিলে সব কিছু সাজিয়ে ফেলল। কেকের চারপাশে একুশটা মোমবাতি জ্বালিয়ে দিলো। সব কিছু গুছিয়ে মাকে ডাকতে গেলো।

বউ এসেই হৈ চৈ শুরু করলো, রাগী রাগী গলায় আমার দিকে তাকিয়ে বলল, বুড়ো বয়সে এইসব কী ঢং ! আহ্লাদ করার আর জায়গা পাও না, নাকি!!

আমি বললাম, আজকের দিনটার কথা তোমার মনে ছিল?

বউ অভিমানের গলায় বলল, মনে থাকবে না কেন?

আমাকে বল নাই কেন?

সে যেন নিজেই নিজেকে বলছে এমন করে বলল, সব কথা সব সময় বলতে নাই। কিছু কিছু প্রিয় কথা থাকে, বলতে ইচ্ছা করে না। কাউকে না!

বুঝলাম, তার বুকে অভিমান জমেছে।

আমি কথা বলতে পারলাম না। ভাষা হারিয়ে ফেললাম। বুঝতে পারলাম, এক বুক অভিমান নিয়েও মেয়েরা হাসি মুখে সংসার করে যায়। কোন অভিযোগ না করেও!

তারা সুখের অভিনয় ভালো পারে।

আমরা মেয়ের জম্মদিন পালন করি, কন্যা দিবস পালন করি, বউয়ের কথা মনে করি না।

মেয়ে বলল,মা, বাবা তোমার জন্য সুন্দর একটা ড্রেস এনেছে,এক্ষুনি পরে এসো তো!

বউ কিছুতেই নতুন ড্রেস পরবে না। সে বলল,খাবার ঠান্ডা হয়ে যাবে। তোরা খেতে শুরু কর।

মেয়ে বলল,খাবার ঠান্ডা হয় হউক। তুমি নতুন ড্রেস না পরলে আমরা কেউ কিছু খাবো না।

অগত্যা বউ নতুন ড্রেস নিয়ে অন্য রুমে চলে গেলো। মেয়ের অনুরোধে আমি কাপড় চেইন্জ করে নতুন একটা পান্জাবি পরলাম।

দশ মিনিটের মাথায় বউ নতুন ড্রেস পরে সাজগোছ করে বেড়িয়ে এলো। মেয়ে দৌড়ে মোবাইল নিয়ে এলো ছবি তোলার জন্য।

মেয়ে মাকে জড়িয়ে ধরে বলল,মা তোমাকে তো অসাধারন লাগছে, একেবারে তামিল নায়িকাদের মতো!

মা মেয়ে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে হাসতে লাগলো।

বউয়ের মুখে এখন আর রাগী ভাবটা নাই,তার মুখে সুখী সুখী একটা ভাব চলে এসেছে।

আমরা সবাই মিলে কেক কাটলাম।

কেক কাটার সময় বউ প্রান খুলে হাসছে। আমার দিকে বারবার লজ্জা নিয়ে তাকাচ্ছে। সবার মুখে কেক তুলে দিচ্ছে।

আমি মনে করতে পারলাম না, লাস্ট কবে বউয়ের এমন আনন্দময় মুখ দেখেছি। নিজেকে কেন যেন অপরাধী মনে হতে লাগল।

কেক কাটতে কাটতে মেয়ে বলল,হ্যাপি বিবাহ বার্ষিকী, মা। বাবা, তোমাকেও ধন্যবাদ।

আনন্দে আমার চোখে পানি চলে এলো।

মনে হল, হায়! এই ছোট ছোট আনন্দ গুলোই তো মানুষের বেঁচে থাকার প্রেরনা। মানুষ তো আনন্দের জন্যই বাঁচে।

আমার মনে হলো, অনেকদিন হয়,বউয়ের মুখে এমন প্রানখোলা হাসি দেখি নাই। অথচ, এই হাসি দেখার জন্য খুব বেশি অর্থ খরচ করতে হয় না।

বউকে তো ঈদের ড্রেস কিনে দিতেই হতো।

কেক আর খাবার বাবদ খরচ হয়েছে চার হাজার টাকার মতো। অথচ, এরচেয়ে অনেক বেশি টাকা অকারণে খরচ করে ফেলি।

মাত্র চার হাজার টাকা খরচ করে আমি একটা বিশাল আনন্দের মূহুর্ত কিনে ফেললাম!

©

24/09/2022

ছোটবেলায় কিসমিস খেতে খুব ইচ্ছা করত।আম্মা খেতে দিত না।বাজার থেকে অল্প কিসমিস এনে আম্মা কুটুরিতে লুকিয়ে রাখত।শুধুমাত্র সেমাই রান্না করার সময় সেই কুটুরি খোলা হত।ঐ সময় হাতে দুই তিনপিস পেয়ে অতৃপ্ত আমার বাল্যকালে খুশীর রঙ লেগে যেত।

যখন টাকা আয় শুরু করলাম তখন কিসমিস খাওয়া শুরু করলাম।মুঠো মুঠো করে কিসমিস খাইছি। হয়ত বাল্যকালের সেই তিনপিসের মত টেস্ট পাই নাই, তবে অতৃপ্ত বাল্যকালের উপর কিছুটা প্রতিশোধ নিতে তো পারছি।

ঐদিন এক সুপার শপে দেখলাম নসিলা।ছোটবেলায় টিভিতে শুধু এড দেখতাম, বাচ্চারা টিফিনে নসিলা দিয়ে পাউরুটি মাখিয়ে নিয়ে যায়। এড দেখে বুঝতাম এই জিনিস বিরাট সুস্বাদু,কিন্তু মধ্যবিত্ত বাবা মায়ের ৫০০ টাকার নসিলার বোতল কিনে দেয়ার আগ্রহ বা সক্ষমতা কোনটাই ছিল না।

ঐদিন এক বোতল নসিলা কিনে এনে আঙুল দিয়া চেটে পুটে খাইছি। যেটুকো সক্ষমতা আছে, সেটুকোর মধ্যে কোন আক্ষেপ রাখা যাবে না।

এক কলিগের তেল আনতে নুন ফুরায় অবস্থা।একদিন দেখি ফুল ফ্যামিলি কক্সবাজার যাবার বিমানের টিকেট সহ উপস্থিত । সবাই কানাঘুষা করতেছে।আমি ভাইরে ডেকে জিজ্ঞেস করলাম ঘটনা কি?

সে বলল, আব্বা সারাজীবন স্বপ্ন দেখাইছে রোল ১ হইলে কক্সবাজার নিয়া যাবে। ক্লাসে সবসময় রোল ১ হইত, কিন্তু স্কুল শিক্ষক আব্বার সক্ষমতা হয় নাই।আমিও ছেলেকে বলছিলাম রোল ১ হলে কক্সবাজার নিয়া যাব।একটাই জীবন,আমি আমার আব্বার মত হতে চাইনা।

জীবনটা তো ছোট। আজকে আপনার স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার বয়স।টাকা জমিয়ে জমিয়ে কোন একদিন সময় করে বউ নিয়ে ঘুরতে যাবেন, ও স্বপ্ন সহজে পূরণ হবে না।সময়, টাকা, অবসর তিনটা একসাথে আপনার কোনদিন হয়ে উঠবে না।

জীবন একটু একটু চলে যাচ্ছে।আজকে যা গেল ওটাই শেষ। আজকে যা করতে পারেন নাই, ওটাই মিস করলেন।যেটুকো আপনার আছে এটুকুই অল্প করে উপভোগ করার মানেই জীবন।

জীবনটাকে নসিলা ভেবে চেটেপুটে খেতে থাকুন, কিসমিসের মত ভবিষ্যতের আশায় কুটুরিতে জমা করে রাখলে শুধু আফসোস বাড়বে।
©

https://youtu.be/jdh1vIz3-A4
10/04/2022

https://youtu.be/jdh1vIz3-A4

Hey guys this is my new shorts crafting video hope this video are enjoying much.So guys Watch the video, do share with family and friends.👉please subscribe ...

04/11/2021
04/11/2021

🍁বরফ গলবেই...

[লিখাটা ৩ অংশে বিভক্ত। ১. স্বামী ২. স্ত্রী ৩. শ্বশুর-শ্বাশুড়ি পুরোটা পড়বেন ইন শা আল্লাহ]

🍁প্রথম অংশ : ভাইয়েরা আমার...

ক.
আমার বাপ-মায়ের খিদমত আমার দায়িত্ব, আমি বাধ্য। আমার স্ত্রী শরয়ীভাবে বাধ্য নন। এটুকু মেনে পরের আলোচনা।

খ.
খিদমত যদি ভদ্রমহিলা করেন তবে আমার এহসান করলেন। এই এহসানের বদলে আমি তাঁর এহসান করি কি না। আমার আচার ব্যবহারে তাঁর "দোষ ধরা"টা প্রকাশ পায়, না কি "এহসানের কারণে কৃতজ্ঞতা" প্রকাশ পায়।

গ.
যদি এমন মুহসিনা স্ত্রী চান, কষে দুআ করুন। সদকা-ওমরাহ-গিলাফ ধরে-ইফতারে দুআ করতে থাকেন খেয়ে না খেয়ে।

ঘ.
বিষয়টা ইন জেনারেল একটা ফর্মুলায় ফেলে সমাধান করার মত না। এক এক পরিবার এক এক রকম। জি-বাংলা কালচার সব পরিবারে নেই। এমন পরিবারের সংখ্যা কম নয় যেখানে শাশুড়ি কাঁটা বেছে বেটার বউকে খাইয়ে দেয়। আবার অত্যাচারী শাশুড়িও বিরল নয়। হৈমন্তী টাইপ বউও যেমন আছে, কূটনী বউও অঢেল। কোন পরিবারে শ্বশুর-শাশুড়ি স্বামীর উপর পুরো/আংশিক নির্ভরশীল। কোন বাপ-মা ছেলের কামাই খাবেই না। সুতরাং একটা পোস্টে ফরম্যাট ডিফাইন করলে সমস্যা যাবে না।

ঙ.
আমি কি লেভেলের খেদমত করাতে চাই আমার বউকে দিয়ে। আমার মা-কে একটু এগিয়ে দেবেটেবে। ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেবে। মা একা থাকে, গল্পটল্প করবে। মা অসুস্থ থাকলে সকালে রান্নাটান্না করবে। মায়ের সঙ্গী হিসেবে চাই? নাকি বুয়া হিসেবে চাই? ঘরের সব কাজ করবে। মায়ের হুকুম তামিল করবে। পা টিপে দেবে। অবশ্যই প্রথমটুকুন।

চ.
আমার মা আল্লাহ না করুন শয্যাশায়ী হলে, আমি নিজেই আমার বউকে কাছে ঘেঁষতেও দেব না। খাওয়ানো- পায়খানা সাফ সব নিজ হাতে করব। নিয়ত এমন থাকা চাই। এমন সুবর্ণ সুযোগ বউকে কেন দিব। চাকরি ছুটি নিয়ে, দরকার হলে ছেড়েও।

ছ.
কোন ইস্যুতে আমার মা সবসময় ঠিক, দোষ বউয়ের। এটাও কাম্য না। ভাল স্বামী একজন ভাল ডিপ্লোম্যাট। বউয়ের থেকে চারিত্রিক সনদ নিয়ে আমাকে মায়ের পায়ের নিচে জান্নাতে যেতে হবে। কারও কাছে জালেম হওয়া যাবে না। এটা বিয়ে করার পর অটো শেখা হয়। টেনশন নাই। কিভাবে দোষ মিনিমাইজ করে পারস্পরিক সুধারণা রিবিল্ড করা যায়, এটা একটা আর্ট। পলিটিক্যালি হ্যান্ডল করতে হয়।‘স্বামীত্ব’ একটা ডিপ্লোমেটিক ও রাজনৈতিক পোস্ট।

জ.
মেয়েটা সব ছেড়ে আমার কাছে এসেছে। বাপ-মা, বান্ধবী, ভাই-বোন, পরিচিত পরিবেশ। আমাকে তো কিছুই ছাড়তে হয়নি। আমি যদি তার বাপ-মা, ভাইবোন, বান্ধবীর রিপ্লেসমেন্ট হতে না পারি, আমি মনে করি আমি স্বামী হিসেবে ব্যর্থ। একটা ছোট চারাগাছ জন্মভূমি থেকে উপড়ে এনে আমার বাগানে লাগালাম। আমাকে হতে হবে বেড়া। ইমোশনাল, মনস্তাত্বিক, ব্যক্তিত্বের প্রতিকূলতা আমি আগে ফেস করব। তার দুনিয়াবি শূন্যতা পূরণ না করলে সে আমার দীনী শূন্যতা পূরণটা করবে কিভাবে? মাইন্ড ইট, মেয়েটা শুধু আপনার জন্য এতগুলো ত্যাগ স্বীকার করেছে। আপনার কাস্টডিতে সে আছে, আর আপনি তাকে ইমোশনালি/পরিবেশগতভাবে প্রোটেক্ট করতে পারছেন না। পুরুষত্বের গায়রতে লাগে?

ঝ.
সব পরিবারে দীনের বুঝ সমান না। ভাসুর-দেবরের দীনের বুঝ নাই। আমার বউয়ের ফরজ পর্দা কীভাবে হবে। গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য শাদী বানালাম। এখন যে মেয়ের খালু-ফুফার সামনে পর্যন্ত পর্দা তরক হয়নাই। আমার ঘরে এসে ফরজ তরক হচ্ছে। এক গুনাহ থেকে বাঁচতে গিয়ে আরেক গুনাহের ভাগী হলাম। বেশ তো। স্বামী স্ট্রিক্ট হতে হবে স্ত্রীর পর্দার ব্যাপারে। এভেইলেবল স্থানেই কিভাবে নিশ্চিত করা যায় সে চেষ্টা করতে হবে।

ঞ.
আমার স্ত্রীর আমার মা-কে প্রয়োজন নেই। তার ওসব আগে থেকেই ছিল। ছিলাম না কেবল আমি। শুধু আমার জন্য সে এসেছে। আর আমার কিন্তু বিবিকেও দরকার, মা-কেও দরকার। তাই ঠান্ডা। কোন পাশের কথায় তাওয়া যেন গরম না হয়। স্ট্রেট-ফরোয়ার্ড হওয়া যাবে না এই জায়গায়। যেকোন অভিযোগ প্রসেসিং করে পাড়তে হবে। কাঁচের বোতল, হ্যান্ডল উইথ কেয়ার (হাদিস)।

ট.
নবীজীর ফ্যামিলি লাইফ নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক রচনার জন্য উলামাগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ‘প্রিয়তমা' একটা সুন্দর বই। আম্মাজানদের মত বিবি চাওয়ার আগে নিজেকে নবীজীর মত শ্রেষ্ঠ স্বামী হিসেবে তৈরি করা চাই। উফ… সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।

ঠ.
এটা ইসলামিক ফেমিনিজম না, এটা আমি মনে করি আমাদের হাতের কামাই। হলিস্টিক ইসলামিক প্র্যাকটিস না থাকায় প্রজন্মের পর প্রজন্ম আমরা মেয়েদের ঐ স্বীকৃতিটুকু দিইনি যেটা ইসলাম তাদের দিয়েছে। তাদের কাজের স্বীকৃতি ও পারিবারিক মর্যাদা না দিয়ে বরং খাবারে দোষ ধরা-যৌতুক- প্রহার এসব অনৈসলামিক আচরণ করে যে অনাস্থা আমরা অর্জন করেছি তারই বহিঃপ্রকাশ এগুলো। সাথে যোগ হয়েছে জি-বাংলা ইফেক্ট।
এটা রিভার্স করার একমাত্র টেকনিক হল, আমরা পুরুষরা ঠিক হয়ে যাওয়া। আমার স্ত্রী একজন মুসলিম হিসেবে, প্রতিবেশী হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে, আমার সন্তানের মা হিসেবে যেখানে যতটুকু হক/ইকরাম/ইহসান তার প্রাপ্য সেটুকু তাকে দেওয়া। বিলিভ মি, আমরা এটা করা শুরু করলে তারা আমাদের চেয়েও বেশি করবে। তাদের সফটওয়ার এভাবেই বানানো।

ড.
এহসানের বদলা এহসান। মেয়েরা হল এমপ্লিফায়ারের মত। যা শোনে তাও বড় করে বলে। যা পায়, তাও বড় করে দেয়। যদি কারও আহলিয়া শ্বশুর-শাশুড়ির খিদমত করতে সরাসরি ইনকার করে, স্বামীর প্রতি উপদেশ: আপনি বউয়ের বাপ-মায়ের খিদমত/ খোঁজখবর করা শুরু করুন। কষে লেগে যান, দেখেন না বিনিময়ে কী রিএকশন আসে। ইনশাআল্লাহ ১ করলে ১০ ফেরত পাবেন।
------------------------------------------
🍁দ্বিতীয়াংশ : বোনেরা তোমার....

ক.
সিনারিও ১:
বাপ-মা বয়স্ক এবং ছেলের উপর একদম নির্ভরশীল। অধিকাংশ নববিবাহিত ছেলেরই দুই বাসা ভাড়া করে একটাতে বাপ-মা, একটাতে বউ রাখার সামর্থ্য নেই। আর্থিক ও শারীরিকভাবে নির্ভরশীল শ্বশুর-শাশুড়িকে কোথায় ফেলতে চাচ্ছেন?

খ.
সিনারিও ২ :
বাপ-মা শারীরিকভাবে নির্ভরশীল। তবে আর্থিকভাবে না। আপনার স্বামী আপনাকে নিয়ে আলাদা বাসায়। কিন্তু ছেলের দায়িত্ব বলে সে অফিস থেকে সোজা মায়ের কাছে যায়। খায় কি খায় না, মায়ের সেবাযত্ন করে, বাজার করে নিয়ে যায়, ওষুধ খাওয়ায়ে মশারি টাঙায়ে ঘুম পাড়ায়ে এরপর আসে। কেয়ারটেকার তো সন্ধ্যার পর থাকবে না। রাতে ক্লান্ত হয়ে আবার বাজার নিয়ে বাড়ি ফেরে। হ্যাপি?
আপনি এক বাসায় থাকলে তার জন্য সহজ হত। আপনার হকও, মায়ের হকও আদায় হত। আর যদি চান যে, প্রতিদিন মায়ের বাসায় যাবার কি দরকার, তাহলে বদদ্বীন কাউকে বিয়ে করুন, যে কম কম যাবে।
আর স্বামীর শ্রম লাঘব করতে যদি মন না চায়, তবে নিজের ভালবাসাকে প্রশ্ন করুন।

গ.
সিনারিও ৩ :
সবাই সুস্থ। জাস্ট এক বাসায় থাকলে আপনার স্বামীর বাড়ি ভাড়াটা বাঁচে। কিছু সেভিংস থাকে সংসারে। বেচারা একটু রিলাক্স থাকে।কী করণীয়?

ঘ.
শ্বশুর-শাশুড়ির খিদমত আপনার ওপর ফরজ না, নো ডাউট। কিন্তু নফল তো। বুড়োবুড়ি আর ক'দিন। সংসার তো আপনারই। অনেক তো সবর করলেন। আর ক'টা দিনে যদি কিছু দুআ পাওয়া যায়, লস তো নেই। চলে গেলে তো চান্স শেষ।

ঙ.
স্বামীর ইতায়াত তো জরুরী আপনার উপর, যতক্ষণ না সে নাজায়েয কাজের আদেশ দেয়। স্বামীর অনুরোধ যদি হয়, আমি তো বাইরে বাইরে থাকি, আমার বাপমাকে একটু যদি দেখতে। এটা এখন কি আপনার জন্য? নাজায়েয হুকুম তো দেয়নি। স্বামীবাবুরা, ভাষাটা অনুরোধের করলেই কিন্তু কাজ ৯০% হাসিল হয়ে গেল। অনুরোধে যা হয়, তা কি আদেশে হয়? এটাই বেডাগোরে বুঝাতে পারলাম না।

চ.
ক্যাচাল লাগার আগে একসাথে থাকার অপশনটা ছেড়ে দেয়া ঠিক হবে না। শুরুতেই শর্ত দিলেন, আমাকে আলাদা বাসায় রাখতে হবে। (আলাদা ঘর হলেই তা আদায় হবে, বাসা জরুরি নয়)। এটা আপনার হবু ভালবাসার মানুষটার দ্বারা কতটুকু সম্ভব। বুনিয়াদ কি ভালবাসা, নাকি কমফোর্ট। যতক্ষণ একসাথে থাকার সুযোগটা নেয়া যায়, নিন না। এবং মেজরিটি দ্বীনদার মেয়েরা নেনও। কমসে কম স্বামীর দিকে চেয়ে।

ছ.
একেবারে লেজেগোবরে অবস্থা হলে পৃথক হবার অপশন তো আছেই। তবে আগেই না। বদদ্বীনদের কষ্ট না হতে পারে, দ্বীনদারদের জন্য খুব কঠিন। এরা না পারে উপরি কামাতে, না পারে মায়ের হক ভুলতে। আলাদা সংসারের অপশনটা শেষ স্টেপ হিসেবে নেওয়াটা ভাল, শুরু হিসেবে নয়।

জ.
স্বামীর হক কিন্তু অনেক। বোনেরা অনেকেই কিন্তু পরিষ্কার ধারণা রাখেন না। আলোচ্য নয় বলে এড়িয়ে যাচ্ছি। স্পষ্ট হাদিসে আছে: ছেলের উপর মায়ের হক বেশি, আর মেয়ের উপর তার স্বামীর। তাই স্বামীর হক আর নিজ পিতামাতার হককে প্রতিপক্ষ বানাবেন না। এবং ভাইস ভার্সা। দীনদার স্বামী অবশ্যই আপনার বাবামায়ের খোঁজখবর করবে। যদি ঝামেলা করে, আপনি তার বাপমায়ের খিদমতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। টনক নড়বেই, ছেলেদের প্রচুর ইগো। ইগোতে লাগবে: বউটা আমার কত করে, আমি ওর কিছুই করি না? ইনশাআল্লাহ।

ঝ.
আর হ্যাঁ, আর্লি বিয়ের যে সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে দ্বীনদার অংশটাতে। সেখানে আর্লি বিয়ে করে আলাদা থাকা একটা ২২/২৫ বছরের ছেলের জন্য সম্ভব? তাহলে আপনারা বদদীন কালচারের মত ৩৫+ বর খুঁজেন। যে আপনাকে আলাদা বাসায় রাখবে। সবাই দীনের জন্যই স্যাক্রিফাইস করছি, এটা মনে করলে দেখবেন দিনশেষ সবই সুখ। আল্লাহ সহজ করুন।আমিন।
------------------------------------------
🍁তৃতীয়াংশ : হবু শ্বশুর-শাশুড়িরা

ক. যদি কোনভাবে সম্ভব হয় ওদের বিয়ের পর আলাদা সংসার করে দিন। সম্পর্ক গঠন, সেক্সুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং, সংকোচ দূরীকরণে এটা আসলেই দরকার।

খ. বর্তমান আর্থসামাজিক অবস্থায় যদি আমরা আর্লি ম্যারেজকে প্রমোট করতে চাই তবে এটা (আলাদা বাসা) অসম্ভবপ্রায়। সেক্ষেত্রে ওদের প্রাইভেসি এরিয়া শুধু ওদের ঘরটুকু না রেখে মাঝেমধ্যে প্রশস্ত করে দিন। নবদম্পতিকে রেখে আপনারা মাঝেমাঝে হুদাই ঘুরতে চলে যান এদিক ওদিক। লেট দেম ফ্লাই ইনসাইড।

গ. আপনার মেয়ের সাথে যেমন আচরণ প্রত্যাশা করেন, বেটার বউয়ের সাথেও তেমন আচরণ করা চাই। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বর্জন করুন।

ঘ. বউয়ের দোষ চোখে পড়লে বউকে না, ছেলেকে বলুন। ছেলের মধ্যে ডিপ্লোমেসি গড়ে উঠুক। সফটলি হ্যান্ডেল করার অভ্যাস হোক। কিভাবে ডিপ্লোম্যাটিকভাবে একটা কথা বলা যায় ছেলেকে শেখান।

ঙ. মনে রাখবেন, আপনি বেটার বউয়ের গার্জিয়ান নন। আপনার ছেলে তার স্ত্রীর অভিভাবক। সুতরাং তার কোন কিছু আপনি সংশোধন করবেন না, আপনার ছেলে করবে। নিজেকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না, আস্থাভাজন হোন। আপনার ছেলের ব্যাপারে কমপ্লেন যেন আপনার কাছে এসে করতে পারে মেয়েটা, এতটা আস্থা তৈরি করুন।

চ.
শাশুড়িজী, ৩০ বছর আগে আপনার চোখের স্বপ্নটা মনে আছে তো- ‘নিজের একটা সংসার’। একই স্বপ্ন নিয়ে ঐ বাচ্চা মেয়েটাও আপনার ঘরে এসেছে। তাকে কিছুটা স্বায়ত্তশাসন দিন। আপনি যেটুকু পাননি, তাকে ওটুকু দিন। এরপর দূরে দাঁড়িয়ে দেখুন না কত সুখ। নিজে কষ্ট করে রেঁধে আরেকজনকে চেটেপুটে খেতে দেখে সুখ না? তুলনাহীন সুখ।

ছ.
আপনার ছেলে আপনারই আছে। এসব জি-জলসা টাইপ মানসিকতা আর কত। বরং আলাদা করে দিয়ে দেখবেন ভালবাসা বাড়বে। আরও বেশি মা-ন্যাওটা হয়ে যাবে। কাছে থাকলে যতবার আসত, একটু দূরে ঠেলে দিলে আরও তিনগুণ বেশি মা মা করে আসবে। বেটার বউও আপনাকে বিচারক মানবে। জমে বরফ।

জ.
ফ্রী হোন। বউ-শাশুড়ি সম্পর্কটা হোক দুই প্রজন্মের বন্ধুত্ব।

🍁উপসংহার:

বিষয়টা এত বেশি সাবজেক্টিভ। প্রত্যেকে নিজ রোল প্লে করতে হবে। অবজেক্টিভ সমাধান (আমাদের কী করণীয়) কিন্তু খুঁজলে হবে না। আমার যা করার কথা সেটুকু আমি করছি কি না।
আর্থিক- স্বাস্থ্যগত-দীনদারি সব বিষয়গুলো সামনে এনে স্বামী-স্ত্রী পরামর্শ করুন। আলিমগণের কারো পরামর্শ নেয়াকে জরুরী মনে করুন। দীনকে সামনে রেখে আল্লাহর খুশিকে উদ্দেশ্য বানিয়ে ফয়সালা করুন। যে সিদ্ধান্ত আল্লাহর খুশির জন্য, তাতে কেউ নাখোশ হলে তাকেও আল্লাহ নিজ দায়িত্বে খুশ করে দিবেন (হাদিস)। আলিমগণের পরামর্শ নিলে বাস্তবায়নে হিম্মত পাবেন, তৃপ্তি পাবেন। এতে ঘরের খবর পরে জানবে ভাবছেন? আলিমগণ আমাদের অভিভাবক, ওনারা পরের মানুষ না। খুজলি হলে ডাক্তারকে বলতে লজ্জা পান? এটাও তেমনি। সব বিষয়ে কোন প্রিয় আস্থাভাজন আলিমকে ইনভলভ করুন। আল্লাহ আমাদেরকে সুন্নাহওয়ালা পারিবারিক জীবন দান করুন। সকল ক্ষেত্রে সুন্নাহ জিন্দা রার তাওফীক ফরমান। আমীন। আমীন।

- Shamsul Arefin Shakti

#বিয়ে #সংসার

https://youtu.be/zfRxkqV0fvQ
17/08/2021

https://youtu.be/zfRxkqV0fvQ

Hey guys welcome to my first crafting video hope this video are enjoying much.So guys Watch the video, do share with family and friends.👉please subscribe t...

Address

Demra

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when TINKI's Gallery posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share