কক্সবাজার সমাচার - Cox's Bazar Samachar

কক্সবাজার সমাচার - Cox's Bazar Samachar সত্য প্রকাশে অঙ্গিকারাবদ্ধ

ক্যাম্প থেকে আরসা’র সশস্ত্র তিন কমান্ডার আটক
21/11/2023

ক্যাম্প থেকে আরসা’র সশস্ত্র তিন কমান্ডার আটক

মিয়ানমারের সন্ত্রাসী গোষ্ঠি আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)’র শীর্ষ ৩ কমান্ডারকে আটক করেছে র্যাব। যাদের ....

অরক্ষিত ক্যাম্প থেকে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা !রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো দিন দিন অরক্ষিত হয়ে যাচ্ছে। উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি আশ্রিত শি...
21/11/2023

অরক্ষিত ক্যাম্প থেকে পালাচ্ছে রোহিঙ্গারা !

রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো দিন দিন অরক্ষিত হয়ে যাচ্ছে। উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি আশ্রিত শিবিরে তদারকি কমে যাওয়ায় রোহিঙ্গারা নানান কৌশল অবলম্বন করে ক্যাম্প থেকে পালানোর উৎসবে মেতে উঠেছে। কেউ দালালের মাধ্যমে, আবার কেউ ক্যাম্পের বাইরে অবস্থানরত পূর্বের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে পড়ছে।

রোহিঙ্গাদের আকৃতি, ভাষা, পোশাক-পরিচ্ছদ, আচার-আচরণ স্থানীয়দের সঙ্গে অনেক মিল। যার কারণেই রোহিঙ্গা পুরুষ, নারী ও শিশুরা সহজেই স্থানীয় জনগণের সঙ্গে মিশে যেতে পারছে। ক্যাম্প ছেড়ে তাদের পালানোর বিষয়টি এখন উদ্বেগজনক। অনেক রোহিঙ্গা গত ৬ বছরের মধ্যে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন আলোচিত সমালোচিত হত্যাকাণ্ড, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদকসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িয়ে পড়েছেন।

এভাবে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেওয়া ১১ লাখের বেশি মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক নিয়ে সংকটে পড়েছে বাংলাদেশ। শত চেষ্টা করেও গত ছয় বছরে তাদের নিজ দেশে ফেরানো যায়নি। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যত দেরি হচ্ছে ততই বাড়ছে ঝুঁকি।

সব শেষ গতকাল মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) শতাধিক রোহিঙ্গাকে উখিয়া-টেকনাফ মহাসড়ক থেকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। উখিয়া ডিগ্রি কলেজ গেট সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। এর আগে সোমবার ৫৫ জন, রোববার ২৯ জন এবং শনিবার ২৯ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে পুলিশ। পরে তাদের নিজ নিজ ক্যাম্প প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

উখিয়া থানার ওসি জানান, রোহিঙ্গাদের ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে আসা ঠেকাতে পুলিশ কঠোর নজরদারি শুরু করেছে। অনেকে ক্যাম্প কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই ক্যাম্পের নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ ফাঁকি দিয়ে ক্যাম্পের বাইরে বেরিয়ে আসে। এটা ঠেকাতে গত ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে পুলিশ বিশেষ অভিযান শুরু করেছে।

ওসি বলেন, আটক রোহিঙ্গারা ক্যাম্প ছেড়ে বাইরে আসার বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের তথ্য দিয়েছে। কেউ আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে, কেউ কাজের সন্ধানে, কেউ চিকিৎসার জন্য, কেউ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনতে বের হয়েছে বলে পুলিশকে জানিয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তাদের মধ্যে কারও বিরুদ্ধে অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান ওসি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের নিজ নিজ রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জের কাছে হস্তান্তর করা হয় বলে জানান তিনি।

এদিকে রোহিঙ্গাদের এভাবে ক্যাম্প ছেড়ে বেরিয়ে পড়ায় উদ্বেগ বাড়ছে স্থানীয়দের মধ্যে। কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবীর চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, আমরাই এখন আতঙ্কে থাকি। রোহিঙ্গারা আসার পর এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা চুরি, ডাকাতি, খুন, অপহরণ, মাদকসহ নানা ধরনের অপরাধে যুক্ত। এলাকার অনেক মানুষকে তারা অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করেছে। আমরা সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে বিষয়টি জানিয়েছি। আপাতত রোহিঙ্গা ক্যাম্প ঘিরে নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছি।

জানা গেছে, কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলী, বার্মাপাড়া, হালিমাপাড়া, ইসলামপুর, বাদশাঘোনা, খাজামঞ্জিল, বৈদ্যঘোনা, সমিতিপাড়াসহ জেলার বিভিন্ন পাহাড় অধু্যষিত বহু এলাকায় বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গা এসে ঘরবাড়ি তৈরি করে বসবাস করছে। তাদের চলাচলে কোনো বাধা নেই।

শুধু তাই নয়, স্থানীয় অনেক ছেলে ক্যাম্পে এসে বিয়ে করছে। সংশ্লিষ্টদের ম্যানেজ করে প্রতিদিন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষদের অনেকে কাজের সন্ধানে ক্যাম্প থেকে বের হন। সন্ধ্যা বা রাতে কেউ ফেরেন, কেউ ফেরেন না। এভাবে পালিয়ে খুন, অপহরণ, মাদকসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছেন অনেক রোহিঙ্গা। কম মজুরিতে পাওয়ায় রোহিঙ্গাদের অনেকে নিজেদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, গৃহস্থালী এবং কৃষি, ইটভাটায় স্থায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করছেন। আবার অভিযোগ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এক শ্রেণির সদস্য টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের বাইরে যেতে দিচ্ছে।

রোহিঙ্গা প্রতিরোধ কমিটির নেতা মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘ক্যাম্পের বাইরে গিয়ে কাজ করার কোনো ধরনের বৈধতা নেই রোহিঙ্গাদের। কারণ, তারা প্রতি সপ্তাহে রেশনসামগ্রী পাচ্ছেন। ক্যাম্পের বাইরে এসে কাজ করলে স্থানীয়দের শ্রমবাজারের জন্য হুমকি তৈরি হচ্ছে।’ ক্যাম্পের বাইরে যাওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সেটা মানছেন না।’

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দৌরগোড়ায় পরিবার কল্যাণ সেবা পৌঁছাতে হবেপরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ'র এ্যাডভোকেসি সভায় বক্তারা...
20/11/2023

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দৌরগোড়ায় পরিবার কল্যাণ সেবা পৌঁছাতে হবে

পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ'র এ্যাডভোকেসি সভায় বক্তারা।

“নিরাপদ মাতৃত্ব, পরিকল্পিত পরিবার স্মার্ট বাংলাদেশ হোক আমাদের অঙ্গীকার”এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আগামী ২৫-৩০ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত “পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২৩” উদযাপন উপলক্ষ্যে এ্যাডভোকেসি সভা রবিবার শহীদ এটিএম জাফর আলম সিএসপি সম্মেলন কক্ষে বিভীষণ কান্তি দাশ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কক্সবাজার এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন মোহাম্মদ রকিব উল্লাহ, সহকারী পরিচাল (সিসি) কক্সবাজার।
বক্তব্য রাখেন- হাসান মাসুদ উপপরিচালক, সমাজসেবা অধিদফতর, কক্সবাজার, ডা: এমডি সরওয়ার জাহান, আরআরআরসি অফিস, কক্সবাজার, ডা: ইসমত আরা হেনা, আইআরসি, ও জনাব সুজন বড়ুয়া, এ্যাডভাইজার কোঅর্ডিনেশন এন্ড পার্টনারশিপ, আইপাস বাংলাদেশ।
সভায় জনপ্রতিনিধি, জেলা পর্যায়ের অফিস প্রধান, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। সভাপতি পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদ্যাপনের আহŸান জানান এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।

অরুণোদয় ও ডিসি কলেজ পরিদর্শন করেছেন যুগ্ম সচিব মোঃ কামাল হোসেনবিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের স্কুল অরুণোদয় পরিদর্শন করেছে...
20/11/2023

অরুণোদয় ও ডিসি কলেজ পরিদর্শন করেছেন যুগ্ম সচিব মোঃ কামাল হোসেন

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের স্কুল অরুণোদয় পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব(উন্নয়ন) মোঃ কামাল হোসেন।
তিনি রবিবার পরিদর্শনকালে বিশেষায়িত এ স্কুলের বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন এবং বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন। পরে স্কুল মিলনায়তনে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো ইয়ামিন হোসেন, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক তোফায়েল আহমদ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক শাহ জালালসহ সংশ্লিস্টরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে মোঃ কামাল হোসেন কক্সবাজার ডিসি কলেজ পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৪ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ৬ জানুয়ারী পর্যন্ত কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মো. কামাল হোসেন।
এ সময় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের অরুনোদয় স্কুল, কক্সবাজার ডিসি কলেজসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি।

Today's Best Photo ❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️
20/11/2023

Today's Best Photo ❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️







রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বামীর হাতে স্ত্রী খু নকক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী...
20/11/2023

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বামীর হাতে স্ত্রী খু ন

কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে।

রোববার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে ক্যাম্পের এইচ-১ ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে স্বামী -স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার এক পর্যায়ে স্বামীর দা’য়ের আঘাতে গুরুতর আহত হন স্ত্রী। পরে তার মৃত্যু হয়।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহতের নাম খুরশিদা বেগম (২৭)। তিনি উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-৯ এর বাসিন্দা লিয়াকত আলীর স্ত্রী। লিয়াকত আলী (২৯) একই ক্যাম্পের আবু সৈয়দের ছেলে।

ওসি মো. শামীম হোসেন বলেন, উখিয়া এফডিএমএন ক্যাম্প-৯ এর এইচ-১ ব্লকের লিয়াকত আলী নিজের ঘরে স্ত্রী খুরশিদা বেগমকে দা দিয়ে কুপিয়ে আহত করেন। পরে স্থানীয়রা খুরশিদা বেগমকে উদ্ধার করে ক্যাম্পের আইওএম হাসাপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যা ৭টার দিকে তিনি মারা যান। ঘটনার পর থেকে লিয়াকত পলাতক রয়েছে।

মৎস্যজীবী নারীদের মানবিক, আইনগত ও স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে কক্সবাজারে কর্মশালামৎস্যজীবী পরিবারের নারী সদস্যদের অধিকাংশ ...
20/11/2023

মৎস্যজীবী নারীদের মানবিক, আইনগত ও স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিতে কক্সবাজারে কর্মশালা

মৎস্যজীবী পরিবারের নারী সদস্যদের অধিকাংশ অবহেলিত। অনেকে নিজেদের অধিকার সম্পর্কেও অবগত নয়। পারিবারিক শান্তি, অর্থনৈতিক উন্নতির স্বার্থে তাদের মানবিক, আইনগত ও স্বাস্থ্য অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

রবিবার (১৯ নভেম্বর) কক্সবাজার পৌরসভার কনফারেন্স হলে ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম (বিবিএফ) আয়োজিত 'এম্পাওয়ারমেন্ট অব ফিশারউইমেন ইন কোস্টাল চট্টগ্রাম এন্ড কক্সবাজার (ইএফসিসিসি)' প্রকল্প বিষয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে কর্মশালায় এসব কথা উঠে আসে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌরসভার মেয়র মোঃ মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার নারীদের ক্ষমতায়নে প্রচুর কাজ করছে। পৌরসভার পক্ষ থেকেও আমরা অনেক কর্মসূচি হাতে নিয়েছি। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংগঠন-সংস্থাগুলোকে নারীদের অগ্রযাত্রার পথে অন্তরায়সমূহ চিহ্নিত করে, তা সমাধানে এগিয়ে আসা দরকার।

মৎস্যখাতে কর্মরত নারীদের ক্ষমতায়নে কাজ করায় ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরামকে ধন্যবাদ জানান মেয়র মোঃ মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী। সেই সঙ্গে পৌর এলাকায় পরিচালিত কর্মসূচিসমূহে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।

অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী উৎপল বড়ুয়া বলেন, আমাদের সমাজে জেলে ও মৎস্যজীবী পরিবারের নারীদের জীবনযাত্রা খুবই নিম্নমানের। স্বাস্থ্য সম্পর্কে তারা অবগত নয়। লিগ্যাল এইড কমিটির মাধ্যমে সরকার যে বিনামূল্যে আইনি সহায়তা দিচ্ছে, তা জানে না অনেকে। সঠিক তথ্য না জানার কারণে সহজ সরল নারীরা প্রতারিত হচ্ছে। সঠিক তথ্যটি সবার কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

তিনি বলেন, নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে। এসব ক্ষেত্রে সাংবাদিকেরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।

অনুষ্ঠানে মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রকল্পের বিভিন্ন তথ্য প্রকাশ করেন বিবিএফ এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার (সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট) সোহাইল উদ দোজা।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে চারশো ব্যক্তির উপর পরিচালিত বেইজলাইন সার্ভে/স্টাডিতে লিঙ্গভিত্তিক সহিংস ঘটনার একটি চিত্র তুলে ধরেন তিনি।

তুলনামূলক চিত্রে দেখা গেছে, এসব ঘটনার মধ্যে ৫৮.৭৫ শতাংশ কমিউনিটিতে, ৪১.৫ শতাংশ পরিবারের বাইরে, ৪৪.৫ শতাংশ পারিবারিক মন্ডলে এবং ২৮.২৫ শতাংশ কর্মক্ষেত্রে। ৬৭.৭৫ শতাংশ নারী সরাসরি কায়িক কাজে নিযুক্ত। ২৩.৭৫ শতাংশের আয়মূলক কাজে মালিকানা ছিল। ০.৭৫ শতাংশকে নেতৃস্থানীয় (ব্যবসা, মাঝি ইত্যাদি) ভূমিকায় পাওয়া গেছে।

তাছাড়া, বেইজলাইন সার্ভে/স্টাডিতে মৎস্যজীবী নারীদের অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়েছে।

তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো, পুরুষতান্ত্রিক সামাজিক রীতিনীতির কারণে পারিবারিক ও সামাজিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে নারীদের কণ্ঠস্বর এবং অংশগ্রহণ সীমিত, নারীরা প্রায়শই পেশাগত স্বাস্থ্যগত ঝুঁকির সম্মুখীন হয়, স্তন্যদানকারী মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর আলাদা জায়গা নেই, কর্মস্থলে নারীরা অসুস্থ হলে নিয়োগকর্তার কাছ থেকে সহায়তা পায় না, একই সময়ে গার্হস্থ্য দায়িত্ব এবং অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা নারীদের জন্য কঠিন।

প্রকল্প অবহিতকরণে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সোহাইল উদ দোজা জানান, মৎস্যজীবী ও মৎস্যঘাতে কর্মরত ১০০০ নারীকে টার্গেট করে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে কাজ করছে বিবিএফ। ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ও অক্সফাম ইন বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় ২০২২ সালের ১ অক্টোবর থেকে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। প্রকল্প মেয়াদ ৩১ মার্চ ২০২৪ ইং।

তবে, কক্সবাজার পৌরসভা ও উখিয়া প্রকল্প এলাকাভুক্ত হলেও বাস্তবতা বিবেচনায় কক্সবাজার সদরের খুরুশকুল, চৌফলদন্ডি, ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী, মহেশখালী এবং টেকনাফ উপজেলাকে প্রকল্পের আওতায় আনার পরামর্শ দেন অংশগ্রহণকারীরা।

নারী জেলেদের অধিকার, মৎস্যজীবীদের নানা সমস্যা, বর্তমান অবস্থান ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজার জেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফরিদুল আলম শাহীন।

কক্সবাজারের পাশাপাশি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে জেলেদের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন সিএনএন বাংলার সম্পাদক ও প্রকাশক তৌহিদ বেলাল।

উল্লেখ্য, ব্রাইট বাংলাদেশ ফোরাম শান্তিপূর্ণ সমাজের স্বপ্ন দেখে, যেখানে জনগণ বৈষম্য, সংঘাত ও দারিদ্রমুক্ত একটি সুখী, স্বাস্থ্যকর ও মর্যাদাপূর্ণ জীবন অতিবাহিত করে। সামাজিক পরিবর্তন, দক্ষতা উন্নয়ন, এডভোকেসি, উদ্ভাবন ও গবেষণার মাধ্যমে সুবিধা বঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নে সচেষ্ট বিবিএফ।

২ দিনে চার নারীসহ ২৬জন নিলেন কক্সবাজারের ৪টি আসনের মনোনয়ন ফরমদ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের অন্যান্য জেলার মতো কক্সবা...
20/11/2023

২ দিনে চার নারীসহ ২৬জন নিলেন কক্সবাজারের ৪টি আসনের মনোনয়ন ফরম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের অন্যান্য জেলার মতো কক্সবাজার জেলার ৪ টি সংসদীয় আসনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ চলছে। শনিবার থেকে শুরু হওয়া মনোনয়ন ফরম বিতরণ কার্যক্রম চলছে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। দুই দিনে কক্সবাজারের কক্সবাজার-১(চকরিয়া-পেকুয়া), কক্সবাজার-২(মহেশখালী-কুতুবদিয়া), কক্সবাজার-৩(কক্সবাজার সদর–রামু–ঈদগাঁও), এবং কক্সবাজার-৪(উখিয়া-টেকনাফ) এ ৪ টি সংসদীয় আসন থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছে ২৬ জন। যার মধ্যে রয়েছেন ৪ নারী।

কক্সবাজার ১ থেকে এ পর্যন্ত মনোনয়ন নিয়েছেন ৫ জন। তারা হলেন, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ফজলুল করিম সাঈদী, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ সিআইপি, সাবেক জেলা গভর্নর মরহুম এডভোকেট জহিরুল ইসলামের পুত্র জেলা আওয়ামীলীগ নেতা রাশেদুল ইসলাম, কক্সবাজার মহকুমা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক দৈনিক কক্সবাজার সম্পাদক মরহুম মোহাম্মদ নুরুল ইসলামের পুত্র আওয়ামীলীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম সজীব, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নেতা নুরুল আজিম কনক কোম্পানি।

কক্সবাজার ২ আসন থেকে এ পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৫ জন। তারা হলেন মহেশখালী- কুতুবদিয়া আসনের ২ বারের নির্বাচিত বর্তমান সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক ও বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যান বিষয়রক উপ-কমিটির সদস্য ইঞ্জি: ইসমত আরা ইসমু, বাকী ৩ জনের নাম পাওয়া যায়নি এখনো।

কক্সবাজার ৩ আসন থেকে এ পর্যন্ত ১০ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন,তারা হলেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য কানিজ ফাতেমা আহমেদ, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল অব. ফোরকান আহমেদ, কক্সবাজার সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কায়সারুল হক জুয়েল, জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আতিক উদ্দিন চৌধুরী, সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র এডভোকেট ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ, রামু উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল, জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাজনীন সরওয়ার কাবেরী, কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি নজিবুল ইসলাম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান ও কক্সবাজার জেলা পুজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা এডভোকোট রণজিত দাশ।

কক্সবাজার ৪ আসন থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৬ জন। তার হলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সদ্য সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল বশর, টেকনাফ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, প্রয়াত সংসদ সদস্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর পুত্র মাহাবুব মোরশেদ, উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও রাজাপালং ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক এম এন এ এডভোকেট নুর আহমেদের পুত্র সোহেল আহমেদ বাহাদুর ও নারী নেত্রী মনোয়ারা বেগম মুন্নী।

এখন পর্যন্ত তথা ১৯ নভেম্বর রাত পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকারীদের মধ্যে থাকা ৪ নারী হলো, কক্সবাজার ০২ আসনে ইসমত আরা ইসমু, কক্সবাজার ০৩ আসনে কানিজ ফাতেমা আহমেদ এমপি, নাজনীন সরওয়ার কাবেরী সংগ্রহ করেছেন কক্সবাজার ৩ ও ৪ ‍দুটি আসনে এবং কক্সবাজার ০৪ আসনে মনোয়ারা বেগম মুন্নী।

কক্সবাজারে শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরাশীতকালীন সবজি চাষাবাদ শুরু করেছেন কক্সবাজারের কৃষকরা। বাণিজ্যিকভাবে উন্ন...
19/11/2023

কক্সবাজারে শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

শীতকালীন সবজি চাষাবাদ শুরু করেছেন কক্সবাজারের কৃষকরা। বাণিজ্যিকভাবে উন্নত জাতের শীতকালীন সবজির আবাদ করে লাভবান হয় এখানকার কৃষকরা । চকরিয়া, পেকুয়া, রামু, টেকনাফসহ ৯ উপজেলার কৃষকরা বীজ বপন ও আগাম চাষ হওয়া সবজি পরিচর্যায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আশিষ কুমার জানান, জেলায় আগাম শীতকালীন সবজি'র বাম্পার ফলন আশা করা যাচ্ছে। সিম, বরবটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ঢেঁড়স, তিত করলা, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজির আবাদ হয়েছে। কিছু এলাকায় ১০ শতাংশ ফসল ইতোমধ্যে কাটা শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। এবারে রবি মৌসুমে সবজির আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: কবির হেসেন বলেন, জেলায় এবার আগাম শীতকালীন সবজি চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। রবি মৌসুমে ৬ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে কৃষির আবাদ হয়েছে। উপজেলায় শাক-সবজির আবাদ বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও কৃষি প্রণোদনা ও প্রযুক্তি সহায়তাসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করছে কৃষি বিভাগ।

জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কক্সবাজারে জাতীয় স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উদযাপনকক্সবাজারে জাতীয় স্যানিটেশন মাস...
19/11/2023

জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কক্সবাজারে জাতীয় স্যানিটেশন মাস ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উদযাপন

কক্সবাজারে জাতীয় স্যানিটেশন মাস অক্টোবর ও বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস-২০২৩ উদযাপন হয়েছে। "আপনার নাগালেই পরিছন্ন হাত"এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সকলের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় উদযাপন করে জেলা প্রশাসন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ।

এ উপলক্ষে শনিবার (১৮ নভেম্বর) সকাল ১১টায় পর্যটন হোটেল শৈবাল মিলনায়তনে র্যাযলী শোভাযাত্রা শেষে সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কক্সবাজার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আবুল মানজুরের সভাপতিত্বে ও ইউনিসেফ এর ওয়াশ অফিসার সাজেদা বেগমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাতিসংঘের শিশু বিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফের ওয়াশ ম্যানেজার বিঞ্চু পোখরেল।
এছাড়া দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র (ডিএসকে) এর যুগ্ম পরিচালক (ইমারজেন্সি রেসপন্স) মোঃ আলমগীর রহমান, হাইসাওয়া এর প্রোগ্রাম ম্যানেজার এনামুল হক বিশেষ অতিথি ও অনুষ্ঠান সমন্বয় করেন দিএসকে এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক মোঃ শরিফ উল্লাহ ভূইয়া।

পুরো আয়োজনে বেসরকারি সংস্থা ভার্ক, এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ, ব্র্যাক, অক্সফাম, ওয়ার্ল্ড ভিশন, কেয়ার বাংলাদেশ, বিডিআরসিএস, আইএফআরসি, হ্যাপিট্যাপ ও আইডিই বাংলাদেশ যৌথভাবে অংশ গ্রহণ করে। পরে সকলের অংশ গ্রহণে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশের জনসংখ্যার মোট ২৫.২ শতাংশ মানুষ সাবান দিয়ে হাত ধৌত করেনা এবং চারকোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার মানুষ এখনো সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেনি।
তাই জীবাণুকে ধ্বংস করতে হাত ধোয়ার কোন বিকল্প নেই। যার যার কর্মক্ষেত্রে কাজ শেষে হাত ধুয়ে খাবার গ্রহণ করতে হবে। এমন বাস্তবতায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য হাত ধোয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন আয়োজক নেতৃবৃন্দ।

দেশে বছরে মৎস্য আহরণোত্তর ক্ষতি ২০ হাজার কোটি টাকাকক্সবাজারে 'মাছের আহরণোত্তর অপচয় হ্রাস' বিষয়ক নাগরিক সংলাপে তথ্য।দেশে ...
19/11/2023

দেশে বছরে মৎস্য আহরণোত্তর ক্ষতি ২০ হাজার কোটি টাকা
কক্সবাজারে 'মাছের আহরণোত্তর অপচয় হ্রাস' বিষয়ক নাগরিক সংলাপে তথ্য।

দেশে প্রতি বছর মৎস্য আহরণোত্তর ক্ষতি হয় ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। এমন প্রেক্ষাপটে মৎস্যখাতের সাথে জড়িতদের সচেতন করার মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার লোকসান কমাতে চায় সরকার। উৎপাদিত মাছের অপচয় রোধ ও গুনগত মান নিশ্চিত করেগ রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
কক্সবাজারে 'মাছের আহরণোত্তর অপচয় হ্রাস' বিষয়ক এক নাগরিক সংলাপে এমন তথ্য উঠে আসে।
সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: আব্দুল কাইয়ুম বলেন, 'পর্যাপ্ত সরঞ্জাম, সচেতনতা ও প্রশিক্ষণের অভাবে মাছ আহরণ থেকে শুরু করে বাজার পর্যন্ত পৌঁছাতে প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ মাছ নষ্ট হয়ে যায়। এতে প্রতিবছর দেশে মাছের আহরণোত্তর ক্ষতি হয় ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। শুধু পরিবহণের সময় নষ্ট হওয়া মাছের ক্ষতি অর্ধেক কমিয়ে আনলে প্রতিবছর কয়েক হাজার কোটি টাকার মাছ বাঁচানো সম্ভব। আর মাছের অপচয় রোধ ও গুনগত মান নিশ্চিত করে রপ্তানির মাধ্যমে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয় করাও সম্ভব হবে।'

মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের আওতায় এ সংলাপের আয়োজন করা হয়। সংলাপে প্রধান অতিথি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো: আব্দুল কাইয়ুম। এতে কক্সবাজার প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুজিবুল ইসলাম, মৎস্য ব্যবসায়ী, জেলে, ট্রলার মালিক, শুঁটকি ব্যবসায়ীসহ মৎস্য আহরণের সাথে জড়িতরা অংশ নেন। এসময় মৎস্যজীবীরা তাদের নানা নেতিবাচক অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে মৎস্য অধিদপ্তরের সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রকল্পের পরিচালক মো: জিয়া হায়দার বলেন, 'মাছের আহরণোত্তর ক্ষতি হয় মূলত সচেতনতার অভাব ও অবহেলা, বরফের অপর্যাপ্ততা, বরফ বাক্সের অভাব, দ্রুত মাছ পরিবহন ও সংরক্ষণের অপ্রতুলতা, জটিল ও লম্বা সরবরাহ চেইনের কারনে। আর ক্ষতির উপাদানগুলো হলো, সময়, তাপমাত্রা ও পরিচর্যা পদ্ধতি।'
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: বদরুজ্জামান বলেন, 'মাছের পচন রোধের জন্য মাছ ধরার সাথে সাথে নৌকায় তোলার পর ছোট মাছ, বড় মাছ, পঁচা মাছ, তাজা মাছ, ভাল মাছ, আঘাত পাওয়া মাছ, আলাদা করা, মাছ ধরার পর জাল থেকে ছাড়ানো, বরফ ঘরে রাখা ও বের করা, ট্রলার থেকে নামানো এবং মাছ পরিবহনের সময় সাবধানতা অবলম্বন করা, মাছকে নিক্ষেপ না করা, মাছের উপর না দাড়ানোর পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এছাড়া সামুদ্রিক মাছের বাজারজাত করণে সবার প্রথমে মাছের সরবরাহ চেইনে সার্বক্ষণিক সঠিকভাবে বরফের মাধ্যমে সংরক্ষণ নিশ্চিত করা, ল্যান্ডিং সেন্টারগুলোর আধুনিকায়ন ও ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, মাছ পরিবহনে সঠিক অনুপাতে বরফ ব্যবহার করা ও বিশুদ্ধ পানির বরফ উৎপাদন নিশ্চিত করতে হবে।'
মৎস্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, ২০৪১ সালে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৮৫ লাখ মেট্রিক টন, যা বর্তমানের চেয়ে ১ দশমিক ৮ গুণ বেশি। পৃথিবীর ৫২টি দেশে বাংলাদেশের মাছ রপ্তানি হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রায় ৭০ হাজার মেট্রিক টন মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য রপ্তানির মাধ্যমে দেশের আয় হয়েছে ৪৭৯০ কোটি ৩০ লাখ টাকা।

বৈরি আবহাওয়ায় দেশে বিমান অবতরণে সক্ষমতা বাড়ছে;কক্সবাজারসহ দেশের চার বিমানবন্দরকে ক্যাটাগরি-২ এ উন্নীত করা হচ্ছে।শীতকালে ...
19/11/2023

বৈরি আবহাওয়ায় দেশে বিমান অবতরণে সক্ষমতা বাড়ছে;
কক্সবাজারসহ দেশের চার বিমানবন্দরকে ক্যাটাগরি-২ এ উন্নীত করা হচ্ছে।

শীতকালে ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে আকাশ পথের যোগাযোগ। দৃষ্টিসীমা কমে আসায় ঝুঁকি সৃষ্টি হয় ফ্লাইট ওঠানামায়। শীত প্রধান দেশগুলোর পাশাপাশি অনেক দেশেই ফ্লাইট দেরি ও বাতিল হয় হাজার হাজার ফ্লাইট। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ, ভারত ও নেপালেও নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি একই প্রভাব পড়ে।

মূলত পাইলট খালি চোখে রানওয়ে দেখতে না পারলে নিরাপদ ওঠানামায় বিমানবন্দরে ইনস্ট্রুমেন্ট ল্যান্ডিং সিস্টেম বা আইএলএস প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়। আবহাওয়ার বৈরিতায় আইএলএস ক্যাটাগরি-৩ প্রয়োজন হলেও দীর্ঘদিন ধরে দেশের বিমানবন্দরগুলোতে ব্যবহার হচ্ছে ক্যাটাগরি-১।

এতে বিমান ওঠানামা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৈরি মৌসুমে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের পাশাপাশি প্রভাব ফেলে আন্তর্জাতিক রুটেও। এমন পরিস্থিতিতে দেশের শাহজালালসহ ৪টি বিমনাবন্দরে আইএলএস ক্যাটাগরি-১ থেকে আপগ্রেড করা হচ্ছে ক্যাটাগরি-২ এ। উন্নীত হচ্ছে লাইটিং সিস্টেমও।

আইএলএস পদ্ধতি ক্যাট-২ এ উন্নীত হলে কিছুটা দৃষ্টিসীমা বাড়বে পাইলটের। তবে রানওয়ে শতভাগ দৃশ্যমান হবে না বলে জানায় খোদ বেবিচক।

সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান জানান,
বিমানবন্দরগুলোতে বর্তমানে আইএলএস ক্যাটাগরি-১ ব্যবহার করা হচ্ছে। এ পদ্ধতি ক্যাটাগরি-২ তে উন্নীত করে ঢাকা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট বিমানবন্দরে ব্যবহার করা হবে। এতে বাড়বে পাইলটদের দৃষ্টিসীমা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শতভাগ দৃষ্টিসীমা পেতে হলে বসাতে হবে আইএলএস ক্যাটাগরি-৩। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ নাফিস ইমতিয়াজ উদ্দিন বলেন, আইএলএস ক্যাটাগরি-৩ রানওয়ে করলে শতভাগ দৃষ্টিসীমার সুযোগ পাবে পাইলটরা।
তবে বিপরীত মন্তব্য বেবিচকের। সিভিল এভিয়েশনের চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান জানান, কোনো দেশেই শতভাগ দৃষ্টিসীমা নিশ্চিত করা সম্ভব নয়।

উড়োজাহাজ অবতরণ করার ন্যূনতম দৃষ্টিসীমা পাঁচশ মিটার। আইএলএস ক্যাটাগরি-২ এ আপগ্রেড করা হলে দেশের চার বিমানবন্দরে মিলবে এ সুবিধা। তবে শীতে অনেক সময় দৃষ্টিসীমা ৫০ থেকে শূন্য মিটারে নেমে আসায় দ্রুত আইএলএস ক্যাটাগরি-৩ এ উন্নীত করার পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের।

কক্সবাজারে আশেক পেলেন ‘সবুজ সংকেত’, বাকি তিন এমপি শঙ্কায় !দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাস দেড়েক আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হ...
18/11/2023

কক্সবাজারে আশেক পেলেন ‘সবুজ সংকেত’, বাকি তিন এমপি শঙ্কায় !

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাস দেড়েক আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কক্সবাজার সফরের পর আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের আভাস পাওয়া গেছে। কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের দাবি, দিনব্যাপী ওই সফরে বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে দলীয় প্রধান যেসব ইঙ্গিত দিয়েছেন তাতে ধারণা করা হচ্ছে, কক্সবাজারের চারটি আসনের মধ্যে অন্তত তিনটিতে আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পরিবর্তন হতে পারে।

তবে কক্সবাজার-২ আসনের (মহেশখালী ও কুতুবদিয়া) বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) আশেক উল্লাহ রফিক আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাচ্ছেন বলেই ধরে নিয়েছেন নেতাকর্মীরা। তারা বলছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি জেলা সফরে গিয়ে আগামী নির্বাচনে নৌকায় ভোট চাইলেও কোনো এমপি বা প্রার্থীকে মঞ্চে ডেকে জনতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেননি আওয়ামী লীগ সভাপতি।

কক্সবাজারে এসে মাতারবাড়ীর জনসভায় শেখ হাসিনা বক্তব্য দেওয়ার সময় এমপি আশেককে মঞ্চে নিজের কাছে ডেকে নেন এবং সমবেত জনতার উদ্দেশে বলেন, ‘আশেককে আপনাদের হাতে তুলে দিলাম।’ এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি মনোনয়নের ‘গ্রিন সিগন্যাল’ দিয়েছেন বলে বিশ্বাস এমপি আশেক ও তার অনুসারীদের। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারাও বিষয়টিকে দলীয় সভাপতির ‘গ্রিন সিগন্যাল’ ধরে নিয়ে বলছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়া প্রথম প্রার্থী হলেন কক্সবাজারের আশেক।

বহুল প্রতীক্ষিত দোহাজারি-কক্সবাজার রেলপথ উদ্বোধন উপলক্ষে সাড়ে পাঁচ বছর গত ১১ নভেম্বর কক্সবাজার সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য কক্সবাজারের চারটি আসনের বর্তমান এমপি ও মনোনয়নপ্রত্যাশীদের তৎপরতা ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে আশেক ছাড়া অন্য কেউ দলীয় সভাপতির কাছে খুব একটা গুরুত্ব পাননি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পৌঁছার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কদমবুচি করেন কক্সবাজার-৩ আসনের (সদর, ঈদগাঁহ ও রামু) এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল। তবে প্রধানমন্ত্রী তার দিকে কোনো মনোযোগ দেননি। এমনকি রেললাইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলার চার এমপির মধ্যে একমাত্র কমল মঞ্চে উপস্থিত থাকলেও তিনি বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাননি। ওই অনুষ্ঠানে কক্সবাজার-১ আসনের (চকরিয়া-পেকুয়া) এমপি জাফর আলম ও কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের এমপি শাহিনা আক্তার চৌধুরী স্থান পেয়েছেন সুধী-দর্শক সারিতে। এমপি আশেক মাতারবাড়ীর জনসভায় ব্যস্ত থাকায় রেললাইন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নেননি। সরকারি অনুষ্ঠান শেষে বিকালে আওয়ামী লীগের জনসভায় অংশ নিতে ২৮ বছর পর মাতারবাড়ীতে যান শেখ হাসিনা। জনসভার মঞ্চে জাফর, আশেক ও কমল উপস্থিত থাকলেও শাহিনা আক্তার ওই সমাবেশেই যাননি। বক্তৃতা করার সময় প্রধানমন্ত্রী যখন আশেককে জনতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন, তখন পেছনে থেকে এমপি জাফর শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করে বলেন, ‘আমিও আছি।’ কিন্তু প্রধানমন্ত্রী জাফর আলমের দিকে নজর ফেরাননি।

ওই মঞ্চে উপস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বশীল একজন নেতা প্রতিদিনের বাংলাদেশকে বলেন, আগামী নির্বাচনে কে দলীয় মনোনয়ন পাবেন কে পাবেন না তা নির্ধারণ করবেন দলের সভাপতি। কক্সবাজার সফরে এসে আকারে-ইঙ্গিতে তিনি এ ব্যাপারে কিছুটা আভাসও দিয়েছেন। এমপি আশেককে যেভাবে জনতার সঙ্গে পরিচয় করিয়েছেন, তাতে বোঝা যায় তাকে দলীয় মনোনয়নের চূড়ান্ত ইঙ্গিত দিয়েছেন শেখ হাসিনা।

কেন্দ্রীয় আরেক নেতা জানান, প্রধানমন্ত্রীর সফর বিশ্লেষণ করে বলা যায়, কক্সবাজার-২ আসন ছাড়া অন্য তিনটিতে প্রার্থী পরিবর্তন হতে যাচ্ছে। মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সংক্ষিপ্ত তালিকাও তৈরি হয়েছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে ৩০০ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন কারা পাচ্ছেন তাদের প্রাথমিক তালিকা চূড়ান্ত হবে।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেভাবে ঘোষণা দিয়েছেন এটাই চূড়ান্ত মনোনয়ন। মাতারবাড়ী দুর্গম একটি এলাকা। সেখানে যে জনসভা আয়োজন করা হয়েছে, সেটিও অত্যন্ত সফল হয়েছে। এটি আশেকের এলাকা। প্রধানমন্ত্রীর কাছে সবার সব খবর ও তথ্য রয়েছে। আশেক সম্পর্কে নিশ্চয়ই তার ভালো ধারণা রয়েছে।

বাকি তিন আসনের ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ওইসব আসনের খবরও দলীয় প্রধানের কাছে রয়েছে। তিনি ভেবেচিন্তেই সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি যাকে নৌকা দেন নেতাকর্মীরা তার পক্ষেই কাজ করবেন।

এমপি আশেক উল্লাহ রফিক বলেন, মাঠে কাজ শুরু করেছি অনেক আগেই। প্রধানমন্ত্রী ঘোষণার পর এখন আরও জোর পাচ্ছি।

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা হয় চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপনের সঙ্গে। প্রতিদিনের বাংলাদেশকে তিনি বলেন, জনসভার আয়োজক ছিল মহেশখালী উপজেলা। হয়তো সে কারণেই প্রধানমন্ত্রী কেবল মহেশখালী- কুতুবদিয়া আসনের প্রার্থীকে জনগণের হাতে তুলে দিয়ে গেছেন। অন্যদের বিষয়ে সময়মতো ঘোষণা দেবেন।

যে কারণে কপাল পুড়তে পারে তিন এমপির

আশেক উল্লাহর মনোনয়ন নিশ্চিত হওয়ার পর বাকি তিন এমপির ভবিষ্যৎ নিয়ে শুরু হয় নানা আলোচনা। দলীয় সভাপতি সরাসরি কোনো মন্তব্য না করায় আগামী নির্বাচনে তারা মনোনয়ন পাচ্ছেন না বলেই ধারণা স্থানীয় নেতাকর্মীদের। তারা বলছেন, এই তিন এমপি বিভিন্নভাবে বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে নেতিবাচক সংবাদে উঠে এসেছেন বারবার। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ কোন্দল উস্কে দেওয়া ও দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া বিভিন্ন গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও এই তিন এমপির ব্যাপারে নানা অভিযোগ উঠে এসেছে বলেও শোনা যায়। হয়তো এসব কারণ বিচার-বিশ্লেষণের পর আগামীবার তাদের নৌকা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের হাইকমান্ড।

এই তিন এমপির মধ্যে জাফর আলমের বিরুদ্ধে সরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি দখল, দলে গ্রুপিং সৃষ্টি, নেতাকর্মীদের মারধর, সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য প্রদানসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সপরিবারে তাকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জিজ্ঞাসাবাদের মুখেও পড়তে হয়েছে।

সাইমুম সারওয়ার কমলের বিরুদ্ধেও রয়েছে ক্ষমতার অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম-দুর্নীতি, সরকারি জমি দখল, জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনসহ নানা অভিযোগ। দলীয় সিদ্ধান্ত এবং সরকারের বিরুদ্ধে মন্তব্য করেও বিভিন্ন সময়ে আলোচনার জন্ম দিয়েছেন তিনি। ত্যাগী নেতাকর্মীদের দূরে সরিয়ে অন্য দলের লোকজনকে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার অভিযোগ শোনা যায় তার বিরুদ্ধে। এছাড়া সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের হুমকি দিয়েও সমালোচিত হয়েছেন তিনি।

মাদকসহ বিভিন্ন অবৈধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সমালোচনার শেষ নেই বদিকে নিয়ে। ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে এমপি হন। যদিও তার বাবা এজাহার মিয়া কোম্পানী ছিলেন টেকনাফ বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং জাতীয় পার্টির সমর্থনে তিনি টেকনাফের প্রথম উপজেলা চেয়ারম্যানও নির্বাচিত হয়েছিলেন। এরপর নৌকার প্রার্থী হতে সমস্যা হয়নি বদির। তবে এমপি থাকাকালেই দুদকের একটি মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড হয় তার। এজন্য গত নির্বাচনে বদির পরিবর্তে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন তার স্ত্রী শাহীন আক্তার। কিন্তু এমপি নির্বাচিত হওয়ার পর গত পাঁচ বছরে স্থানীয় জনগণ এবং দলীয় নেতাকর্মীরাও শাহীনের দেখা পাননি।

কক্সবাজারের চারটি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী যারা

কক্সবাজার ১ : বর্তমান এমপি জাফর আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সাবেক শিক্ষা ও মানব সম্পাদক বিষয়ক সম্পাদক ড. মো. আশরাফুল ইসলাম সজীব, সাবেক নেতা রাশেদুল ইসলাম ও অবসরপ্রাপ্ত জজ আমিনুল হক।

কক্সবাজার ২ : এমপি আশেক উল্লাহ ছাড়াও এ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে ছিলেন পরিবেশবিজ্ঞানী ড. আনছারুল করিম ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা।

কক্সবাজার ৩ : এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নজিবুল ইসলাম।

কক্সবাজার ৪ : বর্তমান এমপি শাহিনা আক্তার এই আসনের সাবেক এমপি আবদুর রহমান বদির স্ত্রী। বিতর্কিত নানা ঘটনায় নাম আসার পর গত নির্বাচনে বদি ভোটে দাঁড়াননি। তার পরিবর্তে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছিলেন শাহিনা। আগামী নির্বাচনে এই আসন থেকে বদি আবার নৌকা নিয়ে প্রার্থী হতে চান। এ ছাড়াও তোড়জোড় চালাচ্ছেন টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল বশর, জেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, উখিয়া উপজেলা আওয়ামীলের সভাপতি জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী।

আগাম সবজি চাষে কৃষকরালক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ৭'শ হেক্টর।শীতকালীন সবজি চাষাবাদের জন্য বিখ্যাত জেলা কক্সবাজার। শীত মৌসুমে জেল...
18/11/2023

আগাম সবজি চাষে কৃষকরা

লক্ষ্যমাত্রা ৭ হাজার ৭'শ হেক্টর।

শীতকালীন সবজি চাষাবাদের জন্য বিখ্যাত জেলা কক্সবাজার। শীত মৌসুমে জেলায় উৎপাদিত শাক-সবজির বিশাল একটি অংশ চাষাবাদ হয় এ অঞ্চলে। বাণিজ্যিকভাবে উন্নত জাতের শীতকালীন সবজির আবাদ করে লাভবান হয় এখানকার হাজার হাজার কৃষক। তাই শীতকালীন আগাম সবজি চাষ শুরু করেছেন এবং লাভবান হবার স্বপ্ন দেখছেন এই এলাকার কৃষকরা। চকরিয়া, পেকুয়া, রামু, টেকনাফসহ ৮ উপজেলার কৃষকরা বীজ বপন ও আগাম চাষ হওয়া সবজি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপসহকারী আশিষ কুমার জানান, 'যেকোনো সবজি যদি মৌসুমের শুরুতে বাজারে তোলা যায়, তবে এর দাম বেশি পাওয়া যায়। জেলায় শীতকালীন সবজি'র (আগাম) বাম্পার ফলন আশা করা যাচ্ছে। সিম, বরবটি, ফুল কপি, বাঁধাকপি, ঢেঁড়স তিত করলা, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, চিচিঙ্গা, পটল, আলু, মুলা, পালং শাক, বেগুন, গাজরসহ বিভিন্ন প্রজাতির সবজির আবাদ হয়েছে। কিছু এলাকায় ১০ শতাংশ ফসল কাটা শুরু হয়েছে।
তিনি বলেন, আবহাওয়া অনুকূল থাকলে লক্ষ্য মাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। সদর উপজেলার পিএম খালী, ঝিলংজা, বাঁকখালী এলাকায় ব্যাপকভাবে সবজি চাষ হয়। এখান থেকে প্রচুর পরিমাণ সবজি স্থানীয়ভাবে চাহিদা মিটিয়ে অন্যান্য স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়'।

এবারে রবি মৌসুমে সবজির আবাদ হয়েছে ৭ হাজার ৭০০ হেক্টর জমিতে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৮ হাজার ৭০০ হেক্টর।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছেন, গত বছর জেলায় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে প্রচুর পরিমাণে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছিল। এসব সবজি বিক্রি করে কৃষকরা ব্যাপক লাভবান হয়েছিলেন। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসেবে প্রায় ১১ কোটি টাকা। এ কারণে এ বছর শীত শুরুর আগেই বিভিন্ন প্রজাতির শীতকালীন সবজি চাষ শুরু হয়েছে। কৃষকরা কোথাও জমিতে সবজির চারা বপন করছেন। কোথাও আবার নতুন গাছে আসা সবজির পরিচর্যা করছেন। কিছু জায়গায় কিছু সবজি আগাম কাটা হয়েছে। অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার সবজির দাম বেশি। ভালো দাম পাওয়ায় শীতকালীন সবজি চাষে কৃষকের আগ্রহ বেশি।
কৃষকরা জানান, শীতকালীন সবজির চাহিদা বেশি। তবে মওসুমের শুরুর দিকে সবজির দাম ভালো পাওয়া যায়। দামও মোটামুটি ভালো। এ কারণে তারা শীত শুরু হওয়ার আগেই শীতকালীন সবজির আবাদ শুরু করে দিয়েছেন।
চকরিয়া, রামু, খুরুশকুল এলাকার একাধিক সবজি চাষি বলেন, সবজি চাষে অনেকের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। বহু পরিবার এখন স্বাবলম্বী। তাদের সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা। উৎপাদিত সবজি বিক্রি করে ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসা বানিজ্য গড়ে তোলেন। এদের অনেকের ছেলে সন্তানরা সৌদিআরব, দুবাই, সাউথ আফ্রিকা, কাতার, মালয়েশিয়াসহ অনেক দেশে টাকা রোজগারের উদ্দেশ্যে গেছেন।
কৃষকরা বলেন, শাক-সবজি বিক্রির জন্য এখন হাটবাজারে যেতে হয় না। সবজি ক্ষেত থেকেই পাইকাররা ন্যায্য দামে কিনে নিয়ে যান। দামও ভালো পাওয়া যায়। এখানকার ‘বিষমুক্ত নিরাপদ সবজি’ চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো: কবির হেসেন বলেন, জেলায় এবার আগাম শীতকালীন সবজি চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। রবি মৌসুমে ৬ হাজার ৮৩০ হেক্টর জমিতে কৃষির আবাদ হয়েছে। উপজেলায় শাক-সবজির আবাদ বাড়ানোর লক্ষ্যে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও কৃষি প্রণোদনা ও প্রযুক্তি সহায়তাসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করছে কৃষি বিভাগ। শেষ পর্যন্ত আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মওসুমে শীতকালীন সবজির বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের মধ্যে দুটি ঘুর্ণিঝড়ে জেলার লাখো কৃষকের ১৫০ কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। ঘুর্নিঝড়ে 'মোখায় '৬৬ হাজার কৃষক ১১১ কোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছিল। পরে ঘুর্নিঝড়ে হামুনে ১১ হাজার কৃষকের ৫০ কোটি টাকার ফসলী জমি সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে যায়।

Address

Cox's Bazar
4700

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when কক্সবাজার সমাচার - Cox's Bazar Samachar posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share


Other Social Media Agencies in Cox's Bazar

Show All

You may also like