হৃদয়ের কথা

হৃদয়ের কথা 🌻

""সুন্দর সুন্দর গল্প ও রোমান্টিক পোস্ট পেতে পেইজে ফলো/লাইক দিয়ে সাথে থাকুন❤️😊""

💙
(6)

আপনি ২৫ সালেও কি সিঙ্গেল! 🫤
01/01/2025

আপনি ২৫ সালেও কি সিঙ্গেল! 🫤

01/01/2025

শর্ট চুল মানে মেয়েটা বদমাইশ!🙂

উপকার 🙃
26/12/2024

উপকার 🙃

বেডি মানুষ!🙃
25/12/2024

বেডি মানুষ!🙃

দোস্ত মালটা কে রে?রাফি:জানিনা। এলাকায় নতুন মনে হয়....-আরে বাল রোজই তো ব্রীজে বসে কলেজ ছুটির টাইমে আড্ডা দেই। কিন্তু এই...
25/12/2024

দোস্ত মালটা কে রে?
রাফি:জানিনা। এলাকায় নতুন মনে হয়....
-আরে বাল রোজই তো ব্রীজে বসে কলেজ ছুটির টাইমে আড্ডা দেই। কিন্তু এই কালারের বোরকা পরা কোনো মেয়েকে তো দেখিনি, আজই প্রথম দেখলাম।
রাফি:যাই বল মেয়েটা কিন্তু সে***......!!
-মামা মেয়েটারে দেখছিস?
রাফি: বলিসনা রে মামা ইচ্ছে করতেছে.........!!

- মেয়েটাকে উদ্দেশ্য করে ইভটিজারদের যত রকম নোংরা কথা আছে সবই বলতেছে শুনিয়ে শুনিয়ে। (যে অশ্লীল শব্দ প্রকাশ করতেও খারাপ লাগে).....
সারাদিন বন্ধুদের সাথে আড্ডাবাজি করে ছেলেটা। স্কুল, কলেজের মেয়েদের ইভটিজিং করে। যাইহোক যে মেয়েগুলোকে একটু আগে ইভটিজিং করলো
তারা চলে যাওয়ার ১ ঘণ্টা পর রাজের ফোনে কল আসলো....
রাজের মা:বাবা তুই কই?
-কি হইছে মা? তোমার গলা এমন শোনাচ্ছে কেন, কান্না করছো কেন?
রাজের মা:রোজা আর নেই। -মানে....
ফোনের ওপাশ থেকে মায়ের মুখে কথাটা শোনার পরে আকাশ ভেঙ্গে পরে রাজের মাথায়। রোজা তার একমাত্র আদরের ছোট বোন। রোজা ওর কলিজার টুকরা। সেই রোজা নাকি মা'রা গেছে। রাজ এটা কেমনে মানবে? এক দৌড়ে বাসায় আসে রাজ। পুরো আঙ্গিনা লোকজনে ভর্তি। কান্নার রোল পরে গেছে। রাজ নিজেও কাঁদছে। হঠাৎ পাশে থাকা রাজের বন্ধু রাফি জিজ্ঞেস করে....
রাফি:এ্যান্টি কিভাবে কি হলো?
-জানিনা বাবা। কলেজ থেকে একটু আগে ফিরলো। কান্না করতে করতে ঘরে ঢুকে আর বের হলোনা আমার রোজা।
রাফি:রাজ ভেঙ্গে পরিসনা। রোজার ঘরে চল তো। নিশ্চয় কোনো ক্লু পাওয়া যাবে। রাফি আর রাজ সোজা রোজার ঘরে যায়। ঘরে গিয়ে দেখতে পায় রোজার পড়ার টেবিলে একটা চিরকুট বই চাপা দেয়া। রাজ সেটা হাতে নিয়ে পড়তে থাকে। চিরকুটে লেখা ছিল....
জানিস ভাইয়া আমাকে অনেকে তোর বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিতো তুই নাকি খারাপ। তুই নাকি মেয়েদের ডিস্টার্ব করিস। জানিস সেদিন আমার বান্ধবী তন্নীর সাথে এটা নিয়ে ঝগড়া হইছিল। তন্নী আমার সাথে কথা বলেনা। কথা না বললে আমার
কি? কেন ও আমার ভাইয়ার নামে মিথ্যে বদনাম করবে? আমার ভাইয়া কি সেরকম নাকি? আমার ভাইয়া ভাল ভাইয়া। আমার ভাইয়া পৃথিবীর সেরা ভাইয়া। ভাইয়া বিশ্বাস কর উপরের এই কথাগুলো এখন থেকে ১ ঘণ্টা আগেও আমি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতাম। কিন্তু আমি ভুল ছিলাম রে ভাইয়া। ভাইয়া জানিস তোর দেয়া আমার জন্মদিনের সেদিনের ট্রিটের টাকাটা আমি নষ্ট করিনি। তোর জন্য একটা ঘড়ি কিনেছিলাম। ড্রেসিংটেবিলের ড্রয়ারে রাখা আছে। কিন্তু প্লিজ এটা পরিসনা। আমার হাতে কেনা কিছু পরার অধিকার তুই হারিয়ে ফেলছিস ১ ঘণ্টা আগে। ও হ্যাঁ আসল কথাই তো বলিনি আমি সেই টাকা দিয়ে একটা নতুন বোরকা কিনেছিলাম। তুই তো জানিস বোরকা আমি অনেক পছন্দ করি যাই হোক এসব কথা তোকে বলে আর লাভ নাই।
কলেজ থেকে আসার সময় ব্রীজের উপর নতুন যে, মেয়েকে দেখে তুই মাল, সে*ক্সি বলেছিলি সেটা আমি ছিলাম রে ভাইয়া। তোর দেয়া টাকা দিয়ে কেনা নতুন বোরকা পরেছিলাম বলে তুই আমাকে চিনতে পারিসনি। কিন্তু আমি তোকে আজ চিনতে পেরেছি রে ভাইয়া। খুব ভাল করে চিনতে পেরেছি। ভাইয়া বিশ্বাস কর আমি মানতে পারতেছিনা রে। আমার ভাইয়া এমন? আমি তোর মুখের দিকে কিভাবে তাকাবো বল ভাইয়া? তুই ঐ মুখ দিয়ে কি কি বলছিস আমায়। ভাইয়া রে আমি পারবনা রে। আমি এই মুখ তোকে দেখাতে পারবনা রে ভাইয়া। আমি সেজন্য চলে যাচ্ছি অনেক দূরে চলে যাচ্ছি। তুই বলতিস না আমি তোর কলিজার টুকরা।
ভাইয়া রে আমি তোর বোন তাই তোর কাছে আমি কলিজার টুকরা। কিন্তু আর যাদের ইভটিজিং করিস তারাও তাদের ভাইয়ের কাছে কলিজার টুকরা। ভাইয়া আমি জানি তুই আমাকে না চিনে এসব বলেছিস। প্লিজ ভাইয়া আর কোনদিন কাউকে এসব বলবিনা। আমি তো চলেই যাচ্ছি আমাকে আর ফিরে পাবিনা। সব
মেয়েদের মাঝে আমাকে খুজে নিস তোর বোন হিসেবে। জানি এখন তুই কাঁদতেছিস। কাঁদিসনা ভাইয়া। আমিও সারা রাস্তা কান্না করছি। ভাল থাকিস ভাইয়া, আমাকে ক্ষমা করে দিস।
শিক্ষা.........
নিজের বোন কলিজার টুকরা অন্যের বোন মাল। এমনটা নয় রে ভাই, চলেন দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাই। বোন তো বোনই হোক সেটা অন্যকারো বোন। ভাই হিসেবে আমাদের দায়িত্ব প্রতিটা বোনের নিরাপত্তা দেয়া।আর এখন উপলব্ধি করতে পারি ফেসবুকে কুড়িয়ে পাওয়া ছোট বড় দুই-একটা বোনের জন্য। নিরাপদ থাকুক প্রতিটি বোন..


© পড়ে ভালো লাগলে আরও সুন্দর গল্প পেতে পেইজটা ফ'লো করবেন সবাই।❤️

লাইক, কমেন্ট করবেন যেন অন্যদের কাছে পৌঁছায়।

মানুষ‌কে অপমান না ক‌রেও সং‌শোধন করার অসাধারণ শিক্ষা। হঠাৎ এক‌দিন রাস্তায় এক বৃ‌দ্ধের সা‌থে এক যুব‌কের দেখা। যুবক একটু আ...
25/12/2024

মানুষ‌কে অপমান না ক‌রেও সং‌শোধন করার অসাধারণ শিক্ষা।

হঠাৎ এক‌দিন রাস্তায় এক বৃ‌দ্ধের সা‌থে এক যুব‌কের দেখা। যুবক একটু আগ বা‌ড়ি‌য়ে গি‌য়ে স‌ম্বোধন ক‌রে বৃদ্ধ‌কে জিজ্ঞাসা কর‌লেন, টিচার আমাকে চিন‌তে পে‌রে‌ছেন ? উত্ত‌রে বৃদ্ধ লোক‌ বল‌লেন না ! আমি তোমা‌কে চিন‌তে পা‌রি‌নি। অতপর বৃদ্ধ লোক জান‌তে চাই‌লেন তুমি কে?

তারপর যুবক‌ বল‌লো যে আমি একসময় আপনার ছাত্র ছিলাম। ও আচ্ছা! ব‌লে সেই বৃদ্ধ লোক‌ যুব‌কের কা‌ছে কুশলা‌দি জানার পর জিজ্ঞাসা কর‌লেন এখন তু‌মি কি কর‌ছো? যুবক‌ অত‌্যন্ত বিন‌য়ের সা‌থে উত্ত‌রে বল‌লো আমি একজন শিক্ষক। বর্তমা‌নে শিক্ষকতা কর‌ছি।

সা‌বেক ছা‌ত্রের মুখ থে‌কে এই কথা শু‌নে বৃদ্ধ শিক্ষ‌ক অত‌্যন্ত খু‌শি হ‌য়ে বললেন "আহ, কতই না ভালো, আমার মতো হ‌য়ে‌ছো তাহ‌লে?"

হ্যাঁ ঠিক! আসলে আমি আপনার মত একজন শিক্ষক হতে পে‌রে‌ছি ব‌লে নি‌জে‌কে ধন‌্য ম‌নে কর‌ছি। তখন সেই যুবক এর পিছ‌নের কারণ বর্ণনা কর‌তে গি‌য়ে বল‌লো আপনি আমাকে আপনার মতো হতে অনুপ্রাণিত হ‌তে উদ্ধুদ্ধ করেছেন।

বৃদ্ধ শিক্ষক কিছুটা কৌতূহল দৃ‌ষ্টি নি‌য়ে যুবকের কা‌ছে শিক্ষক হবার পিছ‌নের কারণ জান‌তে জান‌তে চাই‌লে, সেই যুবক‌ তার শিক্ষক হ‌য়ে উঠার গল্প বল‌তে গি‌য়ে
বৃদ্ধ শিক্ষক‌কে ষ্মরণ ক‌রে দি‌লো স্কু‌লে ঘ‌টে যাওয়া সেই ঘটনা। সে দি‌নের ঘটনা বর্ণনা কর‌তে গি‌য়ে যুবক‌ তখন বৃদ্ধ শিক্ষ‌ককে উ‌দ্দেশ‌্য ক‌রে বল‌লো; ম‌নে আছে টিচার,

একদিন আমার এক সহপা‌ঠি বন্ধু ‌যে আপনারও ছাত্র ছিল, সে একটি নতুন ঘড়ি নি‌য়ে ক্লা‌সে এসেছিল। তার ঘা‌ড়ি‌টি এতটাই সুন্দর ছিল যে আমি লোভ সামলা‌তে পা‌রি‌নি। সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম ঘ‌ড়ি‌টি আমার চাই। অতপর আমি তার প‌কেট থে‌কে ঘ‌ড়িট‌ি চুরি করি।

কিছুক্ষণ পর আমার সেই বন্ধু তার ঘড়ির অনুপস্থিতি লক্ষ্য করে এবং অবিলম্বে আমাদের টিচার অর্থাৎ আপনার কাছে অভিযোগ করে। তার এই অ‌ভি‌যোগ শু‌নে আপনি ক্লাসের উদ্দেশ্যে বলে‌ছি‌লেন, ‘আজ ক্লাস চলাকালীন সম‌য়ে এই ছাত্রের ঘড়িটি চুরি হয়েছে। যে চুরি করেছো, দয়া করে ঘা‌ড়ি‌টি ফিরিয়ে দাও।

হ‌্যাঁ আপনার বার্তা শু‌নেও আমি ঘা‌ড়ি‌টি ফেরত দেইনি কারণ এ‌টি আমার কা‌ছে খুব লে‌াভনীয় ছিল। তারপর দরজা বন্ধ করে আপনি সবাইকে বেঞ্চ ছে‌ড়ে উঠে দাঁড়ি‌য়ে ক্লাসরু‌মের ফ্লো‌রের ম‌ধ্যে একটি গোলাকার বৃত্ত তৈরি করতে বললেন। এবং সবাই‌কে চোখ বন্ধ কর‌তে নি‌র্দেশ দি‌লেন। এরপর ঘড়ি না পাওয়া পর্যন্ত আপনি এক এক করে আমাদের সবার পকেট খুঁজ‌তে লাগ‌লেন।

আমরা সবাই আপনার নির্দেশ মতো দাঁ‌ড়ি‌য়ে রইলাম।
আপনি এক এক ক‌রে পকেট চেক ক‌রে একটা সময় আপনি যখন আমার পকেটে হাত দি‌য়ে ঘ‌ড়ি‌টি খুঁ‌জে পে‌লেন তখন ভ‌য়ে আমার সমস্ত শরীর কাঁপ‌তে ছিল। কিন্তুু সেই মুহূ‌র্তে ঘা‌ড়ি‌টি আমার প‌কে‌টে পাবার পরও আপনি কিছু ব‌লেন‌নি এবং শেষ ছাত্র পর্যন্ত সবার প‌কেট চেক কর‌ছি‌লেন। সব‌শে‌ষে আপ‌নি সবাই‌কে বললেন ঘ‌ড়ি পাওয়া গে‌ছে। এবার তোমরা সবাই চোখ খুল‌তে পা‌রো। ঘ‌ড়ি‌টি পাবার পর আমার সেই বন্ধু‌টি আপনার কা‌ছে জান‌তে চে‌য়ে‌ছিল ঘ‌ড়ি‌টি কার প‌কে‌টে পাওয়া গি‌য়ে‌ছিল? ‌কিন্তুু আপনি তা‌কে ব‌লে‌ছি‌লেন, ঘ‌ড়ি‌টি কার প‌কে‌টে পাওয়া গে‌ছে সে‌টি গুরুত্বপূর্ণ নয়। তোমার ঘ‌ড়ি পাওয়া গে‌ছে সে‌টি গুরুত্বপূর্ণ।

সেই দি‌নের ঘটনা নি‌য়ে পরবর্তী‌তে আপনি আমার সা‌থে কো‌নো কথা ব‌লেন‌নি। এমন‌কি সে কাজের জন‌্য আপনি আমাকে তিরস্কারও করেননি। নৈতিক শিক্ষা দেওয়ার জন্য আপ‌নি আমাকে স্কু‌লের কো‌নো কামরায় নিয়ে যাননি। সেই ঘটনা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে লজ্জাজনক দিন। অথচ আপ‌নি অত‌্যন্ত বু‌দ্ধিমত্তার সা‌থে, কৌশল অবলম্বন ক‌রে চু‌রি হওয়া ঘ‌ড়ি‌টি উদ্ধার কর‌লেন এবং আমার মর্যাদা চিরতরে রক্ষা করলেন।

সে ঘটনার পর আমি অ‌নেক‌দিন অনু‌শোচনায় ভোগে‌ছি। ক্লা‌সে ঘ‌টে যাওয়া ঘটনার রেশ সে দিন চ‌লে গে‌লেও এর প্রভাব র‌য়ে যায় আমার ম‌নের ম‌ধ্যে। বি‌বে‌কের যু‌দ্ধে বার বার দং‌শিত হ‌য়ে‌ছি। তারপর আমি সিদ্ধান্ত নিলাম এই সব অ‌নৈ‌তিক কাজ আর কখ‌নো করব না। একজন ভা‌লো মানুষ হ‌বে‌া। একজন শিক্ষক হ‌বো। স‌ত্যিকার অ‌র্থে মানুষ গড়ার কা‌রিগর হ‌বো। আপনার কাছ থে‌কে সে দিন আমি স্পষ্টভাবে বার্তা পেয়েছিলাম প্রকৃতপ‌ক্ষে কি ধর‌ণের একজন শিক্ষা‌বি‌দ হওয়া উ‌চিত। অপমান ছাড়াও মানু‌ষকে সং‌শোধন করা যায় সে‌টি আপনার কাছ থে‌কে শি‌খে‌ছি। আপনার উদারতা এবং মহানুভবতা আজ আমা‌কে শিক্ষ‌কের মর্যাদায় আসীন ক‌রে‌ছে।

সা‌বেক ছা‌ত্রের কথাগু‌লো শু‌নে বৃদ্ধ শিক্ষক বল‌লেন হ‌্যাঁ সেই ঘটনা আমার ম‌নে আছে। চু‌রি হওয়া ঘ‌ড়ি আমি সবার পকেটে খুঁজেছিলাম। কিন্তুু আমি তোমাকে মনে রাখিনি, কারণ সে সময় আমার চোখও বন্ধ ছিল।



© লিখাটি সেয়ার করতে পারেন।
পরবর্তী গল্প পেতে পেইজটা ফ'লো দিয়ে রাখুন🥀

- "বাবা তুমি তো বলেছিলে পিতৃ ঋণ কোনদিন শোধ হয় না। তুমি ছাব্বিশ বছরে আমার পেছনে যত টাকা খরচ করেছো তুমি কি জানো আমি আগামী...
25/12/2024

- "বাবা তুমি তো বলেছিলে পিতৃ ঋণ কোনদিন শোধ হয় না। তুমি ছাব্বিশ বছরে আমার পেছনে যত টাকা খরচ করেছো তুমি কি জানো আমি আগামী তিন বছরে সে টাকা তোমায় ফিরিয়ে দিতে পারবো”!

বাবা : ( কিছুটা মুচকি হেসে) “একটা গল্প শুনবি?

”ছেলেটা কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেল। নিচু স্বরে বললো-“বলো বাবা শুনবো……”তোর বয়স যখন চার আমার মাসিক আয় তখন দু হাজার টাকা। ওই টাকায় সংসার চালানোর কষ্ট বাড়ির কাউকে কখনো বুঝতে দেইনি। আমি আমার সাধ্যের মধ্যে সব সময় চেষ্টা করেছি তোর ‘মা কে ‘সুখী করতে। তোকে যেবার স্কুলে ভর্তি করলাম সেবারই প্রথম আমরা দুজন- আমি-আর তোর মা পরিকল্পনা করেছি আমরা তোর পড়ার খরচের বিনিময়ে কি কি ত্যাগ করবো।

সে বছর তোর মাকে কিছুই দিতে পারিনি আমি। তুই যখন কলেজে উঠলি আমাদের অবস্থা তখন মোটামুটি ভাল। কিন্তু খুব কষ্ট হয়ে গেছিল যখন তোর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। ঔষধ কেনার জন্য রোজ রোজ ওভারটাইম করে বাসে করে পায়ে হেটে ঘামে ভিজে বাড়ি ফিরতে খুব দুর্বিষহ লাগতো। কিন্তু কখোনো কাউকে বুঝতে দিইনি এমনকি তোর মাকেও না।
একদিন শো রুম থেকে একটা বাইক দেখে আসলাম। সে রাতে আমি স্বপ্নেও দেখেছিলাম আমি বাইকে চড়ে কাজে যাচ্ছি। কিন্তু পরের দিন তুই বায়না ধরলি ল্যাপটপ এর জন্য। তোর কষ্টে আমার কষ্ট হয় বাবা। আমি তোকে ল্যাপটপ টা কিনে দিয়েছিলাম।

আমার তখনকার এক টাকা তোর এখন এক পয়সা! কিন্তু মনে করে দেখ এই এক টাকা দিয়ে তুই বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করেছিস। ব্র্যান্ড নিউ মোবাইলে হেড ফোন কানে লাগিয়ে সারা রাত গান শুনেছিস। পিকনিক করেছিস, ট্যুর করেছিস, কন্সার্ট দেখেছিস। তোর প্রতিটা দিন ছিল স্বপ্নের মতো। আর তোর একশ টাকা নিয়ে আমি এখন সুগার মাপাই। জানিস আমার মাছ খাওয়া নিষেধ, মাংস খাওয়া নিষেধ, কি করে এত টাকা খরচ করি বল! তোর টাকা নিয়ে তাই আমি কল্পনার হাট বসাই। সে হাটে আমি বাইক চালিয়ে সারা শহর ঘুরে বেড়াই। বন্ধুদের নিয়ে সিনেমা দেখতে যাই। তোর মায়ের হাত ধরে তাঁত মেলায় ঘুরে বেড়াই।

বাবারা নাকি “খাড়ুশ টাইপের” হয় । আমিও আমার বাবাকে তাই ভাবতাম। পুরুষ থেকে পিতা হতে আমার কোনো কষ্ট হয়নি, সব কষ্ট তোর মা সহ্য করেছে। কিন্তু বিশ্বাস কর পিতা থেকে দ্বায়িত্বশীল পিতা হবার কষ্ট একজন পিতাই বোঝে। যুগে যুগে সর্বস্থানে মাতৃবন্দনা হলেও পিতৃবন্দনা কোথাও দেখেছিস? পিতৃবন্দনা আমি আশাও করি না। সন্তানের প্রতি ভালোবাসা কোনো পিতা হয়তো প্রকাশ করতে পারে না, তবে কোনো পিতা কখনোই সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্ব পালনে বিচ্যুত হয় না। আমি তোর পেছনে আমার যে কষ্টার্জিত অর্থ ব্যায় করেছি তা হয়তো তুই তিন বছরে শোধ দিতে পারবি…কিন্তু যৌবনে দেখা আমার স্বপ্ন গুলোকে কি ফিরিয়ে দিতে পারবি? তোদের মানুষ করতে গিয়ে আমি যেসব স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারিনি!

যে স্বপ্নের কাঠামোতে দাঁড়িয়ে তুই আজ তোর ঋণশোধের কথা বলছিস, সেই স্বপ্ন গুলো কি আর কোনোদিন বাস্তব রুপ পাবে? আর যদি বলিস বাবা আমি তোমার টাকা না তোমার ভালোবাসা তোমায় ফিরিয়ে দেব, তাহলে বলবো বাবাদের ভালোবাসা কখনো ফিরিয়ে দেয়া যায় না।

তোকে একটা প্রশ্ন করি, ধর তুই আমি আর তোর খোকা তিন জন এক নৌকায় বসে আছি। হঠাৎ নৌকা টা ডুবতে শুরু করলো….যে কোন একজনকে বাঁচাতে পারবি তুই।

কাকে বাঁচাবি? ছেলেটা হাজার চেষ্টা করেও এক চুল ঠোঁট নড়াতে পারছেনা! উত্তর দিতে হবে না। ছেলেরা বাবা হয়, বাবা কখনো ছেলে হতে পারে না। পৃথিবীতে সব চেয়ে ভারী জিনিস কি জানিস? পিতার কাঁধে পুত্রের লা'শ! আমি শুধু আল্লাহর কাছে একটা জিনিস চাই। আমার শেষ যাত্রায় যেন আমি আমার ছেলের কাঁধে চড়ে যাই। তাহলেই তুই একটা ঋণ শোধ করতে
পারবি –তোকে কোলে নেবার ঋণ ।

এরই নাম বাবা❤️❤️বুঝতে পারলি?



নিয়মিত গল্প পেতে পেইজের সাথে থাকুন। 🌿❤️।

এক ভদ্রলোক প্রচুর মদ খেয়ে , জুয়ায় সব টাকা হারিয়ে ... হোটেল থেকে বেরিয়ে নিজের গাড়িতে উঠেছেন ।এমন সময় এক ভিক্ষুক তার কাছে...
25/12/2024

এক ভদ্রলোক প্রচুর মদ খেয়ে , জুয়ায় সব টাকা হারিয়ে ... হোটেল থেকে বেরিয়ে নিজের গাড়িতে উঠেছেন ।

এমন সময় এক ভিক্ষুক তার কাছে ভিক্ষা চায়...

ভিক্ষুক : কটা টাকা দেবেন স্যার ?
বাবু : আমার কাছে একটা পয়সাও নেই ।
এক বোতল মদ আছে । তুমি এটা নাও ।
ভিক্ষুক : আমি মদ খাইনা স্যার।

বাবু : ( পকেট থেকে দামী সিগারেটের প্যাকেট বার করে) তাহলে এটা রাখ ..
ভিক্ষুক : স্যার আমি সিগারেট বিড়ি খাইনা ।

বাবু : (গাড়ী থেকে কিছু রেসের টিকিট বার করে) ঠিক আছে কাল শনিবার .. এটা রাখো ... রেস খেলো ।
ভিক্ষুক : আমি জুয়া খেলি না স্যার ।

বাবু : ( একটু ভেবে) চলো .. তোমাকে একটা মহিলার সাথে আলাপ করিয়ে দিচ্ছি.. ফূর্তি করো।
ভিক্ষুক : আমার বাড়ীতে বউ আছে স্যার ।
আর আমি তাকে খুব ভালোবাসি ।

বাবু : ( পকেট থেকে নিজের কার্ড বার করে) কাল আমার বাড়ী যেও। তোমার সাথে আমার বউ এর পরিচয় করে দেব। তারপর যতো টাকা চাও দেবো ।
ভিক্ষুক : আপনার বউ এর সাথে পরিচয় করতে হবে কেন স্যার ??

বাবু : আমার বউ এর দেখা দরকার যে ,
মদ না খেলে ..
সিগারেট না খেলে..
জুয়া না খেললে..
মহিলা নিয়ে ফুর্তি না করলে
একটা পুরুষ মানুষের কী দশা হয় !!!.......🤣🤣😂😂.........

© মজার গল্প পেতে পেইজে ফ'লো দিয়ে সাথে থাকুন 😊।

এক লোক পাথর কাটার কাজ করতো। লোকটা জীবনে তার অবস্থান নিয়ে খুবই অসন্তুষ্ট থাকতো সবসময়।একদিন সে এক ধনী ব্যবসায়ীর বাড়ির প...
25/12/2024

এক লোক পাথর কাটার কাজ করতো। লোকটা জীবনে তার অবস্থান নিয়ে খুবই অসন্তুষ্ট থাকতো সবসময়।

একদিন সে এক ধনী ব্যবসায়ীর বাড়ির পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। বাড়ির জানালা দিয়ে সে দেখছিলো ব্যাবসায়ীর শান-শওকত। খুব ঈর্ষান্বিত হয়ে সে চিন্তা করতে লাগলো, 'আহা আমি যদি বণিকের মতো হতে পারতাম!'

কি আশ্চর্যের ব্যাপার, লোকটা হঠাৎ বিরাট বণিক হয়ে উঠলো। তার কল্পনার চেয়ে বেশি বিলাসিতা এবং ক্ষমতা উপভোগ করতে লাগলো।

একদিন সে দেখলো রাজ্যের প্রধান বিচারক রাস্তার পাশ দিয়ে যাচ্ছেন। সে দেখলো, বিচারক একটা চেয়ারে বসে আছেন এবং তাকে একদল সৈন্য বয়ে নিয়ে চলছে।

রাস্তার পাশের দোকানিদের সৈন্যরা দেদারসে পেটাচ্ছে।
জনতা বিচারকের সামনে মাথা নত করছে।

বণিকের মনে মনে ভাবতে লাগলো, আহা বিচারক কত শক্তিশালী!
আমি যদি একজন বিচারক হতে পারতাম!"

তারপরে সে এক বিচারক হয়ে উঠলো, তার সৈন্যরা তাকে সেডান চেয়ারে সর্বত্র বহন করে নিয়ে যেতে লাগলো। তার চারপাশের লোকজন তাকে প্রচণ্ড ভয় ও ঘৃণা করতে লাগলো।

এক গ্রীষ্মের দিনে বিচারক সেডান চেয়ারে খুব অস্বস্তি বোধ করেছিলো। সে সূর্যের দিকে তাকালো। আকাশে গর্বিতভাবে জ্বলজ্বল করছিলো সূর্য। বিচারকের উপস্থিতিতে সে একটুও নতজানু হয়নি।

"সূর্য কত শক্তিশালী!" বিচারক ভাবলো।

"আমি যদি সূর্য হতে পারতাম!"

তারপর সে সূর্য হয়ে উঠলো,
সকলের উপর প্রচণ্ডভাবে জ্বলে উঠলো,
ক্ষেত পুড়িয়ে দিলো।

কিন্তু একদিন একটা বিশাল কালো মেঘ তার এবং পৃথিবীর মাঝখানে চলে এলো। সূর্য আর তার আলো দিয়ে নীচের কোন কিছুকেই জ্বলতে পারে না।

"এই মেঘটা কতই শক্তিশালী!" সূর্য ভাবছে।
"আমি যদি মেঘ হতে পারি!"

তারপর সে মেঘ হয়ে ওঠে। বৃষ্টি নেমে, বিদ্যুৎ চমকে সে মাঠ ও গ্রাম প্লাবিত করে দিতে লাগলো।

কিন্তু শীঘ্রই সে দেখতে পেলো যে- তাকে কোন বড় একটা শক্তি দূরে ঠেলে দিচ্ছে। মেঘ বুঝতে পারলো এটা বাতাস।

"এটা কতটা শক্তিশালী!" মেঘ ভাবতে লাগলো।
"আমি যদি বাতাস হতে পারতাম!"

তারপর সে বাতাস হয়ে গেলো।
বাড়ির ছাদ উড়িয়ে দিলো, গাছ উপড়ে ফেলল।

কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই বাতাস আবিষ্কার করলো সে এমন কিছুর সাথে ধাক্কা খাচ্ছে যাকে সে নাড়তে পারছে না কোনক্রমেই। সে দেখলো একটি বিশাল, সুউচ্চ পাথর দাঁড়িয়ে আছে।

"পাথর কতই না শক্তিশালী!" সে ভাবলো।
"আমি যদি একটা পাথর হতে পারতাম!"

তারপর সে একটা পাথরের খণ্ড হয়ে গেলো।
পৃথিবীর অন্যতম শক্ত পদার্থ।
কেউ তাকে নাড়াতে পারে না।

কিন্তু কিছুক্ষণ বাদেই সে লক্ষ্য করলো একটি হাতুড়ির শব্দ ভেসে আসছে। কেউ একজন পাথরটাকে ভাঙছে।

"আমার চেয়ে শক্তিশালী আর কে হতে পারে", পাথর ভাবছে।

সে নিচে তাকিয়ে তার অনেক নিচে একটা লোককে পাথর কাটতে দেখতে পেলো।

সে তার নিজেকে চিনতে পারলো।

---

আমাদের মৃত্যুর পর আমরা পিঁপড়ার খাদ্য হবো, সেই খাদ্যের কিছু অংশ পিঁপড়ার বৃষ্ঠাও হবে। সেখানেও আমরা থাকবো। সেটা হয়তো কোন গাছের খাদ্য হবে। সেই গাছ আবার হয়তো হবে খনিজ।

একটা গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার হবে একদিন। সেই গ্যাস দিয়ে রান্না করার সময় আমি দেখবো আমিই সামনে দাঁড়িয়ে রান্না করছি।

আমিই চুলার গ্যাস, আমিই স্টিলের কড়াই।
আমিই সসপেনের ওপরের ডিম। আবার আমিই সেটা খাচ্ছি।

আমাদের সমস্ত অনুসন্ধানের শেষে আমরা সেই জায়গায় পৌঁছাবো যেখান থেকে আমরা শুরু করেছিলাম।

© আরও গল্প পেতে পেইজে ফ'লো দিয়ে সাথে থাকুন। --পোস্টে রিয়ে'ক্ট, কমেন্ট করে সাপোর্ট দিবেন❤️

25/12/2024

আরেকটি নতুন সকাল দেখার সুযোগ করে দিয়েছেন সেই রবের প্রতি শুকরিয়া আদায় করি।

আলহামদুলিল্লাহ

বাচ্চা যখন ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ মাইন্ডে একটা হাসি দেই তখন বাবা মায়ের কলিজা ঠান্ডা হয়ে যায় 🤗❤️
24/12/2024

বাচ্চা যখন ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ মাইন্ডে একটা হাসি দেই তখন বাবা মায়ের কলিজা ঠান্ডা হয়ে যায় 🤗❤️

24/12/2024

যে মালিক সারাক্ষণ নিঃশ্বাস চালু রেখেছেন সেই মালিক এর নামে শুকরিয়া আদায় করি।

আলহামদুলিল্লাহ

জাপানের তাকামায়া গ্রামে একজন জ্ঞানী ও বৃদ্ধ কৃষক বাস করতেন।কৃষক লোকটির একটা সুন্দর ও শক্তিশালী ঘোড়া ছিল।কৃষি কাজে , ভা...
23/12/2024

জাপানের তাকামায়া গ্রামে একজন জ্ঞানী ও বৃদ্ধ কৃষক বাস করতেন।
কৃষক লোকটির একটা সুন্দর ও শক্তিশালী ঘোড়া ছিল।
কৃষি কাজে , ভারী জিনিস বহনে ও নিত্যদিনের চলা ফেরায় ঘোড়াটিকে তিনি ব্যবহার করতেন।

একদিন ঘোড়াটি হারিয়ে গেলো। তাকে আর খুঁজে পাওয়া গেলো না।

কৃষকের স্ত্রীর খুব মন খারাপ।কিন্তু কৃষক লোকটির কোন অস্থিরতা নেই। তার কোন আফসোস নেই।
হারিয়ে যাওয়া ঘোড়ার জন্য তার কোন দুঃচিন্তা নেই। তাকে দেখে মনে হচ্ছে কোন কিছুই যেন হারায়নি।

আসে পাশের প্রতিবেশীরা এসে বললো,
"তোমার কি দুর্ভাগ্য ! একটা মাত্র ঘোড়া তাও হারিয়ে গেলো "

এই কথা শুনে কৃষক লোকটি একটু মৃদু হেসে বললো , "হতে পারে "

তার কিছুদিন পর ঘোড়াটি আবার কৃষকের বাড়ি ফিরে আসলো এবং তার সাথে আরোও তিনটি বন্য ঘোড়া।

কৃষকের বাড়িতে অনেক আনন্দ।

শুধু হারানো ঘোড়া ফিরে আসেনি , তার সাথে আবার আরোও তিনটা ঘোড়া।

প্রতিবেশীরা আবার দেখতে আসলো , সবাই লোকটিকে বলতে থাকলো ,
"তোমার কি সৌভাগ্য , হারানো ঘোড়া ফিরে পেয়েছো সেই সাথে আবার তিনটা বাড়তি ঘোড়া "

কৃষক আগের মতই হাসি মুখে বললো , "হতে পারে"

দুই দিন পর কৃষকের একমাত্র ছেলে একটা বন্য ঘোড়ায় চড়তে চেষ্টা করে। কিন্তু ঘোড়া থেকে ছিটকে পড়ে যায়।
এবং পড়ে গিয়ে তার পা ভেঙে ফেলে।

এই খবর শুনে প্রতিবেশীরা এসে খুবই আফসোস করলো।
কৃষককে দুঃখ করে বললো ,
"এমন করে ছেলের পা ভেঙে গেলো , সত্যিই বড় দুর্ভাগ্য ! "

কথা শুনে কৃষক লোকটি মুচকি হেসে বললো , "হতে পারে"

পরদিনই কৃষকের বাড়িতে রাজার সৈন্যরা এসে হাজির।
যুদ্ধের জন্য তারা গ্রামের যুবক ছেলেদেরকে ধরে নিয়ে যেতে এসেছে।

কিন্তু কৃষকের ছেলের ভাঙা পা দেখে তাকে না নিয়েই চলে গেলো।

এইবার প্রতিবেশিরা এসে সবাই বললো ,
"তোমারতো দেখছি অনেক বড় সৌভাগ্য , ছেলেকে আর যুদ্ধে গিয়ে মরতে হবে না "

মৃদু হেসে কৃষকের একই উত্তর , "হতে পারে "

বৃদ্ধ কৃষকই ঠিক। এক জীবনে ভালো -মন্দ সবকিছুকেই মেনে নিতে হয়।

~সংগৃহিত~

সুন্দর গল্প পেতে পেইজটা ফ'লো দিয়ে রাখুন🌿🥀।

একবার এক শিকারি ছোট্ট একটি পাখি ধরে ফেললো। পাখিটি খুব বুদ্ধিমান ছিলো। পাখিটি শিকারির খুব প্রশংসা করতে লাগলো যে, তুমি এতব...
23/12/2024

একবার এক শিকারি ছোট্ট একটি পাখি ধরে ফেললো। পাখিটি খুব বুদ্ধিমান ছিলো। পাখিটি শিকারির খুব প্রশংসা করতে লাগলো যে, তুমি এতবড় শিকারি! জীবনে অনেক বাঘ মেরেছো, অনেক ভাল্লুক মেরেছো, এই করেছো, সেই করেছো। আমি একটা ছোট্ট পাখি, আমার ওজন ১০০ গ্রামও না। আমাকে খেয়ে তুমি কী করবে? আমাকে খেলে তো তোমার
পেটের একটা কোনাও ভরবে না। তার চেয়ে বরং আমাকে ছেড়ে দাও।
তোমাকে এমন তিনটি মূল্যবান বাণী শোনাবো, যা তোমার সারাজীবন
কাজে লাগবে।
এমনভাবে সে কথাবার্তা বলছিলো যে শিকারির মন গলে গেল। কারণ তেল পেতে সবাই পছন্দ করে। আরেকজনকে গলানোর সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে তেল। সে ভেবে দেখলো, ঠিকই তো। এত ছোট পাখি খেয়ে কোনো লাভ নেই। তার চেয়ে শুনি, পাখিটা কী বলতে চায়। হয়তো এতে আমার লাভ বেশি হবে।
শিকারি রাজি হওয়ায় পাখিটি বললো, আমি প্রথম বাক্যটি বলবো তোমার
হাতের ওপর বসে, দ্বিতীয় বাক্যটি বলবো এই গাছের ডালে বসে, তৃতীয়
বাক্যটি বলবো গাছের মগডালে বসে। শিকারি বললো, ঠিক আছে। পাখি বললো, ‘কখনো অলীক কল্পনা করো না, যা অবাস্তব সেটা কখনো বিশ্বাস
করো না’। শিকারি বললো, খুব ঠিক কথা। সত্যিই তাই। কখনো অবাস্তব কথায় বিশ্বাস করতে নেই। পাখি বললো, এবার আমাকে গাছের ডালে যেতে দাও। আমি দ্বিতীয় বাক্যটি বলবো। শিকারি ছেড়ে দিলো। গাছের
ডালে উঠে পাখি বললো, ‘যা হাতছাড়া হয়ে গেল তা নিয়ে কখনো আফসোস করো না।’ শিকারি বললো, এটাও ঠিক। যা আর আমার নেই,
তা নিয়ে আফসোস করা তো বোকামি। পাখি এবার মগডালে উঠলো।
শিকারি বললো, এবার তৃতীয় উপদেশটি বল। পাখি বললো, তৃতীয়টি বলার
আগে দেখে নিই, আগের দুটি উপদেশের শিক্ষা তোমার জীবনে কাজে লাগিয়েছো কি না। পাখিটি বললো, আমার পেটে আছে ২০০ গ্রাম ওজনের
একটি মুক্তো। শুনে শিকারি খুব আফসোস শুরু করলো। হায় হায়! এ কী করলাম আমি! এভাবে হাতছাড়া করলাম ধনী হওয়ার এত সহজ সুযোগ! বলেই পাখিকে ধরার ব্যর্থ চেষ্টায় ওপরের দিকে লাফাতে লাগলো। কিন্তু পাখি তো তখন মগডালে। সে হাসলো। বললো, দেখ, আমি আগেই বলেছিলাম, অবাস্তব কথা কখনো বিশ্বাস করো না। আমার ওজনই ১০০ গ্রাম। আমার ভেতরে ২০০ গ্রামের মুক্তো থাকবে কীভাবে? বলেছিলাম,
যা হাতছাড়া হয়ে গেল তা নিয়ে কখনো আফসোস করো না। কিন্তু তুমি তা-ই করছো। তোমাকে আর কোনো উপদেশ দেয়া অর্থহীন। কারণ অধিকাংশ মানুষের মতো তুমিও উপদেশ কান দিয়ে শুনেছো। কিন্তু তা থেকে শিক্ষা নাওনি। তোমার মতো বোকা ও লোভীদের কারণেই প্রতারকরা প্রতারণা করার সুযোগ পায়।

© লিখাটা সেয়ার করতে পারেন🌿🥀
পরবর্তী গল্প পেতে পেইজে ফ'লো দিয়ে সাথে থাকুন।

🙃💔
22/12/2024

🙃💔

🫶🫰
22/12/2024

🫶🫰

বিদেশে থাকিস বলে ভাব লস!!🫵
22/12/2024

বিদেশে থাকিস বলে ভাব লস!!🫵

Address

Chittagong

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when হৃদয়ের কথা posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share