পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ - পানছড়ি থানা শাখা

  • Home
  • Bangladesh
  • Chittagong
  • পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ - পানছড়ি থানা শাখা

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ - পানছড়ি থানা শাখা পিসিপি পানছড়ি শাখার মূখপত্র।

13/01/2025

নবম-দশম শ্রেণীর "বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি" পাঠ্য বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদ থেকে "আদিবাসী" শব্দযুক্ত গ্রাফিতি এনসিটিবি কর্তৃক বাতিলের প্রতিবাদে ও আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবীতে-

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ
ও আদিবাসী ছাত্র সমাজ, খাগড়াছড়ি।

নবম-দশম শ্রেণীর "বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি" পাঠ্য বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদ থেকে "আদিবাসী" শব্দযুক্ত গ্রাফিতি এনসিটিবি  কর্তৃক...
13/01/2025

নবম-দশম শ্রেণীর "বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি" পাঠ্য বইয়ের পেছনের প্রচ্ছদ থেকে "আদিবাসী" শব্দযুক্ত গ্রাফিতি এনসিটিবি কর্তৃক বাতিলের প্রতিবাদে ও আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবীতে-

বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

জমায়েত স্থানঃ সূর্যশিখা ক্লাব প্রাঙ্গণ, মহাজন পাড়া, খাগড়াছড়ি সদর।
তারিখঃ ১৩ জানুয়ারি ২০২৪, বিকাল ৩ ঘটিকা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ও আদিবাসী ছাত্র সমাজ, খাগড়াছড়ি।

লেখা আহ্বানসংগ্রামী সুধী,পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সকল জাতিসত্তার মা...
03/01/2025

লেখা আহ্বান

সংগ্রামী সুধী,
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে সংগ্রামী শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। সকল জাতিসত্তার মাতৃভাষা রক্ষার চেতনায় পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে "উন্মেষ” নামক একটি প্রকাশনা প্রকাশ করে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ২১শে ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ "উন্মেষ- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস, ৯ম সংখ্যা" প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছে। তাই উক্ত প্রকাশনায় লেখক, গবেষক, সাংবাদিক, কলামিস্ট, ব্লগার, এক্টিভিস্ট, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, রাজনীতিবিদসহ সকল শ্রেণীর জনসাধারণের কাছ থেকে সুচিন্তিত মতামত, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ, ভাষা বিষয়ক গবেষণাধর্মী লেখা, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক, বিভিন্ন জাতিসত্তার ইতিহাসসহ নানা বিষয়ের উপর লেখা আহ্বান করা হচ্ছে।

আগামী ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ইং এর মধ্যে নিম্নোক্ত ঠিকানায় লেখা পাঠানোর জন্য বিনীতভাবে আহ্বান করা যাচ্ছে।

যোগাযোগের ঠিকানা:
জেএসএস খাগড়াছড়ি জেলা কার্যালয়, মধুপুর বাজার, খাগড়াছড়ি সদর।
ফোন: ০১৫৩৩৩২৯৮৯৯, ০১৮৮১৫৪৫৯১৮
ফেসবুক পেইজ: পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ
ই-মেইল: [email protected]
[email protected]

শুভেচ্ছান্তে,
সুভাষ চাকমা
তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক
পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ,
কেন্দ্রীয় কমিটি।
যোগাযোগ: ০১৮৮১৫৪৫৯১৮

মহিলা সমিতি'র সভাপতি কাকলী খীসা, সম্পাদক রত্না তঞ্চঙ্গ্যা
29/12/2024

মহিলা সমিতি'র সভাপতি কাকলী খীসা, সম্পাদক রত্না তঞ্চঙ্গ্যা

19/12/2024

পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী প্রধান সামাজিক উৎসব বৈ-সা-বি উৎসবের দিনে নির্ধারিত এসএসসি পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তনপূর্বক নতুন রুটিন প্রকাশ এবং উৎসব উদযাপন উপলক্ষে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ০৫ (পাঁচ) দিন সরকারি ছুটির দাবীতে

মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান

পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ , হিল উইমেন্স ফেডারেশন,
খাগড়াছড়ি সদরস্থ বিভিন্ন স্কুলের এসএসসি ২০২৫ইং শিক্ষার্থীবৃন্দ।

03/12/2024

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে বাধা প্রশাসন, বললেন শামসুল হুদা।

03/12/2024

চট্টগ্রামে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি ২৭তম বর্ষপূর্তি উদযাপন।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক চুক্তি'র মৌলিক অধিকার গুলো ফিরিয়ে দাও!
03/12/2024

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি মোতাবেক চুক্তি'র
মৌলিক অধিকার গুলো ফিরিয়ে দাও!

শিশু খেলার মতো এই চুক্তি হয়নি,এই চুক্তি হয়েছে রাজনীতিক মাধ্যমে। সরকার পালাবদল হবে,পরিবর্তন আসবে কিন্তুু চুক্তি পরিবর্তন ...
03/12/2024

শিশু খেলার মতো এই চুক্তি হয়নি,এই চুক্তি হয়েছে রাজনীতিক মাধ্যমে।
সরকার পালাবদল হবে,পরিবর্তন আসবে কিন্তুু চুক্তি পরিবর্তন হবেনা।
পুরনো চুক্তি হলেও বাংলাদেশের ভূখন্ডে এটা ঐতিহাসিক চুক্তি।
আপনারা যারা চুক্তিকে অপবাদ কিংবা অপব্যাখ্যা দিয়ে ঘুরেফিরে ক্লান্ত।
তাঁরাও বুঝে এই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি রাষ্ট্রের কতটা ভয়াবহ চুক্তি।এই চুক্তি পাহাড়ীদের অস্তিত্ব জাতীয় মুক্তি সনদ চুক্তি।এটা রক্তের রঞ্জিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি।এই চুক্তিকে কখনও বাতিল করা যাবেনা।বাংলাদেশ দেশীয় সরকার
পালাবদল হলেও অবশ্যই পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে।

পাহাড়ে অধিকার অথবা মুক্তি নামে ভূঁইফোড় সংগঠন ইউপিডিএফ ষড়যন্ত্রের জাল বুনে চুক্তিকে বাতিল করতে মরিয়া তারাও রাষ্ট্র পক্ষ হয়ে ভাড়াটে ওয়াগনার গ্রুপে মতো অপকর্মে লিপ্ত।পাহাড়ের পাহাড়ী জনগণকে নিয়ে ছিনিমিনি খেলে জাতির সাথে বৈঈমানি করছে। সেটা কোন দল?অবশ্যই ইউপিডিএফ।
সুতরাং! আপনাদের ক্ষমা নেই, কোনোদিন এবং কখনো ক্ষমা করা হবেনা।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবীতে থিয়েটার ইনিস্টিউট হল, চট্টগ্রামে আলোচনাসভা।
02/12/2024

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবীতে থিয়েটার ইনিস্টিউট হল, চট্টগ্রামে আলোচনাসভা।

02/12/2024

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ে তুলুন।
খাগড়াছড়িতে গণসমাবেশ।

02/12/2024

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিকে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে কারা বাতিল করতে মরিয়া।

*বাংলাদেশ বিশেষ বাহিনী।
* বাংলাদেশ বিএনপি।
*ইউপিডিএফ(প্রসিত)।
*নাগরিক পরিষদ।
*বাঙালি ছাত্র পরিষদ।

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৭তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে • *পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি'র বিবৃতি *প্রিয় সংগ্রামী জনতা, পা...
02/12/2024

পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৭তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে •
*পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি'র বিবৃতি *

প্রিয় সংগ্রামী জনতা,

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির পক্ষ থেকে সংগ্রামী সালাম ও শুভেচ্ছা গ্রহণ করুন। স্মরণাতীত কাল হতে আদিবাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনপদে বসবাস করে আসছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে দশ ভাষা-ভাষী ১১টি জাতির ভাষা, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও জাতীয় স্বাতন্ত্রতা সমেত আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলো দীর্ঘকাল ধরে সরকার ও শাসকগোষ্ঠীর আগ্রাসী নীতি দ্বারা নিগৃহীত হয়ে আসছে। এটা স্পষ্ট যে, এপর্যন্ত কোন সরকার বা শাসক, আদিবাসী জাতি সমূহের ভাগ্য উন্নয়নে তেমন মনোযোগ দেয়নি, বরং চরম অবদমন, শোষণ-বঞ্চনা ও আগ্রাসী নীতি প্রয়োগ করেছে। ফলতঃ নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষা, বিকাশ ও অধিকারের প্রশ্নে আদিবাসী জনগণ আন্দোলন সংগ্রামে নামতে বাধ্য হয়েছে। বিশেষভাবে প্রণিধানযোগ্য যে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে অসংখ্য আদিবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছিল। যে আকাঙ্খা নিয়ে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছিল তাতে স্বাধীন দেশের সকল নাগরিক রাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সুবিধা ও অধিকার ভোগ করার কথা। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় সেই সুবিধা ও অধিকার থেকে আদিবাসীরা বঞ্চিত হয়েছে। স্বাধীন দেশের সংবিধানে আদিবাসীদের স্বীকার করা হয়নি। অধিকন্তু, পার্বত্য চট্টগ্রামে উগ্রবাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ, ধর্মীয় মৌলবাদ এবং নির্দয় আগ্রাসন ও দমন পীড়ন নীতি রাষ্ট্রীয়ভাবে গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রিয় লড়াকু জনতা,

পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধানের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে সম্পাদিত ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৭ বছর অতিক্রান্ত হতে চলেছে। কিন্তু, দীর্ঘ ২৭ বছরেও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মৌলিক ধারাগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার যে রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধান আশা করা হয়েছিল সেটা অর্জিত হয়নি।
বিগত সরকারগুলো ক্ষমতার মসনদে বসে ক্ষমতার স্বাদ নেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতা করেছিল মাত্র। পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে জুম্ম জনগণের একমাত্র রক্ষাকবচ পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে তেমন কোন উদ্যেগ দেখা যায়নি।
চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারগুলো কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়াতো দূরের কথা, অধিকন্তু গোয়েবলসীয় কায়দায় অব্যাহতভাবে অসত্য তথ্য প্রদান করে চলেছে। চুক্তি বাস্তবায়নে সরকারের ব্যর্থতাকে ধামাচাপা দিতে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার জাতিসংঘের সদর দপ্তরে আদিবাসী বিষয়ক পার্মানেন্ট ফোরামের ২২তম অধিবেশনে চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৬৫টি ধারা সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হয়েছে মর্মে অসত্য তথ্য উপস্থাপন করেছে। অথচ পার্বত্য চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে শুধুমাত্র ২৫টি ধারা সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়েছে, ১৮টি ধারা আংশিক বাস্তবায়িত এবং অবশিষ্ট ২৯টি ধারা সম্পূর্ণভাবে অবাস্তবায়িত অবস্থায় রয়েছে এবং সরকার এসব ধারা অব্যাহতভাবে লঙ্ঘন করে চলেছে। বিশেষ করে চুক্তির মৌলিক বিষয়গুলো অকার্যকর অবস্থায় রাখা হয়েছে। অধিকন্তু পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার রাজনৈতিক ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের পরিবর্তে সরকার চুক্তি-পূর্ব শাষকগোষ্ঠীর মতো ব্যাপক সামরিকায়নের মাধ্যমে চলমান পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের আন্দোলনকে দমন করার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। চুক্তি পূর্ব অবস্থার মতো বর্তমান সময়েও অত্যন্ত সূক্ষ্মভাবে বহিরাগত মুসলিম বসতি স্থাপন, আদিবাসীদেরকে ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তকরণ, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর প্রত্যক্ষ সহায়তায় মুসলিম সেটেলার কর্তৃক আদিবাসীদের উপর সাম্প্রদায়িক হামলা ও গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া, ভূমি বেদখল ও ভূমি থেকে উচ্ছেদ, আদিবাসী নারী ধর্ষণসহ জাতিগত নির্মূলীকরণের সকল কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।

প্রিয় মুক্তিকামী জনতা,

গত ৫ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগণ আশা করেছিল, এবার হয়তো আদিবাসীরা তাদের অধিকার ফিরে পাবে। ঐতিহাসিক পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যেসব ধারা, উপ-ধারা অবাস্তবায়িত অবস্থায় রয়েছে সেসব ধারা, উপ-ধারাগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনুস একটি বিদেশী গণমাধ্যমে দেয়া সাক্ষাৎকারে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন করা প্রসঙ্গে বলেছেন, এত দীর্ঘ বছরের সমস্যা স্বল্প সময়ে অন্তর্বতীকালীন সরকার সমাধান করতে পারবেনা। সরকার প্রধানের এ বক্তব্যে আদিবাসী জনগন মনে করে, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এ সরকারও বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের পদাঙ্ক অনুসরণ করছে। অধিকন্তু, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের তুলনায় বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের সময়ে। সংখ্যালঘুদের উপর নিপীড়নের মাত্রা বেড়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত আদিবাসী জাতিসমূহকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আখ্যা দিয়ে দেশের উগ্র ধর্মান্ধ মৌলবাদী গোষ্ঠীকে রাজনৈতিক ফায়দা লুটার সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে এবং আদিবাসী জাতিসমূহের বিলুপ্ত করার প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করা হচ্ছে। এ সরকারের সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের উদ্যোগহীনতার পাশাপাশি ইউপিডিএফ এগত্তরের আওয়াজ তুলে চুক্তি বিরোধী নানা কর্মকান্ড ও তামাশা করছে। সহজ সরল আদিবাসী তরুণদের ঐক্যের আকাঙ্খাকে পুঁজি করে পার্বত্য চট্টগ্রামে ইউপিডিএফের শক্তি প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চেয়েছে। তারা অন্তর্বতীকালীন সরকারের কাছে সঙ্গোপনে তদবির করে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তিকে বাদ দিয়ে আবারও নতুন চুক্তি করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। রাষ্ট্রীয় সহযোগীতায় সৃষ্ট ইউপিডিএফ নামক এই পঞ্চম বাহিনীর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নে বাঁধা সৃষ্টিকারী উগ্রবাদীদের ব্যাপারে সজাক ও সতর্ক থাকতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি মনে করে, পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকার বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের কোন বিকল্প নেই। পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির যথাযথ, পূর্ণাঙ্গ ও দ্রুত বাস্তবায়নের মাধ্যমেই কেবল পার্বত্য চট্টগ্রাম সমস্যার স্থায়ী সমাধান হতে পারে। অমুসলিম অধ্যুষিত পার্বত্য চট্টগ্রামকে মুসলিম অধ্যুষিত অঞ্চলে পরিণত করার বাংলাদেশের শাষকশ্রেণীর বহুমুখী ষড়যন্ত্রকে বানচাল করে দিতে হবে। মহান পার্টির নেতৃত্বে আদিবাসী জনগণকে অধিকতর প্রতিরোধ আন্দোলনের মাধ্যমে শাসকগোষ্ঠীর এসব ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে প্রস্তুত হতে হবে। আদিবাসী জনগনের আত্মত্মনিয়ন্ত্রণাধিকার আদায় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ লড়াই সংগ্রাম জোরদার করা ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই। তাই পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি চুক্তির ২৭তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সকল মুক্তিকামী আদিবাসী জনগণকে চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য জোড়ালো আহ্বান জানাচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রচার বিভাগ কর্তৃক
২ ডিসেম্বর ২০২৪ইং মধুপুর, খাগড়াছড়ি থেকে প্রকাশিত ও প্রচারিত।

Address

Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ - পানছড়ি থানা শাখা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category