Ummah News

Ummah News Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Ummah News, Video Creator, .

16/02/2025

ফিরে দেখা আগস্টের দিনগুলো।

Hi everyone! 🌟 You can support me by sending Stars - they help me earn money to keep making content you love.

Whenever you see the Stars icon, you can send me Stars!

12/02/2025

আসলেই কি সেক্যুলারিজম কুফর? | Shaikh Tamim Al Adnani |‌‌ Ummah Network | Jihadi Nasheed

°প্রিয় শায়েখ কোন এক সমাবেশে বলছিলেন ধানমন্ডি 32 এর প্রত্যেকটি ইট খোলা হবে। →আজ শায়েখ নেই ! →কিন্তু উনার কথা বাস্তবে পরি...
08/02/2025

°প্রিয় শায়েখ কোন এক সমাবেশে বলছিলেন ধানমন্ডি 32 এর প্রত্যেকটি ইট খোলা হবে।
→আজ শায়েখ নেই !
→কিন্তু উনার কথা বাস্তবে পরিনত হয়েছে !

°এভাবেই হোক বিজয়ী হবে এবং বাতিল ধংস হবে!
→ইং-শা-আল্লাহ্✍️✍️✍️

আপনার জন্মমাস অনুযায়ী আপনাকে একটা কুরআনের আয়াত উপহার দেওয়া হলো।আমার এপ্রিল। আপনার?
23/01/2025

আপনার জন্মমাস অনুযায়ী আপনাকে একটা কুরআনের আয়াত উপহার দেওয়া হলো।
আমার এপ্রিল। আপনার?

ম্যানশন করেন...🥰
16/01/2025

ম্যানশন করেন...🥰

শাইখ রহমানি হাফি. হাসপাতালে ভর্তি।হে আল্লাহ আপনি শাাইখ কে সুস্থতা দান করুন।  আমীন...
15/01/2025

শাইখ রহমানি হাফি. হাসপাতালে ভর্তি।
হে আল্লাহ আপনি শাাইখ কে সুস্থতা দান করুন। আমীন...

মাযলুম: আসসালামু আলাইকুম শায়খ! বড় বিপদে আছি! মুশরিকরা আমার মা, বোনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে। কী করবো, ...
15/01/2025

মাযলুম: আসসালামু আলাইকুম শায়খ! বড় বিপদে আছি! মুশরিকরা আমার মা, বোনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে, আমার ভাইকে মেরে ফেলেছে। কী করবো, জলদি বলুন!

শাইখ: ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ওহ আচ্ছা। দেখুন প্রথমত আমাদের ধৈর্য্য ধরতে হবে, আল্লাহর কাছে দুয়া করতে হবে। মুশরিকদেরকে কোমল ব্যবহারের মাধ্যমে দাওয়াহ দিতে হবে। সাবধান! বিদ্রোহ করতে যাবেন না, এতে হিতের বিপরীত হবে, আপনিও মারা পড়বেন! আসলে কাফিরদের কাছে ইসলামের বাণী সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে।

মাযলুম: কিন্তু শায়খ, এই পরিস্থিতিতে তো জিহাদ ফরজ হবার কথা! আমরা কী মুশরিকদের বিরুদ্ধে এই পরিস্থিতিতেও জিহাদ করবো না?!!

শাইখ: দেখুন আবেগ দিয়ে হুটহাট সিদ্ধান্ত নিলে চলবে না। জিহাদ করতে রাষ্ট্রপ্রধান এর অনুমতি লাগবে, শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ার মত সম্বল থাকতে হবে। রাষ্ট্রপ্রধান এর অনুমতি ব্যতীত জিহাদ হারাম!

মাযলুম: কিন্তু শায়খ রাষ্ট্রপ্রধান তো নিজেই মুশরিক, এখন আমরা কার নেতৃত্বে যুদ্ধ করবো তাহলে?!

শাইখ: আরেহ আপনার সমস্যা কী? খালি যুদ্ধ যুদ্ধ করেন! টুকটাক যুলুম সব শাসকই করে, হাজ্জাজ বিন ইউসুফ কি কম জালিম ছিল??

মাযলুম: কিন্তু শায়খ সে তো মুসলিম শাসক, আল্লাহর আইন দিয়ে বিচার করতো! আর এরা তো মুশরিক, এদের বসানো রাষ্ট্রপ্রধানরা নিজ নিয়ম কানুন দিয়ে কুফরি সংবিধান দিয়ে রাষ্ট্র চালায়, এদের সাথে তো সেই সময়ের শাসকদের তুলনা চলে না শায়খ!

শাইখ: আপনাদের এই এক সমস্যা, অল্প বিদ্যা নিয়ে এইসব নিজ মনগড়া ফতোয়াবাজি করেন! তাকফির করছেন খারিজিদের মতো! নিজেই যখন এতো কিছু বোঝেন তখন ফোন দিয়েছেন কী জানতে?!

মাযলুম: শায়খ তাহলে মুশরিক এবং তাদের তাগুত সহচরদের হাতে এভাবেই মারা যাবো, এটাই কী বলতে চাচ্ছেন? এর বিরুদ্ধে কিছুই করা যাবে না??

শাইখ: দেখুন দুনিয়া পরীক্ষার জায়গা, মুমিনের জন্য কারাগার। তাই সবর করুন, দুয়া করুন, আল্লাহ অবশ্যই অবস্থার পরিবর্তন করে দেবেন।

মাযলুম: শায়খ আপনাদের পরিণতি মুরজিয়া দরবারীদের মত যেনো না হয় আল্লাহর কাছে পানাহ চাই!

কিছুদিন পর-

ত্বগুতের/কুফরের বাহিনী: ইছ মুল্লা কো পাকাড়, দে সালে কো, মার সালে কো, সারি গোলিয়া উতার দে ইসকে ভেজে পার!

শাইখ: জিহাদ, জিহাদ, বাঁচাও বাঁচাও! (ওপাশ থেকে আওয়াজ আসছে কিউট শাইখে(!)-এর চিৎকারের, কিন্তু, কেউই এগিয়ে আসেনি..) 🤭

ইহা একটি কাল্পনিক কথোপকথন!
সংগৃহীত | সমাপ্ত

Ummah News

15/01/2025

فقط چشماش🥹❤️‍🩹🥀

মাজলুমদের আর্তনাদ: অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রকৃতির প্রতিশোধমাজলুমের চোখের অশ্রু কখনোই মাটিতে বিনা প্রতিদানে ঝরে না। তাদের নি...
14/01/2025

মাজলুমদের আর্তনাদ: অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রকৃতির প্রতিশোধ

মাজলুমের চোখের অশ্রু কখনোই মাটিতে বিনা প্রতিদানে ঝরে না। তাদের নিঃশব্দ আর্তনাদ, গভীর কষ্ট আর অসহায় চিৎকারে আকাশ-বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। এই পৃথিবীর বুকে যতবার অন্যায়ের ভার বেড়েছে, ততবারই প্রকৃতি তার প্রতিশোধ নিতে ভুল করেনি।

এক সময় এই অশ্রু রূপ নিয়েছে ভূমিকম্পে। নিষ্পেষণের মাটি যখন ন্যায়ের ভার বহন করতে অক্ষম হয়ে পড়ে, তখন সে কেঁপে ওঠে—মাঝে মাঝে ভেঙে ফেলে অত্যাচারের অট্টালিকা। আবার কখনো সেই চোখের পানি আগুনে রূপান্তরিত হয়েছে। মজলুমের অসহায়তা যখন সীমা ছাড়িয়ে যায়, তখন সেই অশ্রুই হয়ে ওঠে জ্বলন্ত অগ্নিশিখা, যা অন্যায়ের শিকড় পুড়িয়ে দিতে চায়।

ইতিহাস সাক্ষী, অত্যাচারী যত শক্তিশালীই হোক না কেন, মাজলুমদের আর্তনাদ তাদের সিংহাসন টলিয়ে দিয়েছে বারবার। কখনো ফারাওয়ের মিসর ধ্বংস হয়েছে, কখনো নমরুদের অগ্নিকুণ্ড নিভে গেছে। অন্যায়ের সাম্রাজ্য কখনোই টিকে থাকতে পারেনি, কারণ মাজলুমের চোখের পানি সেই সাম্রাজ্যের ভিত্তিকে দুর্বল করে দেয়।

তাই, যারা ক্ষমতার অহঙ্কারে মত্ত, তারা একদিন প্রকৃতির এই প্রতিশোধের ভাষা বুঝতে বাধ্য হবে। অন্যায়ের অন্ধকার যত ঘন হবে, মজলুমদের প্রার্থনার আলো ততই উজ্জ্বল হয়ে উঠবে। এই আলোই একদিন অন্যায়ের সমাপ্তি ঘটাবে।

মাজলুমদের অশ্রু ছোট মনে করবেন না। প্রতিটি ফোঁটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে একটি নীরব শপথ—যা একদিন ন্যায়বিচারের বিজয় নিশ্চিত করবে।




13/01/2025

কে বলছে তাওহীদবাদী সেনারা এখনোও ঘুমিয়ে আছে
আমার পোস্টের দিকে তাকিয়ে দেখুন লিল্লাহি তাকবীর বলার লোকের অভাব নেই⚔️

ومکروا ومکر اللە واللە خیرالماکرین.وإذا قضی أمرا فإنما یقول لە کن فیکون
13/01/2025

ومکروا ومکر اللە واللە خیرالماکرین.
وإذا قضی أمرا فإنما یقول لە کن فیکون

13/01/2025

Holy Special Forces 💙

12/01/2025

আলহামদুলিল্লাহ
ড. আফিয়া সিদ্দিকীর সর্বশেষ আপডেট।

তার বোন সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।
ইনশাআল্লাহ বাকিগুলোও পূর্ণ হয়ে যাবে।

তোমরা মজলুমের দোয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকো। কেননা মহান আল্লাহ ও তার দোয়ার মাঝে কোনো পর্দা থাকে না।’  (বুখারি, হাদিস : ১৪৯৬)
11/01/2025

তোমরা মজলুমের দোয়ার ব্যাপারে সতর্ক থাকো। কেননা মহান আল্লাহ ও তার দোয়ার মাঝে কোনো পর্দা থাকে না।’ (বুখারি, হাদিস : ১৪৯৬)

৩০শে মার্চ ২০০৩, পাকিস্তান। করাচী এয়ারপোর্টের দিকে ছুটে চলা ট্যাক্সিটার পেছনে বসা চারজন যাত্রী। একজন মা এবং তাঁর তিন সন্...
11/01/2025

৩০শে মার্চ ২০০৩, পাকিস্তান। করাচী এয়ারপোর্টের দিকে ছুটে চলা ট্যাক্সিটার পেছনে বসা চারজন যাত্রী। একজন মা এবং তাঁর তিন সন্তান। তিন জনের মধ্যে সবচেয়ে বড় ৬ বছর বয়েসী আহমাদ, তারপর ৪ বছরের মারইয়াম, সবার ছোট সুলাইমান। ওর বয়স ছয় মাস।
ট্যাক্সির ভেতর মা-র সাথে আহমাদের তুমুল তর্ক চলছে। আহমাদের ইচ্ছে ছিল ট্রেনে চড়ে করাচী থেকে ইসলামাবাদ যাবার। এই ইচ্ছার পেছনে থমাস দা ট্যাংক কার্টুনের একনিষ্ঠ ভক্ত হওয়াটা সম্ভবত বড় একটা কারণ। কিন্তু মা ঠিক করেছেন ইসলামাবাদ যাওয়া হবে প্লেনে করে। তাই আহমাদ বেশ ক্ষুব্ধ।
তর্ক চলার সময় হঠাৎ ভোজবাজির মতো ওদের ট্যাক্সিকে চারপাশ থেকে ঘিরে ধরলো কয়েকটা গাড়ি। টেনেহিচড়ে ওদের নামানো হল ট্যাক্সি থেকে। সুলাইমান ওর মা-র কোলে। আহমাদ আর মারইয়াম তখন চিৎকার করে কান্না করছে। জোর করে ওদের বসানো হল একটা গাড়ির ব্যাকসিটে। গাড়িটা চলতে শুরু করার পর পেছনের জানালা দিয়ে তাকিয়ে আহমাদ দেখলো সুলাইমানের ছোট্ট শরীরটা মাটিতে পড়ে আছে। ওর চারপাশে রক্ত।
এই চারজন মানুষের কোন খোঁজ পাওয়া যাবে না পরের পাঁচ বছর। তারপর কাবুলের এক কিশোর সংশোধানাগারে পাওয়া যাবে আহমাদকে। গলায় রহস্যময় কলার লাগানো অবস্থায় এক নির্জন ভোরে মরিয়মকে পাওয়া যাবে করাচীর রাস্তায়। ওদের হতবিহবল, বিধ্বস্ত ও মূমুর্ষু মা নিজেকে আবিস্কার করবেন টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থের এক জেলে। যেখানে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে তাকে। আর ঘটনার ২০ বছর পরও খোঁজ পাওয়া যাবে না ছোট্ট সুলাইমানের। ফোর্ট ওয়ার্থের জেলে বন্দী তিন সন্তানের এই মায়ের নাম ড. আফিয়া সিদ্দীকী।
আফিয়ারা তিন ভাইবোন। বড় ভাই মুহাম্মাদ আর্ক্টিটেক্ট। হিউস্টনের বেশিরভাগ মসজিদের ডিসাইন তাঁর করা। বোন ফৌজিয়া পড়াশোনা করেছেন হার্ভাডে। একসময় ছিলেন জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির নিউরোবায়োলজির হেড। সবার ছোট আফিয়া গ্র্যাজুয়েট করেছেন এমআইটি থেকে, তারপর ব্র্যান্ডেইস ইউনিভার্সিটি থেকে নিউরোসায়েন্সের ওপর পিএইচডি। এমআইটি থাকা অবস্থায় কাজ করেছেন বিখ্যাত ভাষাতত্ত্ববিদ ও বুদ্ধিজীবি নৌম চমস্কির সাথে। তবে আফিয়ার মূল আগ্রহ ছিল শিক্ষা নিয়ে। বিশেষ করে পাকিস্তানের শিক্ষা ব্যবস্থার সংস্কার নিয়ে নিজ উদ্যোগে ভালোরকমের গবেষণা করেছিলেন তিনি।
ওয়ার অফ টে-র-রের সেই দিনগুলোতে সন্দেহভাজন ‘সন্ত্রাসীদের’ ধরিয়ে দেয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ পুরস্কার ঘোষণা করে মার্কিনীরা। সেই সুযোগে পাকিস্তানের ‘মহান ইসলামী’ শাসকগোষ্ঠী ও আর্মি বিভিন্ন আরব ও পাকিস্তানী নাগরিকদের ধরে মার্কিনীদের কাছে বিক্রি করতে থাকে। এগুলো কোন ষড়যন্ত্র তত্ত্ব না কিন্তু। খোদ পারভেজ মোশাররফ, সেই সময়কার পাক প্রেসিডেন্ট, নিজের আত্মজীবনীতে মার্কিনীদের কাছে মুসলিমদের বিকিকিনির বিষয়টা স্বীকার করেছে গর্বের সাথে।
এই বিকিকিনির ফাঁদে পড়ে যান আফিয়া। ‘সন্ত্রাসী’ হবার অভিযোগে তাঁকে খুজতে শুরু করে অ্যামেরিকা। যেহেতু আফিয়া উচ্চশিক্ষিত এবং দীর্ঘ সময় অ্যামেরিকাতে থাকার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্র্যাকটিসিং মুসলিম; তাই মার্কিনিদের ধারণা হয় আফিয়া নিশ্চয় অত্যন্ত উচ্চ পর্যায়ের ‘সন্ত্রাসী’দের সাথে মিলে কাজ করছে। পুরস্কারের কথা শোনামাত্র লোভে উদগ্রীব হয়ে ছুটে আসে পাক শাসকগোষ্ঠী এবং আর্মি।
বলা হয়ে থাকে ৫০ হাজার ডলারের বিনিময়ে আফিয়াকে মার্কিনীদের কাছে বিক্রি করা হয়। এ টাকার প্রায় পুরোটাই যায় পাকিস্তানের ‘মহান ইসলামী’ আর্মির পকেটে। যাদের মতো ভালো মুসলিম বাহিনী পৃথিবীতে নাকি আর একটাও নেই।
করাচী থেকে কিডন্যাপ করার পর আফিয়াকে নিয়ে যাওয়া হয়ে আফগানিস্তানের কুখ্যাত বাগরাম কারাগারে। পৃথিবীর বুকে প্রায় এক টুকরো নরকে পরিণত হওয়া বাগরামে বন্দীদের ওপর চালানো হতো চরম পর্যায়ের টর্চার। সেই বাগরামেও আফিয়ার জন্য ছিল ‘বিশেষ ট্রিটমেন্ট’। বাগরাম থেকে মুক্ত হওয়া অনেকে পরে জানাবে প্রতি রাতে এক নারীর আর্তচিৎকার শোনার কথা, এই নারীই ছিলেন আফিয়া সিদ্দিকী।
আফিয়া যখন বাগরামে নির্যাতিত হচ্ছেন ঠিক সেই সময়টাতে আহমাদকে কাবুলের এক কিশোর সংশোধনাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ৬ বছরের আহমাদকে বলা হয়, এখন থেকে ওর নাম ‘আলী’। নিজের আসল পরিচয় কাউকে জানালে, ওকে স্রেফ মেরা ফেলা হবে। অন্যদিকে ৪ বছরের মারইয়ামকে দুই মার্কিন নাগরিকের কাছে দত্তক হিসেবে দেয় মার্কিন সরকার।
২০০৮ সালে আফিয়াকে বাগরাম থেকে ছেড়ে দেয়া হয়। বলা হয় গজনীতে গেলে মেয়ে মারইয়ামকে তিনি পাবেন। ৫ বছরের ভয়ঙ্কর নির্যাতন সহ্য করা, সন্তান হারানোর ভয়ে পাগলপারা আফিয়া ঐ অবস্থাতেই ছুটে যান গজনীতে। কিন্তু তাঁকে কিডন্যাপ ও বিক্রি করা ‘মহান পাক’ আর্মি, সেই সময়কার আফগান গোয়েন্দাবাহিনীর সাথে মিলে শেষ একটা চাল চালে। তারা অ্যামেরিকানদের জানায় খুব শীঘ্রই আফিয়া নাকি গজনীর গভর্নরের ওপর আত্মঘাতী হামলা চালাতে যাচ্ছেন।
একে তো নাচুনে বুড়ি, তার ওপর ঢোলের বাড়ি…এ খবর পাবার পর মার্কিনীরা পারলে রেড অ্যালার্ট জারি করে। দেখামাত্র তারা গুলি চালায় আফিয়ার ওপর। কিন্তু তারপর হতাশ হয়ে আবিস্কার করে আফিয়ার কাছে অস্ত্রশস্ত্র, গোলাবারুদ কিছুই নেই। ‘দুঃখজনক’ভাবে গুলি খাবার পরও বেঁচে গিয়ে মার্কিনীদের জন্য পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলেন আফিয়া।
মানবাধিকার ও ন্যায়বিচারের মহান অগ্রপথিক অ্যামেরিকা তখন নতুন এক গল্প ফাঁদে। বলে: ‘সন্দেহভাজন’ আফিয়াকে মার্কিনীরা গজনীতে বন্দী করে। সুস্থ অবস্থায়। ভয়ঙ্কর বন্দী হওয়া সত্ত্বেও তাঁকে হ্যান্ডকাফ পরানো হয়নি। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে এক সেনার বন্দুক কেড়ে নিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি করে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। তাঁকে থামাতে বাধ্য হয়ে মার্কিনীরাও গুলি করে। এতেই আফিয়া আহত হন। তবে ‘সৌভাগ্যবশত’ আফিয়ার ‘এলোপাথাড়ি’ গুলিতে কোন মার্কিনী আহত হয়নি।
আফিয়ার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। আর এ অভিযোগেই নিউইয়র্কের এক কোর্টের রায়ে তাঁকে ৮৬ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। সেই থেকে ড. আফিয়া সিদ্দীকী বন্দী টেক্সাসের ফোর্ট ওয়ার্থে। মজার ব্যাপার হল এ মামলায় আফিয়ার বিরুদ্ধে আগেকার সেই ‘সন্ত্রাসবাদ’-এর কোন অভিযোগ আনা হয়নি। হয়তো অভিযোগ আনা হলে তা প্রমান করতে হবে, আর এসব অভিযোগ প্রমান করা সম্ভব না জেনেই এমন সিদ্ধান্ত নেয় মার্কিন সরকার।
বহু কাঠখড় পুড়িয়ে, কিডন্যাপ হবার বিশ বছর পর অল্প কিছুদিন আগে আফিয়ার সাথে দেখা করার সুযোগ পেয়েছেন তাঁর বোন ড. ফৌজিয়া এবং আইনজীবি ক্লাইভ স্মিথ। ক্লাইভ স্মিথ সম্প্রতি একটি পডক্যাস্ট ড আফিয়া সিদ্দীকীর কেইস নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। ওপরের লেখার তথ্যগুলো সেই আলোচনার থেকে নেয়া। মূল পডক্যাস্টের লিঙ্ক কমেন্ট দেয়া হল। আলোচনাটুকু শোনার জন্য আমি জোরালোভাবে সবাইকে অনুরোধ করবো।
আফিয়ার আইনজীবি ক্লাইভ স্মিথ এর আগে গুয়ানতানামো বে-র অনেক বন্দীদের নিয়ে কাজ করেছেন এবং এসব বন্দীদের অনেকে আলহামদুলিল্লাহ মুক্তি পেয়েছেন। তিনি আশাবাদী এক সময় না এক সময় আফিয়াও মুক্তি পাবেন। আমরা আশা করি আল্লাহ অতি দ্রুত সেই দিনটি নিয়ে আসবেন। মহান আল্লাহ মুসলিম বন্দীদের কল্যাণময় মুক্তি ত্বরান্বিত করুন। আমাদের অক্ষমতা, অকর্মণ্যতা ও গাফেলতি ক্ষমা করুন।
ড. আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তির দাবিতে পিটিশন করা হয়েছে। ১০ লক্ষ স্বাক্ষরের টার্গেট পূরণ করতে আরও ১ লাখ ৭৫ হাজার স্বাক্ষর দরকার, রবিবারের মধ্যে। পিটিশনের লিংক কমেন্টে। সবাই মিলে চেষ্টা করলে কাজটা খুব একটা কঠিন হবে না ইন শা আল্লাহ।

Address


Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Ummah News posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Alerts
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share