পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম

পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম গুজব নয়,সত্যের সন্ধানে……

সৌদির ১২৫ কিলো সোনার খনির কারণে সোনার দাম ১ লাখের নিচে আসতে যাচ্ছে 😍সৌদিতে ১২৫ কিলো লম্বা সোনার খনি পাওয়া গেছে কিছুদিন আ...
09/11/2025

সৌদির ১২৫ কিলো সোনার খনির কারণে সোনার দাম ১ লাখের নিচে আসতে যাচ্ছে 😍
সৌদিতে ১২৫ কিলো লম্বা সোনার খনি পাওয়া গেছে কিছুদিন আগে । গতকাল খবরে এলো পাকিস্তানে একটা খনি পাওয়া গেছে যেখানে প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলারের সোনা রয়েছে । বিশ্বব্যাপী একের পর এক সোনার খনি পাওয়া যাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ে । অনেকেই বলছেন সোনার দাম অনেক কমে যাবে । আসলে কি ঘটবে জানা যাক -

একটা সোনার খনি আবিষ্কারের পর সোনা তোলা পর্যন্ত অনেকগুলি ধাপ রয়েছে । প্রথমে সার্ভে করা হয়, সোনা উত্তোলন করলে সেটা লাভজনক হবে কিনা সেটা যাচাই করা হয়, এরপর রয়েছে পরিবেশগত সমস্যা । এই ধাপগুলি অতিক্রম করতে কমপক্ষে ৪-৫ বছর সময় লাগে । এক বছর পরেই সোনা তোলার কাজ শুরু করার উদাহরণ আছে কেবল দক্ষিণ আফ্রিকাতে । উইট ওয়াটারস্যান্ড খনিতে ১৮৮৬ সালে খনি আবিষ্কারের পরের বছরেই উত্তোলন করা শুরু হয়েছিল । কারণ এটা ছিল পরিবেশগত দিক থেকে সবচেয়ে দারুণ একটা জায়গা । সব কাজ দ্রুত সম্পাদন করা সম্ভব হয়েছিল । এই খনি থেকে এখনো সোনা বের হচ্ছে । এছাড়াও বিভিন্ন দেশ তাদের লজিস্টিক সাপোর্ট সহকারে ৭-১০ বছর পার করে দেয় মাইনিং শুরু করতে । ২০০০ সালের পর এই সময় আরো বেড়েছে । কারণ পরিবেশের ব্যাপারে পৃথিবী অনেক শক্ত । তাই ১৫-২০ বছর চলে যায় সরকারের অনুমতি, আদালত, পরিবেশ নিয়ে কাজ করা সংস্থা, এদের থেকে অনুমতি পেতে ।

যারা মনে করছেন সৌদিতে খনি আবিষ্কার হয়েছে বিধায় এবার দাম কমে ১ লাখের নিচে চলে যাবে তাহলে জেনে রাখুন এই মুহূর্তে দুনিয়াতে ১৩৫২ টি ছোট বড় খনি থেকে সোনা উত্তোলন করা হচ্ছে ।

এক টন আকরিক থেকে সর্বোচ্চ মাত্র ১৫-২০ গ্রাম সোনা বের হতো । কিন্তু বর্তমানে বহু খনির “অরে গ্রেড” কমতে কমতে ২-৩ গ্রামে নেমে এসেছে । মানে পাথরের তুলনায় সোনার পরিমাণ কমে যাচ্ছে ।
তারপর ফুয়েল, লেবার কস্ট, অন্যান্য সরঞ্জামের খরচ বেড়ে যাওয়ায় সোনা উত্তোলন দিন দিন কমে যাচ্ছে ।

পরিবেশগত সমস্যাটা ব্যাপক । কারণ এই কারণে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকাতেই ৬০০০ এর বেশী খনি বন্ধ করে দিতে হয়েছে । কারণ ১ গ্রাম সোনা ওয়াশ করতে ২-৩ হাজার লিটার পানি দরকার হয় । পরিমাণ বুঝতে পারছেন ? অন্যদিকে আকরিক থেকে সোনা বের করতে সায়ানাইড ব্যবহার করা হয় । এটা খুব বিষাক্ত । এতে মাটি, পানি, মাছ, গবাদি পশু, নদীর স্তর দুষিত হয় । ২০০০ সালে রোমানিয়াতে ১ লাখ কেজি মাছ মারা যায় । ৫ দেশের নদীর পানি বিষাক্ত হয়ে পরেছিল । তারপর খনির ভেতর সালফাইড পাথর পানির সাথে মিশে এসিড তৈরি করে । আসিড মাইন ড্রেনেজ একবার শুরু হলে ১০০ বছরেও বন্ধ হয় না । খনি বন্ধ করে দিলেও পরিবেশের বারোটা বাজাতে থাকে । নদীর মাছ অম্লীয় হয়, জমি নষ্ট হয়, মাছ মারা যায় । তারপর সোনা তোলার পর টেইলিং পুকুর তৈরি হয় যেখানে সিসা, পারদ, আর্সেনিক, ক্যাডমিয়াম । ২০১৪ সালে কানাডার মাউন্ট পলি মাইন ডিজাস্টারে ২৫ মিলিয়ন ঘনমিটার বিষাক্ত বর্জ্য পানিতে গিয়ে পরেছিল । আর সোনার খনি বেশিরভাগ পাওয়া যায় পাহাড়ি ও মরু অঞ্চলে । এসব জায়গায় সোনা ওয়াশ করতে গিয়েই পানির সংকট তৈরি হয় । এসব কারণে এখন নিরাপদ পজিশন ছাড়া সোনার খনি খুঁজে পাওয়া গেলেও উত্তোলনের অনুমতি মেলে না । আপনি নিজেই চিন্তা করেন, আমাদের ঘনবসতির দেশে যদি সোনার খনি পাওয়া যায় সেটা উত্তোলন করতে গিয়ে কি পরিমাণ পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত ক্ষতি সৃষ্টি হবে চিন্তা করা যায় ?

এবার চলুন জানা যাক সোনা লেনদেনকারী প্রতিষ্ঠান, সংগঠনগুলি একে কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করে ?
এতক্ষনে আপনি বুঝে গেছেন সোনার খনি যতোই পাওয়া যাক না কেন এখান থেকে উত্তোলিত সোনার পরিমাণ খুব কম । ২০০৫ সালে ২৪০০ টন সোনা উত্তোলন করা হয় । এরপর ২০২৪ সালে সেটা বেড়ে ৩১০০ হয় হয়েছে । ২০ বছরে মাত্র ৫০০ টন বেড়েছে । তার মানে ধরে নিতে পারি সোনা তোলার পরিমাণ প্রায় স্থির । বছরে ১-২ শতাংশের বেশী এটা বাড়ে না । এটা খুব ধীরে যোগান দিলেও মানুষের মাঝে সোনার প্রতি আকর্ষণ ধীরে নয় দ্রুত বাড়ছে । বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংক, জুয়েলারি, বিনিয়োগকারী, ETF - এরা বছরের পর বছর সোনা ধরে রাখে । টেকনিক্যালি বাজারে সোনার সাপ্লাই কমই থাকে । এটা কখনোই বাড়ে না । কারণ বিভিন্ন দেশ সোনা কিনতে থাকে । খনি থেকে যা আসে তার বড় অংশ রিজার্ভে চলে যায় । এরপর শিল্পে ব্যবহার হয়, জুয়েলারি, এদের পকেটে চলে যায় বড় অংশ । লন্ডন বুলিয়ন মার্কেট এসোসিয়েশন সোনার আন্তর্জাতিক স্পট রেট নিয়ন্ত্রণ করে । বিভিন্ন ব্যাংক সোনা কিনে বাজারে ঘাটতি তৈরি করে । ব্ল্যাকরক, ভ্যানগার্ড, জেপি মরগ্যানের মত ব্র্যান্ড গোল্ড ইটিএফ দিয়ে সোনার দাম আপ-ডাউন করিয়ে থাকে । মূলত বিভিন্ন দেশের সরকারগুলি প্রচুর পরিমাণ সোনার বার কিনতেই থাকে । কেউ ইচ্ছা করলেই বাজারে সোনার প্রচুর ফ্লো করে দিতে পারবে না ।

ধরুন এক টন আকরিক থেকে ১৫ গ্রামের পরিবর্তে ১৫ কেজি সোনা বের হচ্ছে । লন্ডন বুলিয়ন এটা আটকে দিবে । বাজারে ১-২% এর বেশী সোনা আসতে দিবে না । তবে সত্যি কথা হচ্ছে তারা চাইলেও সোনা এরচেয়ে বেশী আনা সম্ভব না । কারণ পৃথিবীতে একমাত্র সোনা সবচেয়ে কম মজুদ রয়েছে । তারপর পরিবেশগত বাঁধা অতিক্রম করে সোনা তুলতে গেলে যে পরিমাণ খরচ এখন হচ্ছে তাতে অনেক কোম্পানি সোনা তোলা বন্ধ করে দিয়েছে । কারণ দিন দিন সোনা উত্তোলন খুব ঝুঁকি ও ব্যয়বহুল হয়ে যাচ্ছে । তাই সৌদি আরবের বালির নিচ দিয়ে যদি গলিত সোনার নদীও বের হয়ে আসে তবুও সোনার বাজার নিয়ন্ত্রণ করা হবে যেভাবে ডাইমন্ডকে কন্ট্রোল করে একে দামী পাথর বানিয়ে রাখা হয়েছে । তাই পাকিস্থান বা সৌদিতে সোনার ১২৫ কিলো খনি পাওয়া গেছে দেখে খুশিতে চিন্তা ভাবনা করা দরকার নাই যে, “এইবার আর রক্ষা নাই, সোনার দাম ৫০ টাকা ভরিতে নেমে যাবে” । বরং এতো সীমাবদ্ধতার কারণে সাম্নের দিনে আরো নানান বাঁধার মুখে সোনা উত্তোলন কমে যাবে এবং সোনার দাম দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকবে । আশা করি, সোনার দাম কোথায় যাবে জবাব পেয়ে গেছেন ।

একটা শেয়ার দিয়েন ।

ধন্যবাদ ।

ইহা একটি মেডিসিন শফ
28/10/2025

ইহা একটি মেডিসিন শফ

পরীক্ষায় জা-লিয়াতির মাধ্যমে স্ত্রীকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন স্বামী। কিন্তু চাকরি পাওয়ার পরই স্বামীকে ব...
14/10/2025

পরীক্ষায় জা-লিয়াতির মাধ্যমে স্ত্রীকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দিতে সাহায্য করেছিলেন স্বামী। কিন্তু চাকরি পাওয়ার পরই স্বামীকে বেকার বলে উপহাস করেন এবং পাঁচ মাসের মাথায় পর- কীয়া প্রেমিকের সঙ্গে ছেড়ে চলে যান।
এ ঘটনার পর প্র-তিশোধ নিতে পরীক্ষায় জা-লিয়াতির কথা ফাঁস করে দেন ভুক্তভোগী স্বামী। আর তাতেই অনেক সাধের চাকরিটা হারাতে হয় অ-কৃতজ্ঞ ওই নারীকে...
আর এই জন্য তার স্বাধের পর*-কিয়া প্রেমিক তাকে ছেড়ে চলে যায়, এখন মেয়েটা তার স্বামীর কাছে আবার ফিরতে চায়...
স্বামী আর তাকে ফিরিয়ে নিতে রাজি না...
কি সুন্দর রিভেঞ্জ.

( লা' ঙ্গের আশা কইরা তোমার ভা-তারের ভাত চাঁঙ্গে
তোমার লাঙ্গে ও, তোমার লাঙ্গে গো, আধা পথে নিয়া কোমর ভাঙ্গে, তোমার লাঙ্গে গো.)...
গানটার কি সুন্দর পূর্ণতা পেলো...

© Rajib Khan:

13/10/2025
আমি যেকারনে তারেক রহমানকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই নাআমি কখনোই তারেক রহমানকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে...
12/10/2025

আমি যেকারনে তারেক রহমানকে দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই না

আমি কখনোই তারেক রহমানকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাই না। কারণ যখন দেশটা জ্বলে-পুড়ে ধ্বংসের পথে যাচ্ছিল, তখন তিনি নিজের জীবনের ১৮টি বছর বিদেশে বিলাসবহুল জীবনযাপনে কাটিয়েছেন।

এত বছর বিদেশে থেকেও তিনি দেশের মানুষের জন্য বা প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য কোনো কাজই করেননি। অথচ প্রবাসে লাখ লাখ বাংলাদেশি আছেন — তাদের পাশে দাঁড়ানোর অনেক সুযোগ ছিল, কিন্তু তিনি কিছুই করেননি।

এখন তিনি শুধু সুযোগের অপেক্ষায় আছেন, কীভাবে পেছনের দরজা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী হওয়া যায়। নির্বাচনের ঠিক আগে দেশে এসে নিজেকে বিএনপির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে তুলে ধরবেন। যদি জিতে যান, তাহলে প্রধানমন্ত্রী হবেন; আর না জিতলে কিছুদিন পরেই আবার লন্ডনে ফিরে যাবেন।

ধরা যাক, তিনি প্রধানমন্ত্রী হলেনও — তবুও দেখা যাবে তার পরিবার লন্ডনেই থাকবে। লন্ডনের উন্নত জীবন ছেড়ে তারা কখনো বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে আসবে না। তারা আসবে কেবল নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য, দেশের মানুষের জন্য নয়।

আমার মতে, বিএনপি যদি কাউকে প্রধানমন্ত্রী করতে চায়, তবে সেটি হওয়া উচিত মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি গত ১৭ বছর ধরে হাসিনার চরম দমন-নিপীড়নের মধ্যেও দলটিকে টিকিয়ে রেখেছেন, সংগঠিত রেখেছেন।

জিয়া পরিবার যেখানে বারবার দেশ ছেড়ে পালাতে চেয়েছে, সেখানে মির্জা ফখরুল থেকে গেছেন, লড়েছেন, দলের প্রতি বিশ্বস্ত থেকেছেন। তাই নেতৃত্বের প্রকৃত দাবিদার তিনি, তারেক রহমান নন।

আরেক সফল ব*উ ব্য*বসায়ী। কোটি কোটি টাকা দেখে কিশোরগঞ্জের মেয়ে মিষ্টি বিয়ে করেন বাংলাদেশী  প্রবাসী টম কে।১৮ বছর বয়সে ৬...
10/10/2025

আরেক সফল ব*উ ব্য*বসায়ী। কোটি কোটি টাকা দেখে কিশোরগঞ্জের মেয়ে মিষ্টি বিয়ে করেন বাংলাদেশী প্রবাসী টম কে।

১৮ বছর বয়সে ৬০ বছর বয়সের বৃদ্ধ কে বিয়ে করেন। তিনিও অল্প বয়সী সুন্দরী বউকে দিয়ে ভিডিও তৈরি করা শুরু করলেন।

দেখা যাচ্ছে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউ হচ্ছে তখন অনেক টাকা দিত ফেসবুক ইউটিউব।

এখন ফটোতে টাকা দিচ্ছে । তাই বউকে নিয়ে রীতিমতোই ফটো আপলোড দিয়ে যাচ্ছেন।

 #চট্টগ্রামের মানুষকে দুটি ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে উদ্বেগজনক হারে নারীরা স্তন ক্যানসার (১৮%) ও...
08/10/2025

#চট্টগ্রামের মানুষকে দুটি ক্যানসারে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এর মধ্যে উদ্বেগজনক হারে নারীরা স্তন ক্যানসার (১৮%) ও পুরুষরা ফুসফুস ক্যানসারে (৩০%) আক্রান্ত হচ্ছেন। ফুসফুস ক্যানসারে বেঁচে থাকার হার সবচেয়ে কম।

হেড অ্যান্ড নেক ক্যানসারে ১৫%
পাকস্থলীর ১০%
জরায়ুতে ৮%
মলাশয়ের ক্যানসার ৭%
খাদ্যনালি ক্যানসারে প্রতি ১ লাখে প্রায় ১৬ জন
ডিম্বাশয়ের ক্যানসারে ৪%
গলব্লাডার ক্যানসারে ৩%
কিছু বিরল ক্যানসারে ২-৩%

#চট্টগ্রাম মা ও শিশু #হাসপাতাল ক্যানসার ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা শুরু হওয়ার ২১ মাসে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে পাওয়া গেছে এ চিত্র।

• শিপব্রেকিং ও কারখানার বর্জ্যে বায়ু ও পানিদূষণ
• পান, সুপারি, তামাক, ধূমপান ইত্যাদির অভ্যাস
• লবণাক্ত খাবার ও মাংস বেশি খাওয়ার পাশাপাশি ভেজাল খাদ্য
• অ্যাসবেস্টসসহ বিভিন্ন রাসায়নিক ও ধাতুর সংস্পর্শ
• প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা না পড়া
• বংশগত ঝুঁকির কারণে ক্যানসারের মাত্রা বাড়ছে।

নানা কারণে ক্যানসারের প্রকোপ মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এখন থেকে সচেতন না হলে ভবিষ্যতে এটি মহামারি আকারে রূপ নিতে পারে।

©DSC-2

ভাইরে ভাই, এমন ঘটনা ঘটানোও সম্ভব? সিনেমার ঘটনাও ফেল।যাস্ট অবিশ্বাস‍্য। ঘটনা আমাদের মানিকগঞ্জ শহরের স্বর্ণকারপট্টিতে। সেখ...
07/10/2025

ভাইরে ভাই, এমন ঘটনা ঘটানোও সম্ভব? সিনেমার ঘটনাও ফেল।
যাস্ট অবিশ্বাস‍্য।
ঘটনা আমাদের মানিকগঞ্জ শহরের স্বর্ণকারপট্টিতে।

সেখানের ‘অভিজুয়েলার্সে’র মালিক শুভর দোকানে গতকাল রাত ১১টার দিকে ডাকাতি হয়। মোটর সাইকেল যোগে ৬জন ডাকাত এসে স্বর্ণের দোকান লুটপাট করে, এসময় মালিক শুভর পিঠে ধা/রা/লো অস্ত্র দিয়ে বেশ কয়েতটি আঘাত করে।

ডাকাতদল চলে যাবার পর আশেপাশের মানুষ ছুটে এসে মালিক শুভকে হাসপাতালে পাঠায় ও পুলিশে ফোন দেয়।

ঘটনা এখানে শেষ হলে হতে পারতো। কিন্তু মুল ঘটনা অন‍্য জায়গায়।

পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সিসি ক‍্যামেরার ফুটেজ দেখে অপারোশনে নামে। এবং কয়েকঘন্টার মধ‍্যে আসামীদের ধরে ফেলে। আসামীদের মধ‍্যে রয়েছে আমান, মিলন, শরিফ, নয়ন ও সোহাগ।

ওদিকে আহত শুভর অবস্থা খারাপ হতে থাকলে তাকে ঢাকা পাঠানো হয়।
শহরে উত্তেজনা বাড়তে থাকে।
পুলিশ আসামীদের ধরে থানায় নিয়ে এসে উত্তম মাধ‍্যম দিলে ঘটনার মোড় অন‍্যদিকে চলে যায়।

আসামীরা যা বলে তা আপনি হয়তো আগে কোনদিন শুনেন নি
আসামীরা জানায়, তারা কোন ডাকাত নয়। তাদের দিয়ে নাটক করিয়েছে স্বয়ং শুভ, অর্থাৎ ঐ দোকানের মালিক।

এবং এই ঘটনা ঘটানোর জন‍্য তাদের নগদ পাঁচ লাখ টাকা প্রদান করা হয়েছে।
এবং, ঘটনার সত‍্যতা প্রমাণ করার জন‍্যই পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী শুভর পিঠে ছু/রি মারা হয়েছে।

অর্থাৎ, পুরো ঘটনা পরিকল্পনা অনুযায়ী পারফেক্টলি শেষ করেছে
এবার প্রশ্ন হল, শুভ এমন কাজ করতে গেল কেন?
এটা শুনলে মানুষের উপর থেকে আপনার বিশ্বাস উঠে যাবে।

বিষয়টি হচ্ছে, শুভর দোকান বেশ বড় দোকান। তার দোকানে অনেক স্বর্ণ জমা থাকে। অনেকে গহনা বানানোর জন‍্যও অনেক স্বর্ণ জমা রাখে। সব মিলিয়ে এই মুহুর্তে তার দোকানে ৩৯ ভরি ৭ আনা সোনা জমা ছিল।

শুভর টার্গেট ছিল, দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি হয়ে সব লুটপাট করে নিয়ে গেছে খবর ছড়িয়ে সকলের আমানত রাখা স্বর্ণ আত্মসাত করা।

এবার চিন্তা করেন, একজন প্রতিষ্ঠিত স্বর্ণ ব‍্যবসায়ী যদি এমনটা করে তাহলে বিশ্বাস করবেন কাকে?
পুলিশ সম্পূর্ন স্বর্ণ উদ্ধার করেছে।

মানুষের সচেতনতার জন‍্য পোস্টটি শেয়ার করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দিন।

ছবিঃ কিছুক্ষণ আগে মানিকগঞ্জ সদর থানায় সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ সমস্ত ঘটনার বিবরণ জানান।
©

টিভির শব্দে কেটে গেল ৩ বছর, কিন্তু কেউ জানলো না তিনি মৃত! 💔 আধুনিক নিঃসঙ্গতার এক ভয়ঙ্কর গল্প।উত্তর লন্ডনের একটি ফ্ল্যাট...
06/10/2025

টিভির শব্দে কেটে গেল ৩ বছর, কিন্তু কেউ জানলো না তিনি মৃত! 💔 আধুনিক নিঃসঙ্গতার এক ভয়ঙ্কর গল্প।

উত্তর লন্ডনের একটি ফ্ল্যাটে, জয়েস ক্যারল ভিনসেন্ট নামে এক নারী ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে স্বাভাবিকভাবেই মারা যান বলে ধারণা করা হয়। তার চারপাশে জীবন ছিল প্রায় স্বাভাবিক—টেলিভিশন চলছিল, আর ক্রিসমাসের খোলা না হওয়া উপহারগুলো পড়ে ছিল।

কিন্তু সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো, প্রায় তিন বছর ধরে কেউ তার মৃত্যুর খবর জানতে পারেনি! স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাংক থেকে ভাড়া পরিশোধ হওয়ায় এবং পরিবার ও বন্ধুদের সাথে তার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায়, কেউ তাকে খুঁজতেও আসেনি।

অবশেষে, ২০০৬ সালের ২৫শে জানুয়ারি, ভাড়া বকেয়া থাকার কারণে কর্মকর্তারা দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন এবং তার কঙ্কাল আবিষ্কার করেন। তখনও ফ্ল্যাটের টেলিভিশনটি চলছিল!

লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড়ে ভরা এক শহরে জয়েসের এই নিঃশব্দ মৃত্যু আধুনিক সামাজিক বিচ্ছিন্নতার এক মর্মান্তিক প্রতীকে পরিণত হয়েছে। এই ঘটনাটি আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, মানুষের পারস্পরিক সংযোগ কতটা ভঙ্গুর হতে পারে, এবং কীভাবে একজন মানুষ সবার অলক্ষ্যে পুরোপুরি হারিয়ে যেতে পারে। 😔



06/10/2025

কানের দুল মিসিং ছিলো তাইয়্যেবার গলিত লাশে। আজকে শিশু নুসাইবার লাশেও কানের দুল মিসিং।

তাইয়্যেবার সেই দুল হত্যায় জড়িত মহিলা বাজারে ১৮,৩০০ টাকায় স্বর্ণের দোকানে বিক্রি করে। ভাবা যায়? হত্যার পর কানের দুলের লোভও সামলাতে পারেনি পাষণ্ডরা।

গত পনেরো দিনে তিনটি চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রতিটিই বাবা-মায়ের সাথে পূর্ব শত্রুতার কারণে ঘটেছে বলে ধারণা করা হয়েছে।

(১)
তাইয়্যেবার লাশ দেখেছেন কীনা জানি না। আমি দেখেছি। সহ্য করার মতো নয়। বাচ্চাটাকে অনেক কষ্ট দিয়ে মারার পরও লাশটাকেও অনেক কষ্ট দেওয়া হয়েছে।

সেফটি ট্যাংক থেকে যখন লাশটা বের করলো, তখন পুরো শরীর ফুলে বাঁকা হয়ে ছিলো। চোখ , জিহ্বা বেরিয়ে আছে। শরীরের চামড়া খসে ছিলো। কারণ তাকে গলা টিপে হত্যার পর ঢুকিয়ে রাখা হয়েছিলো ড্রামে, ফুটন্ত গরম পানিতে ডুবিয়ে রাখা হয়েছিলো যাতে লাশ দ্রুত পচে।

আজকে ওর পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট এসেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে তাকে ধর্ষণ করা না হলেও যৌনাঙ্গে দুটো আঘাতের চিহ্ন ছিলো! এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত তো ছিলোই।

ভাবতে পারেন? এই কাজগুলো তাঁর আপন স্কুল শিক্ষিকা চাচী ও তাঁর মহিলা-পুরুষ সহযোগীরা মিলে ঘটিয়েছে।

For What? জাস্ট বাচ্চার বাবার উপর ক্ষোভ ছিলো। তাই?

এখন আসামীরা গ্রেফতারের পর বাচ্চার মাকে হুমকি দেয়, মেয়ের লাশ পেয়েছিস। ছেলের স্বামীর পাবি না।

তাইয়্যেবার বাবার আইডির নামটা Tayeba Tayeba. মেয়েকে প্রচুর ভালোবাসতেন। যেই আইডিতে সপ্তাহখানে আগে মেয়ের সাথে আনন্দের মূহুর্ত, খুনসুটির ছবি আপলোড দিতেন। সেই আইডিতে এখন সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে পোস্ট করতে হয়।

আজ পর্যন্ত এই দেশে কোন নারীর ফাঁসি হয়নি। তাই তাইয়্যেবা হত্যায় জড়িতদের ফাঁসি হবে না। ওর বাবা মা যেই যন্ত্রনা ভোগ করছে। সেই যন্ত্রনার এক ভাগও ঐ খুনিদের হবে না বলেই বিশ্বাস।

(২)

সন্দ্বীপে ইতালি প্রবাসী এক ব্যক্তি শিশু মোহাম্মদ আলী খুন করে গত ১৭ সেপ্টেম্বর। ফুটফুটে এই শিশুর অপরাধ?

ওর কোন অপরাধই নেই। ওর বাবার অটো চালক সাথে কথাকাটাকাটি।

সেই ক্ষোভ মনের ভেতর চেপে রেখেছিলো খুনি। মাদ্রাসা থেকে শিশুটি ফিরছিলো। আদর করার নামে কোলে তুলে একবার নয়। দুবার আছাড় দিয়ে মেরে ফেলে জাহাঙ্গীর।

এই লোকটাকে যদি পুলিশ গ্রেফতার না করতো। তাহলে সে একবার ইতালি পালিয়ে গেলে ওর শাস্তি কোনদিনও বাংলাদেশ করতে পারতো না। এই লোকেরও যে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে তাঁর গ্যারান্টি নেই। অর্থ বিত্ত, বাংলাদেশের আইন তো এমনটাই বলে।

(৩) আজকের ঘটনা। টেকনাফে শিশু নুসাইবার (৪) লাশ নিখোঁজের একদিন পর আজকে পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শিশুর বাবার সাথে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে বলা হচ্ছে।

সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায় - শিশু নুসাইবাকে জোর করে রিক্সায় করে তুলে নিয়ে যাচ্ছিলো। এর একদিন পর তাঁর লাশ বাড়ির কাছেই পুকুরে পাওয়া যায়।

এবং লাশ থেকে কানের দুল মিসিং ছিলো। এখন পর্যন্ত ৫ জনের মতো গ্রেফতার হয়েছে।
-
ভাই বোনেরা: আপনারাই ভালো জানেন, বলতে পারেন আপনাদের কোন আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবরা আপনার উপর ক্ষোভ রেখেছে। কাকে কথাচ্ছলে কষ্ট দিয়েছেন, অসম্মান করেছেন। হতে পারে আপনি নির্দোষ কিংবা অপরাধী, আপনি কে ভালো মন্দ অনুভব করতে পারবেন!

আবার অনেকেই হয়তো অনুভব করতে পারেন না। কারণ এমন কিছু ঘটাতে পারে বলে কখনো কল্পনাও করেননি।

কিন্তু আপনাদের এই নিষ্পাপ শিশুরা জানেনা সেসব ঝগড়া ফ্যাসাদের কথা। কার সাথে কী দ্বন্দ্ব রয়েছে সে কথা তা জানেনা।

তাদের নিষ্পাপ মন জানে, বাবা মা থাকতে আমাদেরকে কে ব্যথা দিবে? আমরা তো নিরাপদই আছি।

একজন বাবা হিসেবে পারি। শিশুরা কতটা নাজুক। এই যে, ৪-৫ বছরের শিশুরা বাবা মায়ের আদর যত্নের উপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল। অনেকেই নিজে নিজে গোসল করতে পারে না। খেতে পারে না। বাথরুম করার জন্যও বাবা মায়ের সাহায্য প্রয়োজন হয়। রাতে বিছানা ভিজিয়ে ফেলে।

পিশাচদের কাছে এরকম শিশুরা অত্যন্ত সহজ টার্গেট। বাবা মায়ের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য। এরা মানুষ নয়। মন্সটার। এরা পিশাচ। যেই হাত শিশুদেরকে মেরে ফেলতে কাঁপে না। সেই ব্যক্তির জীবিত থাকার অধিকার নেই।

এই রাষ্ট্র আপনার পরিবারের নিরাপত্তা দিবে না। আপনাকে সঠিক বিচারও দিবে না। দেখা যাবে অপরাধীর কয়েক বছরের জেল হবে। আপনার সাথে রাষ্ট্র জেল দিয়ে ইয়ার্কি করবে।

আপনি ঘরে কাঁদবেন। আদালতে কাঁদবেন। কবরস্থানে কাঁদবেন। মনের মতো বিচার পাবেন না। সবশেষ আল্লাহর কাছে বিচার দিয়ে মারা যাবেন।

তাই ভাইয়েরা: আপনার বন্ধু শত্রুকে চিনুন। চিনতে না পারলে সবাইকে সন্দেহের তালিকায় রাখুন। পরিবারকে সাবধানে রাখুন। আপনার অমূল্য সন্তানকে সব সময় চোখে চোখে রাখুন।

তারপরেও আশা করি, এই শিশুগুলো ন্যায় বিচার পাক। এই দেশের বিচার ব্যবস্থায় পরিবর্তন আসুক। ইহকালে পার পেয়ে গেলেও, পরকালে রাষ্ট্রের বিচারকেরা পার পাবে? এত সহজ? এই শিশুগুলো সেদিন সাক্ষী দিবে, তারা ন্যায় বিচার পায়নি। আর তুই বিচারক থাকবি আসামীর কাঠগরায়।

আল্লাহ তায়ালা আমাদের পরিবার, আমাদের নিষ্পাপ সন্তানদেরকে হেফাজত করুন।

✍অন্তর মাশঊদ

ছবিটি এঁকেছেন বিখ্যাত ইতালীয় চিত্রশিল্পী মার্কো মেলগ্রাতি। আগে যখন ছবিটা দেখেছিলাম এর পেছনের গল্পটা বুঝিনি।একটি বিড়াল ...
06/10/2025

ছবিটি এঁকেছেন বিখ্যাত ইতালীয় চিত্রশিল্পী মার্কো মেলগ্রাতি। আগে যখন ছবিটা দেখেছিলাম এর পেছনের গল্পটা বুঝিনি।

একটি বিড়াল একটি ছোট গর্তের মুখে একটি সাপের লেজ নিয়ে খেলা করছে। বিড়ালটি ভেবেছিল এটি একটি ইঁদুরের লেজ, তাই সে সেটাকে গর্ত থেকে টেনে বের করে আনার চেষ্টা করছে। অর্থাৎ ঝুঁকি না জেনে সাপের লেজ ধরে টানাটানি করছে বিড়ালটি, যা তার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।

পেইন্টিংয়ের অর্থ : কোবরার লেজকে ইঁদুরের লেজ ভেবে খেলা করবেন না। আপনি কখন কার সাথে খেলছেন সে বিষয়ে আপনার সঠিক ধারণা নাও থাকতে পারে।

আমরা কখনোই একসাথে মানুষের পুরোটা রূপ দেখতে পাই না। আমরা যদি মানুষের মুখোশের আড়ালের চেহারাটা দেখতে পেতাম, তাহলে বুঝতে পারতাম আমরা যাকে সাধারণ মনে করি, সে আসলে আমাদের ভাবনার চেয়েও অনেক বেশি ভয়ংকর।

বছর তিনেক আগে রামগড় যাওয়ার পথে ইন্দো বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু নজরে পড়েছিল। সেতুটির এক পাড়ে বাংলাদেশের খাগড়াছড়ির রামগড় অঞ্চল,...
29/09/2025

বছর তিনেক আগে রামগড় যাওয়ার পথে ইন্দো বাংলাদেশ মৈত্রী সেতু নজরে পড়েছিল।

সেতুটির এক পাড়ে বাংলাদেশের খাগড়াছড়ির রামগড় অঞ্চল, মাঝখানে একটি খালের মত চিকন নদী, ঐপারে ভারতের ত্রিপুরার ছোট শহর সাবরুম।

খুবই অবাক ও বিস্মিত হয়েছিলাম, এমন একটা জায়গায় সেতু করা হয়েছে, ল্যান্ড পোর্ট করা হয়েছে। যেটি বাংলাদেশের বিপদ সৃষ্টি ছাড়া ভিন্ন কোন প্রয়োজনেই আসবে না।

গত সপ্তাহে ত্রিপুরার এক কথিত রাজা কোন এক পডকাস্টে বাংলাদেশের পার্বত্য অঞ্চল দখলের হুমকি দেয়। বিষয়টাকে অনেকেই হালকাভাবে নিলেও আমার কাছে তা কিছুতেই হালকা মনে হয়নি।

এর আগে এরকম আরেকটা স্থানের পরিচয় দেই আপনাদের। চলতি বছর জানুয়ারীতে দিনাজপুরে গিয়ে বিরল স্থল বন্দরের সাথে পরিচিত হয়েছিলাম। সুপ্রসস্থ রাস্তা, রেল লাইনের সমন্বয়ে একটা নির্জন জায়গায় এলাহী বন্দর।

বন্দরের কয়েক বর্গ কিলোমিটারের ভিতরে হাতে গোনা কয়েকটি বাড়ি। ঐপারে পশ্চিমবঙ্গের রাধিকাপুর।

বিরলের সবচেয়ে কাছে জয়পুরহাটের হিলি বন্দর বিরল থেকে ৭০ কিমি দূরে। এরপর কুড়িগ্রামের সোনাহাটা ৯০, চিলাহাটি ১০০, পঞ্চগড়ের বাংলাবান্দা ১৪০ আর লালমনিরহাটের বুড়িমারি ১৪০ কিমি।

এই বন্দরগুলো বাংলাদেশের দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, নীলফামারি, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামকে ঘিরে ধরেছে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন এই জেলাগুলো জিওগ্র্যাফিক্যালী বাংলাদেশের অন্যতম বিপজ্জনক অঞ্চলে অবস্থিত।

এই অঞ্চলের পাশেই ভারতের গলার কাঁটা সেই বিখ্যাত চিকেন নেক। সেই চিকেন নেকের পাশেই তারা বন্দরগুলো দিয়ে বাংলাদেশকে ঝেঁকে ধরেছে।

এবার রামগড়ে ফিরে আসি।

রামগড়ের ঠিক কাছেই ফেনী জেলা। ফেনীর বিলোনিয়া ল্যান্ড পোর্ট থেকে এই রামগড় বন্দরের দুরত্ব মাত্র ৭৩ কিমি, খাগড়াছড়ি শহর ৫৬ কিমি, খাগড়াছড়ির সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দুই অঞ্চল মাটিরাঙ্গা ৩১ কিমি ও দিঘীনালা ৭১ কিমি, মিরসরাই ইকোনোমিক জোন ৭০ কিমি আর চট্টগ্রাম বন্দর ১০৫ কিমি।

ফেনী মিরসরাইকে বলা হয় বাংলাদেশের চিকেন নেক, আর খাগড়াছড়ি হল বাংলাদেশের সবচেয়ে অস্থিতিশীল অঞ্চল।

কাগজে কলমে বাংলাদেশের চালু ও প্রক্রিয়াধীন ২৪ টি বন্দর আছে এর মধ্যে রংপুর বিভাগের বিপজ্জনক এলাকাতেই ৬ টি এবং চট্টগ্রাম বিভাগের বিপজ্জনক এলাকায় আছে তিনটি (তেগামুখ বন্দর প্রক্রিয়াধীন)।

বাংলাদেশ ল্যান্ড পোর্ট অথরিটির তথ্য অনুযায়ী, বুড়িমারী ২০১০, বিলোনিয়া ২০১১, রামগড় ২০২৩, সোনাহাট ২০১১, চিলাহাটি ২০১১, হিলি ২০০৭, এবং বাংলাবান্দা ২০১১, বিরল ২০২০ সালে অপারেশনাল কার্যক্রম শুরু করে। এবং এদেশের ল্যান্ড ট্রেডে এই তালিকার একমাত্র বাংলাবান্দা ও হিলি বন্দর একটা উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে। বাকিগুলোর অবদান ৪ শতাংশেরও কম।

তাহলে কেন এই দুই গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে এতগুলো বন্দর করা হলো? কাকে কি সুবিধা দেয়ার জন্যে?

মিরসরাই ইকোনোমিক জোনে ভারতের আদানী গ্রুপকে ৯০০ একর ভূমি বরাদ্ধ দেয়া হয়েছিল। এবং এই জোন থেকে আদানী ও অন্যান্য ভারতীয় কোম্পানীগুলো সরাসরি সমুদ্রের এক্সেস পেয়ে যেত, জোন থেকে বিলোনিয়া ও রামগড় হয়ে ত্রিপুরাতে তাদের পণ্য পৌঁছে দিত।

এখানে একটা শর্ত ছিল। জোনে ইন্ডাস্ট্রী স্থাপনে ভারতীয় কোম্পানীগুলো ৬৫% মেটারিয়াল ভারত থেকে আনবে। অর্থাৎ আমার দেশ, আমার ভূমি, ম্যাটারিয়ালের বড় অংশ তার।

যাই হোক, গত দুই দিন আমাদের পাহাড়ের খাগড়াছড়িতে ব্যাপক অস্থিরতা বিরাজ করছে। কিছু পাহাড়ি আলাদা রাষ্ট্রের দাবী নিয়েও রাস্তায় নেমে পড়েছে। সেনা সদস্যদের গায়ে, বাঙ্গালী দের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা করছে এক শ্রেনীর পাহাড়ী।

অন্যদিকে ভারত আমাদের রাষ্ট্রের অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে উল্লেখিত বন্দরগুলো দিয়ে এন্ট্রি নেয়ার সুযোগের অপেক্ষায় আছে। তার সবচেয়ে বড় সেবাদাসীর সহায়তায় বন্দরের আড়ালে এই ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোতে সে স্ট্যাবলিশমেন্ট গড়ে তুলেছে। এবং যেটি ভারতের ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’ এর অংশ।

এই বন্দরগুলো, সেতু এবং ইকোনোমিক জোনের পেছনে যে স্ট্র্যাটেজিক নকশা লুকিয়ে আছে, তা আর কাকতালীয় নয়। উল্লেখিত অবকাঠামোগুলো বাংলাদেশের জিওগ্র্যাফিক্যাল এবং অর্থনৈতিক হৃৎপিণ্ডকে ঘিরে ফেলেছে।

খাগড়াছড়ির সাম্প্রতিক অস্থিরতা এবং ত্রিপুরার এক কথিত নেতার হুমকি আমাদের সামনে একটি ভয়াবহ সম্ভাবনা তুলে ধরেছে এই বন্দরগুলো যেকোনো মুহূর্তে আমাদের সার্বভৌমত্বের উপর 'মরণ কামড়' হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।

আমাদের দেশের এই সংবেদনশীল অঞ্চলগুলোতে ভারতের সহজ অ্যাক্সেস, তাদের অর্থনৈতিক প্রভাব এবং সম্ভাব্য সামরিক উপস্থিতির ঝুঁকি কোনোভাবেই উপেক্ষা করা যায় না। ২০২৫ সালের ট্রেড টেনশন এবং চলমান পাহাড়ি অস্থিরতা আমাদের সামনে একটি স্পষ্ট বার্তা রেখেছে—এই অবকাঠামোগুলোর যৌক্তিকতা এবং তাদের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পুনর্বিবেচনা করা জরুরি।

আমাদের জাতীয় নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্বাধীনতা রক্ষার জন্য এখনই সময়, আমরা একটি স্বচ্ছ ডিপ্লোম্যাটিক রিভিউ এবং কঠোর নীতি গ্রহণ করি। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি প্রতিষ্ঠা, ল্যান্ড পোর্টগুলোর ট্রানজিট চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন এবং মিরসরাইয়ের মতো প্রকল্পে লোকাল প্রায়োরিটি নিশ্চিত করা আমাদের প্রথম পদক্ষেপ হওয়া উচিত।

আমাদের দেশের স্বাধীনতা এবং স্থিতিশীলতা রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সকলের। এখনই সচেতন হওয়ার সময়, যেন আমাদের ভূমি, আমাদের সার্বভৌমত্ব আমাদেরই থাকে l

Address

Chittagong
Chittagong
4000

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Share