06/01/2025
‘দ্বীন থেকে দূরে সরে যাওয়া’ এই কথাটার অন্য আরেকটা অর্থ হলো—দ্বীনকে সময় না দেওয়া। এই সমস্যা যাদের মাঝে দেখেছি, তাদের শতভাগের জীবনেই একটা জিনিস প্রকট—প্রাত্যহিক জীবনে দ্বীনের জন্য তারা কোনো সময় বরাদ্দ রাখে না।
ধরুন যে আপনার ইচ্ছা হলো আপনি ইলন মাস্কের মতো বিলিয়নিয়ার হবেন। কাড়ি কাড়ি টাকা উপার্জন করবেন। কিন্তু, এই কাড়ি কাড়ি টাকার মালিক হওয়ার জন্য কি শুধু ‘ইচ্ছা পোষণ’ করাটাই যথেষ্ট? ইলন মাস্ক হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করার পরেরদিন যদি দুপুর বারোটায় আপনার ঘুম ভাঙে, যদি স্যোশাল মিডিয়া স্ক্রলিং থেকে রাতের দেড়টা বা দুটোর আগে আপনি বেরুতে না পারেন—একটা টং দোকান দিয়েও তো আপনি সফলতা পাবেন না, ইলন মাস্ক হওয়া তো বহু দূরের স্বপ্ন।
প্রতিটা স্বপ্ন পূরণের জন্য পর্যাপ্ত সময় বরাদ্দ রাখতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রস্তুতি, চাকরির প্রস্তুতি, ব্যবসা গোছানো ইত্যাদিতে যদি পর্যাপ্ত সময় না দেওয়া হয়, তাহলে এসবে সফলতা আশা করাটা বোকামি বৈকি!
আচ্ছা, বুকে হাত দিয়ে বলুন তো—এই স্বপ্নগুলোর মধ্যে কোন স্বপ্নটা জান্নাতে যাওয়ার স্বপ্ন থেকে বড়? কোন ইচ্ছাটা আখিরাতে নবিজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাত থেকে হাউজে কাউসারের পানি পানের চেয়ে বেশি সুন্দর? স্বচক্ষে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলাকে দেখার চেয়ে মনোরম দৃশ্য আর কী হতে পারে! সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি! এই স্বপ্নগুলো জীবনের চেয়েও বড় নয় কি? তাহলে, এই স্বপ্নগুলো পূরণে প্রতিদিন আমাদের ঠিক কীরকম সময় বরাদ্দ রাখা উচিত?