Shamima Nasrin Rubi

Shamima Nasrin Rubi Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Shamima Nasrin Rubi, Video Creator, Cumilla.

09/06/2023

প্রেমিক-প্রেমিকা হওয়া যতটা সহজ, স্বামী-স্ত্রী হওয়া ততটাই কঠিন। প্রথমটা ফ্যান্টাসির সম্পর্ক আর পরেরটা বাস্তবতার।

কারও প্রেমে পড়ার জন্য বেশি কিছু ভাবতে হয় না, জানতে হয় না; বরং চোখের একটি পলকই যথেষ্ট। কিন্তু কাউকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বাছাই করার জন্য তার ব্যাপারে খুঁটিনাটি অনেক কিছু জানতে হয়, অনেক ‘যদি-তবে-কিন্তু’র হিসাব মেলাতে হয়।

আপনি যখন ‘প্রেমিকা’ চুজ করছেন, তখন আপনার চোখ আর মনের ভালো লাগাটাই বিশেষভাবে বিবেচ্য, কিন্তু আপনি যখন ‘স্ত্রী’ বাছাই করছেন, তখন আপনি একাধারে একজন জীবনসঙ্গী, আদর্শ গৃহবধূ, সন্তানের মা এবং সুখ-দুঃখের সাথী বাছাই করছেন। একইভাবে কোনো ছেলের সৌন্দর্য কিংবা তার বিশেষ কোনো প্রতিভায় মুগ্ধ হয়ে তাকে বয়ফ্রেন্ড বানিয়ে ফেলা খুব সহজ। কিন্তু একজন দায়িত্ববান স্বামী, দৃঢ়চিত্ত পুরুষ, ছাতার মতো আশ্রয় কিংবা আপনার সন্তানের বাবা হিসেবে যখন আপনি কাউকে বাছাই করবেন, তখন অনেক ভাবতে হবে।

সমস্যা হলো, আমরা আবেগের ফাঁদে পড়ে যাকে-তাকে প্রেমিক-প্রেমিকা বানিয়ে ফেলি, এরপর যখন বিয়ের প্রসঙ্গ আসে, তখন হিসাব মেলাতে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলি, হিমশিম খেতে থাকি। কারণ যে ছেলেটা প্রেমিক হিসেবে নাম্বার ওয়ান, সে যে স্বামী হিসেবেও নাম্বার ওয়ান হবে, এটুকু ভরসা রাখতে পারি না। প্রেমিকার দুষ্টু-মিষ্টি আবদার পূর্ণ করা আর কোনো মেয়ের আজীবনের দায়িত্ব গ্রহণ করা আকাশ-পাতাল পার্থক্য। কোনো মেয়ের ‘বাবু খাইসো?’-টাইপ কেয়ার করা আর একটা সংসারের সুখ-দুঃখের ভার বহন করা কখনই এক নয়। এজন্য প্রায়ই দেখা যায়, প্রেমিক-প্রেমিকা হিসেবে ফুল মার্কস পাওয়া ছেলে-মেয়েরা স্বামী-স্ত্রী হিসেবে পাশ নম্বরটাও পাচ্ছে না। কারণ ফ্যান্টাসির জগৎ আর বাস্তবতার জগৎ এক নয়।

আপনার প্রেমিকার সাথে আপনি ২৪ ঘণ্টা জমে থাকেন না। মাঝেমধ্যে দেখা করেন। যখন দুজনের দেখা হয়, তখন পরিপাটি হয়ে থাকেন। দুজনের মাঝে যখন কথা হয়, তখন কেউ নিজের নেতিবাচক বৈশিষ্ট্যগুলো শেয়ার করেন না। অলটাইম মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন, তাকে উৎফুল্ল ও সন্তুষ্ট রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। ফলে একজন আরেকজনের জন্য ফিদা হয়ে থাকেন। কিন্তু বিবাহিত জীবনটা এমন না। ২৪ ঘণ্টা একসাথে থাকতে হয়, ভালো-মন্দ সকল বৈশিষ্ট্য, আচার-অভ্যাস জানাজানি হয়, সংকটময় মুহূর্তগুলোর সন্মুখীন হতে হয় এবং রাগ-ক্ষোভ ও জিদের সময়গুলোতে বিশেষভাবে চেনা-জানা হয়।

যার সামনে গেলে আপনার চোখের নীচের কালো দাগ ও পায়ের ফাটাগুলো ঢেকে রাখতে হয়, যার সামনে আপনি ঘর্মাক্ত শরীরে যেতে ইতঃস্ততবোধ করেন, শূন্য পকেট দেখে যার আচরণ বদলে যায়, যার মুখোমুখী হওয়ার আগে আয়নার সামনে সময় দিতে হয়, যার সাথে কথা বলার সময় তার রূক্ষ মেজাজের কারণে অনেক ভেবে-চিন্তে কথা বলতে হয়, তার সাথে—আর যাই হোক—হৃদয়ের লেনদেন চলতে পারে না, তার সাথে জীবনের খেয়া পার হওয়া যায় না। খেয়াল করে দেখুন, প্রেমিক-প্রেমিকারা ঠিক এই বিষয়গুলো নিয়ে কতোটা কনসার্ন থাকে! এজন্য বলি, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে অকৃত্রিম ভালোবাসার সৌন্দর্য থাকে না। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের কমিটমেন্টগুলোতে প্রাণ থাকে না। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কগুলো শো-অফে ভরপুর থাকে। এক ইউটোপিয়ান জগৎ!

আমার প্রিয় ভাই-বোনেরা, আপনারা এই বাস্তবতা উপলব্ধি করতে না পারলে জীবনে অনেক পস্তাবেন এবং হতাশার আগুনে দগ্ধ হবেন।

ইসলাম বিবাহবহির্ভূত প্রেম-ভালোবাসা নিষিদ্ধ করে অন্যায় করেনি, বরং আমাদের অদূরদর্শী আবেগে লাগাম পরিয়ে আমাদের উপকার করেছে। কাউকে দেখে ভালো লাগা মোটেও খারাপ কিছু নয়। খারাপ হলো, বিবাহবহির্ভূতভাবে এই অনুভূতিকে গ্লোরিফাই করে হৃদয়াবেগ আদান-প্রদান করা, কথা-বার্তা চালিয়ে যাওয়া, দেখা-সাক্ষাৎ করা, নির্জনে মিলিত হওয়া ইত্যাদি। অতএব, কাউকে ভালো লাগলে বা পছন্দ হলে প্রথমে তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবে বিবেচনায় নিয়ে ভালো-মন্দ বিচার-বিশ্লেষণ করুন। এরপর মনোভাব ইতিবাচক হলে পরিবারকে অবহিত করুন। বিয়ের প্রস্তাব দিন; বিয়ে করে ফেলুন।

02/06/2023

অনেক মা'জ'লুম (অ'ত্যা'চারের শিকার ব্যক্তি) নিজের দাপটের জায়গায় জা'লি'ম (অ'ত্যা'চারী) হয়ে যায়। যেমন: ঘরের বাইরে হয়তো সে জু'লু'মের শিকার হয়েছে, কিন্তু বাসায় এসে এর ঝালটা ওঠায় বউ-বাচ্চার উপর দিয়ে।

আবার অনেক মা'জ'লুম জু'লু'ম প্রতিহত করতে গিয়ে জা'লি'ম হয়। মানে, তাকে যদি কেউ ধাক্কা মারে, সে এর জবাব দেয় থাপ্পড় দিয়ে। সর্বোচ্চ সে সমপরিমাণে জবাব দেওয়ার অধিকার রাখে।

একজন ব্যক্তির মধ্যে আল্লাহর ভয়, সত্যনিষ্ঠা এবং বান্দার হকের ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা না থাকলে সহজেই নফসের আগ্রাসী আচরণ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পড়ে। তাই, খুব সাবধান! সহজ কথা জেনে রাখুন, কোনো জা'লি'মে'র উপরও জু'লু'ম করা যাবে না। সর্বোচ্চ সমপরিমাণ শোধ নেওয়া যাবে। এর বেশি হলে আপনি ধরা খেয়ে যাবেন।

যখন অন্তর সংকুচিত হয়ে আসে, চারপাশ শূন্য হয়ে যায়, সবকিছু অন্ধকার লাগে, একাকিত্ব তীব্র হয়ে ওঠে, তখন হৃদয় থেকে শুধু আপনার রবের নাম স্মরণ করুন, দেখবেন ইনশাআল্লাহ ভালো ফিল করছেন।

দুশ্চিন্তা কোন স্থায়ী সমাধান বয়ে আনতে পারে না, শুধু হতাশাই বৃদ্ধি করে। দুশ্চিন্তা ছাড়ুন, যিকর করুন। গুনাহ যখন বেড়ে যায়, যিকর কমে যায়, হতাশা তখন ডানা মেলতে শুরু করে।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ'লা বলেন :

أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ

“জেনে রাখো, আল্লাহর স্মরণের মাধ্যমেই অন্তরের সত্যিকারের প্রশান্তি লাভ করা যায়। " (১৩-সূরা রা'দ:আয়াত-২৮)

27/05/2023

রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন,
‘‘দু'আ ব্যতীত অন্য কোন কিছুই ভাগ্যের পরিবর্তন করতে পারে না এবং সৎকাজ ব্যতীত অন্য কোন কিছুই হায়াত বাড়াতে পারে না।’’
--(তিরমিজী, হাদীস : ২১৩৯)❣️❤️

26/05/2023

একটি গুরুত্বপূর্ণ হাদিস:

ধন-সম্পদ খরচ না করে সঞ্চয় করে রাখার ব্যাপারে কঠিন আ*জাবের ‘সুসংবাদ’ প্রদান করে কুরআনের আয়াত অবতীর্ণ হয়—

الَّذِیۡنَ یَکۡنِزُوۡنَ الذَّهَبَ وَ الۡفِضَّۃَ وَ لَا یُنۡفِقُوۡنَهَا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ ۙ فَبَشِّرۡهُمۡ بِعَذَابٍ اَلِیۡمٍ

‘‘যারা স্বর্ণ-রৌপ্য (ধন-সম্পদ) সঞ্চয় করে, আর তা আল্লাহর পথে ব্যয় করে না, তাদেরকে আপনি যন্ত্র*ণাদায়ক শা*স্তির সুসংবাদ দিন।’’ [সুরা তাওবা, আয়াত: ৩৪]

সাহাবি সাওবান (রা.) বলেন, এই আয়াত অবতীর্ণ হওয়ার পর সাহাবায়ে কেরাম বলেন, তাহলে আমরা কোন সম্পদ ধরে রাখবো ?

একথা শুনে উমর (রা.) বলেন, আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছ থেকে জেনে তোমাদের জানাবো।

অতঃপর তিনি তাঁর উটকে দ্রুত এগিয়ে নিয়ে রাসুলের সাথে সাক্ষাৎ করলেন। আমিও তাঁর পেছনে পেছনে গেলাম। তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমরা কোন ধরনের সম্পদ সঞ্চয় করবো ?’ নবী করীম (সা.) বলেন, ‘‘কৃতজ্ঞ অন্তর, যিকরকারী জিহবা এবং ঈমানদার স্ত্রী, যে তোমাকে আখিরাতের কাজে সহযোগিতা করবে।’’ [ইমাম ইবনু মাজাহ, আস-সুনান: ১৮৫৬; হাদিসটি সহিহ]

21/02/2023

যিকিরে সহজ ও মিযানের পাল্লায় ভারী🥀🤎

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,

“দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা জবানে সহজ, মীযানের পাল্লায় ভারী এবং করুণাময় আল্লাহ্‌র নিকট অতি প্রিয়। আর তা হচ্ছে,
سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ، سُبْحانَ اللّٰهِ الْعَظِيْمِ
অনবাদঃ
আল্লাহ্‌র প্রশংসাসহকারে তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা বর্ণনা করছি। মহান আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করছি”।

উচ্চারণঃ সুব্‌হানাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী, সুব্‌হানাল্লা-হিল ‘আযীম

বুখারী ৭/১৬৮, নং ৬৪০৪; মুসলিম ৪/২০৭২, নং ২৬৯৪

21/02/2023

"তোমরা ধৈর্য ধারণ কর.!!
আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে রয়েছেন.!!
[সূরা আনফাল-৪৬]

16/02/2023

কী অদ্ভুত তাই না ?

আপ‌নি সারা রাত জে‌গে থা‌কেন ; কারণ ঘুম আ‌সে না!
আবার সে আপ‌নিই ফজর পড়‌তে পা‌রেন না ; কারণ আপনার ঘুম ভা‌ঙ্গে না।

ঘু‌মের সময় ঘুম না আসা যেমন রোগ। তেম‌নি ঘু‌মের কার‌ণে ফজর পড়‌তে না পারাও এক‌টি রোগ।
প্রথমটির জন‌্য পে‌রেশানী আ‌সে ত‌বে দ্বিতীয়‌টির জন‌্য কি পে‌রে‌শোনী আ‌সে ? পে‌রেশানী না আস‌লে বুঝ‌তে হ‌বে দিল ম‌রে গি‌য়ে‌ছে।

দ্রুত ভা‌লো ডাক্তার দেখান, দি‌লের যত্ন নিন।

বে‌শি‌বে‌শি পড়ুন,
اللهم أعني على ذكرك وشكرك وحسن عبادتك
হে আল্লাহ! আপনার স্মরণে, আপনার কৃতজ্ঞতা প্রকাশে এবং আপনার উত্তম ’ইবাদাতে আমাকে সাহায্য করুন।

03/06/2022
30/05/2022

🟥 বি'দআ'তের ভয়াবহতা

বি'দআ'তীর ফরজ, নফল কোন আমলই কবুল হয়না!
(বুখারী:৩১৭২)

বি'দআ'তকারী হাউজে কাউসারের পানি পান করতে পারবেনা! (বুখারী:৭০৪৯)

বি'দআ'তীর পরিনাম জা'হান্নাম, প্রত্যেক বি'দআত ই ভ্র'ষ্টতা, আর প্রত্যেক ভ্র'ষ্টতার পরিনাম জা'হান্নাম!
(মুসলিম:১৫০৫,নাসাঈ-১৫৬০)

❌ সাবধান ❌

বি'দআ'তীদের জন্য ১০০% পাপ নিশ্চিত ?
বি'দআ'ত আমল নষ্ট করে, ইবাদত কবুল হয় না।

(৮৮:৩-৪, ১৮:১০৩-১০৪, বুখারী৬৭৯০, নাসাই:১৫৭৮)

দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের মনগড়া
মতবাদকে নির্ভরযোগ্য মনে করো না। (বুখারী: ৬৭৯৭)

যে ব‍্যক্তি কোন বি'দআ'তী কে সাহায্য করে,
তার জন‍্য আল্লাহর অভিশাপ! (সহীহ মুসলিম:১৩৬৬)

আল্লাহ আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দিন, আমিন! 🌺

محمد تنوير

13/05/2022

জীবনভর চারটি কাজ কখনো ত্যাগ করবেন না...

১. কখনো আল্লাহ্'র শুকরিয়া আদায় থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন না; তাহলে তিনি আর বাড়িয়ে দিবেন না।

"যদি তোমরা শুকরিয়া আদায় করো; তাহলে বাড়িয়ে দিবো।"[সূরা ইব্রাহীমঃ ৬]

২.কখনো আল্লাহ্'র স্মরণ থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন না; তাহলে তিনি আপনাকে আর স্মরণ করবেন না।

"আমাকে স্মরণ করো; আমিও তোমাদের স্মরণ করবো।"[সূরা বাক্বারাঃ ১৫২]

৩. কখনো দুয়া করা থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন না; তাহলে তিনি বিপদে আর আপনার সাড়া দিবেন না।

"আমার কাছে দুআ করো; আমি সাড়া দিবো।"
[সূরা গাফিরঃ ৬০]

৪. কখনো ক্ষমা চাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখবেন না; তাহলে তিনি আর নাজাত/মুক্তি দিবেন না।

"আল্লাহ্'র কাছে ক্ষমাপ্রার্থীদের তিনি আযাব দেন না অর্থাৎ মুক্তি দেন।"
[সূরা আনফালঃ ৩৩]

আল্লাহ্ আমাদেরকে তৌফিক দান করুন, আমিন।।

10/05/2022

বিয়ের আগে কোনো পুরুষ এবং নারীর মাঝে সম্পর্ক রাখা বা অবৈধ প্রেম থাকা হারাম।

আরে সম্পর্ক হবে কেন ? তোমরা তো জাস্ট কথায় বলতে। জাস্ট শুধু চ্যাট করতে। কোথাও তো একসাথে ঘুরতে যেতে না।

হুম,,,
কিন্তু হাদিসে এসেছে -কোনো পরপুরুষ আর পরনারী একান্তে মিলিত হয় তখন সেখানে তৃতীয় জন হিসেবে শয়তান থাকে।

আর তাছাড়া কুরআনে সূরা বনি ইসরাইলের ৩২ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন-
যিনার কাছেও যেও না, ওটা অত্যন্ত খারাপ কাজ এবং খুবই জঘন্য পথ।

যতদূর জানি সে তো দ্বীনদার আর তুমিও।
জানামতে সে কখনো তোমাকে খারাপ কাজে উৎসাহ দিত না। বরং তোমাকে আরো খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে বলতো।

হুম....! কিন্তু হারামে জড়িয়ে থাকলে কেউ দ্বীনদার থাকে না। এটা ঠিক যে, সে কখনোই আমাকে খারাপ পরামর্শ দেয় নি। সবসময় ভালো উপদেশই দিয়েছে।

আচ্ছা তোমার কষ্ট হয় না ? এইভাবে তাকে ছেড়ে দিলে ?

হুম...! কিন্তু কষ্ট হয় এইজন্য যে,কেন আমি হারাম সম্পর্কে জড়িয়েছিলাম। আল্লাহর কাছে তওবা করেছি।এখনো করছি।

কিন্তু কাউকে কাঁদিয়ে কেউ ভালো থাকে না। তার চোখের পানি যদি তোমার জন্য অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায় তখন ? তাকে এইভাবে কষ্ট দেওয়া কী ঠিক হলো ?

আল্লাহর অবাধ্য হয়ে মানুষকে খুশি রাখার মধ্যে কখনো কল্যাণ থাকতে পারে না। আর যতটুকু জানি সে কখনোই এরকমটা করবে না। আমাকে ভুল বুঝবে না।

কিন্তু মাঝেমাঝে তো একটু খোঁজ নিতে পারো কেমন আছে, কী খবর।
খোঁজ নেওয়াটাও শয়তানের এক ধরনের ওয়াসওয়াসা। আর মাঝেমাঝে খোঁজ নেওয়া মানে নিজেকে দুর্বল করে ফেলা, হারামে আবার জড়িয়ে ফেলা।

আচ্ছা এইভাবে আর কতদিন চলবে ?
যতক্ষণ না আল্লাহ কিছু ফায়সালা করেন।
সূরা ইউনুসের ১০৯ নাম্বার আয়াতে আল্লাহ বলেন,

হে নবী! তোমার কাছে অহীর মাধ্যমে যে হেদায়াত পাঠানো হচ্ছে তুমি তার অনুসরণ করো। আর আল্লাহ‌ ফায়সালা দান করা পর্যন্ত সবর করো এবং তিনিই সবচেয়ে ভালো ফায়সালাকারী।

অর্থাৎ আমি সবর করবো যতক্ষণ না আল্লাহ কিছু ফায়সালা করছেন।
কিন্তু এইভাবে কোনোরকম যোগাযোগ না রেখে যদি সে তোমাকে ভুলে যায় ?

যদি ভুলে যায় যাক। কারণ,এখানে তার থেকে আল্লাহর ভালোবাসা আমার কাছে অধিক প্রিয়।

কোনোরকম যোগাযোগ নেই। এইভাবে চলতে থাকলে যদি তাকে চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেল ?

আল্লাহ ভাগ্যে রাখলে বিয়ে হবে। আর যোগাযোগ রাখলেই যে বিয়ে হবে তার কী নিশ্চয়তা আছে ?

আস্তাগফিরুল্লাহ..হারাম সম্পর্ক গুলো এভাবেই..শেষ হয়ে যাবে..আহহ আফসোস যারা এখনো এই সম্পর্কে জড়িয়ে আছে.....!

কি হবে.সেদিন এই প্রিয়জন টা কি থাকবে পাশে আল্লাহর সামনে.?
না অসম্ভব হারাম কখনোই জাহান্নাম থেকে বাঁচাতে পারবে না...যতক্ষণ না সে তওবা করে ফিরে আসে..!

ফিরে এসো
আপন রবের কাছে।

প্রেম নয়, বিয়ে করুন...!
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করুন।

♦️সালাম সবার প্রতি শান্তির বার্তা।♦️সালামের মাধ্যমে শান্তির বার্তা দিয়ে অপর ভাইকে অভিবাদন জানানো জান্নাতিদের কাজ। ইসলাম ...
28/04/2022

♦️সালাম সবার প্রতি শান্তির বার্তা।♦️

সালামের মাধ্যমে শান্তির বার্তা দিয়ে অপর ভাইকে অভিবাদন জানানো জান্নাতিদের কাজ। ইসলাম ধর্মে এর গুরুত্ব অপরিসীম।

♥️প্রিয় নবী করীম (সা.) এই কাজটিকে ইসলামের শ্রেষ্ঠ কাজ বলে আখ্যায়িত করেছেন। মুসলিমরা জান্নাতে যাওয়ার সময় ফেরেশতারা বলবে, “তোমাদের প্রতি ‘সালাম’, তোমরা সুখী হও।” (সুরা : জুমার : ৭৩)

♥️এরপর জান্নাতেও সালামের প্রচলন থাকবে।
“সেখানে তাদের অভিবাদন হবে ‘সালাম’।” (সুরা : ইউনুস : ১০)

♥️এরপর জান্নাতে স্বয়ং রাব্বুল আলামিন জান্নাতিদের সালাম দেবেন। ‘সালাম, পরম দয়ালু প্রতিপালকের পক্ষ থেকে সম্ভাষণ।’ (সুরা : ইয়াসিন, আয়াত : ৫৮)

পরিচিত কিংবা অপরিচিত সবাইকেই সালাম করতে হয়। (বুখারি, হাদিস : ১২) শুধু তা-ই নয়, সালাম এক মুসলমানের সঙ্গে অপর মুসলমানের সদ্ব্যবহারের অন্যতম মাধ্যম।

♥️রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এক মুসলমানের সঙ্গে অপর মুসলমানের ছয়টি সদ্ব্যবহারের বিষয় রয়েছে : তার মধ্যে অন্যতম হলো, কারো সঙ্গে দেখা হলে তাকে সালাম করবে। (তিরমিজি, হাদিস : ২৭৩৬)

সালামের মাধ্যমে মুসলিম ভ্রাতৃত্ব সুদৃঢ় হয়। হিংসা-বিদ্বেষ দূরীভূত হয়। এছাড়া এতে আল্লাহর জিকির পাওয়া যায়। আল্লাহর কথা স্মরণ হয়। সালাম মুসলিম ভাইয়ের প্রতি ভালোবাসা ও সম্প্রতি প্রকাশ করে। সালাম মুসলিম ভাইয়ের জন্য সর্বোত্তম দোয়া।

সালাম মুসলিম ভাইয়ের সঙ্গে এ চুক্তি যে আমার হাত ও মুখ দ্বারা আপনি কোনো কষ্ট পাবেন না। হাদিস শরিফে এসেছে, প্রথম সালামদাতা অহংকার থেকে মুক্ত। এতে বোঝা যায়, আল্লাহর পছন্দনীয় বান্দারাই সালামের মতো মহৎ গুণে অভ্যস্ত হতে পারে। এর উপকারিতা উপলব্ধি করতে পারে। আল্লাহর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য অর্জন করতে পারে।

♥️হজরত আবু উমামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, মানুষের মধ্যে আল্লাহর কাছে সর্বাধিক উত্তম ওই ব্যক্তি, যে আগে সালাম দেয়। (আবু দাউদ : ৫১৯৭)

অর্থাৎ যে আগে সালাম দেবে সে আল্লাহর কাছে বেশি প্রিয় হবে। সে হিসেবে আমাদের সবারই উচিত কারো সঙ্গে দেখা হলে আগে সালাম দেওয়ার চেষ্টা করা। তদুপরি আমাদের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে কার আগে সালাম দেওয়া উচিত। সে ব্যাপারে দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন প্রিয় নবী করীম (সা.)।

♥️হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, বয়ঃকনিষ্ঠ বয়োজ্যেষ্ঠকে, পদচারী উপবিষ্টকে এবং অল্পসংখ্যক অধিকসংখ্যককে সালাম দেবে। (বুখারি, হাদিস : ৬২৩১)

উপরোক্ত হাদিসে প্রিয় নবী করীম (সা.) তিন শ্রেণির মানুষের সালামের আদব শিক্ষা দিয়েছেন।

বয়ঃকনিষ্ঠরা বয়োজ্যেষ্ঠদের, অর্থাৎ ছোটরা বড়দের। হাদিসের ভাষ্য অনুযায়ী বোঝা যায়, বয়সে ছোটদের উচিত বয়সে বড়দের আগে সালাম দেওয়া। কিন্তু বড়রাও চাইলে ছোটদের আগে সালাম করতে পারেন। কেননা সালাম আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মাধ্যম।

সুতরাং যে আগে সালাম দেবে, সে-ই আল্লাহর বেশি নিকটবর্তী হবে।

♥️ হজরত আবু উমামাহ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রাসুল (সা.)! দুজন লোকের মধ্যে সাক্ষাৎ হলে কে প্রথম সালাম দেবে ? তিনি বললেন, তাদের মধ্যে যে ব্যক্তি আল্লাহ তাআলার বেশি নিকটবর্তী। (তিরমিজি, হাদিস : ২৬৯৪)

অনেকে ভাবেন পদবিতে ছোটরাই পদবিতে বড়দের সালাম দিতে হয়। তাই পদবিতে ছোট ব্যক্তি বয়সে বড় হলেও তাকে সালাম দেন না। এটা ঠিক নয়। মহান আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি সালামের প্রচার-প্রসার করার তাওফিক দান করুন।
আমিন।

20/04/2022

সূরাটার মায়ায় পড়ে গেছি😍❤️

©️ কলিজা 📌📌

15/04/2022

নির্দিষ্ট সীমানায় সীমাবদ্ধ জীবনটাকে আমরা চলমান বিদ্যুতের গতীতে প্রবাহিত করছি। নিজের স্বপ্ন গুলোকে বাস্তবে রুপ দেওয়ার প্রচেষ্ঠায় এই ছুটে চলা। ভুলে যাই আমাদের জীবনের নির্দিষ্ট গন্ডির কথা। ভুলে যাই চুড়ান্ত সফলতার কথা। ভুলে যাই মহান রবের সাথে আমার সম্পর্কের কথা।

যে সম্পর্কটা আত্বিক, যে সম্পর্কটা সৃষ্টা আর সৃষ্টির, যে সম্পর্কটা মনিব আর দাসত্বের সেই সম্পর্কটা আমরা ভুলে যাই কি করে ? কেন আমরা নিজের ভিতরের আমিত্বকে বিলিন করে দিয়ে নিজেকে মহান রবের দাসত্বে আবদ্ধ করতে পারিনা ?

আমরা অনেকে ভাবি, হয়তো সময় শেষ। আর ফিরে আসা সম্ভব নয়। আমি গুনাহের ডোবা নালায় নিমজ্জিত হয়ে গেছি। এখান থেকে আর ফেরার পথ নেই। ভুল, আপনার ধারনা ভুল। আপনি নিজেকে এখনো ধোকার মধ্যে রেখেছেন।

ভাই আমার, আপনার রব আপনাকে ছেড়ে যায়নি। আপনার রব এখনো আপনার ঘরে ফেরারা প্রতিক্ষায়। আপনার রব আপনার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেনি বরং আপনি তার থেকে নিজেকে দুরে সরিয়ে নিয়েছেন।

আপনি যখন তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন তখনো তিনি আপনাকে স্ব-স্নেহে আগলে রেখেছেন। গুনাহের পর গুনাহ করেছেন। অবাধ্যতার চরম সীমা অতিক্রম করেছেন। তরপরেও তিনি আপনাকে তার কোন নিয়ামত থেকে বঞ্চিত করেননি।

প্রতিটা মুহুর্তে আপনার ভুলের জন্য সুধরানোর চেষ্টা করেছেন। প্রতিটা মুহূর্তে আপনাকে সত্যের পথে আহ্বান করেছেন, ফেজবুকের মাধ্যমে, ইউটিউবের মাধ্যমে, আজানের মাধ্যমে, আপনার প্রতিবেশির মাধ্যমে কিন্তু আপনি শুধু তার সাথে সম্পর্কের অবনতি করেছেন তার অবাধ্যতার মাধ্যমে।

হে আমার ভাই, এখনোকি আপনার ফিরে আসার সময় হয়নি ? এখনো কি আপনাকে জান্নাতের স্বপ্ন বিভোর করেনা ? এখনোকি আপনাকে জা*হান্নামের ভয় আপনার হৃদাকে প্রকম্পিত করেনা ?

হে আমার ভাই, এখনো কি আল্লাহর সাথে সুসম্পর্ক গড়ার সময় হয়নি ?

"তুমি ফিরে এসো তোমার রবের প্রতি সন্তুষ্টচিত্তে, সন্তোষভাজন হয়ে।" ( সূরা আল-ফাজর, আয়াত-২৮)

Address

Cumilla

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shamima Nasrin Rubi posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category