Rabeya Akter

Rabeya Akter Assalamu alikum!This is Rabeya Akter. Welcome to my page.I am sarted anew,i hope you will support me.
(4)

17/06/2024

কষ্ট কখনোই কমে না,
শুধু সহ্য করার ক্ষমতাটা
বেড়ে যায় ।

12/06/2024

আপনি যাকে কলিজা কে/টে খাওয়াচ্ছেন,কে জানে,তার হয়তো সিনার গোস্ত পছন্দ!

12/06/2024

মানুষের আচরণ আমাদের মনে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করে ।
😔❤️😌

06/06/2024

আপনার হাজব্যান্ড যদি আপনার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে, তাহলে চুলায় পানি বসান,,গরম করতে থাকুন,,ফুটতে থাকুক পানি।
যখন দেখবেন, হাজব্যান্ড ঘুমিয়ে পড়েছে। আর দেরি করবেন না।
উঠে গিয়ে পানিটা এনে সরাসরি ঢেলে দিন একটা কাপে।ছেড়ে দিন একটা টি-ব্যাগ। আদা-লেবু দিয়ে এক কাপ চাই বানিয়ে খান।

চা স্ট্রেস কমায়,কান্নাও কমায়।(ইমোচনাল ইমোজি)

বই:-ভাবনার চিরকুট
লেখক: মাহিন মাহমুদ

" যদি বৃষ্টির প্রতিটা ফোঁটা তোমার স্মৃতি একটু করে মুছে দিয়ে যেতো; তাহলে আমি রোজ ভিজতাম বৃষ্টিতে " 😊             কারণকিছ...
05/06/2024

" যদি বৃষ্টির প্রতিটা ফোঁটা তোমার স্মৃতি একটু করে মুছে দিয়ে যেতো; তাহলে আমি রোজ ভিজতাম বৃষ্টিতে " 😊
কারণ
কিছু স্মৃতি কীটপতঙ্গের মত মস্তিষ্ক কে চিবিয়ে খাচ্ছে(𝐌𝐨𝐡𝐨𝐧𝐚)

29/05/2024

আমি হলাম চন্দ্রবিন্দুর মতো কারো জীবনে থাকলেও সুন্দর..
না থাকলেও উচ্চারণে ভূল হয় না....!!!😅😅

23/05/2024

ফজরের নামাযের ফজিলত সমূহ:

ফজরের নামাযে ১০টি লাভ। নিজে জানুন,অপরকে জানান!

✔ #প্রথম_লাভ:
ফজরের নামাযে দাঁড়ানো, সারা রাত দাঁড়িয়ে নামায পড়ার সমান:

= যে ব্যক্তি জামাতের সাথে ঈশার নামায আদায় করলো, সে যেন অর্ধেক রাত জেগে নামায পড়লো। আর যে ব্যক্তি ফজরের নামায জামাতের সাথে পড়লো, সে যেন পুরো রাত জেগে নামায পড়লো (মুসলিম)।
✔ #দ্বিতীয়_লাভ:
সে দিনের পুরোটা আল্লাহর যিম্মায় থাকার দুর্লভ সৌভাগ্য। ফজরের নামায পড়লেই শুধু এ-ঈর্ষণীয় সৌভাগ্য লাভ করা যাবে।

= যে ব্যক্তি ফজরের নামায পড়বে, সে আল্লাহর যিম্মায় থাকবে (মুসলিম)।
✔ #তৃতীয়_লাভ:
ফজরের নামায কেয়ামতের দিন নূর হয়ে দেখা দিবে।

= যারা রাতের আঁধারে মসজিদের দিকে হেঁটে যায়, তাদেরকে কেয়ামতের দিন পরিপূর্ণ ‘নূর’ প্রাপ্তির সুসংবাদ দাও (আবু দাউদ)।
✔ #চতুর্থ_লাভ:
সরাসরি জান্নাত প্রাপ্তি। শুধু ফজরের নামাযটা পড়তে দেরি।

= যে ব্যক্তি দুই শীতল (নামায) পড়বে, জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর দুই শীতল (নামায) হলো ফজর ও আসর (বুখারী)।
✔ #পঞ্চম_লাভ:
রিযিকে বরকত আসবে। ফজর নামাযটা একটু কষ্ট করে পড়তে হবে। আল্লামা ইবনুল কাইয়িম (রহ.) বলেছেন: -সকাল বেলার ঘুম ঘরে রিযিক আসতে বাধা দেয়। কেননা তখন রিযিক বন্টন করা হয়।
✔ #ষষ্ঠ_লাভ:
ফজরের নামায পড়লে, দুনিয়া আখেরাতের সেরা বস্তু অর্জিত হয়ে যাবে।

= ফজরের দুই রাকাত নামায, দুনিয়া ও তার মধ্যে যা কিছু আছে, সবার চেয়ে শ্রেষ্ঠ (তিরিমিযি)।
✔ #সপ্তম_লাভ:
সরাসরি আল্লাহর দরবারে নিজের নাম আলোচিত হবে।

= তোমাদের কাছে পালাক্রমে দিনে ও রাতে ফিরিশতারা আসে। তারা আসর ও ফজরের সময় একত্রিত হয়। যারা রাতের কর্তব্যে ছিল তারা ওপরে উঠে যায়। আল্লাহ তো সব জানেন, তবুও ফিরিশতাদেরকে প্রশ্ন করেন:

-আমার বান্দাদেরকে কেমন রেখে এলে?
-আমরা তাদেরকে নামাযরত রেখে এসেছি। যখন গিয়েছিলাম, তখনো তারা নামাযরত ছিল (বুখারি)।
✔ #অষ্টম_লাভ:
ফজরের নামায দিয়ে দিনটা শুরু করলে, পুরো দিনের কার্যক্রমের একটা বরকতম সূচনা হবে।

= হে আল্লাহ! আমার উম্মতের জন্যে, তার সকাল বেলায় বরকত দান করুন (তিরমিযী)।
✔ াভঃ
মুনাফেকের জন্য ফজর পড়া কঠিন অর্থাৎ ফজর পড়লে মুনাফেকের লিস্ট থেকে নাম কাটা যায় ।
✔ াভঃ
প্রাতঃকালে যে নামাজে যায় তার ঈমানের ব্যাপারে সাক্ষ্য দেয়া যায় অর্থাৎ ফজরের নামাজ পড়লে ঈমানের সার্টিফিকেট মিলে ।এর চাইতে বড় আর কি যে আমি আমার দিন শুরু করছি আমার রবকে সিজদা করে।
____________________­_______

#ফজরের_নামাযের_ফজিলত­:

আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ

“এশার ও ফজরের নামাযের মত আর কোন নামায মুনাফিকদের কাছে বেশী ভারবহ মনে হয়-না। তবে যদি তাঁরা জানতো এই দুই নামাযের মধ্যে কি (ফজিলত) আছে; তাহলে তাঁরা হামাগুড়ি দিয়ে হলেও নামাযে আসত”

[বুখারী ও মুসলিম]

"প্রচার কর, যদি একটিমাত্র আয়াতও হয়" -সহীহ বুখারী ৩৪৬১

23/05/2024

মানুষ স্বার্থের কারনে যতটা প্রসংশা করে, স্বার্থ হাসিল না হলে ততটাই বদনাম ছড়ায় 😊

23/05/2024

বল্টু ও বল্টুর শিক্ষক ঘুরতে গেছে সাগর
পাড়ে....🥰🥰.----------
ঘুরতে গিয়ে দেখলো একটা সাইন
বোর্ডে🤨
লেখা আছে, "কেউ পানিতে পড়া
কাউকে
উদ্ধার করলে পুরস্কার পাবে ৫০০
টাকা।"😃😃
শিক্ষক তখন তার ছাত্র বল্টুকে বললো
শিক্ষক: শোন আমি পানিতে ঝাঁপ দিবো,😁
তুই আমাকে উদ্ধার করবি।
টাকা ৮০% আমার আর ২০% তোর🤨
বল্টু: স্যার টাকা ৫০/৫০ দিতে হবে😌
শিক্ষক : না আমি যেটা বলছি সেটাই 😡
এই কথা বলে শিক্ষক পানিতে ঝাঁপ দিলেন😁
বল্টু চেয়ে চেয়ে দেখছে কিন্তুু উদ্ধার করছে না😏😏
শিক্ষক: আমাকে উদ্ধার কর আমি সাঁতার জানি না🥺🥺
বল্টু:- স্যার, আপনি সাইন বোর্ডের
নিচের
লেখাটা পড়েন নাই😎

ওই খানে লেখা আছে
লা 'শ উদ্ধার করলে পুরস্কার ৫ হাজার
টাকা।।।😂🤣

🌹🌹রোমাঞ্চকর সব গল্প পেতে সবাই পেইজটা ফলো করে রাখেন!

23/05/2024

“সৃষ্টিকর্তা পাখিদের ভালোবাসেন তাই তিনি গাছ সৃষ্টি করেছেন। আর মানুষ পাখিদের ভালোবাসেন তাই তারা খাঁচা তৈরি করেছে।”
—জ্যাকুয়েস ডেভাল (ফরাসি নাট্যকার)

23/05/2024

﷽𝐀𝐬𝐬𝐚𝐥𝐚𝐦𝐮𝐥𝐚𝐢𝐤𝐮𝐦﷽
🟢𝗔𝗖𝗧𝗜𝗩𝗘 আছি...
𝐅𝐨𝐥𝐥𝐨𝐰 দিন।নোটিফিকেশন
পাওয়ার সাথে সাথে 𝐅𝐨𝐥𝐥𝐨𝐰 𝐁𝐚𝐜𝐤 পাবেন 💯 ইনশাল্লাহ...........

23/05/2024

“এই দুনিয়ায় সবচে সুখী মানুষ কারা? পাগলরা। একবার কষ্ট করে পাগল হয়ে যেতে পারলে খুবই মজা। আর কোনো দুঃখ নাই। শুধুই সুখ। এইসব ভেবেই পাগল হয়ে যেতে ইচ্ছে করে।”
—হুমায়ূন আহমেদ (ইস্টিশন)

23/05/2024

“যে ব্যক্তি সহজ সরল জীবনযাপন করে সুখ তার জন্য অত্যন্ত সহজলভ্য।”
—আলেকজান্ডার

23/05/2024

— কি চমৎকার সমাধান!!
" যখন আমি কষ্ট পাই,,
কোরআন বলেঃ- "নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে!"
------[সূরা ইনশিরাহ]

" যখন আমি সুখ চাই,,
কোরআন বলেঃ- "আল্লাহ কষ্টের পরেই সুখ দিবেন!"
-----[সূরা তালাকঃ-০৭]

" যখন আমি প্রিয় জিনিস টা পেলাম না,,
কোরআন বলেঃ- "তোমরা হয়তো এমন জিনিস পছন্দ কর, যা তোমাদের জন্য অকল্যাণ কর!"
-----[সূরা বাক্কারাঃ-২১৬]

" যখন আমি বিচার চাই,,
কোরআন বলেঃ- "আপনি ধৈর্য ধারণ করুণ যতক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ বিচার না করেন!"
------[সূরা ইউসুফ ঃ-১০৯]

" যখন আমি কষ্ট সহ্য করতে চাই না,,
কোরআন বলেঃ- "যারা ইমান এনেছে এবং সৎকাজ করেছে, আর আমি কাউকে তার সামর্থ্য এর অতিরিক্ত দায়িত্ব অর্পণ করি না, তারা হচ্ছে জান্নাতবাসী সেখানে তারা চিরকাল থাকবে.."
------[সূরা আরাফঃ-৪২]

" যখন আমি আল্লাহর সাহায্য চাই,,
কোরআন বলেঃ- "ভেঙে পড় না, নিরাশ হইও না, আল্লাহর সাহায্য আসবেই এটা আল্লাহর ওয়াদা! জেনে রেখ আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে!"
------[সূরা বাক্কারাঃ]

" যখন আমি ধৈর্য ধারণ করি,,
কোরআন বলেঃ- "যারা সবরকারী তারা পুরুষ্কার পায় অগণিত!"
-------[সূরা যুমারঃ১০]

" যখন আমি হতাশায় থাকি,,
কোরআন বলেঃ- "আল্লাহর উপর ভরসা কর, যদি তোমরা বিশ্বাসী হও!"
------[সূরা মায়িদাঃ-২৩]

"যখন আমি তাওবা করি,,
কোরআন বলেঃ- "আল্লাহ তাওবা কবুলকারী, করুণাময়!"
-------[সূরা তাওবাঃ-১০৪]

" যখন আমি নিরাশ হই,,
কোরআন বলেঃ- "একমাত্র কাফির ছাড়া অন্য কেউ আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয় না!"
------[সূরা ইউসুফঃ-৮৭]

" অবশ্যই তুমি পাবে যা তোমার থেকে চলে গেছে, তার চেয়েও উত্তম!"
------[সূরা আনফালঃ-৭০]

" যখন আমি ভালো কিছু করি,,
কোরআন বলেঃ-"উত্তম কাজের প্রতিদান, উত্তম ছাড়া আর কী হতে পারে?"
------[সূরা আর রহমানঃ-৬০]

" যখন আমি বিপদে পড়ি,,
কোরআন বলেঃ- "আমি অবশ্যই তোমাদিগকে পরীক্ষা করবো কিছুটা ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি এবং ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে। তবে সুসংবাদ দাও সবরকারীদের!"
------[সূরা বাকারা-১৫৫]

" খুব শীগ্রই তোমার রব তোমাকে এতো দেবে যে, তুমি খুশি হয়ে যাবে!"
-------[সূরা আদ-দুহাঃ-০৫]

22/05/2024

আল্লাহ নারীর গর্ভে বাচ্চাদের রেখেছেন অত্যন্ত নোনতা রসে, ইচ্ছাকৃতভাবে ওজন হালকা করার জন্য এবং একই সাথে মায়ের সাথে যুক্ত কর্ডের মাধ্যমে ক্লান্তিহীন খাবারের জন্য, শিশুকে প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ করার জন্য।

মা যদি খাবার না খায়, তাহলে শিশু কিছু মিস করবে না কারণ কিছু গ্রন্থি মায়ের দাঁত ও হাড় গলিয়ে হারিয়ে যাওয়া খাবারগুলো প্রতিস্থাপন করে। তাই বৃদ্ধ হয়ে গেলে মায়ের হাঁটু, দাঁত ও জয়েন্টে ব্যথা শুরু হয়। আর তাই, অনেক লোক বলে যে মহিলারা পুরুষদের আগে বৃদ্ধ হয়।

যদি একজন মানুষ জানত যে, সে তার মায়ের হাড় গলিয়েছে বেঁচে থাকার জন্য, সে জানত না কিভাবে তাকে পুরস্কৃত করতে হবে। ইয়া আল্লাহ! আমার মাকে সুস্থতার সহিত নেক হায়াত দান করুন এবং পরপারে চলে যাওয়া সকল মাকে জান্নাতের সর্বোচ্চ মর্যাদা দান করুন। আমীন।

Collected.
❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️

22/05/2024

ইনশাআল্লাহ
Reviews 2 Reviews 🚀💯𝗕𝗔𝗖𝗞
Follow 2 Follow💯 𝗕𝗔𝗖𝗞

20/05/2024

১.যে স্বামী সকালে ঘুম থেকে উঠে স্ত্রীকে কমপক্ষে পাঁচ মিনিট জড়িয়ে ধরে রাখে তাঁর কর্মক্ষেত্রে বিপদের আশঙ্কা কম থাকে।.. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

২.বউয়েরা ঘরের লক্ষী। এদেরকে যত বেশি ভালোবাসা দেয়া হয়, তত বেশি সংসার এ শান্তি আসে।..হুমায়ুন আহমেদ।

৩.স্ত্রীকে যথেষ্ঠ পরিমাণ সময় দিন, না হয় যথেষ্ঠ পরিমাণ বিশ্বাস করুন। সংসার আর যুদ্ধক্ষেত্র মনে হবে না।..সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়।

৪.সেই পুরুষই কাপুরুষ, যে স্ত্রীর কাছে প্রেমিক হতে পারেনি।..কাজী নজরুল ইসলাম।

৫.প্রতিদিন একবার স্ত্রীকে " আমি তোমাকে ভালোবাসি" বললে মাথার সব দুশ্চিন্তা দূর হয় যায়।..সত্যজিৎ রায়।

৬.মন ভালো রাখতে বউকে ফেসবুক, ফোনবুক, নোটবুক সহ সব ধরনের এ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দিয়ে দিন।..মার্ক জুকারবার্গ।

৭. মেয়েদের মন এ ভালোবাসা এবং অভিমান দুটোই থাকে বেশি। তাই অভিমানটাকে ভালোবাসার চেয়ে বড় করে দেখা যাবেনা। তাই স্বামীদের উচিত স্ত্রীর সব অভিমান ভালোবেসে ভাঙানো।.. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

৮.একটা শিশুকে দুনিয়ার মুখ দেখাতে মা যে কষ্ট সহ্য করে তা বাবা সারা জীবন ভালোবেসেও শোধ করতে পারেনা। তাই প্রত্যেকটা স্বামীর উচিৎ তার সন্তানের মাকে কোন রকম কষ্ট না দেয়।......জীবনানন্দ দাশ।

I've just reached 2K followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each and every one ...
20/05/2024

I've just reached 2K followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each and every one of you. 🙏🤗🎉

19/05/2024

আমার স্ত্রী প্রাইমারি টিচার।
রাতে ডিনারের শেষে আমার স্ত্রী ক্লাস ওয়ানের খাতা দেখছিলো।
খাতা দেখতে দেখতে আমার মিসেসের চোখ দুটো ছলছল করে করে উঠেছে।
আমি কাছেই বসে টিভি দেখছিলাম। মিসেসের দিকে নজর যাওয়াতে দেখি আমার স্ত্রী চোখের জল মুছছে।
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে কাঁদছো কেনো!!!
আমার মিসেস বললো.. ক্লাস ওয়ানের পরীক্ষায় এক রচনা এসেছে। "my wish"
--তো কাঁদার কি হলো!!
--সব খাতা গুলো দেখলাম। সবাই ভালো লিখেছে। --তো?
--একজনের খাতা দেখে আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না। চোখ দুটো জলে ভরে উঠলো।
--আচ্ছা বলো কি লিখেছে ওই বেবি।
মিসেস রচনা পড়তে শুরু করলো.....
আমার ইচ্ছা আমি স্মার্টফোন হবো।
আমার বাবা মা স্মার্টফোন খুব ভালোবাসে। কিন্তু আমায় ভালোবাসে না।
যেখানে যায় আমার বাবা তার স্মার্টফোন সঙ্গে করে নিয়ে যায়। কিন্তু আমায় সঙ্গে করে নিয়ে যায় না।
ফোন এলে আমার মা তাড়াতাড়ি গিয়ে ফোন ধরে। কিন্তু আমি কান্না করলেও আমার কাছে আসে না মা।
আমার বাবা স্মার্টফোনে গেম খেলে। কিন্তু আমার সাথে খেলে না। আমি বাবাকে বলি আমায় একটু কোলে নাও না বাবা। কিন্তু বাবা আমায় কোলে নেয় না। স্মার্টফোনটাই সব সময় বাবার কোলে থাকে।
মা কে গিয়ে বলি, মা মা চলো না আমার সাথে একটু খেলবে। কিন্তু আমার মা আমার উপর রেগে গিয়ে বলে, দেখতে পাচ্ছিস না আমি এখন তোর মামার সাথে চ্যাটে কথা বলছি।
আমার বাবা মা রোজ স্মার্টফোন টাকে যত্ন করে মোছামুছি করে। কিন্তু আমায় একটুও আদর করে না।
আমার মা যখন বাবার সাথে ফোনে কথা বলে তখন মা স্মার্টফোনে বাবাকে চুমু দেয়। কিন্তু আমায় একদিনও চুমু দেয়নি মা।
আমার বাবা মাথার কাছে স্মার্টফোন নিয়ে ঘুমায়। কিন্তু আমায় কোনোদিনও জড়িয়ে ধরে ঘুমায় না।
আমার মা রোজ চার পাঁচবার স্মার্টফোন টিকে চার্জ দেয়। কিন্তু মাঝে মাঝে আমায় খাবার দিতে ভুলে যায় মা। কিন্তু স্মার্টফোন টিকে চার্জ দিতে ভুলে না আমার মা।
তাই আমি স্মার্টফোন হবো।
আমার ইচ্ছা স্মার্টফোন হয়ে বাবা মায়ের সাথে সবসময় থাকতে চাই।
স্ত্রীর মুখে লেখাটি শোনার পর আমি খুব ইমোশনাল হয়ে স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলাম..
--কে লিখেছে এই রচনাটি ?
--আমাদের সন্তান।
আমি স্তব্ধ হয়ে বসে রইলাম কিছুক্ষন। অনেক কিছুই ভেবে চলেছি। আমার আর আমার স্ত্রীর চোখে তখন জলের ধারা নামতে শুরু করেছে।

স্মার্টফোন
★------------★★ 🍂🍂🍂

লেখাটা পড়ে কেমন লাগলো,

#গল্প_Story

18/05/2024

একজন মানুষের লাইফে যত দুঃখ কষ্ট আসে, তার একটি বড় কারণ সে হয়তো অতীত লাইফে কাউকে অন্যায় ভাবে কষ্ট দিয়েছিল, কিন্তু তার থেকে ক্ষমা চেয়ে নেয়নি।

একটা মেয়ের বিয়ে হচ্ছে না, কোন ছেলের চাকরী হচ্ছে না, কোন দম্পত্তির সন্তান হচ্ছে না, সে হয়তো শত চেষ্টা করছে, দু'আ করছে, কিন্তু আল্লাহ তাআলার তাকদীরে বাইরে কিছু করা তো তার হাতে নেই। কিন্তু আশেপাশের কিছু মানুষ তাকে কথা শুনাতে ছাড়ে না। এমন না যে, তাদেরকে গালি দেয়া হয়। কটু কথা বলা হয়। বরং মিষ্টি হাসি দিয়েই নরম ভাষাতেই এমন সব কথা বলা হয়, যে অন্তর ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায়।

আমার এক রিলেটিভ দেশের বাইরে (কথিত) সবচেয়ে সভ্য দেশে থাকে। বিয়ের পর তার বেবী হচ্ছিল না দেখে সেই এলাকার প্রবাসীদের যেই পরিমান কথা তারা সহ্য করেছে, সন্তান হওয়ার পর সেই কষ্টের কথা গুলো বলতে গিয়ে ৩৫ বছরের সেই ছেলে মানুষটিও চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি।

নিজ চোখে এরকম খোঁচা দানকারী মানুষগুলোর পরিণতি দেখেছি। জীবনের কোন একসময় এসে এমন মারাত্মক বিপদে পড়ে, এমন ভাবে আল্লাহ প্রদত্ত নিয়ামতগুলো আল্লাহ ছিনিয়ে নিয়ে যান, দিকবিদিকশুন্য হয়ে যায়। আল্লাহ! কোন পাপের শাস্তি দিলা বলে পাপ তালাশ করতে থাকে, অথচ দুই ঠোটের মাঝের জিহবার কামাইয়ের কথা ভুলে যায়।

কুরআনের আয়াতটি কী অদ্ভুত, তাই না!

"তোমরা এটাকে খুবই সাধারন ভাবতে, অথচ তা আল্লাহর কাছে ছিল বিশাল গুনাহ।"
(সুরা আন নূর)

✍️Rizwanul Kabir

18/05/2024

""সামান্য ৩৬-৩৮° ডিগ্রি তাপমাত্রা সহ‍্য হয়না""

অথচ;যেইদিন সূর্যটা মাথার কাছে চলে আসবে,
মাটি হবে তামা; সূর্যের প্রচন্ড তাপে মাথার
মগজগুলো নাকের ছিদ্র ও কানের ছিদ্র
দিয়ে বেয়ে বেয়ে পড়বে 😭 তৃষ্ণায়, জিহ্বা
বের হয়ে নাভি পযর্ন্ত এসে ঝুলে থাকবে😭😭

হে আল্লাহ! ঐদিন তোমার আরশের নিচে
একটুখানি জায়গা করে দিয়ে হাউজে
কাওসারের পানি পান করার সুযোগ করে দিও,
আ-মীন ইয়া রব!!!

16/05/2024

দরজা খুলে নিজের জন্মদাতা পিতাকে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মন খারাপ হয়ে গেলো! মলিন মুখে বললাম,
- বাবা, ভিতরে আসো!
বাবা ভিতরে এসে একটা বক্স বাড়িয়ে দিয়ে বললো
- “এই নে, তোর পছন্দের গুড়ের পায়েস এনেছি!”
কিছুটা অবাক হয়ে বললাম
- তুমি এই সামান্য পায়েস দেওয়ার জন্য ৬০ কিলোমিটার পথ জার্নি করে এসেছো?
বাবা হেসে বললো,
- “তোর মা রান্না করেছে। তোকে না দিয়ে কিভাবে খাই মা? তাই নিয়ে চলে আসলাম!”

রুমের ভেতর থেকে ড্রয়িংরুমের দিকে আসতে আসতে আমার শ্বাশুড়ি বললো,
- “বউ মা, কে এসেছে?”
বাবা আমার শ্বাশুড়িকে দেখে বললো
- “কেমন আছেন বেয়ান সাব?”

শ্বাশুড়ি বাবার কথার কোন উত্তর না দিয়ে আবার রুমের ভেতর চলে গেলো! বাবা আসলে আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন খুশি হওয়ার চেয়ে বিরক্তই হয় বেশি!
হুটহাট করে যদি মেয়ের বাড়ি চলে আসে তাহলে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন বিরক্ত হবে এটাই স্বাভাবিক! অথচ আমার অবুঝ বাবা সেটা বুঝে না। কয়েকদিন যেতে না যেতেই কিছু না কিছু একটা নিয়ে বাসায় হাজির হবেই!
বাবাকে বললাম,
- যাও বাবা, ভেতরের রুমে আপাতত বিশ্রাম নাও, তারপর দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করে চলে যেও।
বাবা কিছুটা অবাক হয়ে বললো
- “মা, আজকেই কি চলে যেতে হবে? তোদের বাসায় একটা দিন থাকি?”
কোনরকম কান্না চেপে রেখে চোখ-মুখ শক্ত করে বললাম,
- না বাবা, তোমার থাকতে হবে না! দুপুরের খাওয়ার পরই চলে যাবে!

কথাটা বলে আমি রান্নাঘরে এসে কাঁদতে লাগলাম। কতোটা অসহায় হলে একটা মেয়ে তার বাবাকে বাসায় একটা দিন রাখতে চায় না, সেটা কেউ বুঝবে না!
শ্বাশুড়ির রুমে এসে মাথা নিচু করে বললাম
- মা, ফ্রীজ থেকে খাসির মাংসটা বের করে রান্না করি? বাবা দুপুরে খেয়েই চলে যাবে।
শ্বাশুড়ি রাগী চোখে আমার দিকে তাকিয়ে বললো
- “এতো মেহমানদারি করতে হবে না! তোমার বাপ তো প্রতি কয়েকদিন পর পরেই আসে! তার জন্য খাসির মাংস রান্না করতে হবে নাকি? যা আছে তা দিয়েই খাইয়ে বিদায় করো! লোকটার লাজ লজ্জা বলতে কিছুই নেই। কয়েকদিন যেতে না যেতেই মেয়ের বাড়ি এসে পড়ে ভালো-মন্দ খাওয়ার জন্য!”
শ্বাশুড়ির কাছে হাত জোর করে মিনতি করে বললাম,
- মা, আল্লাহর দোহাই লাগে, এভাবে বলবেন না! পাশের রুমে আমার বাবা আছে, শুনলে কষ্ট পাবে। কথাটা বলে আমি চলে আসলাম…

শুধু যে আমার শ্বাশুড়ি বাবাকে অপমান করে তা না। আমার স্বামীও করে। একবার আমার স্বামী বাবাকে বাজারের ব্যাগ দিয়ে বলেছিল,
- “বাসায় তো বসেই আছেন। যান বাজারটা করে নিয়ে আসুন!”
মেয়ের জামাই শ্বশুরকে বলেছে বাজার করে নিয়ে আসুন! এটা যে কতোটা অপমানজনক আমার বাবা সেটা বুঝতে পারেনি! উনি ব্যাগ নিয়ে হাসিমুখে বাজার করতে চলে গিয়েছিল!

রুমে এসে দেখি বাবা খবরের কাগজ পড়ছে। আমাকে দেখে হাসিমুখে বললো,
- “দেখলি সাকিব আবার সেঞ্চুরি করেছে। ছেলেটার ভেতর দম আছে! দেখিস সামনে আরো ভালো কিছু করবে।”
আমি বাবার দিকে তাকিয়ে ভাবতে লাগলাম, আমার বাবা তো এমন ছিল না। নিজের বিন্দু পরিমাণ অপমান সহ্য করতো না। সেই বাবা আমাকে বিয়ে দেওয়ার পর এমন হয়ে গেলো কেন!

দুপুরে বাবাকে খাওয়ানোর সময় মাছের মাথাটা যখন বাবার প্লেটের দিকে বাড়িয়ে দিবো, তখন শ্বাশুড়ি এসে বললো
- “তুমি জানো না, মাছের মাথা ছাড়া আমার ছেলে খেতে পারে না। কোন হিসাবে নিজের বাবাকে মাছের মাথা দিচ্ছো?”
বাবা তখন শুধু তারকারীর ঝোল মেখে খেতে খেতে বললো
- “তুই এতো ভালো রান্না করিস কিভাবে? বাড়ি গেলে তোর মাকে একদিন শেখাবি। ২৫ বছর ধরে সংসার করছে, অথচ রান্নাটা ভালো করে শিখতে পারেনি!”
আমি তখন কাঁদতে কাঁদতে বাবাকে বললাম
- আল্লাহ কি তোমাকে একটু লাজ লজ্জা দেয়নি। এতো অপমানের পরেও কয়দিন পর পর মেয়ের শ্বশুড়বাড়ি এসে হাজির হও। তুমি যদি আমার ভালো চাও, তাহলে এই বাড়িতে আর এসো না!

বাবা সেদিন আমাকে আর কিছুই বলেনি। শুধু যাবার সময় আমার মাথায় হাত বুলিয়ে হাসিমুখে চলে গিয়েছিল…

সেদিনের পর বাবা আর কখনো আমার শ্বশুরবাড়ি আসেনি। মাঝখানে আমার শ্বাশুড়ি অসুস্থ হলো, স্বামীর ব্যবসার অবস্থা খারাপ হলো, বাবাই সব টাকা দিয়েছে কিন্তু বাসায় আসেনি!
একদিন শ্বাশুড়ি আমাকে বললো,
- “বেয়ান মশাই তো আর আসে না!”
আমি হেসে বললাম
- “মেয়ের বাসায় এসে কি করবে? মেয়ে তো তাকে একবেলা মাছের মাথা দিয়ে খাওয়াতে পারতো না। তরকারির ঝোল দিয়েই ভাত খেতে হতো। তাই হয়তো আর আসে না!”
স্বামী একবার বললো,
- “বাবাকে বলো একবার বাসায় আসতে!”
একথা শুনে স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম,
- “কেন! বাজার করার লোক আছে তো! শুধু শুধু আরেকজন লোক বাসায় আনার দরকার কি? শ্বাশুড়ি কিংবা স্বামী সেদিন কিছু বলতে পারেনি। শুধু মাথা নিচু করে ছিল…

২ বছর পর…
আমি মেয়ের মা হয়েছি। কিন্তু মেয়ের প্রতি আমার চেয়ে আমার স্বামীর দরদ বেশি! মেয়ে রাতে যতোক্ষণ সজাগ থাকে, ততোক্ষণ মেয়েকে কোলে নিয়ে হাঁটে!।মেয়ে ঘুমালে মেয়ের মুখের কাছে মুখ নিয়ে নিঃশ্বাসের শব্দ শুনে! মেয়ে যেদিন আধো আধো গলায় বাবা বলে ডেকেছিল, সেদিন আমার স্বামী খুশিতে বাচ্চাদের মতো কান্না করে দিয়েছিল!

একদিন মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে আমাকে আমার স্বামী বললো,
- “আমার মেয়েকে আমি বিয়ে দিবো না! সারাজীবন আমার কাছে রাখবো। মেয়েকে ছাড়া আমি থাকতেই পারবো না”!

আমি তখন স্বামীর চোখের দিকে তাকিয়ে বললাম
- “আমার বাবাও হয়তো ঠিক এভাবে আমাকে বুকে জড়িয়ে ধরে বলেছিল আমাকে বিয়ে দিবে না। আমাকে ছাড়া থাকতে পারবে না। কিন্তু মেয়ে মানুষ বলে কথা। বিয়ে তো দিতেই হবে। মেয়েকে বিয়ে দিলো। মেয়ের বাসায় এসে প্রতিবার অপমানিত হয়ে যেতো, তবুও আবার আসতো!”

কথাগুলো শুনে আমার স্বামী যখন নিরব হয়ে রইলো তাখন আমি চোখের জল ফেলতে ফেলতে বললাম,
- তোমারা আমার বাবাকে যতোটা বেশরম ভেবেছিলে, বিশ্বাস করো আমার বাবা এমন বেশরম না! উনি সবই বুঝতো, তবুও না বুঝার অভিনয় করতো। একমাত্র মেয়ে ছিলাম তো, তাই মেয়েকে দেখার জন্য বাবার হৃদয়টা কাঁদতো। তাই কয়েকদিন পর পর এসে পড়তো।

রাতে কান্নাকাটি করে কখন ঘুমিয়েছি জানি না। পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার স্বামী ল্যাগেজ গুছিয়ে তৈরি হয়ে বসে আছে!
অবাক হয়ে বললাম,
- কোথাও যাবে নাকি?
স্বামী মেয়ের দিকে তাকিয়ে কান্না ভেজা চোখেও মুখে হাসি নিয়ে বললো,
- “মেয়ের বাবা যেহেতু হয়েছি, সেহেতু শ্বুশুরের কাছে গিয়ে নির্লজ্জ হবার ট্রেনিং নিতে হবে! কারণ একদিন আমাকেও হয়তো অনেক অপমান সহ্য করতে হবে, যেমনটা আমি আমার শ্বশুরকে করেছি। মেয়ের বাবাদের তো আবার লজ্জা থাকতে নেই!”

আমি আমার স্বামীকে কিছু বলতে পারছিলাম না। শুধু দেখছিলাম আর ভাবছিলাম, মেয়ের বাবা হবার পর নিজের করা ভুলের জন্য কতোটা অনুতপ্ত হলে একটা ত্রিশোর্ধ মানুষ বাচ্চার মতো কান্নাকাটি করে!
আজকের পর থেকে স্বামীর প্রতি আমার কোন অভিযোগ নেই…

#আমার_কোন_অভিযোগ_নেই
আবুল বাশার পিয়াস.

16/05/2024

রিশাকে আমি চড় মারার সাথেই ওর দাদু মানে আমার শাশুড়ী মা আমার সাথে চিৎকার করে উঠল,তুমি এটা কি করলা বৌমা, এত্ত বড় মেয়ের গালে এক ঘর মানুষের সামনে চড় মারলা তাও আমার সামনে? কান্ডজ্ঞান হারিয়ে বসে আছ নাকি?
রাগে আমার গা কাঁপতে থাকে আমি রিশার হাত ধরে টেনে ওকে ঘরে এনে দরজা লাগিয়ে দেই। আমার শাশুড়ী,ননদ দরজা ধাক্কাতে থাকে আমি পাত্তা দেইনা।
মেয়েকে চিরুনি দিয়ে মারতে মারতে বলতে থাকি, অসভ্য মেয়ে, তুমি বড় হইছ না? সবে ক্লাস নাইনে উঠেছ এত্ত বড় তুমি হয়েছ যে স্কুলে না গিয়ে বাইরে ঘুরে বেড়াও? আজ আসুক তোমার বাবা তখন তোমার ব্যবস্থা করব। লেখা পড়ার তো এইনা ছিরি ভাইকে দেখেতো শেখনাই কিছু। আমার ছেলের নখের ও যোগ্যি না তুই। আমাদের মান সম্মান ডোবানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছিস।
রিশা কাঁদতে থাকে আমি ওকে রেখে বের হয়ে আসি। ওর রুমে গিয়ে সব তোলপাড় করি। টেবিলের ড্রয়ার, আলমারী,তোশকের নিচে, ব্যাগের ভেতর, বইয়ের তাকে। কিছু না কিছুতো আছেই। ইদানিং প্রায়ই টাকা চায় এই সেই উছিলায়। ছোট মানুষ গুরুত্ব দেইনাই। এখন বুঝতেছি ও টাকা চায় কেন,কিছু একটা তো আছেই।
আমার শাশুড়ী ডাকতে থাকেন, বৌমা দুপুর তিনটা বাজে বাড়িতে মেহমান সে খেয়াল আছে তোমার? ভাত দাওনা কেন টেবিলে? জামাইকে কি না খাওয়াইয়া রাখবা?

আমি খাবার দিতে যাই। আমার ননদ বলে ভাবি, রিশাকে ডাক।
-নাহ্ ওর ভাত বন্ধ।
-বৌমা জিদ করোনা। রিশাকে ডাক দাও।
-মা বেয়াদবী নিবেন না, আর নিলেও আমি নিরুপায় আজ দুপুরে রিশার ভাত বন্ধ। ওর বাবা আসুক। রাফি বাবা টেবিলে আয় সোনা। পরে পড়িশ। না খেলে পড়াশোনা করবি কি করে?
আমার ননদ রাগ করে খাবার রেখে উঠে যায়। সব কিছুতে বাড়াবাড়ি। আমার মেয়েকে আমি শাসন করব না আদর করব সেটা আমার ব্যাপার,বেড়াতে আসছে দু দিন থাকবে চলে যাবে। তানা সব কিছুতে নাক গলানো চাই।

রাফি-রিশার বাবা ফিরল রাত আট টা নাগাদ। রিশার রুমের আলমারীর কাপড়ের নিচে একটা ডায়েরী পেয়েছি। ডায়েরি টা বের করে নিয়ে এসে ওকে ওর রুমে পাঠিয়ে দিয়েছি। ওর দাদু খাবার নিয়ে অনেক সাধাসাধি করেছে উনি খাবেন না। বেয়াদ্দপ হয়েছে মেয়েটা। রাগ দেখায়, জীদ করে। আজ ওর একটা ব্যবস্থা করব৷ চাকরী করলাম না শুধু মাত্র ছেলে মেয়েকে মানুষ করতে গিয়ে আর এই মেয়ে কিনা তলে তলে আমার চোখ ফাঁকি দিচ্ছে! আজ বাড়ীতে ননদ,ননদাই আসায় আমি স্কুল থেকে আনতে যেতে পারিনি। রাফিকে পাঠিয়েছিলাম ও নাকি গিয়ে রিশাকে পায় নি। মিনিট দশেক পর রিক্সায় ফিরতে দেখা যায় ওকে ওর বান্ধবীর সাথে। এত্ত চালাক হয়েছে মেয়েটা, জানে যে আজ মা নিতে যাবেনা এই সুযোগ।
ওর বাবাকে নাস্তা দিয়ে ডায়রীটা নিয়ে বসি। নীল রং এর ডায়েরী,কখন লিখে ও আমার তো চোখে পড়েনা। এত চোখে চোখে রেখেছি ছেলে মেয়েকে তাও চোখ ফাঁকি দিল। ছেলেটাকে মানুষ করতে পারলেও বোধয় মেয়েটাকে পারলামনা।
আমি ব্যস্ত হাতে ডায়েরী টা খুলি। প্রায় মাঝামাঝির দিকে একটা কবিতা। কবিতা লেখা হচ্ছে তাহলে আজকাল অথচ পড়তে বসতে বললেই নানান বাহানা শুরু হয় তার, ঘুম পায়,মাথা ব্যথা, মনে রাখতে পারেনা। কি করব আমি এই মেয়েকে নিয়ে দিশেহারা লাগে আমার।

পাতা উল্টাই ছোট একটা লাইন,
'আমার রাতে ঘুম আসেনা''
পড়তে বসলে ঘুমে নাকি পড়ে যায় অথচ লিখেছে তার নাকি রাতে ঘুম আসেনা। প্রেম করছে নাতো? শুনেছি প্রেমে পড়লে এমন অস্বাভাবিক অনেক কিছুই হয়, আমাদের সময় বাবা এসব ছিলনা, আজকাল কার ছেলে মেয়েদের তো এমন ভাব যেন বয়ফ্রেন্ড নাই বলতে লজ্জা হয়!

আমি আবারো পাতা উল্টাই,
''বাবাকে বললাম বাবা আজ বাইরে খেতে নিয়ে যাবে? বাবা বলল পড়াশোনায় মন দাও আমি ফেরার সময় নিয়ে আসব, কি আনতে হবে মাকে বলে দিও আমাকে জানিয়ে দিতে।
কেন কি এমন হত সবাই মিলে একটু বের হলে?
স্কুল আর বাসা, বাসা আর স্কুল। দম বন্ধ লাগে আমার। "

আমি পরের পেজে যাই,
'"মা কে আজ বললাম আমার কাছে ঘুমাও, মা রাজি হলনা অথচ প্রায়ই রাতে মা বাবার সাথে রাগারাগী করে আমার ঘরে এসে ঘুমায় মাঝে মাঝে কান্না করে আমি বুঝতে পারি, আমার ইচ্ছে করে মাকে জড়িয়ে ধরি কিন্তু আমি জেগে আছি জানলে যদি বকা দেয় তাই সাহস পাইনা"

আমি পাতা উল্টাতে থাকি,
"আমার পড়তে খুব কষ্ট হয়, মনোযোগ থাকেনা পড়লে কিছু মনেও থাকেনা, যত দিন যাচ্ছে ততই সমস্যাটা বাড়ছে,মাকে বললে মা বলে পড়ায় মন নাই তাই এসব অজুহাত দেখাই।"

"ফুপি এসেছে জেনি আপু ও এসেছে আমার খুব ইচ্ছে করে আমি জেনি আপুর সাথে গল্প করি কিন্তু মা বেশীক্ষণ মিশতে দেয়না বলে বড় বোনদের সাথে এত কিসের কথা তুমি ছোট মানুষ এখন পড়াশোনা করার সময় আড্ডা দেওয়ার অনেক সময় পরে পাবে।"

"আমার রাজু আঙ্কেলদের সাথে মিশতে ভাল লাগেনা একদম, উনার ছেলে জনি খুব অসভ্য ইঙ্গিত করে কিন্তু আমি বাবাকে বলতে পারিনা বাবার ধারনা আমি তার বন্ধুদের সামনে নিজেকে অসামাজিক প্রমানিত করতে চাই তাই যেতে চাইনা।"

"মা আজ দাদুর সাথে খুব ঝগড়া করল,তারা কেউ কাউকে দেখতে পারেনা সব সময় বাসায় একটা অশান্ত পরিবেশ, ফুপি আসলে ভাল লাগে আমার, কিন্তু ফুপিতো বেশীদিন থাকেন না। দাদু ফুপি আসলে মায়ের সাথে আরো ঝগড়া করে। মা প্রায়ই মামা বাড়ী চলে যেতে চায়, আচ্ছা মা কি সত্যিই চলে যাবে?"

"ভাইয়াকে বাবা মা অনেক ভালবাসে আমাকেও বাসে কিন্তু ভাইয়াকে বেশী বাসে। আমারো ইচ্ছে করে আমিও ভাইয়ার মত ভাল রেসাল্ট করি কিন্ত আমার তো পড়া মনে থাকেনা।"
"আমার সারাদিন ঘুম পায় কিন্তু সারা রাত ঘুম আসেনা,ক্লাসে মন বসেনা শুধু ঘুম পায়। "

"সেদিন তন্বিদের বাসায় সবাই গেল কিন্তু আমি যেতে পারলাম না, বন্ধুরা নাকি সব নষ্টের গুরু। আচ্ছা ওদের মায়েরাও একি কথা ভাবে? তাহলে আমরা সবাই কি সবাইকে নষ্ট করে দিব কিন্তু কিভাবে?"

"সারা ফোন করেছিল, মা পাশে বসে থাকে কি যে অস্বস্তি হয়, একদিন না করেছিলাম বলে পুরা একটা সপ্তাহ ফোন ধরতে দিলনা।"

"মা আমাকে কিসব পোশাক পরায় আমার ভাললাগেনা কিন্তু মা, বাবা কেউই বুঝতে চায়না বলে আমি বেশী বোঝা শুরু করেছি,আচ্ছা আমি কবে আমার পছন্দের পোশাক গুলো পরতে পারব?"

"আমার কবিতা লিখতে ভাললাগে, মাঝে মাঝে চুরি করে লিখি যেন মা দেখে না ফেলে, কিন্তু আমার খুব ইচ্ছে করে আমি বাবা, মা, দাদী, ফুপি সবাই কে দেখাই কিন্তু সাহস হয়না।"

"ফিজিক্স আমার একদম ভাললাগেনা, আর সেদিন নাম্বার কম পাওয়ায় মা যখন চৈতীর সামনে চড় মারল সেদিন থেকে বইটা দেখলেই আমার টুকরা টুকরা করে ফেলতে ইচ্ছে করে।"

"আমার এ বাড়ীতে একদম ভাল লাগেনা, আমাকে কেউ বোঝেনা কেউনা।"

"মাঝে মাঝে মন চায় দূরে কোথাও চলে যাই কিন্তু কোথায় যাব?"

" ক্লাসে যেতে ইচ্ছে করেনা একটুও, ইস্ আমি যদি সকাল দশটা পর্যন্ত ঘুমতো পারতাম, যদি চাইলেই বস্তা বস্তা কবিতা লিখতে পারতাম, যদি বন্ধুদের সাথে
প্রিয় সিরিয়াল গুলা দেখতে পারতাম!"

"বাবা আজ ভাইয়াকে ল্যাপটপ কিনে দিয়েছে আমি বলেছিলাম আমাকে একটা মোবাইল কিনে দিতে, সিম লাগবেনা শুধু একটু গান শুনব,গেম খেলব, বাবা রাজী হলনা বলল সময় হলে দিবে, রেজাল্ট ভাল হলে দিবে কিন্তু আমি জানি দিবেনা কারন আনার রেজাল্ট ভাইয়ার মত ভাল হবেনা।"

"আমার ভীষন অস্থির লাগে, কিচ্ছু ভাললাগেনা।"

"আজ ক্লাস থেকে বের হয়ে পুরা একঘন্টা লাইব্রেরিতে বসে ছিলাম আমার ক্লাস করতে অসহ্য লাগে।"
"আমার খুব কান্না পায় খুব। "

"আজ চৈতী বলল আমি নাকি ডিপ্রেশন এ পড়েছি ওর এক কাজিনেরও এমন হতো ডাক্তার দেখিয়ে ছিল। আমাকে নিয়ে যাবে ডাক্তার এর কাছে। সুস্থ হয়ে গেলে নাকি আমার আবার সব ভাল লাগবে স্কুল,বন্ধু,পড়াশোনা,বাসা....সব"

"কাল মাকে মিথ্যা বলে টাকা নিয়েছি মা সন্দেহ করলেও টাকাটা দিয়েছে, আগামী পরশু ফুপি আসবে মা স্কুল থেকে আনতে যাবেনা তখন চৈতীকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাবো,খুব ভয় করছে। ইস্ মা যদি নিয়ে যেত আমাকে।"
"বাবা কে, মা কে অনেক ভালবাসী ওরাও আমাকে ভালবাসে কিন্তু ওরাতো জানেনা যে আমি কি করতে ভালবাসি ওরা শুধু জানে ওরা কি ভালবাসে ওরা আমাকে দিয়ে সেটাই করাতে চায় ওরা যা ভালবাসে। আমি তো আজকাল ভুলেই যাই যে আমি কি ভালবাসি।"

"আচ্ছা আমি যদি সবাই কে ছেড়ে দূরে কোথাও চলে যাই তাহলে কি মা, বাবা, দাদু, ভাইয়া কষ্ট পাবে,ওরা কি কাঁদবে আমার জন্য?"

"বাবার ড্রয়ার থেকে একটা ব্লেড নিয়েছি জ্যামিতি বক্সের ভেতর লুকিয়ে রেখেছি, এর পর যদি কোনদিন আমার গায়ে হাত তুলেনা আমি কিছু একটা করব অবশ্যই করব।"

আমি আর পড়তে পারিনা চোখের পানিতে ডায়েরীর পাতা গুলো ভিজে যেতে থাকে। বনি ঘরে ঢুকে অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে আমি ডায়রিটা ওর হাতে দিয়ে রিশার ঘরে যাই।
অন্ধকার ঘরে রিশা ঘুমচ্ছো আমি ওকে জড়িয়ে ধরে শুই," হয়তবা অনেক দেরী করে ফেলেছি তা বলে কি একেবারেই দেরী হয়ে গেল রে মা?"

রিশা আমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে, শেষ কবে মেয়ে কে এমন দৃঢ় আলিঙ্গন করেছি মনে করতে পারছিনা, তবে মাতৃত্ব কে অনুভব করতে পারছি, যে মাতৃত্ব শুধু সন্তানের সুখ ছাড়া কিছুই বুঝেনা। নিজের সন্তান কে অবচেতন মনে দূরে দিয়েছি কখন বুঝতেই পারিনি। না হল মেয়েটা আমার সবার সেরা, না হল সভ্য শান্ত, হল না হয় একটু দূরন্ত থাকল না হয় একটু পিছিয়ে তাতে কি খুব ক্ষতি হবে? বাঁচার মত করে না বেঁচে প্রতিনিয়ত একটু একটু করে শেষ হয়ে যাওয়া থেকে কি হেসে খেলে কৈশরটা ওকে কাটাতে দেওয়াটা কি আমার খুব অন্যায় হবে?
রিশা আমার কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলে ওঠে, "মা তুমি কি ভয় পেয়েছিলে? আমার না তোমাদেরকে ছেড়ে কোথাও যেতে ইচ্ছে করেনা, কষ্ট হয় মা, তোমার জন্য তোমাদের সবার জন্য...."

আমার বুকটা কেঁপে ওঠে।
আচ্ছা আজ যদি রিশা একটা ভুল করে বসত তাহলে আমরা হয়তবা ভাবতাম বাবা মায়েরাতো একটু শাসন করবেই তা বলে সুইসাইড?? অথচ আমি কিনা নিজের অজান্তেই...... একি করছি বাবা মা হয়ে সন্তান কে শেষ করে দিচ্ছি।

রিশার মত এমন হাজারো স্বেচ্ছায় হারিয়ে যাওয়া প্রাণ গুলোর ভেতরের গল্প আমাদের অজানাই রয়ে যায়। আমরা সুইসাইড টাই জানি সত্যটাকে জানিনা জানতে চাইওনা যে জীবন স্বেচ্ছায় গিয়েছে তাকে জেনে কি লাভ? এভাবেই লুকিয়ে থাকা ছোট ছোট হতাশা থেকে প্রতিনিয়ত তৈরী হয় নিত্য নতুন হারিয়ে যাবার সংবাদ। আর আমরা মেতে উঠি সেই ভুল করা মানুষটার ভুল গুলা ধরার কাজে।

আমি মেয়ের কপালের চুলগুলা সরিয়ে পরম আদরে চুমু খাই, না ভুল বললাম মেয়ের কপালে না, চুমু খাই আমি আমার সন্তানের কপালে।

সমাপ্ত

শাসন
তারানা_তাবাসসুম

12/05/2024

আপনি যাদের দেখছেন পূর্ণ পর্দা করছে, সুললিত কুরআন তিলাওয়াত করছে, বিগত ১০/২০ বছরেও কোন নামাজ ছাড়ে নি, এদের কেউই আরাম করে এই পর্যায়ে আসেনি। 'পর্দা করতে চাই/নামাজে রেগুলার হতে চাই কিন্তু হয় না' - এই স্টেটমেন্ট নিয়ে বসে থাকলে এই মানুষগুলোরও এজীবনে কোনদিন আর পর্দা করা হতো না, ফজর ঘুমিয়ে কেটে যেতো।

নামাজ মিস না করতে এদের রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল, গ্যারেজ কতো কতো অদ্ভুত জায়গায় যে নামাজ পড়তে হয় শুনলে অবাক হয়ে ভাবতেন এরা নামাজকে সবচেয়ে সিরিয়াসলি নিয়েছে কিভাবে? কিসে তাদের এতো সিরিয়াস করল? শুধুমাত্র পর্দা করার অপ-রাধে বাসায় যে বি-রোধিতা, বাইরে যে অন্যায় তারা সহ্য করে, শুনলে হতভম্ব হয়ে যাবেন কিন্তু তারা আপনাকে তাদের অভিজ্ঞতা বলবে না কারণ এই পরিমাণ সাহস এবং ত্যাগ তারা শুধু আল্লাহ্‌র জন্য করছে, স্বেচ্ছায় করছে।

কাজেই, আপনার পর্দা, নামাজ মিসের দায় শুধুই আপনার, এগুলো আপনি স্বেচ্ছায় ছাড়ছেন।
কপি

12/05/2024

আজ এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট। কাউকে ফোন দেওয়ার দরকার নেই, খোঁজ নেওয়ার দরকার নেই। সারাবছর যেহেতু নেন নাই, এই একদিনে বাচ্চার অভিভাবক সাজতে হবে না। রেজাল্ট ভালো হলে নিজে থেকেই জানাবে। খারাপ হলে ওদের একটু একা থাকতে দেন, রিল্যাক্স করতে দ্যান। এ+ না পেলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না। ছোট মানুষ, এতবড় ধাক্কা সামলাতে পারবেনা। তাই হুটহাট ফোন দিয়ে রেজাল্ট জানতে চাওয়ার বাহানায় কাউকে আঘাত দিয়েন না। প্লিজ না!😊
সবাই সবার জন্য আশীর্বাদ করিয়েন।

With গ্রামের সাধারণ সন্তান – I just got recognised as one of their top fans! 🎉
11/05/2024

With গ্রামের সাধারণ সন্তান – I just got recognised as one of their top fans! 🎉

Address

Cumilla

Telephone

+19397364680

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rabeya Akter posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Rabeya Akter:

Videos

Share


Other Digital creator in Cumilla

Show All