Alikadam media center

Alikadam media center মিথ্যার আঁধারে নিমজ্জিত দুনিয়ায় সত্য

যেভাবে মুসলিম হলেন সাইফুল ইসলাম ত্রিপুরাসাইফুল ইসলাম ত্রিপুরা ছিলেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারকের ছেলে। ত...
27/09/2022

যেভাবে মুসলিম হলেন সাইফুল ইসলাম ত্রিপুরা

সাইফুল ইসলাম ত্রিপুরা ছিলেন ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারকের ছেলে। তার সহপাঠী মুসলিম বন্ধুর আচরন ও আতিথেয়তা এবং ধর্ম পালনের বিষয়ে মুগ্ধ হন তিনি। তখন থেকেই তার হৃদয়ে ইসলাম ধর্মের প্রতি টান তৈরি হয়। মুসলিম হবার বাসনা জাগলেও জানাতে পারেননি তখন। তারপর চলতে থাকে জীবনের নানান ঘাত-প্রতিঘাত। অবশেষে সকল বাধা পেরিয়ে গ্রহণ করলেন বিশ্ব শান্তি ও মানবতার ধর্ম ইসলাম। তার ইসলাম গ্রহণের বিষয়টি তিনি নিজেই ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করে জানিয়েছেন। পাঠকদের জন্য তার পোস্টটি হুবহু তুলে ধরা হলো:

আসসালামু আলাইকুম, আমাকে আমার মা বাবা দূরে একটি খ্রিস্টান মিশনারিতে লেখাপড়া করার জন্য পাঠিয়ে দেয় এবং আমি খ্রিস্টান মিশনারিতে থেকে পাশে একটি স্কুলে লেখাপড়া করতাম, আমি যখন খ্রিস্টান মিশনারিতে থেকে পাশের স্কুলে লেখাপড়া করি তখন আমার ক্লাসে কিছু মুসলিম ছেলে-মেয়েরা স্কুলের আশেপাশে তাদের বাড়ি আমার সাথে একই ক্লাসে লেখাপড়া করতো। আমরা হিন্দু, খ্রিস্টান, মুসলিম সকলেই একসাথে লেখাপড়া করতাম।

আমার অনেক বন্ধু ছিলো এর মধ্যে সবচেয়ে মুসলিম বন্ধুটি ভালো ছিল। সেই বাড়ি থেকে স্কুলে আসার সময় আমার জন্য নাস্তা নিয়ে আসতো এবং টিফিনের সময় আমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ভাত খাওয়াতো আমার সাথে ভালো সম্পর্ক ছিল, দেখতে দেখতে ২ বছর কেটে গেল এবং আমরা একই ক্লাসে ছিলাম, সেই আমাকে তার ইসলাম ধর্মের দাওয়াত দিতে থাকে এবং নবিজির সম্পর্কে বুঝাতে থাকে। একদিন সেই বন্ধু দুপুরে খাবারের বিরতি যখন দেওয়া হয় তখন সেই আমাকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায় এবং সেই আমাকে বলে দোস্ত তুমি বস আমি নামাজ পড়ে আসি, তখন আমি আমার বন্ধুকে বলি বন্ধু আমার একা ভালো লাগবেনা আমিও তোমার সঙ্গে যাবো।

তখন বন্ধু আমাকে না করেননি এবং আমাকে তার সাথে মসজিদে দিকে নিয়ে যায়, আমি বাহিরে দাড়িয়ে থাকি এবং দেখতে থাকি, খ্রিস্ট্রান আর মুসলিমদের মধ্যে অনেক আলাদা আমি খেয়াল করি মুসল্লিরা নামাজে যাওয়ার আগে প্রসাব করলে দাড়িয়ে না করে বসে করে এবং পানি ব্যবহার করে, তারপরে ওজু করে মসজিদে প্রবেশ করে।

এই সময় আমি চিন্তা করি আমাদের খ্রিস্টান ধর্মের ধর্মালম্বীরা হাতে পবিত্র বাইবেল হাতে নিয়ে দাড়িয়ে প্রসাব করে এবং পানি বা টিস্যু ব্যবহার না করে গীর্জায় ঢুকে যায়, ঐ কথা গুলো চিন্তা করতে করতে হঠাৎ আমার বন্ধু মসজিদ থেকে বেড়িয়ে আসে এবং দুইজন গল্প করতে করতে হাটতে থাকি এবং বাড়িতে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আবার হাটতে হাটতে স্কুলে উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিই এবং ক্লাস শেষ করে আমি হোস্টলে চলে যাই এবং বন্ধু তার বাড়িতে চলে যায়, এইরকম দিন যেতে থাকে।

বন্ধুকে যে ইসলামের বিষয়ে কিছু জিজ্ঞেস করবো ঐ সাহস আমার ছিলনা, কারণ আমি খ্রিস্টান ধর্মের প্রচারকের ছেলে, কোনমতে সাহস পাচ্ছিলামনা, পরীক্ষা শেষ করে যখন বাড়িতে আসবো আসার আগে বন্ধু আমাকে আবার তাদের বাড়িতে দাওয়াত দেয় এবং যে মসজিদে আমার বন্ধু নামাজ পরতো ঐ মসজিদে হুজুরের সাথে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়, এত কিছুর পরেও আমি সাহস পাচ্ছিলামনা যে আমি ইসলাম ধর্ম পালন করতে চাই ঐ সাহসটা পাচ্ছিলামনা মাথায় চিন্তা ছিল ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে যে আমার ইচ্ছা ঐ বিষয়টা যদি মা-বাবা এবং মিশনারী লোকেরা জেনে যায় খুব মনের মধ্যে ভয় ভয় ছিলো।

৭ দিন পরে বাবা আমাকে নিতে যায় এবং বন্ধুকে বিদায় জানিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিই, কিন্তু দুঃখের বিষয় বন্ধুর মোবাইল নাম্বারটা নেওয়া হয়নি। আমি বাড়িতে চলে আছি এবং আমার গ্রামের আশেপাশে বাঙালি মুসলিমদের সাথে মেলামেশা করতে থাকি, কয়েকদিন চলে না যেতেই বাবা জেনে যায় আমি কেন পাড়ার লোকদের সাথে না মিশে কেনো বাঙালি মুসলিমদের সাথে মেলামেশা করতেছি বাবা আমাকে জিজ্ঞেস করে আমি কিছু না বলে চুপ করে ছিলাম।

কয়েকদিন পরে মেম্বার-চেয়ারম্যান ভোট হয় এবং আমার আব্বু মেম্বার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পায়। আব্বু ব্যস্ত হয়ে পড়ে বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে ঘুরতে থাকে। একদিন আব্বু ঠিক ঐরকম সকালে সফরে বের হয়ে পড়ে এবং বিকালে আমি বাঙালি মুসলিম ভাইদের সাথে বল খেলতে চলে যাই। আমি তো জানতাম না বাবা এত তাড়াতাড়ি বাড়িতে ফিরে আসবে। খেলার শেষে বাড়িতে এসে দেখি বাবা ভাত খাচ্ছে। বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে দেখি বাবার চোখ-মুখ অন্যরকম হয়ে আছে। আমি কিছু না বলে বাড়ির ভিতর ঢুকার চেষ্টা করি আর বাবা সাথে সাথে উচ্চ স্বরে বলে তুমি ঘরের ভিতর প্রবেশ করতে পারবানা। তুমি বাইরে থাকো, যতক্ষণ না তুমি সংশোধন হও।

আমার গায়ে একটি গেঞ্জি এবং একটি থ্রি কোয়ার্টার প্যান্ট ছিল তাও আবার ভিজা, ঘরের বাইরে দাড়িয়ে থাকতে থাকতে রাত প্রায় ১০টা বাজে বাড়ির এবং পাড়ার লোকেরা সকলেই ঘুমিয়ে পড়ে কোন শব্দ নেই আমি ঠাণ্ডায় কাতরাচ্ছি। খুব ঠাণ্ডা এবং হালকা হালকা বৃষ্টি হচ্ছিল। মনে মনে বলতেছি এখন আমি কি করবো, হঠাৎ আম্মু বলে তুমি তোমার আব্বুর কাছে ক্ষমা চেয়ে নাও আর বাঙালি মুসলিম ছেলেদের সাথে খেলতে যাবোনা মেলামেশা করবো না এইরকম বলতে বলে, কারণ মা বলে কথা, তবুও আমি কিছু না বলে চুপ করে থাকি।

কিছুক্ষণ পরে আব্বু ঘরের লাইট জ্বালিয়ে হাতুরি এবং দা খুঁজতে থাকে এবং বলতে থাকে এইরকম ছেলে আমার প্রয়োজন নাই এই বলে আমাকে দা দিয়ে মারতে আসে তাই আমি ভয় পেয়ে যাই এবং তাৎক্ষণিক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি। তখন পাড়ার সকল লোকদের বাবা বলল, আমার ছেলেকে যে ঘরে তুলবে তার খবর আছে! এই কথা শুনে পাড়ার লোকেরা ভয় পেয়ে যায়। রাতে গায়ে কাপড় ভিজা অবস্থায় একটি পরিত্যক্ত মুরগীর ঘরে আশ্রয় নিই এবং সকাল হয়ে যায়। বাবা আমাকে দেখে ফেলে এবং পাড়ার লোকেরা আমাকে ধরিয়ে দেয় এবং বাবা আমাকে মেরে ফেলবে এই বলে গেঞ্জি কলার ধরে বাড়ির একটি গাছে নিচে বেঁধে রাখার জন্য দড়ি খুঁজতে থাকে।

এই ফাঁকে পালিয়ে যাই এবং হাটতে থাকি। রাতে, সকালে, দুপুরে তিন বেলা পেটে কোন খাবার জুটেনি। হাটতে থাকি কি করবো আর, হাটতে হাটতে চকরিয়া চলে আছি এবং একটি চনামুড়ির দোকানে বসে থাকি এবং বসে থাকতে থাকতে অনেকক্ষণ হয়ে গেলো। দোকানদার জিজ্ঞেস করলো এতক্ষণ বসে থাকলেতো হবেনা কাস্টমারকে বসাতে হবে এই বলে আমাকে উঠিয়ে দেয়। সে তো জানেনা আমার কি অবস্থা! কীসের জন্য বসে আছি এবং আমি দোকানের এইদিকে একবার ঐদিকে একবার ঘুরতে থাকি। পেটেও খুব ক্ষুধা! কি করবো মাথায় কিছু আসতেছেনা। হঠাৎ ক্ষুধা সহ্য করতে না পেরে দোকানদারকে বলে ফেলি ভাইয়া আমাকে একটা কাজ দিবেন। দোকানদার বলে, জ্বী পাওয়া যাবে। আমার একজন কাজের লোক প্রয়োজন। এই কথা শুনে আমি খুব খুশি হয়ে গেলাম। আমি দোকানদারকে বলি ভাইয়া কাজটা তাহলে আমাকে দিন। কিন্তু দোকানদার বলে কাজ করতে পারবা কিন্তু তোমার কাপড়-চোপড় নিয়ে আসতে হবে। আমার কাছে তো কাপড় নেই। কি করতে পারি চিন্তায় পড়ে গেলাম।

মনে মনে ভাবতেছি কী করবো? করার তো কিছু নাই! মেনেই নিতে হবে। লম্বা সফর রওয়ানা দিলাম পাড়ার উদ্দেশ্যে। দুঃখের বিষয়, কাপড়-চোপড় পাওয়া তো দূরের কথা কেউ শুনলোনা আমার কথা, আর যাওয়া হলোনা। সেই দোকানদারের কাছে রাত কাটালাম পাড়ার কোন রকম এক ঘরের কোনে।

পরের দিন সকালে খবর পেলাম আমার জেঠাতো ভাইয়েরা জঙ্গলের ভিতরে বাঁশ কাটতে যাবে। তাদের সাথে যোগাযোগ করে চলে গেলাম গভীর জঙ্গলে ২ দিন যাবত শুধু পানি খেয়ে আছি। হাতে নেই কোন টাকা-পয়সা, তারপরে জেঠাতো ভাই এদের সাথে চুক্তি হলো প্রত্যেকদিন ৪০ থেকে ৫০টি বাঁশ কেটে দিতে হবে। সকালের ভাত খাইতাম দুপুরে ১২টা অথবা ১টা বাজে। রাতের ভাত মাঝে মাঝে খেতাম আর মাঝে মাঝে বাঁশ ৪০ তেকে ৫০টা না হলে ভাত খাইতামনা। পায়ের তলা এবং আঙ্গুলের ফাঁকের মধ্যে লাল হয়ে গিয়েছিল। পানি লাগা মাত্র জ্বালা যন্ত্রণা করতো। প্রায় ৯ দিন তাদের সাথে থাকি পরে বাঁশ যখন বিক্রি করে তখন ৫০০ টাকা আমাকে দিতে বললে তারা না করে দেয়। এবং তাদের থেকে আমি চলে আছি হাতে টাকা-পয়সা নেই কী করবো?

মনে মনে চিন্তা করতেছি সামনে শীতকাল, ঝাড়ু কাটার সময়। যারা ঝাড়ু ব্যবসা করে তাদের থেকে অগ্রীম কিছু টাকা পাওয়া যায় কিনা হাটতে থাকি বাজারের উদ্দেশ্যে সেই ঝাড়ু ব্যবসায়ীর বাড়িতে যাওয়ার মাঝ পথে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। সকাল থেকে কিছু খাই নাই, মাঝ পথে একটি দোকানে বসি ক্লান্তি দূর করার জন্য, বসে থাকতে থাকতে ঘুমিয়ে পড়ি টেবিলে মাথা রেখে। ঘুম থেকে উঠে দেখি আসরের আযান দিচ্ছে। চিন্তায় পড়ে গেলাম কোথায় থাকবো রাতে! হঠাৎ এক ভদ্র লোক এসে আমার পাশে বসে দোকানদারের সাথে কথা বলতেছেন। তার জমিনে নাকি কাজ করার জন্য ১ জন লোকের প্রয়োজন। সেই মুসলিম ছিলো। আমি আর কোন দ্বিধাবোধ না করে বলে ফেলি আমি কাজ করবো। পরে সেই আমাকে তার বাড়িতে নিয়ে যায় এবং দুইজন একসাথে খাবার খেতে বসি। খাবার শেষ করে বসে যাই চুক্তির দিকে। তিনি আমাকে মাসে সামান্য কিছু পকেট খরচ দিবেন বলেন, এবং তাতে আমি রাজি হয়ে যাই। কারণ আমার টাকা-পয়সা প্রয়োজন ছিলনা, প্রয়োজন ছিলো থাকার জায়গা, থাকার জায়গা যখন পেয়ে গিয়েছি তখন আর কিসের টাকা প্রয়োজন। কাজ করতে থাকি এমনকি ঘরের মালিক আমার সরলতা সুযোগ পেয়ে তার ঘরের খাবার পানি পর্যন্ত আমাকে কাজের শেষে ভাত খাইতে যাওয়ার সময় পানি নিয়ে যেতে হয়তো। প্রায় ৩ মাসের মতো কাজ করি কোন সমস্যা হয়নি।

হঠাৎ বাবা জানতে পারে, আমি মুসলিম পরিবারে আশ্রয় নিয়েছি। সাথে সাথে পাড়ার কয়েকজন লোক নিয়ে আসে আমাকে মেরে ফেলার জন্য, পরে আমি জানতে পেরে বাড়ির পিছন দিক থেকে পালিয়ে যাই। পরে বাড়ির মালিক আমাকে বলে ভাইগ্না আমার পক্ষে আর সম্ভব না তোমাকে রাখা। পরে আঙ্কেল আমাকে ১০০০ টাকা হাতে দিয়ে বলে বাকি টাকা বিকাশে পাঠিয়ে দিবো, আমি তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আছি।

কতদূর আসতে না আসতে আরেক আঙ্কেলের সাথে দেখা। আঙ্কেল আমাকে দেখে জিজ্ঞেস করে আমি কোথায় যাচ্ছি? তারপরে আঙ্কেলেকে আমি আমার সমস্যার কথা বলি, সেই আমাকে তার রাবার বাগানে কাজ করার জন্য বলে। আমিও রাজি হয়ে যাই। দীর্ঘ ৭ মাস পর্যন্ত আঙ্কেলের বাগানে কাজ করতে থাকি। সারাদিন কাজ করে রাতে ঘুমানোর আগে যখন তার রাবারের হিসাব করার জন্য বসতো আঙ্কেলে আমাকে ডাকতো, নাস্তা করাতো, খুব আদর স্নেহ করতো এবং ইসলাম ধর্মের বিষয় নিয়ে আমাকে বুঝাতো এবং কয়েকদিনের ভিতরে আমি আঙ্কেলেকে ইসলামের পথে আসার আশ্বাস দিই। আঙ্কেলে আমাকে কালেমা পাঠ করায় এবং আঙ্কেলে আমাকে তাবলীগে যাওয়ার জন্য বুঝাতে থাকে আমিও রাজি হয়ে যাই।

আঙ্কেলে খোঁজ-খবর নিতে থাকে কীভাবে তাবলীগে পাঠানো যায়। পরবর্তীতে (ডা. মো. ইউসুফ আলী) স্যারের সাথে যোগাযোগ হয়। এবং আঙ্কেল আমাকে খৎনা করানোর জন্য (ডা. মো. ইউসুফ আলী স্যারকে) অনুরোধ করতে থাকে। পরে (ডা. মো. ইউসুফ আলী) স্যার কোন খরচ ছাড়া ফ্রি অপারেশন এবং যাবতীয় ঔষধসহ দিয়ে দেন।

কয়েকদিন পরে কক্সবাজার ইজতেমা হয় এবং ইজতেমা যাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে যাই। ইজতেমায় চলে যাই এবং ইজতেমা থেকে ৩ চিল্লার নিয়তে বের হয়ে যাই। এই ৩ চিল্লার সমস্ত খরচ ডা. মো. ইউসুফ আলী স্যার দিয়েছিলেন

সাথী ভাইদের সাথে ১ চিল্লা শেষ হতে না হতেই আব্বু ঝামেলা করতে থাকে এবং সেনাবাহিনীর কাছে বিচার দেয়। পরে ১ চিল্লা শেষ করেই চলে আসি এবং চলে যাই সেনাবাহিনীর কাছে। বিচারের রায় পাওয়ার অপেক্ষা! সেই রায়ে আমি নিজেই মা-বাবার তেজ্য পুত্র হয়ে যাই। আমি চলে আসি (ডা. মো. ইউসুফ আলী) স্যারের হাসপাতালে। আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ আমাকে এমন একজন অভিভাবক দিয়েছেন, যিনি নিজের কথা চিন্তা না করে আগে গরীব মুসলিম ও নওমুসলিমদের পিছনে সাহায্যের হাত বাড়াতে থাকেন। যিনি অন্যায়কে কখনো প্রশয় দেননি দিবেনও না। আল্লাহ সেই অভিভাবক (ডা. মো. ইউসুফ আলী) স্যারকে নেক হায়াত দান করেন।

আলহামদুলিল্লাহ! আল্লাহ সোবহানাহু তা’য়ালা আমাকে ধৈর্য ধরে রাখার তৌফিক দান করেছেন। আলহামদুলিল্লাহ! সেই ধৈর্য ধরে রাখার ফলাফল আমাকে আল্লাহ দিয়েছেন।

বাংলাদেশে ঈসায়ী জামাত নামক খ্রিস্টানদের একটি দল আছে। এঁরা নিজেদেরকে ঈসায়ী মুসলিম বলে পরিচয় দেয়। মূলত মুসলমানদের মাঝে অত্...
12/09/2022

বাংলাদেশে ঈসায়ী জামাত নামক খ্রিস্টানদের একটি দল আছে। এঁরা নিজেদেরকে ঈসায়ী মুসলিম বলে পরিচয় দেয়। মূলত মুসলমানদের মাঝে অত্যন্ত সুকৌশলে খ্রিস্টধর্ম প্রমোট করে থাকে। মুসলমানদের মাঝে ধর্ম প্রচারের জন্য বিভিন্ন নামে বই প্রকাশ করে বিতরণ করছে।
এসব বইগুলোতে ইসলামিক পরিভাষা, কুরআনের আয়াত, নকশা ব্যবহার করে তৈরি করা হয়। উপর দিয়ে দেখলে মনে হয় এগুলো ইসলামিক বই। ইসলামিক বই ভেবে সরলমনা অনেক মুসলমান এ ধরনের বই পড়ে বিভ্রান্ত হয়। এতে অনেকের মাঝে ইসলাম সম্পর্কে সন্দেহ তৈরী হয়।
আবার ঈসা বা যীশুর অতি মাহাত্ম্যও এ ধরনের বইতে থাকে। ফলে ধর্ম সম্পর্কে কম জ্ঞান রাখা মানুষজন তাদের প্রতারণার খপ্পড়ে পড়ে ঈমানহারা খ্রিস্টান হয়ে যাচ্ছে।

12/08/2022

পাহাড়ি জীবন আর সমতলের জীবন আলাদা।সমতলে খাবার পানি ও প্রয়োজনীয় পানি যতটা সহজ পাহাড়ে পানি পাওয়া ততটাই কঠিন।

পানি না থাকায় শুধু বর্ষাকালীন জুমচাষই একমাত্র উৎপাদন যার উপর সাড়া বছর চলতে হয়।

ঠিক জুমের ফসল উঠার আগের দুই মাস খুবই খাদ্যের সংকট থাকে। আমাদের কিছু নওমুসলিম ভাইদের এসময় একই সংকট চলমান।

সংকট নিরসনে আমরা কিছু খাদ্য বা নগদ সাহায্য দেওয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আগ্রহীরা শরীক হতে পারেন।

বিকাশ 01877551588
নগদ 01717133044

এই যুবকদের নিয়েই আল্লামা বাবুনগরী রাহ. স্বপ্ন দেখতেন, তিনি প্রতিটা মাহফিল, সমাবেশে যুবকদের উদ্দেশ্যে বলতেন আমার স্কুল কল...
14/06/2022

এই যুবকদের নিয়েই আল্লামা বাবুনগরী রাহ. স্বপ্ন দেখতেন, তিনি প্রতিটা মাহফিল, সমাবেশে যুবকদের উদ্দেশ্যে বলতেন আমার স্কুল কলেজ ভার্সিটির ভায়েরা ইসলামের হেফাজতে তোমাদের এগিয়ে আসতে হবে।

তোমাদের মাধ্যমে ইসলাম প্রতিষ্ঠা হওয়া সম্ভব।

আজকে মহানবী সা. এর শানে তরুণদের এই প্রতিবাদ দেখে বারবার হযরতের কথা স্বরণ হচ্ছে,

আল্লাহতাআলা শায়খকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করুন।

Erfan Sadeq

14/06/2022
03/06/2022
16/05/2022
25/04/2022

মসজিদে যাবেন না, এক গুরুর তিন শিষ্য। মুফতি রিজওয়ান রফিকী

নামাজের দৃশ্য ও 'ব্যাচেলর পয়েন্ট' নাটক বিচারনামাজের দৃশ্যটি ভাইরাল হয়েছে। ব্যাচেলর পয়েন্টের অভিনেতাদের এখানে নামাজ আদ...
25/04/2022

নামাজের দৃশ্য ও 'ব্যাচেলর পয়েন্ট' নাটক বিচার

নামাজের দৃশ্যটি ভাইরাল হয়েছে। ব্যাচেলর পয়েন্টের অভিনেতাদের এখানে নামাজ আদায় করতে দেখা যাচ্ছে। যে কোন ভাবে ইসলামের কোন ইবাদত বা অনুসঙ্গ কেউ পালন বা প্রচার করলে তা প্রশংসাযোগ্য। তবে এটি অভিনেতাদের মৌলিক কোন ইবাদতের দৃশ্য নয়। এটা অভিনয়ের দৃশ্য। যার প্রমাণ হলো এখানে নামাজ আদায় করতে দেখা যাচ্ছে, হিন্দু ধর্মাবলম্বী শিমুল শর্মা ও নাস্তিক মারজুক রাসেলকে। অর্থাৎ এটা একটা গল্পের প্রয়োজনে অভিনীত দৃশ্য।

ব্যাচেলর পয়েন্টে নামাজ আদায়ের দৃশ্য এর আগেও ছিল। শুধু রুমে না, সরাসরি জামায়াতে সাধারণ মুসল্লিদের সাথেও পলাশ, চাষী আলমদের নামাজ আদায়ের দৃশ্যও এ নাটকে আছে। আমাদের মনে রাখতে হবে ব্যাচেলর পয়েন্ট নাটক নাস্তিকতা বা ইসলাম বিদ্বেষ ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত নয়। তাদের অপরাধ নাস্তিকতা নয়, তাদের অপরাধ অন্যস্থলে। আর সে অপরাধের কারণেই আমাদের সমালোচনা। ব্যাচেলর পয়েন্টের মূল সমস্যা ধরতে না পারলে নামাজের দৃশ্য দেখেই তাদের 'ফেরেস্তা' ভেবে বোকামি করা‌ ঠিক হবে না।

ব্যাচেলর পয়েন্ট' নাটকের প্রধান দুটি অপরাধ হলো নানান ভাবে পর্নোগ্রাফি প্রমোট ও ইভটিজিং তথা নারী অবমাননা। এখানে দেখানো হয়েছে ব্যাচেলর লাইফের জীবনযাত্রা। আর তুমুল হাস্যরসের আড়ালে ব্যাচেলর লাইফ সম্পর্কে একটি নোংরা চিত্র অঙ্কন করা হয়েছে। যা সমাজের খুবই অনাকাঙ্ক্ষিত প্রান্তিকচিত্র, কিন্তু তা শুধু দেখানোই হয়নি বরং অনৈতিক ও অনাকাঙ্ক্ষিত চিত্রই নাটকে সুকৌশলে প্রমোট করতে দেখা গেছে।

নারীদের সাথে নানা অশ্লীল বাক্যালাপ ও ইভটিজিংকে তামাশা ও মজা আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে নাটকটিতে। যেমন: নাটকটি জুড়েই কল গার্ল হিসেবে নারীকে 'আগুন' বলে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই কথা কবিলা'রা না বলে কোন হুজুর ওয়াজে বললে, নারীবাদী'রা এতোক্ষণে রাস্তায় নেমে সমগ্র হুজুরদের পিন্ডি চটকাতো! মিডিয়ায় ওয়াজ নিষিদ্ধের দাবি উঠতো! কিন্তু নাটকে বলায় এখন আর তাদের কাছে নারী অবমননা হচ্ছে না। আবার দেখা যায়, ক্লাসের সহপাঠী বা বাড়িওয়ালার মেয়েকে এসো ' আমরা খেলা শুরু করি' বলে বা বিভিন্ন ভাষায় কু-প্রস্তাব দেয়া হচ্ছে। সহপাঠীদের মুখের উপর সেক্সি বলে বিব্রত করা। ব্যাচেলর পয়েন্টে এভাবে এক্সট্রিম পর্যায়ের ইভটিজিং করাকেও মজা হিসেবেই উপস্থাপন করা হয়েছে। এগুলো ছোট ছোট করে কেটে পোস্ট করে ভাইরাল করাতে নাটকের কিছু দৃশ্যপট আমাদের নজরেও আসে। আবার অনেকে ত্রুটি গুলো আমাদের কাছে তুলে ধরাতেও আমরা জেনে শংকিত হই।

কখনো দেখানো হয়েছে, নারী নিয়ে কোন বড় ভাই রুম ডেট করতে চলে আসছে ব্যাচেলর ফ্ল্যাটে, আবার কেউ গার্লফ্রেন্ডের বাসা খালি আছে নাকি খোঁজ নিচ্ছে! এভাবেই ব্যাভিচার করার সুযোগ খুঁজতে দেখা যাচ্ছে ব্যাচেলরদের। বিবাহ বহির্ভূত যৌনাচার যে জঘন্য অপরাধ তা নাটকে একদমই অনুপস্থিত বরং উল্টো এটাকেই ইনজয় বা স্বাভাবিক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। নাটকটিতে মদ খাওয়া ও পিনিক(মাতাল) আনাকে এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে, ব্যাচেলর লাইফ মানেই মদ খাওয়া আর মাতলামি করা। এটাই নাকি ব্যাচেলর লাইফের সৌন্দর্য ও স্বাভাবিকতা! আসলেই কী ব্যাচেলর লাইফ এমন? পড়াশোনা বাদ দিয়ে নারী আর মাতলামিতে বিভোর হয়ে থাকা?
শুধু ধান্দা করে অন্যের টাকা খাওয়ার চেষ্টা?
যদি কিছু ছেলে এমন হয়েই থাকে তাদেরকে কালপ্রিট না বানিয়ে হিরো হিসেবে উপস্থাপন সুস্থতা হতে পারে না।

নাটকের অন্যতম চরিত্র হাবুকে দেখানো হয়েছে বুয়াদের প্রতি দূর্বল (নেতিবাচক অর্থে)। পুরো নাটক জুরেই মাদক ও নিষিদ্ধ যৌনতাকেই ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে স্বাভাবিক হিসেবে দেখানো হয়েছে। মারজুক ওরফে পাশাকে দেখা যায় বাড়িওয়ালীর সাথে ভাব জমাতে। নাটক জুড়েই গ্রুপিং, আধিপত্য বিস্তার, মারামারি, থ্রেটিং থেকে শুরু করে যাবতীয় অন্যায় কার্যকলাপকে বাহাদুরি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে। আর নাটকের মধ্যে অজস্র গালিগালাজ তো আছেই। মারজুক রাসেল ও কাবিলার পর্নোগ্রাফি প্রোমোটের পোশাক নিয়ে আলোচনা আর নাইবা করলাম! এছাড়া নারীদেরকেউ দেখানো হচ্ছে পর্নোগ্রাফি আদান প্রদান ও দৃশ্য নিয়ে আলাপ করতে।

এসব নাটক দিয়ে তারা আসলে কী বার্তা দিতে চাচ্ছে? এগুলো দেখে জাতি কী শিখবে? এ নাটক নারীদের ব্যাপারে কেমন বার্তা দিচ্ছে? শ্রদ্ধার নাকি মজার করার মাংসপিণ্ড! নাটকটিতে সবচেয়ে ভালগার চরিত্র কাবিলাকেই উপস্থাপন করা হয়েছে সবচেয়ে বুদ্ধিমান হিসেবে, এর অর্থ কী নোংরা ও জঘন্যকাজ করা ছেলেরাই বুদ্ধিমান হয়? উদ্ভূত সমস্যা সমাধান করতে পারে? তাদের গালাগালি ও অসামাজিক কার্যকলাপের প্রভাব কী নাটকটির অসচেতন দর্শকদের উপর পড়বে না?!!!

প্রিয় ভাইরা, আশা করবো কোন মুসলিম ভাই শুধু বিরোধীতার জন্যই নাটকের পক্ষ নিয়ে আমাদের উপর গালির ডালি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়বেনা না! আর একটা নামাজের দৃশ্য দেখেই তাদের শত অন্যায়ের ঢাল হিসেবে নামাজের ছবি ব্যবহার করবেন না। একটু চিন্তা করুন, নাটকে মেয়েদের যে ধরনের পোশাক পড়িয়ে ছেলেদের সাথে ফি মিক্সিং দেখানো হয়েছে, এগুলো কী কোন ভালো সমাজের চিত্র ? আপনার-আমার বোন কী এমন হোক আপনি চান? মদ,নেশা,ব্যভিচার,গালিগালাজ হালাল নাকি হারাম? যদি হারাম হয়! আপনি কি হারামের পক্ষ নিয়ে মুসলিমদের বিপক্ষে অবস্থান নিতে চাচ্ছেন? এগুলো কি মানবজাতির জন্যে কল্যাণকর? সমাজের জন্য কল্যাণকর? পর্নোগ্রাফি মতো দেশের ও ধর্মীয় আইনে নিষিদ্ধ বিষয় এভাবে আর কখনো কী বাংলাদেশে প্রোমোট দিতে দেখেছেন?

তাদের অভিনয় বা কোন কারণে অবচেতনে তাদের প্রতি আপনার ভালোলাগা কাজ করতে পারে! কিন্তু তারা যে কাজ শুরু করেছে এতে বিনোদনের আড়ালে অনৈতিকতা ও পাপাচারেরই প্রসার ঘটছে। তাই আর যাই করুন মুসলিম হলে পাপের পক্ষ নিবেন না। দিন শেষে আমরা কেউ পৃথিবীতে থাকবো না, এটাও স্মরণ রাখা উচিত। তাই আমাদের উচিত বাংলাদেশে সকল অশ্লীলতা বেহায়াপনা ছড়ানোর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়া।

18+ ডেসক্রিপশনের কথা বলে যারা নাটকের পক্ষে সাফাই গাচ্ছেন তাদের উদ্দেশ্য এটাই বলবো আঠারো বছর হলেই পাপ করা বৈধ হয়ে যায় না, আর মানুষ ফেরেস্তা হয়ে যায় না। তাই যা খারাপ, তা ১৭ বছর বয়সে করলেও খারাপ, ২০ বছর বয়সে করলেও খারাপ। যদি একটা ডেসক্রিপশন দিয়েই যদি অশ্লীলতা ও নারী অবমাননা করা বৈধ হয়ে যায় তাহলে তার দেশে এতো আইন থেকে লাভ কী! গাঁজা, হিরোইন, ইয়াবা সব কিছুর প্যাকাটে একটা ডেসক্রিপশন দিয়ে বিপণন বৈধ করে দিলেই তো হয়। সর্বোপরি ব্যাচেলর পয়েন্ট যা করছে তা কোন নামাজি ব্যক্তি তো দূরে থাক, কোন সুস্থ, স্বাভাবিক মানুষের সাথেই যায় না। আর এসব নাটক যদি চলতে থাকে তাহলে তারুণ্যের অধঃপতন ঝড়ের গতিতে নয় সাইক্লোনের গতিতে ঘটবে বলার অপেক্ষা রাখে না।
✍️লেখা: Monir Ahmed Monir

25/04/2022

জীবনসঙ্গী নির্বাচনে ইসলামের নির্দেশনা
পাত্র-পাত্রী নির্বাচন খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। যে মানুষটির সাথে সারা জীবন অতিবাহিত করতে হবে সেই মানুষটির চারিত্রিক ও নৈতিক বৈশিষ্ট্য তার জীবনসঙ্গীর উপর অনেক প্রভাব বিস্তার করে।

এ ব্যাপারে কয়েকটি হাদিস উল্লেখযোগ্য –

‘যার দ্বীনদারী ও চরিত্রে তোমরা সন্তুষ্ট, এমন কেউ বিবাহের প্রস্তাব দিলে তার সাথে তোমরা বিবাহ সম্পন্ন কর। তা না করলে পৃথিবীতে ফিৎনা দেখা দেবে ও ব্যাপক ফ্যাসাদ ছড়িয়ে পড়বে।’ (তিরমিযী: ১০৮৪)

‘নারীকে বিবাহ করা হয় চারটি জিনিস দেখে। তার সম্পদ দেখে, বংশমর্যাদা দেখে, রূপ দেখে এবং দ্বীনদারী দেখে। হে মুমিন! তুমি দ্বীনদার নারী বিবাহ করে ধন্য হয়ে যাও।’ (বুখারী : ৫০৯০ )

“সমগ্র দুনিয়াটাই সম্পদ। এর মধ্যে সবচাইতে উত্তম সম্পদ হলাে পরহেযগার স্ত্রী। “(মুসলিম – ৩৭১৬)

“তোমরা নারীদের (কেবল) রূপ দেখে বিবাহ করো না। হতে পারে রূপই তাদের বরবাদ করে দেবে। তাদের অর্থ-সম্পদ দেখেও বিবাহ করো না, হতে পারে অর্থ-সম্পদ তাকে উদ্ধত করে তুলবে। বরং দ্বীন দেখেই তাদের বিবাহ কর। একজন নাক-কান-কাটা অসুন্দর দাসীও (রূপসী ধনবতী স্বাধীন নারী অপেক্ষা) শ্রেয়, যদি সে দ্বীনদার হয়। “(ইবনে মাজাহ)

উপরিউক্ত হাদিস সমূহের শিক্ষা হল, পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে দ্বীনদারী ও সচ্চরিত্রকে সর্বাগ্রে রাখতে হবে। সৌন্দর্য, অর্থ-সম্পদ ও বংশীয় সমতাও বিচার্য বটে, কিন্তু সবই দ্বীনদারীর পরবর্তী স্তরে। দ্বীনদারী ও চরিত্র সন্তোষজনক হলে বাকিগুলোতে ছাড় দেওয়া যায়, কিন্তু বাকিগুলো যতই আকর্ষণীয় হোক, তার খাতিরে দ্বীনদারীতে ছাড় দেওয়ার অবকাশ নেই। আর যদি দ্বীনদারীর সাথে অন্যগুলোও মিলে যায়, সে অতি সুন্দর মিলন বটে, কিন্তু তা খুব সহজলভ্যও নয়। তাই সে রকম আশার ক্ষেত্রে মাত্রাজ্ঞানের পরিচয় দেওয়া জরুরি। একজন দ্বীনদার জীবনসঙ্গী আল্লাহর নৈকট্যে যেতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে, অন্যথায় দ্বীনের উপর অবিচল থাকা অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই ইসলামে পাত্র-পাত্রী নির্বাচনে দ্বীনদারীকে প্রাধান্য দেয়ার নির্দেশনা পাওয়া যায়।

আধা কেজি মধুর জন্য কি ২৬ লক্ষ ফুলের পিছনে ছুটতে পারবেন ?মধুর জন্য প্রয়োজন ফুল থেকে নেক্টার সংগ্রহ । এই নেক্টার সংগ্রহ খু...
24/04/2022

আধা কেজি মধুর জন্য কি ২৬ লক্ষ ফুলের পিছনে ছুটতে পারবেন ?

মধুর জন্য প্রয়োজন ফুল থেকে নেক্টার সংগ্রহ । এই নেক্টার সংগ্রহ খুব জটিল একটা কাজ । মানুষের পক্ষে ফুলকে অক্ষত অবস্থায় রেখে নেক্টার সংগ্রহ করা অসম্ভব ! এর উপর মৌমাছি তো শুধু নেক্টার ই নেয় না , সাথে সাথে পরাগায়ন ও ঘটায় । যেখানে মৌমাছি গাছগুলোর বংশ বৃদ্ধি করছে সেখানে আমরা মেরেই ফেলছি!

এখন একটা ফুল থেকে সব নেক্টার তো আর আসবে না ! মৌমাছি গুলো প্রায় ১০০টা ফুল থেকে ৩২ মিলিগ্রামের মতো নেক্টার সংগ্রহ করে !! পারবেন শ খানেক ফুলকে অক্ষত রেখে নেক্টার সংগ্রহ করতে ?!

এখন এই ৩২ মিলিগ্রাম নেক্টার তো আর ৩২ মিলিগ্রাম মধুতে পরিণত হবে না !! এর সাথে প্রয়োজনীয় এনজাইম মিশাতে হবে পরিমাণ মতো , তার পর নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় নির্দিষ্ট ঘনমাত্রায় মধু আসবে ১৭ মিলিগ্রাম!!

এখন এই ১৭ মিলিগ্রাম মধু কতটূকু ? এক চা চামচ মধুর ওজন হলো ৭ গ্রাম! অর্থাৎ প্রায় ১ চামচ মধুর জন্য আপনাকে প্রায় ৩৫ হাজার ফুল থেকে নেক্টার সংগ্রহ করে বাকি কাহিনী করতে হবে !! পারবেন ?

বিক্রি করতে চাইলে তো ১ চামচ করে বিক্রি করতে পারবেন না ! আধা কেজি মধুর জন্য ঘুরতে হবে প্রায় ২৬ লক্ষ ফুলের পিছনে!! পারবেন ?

সকল প্রশংসা আল্লাহর যিনি আমাদের এত কষ্ট না করেই মধুর মত নি'আমত দান করেছেন!

"তোমার পালনকর্তা মৌমাছিকে আদেশ দিলেনঃ পর্বতের গায়ে, বৃক্ষ এবং উঁচু চালে গৃহ তৈরী কর,

এরপর সর্বপ্রকার ফল থেকে ভক্ষণ কর এবং আপন পালনকর্তার উম্মুক্ত পথ সমূহে চলমান হও। তার পেট থেকে বিভিন্ন রঙে পানীয় নির্গত হয়। তাতে মানুষের জন্যে রয়েছে রোগের প্রতিকার। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল সম্প্রদায়ের জন্যে নিদর্শন রয়েছে।"
[ #কুরআন ১৬ঃ৬৮-৬৯ ]

22/04/2022

#লাইলাতুল_ক্বদরঃ

22/04/2022

রমজানের শেষ দশ দিনে লাইলাতুল কদর অন্বেষণ করতে বলেছেন রাসূল (ﷺ) একটি রাত হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।

20/04/2022

স্ত্রীর বাবার বাড়ি থেকে ইফতার কামনা করা এবং ইফতারের জন্য চাপ প্রয়োগ করা জুলুম। প্রকৃত সিয়াম পালনকারী কখনো ইফতারের জন্য চাঁদাবাজি করতে পারে না।

শ্বশুরবাড়ির ইফতার প্রথার বিরুদ্ধে তরুণদেরকেই সোচ্চার হতে হবে।

Ahmadullah

20/04/2022

আলিকদম ১১ কিমি মুসলিমপাড়ার ঘরগুলো ঝরে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
সবার কাছে দোয়ার আবেদন।

20/04/2022

বাদলা দিন

16/04/2022

উচ্চ শিক্ষিত এবং শহরাঞ্চলের নারীরাই বেশি
বেছে নিচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদকে

14/04/2022

দ্বীনদার সন্তানদেরকে ফেতনা থেকে বাচিয়ে রাখার জন্য অল্প বয়সে বিয়ে করিয়ে দেয়া অভিভাবকদের আল্লাহ ইহকাল ও পরকাল দুই যায়গায়ই উত্তম প্রতিদান দান করুন।

14/04/2022

পহেলা বৈশাখে রাস্তায় সাজগোজ করা বেপর্দা মেয়েকে নিজের বিয়ের জন্য হারাম করে নিয়েছেন। এজন্যেও আপনি উত্তম প্রতিদান পাবেন ইন শা আল্লাহ!

13/04/2022

পহেলা বৈশাখ কে না বলুন ডঃ এনায়েতুল্লাহ আব্বাসী সাহেব

13/04/2022

যদি আমার বোনের বোরকা হিজাব কেউ ধরে দেয় টান
যদি কলেজ ইউনিভা‍র্সিটিতে কেউ করে অপমান...

13/04/2022

ছেলেকে বিয়ে করাচ্ছেন না বউয়ের দ্বায়িত্ব নিতে পারবে না বলে!ছেলে কিন্তু ঠিকই গার্লফ্রেন্ডের দ্বায়িত্ব নিয়ে বসে আছে।

13/04/2022
13/04/2022

ভবিষ্যৎ জীবনসঙ্গীর জন্য দোয়া করুন। এই রমজানে সে নিশ্চই আপনার জন্য দোয়া করছে। অচেনা অজানা হলেও এভাবে দোয়ায় কানেক্টেড থাকতে পারবেন।

13/04/2022

আলহামদুলিল্লাহ

11/04/2022

বিড়াল যদি শুটকি দেখে কি হবে উপায়?

রোয়াংছড়ির কচ্চপতলিতে হয়তো পৃথিবী সৃষ্টির পর প্রথম নামাজে জানাজা,প্রথম সুন্নাত মেতাবেক মুসলিম কবর ও সুন্নাত তড়িকায় দাফন ম...
10/04/2022

রোয়াংছড়ির কচ্চপতলিতে হয়তো পৃথিবী সৃষ্টির পর প্রথম নামাজে জানাজা,প্রথম সুন্নাত মেতাবেক মুসলিম কবর ও সুন্নাত তড়িকায় দাফন মরহুম মোহাম্মদ ত্রিপুরা ভাই এর। আল্লাহ তার কবরকে জান্নাতের টুকরো বানিয়ে দিন। সংগ্রহডা.ইউসুফ আলী

এক বছর ২মাস আগে কালেমা পড়ে মুসলিম হোন মুহাম্মাদ ত্রিপুরা ভাই।তখনই তার বয়স ৭০ এর উপর।তারপর তিনি শিক্ষা গ্রহণের জন্য আসেন ...
09/04/2022

এক বছর ২মাস আগে কালেমা পড়ে মুসলিম হোন মুহাম্মাদ ত্রিপুরা ভাই।তখনই তার বয়স ৭০ এর উপর।

তারপর তিনি শিক্ষা গ্রহণের জন্য আসেন কক্সবাজারে।এফিডেবিট সম্পন্ন করে তাকে মাও জালালুদ্দিন সাহেবের সোহবতে কয়েক মাস মৌলিক ইসলামিক বিধি বিধান শিক্ষা করেন।

অতঃপর তাবলীগে চিল্লার জন্য বের হোন মাওঃ সালামাতুল্লাহর জিম্মাদারিতে। শাহপরীর দ্বীপে এক চিল্লা সময় কাটিয়ে আসেন।

তিনি চিল্লায় থাকাবস্থায় নুসরাতে যাই।তখন তার চেহারা হতে ঈমাণের দ্যূতি বেরুচ্ছিল।তাকে সম্মিলিত দোয়ার জন্য বলা হলে তিনি হাত দুটি রব্বে কারীমের পানে উঠিয়ে যখন ভাঙ্গা ভাঙ্গা বাংলায় মুনাজাত শুরু করলেন তখন এক কান্নার রোল শুরু হয়ে যায়।তিনি প্রার্থনা করছেন আর সবাই অঝোরে কান্না করছিলাম।সেই দৃশ্য আজও যেন চোখের সামনে ভাসছে।

উনি যখন আসেন এতটাই হাস্যোচ্ছল ছিলেন যে কারও চিত্ত আকর্ষণ করার মতো।তিনি খুব ভাল বাইবেল জানতেন।তিনি বলতেন বাইবেল মতে যিশু নিজেই মুসলিম। তার এ বৃদ্ধ বয়সে ক্লিয়ার কনসেপ্ট নিয়ে ইসলাম গ্রহণের ঘটনা নৃগোষ্ঠী ভাইদের মধ্যে বিরল।

তার চোখের ছানি অপারেশন করে দেওয়ার পর খুব খুশী হয়েছিল। অতঃপর মাদ্রাসায় চলে যায়।যাহোক চিল্লা শেষে রোয়াংছড়ি চলে যায়।নতুন ঘর করেন মাসজিদের কাছে।

১৫ দিন আগে হবে হয়তো মাসজিদের ইমাম ফোন দেয় যে
তিনি অসুস্থ। গাড়ি ভাড়া হাতে নেই।গাড়ি ভাড়ার ব্যবস্থা করি ও চলে আসতে বলি।

আসল দেখা হলো। পরীক্ষা করলাম। মনটা খারাপ হয়ে যায়।লাং ক্যান্সার ডায়াগনোসিস করি।কিন্তু কিছু করার নেই।বাড়িতে চলে যায়।দুই দিন আগে দায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সাথে কথা বলে জানি তার অবস্থা। বেশী বেশী কদর করতে বলি।

আজ ফোন পাই যে মুহাম্মাদ ভাই আর নেই। তিনি ঈমাণের উপর মৃত্যু বরণ করেন।শুনলাম আল্লাহর নাম জপতে জপতেই আল্লাহর সান্নিধ্যে চলে গেছেন।মনের কোণে একদিকে বন্ধু বিয়োগের কষ্ট আবার অন্য দিকে তার ঈমাণের সাথে মৃত্যুর খবরের খুশি-এ দুয়ের মিশ্র অনুভূতির মাঝে আমার চলে গেল সাড়াটা দিন।

ফেসবুকও ৯-৪-২১ এর মেমোরি দেখাচ্ছে বারবার তার তিলাওয়াতের ভিডিও।

আল্লাহ তাকে তোমার প্রিয় বান্দাদের একজন হিসেবে তাকে কবুল করে নাও।

সংগ্রহ ডা.ইউসুফ আলী

টেকসই প্রকল্পের নড়বড়ে কাজবান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য ১৯৭৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন ...
08/04/2022

টেকসই প্রকল্পের নড়বড়ে কাজ

বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি জেলার সার্বিক উন্নয়নের জন্য ১৯৭৬ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড (পাচউবো) গঠন করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি প্রত্যন্ত ও দুর্গম এলাকায় রাস্তাঘাট ও অবকাঠামো উন্নয়ন, পুনর্বাসিত পরিবারের সদস্যদের কর্মসংস্থান ও শিক্ষা নিয়ে কাজ করে। এর মধ্যে অন্যতম কাজ পাড়াকেন্দ্র প্রকল্পের মাধ্যমে প্রাক্‌-প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তার করা। কিন্তু এই পাড়াকেন্দ্র নির্মাণে নানা অনিয়মের কথা এখন মানুষের মুখে মুখে।

প্রকল্প সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে, পাচউবোর ‘টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের’ আওতায় ২০১৯-২০২১ মেয়াদে বান্দরবানের আলীকদম উপজেলার কুরুকপাতা ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) এলাকায় ২০টি পাড়াকেন্দ্র নির্মাণের জন্য নির্ধারিত প্রাক্কলন ও নকশা করা হয়। প্রতিটি পাড়াকেন্দ্র নির্মাণব্যয় ২ লাখ ৭ হাজার টাকা করে ৪১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতিটি পাড়াকেন্দ্র নির্মাণে ২ লাখ ৭ হাজার টাকা। এসব পাড়াকেন্দ্রের সঙ্গে একটি করে হাত ধোয়ার স্থান (হ্যান্ড ওয়াশিং স্টেশন) ও একটি করে শৌচাগারের নকশাও রয়েছে।

প্রকল্পটি তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে ছিলেন পাচউবোর পাড়াকেন্দ্র প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প ব্যবস্থাপক আশীষ চাকমাসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

জানা গেছে, পাচউবোর ‘টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান প্রকল্পের’ আওতায় পাড়াকেন্দ্র নির্মাণের জন্য নকশা ও বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত নকশা অনুসরণ না করা ও বরাদ্দকৃত অর্থের নয়ছয়ের কারণে নির্মিত পাড়াকেন্দ্রগুলো ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। ইতিমধ্যে অনেক কেন্দ্র ভেঙে গেছে। এসব বিষয়ে অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নকশাবহির্ভূত পাড়াকেন্দ্রগুলো ভেঙে পুনরায় নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া অবশিষ্ট পাড়াকেন্দ্রগুলো নকশা অনুযায়ী নির্মাণ করার কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, অনিয়মের কারণের নির্মিত পাড়াকেন্দ্রগুলো ‘টেকসই’ হয়নি। আলীকদমের কুরুকপাতা ইউনিয়নে ২০টি পাড়াকেন্দ্র নির্মাণে পাচউবোর নির্ধারিত প্রাক্কলন ও নকশা অনুসরণ করেনি বাস্তবায়নকারী সংস্থা। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে কয়েকটি পাড়াকেন্দ্র নির্মাণ করা হয়েছে। আবার প্রকল্পভুক্ত কয়েকটি পাড়াকেন্দ্র নির্মাণ না করেই কাজ সম্পন্ন দেখানো হয়েছে।

প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে কুরুকপাতা ইউনিয়নের আওয়াই পাড়াকেন্দ্র তৈরি হয়। এটি কুরুকপাতা বাজারের পাশের একটি কেন্দ্র। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, কেন্দ্রটির ফ্লোর ইতিমধ্যে ভেঙে গেছে। বারান্দায় একটি বেসিন দিয়েই করা হয়েছে হ্যান্ড ওয়াশিং স্টেশন। সেখানে পানির কোনো সংযোগ লাইন নেই। অদূরে একটি টিনের শৌচাগার থাকলেও সেখানে কোনো পানির ব্যবস্থা নেই।

এ ছাড়া কুরুকপাতা ইউনিয়নের কাইংপাপাড়া, মেনলিউপাড়া, রালাইপাড়া, পোয়ামুরিবাজার, কমচংপাড়ায় পাড়াকেন্দ্র নির্মাণ হয়েছে যেনতেনভাবে। বাজেট বরাদ্দ থাকা সত্ত্বেও কয়েকটি কেন্দ্রে নামমাত্র হ্যান্ড ওয়াশিং স্টেশন নির্মাণ করা হয়েছে, একাধিক কেন্দ্রে তাও হয়নি।

কুরুকপাতা বাজারে রালাইপাড়ার বাসিন্দা মেনপিও ম্রো জানান, তাঁদের পাড়ায় যে কেন্দ্রটি নির্মাণ হয়েছে, তা সম্পূর্ণ পাড়ার লোকজন করেছে। তাদের মজুরি খরচ পর্যন্ত দেয়নি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

প্রকল্প এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রকল্পের কর্মকর্তা আশীষ চাকমা মিস্ত্রির সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে কেন্দ্রগুলো নির্মাণ করেন। প্রকল্পের মাঠ পর্যায়ের কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা এ ব্যাপারে কিছুই জানেন না। এসব পাড়াকেন্দ্র তৈরিতে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকার বেশি ব্যয় হওয়ার কথা নয়। নির্ধারিত নকশাও অনুসরণ করা হয়নি।

কুরুকপাতা ইউপি চেয়ারম্যান ক্রাতপুং ম্রো বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের আলীকদম উপজেলা প্রকল্প অফিস থেকে আমার ইউনিয়নে পাড়াকেন্দ্র নির্মাণে আমার কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। কত টাকা বরাদ্দে পাড়াকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে, এ ধরনের তথ্যও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা গোপন রাখেন। বেশ কয়েকটি পাড়াকেন্দ্র নির্মাণ করে শ্রমিকের মজুরি পর্যন্ত তারা পরিশোধ করেনি।’

জানতে চাইলে পাড়াকেন্দ্র প্রকল্পের জেলা প্রকল্প ব্যবস্থাপক আলুমং মারমা বলেন, ‘কুরুকপাতা ইউনিয়নে কয়েকটি পাড়াকেন্দ্র নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেগুলোর কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। এ ছাড়া যেসব পাড়াকেন্দ্র নকশা অনুসরণ করে নির্মাণ করা হয়নি, সেগুলো পুনরায় নির্মাণ করে দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

প্রতিবেদন: বদরুল ইসলাম মাসুদ, (বান্দরবান) ও শাহ আলম, (আলীকদম)

আলহামদুলিল্লাহ। প্রতিবছরের ন্যায়,এই বছরও আলীকদমের  মসজিদ ও বিভিন্ন জাইগায় "অগ্রযাত্রা যুব ফোরাম আলীকদম"সংগঠনের পক্ষ থেকে...
07/04/2022

আলহামদুলিল্লাহ।
প্রতিবছরের ন্যায়,এই বছরও আলীকদমের মসজিদ ও বিভিন্ন জাইগায় "অগ্রযাত্রা যুব ফোরাম আলীকদম"
সংগঠনের পক্ষ থেকে
"পবিত্র মাহে রমাদানের আহ্বান" পোস্টার লাগানো হয়েছে।
সকলের দোয়া ও ভালোবাসা একান্ত কামনা।
আল্লাহ পাক আমাদের সকলকে কবুল করুক।
#অগ্রযাত্রা_যুব_ফোরাম_আলীকদম"

ছোট ভাই মাওলানা নূর মোহাম্মদ সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি জমালেন "ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন" আল্লাহ তাকে জা...
31/03/2022

ছোট ভাই মাওলানা নূর মোহাম্মদ সবাইকে কাঁদিয়ে পরপারে পাড়ি জমালেন "ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন"
আল্লাহ তাকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করুন,আমিন

27/03/2022

বিদেশি পুতুলের মতো একটা মেয়ে! কত বয়স হবে? ওদের সমানই বোধ হয়। কিন্তু এত সুন্দর! এত ভয়ংকর সুন্দর কোনো মানুষ হতে পারে! রাহীর মনে হচ্ছিল কিছুক্ষণের জন্য ওর শ্বাস আটকে গেছে। একমনে তিলাওয়াত করছে মেয়েটা। কী অপূর্ব সেই তিলাওয়াত! হুজুরদের কুরআন পড়াও তো এতক্ষণ শুনল। কেমন যেন মরামার্কা। এই মেয়েটার পড়ায় এক অদ্ভুত জীবন্ত সুর। একেবারে অন্তরে গিয়ে নাড়া দিচ্ছে। রাহীর হৃদয় মোচড় দিয়ে উঠল। মেয়েটার সৌন্দর্যে একটা অপার্থিব ব্যাপার আছে। সাদা সুতির একটা কামিজেও কী যে মানিয়েছে ।
মেয়েটা কে! মাথায় বড় ওড়না। খালি মুখ আর হাতের কবজি দেখা যাচ্ছে। রাহী অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে ওর দিকে। মেয়েটার যেন কোনো হুঁশ নেই। একনাগাড়ে পড়ছে তো পড়ছেই (কুরআন)। হঠাৎ রাহীর চাচাতো ভাই তমাল ঘরে ঢুকল।
—কী রে রাহি, তুই কখন আসলি! তোকে তো দেখিই নাই! কই ছিলি?
তমালের আওয়াজে খাটে বসা মেয়েটা এক ঝটকায় মুখের ওপর ওড়না টেনে নিল। এরপর এক মুহূর্তেরও কম সময়ে কুরআনটা বন্ধ করে দেয়ালের দিকে মুখ ফিরিয়ে নিল।
—কীরে, কী হলো তোর? কথা বলিস না কেন?
তমালের ডাকে সংবিৎ ফিরে পেল রাহী।
—ছাদে যাবি?
মাথা কাৎ করে সায় জানাল সে। কিন্তু ছাদে গিয়েও মাথায় ঘুরতে থাকল খাটে বসা মেয়েটার কথা।

—ঐ রুমের মেয়েটা কে রে?
—কে?
—ঐ যে, খাটে বসে কুরআন পড়ছে। আগে কখনো দেখি নাই ওকে।
—ও আচ্ছা! বিভার কথা বলছিস! ও ফুপার মামাতো ভাইয়ের মেয়ে। হেব্বি সুন্দরী!
—হুম, সেই রকম সুন্দরী! ওর একটা ভিডিও ইন্সটায় দিলে মিনিটে ওয়ান মিলিয়ন ভিউস পড়ত!
—ও ইন্সটা ইউজ করে না। একদম অন্য রকম মেয়ে।
—চাপা মারিস না, ইন্সটা ছাড়া কেউ আছে? বাট
ওয়েট ওয়েট, তুই দেখতেসি খুব ইন্টারেস্টেড!
—আরে না! বললাম না ও অন্যরকম। কোনো ছেলের দিকে ঘুরেও তাকায় না.. ওরা লাস্টউইক কানাডা থেকে আসছে ফুপার ডেথ নিউজ শুনে..
—তাই নাকি? কানাডার মেয়ে এমন হয় তোরে বলসে..
—আল্লাহর কসম! আমাকে রূপম বলসে, তোর এই বিশ্বাস না হইলে ওরে জিজ্ঞেস কর।

এটা-সেটা কথায় সন্ধ্যাটা ভালোই পার হয়ে গেল। শুধু সবকিছুর ভেতর রাহীর মাথায় ঘুরেফিরে একটা চিত্রই বারবার ভেসে উঠছে। পরীর মতো একটা মেয়ে হুড়মুড় করে মুখের ওপর ওড়না টেনে নিচ্ছে.. আচ্ছা, এত সুন্দরী হয়েও কেউ কেন নিজেকে ঢেকে রাখতে চায়?

আচ্ছা, এত সুন্দরী হয়েও কেউ কেন নিজেকে ঢেকে রাখতে চায়?......

©ষোলো ম্যাগাজিন (ফেব্রুয়ারি-মার্চ সংখ্যা)

Address

Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Alikadam media center posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category