06/07/2025
আশুরার দিনের ফজিলত অনেক বেশি, কিন্তু অনেকেই দ্বিধায় থাকেন, এই পবিত্র দিনে ঠিক কী কী আমল করা উচিত। আসুন, আমরা জেনে নিই আশুরার এই বরকতময় দিনে কীভাবে আমল করলে আমরা আল্লাহর নিকট আরও বেশি নিকটবর্তী হতে পারি।
🔲আশুরা দিনে করণীয় আমলসমূহ:
1️⃣ আশুরার রোজা রাখা।
রাসূলুল্লাহ বলেন:
"আমি আল্লাহর কাছে আশাবাদী, আশুরার রোজা পূর্ববর্তী বছরের গোনাহগুলো মাফ করে দেবে।"
(সহীহ মুসলিম, হাদীস: 1162)
📌 কোন তারিখে রোজা?
যখন রাসূল মদীনায় এসে দেখলেন ইহুদিরা ১০ই মহররম রোজা রাখে, তখন তিনি বললেন:
"আমরা মূসার অনুসরণে তাদের তুলনায় অধিক হকদার।"
(সহীহ বুখারী: 2004, সহীহ মুসলিম: 1130)
তিনি আশুরার দিন রোজা রাখলেন এবং বললেন:
"তোমরা ৯ তারিখেও রোজা রাখো, যাতে ইহুদিদের সাথে মিল না হয়।"
(মুসলিম, হাদীস: 1134; আহমাদ: 2154)
2️⃣তাওবা ও ইস্তেগফার করা।
আশুরার দিনকে তাওবা করার জন্য উপযুক্ত সময় ধরা হয়, কারণ এই দিনে আল্লাহ অনেক নবীর তওবা কবুল করেছিলেন।
3️⃣দোয়া, জিকির, কুরআন তিলাওয়াত করা।
এই দিনে আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য বেশি বেশি দোয়া করা উচিত। আর আশুরার দিন কুরআন পড়া খুবই ফজিলতের কাজ। সময় কম থাকলেও সূরা ইখলাস অন্তত ১০০ বার হলেও পড়ার চেষ্টা করবেন ইন শা আল্লাহ।
4️⃣সাদকাহ (দান) করা।
রাসূল (সা.) বলেন: "যে ব্যক্তি আশুরার দিনে তার পরিবারের জন্য ব্যয় বাড়াবে, আল্লাহ তা'আলা তার রিযিক বাড়িয়ে দেবেন।" (বায়হাকি, হাদীস সহীহ)
এছাড়াও গোপনে ভালো কাজ করার চেষ্টা করবেন।
কাউকে সাহায্য করুন- এমনভাবে, যেন সে না জানে। অথবা কাউকে গোপনে হাদিয়া হিসেবে কুরআন, ইসলামিক বই, তাসবিহ ইত্যাদি যেকোনো কিছু দিতে পারেন। এই "গোপন আমল" হতে পারে আমাদের নাজাতের চাবি। ইন শা আল্লাহ্।
5️⃣দোয়া ইউনুস পড়া।
হযরত ইউনুস আ. এই দোয়া দিয়ে মুক্তি পেয়েছিলেন। তাই এই আশুরায় এটি অন্তত ১০০ বার হলেও পড়ার চেষ্টা করুন অথবা এর চেয়েও বেশি।
6️⃣দুই রাকাত নফল স্বলাত (তাওবার নিয়তে)
আল্লাহর কাছে নিজের গুনাহের ক্ষমা প্রার্থনার জন্য আশুরার দিন যেকোনো সময়ে ২ রাকাত স্বলাত পড়ে খালিস মনে তওবা করবেন। এছাড়াও একটি খাতা বা ফোনে নিজের গুনাহগুলোর লিস্ট করতে পারেন এরপর আল্লাহর কাছে কান্না করে সেগুলোর জন্য ক্ষমা চাইবেন। পরবর্তীতে এই লিস্ট মুছে দিবেন।
📌 দোয়া করবেন:
"হে আল্লাহ! এই পবিত্র দিনে তুমি যেমন তোমার প্রিয় বান্দাদের তওবা কবুল করেছো, আমাকেও সেই তালিকায় শামিল করে ন