ছাপাখানা প্রকাশনী

  • Home
  • ছাপাখানা প্রকাশনী

ছাপাখানা প্রকাশনী বই হোক সকলের সুখের গান...
(2)

অন্ধকারেরও যে সৌন্দর্য আছে সেটা সকলে অনুভব করতে পারে না, অবলোকনও করতে পারে না। শুধু যার অন্তর্দৃষ্টি আছে সে-ই দেখতে পায়।...
02/02/2025

অন্ধকারেরও যে সৌন্দর্য আছে সেটা সকলে অনুভব করতে পারে না, অবলোকনও করতে পারে না। শুধু যার অন্তর্দৃষ্টি আছে সে-ই দেখতে পায়।

#নষ্টমানুষ

অর্ডার করেছেন তো?

ছাদ লাগোয়া রুম থেকে হাসি মুখে এগিয়ে আসে মুন। হুমড়ি খেয়ে পড়তে গিয়ে নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, “শাড়ি, হিল জুতো পরে অভ্যাস নেই,...
02/02/2025

ছাদ লাগোয়া রুম থেকে হাসি মুখে এগিয়ে আসে মুন। হুমড়ি খেয়ে পড়তে গিয়ে নিজেকে সামলে নিয়ে বলে, “শাড়ি, হিল জুতো পরে অভ্যাস নেই, তাই পড়ে যাচ্ছিলাম।”
গম্ভীর সুরে নাবিল বলে, “তাহলে এসব পরেছো কেন?”
-“বারে! আপনিই তো পছন্দ করে দিলেন। দেখুন কত সুন্দর লাগছে! ছেলে একেবারে ফিদা হয়ে যাবে ,তাই না?”
মুনকে দেখতে আসলেই রূপবতী লাগছে। শাড়ি গহনায় অদ্ভুত মায়াবী ভাব এসেছে। চোখের মুগ্ধতা আড়াল করতে মুখ অন্যপাশে ফেরায়। বুকের ঢিপঢিপ শব্দ কানে ধ্বনিত হয় যেন। ফোঁস করে শ্বাস ছাড়ে নাবিল। মুনকে মানা করার সাধ্য আজ কারো নেই।

-“কী হলো, আপনিও মুগ্ধ? শাড়িতে সেই লাগছে, তাই না?”
-“উহু, একদম মানায়নি। ইঁচরে পাকা বুড়ি লাগছে। মনে হচ্ছে, মাথায় কালো ছাতা দিয়ে কাদাযুক্ত রাস্তায় হেঁটে বেড়ানো কোনো গেঁয়ো মেয়ে। মুখ ভর্তি কী হাবিজাবি চুনকাম মেখেছো! এমন সাজে কেউ তোমাকে পছন্দ করবে না।”
-“এ্যাহ্! আপনার সাথে দেখা করাই ভুল হয়েছে। ফালতু একটা! কুফা কোথাকার! আমি যেন আয়না দেখিনি। আমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।” গাল বাঁকিয়ে উল্টো হাঁটতে লাগে মুন।
-মুন, যেও না, দাঁড়াও!” নাবিলের গলার স্বর নড়বড়ে শোনায়।
ফিরে তাকায় মুন
-“কেন ওদের সামনে যেতে চাইছো তুমি? তোমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখবে। অস্বস্তি হবে না? অপরিচিত মানুষদের সামনে এভাবে সেজেগুজে দাঁড়াবে, তোমার অদ্ভুত লাগছে না?”
চোখ পিটপিট করে তাকায় মুন। দ্বিধায় পড়ে যায়। গলা নামিয়ে বলে, “এভাবে বলছেন কেন? যুগে যুগে এভাবেই কনে দেখা হয়।”
কর্কশ গলায় নাবিল বলে, “যুগে যুগে মেয়েরা বাধ্য ছিল। পরিবার যা চাইতো মেয়েরা তাই করতো। তোমাকে কেউ বাধ্য করেনি। তুমি নিজ থেকেই খুশি মনে লাফাতে লাফাতে যাচ্ছো। কেন?”
অপমানজনক কথায় মুনের গাল লাল হয়ে ওঠে। ভ্রু কুঁচকে ভাবে কিছু। কোমরে দুইহাত রেখে বলে, “নিজে কদিন আগে মেয়ে দেখে আসলেন এখন আমাকে জ্ঞান দিচ্ছেন?”
নাবিল রীতিমতো ধাক্কা খায়।
-“তু.. তুমি কিভাবে জানলে?”

#ক্যাকটাসওটুনটুনি

বই বৃহস্পতিবার হতে কুরিয়ার করা হবে। শুক্রবার থেকে মেলায় পাবেন।

অর্ডার করতে চাইলে পেইজে ম্যাসেজ করবেন।

দিলরুবা লোপার হাত ধরে বললেন, ‘আপা আমার মেয়ে নাই, তিনটাই ছেলে। আপনার মেয়েকে হয়তো আপনাদের মতো শানশওকতে রাখতে পারব না; কিন্...
02/02/2025

দিলরুবা লোপার হাত ধরে বললেন, ‘আপা আমার মেয়ে নাই, তিনটাই ছেলে। আপনার মেয়েকে হয়তো আপনাদের মতো শানশওকতে রাখতে পারব না; কিন্তু আমি ওকে মাথায় তুলে রাখব। একজন মেয়ে তাঁর পরিবার ছেড়ে আমাদের কাছে আসবে। তার কোনও অমর্যাদা আমি বা আমার ছেলে করব না।’

সাবিনা দিলরুবার সুনিপুণ অভিনয় দেখে বোকার মতো তাকিয়ে আছে। একজন মানুষ এতটা মিথ্যুক কী করে হয়! সাবিনার ইচ্ছা করছে সবার সামনে দিলরুবার আসল চরিত্র তুলে ধরতে। পরক্ষণেই ওর মনে হলো, লিয়ানারা ধনী লোক, তাই হয়তো দিলরুবার কাছে তাদের কদর অনেক বেশি। সে আর মুনিয়া সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে বলেই দিলরুবার এত লাঞ্ছনা, বঞ্চনার স্বীকার হয়েছে। আহারে টাকা, টাকা কী চমৎকার করে মানুষের মূল্য নির্ধারণ করে দেয়! সাবিনার বুকের ভেতর থেকে দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এল।

#হৃদয়েরপোস্টমর্টেম

৪০% ছাড়ে অর্ডার করতে পারবেন আজ রাত ৮টা পর্যন্তই!

01/02/2025

১৯/২০ প্রেমকুঞ্জ এবং বারুদের দিনরাত্রি নিয়ে লেখক রুজহানা সিফাত আপুর কিছু কথা…

বইগুলো পাচ্ছেন ছাপাখানা প্রকাশনীর স্টল নাম্বার ৬৭৪-৬৭৫ এ।
ঢাকার বাইরে যারা আছেন, তারা অর্ডার করতে পেইজে ম্যাসেজ করবেন।

#বইমেলা২০২৫

#ছাপাখানাপ্রকাশনী

উপন্যাসিকা দুইটি ৯০ দশকের। একটি ৯০ দশকের শুরুর এবং একটি শেষের দিকের। দশক একই হলেও কাহিনীতে বিস্তর ফারাক। এবং বইদুটির অনু...
01/02/2025

উপন্যাসিকা দুইটি ৯০ দশকের। একটি ৯০ দশকের শুরুর এবং একটি শেষের দিকের। দশক একই হলেও কাহিনীতে বিস্তর ফারাক। এবং বইদুটির অনুভূতির মাত্রাও পড়ার পর একদম ভিন্ন।

নব্বই দশকের স্মৃতিচারণ করতে চাইলে চলে আসুন আমাদের ৬৭৪-৬৭৫ নম্বর স্টলে বইগুলো কিনতে।

যারা ঢাকার বাইরে থাকেন, তারা পেইজে অর্ডার করতে পারবেন।

31/01/2025

কাজ এখনও অল্প বাকি আছে।

নিশা রিক্সা থেকে নেমে গেল, এটা আসিফ খেয়াল করল।কী হলো, ও রিকশা ছাড়লো কেন? তকিব সাহেবও চলে গেলেন! আসিফ ছেলেগুলোকে বিদায় দি...
31/01/2025

নিশা রিক্সা থেকে নেমে গেল, এটা আসিফ খেয়াল করল।
কী হলো, ও রিকশা ছাড়লো কেন? তকিব সাহেবও চলে গেলেন! আসিফ ছেলেগুলোকে বিদায় দিয়ে গেটের বাইরে নিশার পাশে এসে দাঁড়ালো।
নিশাকে আস্তে বললো, “নিশা তোমাকে অনেক অভিনন্দন।”
নিশা বললো, “আপনাকেও।”
-“রিক্সা ছেড়ে দিলে কেন?”
-“এমনিই, হেঁটে যাবো।”
-“আচ্ছা, যাও তাহলে। দাঁড়িয়ে পড়লে কেন?”
-“এমনিই, আপনি চলে যান, অনেক রাত বাড়ছে।”
-“হুম, এসো তোমাকে পৌঁছে দিই!”
-“না আমি একাই যাবো।”
-“আমি এত রাতে তোমাকে একা যেতে দিবো না!”

নিশার চোখে পানি চলে এলো। ও কিছু না বলে হাঁটতে শুরু করলো, আসিফও পাশে পাশে হাঁটতে লাগলো।
-“আপনি কবে বিয়ে করছেন?” নিশা জানতে চাইলো।
-“জানি না, দেখি!”
-“হুম, করে ফেলেন।”
-“হুম!”
-“সেদিন আপনাকে কিছু উল্টোপাল্টা কথা বলেছি, আমার জ্বর ছিল অনেক, সেটা মনে রাখবেন না।”
-“হুম।”
এরপর অনেকক্ষণ দুজন চুপচাপ হাঁটল।
একটা ফাঁকা জায়গায় গিয়ে নিশা আসিফকে বলল, “আপনি আমাকে একদম ভুলে গেছেন, তাই না? কখনো আমার কথা মনে পড়ে না? সুবহানা তো অনেক সুন্দর দেখতে!”
আসিফ কোনো কথা না বলে নিশাকে ওয়ালেটটা বের করে দিলো। নিশা বুঝতে পারলো না।
আসিফ বলল, “এটা খুলে দেখো।”
নিশা ওয়ালেটটা হাতে নিয়ে খুললো, ল্যাম্পপোস্টের আলোয় আবছা হলেও নিশার চিনতে অসুবিধা হলো না, নিশার পাসপোর্ট সাইজের সাদাকালো ছবিটা, যেটা রেজিষ্ট্রেশনের দিন নিশা আসিফকে দিয়েছিল।
নিশা হঠাৎ আসিফকে জড়িয়ে ধরে ফুঁপিয়ে কেঁদে ফেলল।
-“নিশা, পাগলামি করে না, প্লিজ ছাড়ো। কেউ দেখে ফেললে তখনতোমাকেই বদনাম করবে। সেই ছোটোবেলার পাগলামি ধরে রেখো না নিশা! হয়তো তোমার জন্য যেটা ভালো সেটাই হতে চলেছে।”
নিশা আরো জোর করে ধরতে চাইলেও আসিফ ওকে ছাড়িয়ে দিলো।
তারপর বললো, “এসো, তোমাকে পৌঁছে দিয়ে আমি বাসায় যাব।”
আসিফের ভেতরে ভেতরে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে, কিন্তু কিছুতেই সে কাউকেকিছু বলতে পারছে না। নিশাকেও না। নিশাকে রেসিডেন্সিয়াল এরিয়ায় ঢুকিয়ে দিয়ে আসিফ চলে এলো।
নিশা, তুমি তো চলে গিয়েছিলে, তাহলে আবার কেন সামনে এলে? কেন?

#আমিতোমাকেইবলেদেবো

অর্ডার করতে পেইজে ম্যাসেজ করবেন।

**মেলা থেকে সরাসরি নিতে পারবেন ১০ তারিখের পর। আগে আসলে আরও আগে পাবেন।**

নষ্ট মানুষ উপন্যাসিকাটির প্রি-অর্ডার আপাতত প্রকাশনীর পেইজ থেকে নেয়া হচ্ছে না। বইটি সরাসরি মেলা থেকে কিনতে পারবেন। ১২/১৪ ...
30/01/2025

নষ্ট মানুষ উপন্যাসিকাটির প্রি-অর্ডার আপাতত প্রকাশনীর পেইজ থেকে নেয়া হচ্ছে না। বইটি সরাসরি মেলা থেকে কিনতে পারবেন। ১২/১৪ তারিখের মধ্যে আশা করি চলে আসবে বইটি।
কোনো পাঠক যদি আগের অর্ডারকৃত বইয়ের সাথে এই বইটি অর্ডার করতে চান তো পেইজে ম্যাসেজ করবেন।

এছাড়া বিভিন্ন বুকশপে বইটি প্রি-অর্ডার করার অপশন আছে। (বইপরী, ক্ষণিকা, বুকলেট, বই প্রাঙ্গন)

দিলরুবা কল করছেন। লোপা ঘড়ি দেখলেন, রাত সাড়ে বারোটা বাজে৷ এত রাতে মহিলা কেন কল করলেন? লোপা ফোন ধরে সালাম দিলে, দিলরুবা বল...
29/01/2025

দিলরুবা কল করছেন। লোপা ঘড়ি দেখলেন, রাত সাড়ে বারোটা বাজে৷ এত রাতে মহিলা কেন কল করলেন? লোপা ফোন ধরে সালাম দিলে, দিলরুবা বললেন, ‘আপা, কী হয়েছে বলেন তো? রাখী ফোন করে আমাকে বড়ো বড়ো কথা শোনাল। তুষার কী করেছে? ওর কী ঘটনা জেনে সবাই মিলে এমন তুলকালাম শুরু করেছেন?’
‘আপনি উত্তেজিত হচ্ছেন কেন? উত্তেজিত হওয়ার কথা তো আমার। আপনারা তুষারের এই সমস্ত ঘটনা আমাদেরকে জানাননি কেন?’
‘আপা, আজকের দিনে এটা এমন কোনো বড়ো ব্যাপার না। মানুষ আগের বিয়ের কথা লুকিয়ে, নতুন করে বিয়ে করে আর এ তো সামান্য এনগেজমেন্ট।’
‘সামান্যই যদি হবে, তাহলে লুকালেন কেন? তুষার স্কটল্যান্ডে যে সব নোংরামি করেছে, সেটাও কী সামান্য?’
‘আপা, আপনারা কোন জমানায় আছেন, বলেন তো? আপনারা নাকি আধুনিক, স্মার্ট মানুষ। আপনাদের হাই সোসাইটিতে এসব তো ডালভাত। তাহলে তুষারের এটুকু ব্যাপারে এত অবাক হচ্ছেন কেন?’
‘আপনি ভেবেচিন্তে কথা বলছেন?’
‘ভেবেচিন্তেই বলছি। আমার ছেলের কোনো সম্মানই আপনারা করেননি। একটা ফকিরও মেয়ের বিয়েতে সংসারের সব জিনিস দিয়ে দেয়। আপনারা নাকি বড়োলোক! বড়োলোকের নমুনা দেখলাম তো।’
‘আপনাদের এতগুলো মিথ্যাচার আর নোংরামি যে আমাদের সামনে এল, এতে আপনারা এতটুকুও লজ্জিত না?’
‘লজ্জা কেন পাব, আমি তো সেটাই বুঝতে পারছি না। আপা, শোনেন, যা হয়েছে সব ভুলে যান। ওরা ছোটো মানুষ, না বুঝে ঝগড়া করেছে। একটু পরেই মিলেমিশে যাবে। ওদের নিয়ে আমরা কেন নিজেদের মধ্যে ঝামেলা করছি? আমার কথা শোনেন, আমার এই ছেলেটার একটু মাথা গরম। সহজেই রেগে যায়। ওর একটা গাড়ির খুব শখ ছিল। ভাইকে বলেন তুষারকে একটা গাড়ি কিনে দিতে। দেখবেন ওর মাথা একদম ঠান্ডা হয়ে গেছে।’
‘আমি জীবনে অনেক নির্লজ্জ মানুষ দেখেছি; কিন্তু আপনার মতোন এমন নির্লজ্জ এই প্রথম দেখলাম! আপনার ছেলে ঠিক আপনার মতো হয়েছে। মিথ্যুক, নির্লজ্জ এবং ধূর্ত।’
‘আপনি আমাকে এত বড়ো কথা বললেল? এই কথা যদি তুষারের কানে যায়, সে আপনার মেয়ের দিকে ফিরেও তাকাবে না।’
‘আপনার ছেলেকে বলে দেবেন, আমার মেয়ের দিকে ফিরে তাকানোর সাহস যেন না করে।’

লোপা কথাটা বলে লাইন কেটে দিলেন। আজ রাতে তাঁর আর ঘুম আসবে না।

#হৃদয়েরপোস্টমর্টেম

৪০% ছাড়ে অর্ডার করার সুযোগ আছে ২-রা ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা পর্যন্তই।

নাবিলের দিকে ঘুরে খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে মুন বলে, ‘নাবিল ভাই, আপনি অফিসে কী করেন সারাদিন? সব তো তানি আপুই সামলায়। আজ টেনশ...
28/01/2025

নাবিলের দিকে ঘুরে খুব স্বাভাবিক ভঙ্গিতে মুন বলে, ‘নাবিল ভাই, আপনি অফিসে কী করেন সারাদিন? সব তো তানি আপুই সামলায়। আজ টেনশনে উনার মাথা পাগল হওয়ার মতো, আপনি কি-না গায়ে হাওয়া লাগিয়ে আমার সাথে ঘুরছিলেন? আপনি তো দেখি লাঙ্গল টাইপ মানুষ!’
অদ্ভুত কথা শুনে নাবিল ভ্রু তুলে মুনের দিকে তাকায়।
-‘বোঝেননি? শুনুন, জমি চাষ করতে লাঙ্গল দরকারী। কিন্তু সেই লাঙ্গল টানার জন্য গরু দরকার। আপনি তো গরু ছাড়া পুরোই অচল। তানি আপু ছাড়া আপনার অফিস চলবে কিভাবে?’
মুনের কথা কোন দিকে যাচ্ছে ধরতে একটু সময় লাগে তানির। বুঝতেই চিৎকার করে বলে, ‘গরু কাকে বলছো তুমি? তোমার সাহস দেখে অবাক হচ্ছি! কী মনে করো নিজেকে? আনস্মার্ট, ক্ষ্যাত কোথাকার!’
-‘সেটাই তো! নিজেকে আমি আনস্মার্ট, ক্ষ্যাত, অশিক্ষিত রাখাল মনে করি। রাখালেরা কোনো কাজই ঠিকমতো পারে না। খালি পারে ভবঘুরের মতো ঘুরে বেড়াতে আর বাঁশি বাজাতে। আর একটা কাজ রাখালেরা খুব ভালোই পারে। সেটা হলো গরুর পা*ছায় লাঠি দিয়ে সপাং সপাং বাড়ি মারতে।’

#ক্যাকটাসওটুনটুনি

অর্ডার করতে পেইজে ম্যাসেজ করবেন।

‘মেয়ে কোথায় যায়, কার সাথে ঘোরে, কোনো খবর রাখেন?’ মিলি, দিলরুবার কথার কিছুই বুঝলেন না। পালটা প্রশ্ন করলেন, ‘আপা, আপনি কি ...
28/01/2025

‘মেয়ে কোথায় যায়, কার সাথে ঘোরে, কোনো খবর রাখেন?’
মিলি, দিলরুবার কথার কিছুই বুঝলেন না। পালটা প্রশ্ন করলেন, ‘আপা, আপনি কি আমাকে বলছেন?’
‘আমার ছেলের নামের আংটি হাতে পরে মিত্রা বেলাল্লাপনা করে বেড়াচ্ছে, সেটা আপনি দেখেন না? আপনার মেয়ে ফেসবুকে ছবি দিয়ে দুনিয়ার মানুষকে দেখাচ্ছে আর আপনি না জানার ভান করে বসে আছেন?’
মিলি দিলরুবার কথার মাথামুণ্ডু কিছুই বুঝতে পারলেন না৷ তিনি বললেন, ‘আপা আমি আপনাকে পরে ফোন করছি৷ এখন আমি ব্যস্ত আছি।’
মিলি লাইন কেটে দেওয়ার সময় শুনতে পেলেন, ‘শোনেন, শোনেন, ফোন রাখবেন না, শোনেন….’

মিলি, মিত্রার রুমে এসে বললেন, ‘মিত্রা লেখাটা বন্ধ করো। তুমি কী আজকে কোনো ছবি পোস্ট করেছ?’
মিত্রা কথার উত্তর না দিয়ে কেঁদে ফেলল। মিলি অবাক হয়ে বললেন, ‘কাঁদছ কেন! কী হয়েছে মিত্রা?’
মিত্রা চোখ মুছে, ফেসবুকে ঢুকে পোস্ট করা ছবিগুলো দেখিয়ে বলল, ‘এই ছবিগুলো পোস্ট করেছি দেখে তুষার আমাকে ভীষণ নোংরা কথা বলেছে।’
এরপর মিত্রা, তুষারের বলা সব কথা তার মাকে বলল। সব শুনে মিলি বললেন, ‘তুষার সত্যিই বলেছে এই কথা?’
‘হ্যাঁ, মা।’
মিলি সবগুলো ছবি দেখলেন৷ তাঁর কাছে কোনো ছবিকেই অশালীন বা নোংরা মনে হলো না। একদল ছেলেমেয়ে মিলে আনন্দ করছে আর সেই মুহূর্তগুলোই ক্যামেরা বন্দি করা হয়েছে৷ এই ছবি দেখে তুষার এত অসভ্যতা করেছে তাঁর মেয়ের সঙ্গে!
তিনি বললেন, ‘ঠিক আছে, তুমি পড়ো৷ মন খারাপ করো না। আমি ওদের সাথে কথা বলব৷’

নিজের রুমে ফিরে এসে মিলি, দিলরুবাকে ফোন দিলেন৷ দিলরুবা ফোন ধরেই তেজের সাথে বললেন, ‘আপনি কলটা এভাবে রেখে দিলেন কেন?’
মিলি শান্ত গলায় বললেন, ‘আপনি যেন মিত্রার সম্পর্কে কী বলতে চেয়েছিলেন? এখন বলেন।’
দিলরুবা এবার কিছুটা নরম সুরে বললেন, ‘মেয়ে কোথায় যায়, কী করে, এসবের কী খোঁজখবর রাখেন আপনারা?’
‘আমার মেয়ে কোথায় যায়, কার সঙ্গে মেশে, আমি তার সমস্ত খোঁজ রাখি। আপনি যে ছবির কথা বললেন, আমি সেগুলো দেখলাম৷ মিত্রা ওর বন্ধুদের সঙ্গে ছবি তুলেছে। নাহিদের জন্মদিন ওরা আনন্দ করে উদযাপন করছিল। আপনারা এই বিষয়টাকে এত নোংরাভাবে কেন দেখছেন, আমার মাথায় আসছে না! সেখানে মিত্রা একা ছিল না। আরও দশ-বারোজন ছেলেমেয়ে ছিল ওখানে। আপা, আপনি কী জানেন, তুষার, মিত্রার সাথে কী ধরণের নোংরা ভাষায় কথা বলেছে?’
‘শোনেন আপা, যার সাথে দুদিন পর বিয়ে হবে, সেই মেয়ে যদি এভাবে ছেলেদের সাথে ঘুরে বেড়ায়, যে কোনো ছেলের মাথা গরম হবেই। তুষারেরও মাথা গরম হয়েছে। এটাই স্বাভাবিক। আপনি মিত্রাকে বলেন, এরপর সে যেন এই ধরণের ভুল আর না করে। আমি তুষারকে বলব, এবারের মতো মিত্রাকে মাফ করে দিতে।’
মিলির ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছিল; কিন্তু নিজেকে সংযত রেখে তিনি বললেন, ‘আপা একটা কথা বলব?’
দিলরুবা বুঝতে পারলেন, মিলি ভয় পেয়েছে। বিষয়টা তিনি এনজয় করলেন। ভাব দেখিয়ে বললেন, ‘বলেন দেখি, কী বলতে চান আপনি৷’
‘আপনারা যে ছবিগুলো দেখেছেন, এতে আমি খুব খুশি হয়েছি। আপনারা ছবিগুলো না দেখলে, হয়তো এই পরিস্থিতির জন্ম হতো না।’
‘সেটাই। মিত্রাকে সাবধান করে দেবেন, ভবিষ্যতে যেন আর কখনও এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।’
‘অবশ্যই বলব আর আপনাকে ধন্যবাদ, সময় থাকতেই নিজেদের আসল চেহারাটা দেখানোর জন্য।’
দিলরুবা বললেন, ‘আসল চেহারা মানে?’
‘আপনার ভাগ্য ভালো যে, আপনার ছেলে দেশের বাইরে আছে৷ তুষার যদি দেশে থাকত, মাহবুব ওকে এই বেয়াদবির জন্য উচিত শিক্ষা দিত৷’
‘আপনি কী বলছেন এইসব! আপনি জানেন, আপনি একজন ছেলের মার সঙ্গে কথা বলছেন? আমি যদি এখন বিয়েটা ভেঙে দিই, আপনার মেয়ের কী হবে, সেটা আপনার জানা আছে?’
মিলি হেসে বললেন, ‘ছেলের মা! আপা, আপনার কথাগুলো বাংলা সিনেমার ডায়ালগের মতো শোনালো। থাক আপনার আর রাগ করতে হবে না। আমি নিজেই এই বিয়ে ভেঙে দিচ্ছি৷ কালকে ড্রাইভারকে দিয়ে আপনাদের আংটি পাঠিয়ে দেবো।’ দিলরুবাকে কথা বলার সুযোগ না দিয়ে, মিলি ফোন রেখে দিলেন৷

#হৃদয়েরপোস্টমর্টেম

৪০% ছাড়ে অর্ডার করার সুযোগ আছে ২-রা ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা পর্যন্তই।

 #প্রি_অর্ডার_পোস্টউপন্যাস- হৃদয়ের পোস্টমর্টেমধরণ- সামাজিক-সমকালীন   লেখক: ফারজানা ইসলাম প্রচ্ছদ: ফাইজা ইসলাম প্রকাশনী: ...
27/01/2025

#প্রি_অর্ডার_পোস্ট

উপন্যাস- হৃদয়ের পোস্টমর্টেম
ধরণ- সামাজিক-সমকালীন
লেখক: ফারজানা ইসলাম
প্রচ্ছদ: ফাইজা ইসলাম
প্রকাশনী: ছাপাখানা
মু্দ্রিত মূল্য: ৮২০ টাকা
প্রি-অর্ডার মূল্য: ৪৯২ টাকা (৪০%+ ছাড়ে) (কুরিয়ার চার্জ যোগ করতে হবে।)
**৪০% ছাড় কেবলমাত্র ২রা ফেব্রুয়ারি রাত ৮টা পর্যন্ত প্রযোজ্য।**
(ইন্সটলমেন্ট সুবিধায় বই নেয়ার সুযোগ আছে)

**মূল্যের সাথে নিচের যে মাধ্যমে বই নিবেন সে মাধ্যমের চার্জ যোগ করে নিবেন।**
**বেশি বইয়ের ক্ষেত্রে কুরিয়ার চার্জ ভিন্ন হবে।**

সুন্দরবনের শাখা হতে নিলে: ৬০ টাকা
সুন্দরবনের মাধ্যমে ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের মধ্যে অগ্রিম পেমেন্টে হোম ডেলিভার নিলে: ৭০ টাকা
পোস্ট অফিসে নিলে চার্জ: ৬০ টাকা
ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরের মধ্যে ক্যাশ অন চার্জ: ৭০ টাকা

***ক্যাশ অনের জন্য নাম, পূর্ণ ঠিকানা, ফোন নাম্বার দিবেন কেবল। বই কুরিয়ার আমরা থার্ড পার্টির মাধ্যমে করি। তাই কেউ ডেলিভারম্যানকে ভাংতির পরিবর্তে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে পরে ফেরত পেতে ঝামেলা হলে এর দায়ভার আমরা নিবো না।

***বই ফেব্রুয়ারি মাসের ১০/১৫ তারিখ হতে বিতরণ শুরু হবে। আগে রেডি হলে আরো আগেই পাবেন।

#নগদ নম্বর:
01309009075 (ব্যক্তিগত)
#রকেট নম্বর:
013090090753 (ব্যক্তিগত)

#বিকাশ নম্বরসমূহ:
01309009075 (ব্যক্তিগত)
01511000416 (ব্যক্তিগত)
01705285176 (মার্চেন্ট)

ব্যক্তিগত নম্বরের ক্ষেত্রে সেন্ড মানি অপশনে টাকা দিবেন। এবং বিকাশ মার্চেন্ট নম্বরে পেমেন্ট অপশনে গিয়ে টাকা দিতে হবে।

#নিয়মাবলী

***টাকা বিকাশ করার পর যে নম্বর থেকে বিকাশ করেছেন তার শেষের ৩টি ডিজিট, আপনার নাম, ঠিকানা, ফোন নাম্বার পেইজের ইনবক্সে বা 01309009075 নম্বরে ম্যাসেজ করে জানাবেন। তবে যোগাযোগের ক্ষেত্রে পেইজ বা ফোন যে কোনো একটিতে ম্যাসেজ করবেন। দু জায়গায় একসাথে ম্যাসেজ করে আমাদের বিভ্রান্ত করবেন না।
***এজেন্ট থেকে বিকাশ বা রকেট বা নগদ করলে, টাকা পাঠানোর পর সাথে সাথে পেইজে ম্যাসেজ করে রিপ্লাই না পেলে সেক্ষেত্রে আমাদের কল করে নিশ্চিত হয়ে নিবেন টাকা এসেছে কিনা। কল টাইম সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। এজেন্ট পেমেন্ট আমরা কনফার্ম করলে পেইজের ইনবক্সে অথবা 01309009075 নম্বরে ম্যাসেজ করে বিকাশের শেষের তিন ডিজিট, আপনার নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর দিবেন।
***আমরা কেবল মাত্র সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস, এবং পোস্ট অফিসের মাধ্যমে বই পাঠাবো। ক্যাশ অন সার্ভিস আলাদা কুরিয়ারের মাধ্যমে পাঠানো হয়।
***সুন্দরবনে কিছু শাখাতে বেশ বাজেভাবে বই হ্যান্ডেল করা হয়। তাই কুরিয়ারের সমস্যার কারণে বইয়ের বাহ্যিক দিকে কোনো ড্যামেজ হলে আমাদের কিছু করণীয় নেই। আপনাদের শাখাতে যদি বই ড্যামেজ হবার অভিজ্ঞতা থাকলে ঢাকা বেইসড কোনো বুকশপ বা রকমারি থেকে বই অর্ডার করার অনুরোধ রইল।
তবে বইয়ের ভেতরে পেইজের কোনো সমস্যা থাকলে বা ভেতরে ছেঁড়া থাকলে বই বদলে দেয়া হবে।
***অনলাইন বুকশপ থেকে অর্ডার করার ক্ষেত্রে পেইজ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে এবং যাচাই করে বই অর্ডার করার অনুরোধ রইল। কোনো অনলাইন পেইজ দ্বারা প্রতারিত হলে আমাদের কিছু করণীয় নেই। প্রয়োজনে যাচাই করার জন্য লেখকের গ্রুপে পোস্ট দিয়ে নিশ্চিত হয়ে নিতে পারবেন।

***কেউ তাড়াহুড়া করে ফ্লেক্সি করবেন না। ফ্লেক্সি করলে টাকা ফেরতযোগ্য নয়।

***অনেক সময় অর্ডার প্রেসারের কারনে সাথে সাথে অর্ডার কনফার্ম করা সম্ভব হয় না। ব্যক্তিগত নম্বর থেকে বিকাশ করলে সেক্ষেত্রে ২-৩ ঘন্টা অপেক্ষা করতে হতে পারে। ২-৩ ঘন্টার মধ্যে কনফার্মেশন না পেলে পেইজের ইনবক্সে নক করবেন।

ধন্যবাদ

👉🏻 প্রি-অর্ডার শুরু হবে আজ রাত ৮টায়। 👉🏻 ১ম দশজন পাবেন লেখকের পক্ষ থেকে চিঠি। ১ম ১০জন বাদে স্পেশাল অফারে যারা প্রি-অর্ডার...
27/01/2025

👉🏻 প্রি-অর্ডার শুরু হবে আজ রাত ৮টায়।
👉🏻 ১ম দশজন পাবেন লেখকের পক্ষ থেকে চিঠি। ১ম ১০জন বাদে স্পেশাল অফারে যারা প্রি-অর্ডার করবেন, তারা পাবেন লেখকের পক্ষ থেকে চিরকুট।
👉🏻 বুকমার্ক থাকবে। (প্রিন্টেড এবং হ্যান্ড মেইড)

উপরোক্ত সুবিধাগুলো প্রকাশনীর পেইজ থেকে যারা সরাসরি অর্ডার করবেন, তাদের জন্য প্রযোজ্য॥

সাবিনা সাহস করে বলেই ফেলল, ‘মা আমি তমালকে ভালোবাসি। তুমি অকারণে ভয় পাচ্ছ। পাশ করে আমরা দুজন যখন চাকরি করব, তখন কোনো সমস্...
25/01/2025

সাবিনা সাহস করে বলেই ফেলল, ‘মা আমি তমালকে ভালোবাসি। তুমি অকারণে ভয় পাচ্ছ। পাশ করে আমরা দুজন যখন চাকরি করব, তখন কোনো সমস্যা থাকবে না।’
‘এটা তোমার কম বয়সের অপরিণত ভাবনা । বাস্তব অনেক বেশি কঠিন। জীবনের কঠিন আর জটিল দিকগুলো তো এখনও দেখোনি, তাই বুঝতে পারছ না। সংসার জীবনে একবার ঢুকে গেলে, পালানোর আর পথ পাবে না। এখন যে রঙিন স্বপ্নগুলো দেখছ, বিয়ের পর সেগুলোই দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠবে। অভাব বড্ড খারাপ জিনিস। কখনও তো অভাবে থাকোনি, থাকলে বুঝতে অভাব কী জিনিস। আমি অভাব দেখেছি আর দেখেছি বলেই সময়মতো সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পেরেছি।’
‘মা, তুমি আগেই কেন খারাপ দিকটা ভাবছ?’
‘কারণ পরে ভেবে কোনো লাভ হবে না। যা ভাবাভাবির, সব আগেই ভাবতে হবে। বললাম তো, সম্পর্ক ছিল, ঠিক আছে। এখন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসো। তোমার জন্য যখন নিশ্চিত জীবন অপেক্ষা করছে, তুমি কেন খামেখা অনিশ্চিত জীবনের দিকে পা বাড়াবে?’
‘এত লাভ-ক্ষতি দেখে কেউ সম্পর্ক করে না, মা।’
‘বুদ্ধিমানরা করে। হাতের কাছে যখন স্কলার পাত্র আছে, তখন তুমি এমন ছেলেকে বিয়ে করবে কেন? টুটুলের সাথে বিয়ে হলে তুমি নিশ্চিন্ত একটা জীবন পাবে।’
‘টুটুল ভাইয়ের সাথে বিয়ে হলেই আমি ভালো থাকব!’
‘হ্যাঁ, ভালো থাকবে। এইসব হলো দুইদিনের আবেগ। দুইদিন পর তমালের কথা তোমার মনেও পড়বে না। আমি কাগজে লিখে দিতে পারি।’
‘ভালো চাকরি আর টাকাপয়সা মানুষের জীবনের সুখ নিশ্চিত করে না, মা। প্লিজ এটা বুঝতে চেষ্টা করো।’
‘আমি তোমাকে বকাবকি করে, ধমক দিয়ে কিছু বলতে চাই না। আমি চাই তুমি আমার কথাগুলো বুঝে, এখন থেকে সেই অনুযায়ী কাজ করবে।’
‘মা, একটা কথা বলব?’
‘কী?’
‘স্বপ্না আপুরও কিন্তু অনেক টাকাপয়সাওয়ালা ঘরে বিয়ে হয়েছিল। ওর বর যখন হুট করে মরে গেল, স্বপ্না আপুর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ওকে খালি হাতে বড়ো চাচার বাসায় পাঠিয়ে দিলো। স্বপ্না আপু কিছু করতে পেরেছে আজ পর্যন্ত? তাহলে নিশ্চিত জীবন কী করে হলো, বলো?’
‘স্বপ্নার ব্যাপারটা একটা দুর্ঘটনা। তুমি কেন ভাবছ তোমার সাথেও এমন হবে?’
‘দুর্ঘটনা কখন কার সাথে ঘটবে, এটা কী আগে থেকে জানা যায়?’
‘তুমি কী আমার সাথে তর্ক করতেই থাকবে?’
‘মা, আমি তোমার সাথে তর্ক করছি না। আমি শুধু বলতে চাচ্ছি, নিশ্চিত জীবন পাওয়ার জন্য আমি কারও ওপর নির্ভর করতে চাই না। আমি নিজে লেখাপড়া করে শিক্ষিত হচ্ছি, আমি কেন অন্যের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকব?’

#হৃদয়েরপোস্টমর্টেম

প্রি-অর্ডার শুরু হবে সোমবার রাত ৮টা হতে।
আনুমানিক অর্ডার মূল্য ৬০০ টাকার কাছাকাছি হতে পারে চার্জ সহ।

24/01/2025

আমাদের দেখতে আসবেন। ১লা ফেব্রুয়ারি থেকে প্যাভিলিয়ন-স্টল গুছিয়ে সবাই আপনাদের অপেক্ষায় থাকবে।
আসবেন, গল্প করবেন, লেখকদের সাথে সেল্ফি-কুল্ফি তুলবেন আর অনেক মজার স্মৃতি দিয়ে/নিয়ে যাবেন।

আর একটু করে আমাদের স্টল নাম্বার ৬৭৪-৬৭৫ এ ঢুঁ মেরে যাবেন। স্টলের লোকেশন কিন্তু গতবছরের আশেপাশে। ক্রিয়েটিভ ঢাকার উল্টোপাশে এবং কর্নারে পড়েছে।

-“মেয়েটা কে রে?”-“কোন মেয়ে?”-“যার সাথে একটু আগে কথা বললি?”বুঝতে না পেরে নাবিল বলে, “কার সাথে কথা বললাম?”-“আরেহ, নাবিল ভা...
24/01/2025

-“মেয়েটা কে রে?”
-“কোন মেয়ে?”
-“যার সাথে একটু আগে কথা বললি?”
বুঝতে না পেরে নাবিল বলে, “কার সাথে কথা বললাম?”
-“আরেহ, নাবিল ভাই, নাবিল ভাই বলে জান দিচ্ছিল যে!”
-“ও... ওটা মুন, তুই বুঝলি কী করে?”
-“তুই রিং দিলি যখন আমি ধরেছিলাম, টের পাসনি। মুন কী হয় তোর?”
নাবিল গম্ভীর সুরে বলে, “কেউ না।”
-“কেউ না আবার কী? তোর পুরো বায়োডাটা জানে।”
-“মুনকে দিয়ে তোর কাজ কী?”
-“আছে, আগে বল তোর বিশেষ কেউ?”
-“বলতে পারিস, শত্রু বিশেষ। বিরক্তিকর এক মেয়ে! বেশি কথা বলে। সারাদিন আমার বাসাতেই পড়ে থাকে। মায়ের চোখের মণি। আর কিছু?”
-“বাহ্, ভালো তো! মুনের কণ্ঠটা দারুণ, শুনেই আমার মাঝে প্রেম প্রেম ভাব উদয় হচ্ছে।”
-“বাজে বকিস না! টেলিফোনে কণ্ঠ শুনেই প্রেমে পড়া, এসব আগের যুগে হতো।”
-“প্রেমে পড়তে কোনো যুগ, দশক, শতাব্দী লাগে না। তুই বল, মুন দেখতে কেমন? কোথায় পাবো তাকে?”
-“দেখ হিমেল, দেশে আসার পর থেকেই মুনের চেহারা দেখতে দেখতে আমি বিরক্ত। ওকে দেখলেই অসহ্য লাগে। তারওপর তুই এসব...”
-“আহা,বল না দেখতে কেমন?”
-“জানি না, ফোন রাখ। ছেঁচড়া লাগছে তোকে। এই প্রসঙ্গে আর একটা কথা বললে আমি রিকশা ঘুরিয়ে ঘরে ফিরে যাবো।”

#ক্যাকটাসওটুনটুনি

অর্ডার করতে পেইজে ম্যাসেজ করবেন।

উচ্চশিক্ষার পাঠ চুকিয়ে রাজ্যে ফিরে আসে রাজকুমার নাবিল শেখ। আবিষ্কার করে তার প্রিয় রাজ্যটি দখল করে নিয়েছে ভিনদেশি অচেনা এ...
22/01/2025

উচ্চশিক্ষার পাঠ চুকিয়ে রাজ্যে ফিরে আসে রাজকুমার নাবিল শেখ। আবিষ্কার করে তার প্রিয় রাজ্যটি দখল করে নিয়েছে ভিনদেশি অচেনা এক রাজকুমারী। রাজকুমারের গর্ভধারিনী মা রেহানা বেগমও সেই রাজকন্যার যাদুমন্ত্র দ্বারা বশীভূত।
রাজ্যের এমন বেদেখল কী করে মেনে নেবে নাবিল শেখ?
রাজ্য পুনরুদ্ধার করতে তাচ্ছিল্যের গোলা, অগ্নি চাহনি, রূঢ় বাক্যের তীর ক্রমাগত নিক্ষেপ করে দূর্বল করা হয় আত্মবিশ্বাসী রাজকন্যাকে।
তবু রাজ্যটি দখলে আসে না।
পারদর্শী যুদ্ধবাজ হয়েও অতি সাধারণ রাজকন্যার কাছে হার মানার প্রশ্নই আসে না। তাহলে ভুলটা কোথায় হচ্ছে?
রাজকুমার কি পারবে স্বগৌরবে নিজ রাজত্ব ফিরে পেতে? নাকি মায়াজালে আটকে নিজেই রাজমুকুট তুলে দিবে রাজকন্যার শিরে?

#ক্যাকটাসওটুনটুনি

অর্ডার করতে পেইজে ম্যাসেজ করবেন।

"আমি সাধু সাজি না, সাধুই। তোমার মতো দুষ্টু নই।""আহারে! তুমি কত সাধু আমার জানা আছে। তুমি মাসুদ রানার বই পড়ো না? সেই বইয়ে ...
22/01/2025

"আমি সাধু সাজি না, সাধুই। তোমার মতো দুষ্টু নই।"
"আহারে! তুমি কত সাধু আমার জানা আছে। তুমি মাসুদ রানার বই পড়ো না? সেই বইয়ে কী থাকে আমি জানি না?"
আনন্দের খুব রাগ হলো। তার বই ধরাটা খুব অপছন্দের। কিন্তু সে টের পায় বাড়ি না থাকলে তিথি তার বই ধরে। বোধহয় সে পড়েও। কারণ মাঝেমধ্যে পড়তে গিয়ে সে কোনো কোনো বইয়ের পাতার ভাঁজে বুকমার্ক রেখে দেয়। পরের বার বাড়ি এসে কখনো সেসব বুকমার্ক ঠিক জায়গায় পায়নি। মনে মনে গভীর সন্দেহ থাকলেও হাতেনাতে ধরতে পারেনি বলে এতদিন কিছু বলেনি। আজ তিথির কথার ফাঁদেই তাকে ফেলে বলল, "তাই তো বলি। আমার বই এসে কোন চোর ঘাঁটাঘাঁটি করে! ভদ্র ঘরের মেয়ে, বাবা-মা ও পরিবারের সবাই ভদ্র। কিন্তু সেই পরিবারের মেয়েও যে জলপাই চুরি, বই চুরি, আর কী কী চুরি করে কে জানে?"
আবারও চুরির কথা মনে করিয়ে দেওয়ায় তিথির ভীষণ রাগ হলো। সে ফোঁসফাস করে বলল, "তোমার কোনো বই আমি চুরি করিনি। মিথ্যুক কোথাকার। বই পড়ে আবার রেখে দিয়েছি। আর একবার যদি চোর বলো, দেখো তোমাকে কী করি আমি!"
আনন্দ পাত্তা না দেওয়ার ভঙ্গিতে বলল, "হাহ্! অন্যের বইয়ে যার নজর, অন্যের বই নিয়ে যে সবসময় ঘাঁটাঘাঁটি করে, সে আমাকে কী করতে পারে তা জানাই আছে। চোরের মায়ের গলা বড়।"
তিথি চোখ পাকিয়ে বলল, "তবে রে নিরানন্দ নিরামিষ! আজকে তোমার মুখটাই ভেঙে দেবো।"
আনন্দ সোফা ছেড়ে লাফ দিয়ে উঠে চেঁচিয়ে বলল, "আন্টি, তিথি আমাকে মারতে চাইছে।"
তিথি তেড়ে গিয়ে বলল, "এই মিথ্যুক। আবার মিথ্যা বলছ কেন? সবসময় তুমি আমাকে সবার সামনে খারাপ বানাও। আসলে তুমি একটা মিচকা শয়তান।"

#কিছুমন্দবাসারগল্প

অর্ডার করেছেন তো?

Address

Suite-337, Concord Khulshi Town Center, 4 Zakir Hossain Road

4202

Opening Hours

Monday 09:00 - 22:00
Tuesday 09:00 - 22:00
Wednesday 09:00 - 22:00
Thursday 09:00 - 00:00
Friday 10:00 - 00:00
Saturday 10:00 - 00:00
Sunday 09:00 - 22:00

Telephone

+8801309009075

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ছাপাখানা প্রকাশনী posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to ছাপাখানা প্রকাশনী:

Videos

Shortcuts

  • Address
  • Telephone
  • Opening Hours
  • Alerts
  • Contact The Business
  • Videos
  • Claim ownership or report listing
  • Want your business to be the top-listed Media Company?

Share