29/08/2024
হিন্দু শাস্ত্রে হযরত মুহাম্মদ সাঃ সম্পর্কে ৪২টি ভবিষ্যদ্বাণী!
১ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কি পুরান- ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ২৯ নং শ্লোকে বলা হয়েছে কল্কি অবতারের নাম হবে- 'কল্কি' যার অর্থ পাপ বিনাশকারী। আর আমরা জানি কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ এর একটি নাম হল 'মাহি' যারা অর্থ অবিশ্বাস দূরকারী, নির্মূলকারী অর্থাৎ পাপ বিনাশকারী।
শ্লোকটি হল এই:
নামাকুর্ব্বংস্ততস্তস্য কল্কিরিতাভিবিশ্রুতম্। ক্বত্বা সংস্কারকর্মাণি যযুস্তে হৃষ্টমানসাঃ ।। ২৯
অনুবাদ- তাহারা ঐ বালকের নাম করণ-কালে 'কল্কি' এই বিখ্যাত' নাম রাখিলেন এবং জাতকৰ্ম্মাদি সংস্কার সম্পাদনপূর্ব্বক প্রহৃষ্ট চিত্তে প্রতিগমন করিলেন। ২৯
২ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ঋগ্বেদ, ১ম মন্ডল, ১৮শ সূক্ত, ৯ নং মন্ত্রে বলা হয়েছে-
কল্কি অবতারের নাম 'নরাশংস' যার বাংলা অর্থ প্রশংসিত। আরবী অর্থ 'মুহাম্মদ'। আর আমরা জানি কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ এর নাম হল- 'মুহাম্মদ'।
মন্ত্রটি হল এই:
"নরাশংসং সৃধূষ্টমমপশ্যং সপ্রথস্তমং দিবো ন সদ্মম খস॥
অনুবাদ-
বিক্রমশালী সুবিখ্যাত ও আকাশের ন্যায় প্রাপ্ততেজা নরাশংসকে আমি দেখেছি।
এছাও 'নরাশংস' নামটি উল্লেখ রয়েছে; ঋগ্বেদ, ১ মণ্ডল, ১৩ সূক্ত, ৩ মন্ত্র ঋগ্বেদ, ১ মণ্ডল, ১০৬ সূক্ত, ৪ মন্ত্র ঋগ্বেদ, ১ মণ্ডল, ১৪২ সূক্ত, ৩ মন্ত্র ঋগ্বেদ, ২ মণ্ডল, ৩ সূক্ত, ২ মন্ত্র ঋগ্বেদ, ২ মণ্ডল, ৩৪ সূক্ত, ঋগ্বেদ, ২ মণ্ডল, ৩৮ সূক্ত, ঋগ্বেদ, ৩ মণ্ডল, ২৯ সূক্ত, ৬ মন্ত্র ১০ মন্ত্র ১১ মন্ত্র ঋগ্বেদ, ৫ মণ্ডল, ৫ সূক্ত, ২ মন্ত্র
ঋগ্বেদ, ১০ মণ্ডল, ৬৪ সূক্ত, ৩ মন্ত্র
ঋগ্বেদ, ১০ মণ্ডল, ৭০ সূক্ত, ২ মন্ত্র
ঋগ্বেদ, ১০ মণ্ডল, ৯২ সূক্ত, ১১ মন্ত্র
ঋগ্বেদ, ১০ মণ্ডল, ১৮২ সূক্ত, ২ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ৩ অধ্যায়, ৫৩ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ২০ অধ্যায়, ৩৭ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ২০ অধ্যায়, ৫৭ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ২১ অধ্যায়, ৩১ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ২১ অধ্যায়, ৫৫ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ২৭ অধ্যায়, ১৩ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ২৮ অধ্যায়, ২ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ২৮ অধ্যায়, ১৯ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ২৮ অধ্যায়, ৪২ মন্ত্র
শুক্লযজুর্বেদ, ২৯ অধ্যায়, ২৭ মন্ত্র
কৃষ্ণযজুর্বেদ, ১ম কাণ্ড, ৬ষ্ঠ প্রপাঠক, ৪ মন্ত্র। কৃষ্ণযজুর্বেদ, ১ম কাণ্ড, ৭ম প্রপাঠক, ৪ মন্ত্র।
সামবেদ, উত্তরার্চিক, মন্ত্র ১৩৪৯
অথর্ববেদ, ২০শ কাণ্ড, ৯ম অনুবাক, ৩১শ
সুক্ত (অথ কুন্তাপসূক্তানি), মন্ত্র ১
৩ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ঋগ্বেদ, ১ম মণ্ডল, ১৩শ সূক্ত, ৪ নং মন্ত্রে কল্কি অবতারকে বলা হয়েছে- 'ঈলিত' যার অর্থ স্তুত ও প্রশংসিত। আর আমরা জানি কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ এর নাম হল মুহাম্মদ যার অর্থ স্তুত ও প্রশংসিত।
মন্ত্রটি হল এই:
অগ্নে সুখতমে রথে দেবী ঈলিত আ বহ। অসি হোতা মনুহিতঃ।।
অনুবাদ-
হে ঈলিত অগ্নি! সুখতমরথে দেবগণকে নিয়ে এস; মানুষ্যদ্বারা তুমি দেবগণের আহ্বানকারী রূপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছ।
এছাড়াও কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ এর এই 'ঈলিত' নামটি উল্লেখ আছে- ঋগ্বেদ, ১ মণ্ডল, ১৪২ সূক্ত, ৪ মন্ত্র ঋগ্বেদ, ২ মণ্ডল, ৩ সূক্ত, ৩ মন্ত্র ঋগ্বেদ, ৫ মণ্ডল,, ৫ সূক্ত, ৩ মন্ত্র
৪ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
সামবেদ, উত্তরার্চিক, ১৩৫০ নং মন্ত্রে কল্কি অবতারকে বলা হয়েছে- 'ঈড়িত' যার অর্থ স্তুত ও প্রশংসিত। আর আমরা জানি কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ এর নাম হল 'মুহাম্মদ' যার অর্থ স্তুত ও প্রশংসিত।
মন্ত্রটি হল এই:
অগ্নে সুখতমে রথে দেবাঁ ঈড়িত আবহ। অসিহোতা মনুহিতঃ ॥
অনুবাদ-
হে ঈড়িত তথা স্তুত ও প্রশংসিত অগ্নি, সুখতম রথে দেবগণকে আন। তুমি দেবগণের আহ্বানকারী, মানুষের পক্ষে হিতকর।
৫ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ভবিষ্যপুরানের প্রতিস্বর্গ পর্ব ৩, খন্ড ৩, অধ্যায় ৩, ৫ নাম্বার শ্লোকে কল্কি অবতারেকে 'মুহাম্মদ' বলা হয়েছে।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর নাম হল- মুহাম্মদ।
অনুবাদ সহ শ্লোকটি হল এই: "এতস্মিন্নন্তিবে সেত্দচ্ছ আচার্যেন সমন্বিত” অর্থাৎ যথাসময়ে আবির্ভুত হবে মহাপুরুষ বা যিনি মহৎ গুনাবলী সমন্বিত।
এখানে- "আচার্যেন সমন্বিত" অর্থাৎ মহৎ গুনাবলি বা জ্ঞানের সমন্বিত। হিন্দু ধর্মে আচার্য্য বলা হয় খুব সন্মানিত জ্ঞানী যে তাকে। অথচ হিন্দুদের অনুবাদে কিন্তু তা পাওয়া যায় না।
"মহামদ ইতিখ্যাতঃ শিষ্যশাখা সমন্বিত" অর্থাৎ যিনি মহামদ নামে পরিচিত, আসবেন শিষ্যশাখা (সাহাবী) সমেত।
এখানে স্পষ্টতই নবীজি সাঃ এর নাম 'মুহাম্মদ' ও তার সাহাবাদের আগমনের ভবিষ্যদ্বানী করা হয়েছে।
৬ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
অথর্ববেদ, ২০শ কাণ্ড, ৯ম অনুবাক, ৩১শ সুক্ত, ৪ মন্ত্রে কল্কি অবতারকে বলা হয়েছে- 'রেড' যার অর্থ প্রশংসাকারী।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ এর আরেক নাম 'আহমেদ' যার অর্থ প্রশংসাকারী বা রেভ।
মন্ত্রটি হল এই:
বচ্যস্বর রেভ বচ্যস্ব বৃক্ষে ন পক্কে শকুনঃ। নষ্টে জিহ্বা চর্চরীতি ক্ষুরো ন ভূরি জোরিব।।৪
অনুবাদ-
সত্য বিস্তার করো রেভ সত্য বিস্তার কর, পক্ষি যত গায় শুষ্ক বৃক্ষের উপর। কাচি ধারালো দুই ফলকের মত, ঠোট ও জিহ্বা তোমার হোক স্পন্দিত।
এছাড়া এই 'রেড' নামটি অথর্ববেদ, ২০শ কাণ্ড, ৯ম অনুবাক, ৩১শ সুক্ত (অথ কুন্তাপসূক্তানি), মন্ত্র ৬ উল্লেখ রয়েছে।
৭ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ঋগ্বেদ, ৮ম মন্ডল, ৬ষ্ঠ সূক্ত, ১০ নং মন্ত্রে কল্কি অবতারকে বলা হয়েছ- 'আহমিদ্দি'। আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর অন্য নাম হচ্ছে 'আহমদ'।
মন্ত্রটি হল এই: আহমিদ্দি পিতুস্পরি মেধামৃতস্য জগ্রভ। অহং সূর্য ইবাজনি।।
অনুবাদ-
আহমদ প্রভুর নিকট হইতে মেধামৃত তথা জ্ঞানপূর্ণ ঐশীগ্রন্থ লাভ করিয়াছেন। আমি সৌর্যের নিকট হইতে জ্যেতি লাভ করিয়াছি।"
এছাড়াও মন্ত্রটি উল্লেখ রয়েছে: ঋগ্বেদ, ৮ম মণ্ডল ৬ সূক্ত ১০ মন্ত্র। অথর্ববেদ, ২০ কাণ্ড ৯ অনুবাক ১৯ সুক্তের ১ম মন্ত্রে।
সামবেদ, ঐন্দ্রকাণ্ড, ১৫২ মন্ত্র, সামবেদ, উত্তরার্চিক, ১৫০০ মন্ত্রে।
৮ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ঋগবেদ, ১ম মণ্ডল, ৫৩শ সূক্ত, ৯নং মন্ত্রে কল্কি অবতারকে বলা হয়েছে- 'সুশ্রবস' যার অর্থ বিশ্বাশযোগ্য সহচর।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ কে আরবের মানুষ 'আল আমিন' নামে ডাকত যার অর্থ বিশ্বস্ত, আস্থা ভাজন এবং তিনি ছিলেন বিশ্বাশযোগ্য সহচর।
মন্ত্রটি হল এই:
তুতোঞ্জনরাজ্ঞো দ্বির্দশাবন্ধুনা সুশ্রবসোপজগুষঃ। ষষ্টিং সহস্রা নবতিং নব শ্রুতো নি চক্রেণ রথ্যা দুষ্পদাবৃণক ॥
অনুবাদ-
সহায় রহিত সুশ্রবা নামক রাজার সাথে যুদ্ধ করবার জন্য যে বিংশ নরপতি ও অনুচর এসেছিল, হে প্রসিদ্ধ ইন্দ্র। তুমি শত্রুদের অলজ্জ্য রথচক্র দ্বারা তাদের পরাজিত করেছিলে।
এছাড়াও 'সুশ্রবস' নামটা উল্লেখ আছে। ঋগবেদ ১ মণ্ডল, ৫৩ সূক্ত, ১০ মন্ত্রে।
৯ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
শ্রীমদ্ভাগবত- মহাপুরাণ, ১২শ স্কন্ধ, ২য় অধ্যায়, ১৮নং শ্লোকে কল্কি অবতারের পিতার নাম বলা হয়েছে- 'বিষ্ণুযশা' যার অর্থ 'মালিকের দাস'। আর আমরা জানি কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ এর পিতার নাম 'আব্দুল্লাহ' যার অর্থ মালিকের দাস।
শ্লোকটি হল এই:
শম্ভলগ্রামমুখ্যস্য ব্রাহ্মণস্য মহাত্মনঃ। ভবনে বিষ্ণুযশসঃ কল্কিঃ প্রাদুর্ভবিষ্যতি।
অনুবাদ-
সেই কালে শম্ভল-গ্রামে বিষ্ণুযশ নামক এক প্রকৃত ব্রাহ্মণ জন্মগ্রহণ করবে। তিনি হবেন উদারচিত্ত ও ভগবদ্ভক্তিতে পরিপূর্ণ। তাঁরই গৃহে অবতাররূপে কল্কির আবির্ভাব হবে।
১০ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কি পুরানের ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ৪ নং শ্লোকে বলা হয়েছে- কল্কি অবতার 'শম্ভল' নামক স্থানে জন্ম গ্রহণ করবেন। যার বাংলা অর্থ 'শান্তির স্থান'। আরবী অর্থ হল 'বালাদুল আনিন'।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। এই মক্কার আরেক নাম হল- বালাদুল আমিন অর্থাৎ শান্তির স্থান।
এছাড়াও প্রাচীন ভারতের পন্ডিতরা পৃথিবির স্থলভাগকে ৭ টী ভাগে ভাগ করেছিল, এখানে 'শম্ভল' দ্বারা তারা বুঝাত আরব ভূমিকে। (A History of ancient india by RC Dutt vol-3)
শ্লোকটি হল এই:
সম্ভলে বিষ্ণুযশসো গৃহে প্রাদুর্ভবাম্যহম্। সুমত্যাং মাতরি বিভো। কন্যায়াং ত্বন্নিদেশতঃ।
অনুবাদ- শম্ভল নামক স্থানে বিষ্ণুযশা নামক বিপ্রের গৃহে তাহার পত্নি সুমতির গর্ভে জন্ম গ্রহণ করিব।
১১ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কি পুরানের ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ১৫ নং শ্লোকে বলা হয়েছে-
কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ মাধব মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বাদশ তারিখে' জন্মগ্রহণ করবেন। অর্থাৎ 'রবিউল আউওয়াল মাসের ১২ তারীখে জন্ম গ্রহণ করবেন।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ 'রবিউল আউয়াল' মাসের ১২ তারিখে জন্ম গ্রহন করেছেন।
শ্লোকটি হল এই: "দ্বাদশ্যাং শুক্লপক্ষস্য, মাধবে মাসি মাধবঃ। জাতং দদৃশতুঃ পুত্রং পিতরৌ হ্রষ্টমানসৌ।"
অনুবাদ-
বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষয়ী দ্বাদশীতে ভগবান বিষ্ণু জন্মগ্রহণ করিলে তাঁহাকে দেখিয়া পিতা-মাতা হৃষ্টচিত্ত হলেন।
ব্যাখ্যা:
এখানে মাধব অর্থ বৈশাখ মাস, বিক্রমী ক্যালেন্ডার মতে বৈশাখ বসন্তের মাস বলা হয়, যার আবরী অর্থ হয় 'রবি'।
শুক্ল পক্ষ, অর্থাৎ 'প্রথম অংশ' যার আরবী অনুবাদ হয়, 'আউওয়াল'। দ্বাদশ তারিখ অর্থাৎ ১২ তারিখ।
১২ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরাণ, ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ৪ নং শ্লোকে বলা হয়েছে কল্কি অবতারের জন্ম হবে প্রধান পুরোহিতের ঘরে এবং তারা বংশগতভাবেই প্রধান পুরোহিত।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর পিতা ছিলেন মক্কার প্রধান পুরোহিত সেই সাথে তারাও ছিল বংশগতভাবে মক্কার প্রধান পুরোহিত (এডওয়ার্ড গিবন, Decline And Fall Of Roman Empire, vol-5, page-229)
শ্লোকটি হল এই:
সম্ভলে বিষ্ণুযশসো গৃহে প্রাদুর্ভবাম্যহম্। সুমত্যাং মাতরি বিভো। কন্যায়াং ত্বন্নিদেশতঃ।
অনুবাদ- শম্ভল নামক স্থানে বিষ্ণুযশা নামক বিপ্রের গৃহে তাহার পত্নি সুমতির গর্ভে জন্ম গ্রহণ করিব।
১৩ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
সামবেদ, আগ্নেয় কাণ্ড, ৬৪নং মন্ত্রে বলা হয়েছে- কল্কি অবতার তিনি তার মায়ের দুধ পান করতে পারবেন না। আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ মাতৃদুগ্ধ মাত্র ৪ দিন পান করেছিলেন অতঃপর ধাত্রী বিবি হালিমা তাঁকে তার কাছে নিয়ে গিয়ে দুই বৎসর দুগ্ধ পান করান।
মন্ত্রটি হল এই:
চিত্র ইচ্ছিশোস্তরুণস্য বক্ষথো ন যো মাতরাবন্বেতি ধাতবে। অনুধা যদজীজনদধা চিদা ববক্ষৎ সদ্যো মহিদৃত্যাংতচরণ।।৬৪
অনুবাদ- এই শিশুর এই তরণের কাজ বড়ই বিচিত্র। এ স্তনপানের জন্য মায়ের কাছে যায় না। এর মাতার স্তন নাই, তবু এ জন্মমাত্রই মহান দেবদৌত্ত কার্যের ভার গ্রহণ করিল।।৬৪
১৪ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
অথর্ববেদ, ২০শ কাণ্ড, ৯ম অনুবাক, ৩১শ সুক্ত (অথ কুন্তাপসূক্তানি), ২য় মন্ত্রে উল্লেখ আছে- কল্কি অবতারের একাধিক স্ত্রী থাকবে।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর একাধিক স্ত্রী ছিলেন।,
মন্ত্রটি হল এই:
উষ্ট্রা যস্য প্রবাহনো বধুমস্তো দ্বিদর্শ বর্মা রথস্য নি জিহীড়তে দিব ঈস্রম না উপল্লুস্যঃ।।২
অনুবাদ- বিংশতি উষ্টধটানে শকট যাহার, স্ত্রীগণও থাকেন সঙ্গেতে তাহার। ঐ রথচুড়া স্বর্গ স্পর্শ না করে, সদাই থাকে হে উহা অবনত করে।
১৫ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কি পুরান, ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ৫ নং শ্লোকে বলা হয়েছে, কল্কি এসেছেন কালি তথা শয়তানের অবতারকে মোকাবেলা করতে, তার সাথে থাকবে তার ভাই ৪ সংগী।
আর আমরা জানি অপরদিকে কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ এসেছিলেন শয়তানকে দমনে, আর তার ছিলেন ভাই স্বরুপ চার সংগী, চার খলীফা।
শ্লোকটি হল এই:
চতুভিভ্রাতৃভির্দেব। করিষ্যামি কলিক্ষয়ম্। অনুবাদ- চার ভ্রাতা সহ আমি কলিকে বিনাশ করিব।
১৬ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ভবিষ্যপুরানের প্রতিস্বর্গ পর্ব ৩, খন্ড ৩, অধ্যায় ৩, ৬নং শ্লোকে বলা হয়েছে- কল্কি অবতার মরুভূমিবাসী হবে।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ মরুভূমিবাসী ছিলেন।
শ্লোকটি হল এই:
"নৃপশ্চৈব মহাদেবং মরুস্থল নিবাসিনম" অর্থাৎ নৃ বা রাজা সেই মরুস্থলবাসী সেই মহাদেব এর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে।
১৭ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরান, ১ম অংশ, ৩য় অধ্যায়, ১০ নং শ্লোকে বলা হয়েছে- কল্কি আসবে এমন সময় যেসময় মূলত রাজাদের রাজত্ চলবে, অর্থাৎ রাজকীয় শাসন পরিচালিত হবে। আর কল্কি সকল শয়তানের উপাস্য রাজাদের বধ করেবন।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ এসেছেন এমন সময় যেসময় মূলত রাজাদের রাজত্ চলবে, অর্থাৎ রাজকীয় শাসন পরিচালিত হতো। এবং তিনি সকল শয়তানের উপাস্য রাজাদের বধ করেন।
শ্লোকটি হল এই:
ততো দিগ্বিজয়ে ভূপান্ ধৰ্ম্মহীনান্ কলিপ্রিয়ান্। নিগৃহ্য বৌদ্ধান্ দেবাপিং মরুঞ্চ স্থাপয়িষ্যনি। ১০।
অনুবাদ- তুমি দিগ্বিজয়ে বহির্গত হইয়া ধৰ্ম্ম-বিবর্জ্জিত কলিপ্রিয় ভূপালগণকে পরাজয়পূর্ব্বক বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদিগকে সংহার করিয়া দেবাপি ও মরু নামক ধাম্মিক দ্বয়কে রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করিবে। ১০
১৮ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরাণ, ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ২৮ নং শ্লোকে বলা হয়েছে- কল্কি অবতার এমন সময় আসবে যখন মানুষ একে অপরের সাথে অহেতুক ঝগড়াবিবাদ আর মারামারি কলহে লিপ্ত থাকবে।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ যখন আরবে এসেছিলেন তখন মক্কা বিভিন্ন গোত্রে বিভক্ত ছিল। আর এই গোত্র কারণ বা কারণ ছাড়াই সবসময় একে অপরের সাথে বিবাদ কলহে লিপ্ত থাকত।
শ্লোকটি হল এই:
বিবাদ কলহক্ষুব্ধাঃ কেশবেশবিভূষণাঃ। কলৌ কুলীনা। ধনিনঃ পূজ্যা বার্দ্ধষিকা দ্বিজাঃ ॥২৮
অনুবাদ- ইহারা নিরন্তর বিবাদ কলহেই ক্ষুব্ধ থাকে। কেশসংস্কার বেশবিন্যাস ও ভূষণধারণেই ইহাদের অভি-রুচি। কলিকালে যাহাদের ধন আছে তাহারাই কুলীন বলিয়া মান্য হয়। যে সকল ব্রাহ্মণ বার্দ্ধষিক অর্থাৎ টাকার সুদ লইয়া জীবিকানির্বাহ করে তাহারাই সকলের পূজ্য।
১৯ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
শ্রীমদ্ভাগবতপুরাণ, ১২শ স্কন্দ, ২য় অধ্যায়, ১৯নং শ্লোকে বলা হয়েছে- কল্কি অবতার অশ্বপৃষ্ঠে বা ঘোড়ার পিঠে তরবারি হস্থে যুদ্ধ করবেন।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ অশ্বপৃষ্ঠে বা ঘোড়ার পিঠে তরবারি হস্থে যুদ্ধ করেছেন।
শ্লোকটি হল এই: অশ্বমাগুগমারুহ্য দেবদত্তং জগৎপতিঃ। অসিনাসাধুদমনমষ্টৈশ্বর্যগুণান্বিতঃ।। ১৯
অনুবাদ- অষ্টসিদ্ধিময় ঐশ্বর্যে গুণান্বিত সেই জগতপতি দেবদত্ত নামক দ্রুতগামী অশ্বের উপর আসিন থেকে তরবারি হস্তে অসাধুদের দমন করবেন।
২০ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরাণ, ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ৭নং শ্লোকে উল্লেখ আছে- কল্কি অবতারকে দেবতারা সাহায্য করবে।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত
মুহাম্মদ সাঃ- এর জীবনে এরূপ ঘটনা 'বদর' নামক যুদ্ধে বাস্তবে পরিণত হয়।
শ্লোকটি হল এই:
যাত যূয়ং ভূবং দেবাঃ স্বাংশাবতরণে রতাঃ। রাজানৌ মরুদেবাপী স্থাপয়িষ্যামাহৎ ভুবি ।।৭
অনুবাদ- দেবগণ! তোমরা পৃথিবীতে গমন পূর্ব্বক স্ব স্ব অংশে অবতীর্ণ হও। আমি পুনর্ব্বার মরু ও দেবাপি নামক রাজদ্বয় পৃথিবীর শাসনকর্তৃত্বে স্থাপন করিব।
২১ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরান, ১ম স্কন্ধ, ৩য় অধ্যায়, ২৫নং শ্লোক; শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণ, ১২শ স্কন্ধ, ২য় অধ্যায়, ১৯ নং শ্লোক; কল্কিপুরান, ১ম অংশ, ৩য় অধ্যায়, ১০ শ্লোকঃ
কল্কি অবতার কলি যুগের শুরুতে নয়; বরং পরে কলি যুগের এমন এক সময়ে আসবেন যে সময়টা হবে মূলত ঘোড়ায় চড়ে হাতে তরোয়াল নিয়ে যুদ্ধ করার যুগ, যেসময় মূলত রাজাদের রাজত্ চলবে, অর্থাৎ রাজকীয় শাসন পরিচালিত হবে। আর কল্কি সকল শয়তানের উপাস্য রাজাদের বধ করেবন।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ কলি যুগের শুরুতে নয়; বরং কলি যুগের এমন সময়ে এসেছিলেন সে সময় রাজ শাসন ছিল, রাজ্যে বহু রাজা পৌত্তলিক রাজা ছিলেন। কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ যুদ্ধে তাদের পরাজিত করেন। তিনি ঘোড়ায় চড়েই যুদ্ধে লিপ্ত হতেন, এবং তার হাতে শোভা পেত তরোবারী।
এবং তিনি ভবিষ্যত বানী করে বলে দিয়ে গেছেন
تَعْطِيلُ السَّيْفِ مِنَ الْجِهَادِ
'অর্থাৎ শেষ যমানায় যুদ্ধ থেকে তরবারী ('র ব্যবহার) উঠে যাওয়া'। এই ভবিষ্যতবানীটা উল্লেখ রয়েছে 'মাকারিমুল আখলাক, ইবনু আবিদ্দুনিয়া' কিতাবের ৩৫৪ হাদিসে।
আর এটাই সবচেয়ে বড় প্রমান যে প্রকৃত কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ ছাড়া ভবিষ্যতে দ্বীতি আর কোন কল্কি আসবে না। কল্কি অবতার আসার সব রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। কারণ ভবিষ্যত পৃথিবি হচ্ছে পারমানবিক অস্ত্রের যুগ, সেখানে কেউ ঘোড়ায় চড়ে তরবারী হাতে নিয়ে যুদ্ধে নামবে না। যুদ্ধের এই দৃশ্য পৃথিবি থেকে অনেক আগেই বিলুপ্ত হয়ে গেছে। তাই ভবিষ্যতে এই দৃশ্য দেখার সম্ভাবনা নাই।
এবার শ্লোক গুলো নীচে উল্লেখ করা হলঃ অথাসৌ যুগসংধ্যায়াং দস্যুপ্রায়েষু রাজসু। জনিতা বিষ্ণুযশসো নাম্না কল্কিজগৎপতিঃ। ২৫
পরে যখন কলিযুগের অবসান হয়ে আসবে এবং রাজারা সব দস্যুভাবাপন্ন হয়ে যাবে তখন জগৎপালক ভগবান বিষ্ণুযশা নামে ব্রাহ্মণের ঘরে কঞ্চিরূপে অবতীর্ণ হবেন* ।। ২৫।।
{শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরান, ১ম স্কন্ধ, ৩য় অধ্যায়, মন্ত্র ২৫}
অশ্বমাশুগমারুহ্য দেবদত্তং জগৎপতিঃ। অসিনাসাধুদমনমষ্টৈশ্বর্যগুণান্বিতঃ।। ১৯
শ্রীভগবান অষ্টসিদ্ধি ও সকল সদগুণের সর্বশ্রেষ্ঠ আধার। তিনি বিশ্বচরাচরের রক্ষক, সকলের প্রভু। তিনি দেবদত্ত নামক দ্রুতগামী অশ্বের উপর আসীন থেকে তরবারি হস্তে দুষ্টদের দমন করবেন।। ১৯৷৷ {শ্রীমদ্ভাগবত মহাপুরাণের ১২নং স্কন্ধের ২নং অধ্যায়ের ১৯ নং মন্ত্র}
ততো দিগ্বিজয়ে ভূপান্ ধৰ্ম্মহীনান্ কলিপ্রিয়ান্। নিগৃহ্য বৌদ্ধান্ দেবাপিং মরুঞ্চ
স্থাপয়িষ্যনি। ১০।
তুমি দিগ্বিজয়ে বহির্গত হইয়া ধৰ্ম্ম-বিবর্জিত কলিপ্রিয় ভূপালগণকে পরাজয়পূর্ব্বক বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদিগকে সংহার করিয়া দেবাপি ও মরু নামক ধাম্মিক দ্বয়কে রাজ্যে প্রতিষ্ঠিত করিবে। ১০ {কল্কিপুরান, ১ম অংশ, ৩য় অধ্যায়, ১০ মন্ত্র}
রাসূল সাঃ বলেছেন, কেয়ামতের লক্ষনসমূহের মধ্যে রয়েছে-
تغطيلُ السَّيْفِ مِنَ الْجِهَادِ
'জিহাদ থেকে তরবারী ('র ব্যবহার) উঠে যাওয়া'।
[মাকারিমুল আখলাক, ইবনু আবিদ্দুনিয়া, হাদিস- ৩৫৪; যুজ, ইবনু সুলাইমান, হাদিস- ১০৪; আখবারু ইসবাহান, আবু নুআইম- ১/৩২৫; মুসনাদুল ফিরদাউস, দাইলামী- ১৯১; তালখিসুল মুতাশাবেহ, খতিব- ১/১৭৮ হাদিস ৮৮; মারদুওয়াই: আদ-দুররুল মানসুর, সুয়ূতী- ৭/৪৬৮ ; কানজুল উম্মাল- ১৪/২৪০ হাদিস ৩৮৫৫৮]
২২ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ঋগ্বেদ, ২য় মণ্ডল, ৩য় সূক্ত, ২য় মন্ত্রে কল্কি অবতারকে 'স্বর্চি' অর্থাৎ অপূর্ব সৌন্দর্যের অধিকারী বলে অভিহিত করা হয়েছে।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ অপূর্ব সৌন্দর্যের অধিকারী ছিলেন।
মন্ত্রটি হল এই: নরাশংসঃ প্রতি ধামান্যঞ্জন তিস্রো দিবঃ প্রতি মহ্না স্বর্চিঃ। ঘৃতশ্রুষা মনসা হব্যমূন্দন্নুর্ধনযজ্ঞস্য সমনজু দেবান্ ॥ ২
অনুবাদ- নরাশংস নামক অগ্নি সুন্দর শিখাবিশিষ্ট হয়ে নিজ মহিমায় প্রত্যেক আহুতিস্থান দীপ্যমান লোকায় ব্যক্ত করে ঘৃত বর্ষণেচ্ছায় হব্য স্নিগ্ধ করে যজ্ঞের মুখভোগে দেবগণকে প্রকাশিত করুন।
২৩ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ঋগ্বেদে, ১ম মন্ডল, ১৩শ সূক্ত, ৩নং মন্ত্রে কল্কি অবতারকে মধুজিহ্বা অর্থাৎ মিষ্টভাষী, মধুর ভাষী, মধুকন্ঠী বলে অবিহিত করা হয়েছে।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ- এর একটি বড় গুণ ছিল যে তাঁর ভাষা ছিল খুবই মিষ্ট ও সুমধুর।,
মন্ত্রটি হল এই:
নরাশংসমিহ প্রিয়ইস্মিন্যজ্ঞ উপহ্বয়ে। মধুজিহ্বৎ হবিকৃতম ॥ ৩
অনুবাদ- এ যজনদেশে, এ যজ্ঞে, প্রিয়, মধুজিহ্ব, হব্যনিষ্পাদক, নরাশংস নামাক অগ্নিকে আহ্বান করি।
২৪ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরাণ, ১২শ স্কন্ধ, ২য় অধ্যায়, ২১ নং শ্লোকে বলা হয়েছে- কল্কি অবতারের শরীর থেকে সুগন্ধি ছড়াবে, তাঁর সংস্পর্শে মানুষের মন নির্মল ও ধন্য হবে।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর শরীর মোবারকের সুগন্ধি মেশক আম্বরের সুগন্ধির চাইতেও অধিক খুশবো ছিল এবং সাহাবায়েকেরাম নবীজি সাঃ এর ঘাম মোবারককে আতর হিসেবে ব্যবহার করতেন।
শ্লোকটি হল এই:
অথ ভেষাং ভবিষ্যন্তি মনাংসি বিশদানি বৈ। বাসুদেবাঙ্গরাগাতিপুণ্যগন্ধানিলস্পৃশাম্ পৌরজানপদানাং বৈ হতেদখিলদস্যুমু ॥ ২১
অনুবাদ- পরীক্ষিৎ! দস্যু দমন কার্য সমাপনে গ্রামেগঞ্জে নগরে নিবাসকারী প্রজাদের হৃদয়ে পবিত্র ভাবের অনুভূতি আসবে কারণ ভগবান কল্কির অঙ্গের অঙ্গরাগ স্পর্শ পূত-পবিত্র বায়ু প্রজাদের স্পর্শদান করে পবিত্র করে দেবে। এইভাবে শ্রীভগবানের বিগ্রহের দিব্যগন্ধ প্রাপ্ত হয়ে তাঁরা ধন্য হবেন। ২১।
২৫ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ঋগ্বেদ, ৫ম মন্ডল, ৫ম সূক্ত, ২নং মন্ত্রে কল্কি অবতারকে কবি অর্থাৎ অপার্থিব বিষয়ের জ্ঞানের অধিকারী বলে অভিহিত করা হয়েছে।
আর আমরা জানি আল্লাহ তাআলা হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে কিছু কিছু ব্যাপারে অপ্রত্যক্ষ বা অপার্থিব জগতের জ্ঞান দান করেছিলেন। যেমন- হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম রোমক ও পারসিকদের মধ্যে সংঘটিত যুদ্ধে রোমানদের পরাজয় এবং নয় বছরের মধ্যে রোমানদের বিজয়ের আগ সংবাদ দিয়েছিলেন। নাইনাওয়ার যুগে রোমানরা ৬৫৭ খ্রিস্টাব্দে জয়লাভ করেছিল। পবিত্র কুরআনের সূরা রোম এরই সাথে সম্পর্কিত। এ ধরনের বহু ঘটনা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সিরাত অধ্যয়নে জানা যায়।
মন্ত্রটি হল এই:
"নরাশংস সুষুতীমং যজ্ঞমদাভ্যঃ। কবির্হি মধুহস্ত্যঃ।।”
অনুবাদ- নরাশংস নামক অগ্নি এ যজ্ঞে প্রদীপ্ত করুন। তিনি অহিংসনীয়, কবি এবং মধুর হস্তবিশিষ্ট।
২৬ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ঋগ্বেদ, ১ম মন্ডল, ১০৬নং সূক্ত, ৪নং মন্ত্রে কল্কি অবতারকে জনসাধারণকে 'পাপ থেকে নিবৃত্তকারী' বলে অবিহিত করা হয়েছে।
আর আমরা জানি একথা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মাদ সাঃ এর সমস্ত শিক্ষা তাঁর
উপর অবতীর্ণ কুরআন একটি পাপকর্মহীন জীবনের সন্ধান দিয়েছে। এ হলো সৎ পথের একটি আয়না। যার নির্দেশনা সব রকমের পাপাচার থেকে মুক্তির উৎস।
মন্ত্রটি হল এই:
নরাশংসং রাজিনং রাজয়ন্নিহ ক্ষয়দ্বীরং পৃষণং সুম্নৈরীমহে।
রথং ন দুর্গাদ্বসবঃ সুদানবো বিশ্বস্মান্নো অংহসো নিষ্পিপর্তন।।
অনুবাদ- অন্নবান নরাশংস অগ্নিকে প্রজ্বলিত করে এখন স্তুতি করি, বীরবিজয়ী পুষার নিকট সুখকর স্তোত্র দ্বারা যাচক্রা করি। লোকে দুর্গম পথ হতে রথকে যেরূপ উদ্ধার করে আনে, সেরূপ দানশীল ও বাসগৃহদাতা দেবগণ সকল পাপ হতে আমাদের উদ্ধার করে পালন করুন।
২৭ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
শ্রীমদ্ভাগবত-মহাপুরান, ১২শ স্কন্ধ, ২য় অধ্যায়, ১৯ নং শ্লোকে কল্কি অবতারকে 'জগতপতি' বলা হয়েছে।
আর আমরা জানি 'জগতপতি' যিনি উপদেশাবলী দ্বরা নিপাতী পৃথিবীকে উদ্ধার
ও রক্ষা করেন, তাঁকে জগতপতি বলা হয়। তিনি নির্দিষ্ট কোনো জাতির গুরু নহেন, তিনি হলেন সমগ্র বিশ্বের গুরু। এই দৃষ্টিকোণে দেখা যায় যে, কুরআনে হযরত মুহাম্মদ সাললাহু আলাইহি ওয়া সাললামকে সমগ্র বিশ্বের নবী ঘোষণা করা হয়েছে।
শ্লোকটি হল এই:
অশ্বমাশুগমারুহ্য দেবদত্তং জগৎপতিঃ। অসিনাসাধুদমনমষ্টৈশ্বর্যগুণান্বিতঃ ।। ১৯
অনুবাদ- অষ্টসিদ্ধিময় ঐশ্বর্যে গুণান্বিত সেই জগতপতি দেবদত্ত নামক দ্রুতগামী অশ্বের উপর আসিন থেকে তরবারি হস্তে অসাধুদের দমন করবেন।
২৮ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
অথর্ববেদ, ২০শ কাণ্ড, ৯ম অনুবাক, ৩১শ সূক্ত, ২য় মন্ত্রে বলা হয়েছে- কল্কি অবতার রথে চড়িয়া উর্ধ্বাকাশে ভ্রমণ করিবেন। আর আমরা জানি কল্কি অবতার মুহাম্মদ সাঃ ঐশীবাহন বোরাকে চড়িয়া সপ্ত আকশে স্বর্গসমূহে ভ্রমণ করেন, যাহা 'মিরাজ' নামে খ্যাত।
মন্ত্রটি হল এই:
উষ্ট্রা যস্য প্রবাহণ্যে বধমন্তো দ্বির্দশ। বর্মা রথস্য নি জিহীড়তে দিব ঈষমাণা উপস্পৃশঃ।।২
অনুবাদ- বিংশতি উষ্টধটানে শকট যাহার, স্ত্রীগণও থাকেন সঙ্গেতে তাহার। ঐ রথচুড়া স্বর্গ স্পর্শ না করে, সদাই থাকে হে উহা অবনত করে।
২৯ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরান, ১ম অংশ, ৩য় অধ্যায়, ১ নং শ্লোকে বলা আছে, কল্কি দীক্ষা নিবেন মহেন্দ্র পর্বতে। এই মহেন্দ্র পর্বত একটিই কাল্পনিক পর্বত যার অস্তিত্ত পাওয়া যায় মহাভারতে। মহেন্দ্র মানে মহা আলোকিত স্থান।
অপরদিকে কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ দীক্ষা নিয়েছিলেন হেরা গুহায়, যাকে বলা হয় "জাবাল এ নূর” অর্থাৎ আলোকিত গুহা।
শ্লোকটি হল এই:
ততো বস্তুং গুরুকুলে যাস্তং কল্কিং নিরীক্ষ্য সঃ। মহেন্দ্রোদ্রিস্থিতো রামঃ সমানীয়াশ্রমং প্রভুঃ ॥
অনুবাদ- সূত বলিলেন, অনন্তর কল্কি গুরুকুলবাসে গমন করিতেছেন দেখিয়া, মহেন্দ্র পর্বতবাসী প্রভাবশালী রাম তাঁহাকে স্বীয আশ্রমে আনয়ন করিলেন।
৩০ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরাণ, ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ৩৫ শ্লোকে উল্লেখ আছে কল্কি অবতারকে বেদ তথা ঈশ্বরের বানী দেওয়া হবে।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে আল-কোরআন তথা ঈশ্বরের বানী দেওয়া হয়েছে।
শ্লোকটি হল এই:
তাত! তে ব্রহ্মসংস্কারং যজ্ঞসূত্রমনুত্তমম্। সাবিত্রীং বাচয়িষ্যামি ততো বেদান্ পঠিষ্যসি
অনুবাদ-
বৎস! এক্ষণে তোমার উপনয়নরূপ ব্রহ্মসংস্কার সম্পাদন করিয়া গায়ত্রী উপদেশ দিব, পরে বেদ অধ্যয়ন করিবে। ৩৫
৩১ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরাণ, ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ৩৬নং শ্লোকে উল্লেখ আছে কল্কি অবতারকে যখন বেদ তথা ঈশ্বরের বানীর কথা বালা হবে তখন তিনি বলবেন বেদ কাকে বলে আমি জানি না।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে যখন কোরআন তথা আল্লাহর বানী পড়তে বলা হয় তখন তিনি বললেন আমি পড়তে জানি না।
শ্লোকটি হল এই:
কো বেদঃ কা চ সাৰিত্ৰী কেন সূত্ৰেন সংস্কৃতাঃ। ব্রহ্মণা বিদিতা লোকে তত্তত্ত্বং বদ তাত! মাম্ ।।
অনুবাদ- কল্কি কহিলেন। পিতঃ! বেদ কাহাকে বলে? গায়ত্রীই বা কি? কিরূপ সূত্র দ্বারা সংস্কৃত হইলে ব্রাহ্মণ বলিয়া বিখ্যাত হইতে পারা যায়? তাহা আমাকে বলুন। ৩৬
৩২ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরাণ, ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ৩৭নং শ্লোকে উল্লেখ আছে কল্কি অবতারকে যে 'বেদ' দেওয়ার কথা বলা হয়েছে সেটা মূলত ঈশ্বরের বাক্য ও বানী।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ কে যে কোরআন দেওয়া হয়েছে সেটা মূলত আল্লাহর বাক্য ও বানী।
শ্লোকটি হল এই: পিতোবাচ। বেদো হরেবাক্ সাবিত্রী বেদমাতা প্রতিষ্ঠিতা। ত্রিগুণঞ্চ ত্রিবৃৎসুত্রং তেন বিপ্রাঃ প্রতিষ্ঠিতাঃ
অনুবাদ-
পিতা কহিলেন, বৎস! বিষ্ণুর বাকাই বেদ। সাবিত্রী বেদমাতা বলিয়া বিখ্যাত আছেন। ত্রিগুণিত সূত্রে গ্রন্থি দিয়া তিন গুণ করিলে উপবীত হয়। ব্রাহ্মণেরা এই উপবীত ধারণপূর্ব্বক প্রতিষ্ঠাভাজন হইয়া থাকেন। ৩৭
৩৩ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
ভবিষ্যপুরানের প্রতিস্বর্গ পর্ব ৩, খন্ড ৩, অধ্যায় ৩, শ্লোক ১৮ শ্লোকে বলা হয়েছে- মুহাম্মদ সাঃ যখন ইসলামের দাওয়াত দিবেন তখন স্বার্থবাদি পুরোহিতরা তাকে ভর্ৎসনা করবে এবং হত্যা করার হুমকি দিবে।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ মুর্তিপুজা ও পাপকাজে লিপ্ত থাকা এলাকাবাসী এবং সমসাময়িক ধর্মগুরুরা তাকে ভর্ৎসনা করত এবং হত্যা করার হুমকি দিত।
শ্লোকটি হল এই:
তুচ্ছাত্ত কালিদাস স্তু রুশা প্রাহ মহাম্মাদান মায়া তে নির্মিতি ধুতার্য নুষ মহান হেতব্য।। ১৮
অনুবাদ- “অতঃপর কালিদাস তীব্র রাগে মহাম্মদকে ভতসনা করে বললেন, 'হে ধোকাবাজ তুমি রাজাকে মায়াচ্ছন্ন করেছ তোমার জ্ঞান দ্বারা, আমি তোমাকে হত্যা করব, তুমি দুশ্চরিত্র”
৩৪ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
অথর্ববেদ, ২০ কাণ্ড, ৯ অনুবাক, ৩১ সূক্ত, ১ম মন্ত্রে বলা হয়েছে-
কল্কি অবতার “কৌরম” অর্থ হলো দেশত্যাগী, ভ্রমণকারী, সফরকারী, শান্তি স্থাপনকারী।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ মক্কার লোকদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মক্কা ত্যাগ করে মদীনায় হিজরত করেন। মদীনা শহরে বসবাসকারী সকল গোত্রকে নিয়ে সমাজে 'শান্তি স্থাপন করেন'। তিনি ছিলেন ভ্রমণকারী, সফরকারী।
মন্ত্রটি হল এই:
১-ইদংজন্য উপশ্রুত নরাশংস স্তবিশ্যতে ষস্টিং সহস্রা নবতিং চ কৌরম আরশমেধু দন্মহে
অনুবাদ- হে মানব! এই কথা মনোযোগ দিয়ে শুন যে, এখন নরাশংসের প্রশংসা করা হবে। কৌরম তথা হে ভ্রমণকারী বা শান্তি আনয়নকারী রাজা! শত্রুবিনাশকারী বীরদের কাছে থেকে ষাট হাজার নব্বই দান আমরা পেয়েছি।
৩৫ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরাণ- ১ম অংশ, ২য় অধ্যায়, ৪৭-৪৮ নং শ্লোকে বলা হয়েছে- কল্কি অবতার নিজ আবাসভূমি মক্কা ত্যাগ করবেন, পাপকাজে লিপ্ত থাকা এলাকাবাসী এবং সমসাময়িক ধর্মগুরুদের হতে উতপিড়িত হয়ে।
আর আমরা জানি কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ ও তার নিজ আবাসভূমি মক্কা ত্যাগ করেছিলেন, মুর্তিপুজা ও পাপকাজে লিপ্ত থাকা এলাকাবাসী এবং সমসাময়িক ধর্মগুরুদের হতে উতপিড়িত হয়ে। ইতিহাসে তা হিজরত নামে পরিচিত।
মন্ত্র দু'টি হল এই:
পাপসারা দুরাচারাস্তেজোহীনাঃ কলাবিহ। আত্মানং রক্ষিতুং নৈব শক্তাঃ শূদ্রস্য সেবকাঃ ।৪৭
ইতি জনকবচো নিশম্য কল্কিঃ কলিকুলনাশমনোহভিলাষজন্মঃ। দ্বিজনিজবচনৈস্তদোপনীতো গুরুকুলবাসমুবাস সাধুনাথঃ । ৪৮
অনুবাদ-
পাপাত্মা, দুরাচার, তেজে হীন ও শুদ্রসেবক হইয়াছেন। তাঁহারা কলির প্রভাবে আত্মরক্ষা করিতেও সমর্থ নহেন||৪৭
কলি-কুল-ধ্বংসের জন্য যাঁহার আন্তরিক ইচ্ছা, তাদৃশ সাধুনা কল্কি, এইরূপ পিতৃবাক্য শ্রবণ করিয়া পিতা কর্তৃক ও ব্রাহ্মণগ কর্তৃক পঠিত মন্ত্রে উপনীত হইয়া গুরুকুলে বাস করিতে গমন করিলেন ॥ ৪৮
৩৬ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরাণ, ২য় অংশ, ১ম অধ্যায়, ৩০-৩২ নং শ্লোকে বলা হয়েছে- কল্কি আবার নিজ অঞ্চলে ফিরে আসবেন।
আর আমরা জানি অপরদিকে কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সঃ ও তার মাত্রভূমিতে ফিরে এসে তা শত্রু হতে একে মুক্ত করেন এবং পুনঃ দখল করেন।
শ্লোক তিনটি হল এই:
পুংসাং মদ্দর্শনেনাপি স্ত্রীভাবং কামতঃ শুক। শ্রুতেতি পদ্মামামন্ত্র্য প্রণম্য চ পুনঃ পুনঃ ॥৩০।
উড্ডীয় প্রযযৌ কীরঃ শম্ভুলং কল্কিপালিতম্। তমাগতং সমাকর্ণ কল্কিঃ পরপুরঞ্জয়ঃ ॥ ৩১
ক্রোড়ে কৃত্বা তং দদর্শ স্বর্ণরত্নবিভূষিতম। সানন্দং পরমানন্দদায়কং প্রাহ তং তদ ॥ ৩২
অনুবাদ-
যে পুরুষ আমাকে সকাম হৃদ্য দর্শন করে, সে তৎক্ষণাৎ স্ত্রী অবয়ব প্রাপ্ত হয়। শুরু এই কা শুনিয়া পদ্মাকে সম্ভাষণপূর্ব্বক পুনঃ পুনঃ প্রণাম করিয়া৩০||
উজ্জী হুইয়া কল্কি কর্তৃক পালিত শম্ভুল গ্রামে গমন করিল। পরপুরঙ্গ কল্কি, শুকের আগমনবার্তা শ্রবণ করিয়া ৩১|| পরমানন্দদায়ক সেই শুককে ক্রোড়ে লইয়া দেখিলেন যে, সে সুবর্ণ ও রঙে বিভূষিত হইয়াছে। তখন তিনি আনন্দপূর্বক তাহাকে তাহার কারণ জিজ্ঞাসা করিতে অভিললেন ৩২||
৩৭ নাম্বার ভবিষ্যৎ বানী
------------------------------------
কল্কিপুরাণ, ১ম অংশ, ৭ম অধ্যায়, ৫নং শ্লোকে উল্লেখ আছে কল্কি অবতার পৃথিবীতে আসলে গরু হত্যা পাপ হিসেবে বিবেচিত হবে না।
আর কল্কি অবতার হযরত মুহাম্মদ সাঃ পৃথিবীতে আসার পর গরু হত্যা পাপ হিসেবে বিবেচিত করা হয় না।
শ্লোকটি হল এই:
সদ্যঃ পাপহরং পুংসাং গুরুগোব্রহ্মঘাতিনাম্ । সমাহিতেন মনসা শূণু কীর! শিবোদিতম্ ॥ ৫৷৷
অনুবাদ- মনুষ্যের গোহত্যা গুরুহত্যা ও ব্রাহ্মণহত