ছাত্র-ছাত্রী ডট কম

ছাত্র-ছাত্রী ডট কম ছাত্র-ছাত্রী ও বেকার যুবকদের সহায়তায় সব কিছু এক যায়গায়।
(1)

আমার বিয়ে হয়ে এই বাড়িতে আসার ঠিক এক মাসের মাথায় আমার শাশুড়ি মারা যান! মরণ ব্যাধি ক্যান্সার তাঁকে পুরোপুরি গ্রাস করে...
26/02/2024

আমার বিয়ে হয়ে এই বাড়িতে আসার ঠিক এক মাসের মাথায় আমার শাশুড়ি মারা যান! মরণ ব্যাধি ক্যান্সার তাঁকে পুরোপুরি গ্রাস করে ফেলেছিল। তিনি মারা যাওয়ার সময় আমরা সবাই তাঁর পাশেই ছিলাম। ছিলো না কেবল আমার নতুন বাবা। ভালোবাসা মানুষটাকে চোখের সামনে হারাতে দেখতে পারছিলেন না হয়তো।

শাশুড়ি মা আমার হাত ধরে বলেছিল,
- 'মানুষ টা একা হয়ে গেলো রে মা। একটু দেখে রাখিস। নতুন একটা বাপের মতো আগলে রাখিস। পারবি না?'

সেই মুহূর্তে কি বলা উচিত ছিলো, আমার জানা নেই। আমি কেবল অশ্রুসিক্ত নয়নে মাথা নাড়িয়ে ছিলাম। আমি কখনও কোনো ছেলে মানুষকে কাঁদতে দেখিনি। কিন্তু সেদিন আমার নতুন বাবাটাকে দেখেছিলাম। উঁহু সবার সামনে না। কিংবা হাউমাউ করেও না। কেবল গোপনে অশ্রু ফেলেছিলো।


আমার বর সোহান তাঁদের একমাত্র ছেলে হওয়ার সুবাদে শাশুড়ি মারা যাওয়ার পর পুরো বাড়িটাই প্রায় ফাঁকা হয়ে গেলো। আমাদের বাসাটার সামনে যেই পুকুরটা আছে রোজ বিকেলে সেইখানটায় গিয়ে বসে থাকতো। যেই বয়সটায় উনার একজন সঙ্গী বেশি দরকার ছিলো সেই সময়টায় লোকটা একদম একা হয়ে গেলো।

জড়তা ভেঙে আমি একদিন তাঁর পাশে গিয়ে বসলাম। আমার আলাপ পেয়ে উনি আমার দিকে তাকিয়ে চমৎকার করে হাসলেন। উনার পাশে থাকা গাছ পাকা আম টা আমার দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বললেন,

- 'আমাদের এই গাছের আমগুলো খুবই মজার। তোমার শাশুড়ি মা অনেক পছন্দ করতো। খেয়ে দেখো।'

আমার অসম্ভব ভালো লাগলো। আমার আব্বুর প্রতি যেই ভালোবাসাটা অনুভব করতাম উনার প্রতিও ঠিক সেই ভালোবাসাটা অনুভব করলাম। সিদ্ধান্ত নিলাম এই মানুষটার একাকিত্ব যতটুকু পারি দূর করবো। আমার নিজের বাবা করবো, করবো। শাশুড়ির বলা, 'নতুন বাবা' বানাবো। আম টা নিতে নিতে বললাম,

- 'বাবা? আমি তো এই বাড়িটা ঘুরে দেখিনি এখনও। মা থাকলে হয়তো উনিই দেখাতেন। আপনি দেখাবেন ঘুরিয়ে?'

মানুষটার চোখমুখ উজ্জ্বল হয়ে গেলো। উচ্ছাস নিয়ে বললো,

- 'অবশ্যই দেখাবো মা। এখন দেখবা? অনেক বড় আমাদের বাড়িটা। তোমার ভিষণ ভালো লাগবে।'

ছোট একটা বাচ্চাকে তার পছন্দের কাজ করতে বললে যেমন খুশি হয়, আগ্রহ নিয়ে করতে চায় উনিও ঠিক তেমনটাই খুশি হয়েছিল, আগ্রহ প্রকাশ করলেন। এতদিন চুপ হয়ে থাকা মানুষটা হঠাৎ-ই চঞ্চল হয়ে উঠলেন। নিশ্চুপ বাড়িটা যেনো প্রাণ ফিরে পেয়েছিল।

মাঝে মাঝে আমাকে তিনি উনার আর শাশুড়ির গল্প শুনাতেন। মজার জায়গা গুলোতে হেসে লুটিয়ে পড়তেন। মধুর জায়গায় গুলোতে গোপনে দীর্ঘশ্বাস ফেলতেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগ অব্দি নানান কর্মকাণ্ডে মেতে থাকতাম। কয়েক মাসের মধ্যেই আমাদের সম্পর্কটা হয়ে উঠলো বাপ-মেয়ের সম্পর্ক।

সময় কাটানোর জন্য আমাদের বাসার সামনে একটা বাগান বানালাম। নানান ধরনের শাক-সবজিতে ভরে উঠলো বাগানটা। কোনো গাছে নতুন কোনো সবজি হলে বাবার সেকি উল্লাস। রান্না করার পর যখন খেতে বসতো তখন সোহানকে গর্ব করে বলতো,

- 'খেয়ে দেখ কতো মজা হয়েছে। আমার আর আমার মেয়ের পরিচর্যার ফল এগুলা। তৃপ্তি করে খা। তাজা জিনিস। একদম নির্ভেজাল।'

সোহান মুখ টিপে হাসতে হাসতে বলতো,
- 'হুম, বাপ-বেটি মিলে একটা বিজনেস দাঁড় করিয়ে ফেলো। ভালোই চলবে মনে হচ্ছে।'

বাবা কপট রাগ দেখিয়ে বলতো,
- 'আমার আর আমার মেয়ের কষ্ট টা তোর চোখে লাগলো না, না? টিটকারি মারলি? আমাদের বাগানের শাক-সবজি তোর জন্য নিষিদ্ধ যাহ।'

আমার দিকে তাকিয়ে বলতো,
- 'মা? ওর জন্য আমাদের বাগানে নির্ভেজাল সবজি গুলো নিষিদ্ধ করে দিয়েছি। ভালো করেছি না?'

আমি হেসে দিয়ে বলতাম,
- 'একদম ঠিক করেছেন। ওর জন্য বাজারের দুই নাম্বার খাবারই পারফেক্ট।'

সোহান অসহায় মুখ করে বলতো,
- 'লে! আমি এখন ‘থার্ড পারসোন সিঙ্গুলার নাম্বার’ হয়ে গেলাম?'

ঠিক তখন ছোট্ট সংসারটা খিলখিল হাসির ধ্বনিতে মেতে উঠতো।


বিয়ের আগে আব্বু বাজার থেকে আসার সময় আমার জন্য কিছু না কিছু নিয়ে আসতো। বিয়ের পর আমার নতুন বাবাটা আব্বুর জায়গায়টা নিয়ে নিলো। রোজ কিছু না কিছু নিয়ে আসতো। বাজার থেকে এসেই 'মা' বলে একটা ডাক দিতো। ভালোবাসা মেশানো ডাকটা শুনলেই আমি সব কাজ ফেলে ছুটে চলে আসতাম।

সোহান মুখ বাঁকিয়ে বলতো,
- 'ইশশশ! বুড়ি একটা মহিলার জন্য দরদ দেখলে আর বাঁচি না। আর কয়েকদিন পর চুল পেকে যাবে তার জন্য আবার হাবিজাবি নিয়ে আসা হচ্ছে।'

বাবা বিরক্তি নিয়ে বলতেন,
- 'তুই তো খুব হিংসুক রে! শোন? আমার মেয়েকে আমি যা ইচ্ছে খাওয়াবো। দরকার পড়লে পুরো বাজার সুদ্ধ উঠিয়ে নিয়ে আসবো। তোর কি রে? এমন লক্ষিমন্তর একটা মেয়েকে যে জীবনসঙ্গী হিসেবে পেয়েছিস সেটা তোর বাপের ভাগ্য বুঝছিস?'

সোহান হেসে দিয়ে বলতো,
- 'হ্যাঁ। বাপের-ই ভাগ্য। আমার আর কি? থাকো তোমরা বাপ-মেয়ে।'

ইউটিউব দেখে দেখে নতুন কোনো রেসিপি করে দিলে সেটা খেতে যতই বিদঘুটে হোক না কেন, তৃপ্তি নিয়ে খেত আর বলতো,

- 'আহ! আহ! কি যে সুস্বাদু হয়েছে! পৃথিবীর সেরা খাবার! সোহান ঠিকই বলছে রে মা, তোরে নিয়ে একটা বিজনেস দাঁড় করানো লাগবে। উরাধুরা চলবে। হা হা হা।'

সেবার সিঁড়ি থেকে পা পিছলে পরে হাত পা ভেঙে টানা দুই মাস হসপিটালে ছিলাম। তখন বাবার সেই পাগলের মতো আহাজারি আর বাচ্চামি গুলো মনে পড়লে আজও অবাক হই ভিষণ। আমার শাশুড়ির মৃত্যুর সময়টাতেও যেই মানুষটা আড়ালে কেঁদেছিলো সেই মানুষটা সেদিন হাউমাউ করে হসপিটাল ভর্তি মানুষের সামনে কেঁদেছিলো।

হয়তোবা দ্বিতীয়বার কাউকে হারানো ভয়ে গ্রাস হয়ে গিয়েছিলো। কতটা আপন হলে মানুষ এতটা ভয় পেতে পারে আমার জানা নেই। আমার হাত ধরে বলেছিলো, ‘তোর নিষ্ঠুর মা-টা তো সেই কবেই তোর এই বাপটারে একা করে দিয়ে চলে গিয়েছে। এখন তুইও চলে যেতে চেয়েছিলি মা? এই বাপটা যে তোরে অনেক ভালোবাসে। আমার মেয়ে তুই, আমার মা তুই! আর সেই সাথে আমার একাকিত্বের সঙ্গিটাও যে তুই রে মা!’

মা-বাবাদেরকে আপন করে নেওয়া খুবই সহজ আসলে। অবশ্য মা-বাবারা কখনও আপন-পর হয় না। তাঁরা সবাই এক। সবাই আপন। পৃথিবীর সব মা-বাবা গুলোই তার সবটা দিয়ে সন্তানদের ভালোবাসে। তাঁদেরে একটু ভালোবাসা দিলে বিনিময়ে তাঁরা এক পৃথিবী ভালোবাসা বিলিয়ে দেয়। শুধু একটু আপন করে নিতে হবে। তাঁদের সুখের-দুঃখের সঙ্গী হয়ে উঠতে হবে।

অণুুগল্প
নতুন_বাবা
কাজী_সানজিদা_আফরিন_মারজিয়া

22/02/2024

বস: যেদিন থেকে আমি তোকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছি, সেদিন থেকে প্রতিদিন তুই আমার
বাড়ির সামনে পায়খানা করিস! কারন কি?

আবুল: আমি আপনারে বুঝাইয়া দিতে চাই যে, চাকরি নাই, কিন্তু তাই বলে আমি না খাইয়া মরে যাই নাই!😜😜😜😜😜

চাঁদপুরে এটাকে বলে বেদা মাছ। আপনার এলাকায় কি নাম?
21/02/2024

চাঁদপুরে এটাকে বলে বেদা মাছ। আপনার এলাকায় কি নাম?

20/02/2024

কেউ জানেন সিগারেট এর বাংলা কি?

16/02/2024
16/02/2024

চট্টগ্রাম বইমেলায়

সখি ভালবাসা কারে কয়......
14/02/2024

সখি ভালবাসা কারে কয়......

আমরা চট্টগ্রামে ৯০ টাকা লিটার কিনতেছি। আপনার এলাকায় কত?
11/02/2024

আমরা চট্টগ্রামে ৯০ টাকা লিটার কিনতেছি। আপনার এলাকায় কত?

09/02/2024

"ইউনিটি হাইটস" চন্দ্রনগর, বায়েজিদ, চট্টগ্রাম।
গেট-টুগেদার প্রীতি ফুটবল মেচ

মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছে এটাই কম কি?
07/02/2024

মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছে এটাই কম কি?

কে কে চিনেন?
06/02/2024

কে কে চিনেন?

হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের ঐতিহ্যবাহী একটি ফল! নাম জানেনতো?
03/02/2024

হারিয়ে যাচ্ছে আমাদের ঐতিহ্যবাহী একটি ফল! নাম জানেনতো?

বলুনতো এগুলো কিসের গোশত?
30/01/2024

বলুনতো এগুলো কিসের গোশত?

আমার প্রথম প্রেমিক বলেছিলো, আমায় একদিন না দেখলে সে অন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের দেখা হয় না বছর কয়েক। না, সে অন্ধ হয়নি। বরং তার ...
29/01/2024

আমার প্রথম প্রেমিক বলেছিলো, আমায় একদিন না দেখলে সে অন্ধ হয়ে যাবে। আমাদের দেখা হয় না বছর কয়েক।
না, সে অন্ধ হয়নি। বরং তার চোখ দিয়েই রোজ নতুন মেয়েটিকে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখাচ্ছে।

দ্বিতীয়বার যে আমার জীবনে এসেছিলো সে বলেছিলো, আমায় ছাড়া বাঁচবে না। কোনোরকম লাইফ সাপোর্ট ছাড়াই পাঁচ বছরের বৈবাহিক জীবনে সে দিব্যি বেঁচে আছে।

যার হাত ধরে সংসারে পদার্পণ করলাম সে বলেছিলো, আমি তার অর্ধাঙ্গিনী। ডিভোর্সের দু'বছর পরেও সে বহাল তবিয়তে আছে।

সংসারের কাজকর্ম ও লেখাপড়ায় ভালো হওয়ায় বাবা বলেছিলো, তুই আমার ঘরের লক্ষ্মী।
আজ তাঁর কাছেই আমি সংসারের বাড়তি বোঝা।

একটা সময় আমার আচরণে মা গর্ব করে বলেছিলো, আমার মেয়ে অ*ন্যায়ের সাথে আপোষ করতে শেখেনি।
আজ সেই মা-ই কথায় কথায় দো*ষারোপ করে, আমি কেন মানিয়ে নিলাম না।

নিজে সাধারণভাবে চলে যে ভাইকে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ালাম তখন সে বলেছিলো, আমার অবদান সে কখনো অস্বীকার করতে পারবে না। আজ সে আমার জন্য বন্ধুদের সামনে মুখ তুলে দাঁড়াতে পারে না।

ছেলের টিউশনের টাকা জোগাড় করতে না পারা কাকীমাকে বলেছিলাম টাকা দেয়া লাগবে না, আমি এমনিই পড়াবো। তখন কাকীমা হাতজোড় করে বলেছিলো, তোমার মত ভালো মানুষ হয় না। আজ সেই কাকীমাই পাড়া-পড়শীদের কানে কানে বলে বেড়ায়, "ডিভোর্সি মেয়ে..."

যেই বন্ধুটাকে পরীক্ষার আগে হ্যান্ডনোট দিতাম সে বলেছিলো, চাকরি হলে সবার আগে আমায় জানাবে।
একের পর এক পদন্নোতি পেয়ে এখন সে মস্তবড় অফিসার, রাস্তাঘাটে আমায় চিনতেই পারে না।

আমার যে বান্ধবী বলেছিলো, আমি না উপস্থিত থাকলে বিয়ের পিঁড়িতে বসবে না, তার দ্বিতীয় সন্তান হবার খবরটাও শুনতে হয়েছে অন্যের মুখে।

আমিও একটা সময় অল্পেই ভেঙে পড়তাম, একের পর এক অবলম্বন আঁকড়ে বাঁচতে চাইতাম।
আজ আমায় ভাঙে কার সাধ্য?

আসলে মানুষ যখন কথা দেয় তখন সেই সময়ের কথা ভেবে কথা দেয়। আর এতে সেই সময়টা অনেক মধুর হয়তো হয়, কিন্তু জীবন সুন্দর হয় না। সময় বদলালে প্রতিশ্রুতিও বদলে যায়।
স্বার্থ অনুযায়ী আমরা সবাই সম্পর্ককে উল্টেপাল্টে সুবিধামত করে নিই। আসলে কারো জন্য কোনোকিছু পড়ে থাকে না। মানুষ কোনো না কোনোভাবে বাঁচতে শিখে যায়, শিখে নিতে হয়।

©️~একজন ডিভোর্সি নারীর জীবন থেকে নেয়া...।

সবাই দোয়া করবেনবাবরি মসজিদে আঘাতকারি প্রথম ব্যক্তি বলবীর সিং। ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসে অংশগ্রহণ করেন তি...
29/01/2024

সবাই দোয়া করবেন

বাবরি মসজিদে আঘাতকারি প্রথম ব্যক্তি বলবীর সিং। ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংসে অংশগ্রহণ করেন তিনি। পরবর্তীতে নিজের ভুল বুঝতে পারেন এবং ইসলামের দিকে আকৃষ্ট হতে থাকেন। এক পর্যায়ে তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন এবং মুহাম্মদ আমির নাম ধারণ করেন। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের অপরাধবোধ থেকে তিনি ১০০টি মসজিদ নির্মাণের ওয়াদা করেন। ২০২১ সালে মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি ৯২টি মসজিদ নির্মাণ করতে সক্ষম হন। মহান আল্লাহ তাকে জান্নাতুল ফিরদাউস নসীব করুন। আমিন

গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যগুলো এখন একেবারেই হারানোর পথে!
22/01/2024

গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যগুলো এখন একেবারেই হারানোর পথে!

😜😜😜😜😄😄😄😄                                       Followers3
20/01/2024

😜😜😜😜😄😄😄😄





























Followers3

20/01/2024

Need your support pls
Dr. Zakir Howlader

18/01/2024

প্রতিটা মোবাইলই জানে তার মালিকের চরিত্র কেমন।

10/01/2024

রাতের বেলা এক দোকানদার নিজের দোকান বন্ধই করতে যাচ্ছিল, এমন সময় একটি কুকুর দোকানে আসল.....
কুকুরের মুখে একটা বাজার করার ব্যাগ ছিল, যার মধ্যে জিনিষের লিষ্ট আর টাকা ছিল.......
দোকানদার টাকা নিয়ে জিনিষপত্র ব্যাগে ভরে দিল......
কুকুর ব্যাগ মুখে উঠিয়ে নিল আর চলে যাচ্ছিল......
দোকানদার আশ্চর্যান্বিত হয়ে কুকুরের পিছে পিছে গেল এটা দেখার জন্য যে, এতো সমঝদার কুকুরের মালিক কে......
কুকুর বাস স্টপে দাঁড়িয়েছিল, একটা বাস এলো আর কুকুর এতে চড়ে গেল.....
কন্ডাক্টরের কাছে আসতেই কুকুর ঘাড় বাড়িয়ে দিল, তার গলার বেল্টে টাকা আর ঠিকানা লিখা ছিল.....
কন্ডাক্টরও টাকা নিয়ে টিকিট কুকুরের গলার বেল্টে রেখে দিল.....
নিজের স্টপ আসতেই কুকুর সামনের দরজার সামনে এগিয়ে এলো আর লেজ নাড়িয়ে কন্ডাক্টরকে ইশারা দিল আর বাস থামতেই নেমে চলতে আরম্ভ করল.....
দোকানদারও পিছে পিছে চলছিল.....
কুকুর ঘরের সামনে এসে নিজের পা দিয়ে দরজায় দুই তিনবার নক করল......
ভেতর থেকে তার মালিক এল আর লাঠি দিয়ে কুকুরের পিঠে কয়েক ঘাঁ বসিয়ে দিল......
দোকানদার আরো আশ্চর্যান্বিত হয়ে ঘরের মালিককে এর কারন জিজ্ঞেস করল......???
মালিক বলল. "শালা আমার কাঁচা ঘুমটা ভেঙ্গে দিয়েছে, চাবি সাথে নিয়ে যেতে পারেনি গাধাটা....???"
জীবনেরও এই একই সত্য.....
আপনার কাছ থেকেও মানুষের আশার কোন অন্ত নেই.
যেখানেই আপনার সামান্যতম ভূল হল কি না হল, সেখানেই মানুষ আপনার দোষ বের করে নেবে আর বিগত সকল ভালোগুলোকে ভূলে যায়.....!!!
এইজন্য নিজের কর্ম করে চলুন, মানুষ কখনো সন্তুষ্ট হবে না।

তাই কারো কোন অপরাধ হয়ে গেছে সাথে সাথে তার ব্যাপারে ডিসিশন না নিয়ে তার অতীতের ভাল দিকগুলোও একটু চিন্তা করলে প্রপার ডিসিশনে পৌছা সম্ভব।

Zakir,10.01.24

Address

871, Agrabad Exes Road, Baropol, Halishar
Chittagong

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when ছাত্র-ছাত্রী ডট কম posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Videos

Share

Category