Rubel dey Rusbel

Rubel dey Rusbel Bangladesh world

29/05/2022

(মৃত্যু)চলে যাবার কিছু মূর্হুত আছে,তখন আমি তুমি সেই তারা কারো দ্বারা কিছুই করার থাকে না,প্রতিদিন একবার হলেও তা স্মরণ করা উচিত, ভাল থাকবেন।

22/03/2022

হেটে চলছি মৃত লাশের পাশে,যেন গন্ধরস মিশে যাচ্ছে দেহের কোনে

এভাবে উড়ছি সুতার টানে
30/01/2022

এভাবে উড়ছি সুতার টানে

মহারাজ গোপালকে বললেন– তুমি সারা রাজ্য খুঁজে আমাকে ৫ জন মূর্খ এনে দাও Iএক মাস পর গোপাল মাত্র দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে রাজসভায়...
17/09/2021

মহারাজ গোপালকে বললেন– তুমি সারা রাজ্য খুঁজে আমাকে ৫ জন মূর্খ এনে দাও I
এক মাস পর গোপাল মাত্র দু’জনকে সঙ্গে নিয়ে রাজসভায় ফিরে এলেন I
মহারাজ বললেন — আমি তো তোমাকে ৫ জন আনতে বলেছিলাম I
গোপাল বললেন– এনেছি মহারাজ, দয়া করে একে একে সবাইকে হাজির করার সুযোগ দিন I
একজনকে হাজির করে গোপাল বললেন– মহারাজ এ হলো প্রথম মূর্খ I এ একটা গরুর গাড়িতে ভারী একটা পোটলা নিজের মাথায় রেখে বসেছিল। জিজ্ঞেস করে উত্তর পেলাম, গরুর উপর বেশি চাপ পড়ে যাবে বলে সে নিজের ভারী পোটলা মাথায় নিয়ে বসে আছে I
গোপাল আরেকজনকে নির্দেশ করে বললেন– মহারাজ ইনি হলেন দ্বিতীয় মূর্খ i ইনি নিজের চালে গজিয়ে উঠা ঘাস গরুকে খাওয়াবার জন্য মই দিয়ে গরুকে চালে উঠাবার চেষ্টা করছিলেন I
তারপর গোপাল বললেন– মহারাজ, রাজ্যে রয়েছে দুনিয়ার গুরুত্বপূর্ণ কাজ i এই বিশাল কাজ-কর্মের অনেকটাই আমাকে সামলাতে হয় I তবু দেখুন, আমি মূর্খ খোঁজার অজুহাতে একটা মাস নষ্ট করে দিলাম i এজন্য মহারাজ, এই রাজ্যের তৃতীয় মূর্খ হলাম আমি নিজে I
গোপাল বলে চলেছেন– মহারাজ, এই রাজ্যের পুরো দায়িত্ব কিন্তু আপনার উপর i আর বিদ্যা-বুদ্ধি সম্পন্ন লোক দিয়েই কিন্তু রাজ্যের কাজ সম্পন্ন হয়, মূর্খ আর নির্বুদ্ধিদের দিয়ে কোন কাজই হয় না i তবু আপনি মূর্খ খোঁজার মত একটা নিরর্থক কাজে আমাকে নিযুক্ত করেছেন, সেই হিসেবে চতুর্থ মূর্খ হচ্ছেন মহারাজ আপনি নিজে I
আর, দুনিয়ার সব কাম-ধাম ছেড়ে, লেখা-পড়া ছেড়ে ফেসবুক-এ নিমগ্ন হয়ে পাঁচ নম্বর মূর্খ কে, সেটা জানার জন্য যে এই পোস্টটা পড়ছে, আমার হিসেবে সে-ই পঞ্চম মূর্খ। মহারাজ, আপনার কি মনে হয় ?
মহারাজ বললেন– একদম latest 😂😂

#কালেক্টেড

09/06/2021

মূর্খ তার নিজের কদর দিতে জানে না,জানে না বলে সেই মূর্খ!!!
💞আমি💞

17/04/2021
"পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ এখন অকৃতজ্ঞ । বাকি অর্ধেকের নিরানব্বুই ভাগ ঠিকঠাক জানেন না কিভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হয় । এক ভাগ...
11/02/2021

"পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ এখন অকৃতজ্ঞ । বাকি অর্ধেকের নিরানব্বুই ভাগ ঠিকঠাক জানেন না কিভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হয় । এক ভাগ জানেন"

__সমরেশ মজুমদার

বুঝিয়া পড়ি নাই। তবে পড়িয়া বুঝিলাম। হৃদয়ের কোমল তলদেশে একটা বিদ্যুতের ঝলকানি হৃদয়টাকে বড় জোরে ধাক্কা মারিয়া বন্ধ দরজাটা খ...
18/11/2020

বুঝিয়া পড়ি নাই। তবে পড়িয়া বুঝিলাম। হৃদয়ের কোমল তলদেশে একটা বিদ্যুতের ঝলকানি হৃদয়টাকে বড় জোরে ধাক্কা মারিয়া বন্ধ দরজাটা খুলিয়া দিল। তাতে নির্মল বাতাস আর আলো আসিয়া পথ দেখাইয়া গেল।
------------------------------------------
তোমার বেদে আছে কি?
বলরাম বসুর বাড়িতে স্বামীজী একদিন তন্ময় হয়ে বেদ ব্যাখ্যা করছেন। উপস্থিত আছেন শিষ্য শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তী এবং গিরিশচন্দ্র ঘোষ। তাঁরা মুগ্ধচিত্তে শুনছেন, স্বামীজীর যুক্তিপূর্ণ সরস ব্যাখ্যা। কিছুক্ষন পরে গিরিশ ঘোষ বললেন :
নরেন, একটা কথা বলি। বেদ - বেদান্ত তো ঢের পড়লে, কিন্তু এই যে দেশে ঘোর হাহাকার, অন্নাভাব, ব্যাভিচার, মহাপাপ ---- এর উপায় তোমার বেদে কিছু বলেছে? অমুকের বাড়ির গিন্নী, এককালে যার বাড়িতে রোজ পঞ্চাশখানা পাতা পড়ত, সে আজ তিন দিন হাঁড়ি চাপায়নি, অমুক বাড়ির ভদ্রমহিলা গুন্ডাদের আক্রমণে মারা গেছেন, অমুক বাড়ির বিধবার সমস্ত সম্পত্তি একজন জোচ্চুরি করে নিয়ে নিয়েছে ------ এইসবের প্রতিকার করবার কোনও উপায় তোমার বেদে আছে কি?

গিরিশবাবু যখন এইভাবে একের পর এক সমাজের বিভীষিকার ছবিগুলো তুলে ধরতে লাগলেন, স্বামীজী তখন নির্বাক হয়ে গেলেন, বেদ - ব্যাখ্যা বন্ধ হয়ে গেল। তাঁর চোখে জল দেখা দিল। কান্না চাপবার জন্য তিনি ঘরের বাইরে চলে গেলেন।
তখন গিরিশ ঘোষ শরচ্চন্দ্র চক্রবর্তীকে বললেন : দেখলি বাঙাল, কত বড় প্রাণ ! তোর স্বামীজীকে কেবল বেদজ্ঞ পন্ডিত বলে মানি না, কিন্তু ঐ যে জীবের দুঃখে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে গেল, এই মহাপ্রাণতার জন্য মানি। চোখের সামনে দেখলি তো মানুষের দুঃখ - কষ্টের কথাগুলো শুনে স্বামীজীর হৃদয় করুণায় পূর্ণ হয়ে উঠল, বেদ - বেদান্ত সব কোথায় উড়ে গেল।

" সবার স্বামীজী " পৃ : 29, 30
Ramkrishna Mahapatra 'এর ওয়াল থেকে।

কাল্পনি কথাআমি শত চেষ্ঠার পরও তোমার কোন নাম রাখতে পারলাম না,দেখ আমাকে আর কিছু দিন সময় দাও,কয়টা দিন মাত্র,,আমার দশর্ন থেম...
19/09/2020

কাল্পনি কথা

আমি শত চেষ্ঠার পরও তোমার কোন নাম রাখতে পারলাম না,
দেখ আমাকে আর কিছু দিন সময় দাও,
কয়টা দিন মাত্র,,
আমার দশর্ন থেমে নেই,
তোমায় আর কারো কথা শুনতে হবে,
থাকতে হবে না দারিয়ে গলির দোকানের পাশে,
আমি তোমাকে বোরকা মুক্ত করব না,
তবে কিভাবে স্বাধীন ভাবে চলতে হয় তা বলে দিব,
তুমি এখনো চিন্তা করছ,,
কর কর তোমার সাথে কনভিনেশন আমি চা এর সাথে বিড়ি এটা কখনো বলব না সত্যি, তবে চিন্তা করো না,
আমার দশর্ন কিন্তু থামছে না,
আমি শত চেষ্ঠার পরও তোমার কোন নাম রাখতে পারলাম না

আমি কেন লেখার ভাষা হারায়পেলেছিলাম জান?যাকে বলে বাগ রুদ্র!তুমি কিভাবে এতো অভিনয় নাটক করতে পার,মাঝে মাঝে আমাতে ছাড়া তোমার ...
28/08/2020

আমি কেন লেখার ভাষা হারায়
পেলেছিলাম জান?
যাকে বলে বাগ রুদ্র!
তুমি কিভাবে এতো অভিনয় নাটক করতে পার,
মাঝে মাঝে আমাতে ছাড়া তোমার থাকা চলে না,
মাঝে মাঝে চলে,মাঝে মাঝে গীতা, গড,ঈশ্বরের dibbi দিয়ে কথা বলাও আর তুমি রাখ না!!!এতো রহস্যময় জীবন নিয়ে কেমনে পার?
সত্যির দার রাখা যাইনা গোপন সে কথা তুমিও জানতে???
তাই কবির ভাষায়,ভালাবাসা মোরে ভিখারি করেছে তোমারে করেছে রানী।
এক দিন তুমি সকল ভুলিয়া সুখে ভরাবে জীবন খাতা,
আমারি জীবন দুঃখের সাগরে জ্বালাব নিজের চিতা!!!

- জীবনানন্দ দাশ---ধূসর পান্ডুলিপিআমরা ঘুমায়ে থাকি পৃথিবীর গহ্বরের মতো ,-পাহাড় নদীর পারে অন্ধকারে হয়েছে আহতএকা- হরিণীর মত...
23/07/2020

- জীবনানন্দ দাশ---ধূসর পান্ডুলিপি

আমরা ঘুমায়ে থাকি পৃথিবীর গহ্বরের মতো ,-

পাহাড় নদীর পারে অন্ধকারে হয়েছে আহত

একা- হরিণীর মতো আমাদের হৃদয় যখন !

জীবনের রোমাঞ্চের শেষ হলে ক্লান্তির মতন

পাণ্ডুর পাতার মতো শিশিরে শিশিরে ইতস্তত

আমরা ঘুমায়ে থাকি !- ছুটি লয়ে চ’লে যায় মন !-

পায়ের পথের মতো ঘুমন্তেরা প’ড়ে আছে কত,-

তাদের চোখের ঘুম ভেঙ্গে যাবে আবার কখন !-

জীবনের জ্বর ছেড়ে শান্ত হয়ে রয়েছে হৃদয় ,-

অনেক জাগার পর এইমতো ঘুমাইতে হয় ।

অনেক জেনেছে ব’লে আর কিছু হয় না জানিতে ;

অনেক মেনেছে ব’লে আর কিছু হয় না মানিতে;

দিন- রাত্রি- গ্রহ- তারা- পৃথিবী- আকাশ ধ’রে-ধ’রে

অনেকে উড়েছে যারা অধীর পাখির মতো ক’রে,-

পৃথিবীর বুক থেকে তাহাদের ডাকিয়া আনিতে

পুরুষ পাখির মতো ,- প্রবল হাওয়ার মতো জোরে

মৃত্যুও উড়িয়া যায় !- অসাড় হতেছে পাতা শীতে,

হৃদয়ে কুয়াশা আসে,- জীবন যেতেছে তাই ঝ’রে

পাখির মতন উড়ে পায়নি যা পৃথিবীর কোলে –

মৃত্যুর চোখের’পরে চুমো দেয় তাই পাবে ব’লে !

কারন, সাম্রাজ্য – রাজ্য- সিংহাসন – জয়-

মৃত্যুর মতন নয় ,- মৃত্যুর শান্তির মতো নয় !

কারন , অনেক অশ্রু – রক্তের মতন অশ্রু ঢেলে

আমরা রাখিতে আছি জীবনের এই আলো জ্বেলে !

তবুও নক্ষত্র নিজে নক্ষত্রের মতো জেগে রয় !-

তাহার মতন আলো হৃদয়ের অন্ধকারে পেলে

মানুষের মতো নয়,- নক্ষত্রের মতো হতে হয় !

মানুষের মতো হয়ে মানুষের মতো চোখ মেলে

মানুষের মতো পায়ে চলিতেছে যত দিন ,-তাই ,-

ক্লান্তির পরে ঘুম,- মৃত্যুর মতন শান্তি চাই ১

কারণ , যোদ্ধার মতো – আর সেনাপতির মতন

জীবন যদিও চলে ,- কোলাহল ক’রে চলে মন

যদিও সিন্ধুর মতো দল বেঁধে জীবনের সাথে ,

সবুজ বনের মতো উত্তরের বাতাসের হাতে

যদিও বীণার মতো বেজে ওঠে হৃদয়ের বন

একবার-দুইবার- জীবনের অধীর আঘাতে ,-

তবু- প্রেম- তবু তারে ছিঁড়ফেড়ে গিয়েছে কখন !

তেমন ছিঁড়িতে পারে প্রেম শুধু !- অঘ্রাণের রাতে

হাওয়া এসে যেমন পাতার বুক চ’লে গেছে ছিঁড়ে !

পাতার মতন ক’রে ছিঁড়ে গেছে যেমন পাখিরে !

তবু পাতা – তবুও পাখির মতো ব্যথা বুকে লয়ে,

বনের শাখার মতো – শাখার পাখির মতো হয়ে

হিমের হাওয়ার হাতে আকাশের নক্ষত্রের তলে

বিদীর্ণ শাখার শব্দে – অসুস্থ ডানার কোলাহলে ,

ঝড়ের হাওয়ার শেষে ক্ষীণ বাতাসের মতো বয়ে,

আগুন জ্বলিয়া গেলে অঙ্গারের মতো তবু জ্বলে

আমাদের এ জীবন ! – জীবনের বিহ্বলতা সয়ে

আমাদের দিন চলে,- আমদের রাত্রি তবু চলে;

তার ছিঁড়ে গেছে ,- তবু তাহারে বীণার মতো ক’রে

বাজাই ,- যে প্রেম চলিয়া গেছে তারি হাত ধ’রে !

কারণ , সূর্যের চেয়ে, আকাশের নক্ষত্রের থেকে

প্রেমের প্রাণের শক্তি বেশি;- তাই রাখিয়াছে ঢেকে

পাখির মায়ের মতো প্রেম এসে আমাদের বুকে !

সুস্থ ক’রে দিয়ে গেছে আমাদের রক্তের অসুখ !-

পাখির শিশুর মতো যখন প্রেমেরে ডেকে ডেকে

রাতের গুহার বুকে ভালোবেসে লুকায়েছি মুখ,-

ভোরের আলোর মতো চোখের তারায় তারে দেখে !-

প্রেম কি আসেনি তবু ? –তবে তার ইশারা আসুক!

প্রেম কি চলিয়া যায় প্রানেরে জলের ঢেউয়ে ছিঁড়ে !

ঢেউয়ের মতন তবু তার খোঁজে প্রাণ আসে ফিরে !

যত দিন বেঁচে আছি আলেয়ার মতো আলো নিয়ে ,-

তুমি চ’লে আস প্রেম, - তুমি চ’লে আস কাছে প্রিয়ে !

নক্ষত্রের বেশি তুমি, - নক্ষত্রের আকাশের মতো !

আমরা ফুরায়ে যাই ,- প্রেম তুমি হও না আহত !

বিদ্যুতের মতো মোরা মেঘের গুহার পথ দিয়ে

চ’লে আসি ,- চ’লে যাই ,- আকাশের পারে ইতস্তত !-

ভেঙে যাই ,- নিভে যাই ,- আমরা চলিতে গিয়ে গিয়ে !

আকাশের মতো তুমি ,- আকাশে নক্ষত্র আছে যত ,-

তাদের সকল আলো একদিন নিভে গেলে পরে,-

তুমিও কি ডুবে যাবে, ওগো প্রেম, পশ্চিম সাগরে !

জীবনের মুখে চেয়ে সেইদিনো রবে জেগে ,- জানি

জীবনের বুকে এসে মৃত্যু যদি উড়ায় উড়ানি ,-

ঘুমন্ত ফুলের মনো নিবন্ত বাতির মতো ঢেলে

মৃত্যু যদি জীবনেরে রেখে যায় ,- তুমি তারে জ্বেলে

চোখের তারার’পরে তুলে লবে সেই আলোখানি !

সময় ভাসিয়া যাবে ,- দেবতা মরিবে অবহেলে ,-

তবুও দিনের মেঘ আঁধার রাত্রির মেঘ ছানি

চুমো খাবে !- মানুষের সব ক্ষুধা আর শক্তি লয়ে

পূর্বের সমুদ্র ওই পশ্চিম সাগরে যাবে বয়ে !

সকল ক্ষুধার আগে তোমার ক্ষুধায় ভরে মন !

সকল শক্তির আগে প্রেম তুমি ,- তোমার আসন

সকল স্থলের’পরে,-সকল জলের’পরে আছে !

যেইখানে কিছু নাই সেখানেও ছায়া পড়িয়াছে

হে প্রেম তোমার ! – যেইখানে শব্দ নাই তুমি আলোড়ন

তুলিয়াছ !- অঙ্কুরের মতো তুমি,- যাহা ঝরিয়াছে

আবার ফুটাও তারে !- তুমি ঢেউ ,- হাওয়ার মতন !

আগুনের মতো তুমি আসিয়াছ অন্তরের কাছে !

আশার ঠোঁটের মতো নিরাশার ভিজে চোখ চুমি

আমার বুকের’পরে মুখ রেখে ঘুমায়েছ তুমি !

জীবন হয়েছে এক প্রার্থনার গানের মতন

তুমি আছ ব’লে প্রেম,- গানের ছন্দের মতো মন

আলো আর অন্ধকারে দুলে ওঠে তুমি আছ ব’লে!

হৃদয় গন্ধের মতো –হৃদয় ধূপের মতো জ্ব’লে

ধোঁয়ার চামর তুলে তোমারে যে করিছে ব্যজন !

ওগো প্রেম ,-বাতাসের মতো যেই দিকে যাও চ’লে

আমারে উড়ায়ে লও আগুনের মতন তখন !

আমি শেষ হব শুধু , ওগো প্রেম , তুমি শেষ হলে !

তুমি যদি বেঁচে থাকো ,- জেগে রবো আমি এই পৃথিবীর’পর,-

যদিও বুকের’পরে রবে মৃত্যু ,- মৃত্যুর কবর !

তবুও ,- সিন্ধুর জল-সিন্ধুর ঢেউয়ের মতো বয়ে

তুমি চ’লে যাও প্রেম ;- একবার বর্তমান হয়ে ,-

তারপর , আমাদের ফেলে যাও পিছনে –অতীতে,-

স্মৃতির হাড়ের মাঠে ,- কার্তিকের শীতে !

অগ্রসর হয়ে তুমি চলিতেছ ভবিষ্যৎ লয়ে –

আজো যারে দেখ নাই তাহারে তোমার চুমো দিতে

চ’লে যাও !- দেহের ছায়ার মতো তুমি যাও রয়ে ,-

আমরা ধরেছি ছায়া ,-প্রেমেরে তো পারিনি ধরিতে !

ধ্বনি চ’লে গেছে দূরে ,- প্রতিধ্বনি পিছে প’ড়ে আছে ;-

আমরা এসেছি সব ,- আমরা এসেছি তার কাছে !

একদিন-একরাত করেছি প্রেমের সাথে খেলা !

একরাত- একদিন করেছি মৃত্যুর অবহেলা ।

একদিন-একরাত ;- তারপর প্রেম গেছে চ’লে ,-

সবাই চলিয়া যায় ,- সকলের যেতে হয় ব’লে

তাহারো ফুরাল রাত !- তাড়াতাড়ি প’ড়ে গেল বেলা

প্রেমেরও যে !- একরাত আর একদিন সাঙ্গ হলে

পশ্চিমের মেঘে আলো একদিন হয়েছে সোনেলা !

আকাশে পুবের মেঘে রামধনু গিয়েছিল জ্ব’লে

একদিন ;- রয় না কিছুতে তবু ,- সব শেষ হয় ,-

সময়ের আগে তাই কেটে গেল প্রেমের সময় !



একদিন- একরাত প্রেমেরে পেয়েছি তবু কাছে !-

আকাশ চলেছে ,- তার আগে আগে প্রেম চলিয়াছে !

সকলের ঘুম আছে- ঘুমের মতন মৃত্যু বুকে

সকলের ;- নক্ষত্রও ঝ’রে যায় মনের অসুখে ;-

প্রেমের পায়ের শব্দ তবুও আকাশে বেঁচে আছে !

সকল ভুলের মাঝে যায় নাই কেউ ভুলে-চুকে

হে প্রেম তোমারে !-মৃতেরা আবার জাগিয়াছে !-

যে ব্যথা মুছিতে এসে পৃথিবীর মানুষের মুখে

আরো ব্যথা-বিহ্বলতা তুমি এসে দিয়ে গেলে তারে ,-

ওগো প্রেম ,- সেই সব ভুলে গিয়ে কে ভুলিতে পারে !

সব কিছু ভেঙ্গে যাবার পরআর কোন চাওয়া নেই, নেই কোন বাসনা, নেই কামনাকোন কিছুই আর টানে না আমায়শুধু টানে কিছু স্মৃতিকিছু ফিরে...
27/05/2020

সব কিছু ভেঙ্গে যাবার পর
আর কোন চাওয়া নেই, নেই কোন বাসনা, নেই কামনা
কোন কিছুই আর টানে না আমায়
শুধু টানে কিছু স্মৃতি
কিছু ফিরে না পাবার সময়;
যখন তুমি সাথে ছিলে!
যখন তুমি পাশে ছিলে কতকিছুই থাকতাম ভুলে!
আমার অবস্থান, তোমার অবস্থান,
আমার চাওয়া, তোমার পাওয়া,
সব ভুলেছিলাম!
মনে হয়নি আমি তুমি ভিন্ন
ভেবেছিলাম আমি তুমি মানে আমরা
নই আমি তুমি মানে আমি!
কিন্তু সব ভুল ছিল ছিল
সব মিথ্যে
আমিও মোহে পড়েছিলাম,
প্রথম ভালবাসার মোহ!
প্রথম নারীর ছোঁয়ার মোহ,
প্রথম বিশ্বাসের মোহ!
যখন তুমি বলতে ভালবাসি;
ভেবেছিলাম তুমি বুঝি কোন স্বর্গের দেবী
ভেবেছিলাম প্রেমের দেবতা নিজেকে!
ভেবেছিলাম আমার নামে পুজো দেবে
কোটি প্রেম-ভক্ত
ভেবেছিলাম আমরাও হব ইতিহাসের সাক্ষ্য!
ভুল, সবই ভুল!
ভালবাসা আর প্রেম
যেমন এক নয়
আমি আর তুমিও এক নই।

পরের জন্মে বয়স যখন ষোলোই সঠিকআমরা তখন প্রেমে পড়বোমনে থাকবে?বুকের মধ্যে মস্তো বড় ছাদ থাকবেশীতলপাটি বিছিয়ে দেব;সন্ধে হলে ব...
24/05/2020

পরের জন্মে বয়স যখন ষোলোই সঠিক
আমরা তখন প্রেমে পড়বো
মনে থাকবে?
বুকের মধ্যে মস্তো বড় ছাদ থাকবে
শীতলপাটি বিছিয়ে দেব;
সন্ধে হলে বসবো দু'জন।
একটা দুটো খসবে তারা
হঠাৎ তোমার চোখের পাতায় তারার চোখের জল গড়াবে,
কান্ত কবির গান গাইবে
তখন আমি চুপটি ক'রে দুচোখ ভ'রে থাকবো চেয়ে...
মনে থাকবে?
এই জন্মের দূরত্বটা পরের জন্মে চুকিয়ে দেব
এই জন্মের চুলের গন্ধ পরের জন্মে থাকে যেন
এই জন্মের মাতাল চাওয়া পরের জন্মে থাকে যেন
মনে থাকবে?
আমি হবো উড়নচন্ডি
এবং খানিক উস্কোখুস্কো
এই জন্মের পারিপাট্য সবার আগে ঘুচিয়ে দেব
তুমি কাঁদলে গভীর সুখে
এক নিমেষে সবটুকু জল শুষে নেব
মনে থাকবে?
পরের জন্মে কবি হবো
তোমায় নিয়ে হাজারখানেক গান বাঁধবো।
তোমার অমন ওষ্ঠ নিয়ে
নাকছাবি আর নূপুর নিয়ে
গান বানিয়ে__
মেলায় মেলায় বাউল হয়ে ঘুরে বেড়াবো...
মনে থাকবে?
আর যা কিছু হই বা না হই
পরের জন্মে তিতাস হবো
দোল মঞ্চের আবীর হবো
শিউলিতলার দুর্বো হবো
শরৎকালের আকাশ দেখার__
অনন্তনীল সকাল হবো;
এসব কিছু হই বা না হই
তোমার প্রথম পুরুষ হবো
মনে থাকবে?
পরের জন্মে তুমিও হবে
নীল পাহাড়ের পাগলা-ঝোরা
গাঁয়ের পোষাক ছুড়ে ফেলে
তৃপ্ত আমার অবগাহন।
সারা শরীর ভ'রে তোমার হীরকচূর্ণ ভালোবাসা।
তোমার জলধারা আমার অহংকারকে ছিনিয়ে নিল।
আমার অনেক কথা ছিল
এ জন্মে তা যায়না বলা
বুকে অনেক শব্দ ছিল__
সাজিয়ে গুছিয়ে তবুও ঠিক
কাব্য করে বলা গেল না!
এ জন্ম তো কেটেই গেল অসম্ভবের অসঙ্গতে
পরের জন্মে মানুষ হবো
তোমার ভালোবাসা পেলে
মানুষ হবোই__ মিলিয়ে নিও!
পরের জন্মে তোমায় নিয়ে...
বলতে ভীষণ লজ্জা করছে
ভীষণ ভীষণ লজ্জা করছে
পরের জন্মে তোমায় নিয়ে...
মনে থাকবে?

06/05/2020

বয়স্ক বৃক্ষের গোড়ায় আমরা যতোই
জল ঢালি না কেন!
এই বৃক্ষের কোনো পরিবর্তন দেখা যাবেনা!
তাই জল ঢালতে হবে শিশু চারা গাছের গোড়ায়,,
কারন এই গাছের গোড়ায় যাতোই জল ঢালবে
ততোই পরিবর্তন হবে!
তাই যে সব ব্যক্তি বুঝার চেষ্টা করে না বা
বেশি বুঝে তাদেরকে বুঝাতে যাওয়া মানে
বয়স্ক বৃক্ষের গোড়ায় জল ঢালা,,,
অর্থাৎ কাকে কান নিয়ে গেছে মনে করে
কাকের পেছনে অবিরত ছুটে চলার নামান্তর!
তাই আমদের উচিত যে বুঝে তাকেই বুঝানো!
তবেই ভালে কিছু আশা করা যায়,,
নইলে পণ্ডশ্রম!

05/05/2020

🌺সংখ্যাবাচক বাংলা সাহিত্যিক শব্দের তালিকা:🌺

১. ত্রিফলা (আমলকী, হরীতকী ও বহেড়া)
২. ত্রিদেব (ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর)
৩. ত্রিভুবন (স্বর্গ, মর্ত্য ও পাতাল)
৪. ত্রিবিদ্যা/ত্রিবেদ (ঋক, সাম ও যজু)
৫. ত্রিকাল (অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ)
৬. তিনকাল (শৈশব, যৌবন ও বার্ধক্য)
৭. তিনকুল (পিতৃবংশ, মাতৃবংশ ও শ্বশুরবংশ)

৮. চতুর্যুগ (সত্য, দ্বাপর, ত্রেতা ও কলি)
৯. চতুর্বর্ণ (ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য ও শূদ্র)
১০. চতুর্বেদ (ঋক, সাম, যজু ও অথর্ব)
১১. চতুরঙ্গ (হাতি, ঘোড়া, রথ ও পদাতিক)
১২. চতুর্দিক (উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব ও পশ্চিম)

১৩. পাঁচফোড়ন (জিরা, কালোজিরা, মেথি, মৌরি ও রাঁধুনি)
১৪. পঞ্চকন্যা (অহল্যা, দ্রৌপদী, কুন্তী, তারা ও মন্দোদরী)
১৫. পঞ্চকর্ম (বমন, বিরেচন, নস্য, নিরূহ ও অনুবাসন)
১৬. পঞ্চগঙ্গা (ভাগীরথী, গোমতী, কাবেরী, কৃষ্ণা ও পিনাকিনী)
১৭. পঞ্চগুণ (রূপ, রস, গন্ধ, স্পর্শ ও শব্দ)
১৮. পঞ্চদেবতা (গণেশ, সূর্য, বিষ্ণু, শিব ও দুর্গা)
১৯. পঞ্চনদী (কিরণা, ধূতপাপা, সরস্বতী, গঙ্গা ও যমুনা)
২০. পঞ্চপর্ব (অষ্টমী, চতুর্দশী, অমাবস্যা, পূর্ণিমা ও রবিসংক্রান্তি)
২১. পঞ্চপাণ্ডব (যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব)
২২. পঞ্চভূত/পঞ্চপ্রেত (ক্ষিতি, অপ্, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম)
২৩. পঞ্চবটী (অশ্বত্থ, বিল্ব, বট, অশোক ও আমলকী)
২৪. পঞ্চশস্য (ধান, মাষকলাই, যব, তিল ও মুগ)
২৫. পঞ্চামৃত (দই, দুধ, ঘি, মধু ও চিনি)
২৬. পঞ্চরত্ন (নীলকান্ত, হীরক, পদ্মরাগ, মুক্তা ও প্রবাল)
২৭. পঞ্চশীল/গৌতম বুদ্ধের পাঁচটি উপদেশ (জীবহত্যা না করা, চুরি না করা, মিথ্যা না বলা, কামাচারে আসক্ত না হওয়া ও মদ্যাসক্ত না হওয়া)
২৮. পঞ্চেন্দ্রিয়/জ্ঞানেন্দ্রিয় (চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা ও ত্বক)
২৯. কর্মেন্দ্রিয় (বাক, হস্ত, পাদ, পায়ু ও উপস্থ)
৩০. অন্তরেন্দ্রিয় (মন, বুদ্ধি, চিত্ত ও অহংকার)

৩১. ষড়ঋতু (গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত ও বসন্ত)
৩২. ষড়গুণ (সন্ধি, বিগ্রহ, আসন, যান, দ্বৈধ ও আশ্রয়)
৩৩. ষড়রিপু/ষড়বর্গ (কাম, ক্রোধ, লোভ, মোহ, মদ ও মাৎসর্য)
৩৪. ষড়গোস্বামী/শ্রীচৈতন্যদেবের ছয়জন ভক্ত ও শিষ্য (রঘুনাথ ভট্ট গোস্বামী, রঘুনাথ দাস গোস্বামী, গোপাল ভট্ট গোস্বামী, সনাতন গোস্বামী, রূপ গোস্বামী ও জীব গোস্বামী)

৩৫. সপ্তধাতু (রস, রক্ত, মাংস, মেদ, অস্থি, মজ্জা ও শুক্র)
৩৬. সপ্তপাতাল (তল, অতল, বিতল, সুতল, তলাতল, মহাতল ও রসাতল)
৩৭. সপ্তরক্ত (করতল, পদতল, অপাঙ্গ, জিহ্বা, তালু, ওষ্ঠাধর ও নখ)
৩৮. সপ্তর্ষি/সপ্তর্ষিমণ্ডল (মরীচি, অত্রি, অঙ্গিরা, পুলস্ত্য, পুলহ, ক্রতু ও বশিষ্ঠ)
৩৯. সপ্তলোক (ভূ, ভুবঃ, স্বঃ, জনঃ, মহঃ, তপঃ ও সত্য)
৪০. সপ্তরথী (দ্রোণ, কর্ণ, কৃপ, অশ্বত্থামা, শকুনি, দুর্যোধন ও দুঃশাসন)
৪১. সপ্তাহ/সাতদিন (রবি, সোম, মঙ্গল, বুধ, বৃহস্পতি, শুক্র ও শনি)
৪২. সাতসমুদ্র (লবণ, ইক্ষু, সুরা, সর্পি, দধি, ক্ষীর ও জল)

৪৩. অষ্টধর্ম (সত্য, শৌচ, অহিংসা, অনসূয়া, ক্ষমা, অনৃশংস্য, অকার্পণ্য ও সন্তোষ)
৪৪. অষ্টধাতু (সোনা, রুপা, তামা, পিতল, দস্তা, কাঁসা, সিসা ও লোহা)
৪৫. অষ্টনায়িকা (মঙ্গলা, বিজয়া, ভদ্রা, জয়ন্তী, অপরাজিতা, নন্দিনী, নারসিংহী ও কৌমারী)
৪৬. অষ্টমূর্তি (ক্ষিতি, জল, অগ্নি, বায়ু, আকাশ, যজমান, সোম ও সূর্য)
৪৭. অষ্টরস (শৃঙ্গার, বীর, করুণ, অদ্ভুত, হাস্য, ভয়ানক, বীভৎস ও রৌদ্র)

৪৮. নবগুণ (আচার, বিনয়, বিদ্যা, প্রতিষ্ঠা, তীর্থদর্শন, নিষ্ঠা, আবৃত্তি, তপস্যা ও দান)
৪৯. নবগ্রহ (বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন ও প্লুটো)
৫০. নবছিদ্র (দুই চোখ, দুই কান, দুই নাসারন্ধ্র, মুখ, পায়ু ও উপস্থ)
৫১. নবরত্ন (মুক্তা, মাণিক্য, বৈদূর্য, গোমেদ, হীরক, বিদ্রুম, পদ্মরাগ, মরকত ও নীলকান্ত)
৫২. নবরত্ন/বিক্রমাদিত্যের রাজসভার নয়জন সভাসদ (ধন্বন্তরী, ক্ষপণক, অমরসিংহ, শঙ্কু, বেতালভট্ট, ঘটকর্পর, কালিদাস, বরাহমিহির ও বররুচি)

৫৩. দশদিক (পূর্ব, পশ্চিম, উত্তর, দক্ষিণ, ঈশান, বায়ু, অগ্নি, নৈর্ঋত, ঊর্ধ্ব ও অধঃ)

৫৪. বারোমাস (বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ, আষাঢ়, শ্রাবণ, ভাদ্র, আশ্বিন, কার্তিক, অগ্রহায়ণ, পৌষ, মাঘ, ফাল্গুন ও চৈত্র)

Address

Aziznagar
Cox's Bazar
4641

Telephone

+8801827499119

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Rubel dey Rusbel posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share

Category