24/01/2024
শরীফ কেন শরীফা
-------------------------------
সাত, আট বছর আগের কথা, প্রয়াত শামসুর রহমান ময়না স্যার এর সংগে একটা নিউনেট অপারেশন করেছিলাম। ১০ দিনের বাচ্চা টি ছেলে না মেয়ে আমরা কেউ জানতাম না,,, লেপারোটমি করে দেখা গেল বাচ্চাটির পেটের ভিতর জরায়ু আছে আবার ওয়েল ডেভলাপ টেস্টিসও আছে,,স্যার জরায়ু কেটে বাদ দিয়ে টেস্টিস দুটো বাইরে স্ক্রটামে নামিয়ে দিলেন,,এরপর বাচ্চাটিকে ছেলে বলে ঘোষণা দিয়ে রেগুলার টেস্টোস্টেরন হরমোন দিলেন,,,যত সহজে বললাম, অপারেশন টি আসলে এত সহজ ছিল না,,আর আমি বাচ্চা ছেলে না মেয়ে সে চিন্তা না করে বাচ্চার রিভার্স নিয়েই অস্থির ছিলাম।
তো আসলে সে বাচ্চাটি ছিল ইন্টারসেক্স,, সহজ ভাষায় আমরা যাকে হিজরা বলি। সম্ভবত বাচ্চাটি মেল ডোমিনেন্ট ছিল ,তাই জরায়ু ফেলে দেওয়া হয়েছে আর ফিমেল ডোমিনেন্ট থাকলে স্যার হয়তো জরায়ু রেখে অন্ডকোষ ফেলে দিত।।
হিজড়া একটা জন্মগত ক্রুটি,,অনেক বাচ্চার যেমন হার্টের ছিদ্র থাকে কিংবা ঠোঁট কাটা বা তালু কাটা নিয়ে জন্মায় তেমন অনেক বাচ্চা তার জননাঙ্গের জন্মগত ত্রুটি নিয়ে জন্মাতে পারে,,,একটা হার্টের ছিদ্র নিয়ে জন্মানো শিশু কে আমরা যেমন সহানুভূতি নিয়ে তাকাই তেমনি ভাবে হিজড়া শিশুদেরও আমাদের সেভাবে দেখা উচিত,,যদিও আমরা তা দেখি না , সেটা ভিন্ন প্রসঙ্গ,,
এবার আসি ট্রান্স জেন্ডার ,,,একটা সুস্থ সবল ছেলে বা মেয়ে কথা নাই বার্তা নাই সে ছেলে হলে নিজেকে মেয়ে বা মেয়ে হলে নিজেকে ছেলে ভাবতে শুরু করলো, যদিও সে হিজড়া নয় একজন কমপ্লিট ছেলে বা মেয়ে,,এদের এই জেন্ডার পরিবর্তন করার অদম্য ইচ্ছা একসময় অপারেশন টেবিল পর্যন্ত নিয়ে যায়,,মেয়ে হলে তাদের ব্রেস্ট কেটে ফেলে,,জরায়ু , ভেজাইনা কেটে ফেলে এবং ছেলেদের হরমোন নেবার ফলে দাড়ী মোছ গজাতে পারে ,,গলার স্বরেও আসে পরিবর্তন,,,ছেলেদের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা ,,মেয়েদের হরমোন নেবার কারনে কিছুটা মেইলী ভাব চলে আসে,,ব্রেস্ট অপারেশন করে নিজেদের বক্ষও মেয়েদের মতো বড় করে তোলে,,
কিন্তু একটা ছেলে যখন মেয়ে হয় তখন সে যত চেষ্টাই করুক সে কিন্তু বাচ্চার জন্ম দিতে পারে না কিংবা তার মাসিকও হবে না , মেয়েদের ক্ষেত্রে একই কথা,,যতই দাড়ি মোছ গজাক তার পেনিস দিয়ে সে কিন্তু কোন নতুন শিশু জন্ম দিতে পারবে না,,,মানসিক ভাবে নিজেকে ছেলে বা মেয়ে ভাবা ছাড়া এটা আর কোন কিছুই না,,
এখন একটু ভাবুন,,আপনার মেয়েটি যদি একদিন হঠাৎ করে বলে , বাবা আমি আসলে মানসিক ভাবে ছেলে কিম্বা আপনার ৭০ বছরের বাবা যদি বলে ওরে মানিক আমি আসলে মেয়ে আপনি তখন কি করবেন? আপনি যদি অশিক্ষিত হোন তবে, প্রথমেই ভাববেন ভূত বা জিনের আছর আর শিক্ষিত হলে ভাববেন এরা পাগল হয়ে গেছে,,
ঠিক তাই ,,ট্রান্স জেন্ডার আসলে মানসিক রোগ,,আমি জেনেছি এ ধরনের মানসিক রোগ কে বলে জেন্ডার ডিসফোরিয়া এবং এর মধ্যে নানান কথা বার্তা আছে,,সেদিকে যাচ্ছি না ,,
এবার আসি ট্রান্স জেন্ডার দের অধিকার নিয়ে কথা,,একটা মানসিক রোগীর আবার কি অধিকার,,, জেক দা রিপার নামে একজন সিরিয়াল কিলার ছিল,,খুন করাই তার নেশা,,আবার কিছুদিন আগে একজন কে পেয়েছিলাম যে কিনা মর্গের মৃত লাশের সঙ্গে সঙ্গম করতো,,এরাও মানসিক রোগী,,এখন এদের কি অধিকার দিবেন,,সিরিয়াল কিলার কে বলবেন যাও তুমি খুন কর,,একজন মাদকাসক্ত কে বলবেন যাও তুমি হিরোইন নাও বা মৃত লাশের সঙ্গে সঙ্গম কর, এটা তোমার অধিকার,,!!! ,,সেলুকাস,,!!!
মজার কথা হচ্ছে অনেকে ট্রান্স জেন্ডার দের কাউন্সিলিং বা চিকিৎসার কথা না বলে এদের কে জাস্টিফাই করে,,যেমন সেক্স এবং জেন্ডার এক না,,আমার পেনিস আছে তো কি হয়েছে সামাজিক বা কালচারাল ভাবে আমি যদি নিজেকে মেয়ে ভাবি তবে আমি মেয়ে,,কি সব অদ্ভুদ কথা,,তবে একটা সমাজে সত্য মিথ্যা, সততা কপটতা , বিদ্রোহ, ভন্ডামী এসব থাকবে,,,ট্রান্স জেন্ডার ঠিক তেমন একটা ভন্ডামী,,জাস্ট ভন্ডামি।।
এবার আসি এই ট্র্যান্স জেন্ডার রা কি সমকামী?
মোটা দাগে যদি বলি তবে উত্তর হচ্ছে না,,কারণ সমকামী আলাদা একটা ব্যাপার , যেকোন ছেলে বা মেয়ে গে বা লেসবিয়ান হতে পারে,,তবে ট্রান্সজেন্ডার তাদের ক্রোমোজম পাল্টাতে পারে না ,,,যে ছেলেটি যতই সার্জারি করে মেয়ে হোক আমরা যদি তার জিন স্টাডি করি তবে তার ক্রোমোজম পাব এক্স এবং ওয়াই ,,অর্থাৎ মানসিক ভাবে সে মেয়ে কিন্তু জিনগত ভাবে ছেলে,,এখন সেই ট্রান্স মেয়েটি আরেকটি ছেলেকে বিয়ে করলেও আদতে একটি ছেলে আরেকটি ছেলে কে বিয়ে করলো,,সে হিসেবে সমস্ত ট্রান্সজেন্ডার ই সমকামী,,আমি যুক্তি দিয়ে বললাম,,যুক্তি পছন্দ না হলে তর্ক করতে পারেন,,,
এবার আসি শরীফ আর শরীফার গল্পে,, আসলে এটা আর কিছুই না ,,বাংলা সিনেমার ব্লাড ট্রান্সফিউশন এর গল্প,,বাংলা সিনেমার ডিরেক্টর রা যেমন কোন কিছু না জেনে হাস্যকর ভাবে বোতলে ভরে রক্ত দেয় কিম্বা পালস দেখেই বলে দেয় তুমি প্রেগনেন্ট,,,, শরীফ এবং শরিফার গল্প টাও তেমন,,কোন কিছু না জেনে লিখলে যা হয় আর কি,, গল্প টা আমি পড়েছি,, লেখক এখানে হিজড়ার কথা বলতে চেয়েছে কিন্তু শুরু করেছে এমন ভাবে যে কেউ পড়লে ভাববে এটা আসলে ট্রান্সজেন্ডার এর কথা বলেছে,,আমার কথা হচ্ছে তুমি জান না তবে বই লিখতে যাও কেন? আগে জান, তারপর লিখ,,,এত জটিল একটা জিনিষ কেন সপ্তম শ্রেণীতে পড়ানো হবে সেটাও কি আমাকে কেউ একটু বোঝাতে পারবেন? এই যে বাচ্চাদের গুরুমা কাছে যাওয়া শিখাচ্ছেন,,গিয়ে তো চাঁদাবাজিই শিখবে,,বাচ্চাদের এসব না বলে হিজড়া দের শিখান,, ওদের পুনর্বাসন করেন,অন্তত বিয়ের গাড়িতে চাঁদা বাজি কমবে,,
আরে সেক্স এডুকেশন নিয়ে এত চিন্তা কেন? আমাজন জঙ্গলের উপজাতি দের বাচ্চা হচ্ছে না,,কি মনে করেন এই এডুকেশন দিলে রেপ কমে যাবে,,আপনি এখনই গুগুলে সার্চ দেন,, দেখবেন ধর্ষনে এক নাম্বারে যে দেশটি আছে সেটি হচ্ছে আমেরিকা,,ইউরোপের অনেক দেশ ও আছে টপ টেনের মধ্যে,, আশার কথা,বাংলাদেশ নাই প্রথম ১০ টি দেশের মধ্যে,, তবে যেভাবে সেক্স এডুকেশন বলে চিল্লাছেন,,ছেলে মেয়ে রা যদি এর প্রাকটিকেল ক্লাস শুরু করে তবে সামনে কি হবে সেটা আল্লাহই জানেন,,
এসব ফালতু জিনিষ পাঠ্য পুস্তকে না দিয়ে নৈতিকতা শিখান,,হাসপাতালে এখানে সেখানে পানের পিক,,এইসব হিজড়া দের নিয়ে চিন্তা না করে পানের পিক টা কোথায় ফেলাতে হবে সেটা শিক্ষা দেন,,,আখেরে লাভ হবে,,
আর ট্রান্স জেন্ডার নিয়ে শেষ একটা কথা বলি,,যে জিনিষ আপনি পরিবারে এলাউ করবেন সেটাই সমাজে এলাউ করবেন,,আপনি যদি আপনার পরিবারে ট্রান্সজেন্ডার মেনে না নেন তবে সেক্স আর জেন্ডারের বড় বড় সংজ্ঞা দিয়ে সেটা জায়েজ করতে যায়েন না,,,এটা স্রেফ ভন্ডামি,,,হিপোক্রেসি,,
ভালো থাকবেন
Collected