04/11/2021
🍁বরফ গলবেই...
[লিখাটা ৩ অংশে বিভক্ত। ১. স্বামী ২. স্ত্রী ৩. শ্বশুর-শ্বাশুড়ি পুরোটা পড়বেন ইন শা আল্লাহ]
🍁প্রথম অংশ : ভাইয়েরা আমার...
ক.
আমার বাপ-মায়ের খিদমত আমার দায়িত্ব, আমি বাধ্য। আমার স্ত্রী শরয়ীভাবে বাধ্য নন। এটুকু মেনে পরের আলোচনা।
খ.
খিদমত যদি ভদ্রমহিলা করেন তবে আমার এহসান করলেন। এই এহসানের বদলে আমি তাঁর এহসান করি কি না। আমার আচার ব্যবহারে তাঁর "দোষ ধরা"টা প্রকাশ পায়, না কি "এহসানের কারণে কৃতজ্ঞতা" প্রকাশ পায়।
গ.
যদি এমন মুহসিনা স্ত্রী চান, কষে দুআ করুন। সদকা-ওমরাহ-গিলাফ ধরে-ইফতারে দুআ করতে থাকেন খেয়ে না খেয়ে।
ঘ.
বিষয়টা ইন জেনারেল একটা ফর্মুলায় ফেলে সমাধান করার মত না। এক এক পরিবার এক এক রকম। জি-বাংলা কালচার সব পরিবারে নেই। এমন পরিবারের সংখ্যা কম নয় যেখানে শাশুড়ি কাঁটা বেছে বেটার বউকে খাইয়ে দেয়। আবার অত্যাচারী শাশুড়িও বিরল নয়। হৈমন্তী টাইপ বউও যেমন আছে, কূটনী বউও অঢেল। কোন পরিবারে শ্বশুর-শাশুড়ি স্বামীর উপর পুরো/আংশিক নির্ভরশীল। কোন বাপ-মা ছেলের কামাই খাবেই না। সুতরাং একটা পোস্টে ফরম্যাট ডিফাইন করলে সমস্যা যাবে না।
ঙ.
আমি কি লেভেলের খেদমত করাতে চাই আমার বউকে দিয়ে। আমার মা-কে একটু এগিয়ে দেবেটেবে। ওষুধ খাওয়ার কথা মনে করিয়ে দেবে। মা একা থাকে, গল্পটল্প করবে। মা অসুস্থ থাকলে সকালে রান্নাটান্না করবে। মায়ের সঙ্গী হিসেবে চাই? নাকি বুয়া হিসেবে চাই? ঘরের সব কাজ করবে। মায়ের হুকুম তামিল করবে। পা টিপে দেবে। অবশ্যই প্রথমটুকুন।
চ.
আমার মা আল্লাহ না করুন শয্যাশায়ী হলে, আমি নিজেই আমার বউকে কাছে ঘেঁষতেও দেব না। খাওয়ানো- পায়খানা সাফ সব নিজ হাতে করব। নিয়ত এমন থাকা চাই। এমন সুবর্ণ সুযোগ বউকে কেন দিব। চাকরি ছুটি নিয়ে, দরকার হলে ছেড়েও।
ছ.
কোন ইস্যুতে আমার মা সবসময় ঠিক, দোষ বউয়ের। এটাও কাম্য না। ভাল স্বামী একজন ভাল ডিপ্লোম্যাট। বউয়ের থেকে চারিত্রিক সনদ নিয়ে আমাকে মায়ের পায়ের নিচে জান্নাতে যেতে হবে। কারও কাছে জালেম হওয়া যাবে না। এটা বিয়ে করার পর অটো শেখা হয়। টেনশন নাই। কিভাবে দোষ মিনিমাইজ করে পারস্পরিক সুধারণা রিবিল্ড করা যায়, এটা একটা আর্ট। পলিটিক্যালি হ্যান্ডল করতে হয়।‘স্বামীত্ব’ একটা ডিপ্লোমেটিক ও রাজনৈতিক পোস্ট।
জ.
মেয়েটা সব ছেড়ে আমার কাছে এসেছে। বাপ-মা, বান্ধবী, ভাই-বোন, পরিচিত পরিবেশ। আমাকে তো কিছুই ছাড়তে হয়নি। আমি যদি তার বাপ-মা, ভাইবোন, বান্ধবীর রিপ্লেসমেন্ট হতে না পারি, আমি মনে করি আমি স্বামী হিসেবে ব্যর্থ। একটা ছোট চারাগাছ জন্মভূমি থেকে উপড়ে এনে আমার বাগানে লাগালাম। আমাকে হতে হবে বেড়া। ইমোশনাল, মনস্তাত্বিক, ব্যক্তিত্বের প্রতিকূলতা আমি আগে ফেস করব। তার দুনিয়াবি শূন্যতা পূরণ না করলে সে আমার দীনী শূন্যতা পূরণটা করবে কিভাবে? মাইন্ড ইট, মেয়েটা শুধু আপনার জন্য এতগুলো ত্যাগ স্বীকার করেছে। আপনার কাস্টডিতে সে আছে, আর আপনি তাকে ইমোশনালি/পরিবেশগতভাবে প্রোটেক্ট করতে পারছেন না। পুরুষত্বের গায়রতে লাগে?
ঝ.
সব পরিবারে দীনের বুঝ সমান না। ভাসুর-দেবরের দীনের বুঝ নাই। আমার বউয়ের ফরজ পর্দা কীভাবে হবে। গুনাহ থেকে বাঁচার জন্য শাদী বানালাম। এখন যে মেয়ের খালু-ফুফার সামনে পর্যন্ত পর্দা তরক হয়নাই। আমার ঘরে এসে ফরজ তরক হচ্ছে। এক গুনাহ থেকে বাঁচতে গিয়ে আরেক গুনাহের ভাগী হলাম। বেশ তো। স্বামী স্ট্রিক্ট হতে হবে স্ত্রীর পর্দার ব্যাপারে। এভেইলেবল স্থানেই কিভাবে নিশ্চিত করা যায় সে চেষ্টা করতে হবে।
ঞ.
আমার স্ত্রীর আমার মা-কে প্রয়োজন নেই। তার ওসব আগে থেকেই ছিল। ছিলাম না কেবল আমি। শুধু আমার জন্য সে এসেছে। আর আমার কিন্তু বিবিকেও দরকার, মা-কেও দরকার। তাই ঠান্ডা। কোন পাশের কথায় তাওয়া যেন গরম না হয়। স্ট্রেট-ফরোয়ার্ড হওয়া যাবে না এই জায়গায়। যেকোন অভিযোগ প্রসেসিং করে পাড়তে হবে। কাঁচের বোতল, হ্যান্ডল উইথ কেয়ার (হাদিস)।
ট.
নবীজীর ফ্যামিলি লাইফ নিয়ে বিশ্লেষণাত্মক রচনার জন্য উলামাগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। ‘প্রিয়তমা' একটা সুন্দর বই। আম্মাজানদের মত বিবি চাওয়ার আগে নিজেকে নবীজীর মত শ্রেষ্ঠ স্বামী হিসেবে তৈরি করা চাই। উফ… সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
ঠ.
এটা ইসলামিক ফেমিনিজম না, এটা আমি মনে করি আমাদের হাতের কামাই। হলিস্টিক ইসলামিক প্র্যাকটিস না থাকায় প্রজন্মের পর প্রজন্ম আমরা মেয়েদের ঐ স্বীকৃতিটুকু দিইনি যেটা ইসলাম তাদের দিয়েছে। তাদের কাজের স্বীকৃতি ও পারিবারিক মর্যাদা না দিয়ে বরং খাবারে দোষ ধরা-যৌতুক- প্রহার এসব অনৈসলামিক আচরণ করে যে অনাস্থা আমরা অর্জন করেছি তারই বহিঃপ্রকাশ এগুলো। সাথে যোগ হয়েছে জি-বাংলা ইফেক্ট।
এটা রিভার্স করার একমাত্র টেকনিক হল, আমরা পুরুষরা ঠিক হয়ে যাওয়া। আমার স্ত্রী একজন মুসলিম হিসেবে, প্রতিবেশী হিসেবে, স্ত্রী হিসেবে, আমার সন্তানের মা হিসেবে যেখানে যতটুকু হক/ইকরাম/ইহসান তার প্রাপ্য সেটুকু তাকে দেওয়া। বিলিভ মি, আমরা এটা করা শুরু করলে তারা আমাদের চেয়েও বেশি করবে। তাদের সফটওয়ার এভাবেই বানানো।
ড.
এহসানের বদলা এহসান। মেয়েরা হল এমপ্লিফায়ারের মত। যা শোনে তাও বড় করে বলে। যা পায়, তাও বড় করে দেয়। যদি কারও আহলিয়া শ্বশুর-শাশুড়ির খিদমত করতে সরাসরি ইনকার করে, স্বামীর প্রতি উপদেশ: আপনি বউয়ের বাপ-মায়ের খিদমত/ খোঁজখবর করা শুরু করুন। কষে লেগে যান, দেখেন না বিনিময়ে কী রিএকশন আসে। ইনশাআল্লাহ ১ করলে ১০ ফেরত পাবেন।
------------------------------------------
🍁দ্বিতীয়াংশ : বোনেরা তোমার....
ক.
সিনারিও ১:
বাপ-মা বয়স্ক এবং ছেলের উপর একদম নির্ভরশীল। অধিকাংশ নববিবাহিত ছেলেরই দুই বাসা ভাড়া করে একটাতে বাপ-মা, একটাতে বউ রাখার সামর্থ্য নেই। আর্থিক ও শারীরিকভাবে নির্ভরশীল শ্বশুর-শাশুড়িকে কোথায় ফেলতে চাচ্ছেন?
খ.
সিনারিও ২ :
বাপ-মা শারীরিকভাবে নির্ভরশীল। তবে আর্থিকভাবে না। আপনার স্বামী আপনাকে নিয়ে আলাদা বাসায়। কিন্তু ছেলের দায়িত্ব বলে সে অফিস থেকে সোজা মায়ের কাছে যায়। খায় কি খায় না, মায়ের সেবাযত্ন করে, বাজার করে নিয়ে যায়, ওষুধ খাওয়ায়ে মশারি টাঙায়ে ঘুম পাড়ায়ে এরপর আসে। কেয়ারটেকার তো সন্ধ্যার পর থাকবে না। রাতে ক্লান্ত হয়ে আবার বাজার নিয়ে বাড়ি ফেরে। হ্যাপি?
আপনি এক বাসায় থাকলে তার জন্য সহজ হত। আপনার হকও, মায়ের হকও আদায় হত। আর যদি চান যে, প্রতিদিন মায়ের বাসায় যাবার কি দরকার, তাহলে বদদ্বীন কাউকে বিয়ে করুন, যে কম কম যাবে।
আর স্বামীর শ্রম লাঘব করতে যদি মন না চায়, তবে নিজের ভালবাসাকে প্রশ্ন করুন।
গ.
সিনারিও ৩ :
সবাই সুস্থ। জাস্ট এক বাসায় থাকলে আপনার স্বামীর বাড়ি ভাড়াটা বাঁচে। কিছু সেভিংস থাকে সংসারে। বেচারা একটু রিলাক্স থাকে।কী করণীয়?
ঘ.
শ্বশুর-শাশুড়ির খিদমত আপনার ওপর ফরজ না, নো ডাউট। কিন্তু নফল তো। বুড়োবুড়ি আর ক'দিন। সংসার তো আপনারই। অনেক তো সবর করলেন। আর ক'টা দিনে যদি কিছু দুআ পাওয়া যায়, লস তো নেই। চলে গেলে তো চান্স শেষ।
ঙ.
স্বামীর ইতায়াত তো জরুরী আপনার উপর, যতক্ষণ না সে নাজায়েয কাজের আদেশ দেয়। স্বামীর অনুরোধ যদি হয়, আমি তো বাইরে বাইরে থাকি, আমার বাপমাকে একটু যদি দেখতে। এটা এখন কি আপনার জন্য? নাজায়েয হুকুম তো দেয়নি। স্বামীবাবুরা, ভাষাটা অনুরোধের করলেই কিন্তু কাজ ৯০% হাসিল হয়ে গেল। অনুরোধে যা হয়, তা কি আদেশে হয়? এটাই বেডাগোরে বুঝাতে পারলাম না।
চ.
ক্যাচাল লাগার আগে একসাথে থাকার অপশনটা ছেড়ে দেয়া ঠিক হবে না। শুরুতেই শর্ত দিলেন, আমাকে আলাদা বাসায় রাখতে হবে। (আলাদা ঘর হলেই তা আদায় হবে, বাসা জরুরি নয়)। এটা আপনার হবু ভালবাসার মানুষটার দ্বারা কতটুকু সম্ভব। বুনিয়াদ কি ভালবাসা, নাকি কমফোর্ট। যতক্ষণ একসাথে থাকার সুযোগটা নেয়া যায়, নিন না। এবং মেজরিটি দ্বীনদার মেয়েরা নেনও। কমসে কম স্বামীর দিকে চেয়ে।
ছ.
একেবারে লেজেগোবরে অবস্থা হলে পৃথক হবার অপশন তো আছেই। তবে আগেই না। বদদ্বীনদের কষ্ট না হতে পারে, দ্বীনদারদের জন্য খুব কঠিন। এরা না পারে উপরি কামাতে, না পারে মায়ের হক ভুলতে। আলাদা সংসারের অপশনটা শেষ স্টেপ হিসেবে নেওয়াটা ভাল, শুরু হিসেবে নয়।
জ.
স্বামীর হক কিন্তু অনেক। বোনেরা অনেকেই কিন্তু পরিষ্কার ধারণা রাখেন না। আলোচ্য নয় বলে এড়িয়ে যাচ্ছি। স্পষ্ট হাদিসে আছে: ছেলের উপর মায়ের হক বেশি, আর মেয়ের উপর তার স্বামীর। তাই স্বামীর হক আর নিজ পিতামাতার হককে প্রতিপক্ষ বানাবেন না। এবং ভাইস ভার্সা। দীনদার স্বামী অবশ্যই আপনার বাবামায়ের খোঁজখবর করবে। যদি ঝামেলা করে, আপনি তার বাপমায়ের খিদমতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। টনক নড়বেই, ছেলেদের প্রচুর ইগো। ইগোতে লাগবে: বউটা আমার কত করে, আমি ওর কিছুই করি না? ইনশাআল্লাহ।
ঝ.
আর হ্যাঁ, আর্লি বিয়ের যে সামাজিক আন্দোলন শুরু হয়েছে। বিশেষ করে দ্বীনদার অংশটাতে। সেখানে আর্লি বিয়ে করে আলাদা থাকা একটা ২২/২৫ বছরের ছেলের জন্য সম্ভব? তাহলে আপনারা বদদীন কালচারের মত ৩৫+ বর খুঁজেন। যে আপনাকে আলাদা বাসায় রাখবে। সবাই দীনের জন্যই স্যাক্রিফাইস করছি, এটা মনে করলে দেখবেন দিনশেষ সবই সুখ। আল্লাহ সহজ করুন।আমিন।
------------------------------------------
🍁তৃতীয়াংশ : হবু শ্বশুর-শাশুড়িরা
ক. যদি কোনভাবে সম্ভব হয় ওদের বিয়ের পর আলাদা সংসার করে দিন। সম্পর্ক গঠন, সেক্সুয়াল আন্ডারস্ট্যান্ডিং, সংকোচ দূরীকরণে এটা আসলেই দরকার।
খ. বর্তমান আর্থসামাজিক অবস্থায় যদি আমরা আর্লি ম্যারেজকে প্রমোট করতে চাই তবে এটা (আলাদা বাসা) অসম্ভবপ্রায়। সেক্ষেত্রে ওদের প্রাইভেসি এরিয়া শুধু ওদের ঘরটুকু না রেখে মাঝেমধ্যে প্রশস্ত করে দিন। নবদম্পতিকে রেখে আপনারা মাঝেমাঝে হুদাই ঘুরতে চলে যান এদিক ওদিক। লেট দেম ফ্লাই ইনসাইড।
গ. আপনার মেয়ের সাথে যেমন আচরণ প্রত্যাশা করেন, বেটার বউয়ের সাথেও তেমন আচরণ করা চাই। ডাবল স্ট্যান্ডার্ড বর্জন করুন।
ঘ. বউয়ের দোষ চোখে পড়লে বউকে না, ছেলেকে বলুন। ছেলের মধ্যে ডিপ্লোমেসি গড়ে উঠুক। সফটলি হ্যান্ডেল করার অভ্যাস হোক। কিভাবে ডিপ্লোম্যাটিকভাবে একটা কথা বলা যায় ছেলেকে শেখান।
ঙ. মনে রাখবেন, আপনি বেটার বউয়ের গার্জিয়ান নন। আপনার ছেলে তার স্ত্রীর অভিভাবক। সুতরাং তার কোন কিছু আপনি সংশোধন করবেন না, আপনার ছেলে করবে। নিজেকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না, আস্থাভাজন হোন। আপনার ছেলের ব্যাপারে কমপ্লেন যেন আপনার কাছে এসে করতে পারে মেয়েটা, এতটা আস্থা তৈরি করুন।
চ.
শাশুড়িজী, ৩০ বছর আগে আপনার চোখের স্বপ্নটা মনে আছে তো- ‘নিজের একটা সংসার’। একই স্বপ্ন নিয়ে ঐ বাচ্চা মেয়েটাও আপনার ঘরে এসেছে। তাকে কিছুটা স্বায়ত্তশাসন দিন। আপনি যেটুকু পাননি, তাকে ওটুকু দিন। এরপর দূরে দাঁড়িয়ে দেখুন না কত সুখ। নিজে কষ্ট করে রেঁধে আরেকজনকে চেটেপুটে খেতে দেখে সুখ না? তুলনাহীন সুখ।
ছ.
আপনার ছেলে আপনারই আছে। এসব জি-জলসা টাইপ মানসিকতা আর কত। বরং আলাদা করে দিয়ে দেখবেন ভালবাসা বাড়বে। আরও বেশি মা-ন্যাওটা হয়ে যাবে। কাছে থাকলে যতবার আসত, একটু দূরে ঠেলে দিলে আরও তিনগুণ বেশি মা মা করে আসবে। বেটার বউও আপনাকে বিচারক মানবে। জমে বরফ।
জ.
ফ্রী হোন। বউ-শাশুড়ি সম্পর্কটা হোক দুই প্রজন্মের বন্ধুত্ব।
🍁উপসংহার:
বিষয়টা এত বেশি সাবজেক্টিভ। প্রত্যেকে নিজ রোল প্লে করতে হবে। অবজেক্টিভ সমাধান (আমাদের কী করণীয়) কিন্তু খুঁজলে হবে না। আমার যা করার কথা সেটুকু আমি করছি কি না।
আর্থিক- স্বাস্থ্যগত-দীনদারি সব বিষয়গুলো সামনে এনে স্বামী-স্ত্রী পরামর্শ করুন। আলিমগণের কারো পরামর্শ নেয়াকে জরুরী মনে করুন। দীনকে সামনে রেখে আল্লাহর খুশিকে উদ্দেশ্য বানিয়ে ফয়সালা করুন। যে সিদ্ধান্ত আল্লাহর খুশির জন্য, তাতে কেউ নাখোশ হলে তাকেও আল্লাহ নিজ দায়িত্বে খুশ করে দিবেন (হাদিস)। আলিমগণের পরামর্শ নিলে বাস্তবায়নে হিম্মত পাবেন, তৃপ্তি পাবেন। এতে ঘরের খবর পরে জানবে ভাবছেন? আলিমগণ আমাদের অভিভাবক, ওনারা পরের মানুষ না। খুজলি হলে ডাক্তারকে বলতে লজ্জা পান? এটাও তেমনি। সব বিষয়ে কোন প্রিয় আস্থাভাজন আলিমকে ইনভলভ করুন। আল্লাহ আমাদেরকে সুন্নাহওয়ালা পারিবারিক জীবন দান করুন। সকল ক্ষেত্রে সুন্নাহ জিন্দা রার তাওফীক ফরমান। আমীন। আমীন।
- Shamsul Arefin Shakti
#বিয়ে #সংসার