S. Shariful Islam

S. Shariful Islam We mainly discuss comparative Theology. You can follow our page

27/11/2024

বহু দিন পরে টিভি চ্যানেলে সত্য নিউজ শোনতে পেলাম।

ধন্যবাদ ATN চ্যানেলকে...
এগিয়ে যান আমরা আপনাদের সাথে আছি ইনশাআল্লাহ!

15/11/2024

বাইবেল নিউ টেস্টামেন্ট থেকে মূর্তি পূজা বিরোধী ১০ দলীল...

08/11/2024

বাইবেল ওল্ড টেস্টামেন্ট থেকে মূর্তি পূজা বিরোধী ৩০ দলীল...

01/11/2024

আব্দুল মালেক হাফিজাহুল্লাহ'র বিরুদ্ধে অপপ্রচার কারীদের মাথার ঘিলুতে কি এটা ঢুকে না?

সবাই মিলে প্রথম আলোকে আনফলো করুন!বয়কট প্রথম আলো...লিং এইযে আর সাথে রিপোর্ট চলবে ইনশাআল্লাহ... https://www.facebook.com/D...
31/10/2024

সবাই মিলে প্রথম আলোকে আনফলো করুন!

বয়কট প্রথম আলো...
লিং এইযে আর সাথে রিপোর্ট চলবে ইনশাআল্লাহ...

https://www.facebook.com/DailyProthomAlo?mibextid=ZbWKwL

18/10/2024

আমরা কি কিবোর্ড মুজা'হিদ❓

11/10/2024

যারা কোরআন সুন্নাহ থেকে মাসআলা বের করতে পারে না, তারা কিভাবে আমল করবে?

এই প্রশ্নের জবাবে ব্রাদার রাহুল লিখেছে তারা মাযহাব থেকে জেনে জেনে আমল করবে! বাহ, ব্রাদার রাহুল লাইনে চলে এসেছে...

04/10/2024

আহলে হাদীস একটি মাযহাব...
ব্রাদার রাহুল এবং তার শায়েখরা মিলে লিখেছে!

27/09/2024

ফিতরা টাকা দিয়ে দিলেও আদায় হবে অবশেষে স্বীকার করলেন ব্রাদার রাহুল। অথচ তিনি একটি বই লিখেছেন এর বিরুদ্ধে...

20/09/2024

"মহিলাদের মসজিদে গমন বিভ্রান্তি নিরসন" ব্রাদার রাহুলের উক্ত বইয়ের জবাব...

01/09/2024

আশুলিয়ায় পুলিশ কর্তৃক ছাত্র গণহত্যার পর লাশ পুড়িয়ে ফেলার সরাসরি ভিডিও...

31/08/2024

শিক্ষকদের মধ্যে ভিন্ন একটি কুচক্র মহল ছাত্রদের ব্যবহার করে আরেক দল শিক্ষককে পদত্যাগ করাতে বাধ্য করেছে নিজের স্বার্থে হাসিলের জন্য। তাই ছাত্র ভাইয়েরা সাবধান হোন!

তবে আবার কিছু নাস্তিক টাইপের শিক্ষকও আছে। তাই সব মিলিয়ে আইনের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত!

31/08/2024

শাইয়েখের কথা যখন তাহরির সাথে মিলে যাওয়া অনুভব হয়...😁😁😁

আমাদের প্রকৃত বন্ধু পাকিস্তান... আর প্রকৃত শত্রু ভারতীয় হিন্দুত্ববাদ...৭১ রে ভারতের হিন্দুত্ববাদ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আম...
30/08/2024

আমাদের প্রকৃত বন্ধু পাকিস্তান...
আর প্রকৃত শত্রু ভারতীয় হিন্দুত্ববাদ...

৭১ রে ভারতের হিন্দুত্ববাদ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের উস্কে দিয়ে যুদ্ধ লাগিয়েছে আমাদের মুসলিমের শক্তিকে দূর্বল করে বাংলাদেশটা খেয়ে ফোলতে।

তবুও তখনকার পাকিস্তান সরকারকে যদি হাসিনার মতো স্বৈরাচার মেনে নেয়। তাহলে হাসিনা আর ওই স্বৈরাচার শাসকের বিরুদ্ধে আমারদের অবস্থান। কিন্তু তাই বলে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান হবে কেন? বাংলাদেশ পাকিস্তান তো আমাদের...

তাই সময় এসেছে আমরা এখনই ঐক্যবদ্ধ হওয়ার!

পাকিস্তানের এখনো ৯৫ পার্সেন্ট মানুষ আমাদের ভালোবাসে। আর এসব সত্য কথা বললেই আপনাকে রাজাকার ট্যাক লাগাতো আওমী স্বৈরাচার।

30/08/2024

শিক্ষকদের মধ্যে ভিন্ন একটি কুচক্র মহল ছাত্রদের ব্যবহার করে আরেক দল শিক্ষককে পদত্যাগ করাতে বাধ্য করেছে নিজের স্বার্থে হাসিলের জন্য। তাই ছাত্র ভাইয়েরা সাবধান হোন!

বাইবেলে মূর্তিপূজা নিষিদ্ধ'র ৪০টি দলীল!____________________________দলীল-১বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, যাত্রাপুস্তক, ২০ অধ্যায়, ৩...
30/08/2024

বাইবেলে মূর্তিপূজা নিষিদ্ধ'র ৪০টি দলীল!
____________________________

দলীল-১
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, যাত্রাপুস্তক, ২০ অধ্যায়, ৩ ও ৪ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
আমার জায়গায় কোন দেবতাকে দাঁড় করাবে না। পূজার উদ্দেশ্যে তােমরা কোন মূর্তি তৈরী করবে না, তা আকাশের কোন কিছুর মত হােক বা মাটির উপরকার কোন কিছুর মত হােক কিম্বা জলের মধ্যেকার কোন কিছুর মত হােক।

দলীল-২
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, যাত্রাপুস্তক, ২০ অধ্যায়, ৫ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
তােমরা তাদের (মূর্তির) পূজাও করবে না, তাদের সেবাও করবে না, কারণ কেবলমাত্র আমি সদাপ্রভুই তােমাদের ঈশ্বর। আমার পাওনা। ভক্তি আমি চাই। যারা আমাকে ঘৃণা করে তাঁদের পাপের শাস্তি আমি তাদের তৃতীয় ও চতু্থ পুরুষ পর্যন্ত দিয়ে থাকি।

দলীল-৩
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, যাত্রাপুস্তক, ২৩ অধ্যায়, ২৪ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
তােমরা তাদের দেবতাদের পূজা কিংবা সেবা করবে না এবং সেখানকার লােকেরা যা করে তা করবে না । তােমরা তাদের দেব-দেবতার মূর্তিগুলাে ভেংগে ফেলবে এবং তাদের পূজার পাথরগুলােও টুকরা টুকরা কর ফেলবে।

দলীল-৪
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, যাত্রাপুস্তক, ৩৪ অধ্যায়, ১৩ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
তােমরা তাদের বেদীগুলো ভেংগে ফেলবে, তাদের পূজার পাথরগুলো টুকরা টুকরা করে ফেলবে আর তাদের পূজার আশেরা-খুঁটিগুলো কেটে ফেলবে।

দলীল-৫
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, যাত্রাপুস্তক, ৩৪ অধ্যায়, ১৪ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
তােমরা কোন দেবতার উপাসনা করবে না, কারণ সদাপ্রভূর নাম হল পাওনা ভক্তি পাবার আগ্রহী ঈশ্বর; তিনি তাঁর পাওনা ভক্তি চান।

দলীল-৬
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, লেবীয় পুস্তক, ১৯ অধ্যায়, ৪ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
মূর্তিপূজা করা তােমাদের চলবে না কিন্বা নিজেদের উপাসনার জন্য ছাঁচে ফেলে ধাতু দিয়ে কোন দেব-দেবতা তৈরী করা চলবেনা । আমি সদাপ্রভু তােমাদের ঈশ্বর।

দলীল-৭
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, লেবীয় পুস্তক,
২৬ অধ্যায়, ১ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
কোন রকম দেব-দেবীর মূর্তি তােমাদের তৈরী করা চলবে না। নিজেদের জন্য কাঠে খােদাই-করা মূর্তি কিন্বা কোন পূজার পাথর তােমাদের স্থাপন করা চলবে না। পূজা করবার জন্য তােমরা পাথরে খোদাই করা কোন মূর্তি তােমাদের দেশে রাখবে না। আমি সদাপ্রভু তোমাদের ঈশ্বর।

দলীল-৮
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, লেবীয় পুস্তক,
২৬ অধ্যায়, ৩০ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
আমি তােমাদের পূজার উঁচু স্থানগুলাে ধ্বংস করে ফেলব, ধূপ- বেদী ভেংগে ফেলব এবং তােমাদের প্রাণহীন দেব-দেবীর উপর তােমাদের মৃতদেহগুলো গাদা করব, আর আমি তােমাদের ভীষণ ঘৃণার চােখে দেখব।

দলীল-৯
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, গণনাপুস্তক, ৩৩ অধ্যায়, ৫২ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
তাদের পাথরে খােদাই করা সমস্ত মূর্তি ও ছাঁচে ফেলে তৈরী করা সমস্ত প্রতিমা এবং পাহাড়ের উপরকার সমস্ত বেদী তােমরা ধ্বংস করে ফেলবে।

দলীল-১০
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, দ্বিতীয় বিবরণ ৫ম অধ্যায়, ৭ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে- আমার জায়গায় কোন দেব-দেবতা দাঁড় করা বেনা।

দলীল-১১
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, দ্বিতীয় বিবরণ ৫ম অধ্যায়, ৮ ও ৯ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
(৮) পূজার উদ্দেশ্যে তােমরা কোন মূর্তি তৈরী করবে না, তা আকাশের কোন কিছুর মত হোক বা মাটির উপরকার কোন কিছুর মত হােক কিম্বা জলের মধ্যেকার কোন কিছুর মত হােক। (৯) তােমরা তাদের পূজাও করবে না, তাদের সেবাও করবে না, কারণ কেবলমাত্র আমি সদাপ্রভূই তােমাদের ঈশ্বর। আমার পাওনা ভক্তি আমি চাই। যারা আমাকে ঘৃণা করে তাদের পাপের শাস্তি আমি তাদের তৃতীয় ও চতূর্থ পুরুষ পর্যন্ত দিয়ে থাকি।

দলীল-১২
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, দ্বিতীয় বিবরণ,
৯ অধ্যায়, ১৬ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
আমি চেয়ে দেখলাম, তােমরা, তােমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভুর বিরুদ্ধ পাপ করেছ; পূজার জন্য তােমরা ছাঁচে ফেলে একটা বাছুরের মূর্তি তৈরী করে নিয়েছ। সদাপ্রভু তােমাদের যে পথে চলবার আদেশ দিয়েছিলেন তােমরা ঐটুকু সময়ের মধ্যেই সেই পথ থেকে সরে গেছ।

দলীল-১৩
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, দ্বিতীয় বিবরণ,
১৬ অধ্যায়, ২১ ও ২২ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
তোমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভূর উদ্দেশে তােমরা যে বেদী তৈরী করবে তার পাশে পূজা করবার জন্য কাঠের আশেরা-খুঁটি পুতবে না কিম্বা কোন পাথরও খাড়া করবে না, কারণ তােমাদের ঈশ্বর সদাপ্রভু এই সব ঘৃর্ণা করেন।

দলীল-১৪
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, দ্বিতীয় বিবরণ,
২৭ অধ্যায়, ১৫ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
সেই লোক অভিশপ্ত, যে ছাঁচে ফেলে কিন্বা কাঠ বা পাথর খােদাই করে কোন মূর্তি তৈরী করে এবং পূজার জন্য তা গােপন জায়গায় স্থাপন করে। এই সব মূর্তি সদাপ্রভুর ঘৃণার জিনিষ, কারিগরের হাতের কাজ মাত্র।

দলীল-১৫
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, ১রাজাবলি, ১৪ অধ্যায়, ৯ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
তোমার আগে যারা ছিল তুমি তাদের চেয়েও বেশী খারাপ কাজ করেছ। তুমি নিজের জন্য দেব-দেবতা বানিয়ে নিয়েছ আর ছাঁচে ঢেলে মূর্তি তৈরী করেছ। তুমি আমাকে অসন্তুষ্ট করে তুলেছে এবং আমাকে তােমার পিছনে ফেলে রেখেছ।

দলীল-১৬
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, গীতসংহিতা, ৭৮ অধ্যায়, ৫৮ ও ৫৯ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
তারা পাহাড়ের উপরকার বেদীগুলো ব্যবহার করে তাঁকে অসন্তুষ্ট করে তুলল; খােদাই করা প্রতিমা পূজা করে তাঁর পাওনা ভক্তির আগ্রহবাড়িয়ে তুলল। এসব দেখে-শুনে ঈশ্বর ভীষণ অসন্তুষ্ট
হলেন; তিনি ইস্রায়েলকে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করলেন।

দলীল-১৭
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, গীতসংহিতা,
১০৬ অধ্যায়, ১৯ ও ২০ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
(১৯) হােরেব পাহাড়ের সামনে তারা একটা বাছুর তৈরী করল। আর ছাঁচে ঢালা মূর্তির উপাসনা করল।
(২০) তাদের গৌরবময় ঈশ্বরকে ফেলে তারা ঘাস খাওয়াগরুর মূর্তিকে গ্রহণ করল।

দলীল-১৮
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, গীতসংহিতা, ১১৫ অধ্যায়, ৪ থেকে ৯ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
(৪) ওদের প্রতিমাগুলো সােনা আর রূপা দিয়ে মানুষের হাতে গড়া। (৫) তাদের মুখ আছে কিন্তু কথা বলতে পারে না, চোখ আছে কিন্তু দেখতে পায়না। (৬) তাদের কান আছে কিন্তু শুনতে পায় না, নাক আছে কিন্তু গন্ধ নিতে পারে না। (৭)তাদের হাত আছে কিন্তু ছুঁত পারে না, পা আছে কিন্তু হাঁটতে পারে না, গলা দিয়ে কোন শব্দও বেবের করতে পারে না। (৮) যারা এগুলোকে তৈরী করে। আর তাদের উপর বিশ্বাস ও নির্ভর করে তারাও ঐ সব প্রতিমার মত হবে। (৯) হে ইস্রায়েলীয়েরা, সদাপ্রভুর উপর নির্ভর কর -তিনিই তাদের সাহায্যকারী ও ঢাল।

দলীল-১৯
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, গীতসংহিতা, ১৩৫ অধ্যায়, ১৫ থেকে ১৮ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
(১৫) অন্যান্য জাতিদের প্রতিমাগুলাে সােনা আর রূপা দিয়ে তৈরী, সেগুলাে মানুষের হাতে গড়া।
(১৬) তাদের মুখ আছে কিন্তু কথা বলতে পারে না, চোখ আছে, দেখতে পায় না;
(১৭) তাদের কান আছে কিন্তু শুনতে পায় না, তাদের মুখের মধ্যে শ্বাসবলতে কিছু নেই।
(১৮) যারা এগুলােকে তৈরী করে আর তাদের উপর বিশ্বাস ও নির্ভর করে তারাও ঐ সব প্রতিমার মত হবে।

দলীল-২০
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, যিশাইয়, ১০ অধ্যায়, ১০ ও ১১ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
(১০) সেই সব প্রতিমায় ভরা রাজ্যগুলাে আমার হাতে পড়েছে; তাদের মৃর্তিগুলাে যিরূশালেম আর শমরিয়ার মূর্তিগুলোর চেয়ে অনেক ভাল। (১১) আমি শমরিয়া ও তার প্রতিমাগুলাের প্রতি যা করেছি যিরূশালেম ও তার মূর্তিগুলোর প্রতি তা-ইকরব।"

দলীল-২১
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, যিশাইয়,
৩০ অধ্যায়, ২২ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
তখন তােমরা তােমাদের রূপা ও সোনা দিয়ে মুড়ানো মূর্তি গুলো অশুচি করবে; তােমরা সেগুলো নোংরা কাপড়ের মত ফেলে দিয়ে বলবে- দূরহ, দূরহ!

দলীল-২২
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, যিশাইয়,
৩১ অধ্যায়, ৬ ও ৭ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
(৬) হে ইস্রায়েলীয়েরা, তোমরা যাঁর বিরুদ্ধে এত বিদ্রোহ করেছ তাঁর কাছে ফিরে এস, (৭) কারণ সেই দিন তোমরা সবাই যে সব সোনা ও রূপার মূর্তি তৈরী করে পাপ করেছ সেগুলো দূর করে দেবে।

দলীল-২৩
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, যিশাইয়,
৪২ অধ্যায়, ১৭ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
কিন্তু যারা খােদাই করা প্রতিমার উপর নির্ভর করে, যারা ছাঁচে ঢালা মূর্তিগুলােকে বলে, 'তােমরা আমাদের দেবতা, আমি তাদের ভীষণ লজ্জায় ফেলে ফিরিয়ে দেব।

দলীল-২৪
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, যিশাইয়,
৪৪ অধ্যায়, ৯ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
যারা খােদাই করে প্রতিমা তৈরী করে তারা অপদার্থ; তাদের এই মূল্যবান জিনিষগুলাে উপকারী নয় । সেই প্রতিমাগুলাের পক্ষ হয়ে যারা কথা বলে তারা অন্ধ, কিছু জানে না; সেইজন্য তারা লজ্জা পাবে।

দলীল-২৫
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, যিশাইয়, ৪৫ অধ্যায়, ২০ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
ওহে অন্যান্য জাতির বেঁচে থাকা লােকেরা, তােমরা এক সংগে জড়া হয়ে এস। যারা কাঠের মূর্তি বয়ে নিয়ে বেড়ায় আর এমন দেবতার কাছে প্রার্থনা করে যে উদ্ধার করতে পারে না তারা কিছুই জানে না।

দলীল-২৬
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, যিরমিয়, ১০ অধ্যায়, ৮ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
তারা সবাই জ্ঞানহীন ও বোকা। তাদের প্রতিমাগুলো তাে কাঠের তৈরী, সেগুলোে কি করে শিক্ষা দেবে?

দলীল-২৭
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, যিহিষ্কেল,
৩০ অধ্যায়, ১৩ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
আমি নোফের প্রতিমাগুলো ধ্বংস করে ফেলব, তার মূর্তিগুলো শেষ করে দেব। মিসরে আর কোন শাসনকর্তা থাকবে না এবং দেশের সবখানেই আমি ভয় ছড়িয়ে দেব।

দলীল-২৮
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, মীখা, ১ অধ্যায়, ৭ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
তার সব প্রতিমা টুকরা টুকরা করে ভেংগে ফেলা হবে; তার মন্দির-বেশ্যাদের সমস্ত আয় আগুন দিয়ে পােড়ানাে হবে; তার সব মূর্তিগুলো আমি ধ্বংস করে ফেলব। সে তাে বেশ্যাগিরির পাওনা হিসাবে এই সব পেয়েছে তাই সেইগুলো আবার বেশ্যাগিরির জন্যই ব্যবহার করা হবে।

দলীল-২৯
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, মীখা, ৫ অধ্যায়, ১৩ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
তোমার মধ্য থেকে আমি খোদাই করা মূর্তিগুলো এবং তােমার পূজার সব খুঁটি নষ্ট করে ফেলব; তােমার হাতে গড়া জিনিষকে তুমি আর পূজা করবে না।

দলীল-৩০
বাইবেল: পুরাতন নিয়ম, হবক্কূক, ২য় অধ্যায়, ১৮ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
প্রতিমার কোন মূল্য নেই, কারণ মানুষই তাে তাকে খােদাই করে তৈরী করেছে। ছাঁচে ঢালা মূর্তিরও মূল্য নেই, কারণ তা থেকে মানুষ মিথ্যা শিক্ষা পায়। যে তা তৈরী করে সে কেন তার হাতে গড়া জিনিষের উপর নির্ভর করে? সেই প্রতিমা তাে কথা বলতে পারে না।

দলীল-৩১
বাইবেল: নতুন নিয়ম, প্রেরিত, ১৭ অধ্যায়, ২৯ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
তাহলে আমরা যখন ঈশ্বরের সন্তান তখন ঈশ্বরকে মানুষের চিন্তাশক্তি দিয়ে তৈরী সােনা, রূপা বা পাথরের মূর্তি মনে করা আমাদের উচিত নয়।

দলীল-৩২
বাইবেল: নতুন নিয়ম, রোমীয়, ১ম অধ্যায়, ২১ থেকে ২৩ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
(২১).....তাদের চিন্তাশক্তি অসার হয়ে গেছে এবং তাদের বুদ্ধিহীন অন্তর অন্ধকারে পূর্ণ হয়েছে। (২২) যদিও তারা নিজেদের জ্ঞানী বলে দাবি করেছে তবুও আসলে তারা মুর্খই হয়েছে। (২৩) চিরস্থায়ী, মহিমাপূর্ণ ঈশ্বরের উপাসনা ছেড়ে দিয়ে তারা অস্থায়ী মানুষ, পাখী, পশু ও বুকে-হাঁটা প্রাণীর মূর্তির পূজা করেছে।

দলীল-৩৩
বাইবেল: নতুন নিয়ম, রোমীয়, ১ম অধ্যায়, ২৫ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
ঈশ্বরের সত্যকে ফেলে তারা মিথ্যাকে গ্রহণ করেছে। সৃষ্টিকর্তাকে বাদ দিয়ে তারা তাঁর সৃষ্ট জিনিষের পূজা করেছে, কিন্তু সমস্ত গৌরব চিরকাল সেই সৃষ্টিকর্তারই।

দলীল-৩৪
বাইবেল: নতুন নিয়ম, ১করিন্থীয়, ৬ অধ্যায়, ৯ ও ১০ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
(৯) যারা প্রতিমা পূজা করে, যারা ব্যভিচার করে, যারা পুরুষ-বেশ্যা, যে পুরুষেরা সমকামী, (১০) যারা চোর, লােভী, মাতাল, যারা পরের নিন্দা করে এবং যারা জোচ্চোর তারা ঈশ্বরের রাজ্যের অধিকারী হবে না।

দলীল-৩৫
বাইবেল: নতুন নিয়ম, ১করিন্থীয়, ১০ অধ্যায়, ৭ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ যেমন প্রতিমা পূজা করেছিলেন তােমরা তেমন কোরো না।

দলীল-৩৬
বাইবেল: নতুন নিয়ম, ১করিন্থীয়, ১০ অধ্যায়, ১৪ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
এইজন্য আমার প্রিয় বন্ধুরা, তােমরা প্রতিমাপূজা থেকে পালিয়ে যাও।

দলীল-৩৭
বাইবেল: নতুন নিয়ম, ১পিতর, ৪ অধ্যায়, ৩ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
যারা ঈশ্বরকে জানে না তাদের মত তোমরাও আগে লম্পটতা করে, খারাপ কামনা-বাসনার মধ্যে থেকে, মাতলামি করে, হৈ-হল্লা করে মদ খেয়ে ও খাওয়া-দাওয়া করে এবং জঘন্য প্রতিমাপূজা করে অনেক সময় কাটাতে।

দলীল-৩৮
বাইবেল: নতুন নিয়ম, ১যোহন, ৫ম অধ্যায়, ২১ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
সন্তানেরা, প্রতিমার সংগে তােমাদের কোন সম্বন্ধ না থাকুক।

দলীল-৩৯
বাইবেল: নতুন নিয়ম, প্রকাশিত বাক্য, ২১ অধ্যায়, ৮ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
কিন্তু জ্বলন্ত আগুন ও গন্ধকের হ্রদের মধ্যে থাকাই হবে ভীতু, অবিশ্বাসী, ঘৃণার যোগ্য, খুনী, ব্যভিচারী, যাদুকর, প্রতিমা-পূজাকারী এবং সব মিথ্যাবাদীদের শেষ দশা। এটাই হল দ্বিতীয় মৃত্যু।"

দলীল-৪০
বাইবেল: নতুন নিয়ম, প্রকাশিত বাক্য, ২২ অধ্যায়, ১৫ নাম্বার পদে উল্লেখ আছে-
কুকুরের মত জঘন্য লোক, যাদুকর, ব্যভিচারী, খুনী, প্রতিমা- পূজাকারী, আর যারা মিথ্যা ভালবাসে ও মিথ্যার মধ্যে চলে,তারা সবাই বাইরে পড়ে আছে।

লিখেছেন– S. Shariful Islam

হিন্দু ধর্মে আল্লাহর একত্ববাদ!______________________________দলীল–১ছান্দোগ্য উপনিষদ, ৬ষ্ঠ অধ্যায়, ২য় খন্ড, মন্ত্র নং ১ ও...
30/08/2024

হিন্দু ধর্মে আল্লাহর একত্ববাদ!
______________________________

দলীল–১
ছান্দোগ্য উপনিষদ, ৬ষ্ঠ অধ্যায়, ২য় খন্ড, মন্ত্র নং ১ ও ২ এ বলা হয়েছে–
একমেবাদ্বিতীয়ম্ (অথবা একম্ এব অদ্বিতীয়ম্)।
অনুবাদ- ঈশ্বর এক, অদ্বিতীয়।

দলীল–২
শ্বেতশ্বতর উপনিষদ, ৬ষ্ঠ অধ্যায়, ৯নং মন্ত্রে বলা হয়েছে–

ন তস্য কশ্চিৎ পতিরস্তি লোকে না চেশিতা নৈব চ তস্য লিঙ্গম্।
স কারণং কারণাধিপাধিপো ন চাস্য কশ্চিৎ জনিতা ন চাধিপং।।

অনুবাদ- জগতে তাহার প্রভু কেহ নেই, নিয়ন্ত্রক ও নেই। এমন কোন লিঙ্গ বা চিহ্নও নেই যাহা দ্বারা তাহাকে অনুমান করা চলে। তিনি সকলের কারণ, ইন্দ্রেয়াধিষ্ঠাতা দেবতাদেরও অধিপতি; তাহার কোন জনক বা অধ্যক্ষ নেই।

দলীল–৩
ব্রহ্মা সূত্রে বলা হয়েছে–
একং ব্রহ্ম দ্বিতীয়ং নাস্তি, নেহ নানাস্তি কিঞ্চন। অর্থ পরমেশ্বর এক, তিনি ব্যতিত কেহ নেই। (কঠ উপনিষদ, ২য় অধ্যায়, ১ম বল্লী, ১১নং মন্ত্র)

দলীল–৪
অথর্ব্ববেদ, কাণ্ড ১৩, অনুবাক ৪, সূক্ত ২, মন্ত্র ২-৫ এ বলা হয়েছে–

য এতং দেবমেকবৃতং বেদ॥২ ন দ্বিতীয়ো ন তৃতীয়শ্চতুর্থো নাপ্যুচ্যতে ॥৩ ন পঞ্চমো ন ষষ্ঠঃ সপ্তমো নাপ্যুচ্যতে ॥৪ নাষ্টমো ন নবমো দশমো নাপ্যুচ্যতে॥৫ অনুবাদ- পরমাত্মা এক, তিনি ছাড়া কেহই দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ, পঞ্চম, ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম, নবম বা দশম ঈশ্বর বলিয়া অভিহিত হয় না। যিনি তাঁহাকে শুধু এক বলিয়া জানেন তিনিই তাঁহাকে প্রাপ্ত হন।

দলীল–৫
ঋগ্বেদ, ৬ষ্ঠ মণ্ডল, ৪৫ সূক্ত, ১৬নং মন্ত্রে বলা হয়েছে–

য এক ইত্তমু ষ্টিহি কৃষ্টীনাং বিচর্ষণিঃ।
অনুবাদ- যিনি সবদর্শী ও বর্ষণশীল, তিনি এক।

দলীল–৬
ঋগ্বেদ- ১ম মণ্ডল, ১৬৪ সূক্ত, ৪৬নং মন্ত্রে বলা হয়েছে–

ইন্দ্রং মিত্রং বরুমগ্নিণত্বা মাহুরথো দিবাঃ স সুপর্ণো গরুত্মান।
একং সদ্বিপ্রা বহুদা বদন্ত্যগ্নিং যমং মাতরিশ্বানমাহুঃ।

অনুবাদ- ঈশ্বরকে মেধাবীগন, ইন্দ্র, মিত্র, বরুন ও অগ্নি বল থাকেন। তিনি এক হলেও তাকে বহু নামে বর্ণনা করে থাকেন। তাকে অগ্নি যম ও মাতরিশ্বা বলা হয়।

এছাড়াও ঋগ্বেদ, ১ম মণ্ডল, ১৬৪ সূক্ত, ৬নং মন্ত্রে; ঋগ্বেদ, ১০ম মণ্ডল, ৮২ সূক্ত, ৩নং মন্ত্রে; শুক্লযজুর্বেদ, ৪০শ অধ্যায়, ৭নং মন্ত্রে; শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ, ৪র্থ অধ্যায়, ১১নং মন্ত্রে; শ্বেতাশ্বতর উপনিষদ, ৬ষ্ঠ অধ্যায়, ১১নং মন্ত্রে ঈশ্বরের একত্ববাদের বর্ণনা রয়েছে।

লিখেছেন– S. Shariful Islam

হিন্দু শাস্ত্রে হযরত মুহাম্মদ সাঃ সম্পর্কে ৪২টি ভবিষ্যদ্বাণী! ১ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী------------------------------------...
29/08/2024

হিন্দু শাস্ত্রে হযরত মুহাম্মদ সাঃ সম্পর্কে ৪২টি ভবিষ্যদ্বাণী!


১ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কি পুরান- ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ২৯ নং শ্লোকে বলা হয়েছে কল্কি অবতারের নাম হবে- 'কল্কি' যার অর্থ পাপ বিনাশকারী। আর আমরা জানি কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ এর একটি নাম হল 'মাহি' যারা অর্থ অবিশ্বাস দূরকারী, নির্মূলকারী অর্থাৎ পাপ বিনাশকারী।

শ্লোকটি হল এই:
নামাকুর্ব্বংস্ততস্তস্য কল্কিরিতাভিবিশ্রুতম্। ক্বত্বা সংস্কারকর্মাণি যযুস্তে হৃষ্টমানসাঃ ।। ২৯

অনুবাদ- তাহারা ঐ বালকের নাম করণ-কালে 'কল্কি' এই বিখ্যাত' নাম রাখিলেন এবং জাতকৰ্ম্মাদি সংস্কার সম্পাদনপূর্ব্বক প্রহৃষ্ট চিত্তে প্রতিগমন করিলেন। ২৯

২ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ঋগ্বেদ, ১ম মন্ডল, ১৮শ সূক্ত, ৯ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে-

কল্কি অবতারের নাম 'নরাশংস' যার বাংলা অর্থ প্রশংসিত। আরবী অর্থ 'মুহাম্মদ'। আর আমরা জানি কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ এর নাম হল- 'মুহাম্মদ'।

মন্ত্রটি হল এই:
"নরাশংসং সৃধূষ্টমমপশ্যং সপ্রথস্তমং দিবো ন সদ্মম খস॥

অনুবাদ-
বিক্রমশালী সুবিখ্যাত ও আকাশের ন্যায় প্রাপ্ততেজা নরাশংসকে আমি দেখেছি।

এছাও 'নরাশংস' নামটি উল্লেখ রয়েছে; ঋগ্বেদ, ১ মণ্ডল, ১৩ সূক্ত, ৩ মন্ত্র ঋগ্বেদ, ১ মণ্ডল, ১০৬ সূক্ত, ৪ মন্ত্র ঋগ্বেদ, ১ মণ্ডল, ১৪২ সূক্ত, ৩ মন্ত্র ঋগ্বেদ, ২ মণ্ডল, ৩ সূক্ত, ২ মন্ত্র ঋগ্বেদ, ২ মণ্ডল, ৩৪ সূক্ত, ঋগ্বেদ, ২ মণ্ডল, ৩৮ সূক্ত, ঋগ্বেদ, ৩ মণ্ডল, ২৯ সূক্ত, ৬ মন্ত্র ১০ মন্ত্র ১১ মন্ত্র ঋগ্বেদ, ৫ মণ্ডল, ৫ সূক্ত, ২ মন্ত্র

ঋগ্বেদ, ১০ মণ্ডল, ৬৪ সূক্ত, ৩ মন্ত্র
ঋগ্বেদ, ১০ মণ্ডল, ৭০ সূক্ত, ২ মন্ত্র
ঋগ্বেদ, ১০ মণ্ডল, ৯২ সূক্ত, ১১ মন্ত্র
ঋগ্বেদ, ১০ মণ্ডল, ১৮২ সূক্ত, ২ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ৩ অধ্যায়, ৫৩ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ২০ অধ্যায়, ৩৭ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ২০ অধ্যায়, ৫৭ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ২১ অধ্যায়, ৩১ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ২১ অধ্যায়, ৫৫ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ২৭ অধ্যায়, ১৩ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ২৮ অধ্যায়, ২ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ২৮ অধ্যায়, ১৯ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ২৮ অধ্যায়, ৪২ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ২৯ অধ্যায়, ২৭ মন্ত্র
কৃষ্ণযজুর্বেদ, ১ম কাণ্ড, ৬ষ্ঠ প্রপাঠক, ৪ মন্ত্র। কৃষ্ণযজুর্বেদ, ১ম কাণ্ড, ৭ম প্রপাঠক, ৪ মন্ত্র।
সামবেদ, উত্তরার্চিক, মন্ত্র ১৩৪৯
অথর্ববেদ, ২০শ কাণ্ড, ৯ম অনুবাক, ৩১শ
সুক্ত (অথ কুন্তাপসূক্তানি), মন্ত্র ১

৩ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ঋগ্বেদ, ১ম মণ্ডল, ১৩শ সূক্ত, ৪ নং মন্ত্রে কল্কি অবতারকে বলা হয়েছে- 'ঈলিত' যার অর্থ স্তুত ও প্রশংসিত। আর আমরা জানি কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ এর নাম হল মুহাম্মদ যার অর্থ স্তুত ও প্রশংসিত।

মন্ত্রটি হল এই:
অগ্নে সুখতমে রথে দেবী ঈলিত আ বহ। অসি হোতা মনুহিতঃ।।

অনুবাদ-
হে ঈলিত অগ্নি! সুখতমরথে দেবগণকে নিয়ে এস; মানুষ্যদ্বারা তুমি দেবগণের আহ্বানকারী রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছ।

এছাড়াও কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ এর এই 'ঈলিত' নামটি উল্লেখ আছে- ঋগ্বেদ, ১ মণ্ডল, ১৪২ সূক্ত, ৪ মন্ত্র ঋগ্বেদ, ২ মণ্ডল, ৩ সূক্ত, ৩ মন্ত্র ঋগ্বেদ, ৫ মণ্ডল,, ৫ সূক্ত, ৩ মন্ত্র

৪ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
সামবেদ, উত্তরার্চিক, ১৩৫০ নং মন্ত্রে কল্কি অবতারকে বলা হয়েছে- 'ঈড়িত' যার অর্থ স্তুত ও প্রশংসিত। আর আমরা জানি কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ এর নাম হল 'মুহাম্মদ' যার অর্থ স্তুত ও প্রশংসিত।

মন্ত্রটি হল এই:
অগ্নে সুখতমে রথে দেবাঁ ঈড়িত আবহ। অসিহোতা মনুহিতঃ ॥

অনুবাদ-
হে ঈড়িত তথা স্তুত ও প্রশংসিত অগ্নি, সুখতম রথে দেবগণকে আন। তুমি দেবগণের আহ্বানকারী, মানুষের পক্ষে হিতকর।

৫ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ভবিষ্যপুরানের প্রতিস্বর্গ পর্ব ৩, খন্ড ৩, অধ্যায় ৩, ৫ নাম্বার শ্লোকে কল্কি অবতারেকে 'মুহাম্মদ' বলা হয়েছে।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর নাম হল- মুহাম্মদ।

অনুবাদ সহ শ্লোকটি হল এই: "এতস্মিন্নন্তিবে সেত্দচ্ছ আচার্যেন সমন্বিত” অর্থাৎ যথাসময়ে আবির্ভুত হবে মহাপুরুষ বা যিনি মহৎ গুনাবলী সমন্বিত।

এখানে- "আচার্যেন সমন্বিত" অর্থাৎ মহৎ গুনাবলি বা জ্ঞানের সমন্বিত। হিন্দু ধর্মে আচার্য্য বলা হয় খুব সন্মানিত জ্ঞানী যে তাকে। অথচ হিন্দুদের অনুবাদে কিন্তু তা পাওয়া যায় না।

"মহামদ ইতিখ্যাতঃ শিষ্যশাখা সমন্বিত" অর্থাৎ যিনি মহামদ নামে পরিচিত, আসবেন শিষ্যশাখা (সাহাবী) সমেত।

এখানে স্পষ্টতই নবীজি সাঃ এর নাম 'মুহাম্মদ' ও তার সাহাবাদের আগমনের ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছে।

৬ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
অথর্ববেদ, ২০শ কাণ্ড, ৯ম অনুবাক, ৩১শ সুক্ত, ৪ মন্ত্রে কল্কি অবতারকে বলা হয়েছে- 'রেড' যার অর্থ প্রশংসাকারী।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ এর আরেক নাম 'আহমেদ' যার অর্থ প্রশংসাকারী বা রেভ।

মন্ত্রটি হল এই:
বচ্যস্বর রেভ বচ্যস্ব বৃক্ষে ন পক্কে শকুনঃ। নষ্টে জিহ্বা চর্চরীতি ক্ষুরো ন ভূরি জোরিব।।৪

অনুবাদ-
সত্য বিস্তার করো রেভ সত্য বিস্তার কর, পক্ষি যত গায় শুষ্ক বৃক্ষের উপর। কাচি ধারালো দুই ফলকের মত, ঠোট ও জিহ্বা তোমার হোক স্পন্দিত।

এছাড়া এই 'রেড' নামটি অথর্ববেদ, ২০শ কাণ্ড, ৯ম অনুবাক, ৩১শ সুক্ত (অথ কুন্তাপসূক্তানি), মন্ত্র ৬ উল্লেখ রয়েছে।

৭ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ঋগ্বেদ, ৮ম মন্ডল, ৬ষ্ঠ সূক্ত, ১০ নং মন্ত্রে কল্কি অবতারকে বলা হয়েছ- 'আহমিদ্দি'। আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর অন্য নাম হচ্ছে 'আহমদ'।

মন্ত্রটি হল এই: আহমিদ্দি পিতুস্পরি মেধামৃতস্য জগ্রভ। অহং সূর্য ইবাজনি।।

অনুবাদ-
আহমদ প্রভুর নিকট হইতে মেধামৃত তথা জ্ঞানপূর্ণ ঐশীগ্রন্থ লাভ করিয়াছেন। আমি সৌর্যের নিকট হইতে জ্যেতি লাভ করিয়াছি।"

এছাড়াও মন্ত্রটি উল্লেখ রয়েছে: ঋগ্বেদ, ৮ম মণ্ডল ৬ সূক্ত ১০ মন্ত্র। অথর্ববেদ, ২০ কাণ্ড ৯ অনুবাক ১৯ সুক্তের ১ম মন্ত্রে।

সামবেদ, ঐন্দ্রকাণ্ড, ১৫২ মন্ত্র, সামবেদ, উত্তরার্চিক, ১৫০০ মন্ত্রে।

৮ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ঋগবেদ, ১ম মণ্ডল, ৫৩শ সূক্ত, ৯নং মন্ত্রে কল্কি অবতারকে বলা হয়েছে- 'সুশ্রবস' যার অর্থ বিশ্বাশযোগ্য সহচর।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ কে আরবের মানুষ 'আল আমিন' নামে ডাকত যার অর্থ বিশ্বস্ত, আস্থা ভাজন এবং তিনি ছিলেন বিশ্বাশযোগ্য সহচর।

মন্ত্রটি হল এই:
তুতোঞ্জনরাজ্ঞো দ্বির্দশাবন্ধুনা সুশ্রবসোপজগুষঃ। ষষ্টিং সহস্রা নবতিং নব শ্রুতো নি চক্রেণ রথ্যা দুষ্পদাবৃণক ॥

অনুবাদ-
সহায় রহিত সুশ্রবা নামক রাজার সাথে যুদ্ধ করবার জন্য যে বিংশ নরপতি ও অনুচর এসেছিল, হে প্রসিদ্ধ ইন্দ্র। তুমি শত্রুদের অলজ্জ্য রথচক্র দ্বারা তাদের পরাজিত করেছিলে।

এছাড়াও 'সুশ্রবস' নামটা উল্লেখ আছে। ঋগবেদ ১ মণ্ডল, ৫৩ সূক্ত, ১০ মন্ত্রে।

৯ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
শ্রীমদ্ভাগবত- মহাপুরাণ, ১২শ স্কন্ধ, ২য় অধ্যায়, ১৮নং শ্লোকে কল্কি অবতারের পিতার নাম বলা হয়েছে- 'বিষ্ণুযশা' যার অর্থ 'মালিকের দাস'। আর আমরা জানি কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ এর পিতার নাম 'আব্দুল্লাহ' যার অর্থ মালিকের দাস।

শ্লোকটি হল এই:
শম্ভলগ্রামমুখ্যস্য ব্রাহ্মণস্য মহাত্মনঃ। ভবনে বিষ্ণুযশসঃ কল্কিঃ প্রাদুর্ভবিষ্যতি।

অনুবাদ-
সেই কালে শম্ভল-গ্রামে বিষ্ণুযশ নামক এক প্রকৃত ব্রাহ্মণ জন্মগ্রহণ করবে। তিনি হবেন উদারচিত্ত ও ভগবদ্ভক্তিতে পরিপূর্ণ। তাঁরই গৃহে অবতাররূপে কল্কির আবির্ভাব হবে।

১০ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কি পুরানের ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ৪ নং শ্লোকে বলা হয়েছে- কল্কি অবতার 'শম্ভল' নামক স্থানে জন্ম গ্রহণ করবেন। যার বাংলা অর্থ 'শান্তির স্থান'। আরবী অর্থ হল 'বালাদুল আনিন'।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। এই মক্কার আরেক নাম হল- বালাদুল আমিন অর্থাৎ শান্তির স্থান।

এছাড়াও প্রাচীন ভারতের পন্ডিতরা পৃথিবির স্থলভাগকে ৭ টী ভাগে ভাগ করেছিল, এখানে 'শম্ভল' দ্বারা তারা বুঝাত আরব ভূমিকে। (A History of ancient india by RC Dutt vol-3)

শ্লোকটি হল এই:
সম্ভলে বিষ্ণুযশসো গৃহে প্রাদুর্ভবাম্যহম্। সুমত্যাং মাতরি বিভো। কন্যায়াং ত্বন্নিদেশতঃ।

অনুবাদ- শম্ভল নামক স্থানে বিষ্ণুযশা নামক বিপ্রের গৃহে তাহার পত্নি সুমতির গর্ভে জন্ম গ্রহণ করিব।

১১ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কি পুরানের ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ১৫ নং শ্লোকে বলা হয়েছে-

কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ মাধব মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বাদশ তারিখে' জন্মগ্রহণ করবেন। অর্থাৎ 'রবিউল আউওয়াল মাসের ১২ তারীখে জন্ম গ্রহণ করবেন।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ 'রবিউল আউয়াল' মাসের ১২ তারিখে জন্ম গ্রহন করেছেন।

শ্লোকটি হল এই: "দ্বাদশ্যাং শুক্লপক্ষস্য, মাধবে মাসি মাধবঃ। জাতং দদৃশতুঃ পুত্রং পিতরৌ হ্রষ্টমানসৌ।"

অনুবাদ-
বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষয়ী দ্বাদশীতে ভগবান বিষ্ণু জন্মগ্রহণ করিলে তাঁহাকে দেখিয়া পিতা-মাতা হৃষ্টচিত্ত হলেন।

ব্যাখ্যা:
এখানে মাধব অর্থ বৈশাখ মাস, বিক্রমী ক্যালেন্ডার মতে বৈশাখ বসন্তের মাস বলা হয়, যার আবরী অর্থ হয় 'রবি'।

শুক্ল পক্ষ, অর্থাৎ 'প্রথম অংশ' যার আরবী অনুবাদ হয়, 'আউওয়াল'। দ্বাদশ তারিখ অর্থাৎ ১২ তারিখ।

১২ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরাণ, ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ৪ নং শ্লোকে বলা হয়েছে কল্কি অবতারের জন্ম হবে প্রধান পুরোহিতের ঘরে এবং তারা বংশগতভাবেই প্রধান পুরোহিত।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর পিতা ছিলেন মক্কার প্রধান পুরোহিত সেই সাথে তারাও ছিল বংশগতভাবে মক্কার প্রধান পুরোহিত (এডওয়ার্ড গিবন, Decline And Fall Of Roman Empire, vol-5, page-229)

শ্লোকটি হল এই:
সম্ভলে বিষ্ণুযশসো গৃহে প্রাদুর্ভবাম্যহম্। সুমত্যাং মাতরি বিভো। কন্যায়াং ত্বন্নিদেশতঃ।

অনুবাদ- শম্ভল নামক স্থানে বিষ্ণুযশা নামক বিপ্রের গৃহে তাহার পত্নি সুমতির গর্ভে জন্ম গ্রহণ করিব।

১৩ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
সামবেদ, আগ্নেয় কাণ্ড, ৬৪নং মন্ত্রে বলা হয়েছে- কল্কি অবতার তিনি তার মায়ের দুধ পান করতে পারবেন না। আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ মাতৃদুগ্ধ মাত্র ৪ দিন পান করেছিলেন অতঃপর ধাত্রী বিবি হালিমা তাঁকে তার কাছে নিয়ে গিয়ে দুই বৎসর দুগ্ধ পান করান।

মন্ত্রটি হল এই:
চিত্র ইচ্ছিশোস্তরুণস্য বক্ষথো ন যো মাতরাবন্বেতি ধাতবে। অনুধা যদজীজনদধা চিদা ববক্ষৎ সদ্যো মহিদৃত্যাংতচরণ।।৬৪

অনুবাদ- এই শিশুর এই তরণের কাজ বড়ই বিচিত্র। এ স্তনপানের জন্য মায়ের কাছে যায় না। এর মাতার স্তন নাই, তবু এ জন্মমাত্রই মহান দেবদৌত্ত কার্যের ভার গ্রহণ করিল।।৬৪

১৪ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
অথর্ববেদ, ২০শ কাণ্ড, ৯ম অনুবাক, ৩১শ সুক্ত (অথ কুন্তাপসূক্তানি), ২য় মন্ত্রে উল্লেখ আছে- কল্কি অবতারের একাধিক স্ত্রী থাকবে।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর একাধিক স্ত্রী ছিলেন।,

মন্ত্রটি হল এই:
উষ্ট্রা যস্য প্রবাহনো বধুমস্তো দ্বিদর্শ বর্মা রথস্য নি জিহীড়তে দিব ঈস্রম না উপল্লুস্যঃ।।২

অনুবাদ- বিংশতি উষ্টধটানে শকট যাহার, স্ত্রীগণও থাকেন সঙ্গেতে তাহার। ঐ রথচুড়া স্বর্গ স্পর্শ না করে, সদাই থাকে হে উহা অবনত করে।

১৫ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কি পুরান, ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ৫ নং শ্লোকে বলা হয়েছে, কল্কি এসেছেন কালি তথা শয়তানের অবতারকে মোকাবেলা করতে, তার সাথে থাকবে তার ভাই ৪ সংগী।

আর আমরা জানি অপরদিকে কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ এসেছিলেন শয়তানকে দমনে, আর তার ছিলেন ভাই স্বরুপ চার সংগী, চার খলীফা।

শ্লোকটি হল এই:
চতুভিভ্রাতৃভির্দেব। করিষ্যামি কলিক্ষয়ম্। অনুবাদ- চার ভ্রাতা সহ আমি কলিকে বিনাশ করিব।

১৬ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ভবিষ্যপুরানের প্রতিস্বর্গ পর্ব ৩, খন্ড ৩, অধ্যায় ৩, ৬নং শ্লোকে বলা হয়েছে- কল্কি অবতার মরুভূমিবাসী হবে।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ মরুভূমিবাসী ছিলেন।

শ্লোকটি হল এই:

"নৃপশ্চৈব মহাদেবং মরুস্থল নিবাসিনম" অর্থাৎ নৃ বা রাজা সেই মরুস্থলবাসী সেই মহাদেব এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।

১৭ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরান, ১ম অংশ, ৩য় অধ্যায়, ১০ নং শ্লোকে বলা হয়েছে- কল্কি আসবে এমন সময় যেসময় মূলত রাজাদের রাজত্ চলবে, অর্থাৎ রাজকীয় শাসন পরিচালিত হবে। আর কল্কি সকল শয়তানের উপাস্য রাজাদের বধ করেবন।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ এসেছেন এমন সময় যেসময় মূলত রাজাদের রাজত্ চলবে, অর্থাৎ রাজকীয় শাসন পরিচালিত হতো। এবং তিনি সকল শয়তানের উপাস্য রাজাদের বধ করেন।

শ্লোকটি হল এই:
ততো দিগ্বিজয়ে ভূপান্ ধৰ্ম্মহীনান্ কলিপ্রিয়ান্। নিগৃহ্য বৌদ্ধান্ দেবাপিং মরুঞ্চ স্থাপয়িষ্যনি। ১০।

অনুবাদ- তুমি দিগ্বিজয়ে বহির্গত হইয়া ধৰ্ম্ম-বিবর্জ্জিত কলিপ্রিয় ভূপালগণকে পরাজয়পূর্ব্বক বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদিগকে সংহার করিয়া দেবাপি ও মরু নামক ধাম্মিক দ্বয়কে রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করিবে। ১০

১৮ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরাণ, ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ২৮ নং শ্লোকে বলা হয়েছে- কল্কি অবতার এমন সময় আসবে যখন মানুষ একে অপরের সাথে অহেতুক ঝগড়াবিবাদ আর মারামারি কলহে লিপ্ত থাকবে।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ যখন আরবে এসেছিলেন তখন মক্কা বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত ছিল। আর এই গোত্র কারণ বা কারণ ছাড়াই সবসময় একে অপরের সাথে বিবাদ কলহে লিপ্ত থাকত।

শ্লোকটি হল এই:
বিবাদ কলহক্ষুব্ধাঃ কেশবেশবিভূষণাঃ। কলৌ কুলীনা। ধনিনঃ পূজ্যা বার্দ্ধষিকা দ্বিজাঃ ॥২৮

অনুবাদ- ইহারা নিরন্তর বিবাদ কলহেই ক্ষুব্ধ থাকে। কেশসংস্কার বেশবিন্যাস ও ভূষণধারণেই ইহাদের অভি-রুচি। কলিকালে যাহাদের ধন আছে তাহারাই কুলীন বলিয়া মান্য হয়। যে সকল ব্রাহ্মণ বার্দ্ধষিক অর্থাৎ টাকার সুদ লইয়া জীবিকানির্বাহ করে তাহারাই সকলের পূজ্য।

১৯ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
শ্রীমদ্ভাগবতপুরাণ, ১২শ স্কন্দ, ২য় অধ্যায়, ১৯নং শ্লোকে বলা হয়েছে- কল্কি অবতার অশ্বপৃষ্ঠে বা ঘোড়ার পিঠে তরবারি হস্থে যুদ্ধ করবেন।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ অশ্বপৃষ্ঠে বা ঘোড়ার পিঠে তরবারি হস্থে যুদ্ধ করেছেন।

শ্লোকটি হল এই: অশ্বমাগুগমারুহ্য দেবদত্তং জগৎপতিঃ। অসিনাসাধুদমনমষ্টৈশ্বর্যগুণান্বিতঃ।। ১৯

অনুবাদ- অষ্টসিদ্ধিময় ঐশ্বর্যে গুণান্বিত সেই জগতপতি দেবদত্ত নামক দ্রুতগামী অশ্বের উপর আসিন থেকে তরবারি হস্তে অসাধুদের দমন করবেন।

২০ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরাণ, ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ৭নং শ্লোকে উল্লেখ আছে- কল্কি অবতারকে দেবতারা সাহায্য করবে।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত

মুহাম্মদ সাঃ- এর জীবনে এরূপ ঘটনা 'বদর' নামক যুদ্ধে বাস্তবে পরিণত হয়।

শ্লোকটি হল এই:
যাত যূয়ং ভূবং দেবাঃ স্বাংশাবতরণে রতাঃ। রাজানৌ মরুদেবাপী স্থাপয়িষ্যামাহৎ ভুবি ।।৭

অনুবাদ- দেবগণ! তোমরা পৃথিবীতে গমন পূর্ব্বক স্ব স্ব অংশে অবতীর্ণ হও। আমি পুনর্ব্বার মরু ও দেবাপি নামক রাজদ্বয় পৃথিবীর শাসনকর্তৃত্বে স্থাপন করিব।

২১ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরান, ১ম স্কন্ধ, ৩য় অধ্যায়, ২৫নং শ্লোক; শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণ, ১২শ স্কন্ধ, ২য় অধ্যায়, ১৯ নং শ্লোক; কল্কিপুরান, ১ম অংশ, ৩য় অধ্যায়, ১০ শ্লোকঃ

কল্কি অবতার কলি যুগের শুরুতে নয়; বরং পরে কলি যুগের এমন এক সময়ে আসবেন যে সময়টা হবে মূলত ঘোড়ায় চড়ে হাতে তরোয়াল নিয়ে যুদ্ধ করার যুগ, যেসময় মূলত রাজাদের রাজত্ চলবে, অর্থাৎ রাজকীয় শাসন পরিচালিত হবে। আর কল্কি সকল শয়তানের উপাস্য রাজাদের বধ করেবন।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ কলি যুগের শুরুতে নয়; বরং কলি যুগের এমন সময়ে এসেছিলেন সে সময় রাজ শাসন ছিল, রাজ্যে বহু রাজা পৌত্তলিক রাজা ছিলেন। কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ যুদ্ধে তাদের পরাজিত করেন। তিনি ঘোড়ায় চড়েই যুদ্ধে লিপ্ত হতেন, এবং তার হাতে শোভা পেত তরোবারী।

এবং তিনি ভবিষ্যত বানী করে বলে দিয়ে গেছেন

تَعْطِيلُ السَّيْفِ مِنَ الْجِهَادِ
'অর্থাৎ শেষ যমানায় যুদ্ধ থেকে তরবারী ('র ব্যবহার) উঠে যাওয়া'। এই ভবিষ্যতবানীটা উল্লেখ রয়েছে 'মাকারিমুল আখলাক, ইবনু আবিদ্দুনিয়া' কিতাবের ৩৫৪ হাদিসে।

আর এটাই সবচেয়ে বড় প্রমান যে প্রকৃত কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ ছাড়া ভবিষ্যতে দ্বীতি আর কোন কল্কি আসবে না। কল্কি অবতার আসার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ ভবিষ্যত পৃথিবি হচ্ছে পারমানবিক অস্ত্রের যুগ, সেখানে কেউ ঘোড়ায় চড়ে তরবারী হাতে নিয়ে যুদ্ধে নামবে না। যুদ্ধের এই দৃশ্য পৃথিবি থেকে অনেক আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তাই ভবিষ্যতে এই দৃশ্য দেখার সম্ভাবনা নাই।

এবার শ্লোক গুলো নীচে উল্লেখ করা হলঃ অথাসৌ যুগসংধ্যায়াং দস্যুপ্রায়েষু রাজসু। জনিতা বিষ্ণুযশসো নাম্না কল্কিজগৎপতিঃ। ২৫

পরে যখন কলিযুগের অবসান হয়ে আসবে এবং রাজারা সব দস্যুভাবাপন্ন হয়ে যাবে তখন জগৎপালক ভগবান বিষ্ণুযশা নামে ব্রাহ্মণের ঘরে কঞ্চিরূপে অবতীর্ণ হবেন* ।। ২৫।।

{শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরান, ১ম স্কন্ধ, ৩য় অধ্যায়, মন্ত্র ২৫}

অশ্বমাশুগমারুহ্য দেবদত্তং জগৎপতিঃ। অসিনাসাধুদমনমষ্টৈশ্বর্যগুণান্বিতঃ।। ১৯

শ্রীভগবান অষ্টসিদ্ধি ও সকল সদগুণের সর্বশ্রেষ্ঠ আধার। তিনি বিশ্বচরাচরের রক্ষক, সকলের প্রভু। তিনি দেবদত্ত নামক দ্রুতগামী অশ্বের উপর আসীন থেকে তরবারি হস্তে দুষ্টদের দমন করবেন।। ১৯৷৷ {শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের ১২নং স্কন্ধের ২নং অধ্যায়ের ১৯ নং মন্ত্র}

ততো দিগ্বিজয়ে ভূপান্ ধৰ্ম্মহীনান্ কলিপ্রিয়ান্। নিগৃহ্য বৌদ্ধান্ দেবাপিং মরুঞ্চ

স্থাপয়িষ্যনি। ১০।

তুমি দিগ্বিজয়ে বহির্গত হইয়া ধৰ্ম্ম-বিবর্জিত কলিপ্রিয় ভূপালগণকে পরাজয়পূর্ব্বক বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদিগকে সংহার করিয়া দেবাপি ও মরু নামক ধাম্মিক দ্বয়কে রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করিবে। ১০ {কল্কিপুরান, ১ম অংশ, ৩য় অধ্যায়, ১০ মন্ত্র}

রাসূল সাঃ বলেছেন, কেয়ামতের লক্ষনসমূহের মধ্যে রয়েছে-
تغطيلُ السَّيْفِ مِنَ الْجِهَادِ
'জিহাদ থেকে তরবারী ('র ব্যবহার) উঠে যাওয়া'।

[মাকারিমুল আখলাক, ইবনু আবিদ্দুনিয়া, হাদিস- ৩৫৪; যুজ, ইবনু সুলাইমান, হাদিস- ১০৪; আখবারু ইসবাহান, আবু নুআইম- ১/৩২৫; মুসনাদুল ফিরদাউস, দাইলামী- ১৯১; তালখিসুল মুতাশাবেহ, খতিব- ১/১৭৮ হাদিস ৮৮; মারদুওয়াই: আদ-দুররুল মানসুর, সুয়ূতী- ৭/৪৬৮ ; কানজুল উম্মাল- ১৪/২৪০ হাদিস ৩৮৫৫৮]

২২ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ঋগ্বেদ, ২য় মণ্ডল, ৩য় সূক্ত, ২য় মন্ত্রে কল্কি অবতারকে 'স্বর্চি' অর্থাৎ অপূর্ব সৌন্দর্যের অধিকারী বলে অভিহিত করা হয়েছে।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ অপূর্ব সৌন্দর্যের অধিকারী ছিলেন।

মন্ত্রটি হল এই: নরাশংসঃ প্রতি ধামান্যঞ্জন তিস্রো দিবঃ প্রতি মহ্না স্বর্চিঃ। ঘৃতশ্রুষা মনসা হব্যমূন্দন্নুর্ধনযজ্ঞস্য সমনজু দেবান্ ॥ ২

অনুবাদ- নরাশংস নামক অগ্নি সুন্দর শিখাবিশিষ্ট হয়ে নিজ মহিমায় প্রত্যেক আহুতিস্থান দীপ্যমান লোকায় ব্যক্ত করে ঘৃত বর্ষণেচ্ছায় হব্য স্নিগ্ধ করে যজ্ঞের মুখভোগে দেবগণকে প্রকাশিত করুন।

২৩ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ঋগ্বেদে, ১ম মন্ডল, ১৩শ সূক্ত, ৩নং মন্ত্রে কল্কি অবতারকে মধুজিহ্বা অর্থাৎ মিষ্টভাষী, মধুর ভাষী, মধুকন্ঠী বলে অবিহিত করা হয়েছে।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ- এর একটি বড় গুণ ছিল যে তাঁর ভাষা ছিল খুবই মিষ্ট ও সুমধুর।,

মন্ত্রটি হল এই:
নরাশংসমিহ প্রিয়ইস্মিন্যজ্ঞ উপহ্বয়ে। মধুজিহ্বৎ হবিকৃতম ॥ ৩

অনুবাদ- এ যজনদেশে, এ যজ্ঞে, প্রিয়, মধুজিহ্ব, হব্যনিষ্পাদক, নরাশংস নামাক অগ্নিকে আহ্বান করি।

২৪ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরাণ, ১২শ স্কন্ধ, ২য় অধ্যায়, ২১ নং শ্লোকে বলা হয়েছে- কল্কি অবতারের শরীর থেকে সুগন্ধি ছড়াবে, তাঁর সংস্পর্শে মানুষের মন নির্মল ও ধন্য হবে।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর শরীর মোবারকের সুগন্ধি মেশক আম্বরের সুগন্ধির চাইতেও অধিক খুশবো ছিল এবং সাহাবায়েকেরাম নবীজি সাঃ এর ঘাম মোবারককে আতর হিসেবে ব্যবহার করতেন।

শ্লোকটি হল এই:
অথ ভেষাং ভবিষ্যন্তি মনাংসি বিশদানি বৈ। বাসুদেবাঙ্গরাগাতিপুণ্যগন্ধানিলস্পৃশাম্ পৌরজানপদানাং বৈ হতেদখিলদস্যুমু ॥ ২১

অনুবাদ- পরীক্ষিৎ! দস্যু দমন কার্য সমাপনে গ্রামেগঞ্জে নগরে নিবাসকারী প্রজাদের হৃদয়ে পবিত্র ভাবের অনুভূতি আসবে কারণ ভগবান কল্কির অঙ্গের অঙ্গরাগ স্পর্শ পূত-পবিত্র বায়ু প্রজাদের স্পর্শদান করে পবিত্র করে দেবে। এইভাবে শ্রীভগবানের বিগ্রহের দিব্যগন্ধ প্রাপ্ত হয়ে তাঁরা ধন্য হবেন। ২১।

২৫ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ঋগ্বেদ, ৫ম মন্ডল, ৫ম সূক্ত, ২নং মন্ত্রে কল্কি অবতারকে কবি অর্থাৎ অপার্থিব বিষয়ের জ্ঞানের অধিকারী বলে অভিহিত করা হয়েছে।

আর আমরা জানি আল্লাহ তাআলা হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে কিছু কিছু ব্যাপারে অপ্রত্যক্ষ বা অপার্থিব জগতের জ্ঞান দান করেছিলেন। যেমন- হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া

সাল্লাম রোমক ও পারসিকদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধে রোমানদের পরাজয় এবং নয় বছরের মধ্যে রোমানদের বিজয়ের আগ সংবাদ দিয়েছিলেন। নাইনাওয়ার যুগে রোমানরা ৬৫৭ খ্রিস্টাব্দে জয়লাভ করেছিল। পবিত্র কুরআনের সূরা রোম এরই সাথে সম্পর্কিত। এ ধরনের বহু ঘটনা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সিরাত অধ্যয়নে জানা যায়।

মন্ত্রটি হল এই:
"নরাশংস সুষুতীমং যজ্ঞমদাভ্যঃ। কবির্হি মধুহস্ত্যঃ।।”

অনুবাদ- নরাশংস নামক অগ্নি এ যজ্ঞে প্রদীপ্ত করুন। তিনি অহিংসনীয়, কবি এবং মধুর হস্তবিশিষ্ট।

২৬ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ঋগ্বেদ, ১ম মন্ডল, ১০৬নং সূক্ত, ৪নং মন্ত্রে কল্কি অবতারকে জনসাধারণকে 'পাপ থেকে নিবৃত্তকারী' বলে অবিহিত করা হয়েছে।

আর আমরা জানি একথা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর সমস্ত শিক্ষা তাঁর

উপর অবতীর্ণ কুরআন একটি পাপকর্মহীন জীবনের সন্ধান দিয়েছে। এ হলো সৎ পথের একটি আয়না। যার নির্দেশনা সব রকমের পাপাচার থেকে মুক্তির উৎস।

মন্ত্রটি হল এই:
নরাশংসং রাজিনং রাজয়ন্নিহ ক্ষয়দ্বীরং পৃষণং সুম্নৈরীমহে।
রথং ন দুর্গাদ্বসবঃ সুদানবো বিশ্বস্মান্নো অংহসো নিষ্পিপর্তন।।

অনুবাদ- অন্নবান নরাশংস অগ্নিকে প্রজ্বলিত করে এখন স্তুতি করি, বীরবিজয়ী পুষার নিকট সুখকর স্তোত্র দ্বারা যাচক্রা করি। লোকে দুর্গম পথ হতে রথকে যেরূপ উদ্ধার করে আনে, সেরূপ দানশীল ও বাসগৃহদাতা দেবগণ সকল পাপ হতে আমাদের উদ্ধার করে পালন করুন।

২৭ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরান, ১২শ স্কন্ধ, ২য় অধ্যায়, ১৯ নং শ্লোকে কল্কি অবতারকে 'জগতপতি' বলা হয়েছে।

আর আমরা জানি 'জগতপতি' যিনি উপদেশাবলী দ্বরা নিপাতী পৃথিবীকে উদ্ধার

ও রক্ষা করেন, তাঁকে জগতপতি বলা হয়। তিনি নির্দিষ্ট কোনো জাতির গুরু নহেন, তিনি হলেন সমগ্র বিশ্বের গুরু। এই দৃষ্টিকোণে দেখা যায় যে, কুরআনে হযরত মুহাম্মদ সাললাহু আলাইহি ওয়া সাললামকে সমগ্র বিশ্বের নবী ঘোষণা করা হয়েছে।

শ্লোকটি হল এই:
অশ্বমাশুগমারুহ্য দেবদত্তং জগৎপতিঃ। অসিনাসাধুদমনমষ্টৈশ্বর্যগুণান্বিতঃ ।। ১৯

অনুবাদ- অষ্টসিদ্ধিময় ঐশ্বর্যে গুণান্বিত সেই জগতপতি দেবদত্ত নামক দ্রুতগামী অশ্বের উপর আসিন থেকে তরবারি হস্তে অসাধুদের দমন করবেন।

২৮ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
অথর্ববেদ, ২০শ কাণ্ড, ৯ম অনুবাক, ৩১শ সূক্ত, ২য় মন্ত্রে বলা হয়েছে- কল্কি অবতার রথে চড়িয়া উর্ধ্বাকাশে ভ্রমণ করিবেন। আর আমরা জানি কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ ঐশীবাহন বোরাকে চড়িয়া সপ্ত আকশে স্বর্গসমূহে ভ্রমণ করেন, যাহা 'মিরাজ' নামে খ্যাত।

মন্ত্রটি হল এই:
উষ্ট্রা যস্য প্রবাহণ্যে বধমন্তো দ্বির্দশ। বর্মা রথস্য নি জিহীড়তে দিব ঈষমাণা উপস্পৃশঃ।।২

অনুবাদ- বিংশতি উষ্টধটানে শকট যাহার, স্ত্রীগণও থাকেন সঙ্গেতে তাহার। ঐ রথচুড়া স্বর্গ স্পর্শ না করে, সদাই থাকে হে উহা অবনত করে।

২৯ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরান, ১ম অংশ, ৩য় অধ্যায়, ১ নং শ্লোকে বলা আছে, কল্কি দীক্ষা নিবেন মহেন্দ্র পর্বতে। এই মহেন্দ্র পর্বত একটিই কাল্পনিক পর্বত যার অস্তিত্ত পাওয়া যায় মহাভারতে। মহেন্দ্র মানে মহা আলোকিত স্থান।

অপরদিকে কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ দীক্ষা নিয়েছিলেন হেরা গুহায়, যাকে বলা হয় "জাবাল এ নূর” অর্থাৎ আলোকিত গুহা।

শ্লোকটি হল এই:
ততো বস্তুং গুরুকুলে যাস্তং কল্কিং নিরীক্ষ্য সঃ। মহেন্দ্রোদ্রিস্থিতো রামঃ সমানীয়াশ্রমং প্রভুঃ ॥

অনুবাদ- সূত বলিলেন, অনন্তর কল্কি গুরুকুলবাসে গমন করিতেছেন দেখিয়া, মহেন্দ্র পর্বতবাসী প্রভাবশালী রাম তাঁহাকে স্বীয আশ্রমে আনয়ন করিলেন।

৩০ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরাণ, ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ৩৫ শ্লোকে উল্লেখ আছে কল্কি অবতারকে বেদ তথা ঈশ্বরের বানী দেওয়া হবে।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে আল-কোরআন তথা ঈশ্বরের বানী দেওয়া হয়েছে।

শ্লোকটি হল এই:
তাত! তে ব্রহ্মসংস্কারং যজ্ঞসূত্রমনুত্তমম্। সাবিত্রীং বাচয়িষ্যামি ততো বেদান্ পঠিষ্যসি

অনুবাদ-
বৎস! এক্ষণে তোমার উপনয়নরূপ ব্রহ্মসংস্কার সম্পাদন করিয়া গায়ত্রী উপদেশ দিব, পরে বেদ অধ্যয়ন করিবে। ৩৫

৩১ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরাণ, ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ৩৬নং শ্লোকে উল্লেখ আছে কল্কি অবতারকে যখন বেদ তথা ঈশ্বরের বানীর কথা বালা হবে তখন তিনি বলবেন বেদ কাকে বলে আমি জানি না।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে যখন কোরআন তথা আল্লাহর বানী পড়তে বলা হয় তখন তিনি বললেন আমি পড়তে জানি না।

শ্লোকটি হল এই:
কো বেদঃ কা চ সাৰিত্ৰী কেন সূত্ৰেন সংস্কৃতাঃ। ব্রহ্মণা বিদিতা লোকে তত্তত্ত্বং বদ তাত! মাম্ ।।

অনুবাদ- কল্কি কহিলেন। পিতঃ! বেদ কাহাকে বলে? গায়ত্রীই বা কি? কিরূপ সূত্র দ্বারা সংস্কৃত হইলে ব্রাহ্মণ বলিয়া বিখ্যাত হইতে পারা যায়? তাহা আমাকে বলুন। ৩৬

৩২ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরাণ, ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ৩৭নং শ্লোকে উল্লেখ আছে কল্কি অবতারকে যে 'বেদ' দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেটা মূলত ঈশ্বরের বাক্য ও বানী।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে যে কোরআন দেওয়া হয়েছে সেটা মূলত আল্লাহর বাক্য ও বানী।

শ্লোকটি হল এই: পিতোবাচ। বেদো হরেবাক্ সাবিত্রী বেদমাতা প্রতিষ্ঠিতা। ত্রিগুণঞ্চ ত্রিবৃৎসুত্রং তেন বিপ্রাঃ প্রতিষ্ঠিতাঃ

অনুবাদ-
পিতা কহিলেন, বৎস! বিষ্ণুর বাকাই বেদ। সাবিত্রী বেদমাতা বলিয়া বিখ্যাত আছেন। ত্রিগুণিত সূত্রে গ্রন্থি দিয়া তিন গুণ করিলে উপবীত হয়। ব্রাহ্মণেরা এই উপবীত ধারণপূর্ব্বক প্রতিষ্ঠাভাজন হইয়া থাকেন। ৩৭

৩৩ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ভবিষ্যপুরানের প্রতিস্বর্গ পর্ব ৩, খন্ড ৩, অধ্যায় ৩, শ্লোক ১৮ শ্লোকে বলা হয়েছে- মুহাম্মদ সাঃ যখন ইসলামের দাওয়াত দিবেন তখন স্বার্থবাদি পুরোহিতরা তাকে ভর্ৎসনা করবে এবং হত্যা করার হুমকি দিবে।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ মুর্তিপুজা ও পাপকাজে লিপ্ত থাকা এলাকাবাসী এবং সমসাময়িক ধর্মগুরুরা তাকে ভর্ৎসনা করত এবং হত্যা করার হুমকি দিত।

শ্লোকটি হল এই:
তুচ্ছাত্ত কালিদাস স্তু রুশা প্রাহ মহাম্মাদান মায়া তে নির্মিতি ধুতার্য নুষ মহান হেতব্য।। ১৮

অনুবাদ- “অতঃপর কালিদাস তীব্র রাগে মহাম্মদকে ভতসনা করে বললেন, 'হে ধোকাবাজ তুমি রাজাকে মায়াচ্ছন্ন করেছ তোমার জ্ঞান দ্বারা, আমি তোমাকে হত্যা করব, তুমি দুশ্চরিত্র”

৩৪ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
অথর্ববেদ, ২০ কাণ্ড, ৯ অনুবাক, ৩১ সূক্ত, ১ম মন্ত্রে বলা হয়েছে-

কল্কি অবতার “কৌরম” অর্থ হলো দেশত্যাগী, ভ্রমণকারী, সফরকারী, শান্তি স্থাপনকারী।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ মক্কার লোকদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মক্কা ত্যাগ করে মদীনায় হিজরত করেন। মদীনা শহরে বসবাসকারী সকল গোত্রকে নিয়ে সমাজে 'শান্তি স্থাপন করেন'। তিনি ছিলেন ভ্রমণকারী, সফরকারী।

মন্ত্রটি হল এই:
১-ইদংজন্য উপশ্রুত নরাশংস স্তবিশ্যতে ষস্টিং সহস্রা নবতিং চ কৌরম আরশমেধু দন্মহে

অনুবাদ- হে মানব! এই কথা মনোযোগ দিয়ে শুন যে, এখন নরাশংসের প্রশংসা করা হবে। কৌরম তথা হে ভ্রমণকারী বা শান্তি আনয়নকারী রাজা! শত্রুবিনাশকারী বীরদের কাছে থেকে ষাট হাজার নব্বই দান আমরা পেয়েছি।

৩৫ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরাণ- ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ৪৭-৪৮ নং শ্লোকে বলা হয়েছে- কল্কি অবতার নিজ আবাসভূমি মক্কা ত্যাগ করবেন, পাপকাজে লিপ্ত থাকা এলাকাবাসী এবং সমসাময়িক ধর্মগুরুদের হতে উতপিড়িত হয়ে।

আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ ও তার নিজ আবাসভূমি মক্কা ত্যাগ করেছিলেন, মুর্তিপুজা ও পাপকাজে লিপ্ত থাকা এলাকাবাসী এবং সমসাময়িক ধর্মগুরুদের হতে উতপিড়িত হয়ে। ইতিহাসে তা হিজরত নামে পরিচিত।

মন্ত্র দু'টি হল এই:

পাপসারা দুরাচারাস্তেজোহীনাঃ কলাবিহ। আত্মানং রক্ষিতুং নৈব শক্তাঃ শূদ্রস্য সেবকাঃ ।৪৭
ইতি জনকবচো নিশম্য কল্কিঃ কলিকুলনাশমনোহভিলাষজন্মঃ। দ্বিজনিজবচনৈস্তদোপনীতো গুরুকুলবাসমুবাস সাধুনাথঃ । ৪৮

অনুবাদ-
পাপাত্মা, দুরাচার, তেজে হীন ও শুদ্রসেবক হইয়াছেন। তাঁহারা কলির প্রভাবে আত্মরক্ষা করিতেও সমর্থ নহেন||৪৭
কলি-কুল-ধ্বংসের জন্য যাঁহার আন্তরিক ইচ্ছা, তাদৃশ সাধুনা কল্কি, এইরূপ পিতৃবাক্য শ্রবণ করিয়া পিতা কর্তৃক ও ব্রাহ্মণগ কর্তৃক পঠিত মন্ত্রে উপনীত হইয়া গুরুকুলে বাস করিতে গমন করিলেন ॥ ৪৮

৩৬ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরাণ, ২য় অংশ, ১ম অধ্যায়, ৩০-৩২ নং শ্লোকে বলা হয়েছে- কল্কি আবার নিজ অঞ্চলে ফিরে আসবেন।

আর আমরা জানি অপরদিকে কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সঃ ও তার মাত্রভূমিতে ফিরে এসে তা শত্রু হতে একে মুক্ত করেন এবং পুনঃ দখল করেন।

শ্লোক তিনটি হল এই:
পুংসাং মদ্দর্শনেনাপি স্ত্রীভাবং কামতঃ শুক। শ্রুতেতি পদ্মামামন্ত্র্য প্রণম্য চ পুনঃ পুনঃ ॥৩০।
উড্ডীয় প্রযযৌ কীরঃ শম্ভুলং কল্কিপালিতম্। তমাগতং সমাকর্ণ কল্কিঃ পরপুরঞ্জয়ঃ ॥ ৩১
ক্রোড়ে কৃত্বা তং দদর্শ স্বর্ণরত্নবিভূষিতম। সানন্দং পরমানন্দদায়কং প্রাহ তং তদ ॥ ৩২

অনুবাদ-
যে পুরুষ আমাকে সকাম হৃদ্য দর্শন করে, সে তৎক্ষণাৎ স্ত্রী অবয়ব প্রাপ্ত হয়। শুরু এই কা শুনিয়া পদ্মাকে সম্ভাষণপূর্ব্বক পুনঃ পুনঃ প্রণাম করিয়া৩০||
উজ্জী হুইয়া কল্কি কর্তৃক পালিত শম্ভুল গ্রামে গমন করিল। পরপুরঙ্গ কল্কি, শুকের আগমনবার্তা শ্রবণ করিয়া ৩১|| পরমানন্দদায়ক সেই শুককে ক্রোড়ে লইয়া দেখিলেন যে, সে সুবর্ণ ও রঙে বিভূষিত হইয়াছে। তখন তিনি আনন্দপূর্বক তাহাকে তাহার কারণ জিজ্ঞাসা করিতে অভিললেন ৩২||

৩৭ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরাণ, ১ম অংশ, ৭ম অধ্যায়, ৫নং শ্লোকে উল্লেখ আছে কল্কি অবতার পৃথিবীতে আসলে গরু হত্যা পাপ হিসেবে বিবেচিত হবে না।

আর কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ পৃথিবীতে আসার পর গরু হত্যা পাপ হিসেবে বিবেচিত করা হয় না।

শ্লোকটি হল এই:
সদ্যঃ পাপহরং পুংসাং গুরুগোব্রহ্মঘাতিনাম্ । সমাহিতেন মনসা শূণু কীর! শিবোদিতম্ ॥ ৫৷৷

অনুবাদ- মনুষ্যের গোহত্যা গুরুহত্যা ও ব্রাহ্মণহত

Address

বাংলাদেশ
Cox's Bazar
1122334455

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when S. Shariful Islam posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category