06/12/2024
অনুপম সেন অবশেষে পদত্যাগ করেছেন।
ছাত্র আন্দোলনের "তুই কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার। কে বলেছে কে বলেছে, স্বৈরাচার স্বৈরাচার" স্লোগানের প্রতিবাদে ২১ জন সুশীল নাগরিক যে বিবৃতি দিয়েছিলেন, তার প্রথমেই ছিলেন প্রফেসর ড. অনুপম সেন। গত বছর ড. ইউনুসের বিরুদ্ধে প্রহসনমূলক মামলা স্থগিতের আবেদন করা হলে, সেই আবেদনের বিরুদ্ধেও ১৭১ জন সুশীল যে বিবৃতি দেন, সেখানেও তার নাম ছিল।
ড. অনুপম সেন হয়তো শিক্ষক হিসেবে ভালো, হয়তো মানুষ হিসেবেও ভালো—এটা নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন। তবে তিনি দীর্ঘ ১৮ বছর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর ছিলেন, যা নজিরবিহীন। তার দায়িত্বকালে ঐ বিশ্ববিদ্যালয়টি স্বৈরাচারী সরকারের মন্ত্রী নওফেলের কুক্ষিগত ছিল। ২০১৪ সালে হাসিনা সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করে। এছাড়া, তিনি এস আলম গ্রুপের মাসুদ সাহেবের পটিয়ার মানুষ। এ কারণেই হয়তো তিনি ব্যাংক লুটসহ অন্যান্য অন্যায় দেখেও হাসিনা সরকার বা এস আলমের বিরুদ্ধে কোনোদিন কথা বলেননি। বরং সবসময় সরকারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ইস্যুতে বিবৃতি দিয়েছেন।
আরও একটি তথ্য যাচাই করতে গিয়ে জানতে পারলাম, তিনি আওয়ামী লীগের দপ্তর উপ-কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার পদত্যাগে প্রমাণিত হয়েছে যে, সত্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ জনগণের আন্দোলন স্বৈরাচারের মূলে আঘাত হানতে সক্ষম। তবুও, আমাদের মনে রাখতে হবে—"দুর্জন বিদ্বান হইলেও পরিত্যাজ্য।"