29/12/2024
একজন পুরুষকে চেনা যায়,
তার স্ত্রী'র মাতৃত্বকালীন সময়ে
এই সময়টা নিজেকে সামলানোটা
বড়ই কঠিন একজন পুরুষের জন্য!
একজন নারী মাত্রাতিরিক্ত
সুন্দরী থাকলেও–একটা সন্তান
হওয়ার পর চেহারা হয়তো ন*ষ্ট হয়ে যায়,
শরীরের ওজন বেড়ে যায়,
কখনো কখনো চেহারাতেও
পরিবর্তন আসে!
কিন্তু এসব তো তার স্বামীর
কারণেই হয়–নিজে ইচ্ছে করে
তো করে না।স্বামীর সন্তানই সে
এত কষ্ট করে গর্ভে ধারণ করে।
একজন পুরুষের অন্তত
এই দিকটা চিন্তা করে হলেও
স্ত্রীর প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত।
এই সময়ে স্ত্রীর প্রতি আরো
বেশি আন্তরিকতা হওয়া উচিত,
তাকে সময় দেয়া উচিত।
এই সময়ে স্ত্রীর প্রতি উদাসীন
হওয়া মানেই,মানুষটাকে
হতাশার কবলে ফেলে দেওয়া।
সংসার জীবনে চেহারাটা
কোনো মূখ্য বিষয় নয়,সংসারের প্রতি এবং সঙ্গীর
প্রতি যে মানুষটা যত্নশীল
মনোভাবের;সেই সঙ্গী হিসাবে পারফেক্ট।
সন্তান হওয়ার পর স্ত্রীর
আকর্ষনীয় চেহারাটা হয়তো
মলিন হয়ে যাবে,শরীরের ওজন
বেড়ে যাবে,স্ত্রী দেখতে আগের
মতো সুন্দরী থাকবে না!কিন্তু
এতকিছু জেনেও যে মানুষটা
আপনার অনাগত সন্তান গর্ভে
ধারণ করেছে,তাকে ঠকানোটা
নিশ্চয়ই মানুষের কাজ হতে পারে না!
স্ত্রী যেমনই থাক,তেমনই সুন্দর।
তবে মাতৃত্বকালীন সময়ে তারা
আরো বেশি সুন্দর। পৃথিবীতে
এমনও অনেক মানুষ
আছে,যারা একজন পুরুষকে
পিতৃত্বের স্বাদটা দিতে পারে না,
হয়তো সৃষ্টিকর্তা এভাবেই
তাদের ধৈর্যের পরিক্ষা নেন।
স্ত্রী মোটা হোক,কালো হোক,
যেমনই হোক না কেন;
সে কেবল আপনার স্ত্রী,
তাকে তো ফেলে দিতে পারবেন না।
সঙ্গীর প্রতি যত্নশীল হওয়াটা
প্রতিটি মানুষের দায়িত্ব।
আর মাতৃত্বকালীন সময়ে
একজন নারীর প্রতি সদয়
হওয়াটা একজন স্বামীর দায়িত্ব
সেই সাথে কর্তব্যও বটে।
আর এমন যত্নশীল আচরণের
পুরুষ যারা পেয়েছেন,
তারা নিঃসন্দেহে ভাগ্যবতী।
এমন পুরুষ কারো সঙ্গী হলে,
তার ঋণ যে কোনোকিছু
দিয়েই শোধ করা যায় না!
চেহারা যেমনই হোক,
"আমার স্ত্রী সবার থেকে সেরা
সুন্দরী-সুশ্রী" এই মন-মানসিকতা
যখন থেকে মনের ভেতর
লালন করতে পারবেন,
সেদিন থেকেই আপনি একজন
সঠিক পুরুষ হিসাবে নিজেকে
দাবি করতে পারবেন।😑