Shakyamuni TV

Shakyamuni TV Media & News Company
(2)

বুদ্ধের ধাতু পূজার গুরুত্ব..  একক সদ্ধর্মদেশনায় : ধর্মদূত, সদ্ধর্মকোবিদ  #ভদন্ত_মহাস্থবির_এস_লোকজিৎ_ভিক্ষু, (এম.এ, এম ফি...
17/04/2024

বুদ্ধের ধাতু পূজার গুরুত্ব..

একক সদ্ধর্মদেশনায় : ধর্মদূত, সদ্ধর্মকোবিদ #ভদন্ত_মহাস্থবির_এস_লোকজিৎ_ভিক্ষু, (এম.এ, এম ফিল, পিএইচডি গবেষক) অধ্যক্ষ, ঐতিহ্যবাহী পুণ্যতীর্থ চান্দগাঁও সার্বজনীন শাক্যমুনি বিহার, প্রাক্তন মহাসচিব, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা।

তারিখ: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, রোজ রবিবার।
স্থান : গহিরা জেতবনারাম বিহার, গহিরা অংকুরীঘোনা, রাউজান, চট্টগ্রাম।

15/04/2024

🔴Live/সরাসরি সম্প্রচার
অন্তরায় বিনাশক অভিধর্মের ত্বত্ত্বের ত্বাত্ত্বিক আলোচনায় ভরপুর পট্ঠান পাঠ সদ্ধর্মদেশনা ৪র্থ দিনে-

একক সদ্ধর্মদেশক : ধর্মদূত, সদ্ধর্মকোবিদ #ভদন্ত_মহাস্থবির_এস_লোকজিৎ_ভিক্ষু, (এম.এ, এম ফিল, পিএইচডি গবেষক) অধ্যক্ষ, ঐতিহ্যবাহী পুণ্যতীর্থ চান্দগাঁও সার্বজনীন শাক্যমুনি বিহার, প্রাক্তন মহাসচিব, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা।

তারিখ: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ইং, রোজ রবিবার।
স্থান : গহিরা জেতবনারাম বিহার, গহিরা অংকুরীঘোনা, রাউজান, চট্টগ্রাম।

15/04/2024

কধুরখীল মার্জিন বিহারের ধর্মপ্রাণ উপবাসক বাবু লায়ন সোহেল বড়ুয়া বাড়িতে সংঘদান অনুষ্ঠানে-

একক সদ্ধর্মদেশক : ধর্মদূত, সদ্ধর্মকোবিদ #ভদন্ত_মহাস্থবির_এস_লোকজিৎ_ভিক্ষু, (এম.এ, এম ফিল, পিএইচডি গবেষক) অধ্যক্ষ, ঐতিহ্যবাহী পুণ্যতীর্থ চান্দগাঁও সার্বজনীন শাক্যমুনি বিহার, প্রাক্তন মহাসচিব, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা।

তারিখ: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ইং সকালবেলা।
স্থান, কধুরখীল, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম।

14/04/2024
14/04/2024

নমো বুদ্ধায়

বাংলা বছরের প্রথম দিন

শুভ নববর্ষ (পহেলা বৈশাখ) উদ্যাপন-১৪৩১ বাংলা
সকাল ১০.০০ ঘটিকায় বুদ্ধ- স্নান, অষ্টপরিষ্কারসহ সংঘদান ও মাতা-পিতার পুজা

একক সদ্ধর্মদেশনা প্রদান করবেনঃসদ্ধর্মকোবিদ, ধর্মদূত, মহাস্থবির এস লোকজিৎ ভিক্ষু

নববর্ষ ১৪৩১

তারিখ ১লা বৈশাখ ১৪৩১ বাংলা, ১৪ এপ্রিল ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, রবিবার।

আয়োজনে- ঐতিহ্যবাহী পুণ্যতীর্থ চান্দগাঁও সার্বজনীন শাক্যমুনি বিহার, বাহির সিগন্যাল প্রাচীন বৌদ্ধ জনপদ, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম।

মিথ্যা বানোয়াট অসত্য কথা লিখা সত্যকে বন্দি করা যাবে না  ******************ভদন্ত ধর্মবোধি ভিক্ষু আবাসিক, বিশ্বশান্তি প্যা...
13/04/2024

মিথ্যা বানোয়াট অসত্য কথা লিখা সত্যকে বন্দি করা যাবে না
******************
ভদন্ত ধর্মবোধি ভিক্ষু
আবাসিক, বিশ্বশান্তি প্যাগোডা , চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ।

আজ দুঃখ ভরা কান্ত মনে লিখতে হয় যারা চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার সাংঘিক বিহারের জন্য ইতিমধ্যে কাজ করে যাচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে আশ্রিত বৌদ্ধ সমিতি বিভিন্ন অপকৌশল অবলম্বন করে যাচ্ছেন। চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার সাংঘিক বিহার রক্ষা ও আন্দোলনের স্বপ্নদ্রষ্টা সংঘবন্ধু প্রয়াত অজিতানন্দ মহাথের। সেই ৯০দশকে আন্দোলনের অন্যতম ছিলেন বাবু অর্থদর্শী বড়ুয়া। তখন থেকে আশ্রিত সমিতির অন্যায় আচরণের বিরুদ্ধে সজাগ ছিলেন। আন্দোলন দমানো জন্য আশ্রিত সমিতি বিভিন্ন হয়রানি থেকে শুরু সাঘিক বিহার রক্ষা জন্য তাকে কারাগারে যেতে হয়েছিল। কিছু ভিক্ষুর কারণে অবৈধ সমিতি অনেকটা সফল হয়েছিল।
২০১২ সালে অবৈধভাবে গুরুদেব ড.জিনবোধি মহাথের মহোদয় বিনা কারণে বৌদ্ধ বিহার বহিষ্কার করলে, তাদের বিরুদ্ধে আদালতে পর্য়ন্ত যায় তাদের অপকৌশর বিভিন্ন দলিল জালায়াতি ধরা পরে।
আমার একটা কথা মনে পড়ে চর্যাপদ গ্রন্থে উল্লেখ আছে, হরিণ নিজের মাংসের জন্য পুরা জঙ্গলে শত্রু। জঙ্গলে যত প্রাণী আছে সবাই হরিণের দিকে ছুটে।
ধার্মিক উপাসক সংঘসমাজের জন্য সবসময় নিজের জীবনের মায়া ত্যাগ করে সারা সাংঘিক কাজ গুরু করে যাচ্ছেন। তিনি উপাসক ৯০দশকের আশ্রিত বৌদ্ধ সমতির ইতিবৃত, ইতিহাস অনাগলভাবে লিখে যাচ্ছেন, আশ্রিত সমতির গায়ের জ্বালা শুরু হয়েছে। তখন থেকে উপাসক অর্থদর্শী বড়ুয়াকে পারিবারিকভাবে মিথ্যা হয়রানি শুরু করলো, পরিবারের সুদীর্ঘকাল ইতিহাস আছে, একজন আলোকিত সাংঘিক ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সফল সাবেক মহাসচিব এস লোকজিৎ মহাথের মহোদয়। আশ্রিত বৌদ্ধ সমিতি শুধু তারা নয় বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে ফেইক আইডি বিভিন্ন নামকরণ করে মিথ্যা বানোয়াট অসত্য কথা লিখে যাচ্ছে, মিথ্যা দিয়ে ভয়বীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার সাংঘিক আন্দোলনে জড়িত কারণে মিথ্যা মামলা ভয়বীতি দেখাচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থাকবে। আরো যাদের বিরুদ্ধে লিখেছে ধারাবাহিক তুলে ধরা হবে। সংঘদরদী ধার্মিক উপাসক অর্থদর্শী বড়ুয়ার বিরুদ্ধেন ফেইক আইডিতে লিখেছেন তাদেরকে আমরা নজরে রাখছি। সময় সাপেক্ষ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
উপাসকের শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি।

12/04/2024

. 💮💮💮নমো বুদ্ধায়💮💮💮

#ঐতিহ্যবাহী_ত্রিপুরা_সুন্দরী_সার্বজনীন_নালন্দা_বৌদ্ধ_বিহার

প্রাক্তন সভাপতি স্বগীয় ফনিভূষণ বড়ুয়া, ১ম মৃত্যু বার্ষিকী ও শ্রীমতি সন্ধ্যা বড়ুয়ার পরিবারের নীরোগ দীর্ঘায়ু জীবন কামনায়
#অষ্টপরিষ্কার সহ মহতী #সংঘদান ও #জ্ঞাতিভোজন

তং:১২ এপ্রিল ২০২৪

সভাপতি:
প্রফেসর ড. জিনবোধি মহাস্থবির, একুশে পদকে ভূষিত, প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রাচ্য ভাষা বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রধন জ্ঞাতি:
ভদন্ত প্রজ্ঞাজ্যোতি মহাস্থবির অধ্যক্ষ সুখবিলাস ভগবানপুর ধম্মাংকুর সর্বজনীন বিহার।

প্রধান সদ্ধর্মদেশক:
ভদন্ত মহাস্থবির এস. লোকজিৎ ভিক্ষু
বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার প্রাক্তন মহাসচিব, পুণ্যতীর্থ চাঁন্দগাঁও সার্বজনীন শাক্যমুনি বিহারের অধ্যক্ষ।

বিমেষ অতিথি:
ভদন্ত সত্যজিৎ মহাস্থবির,
প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ, বান্দরবান বালাঘাটা জ্ঞানরত্ন বৌদ্ধ বিহার, বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
আয়োজনে: ফণিভূষণ বড়ুয়ার পরিবার বর্গ। উত্তর পদুয়া, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম।

10/04/2024

. 💮 নমো ত্রিরত্ন💮
আগামী দিনে শিক্ষার আলোয় এগিয়ে যাওয়ার মানসে এইচএসসি ব্যাচ ২০২৪ সকল পরীক্ষার্থীদের শুভ কামনা ও উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনায় অষ্টপরিস্কারসহ সংঘদান অনুষ্ঠানে -

প্রধান অতিথিঃ একুশে পদক প্রাপ্ত ড. জিনবোধি মহাথের উপাধ্যক্ষ চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার।

সভাপতিঃ ধর্মদূত, সদ্ধর্মকোবিদ ভদন্ত মহাস্থবির এস লোকজিৎ ভিক্ষু অধ্যক্ষ, ঐতিহ্যবাহী পুণ্যতীর্থ চান্দগাঁও সার্বজনীন শাক্যমুনি বিহার।

তারিখ ১০ এপ্রিল ২০২৪ইং
স্থান: ঐতিহ্যবাহী পুণ্যতীর্থ চান্দগাঁও সার্বজনীন শাক্যমুনি বিহার, বাহির সিগনাল, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম।

সমস্ত সংস্কার অনিত্য  অনিত্য বয়ে চলে....পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ'র সম্মানিত মহাসচিব, শিক্ষাবিদ,  উদীয়মান সাংঘিক ব্যক...
09/04/2024

সমস্ত সংস্কার অনিত্য
অনিত্য বয়ে চলে....

পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ বাংলাদেশ'র সম্মানিত মহাসচিব, শিক্ষাবিদ, উদীয়মান সাংঘিক ব্যক্তিত্ব, অধ্যাপক ভদন্ত #সুগতলংকার থের ভান্তে মহোদয় আজ ৯ এপ্রিল ২০২৪ খ্রি. মঙ্গলবার সকাল ৯:১৫ মিনিটে পরলোগমন করেন। ভান্তে প্রয়াণে গভীর শোকাভিভূত ও সুখ সদ্গতি কামনায় পূণ্য দান করছি। তিনি বহু হিতাকাঙ্ক্ষীদের সহযোগিতায় ভারতে চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরে ক্লোন ক্যান্সারের সাথে লড়াই করে আজ না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন।

09/04/2024

গুরু পূজা কিভাবে করবেন?
**************************
সদ্ধর্মদেশনায়: ধর্মদূত, সদ্ধর্মকোবিদ #ভদন্ত_মহাস্থবির_এস_লোকজিৎ_ভিক্ষু, (এম.এ, এম ফিল, পিএইচডি গবেষক) অধ্যক্ষ, ঐতিহ্যবাহী পুণ্যতীর্থ চান্দগাঁও শাক্যমুনি বিহার, প্রাক্তন মহাসচিব, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা।

📷. Ven Shraddhanidhi

08/04/2024

সরাসরি সম্প্রচার...
প্রতিবাদ সমাবেশ

08/04/2024

পুটিবিলা, লোহাগাড়া, চট্টগ্রাম।

ননীবালা নামকে ছাপিয়ে দীপা'র মা নামে যিনি সমাধিক পরিচিত সেই 'দীপা'র" (২৬.১১.২০২২) বুদ্ধগয়ায় প্রয়াণ; একটি ইতিহাসের সমাপ্তি...
07/04/2024

ননীবালা নামকে ছাপিয়ে দীপা'র মা নামে যিনি সমাধিক পরিচিত সেই 'দীপা'র" (২৬.১১.২০২২) বুদ্ধগয়ায় প্রয়াণ; একটি ইতিহাসের সমাপ্তি-
***********************************
আসল নাম ননীবালা বড়ুয়া, জন্ম ১৯১১ সালের ২৫ মার্চ, চট্টগ্রামে। লেখাপড়াটা এগোয়নি, ১২ বছর বয়সেই যে বিয়ের পিঁড়িতে বসতে হয়েছিল। বর রজনী বড়ুয়া, চট্টগ্রামেই বাড়ি। কিন্তু প্রকৌশল কাজে বার্মা (বর্তমান মিয়ানমার) থাকতেন। স্বামীর সঙ্গে ননীবালাকেও পাড়ি জমাতে হয় সেখানে। বিয়ের মোটে ছয় বছর-মারা যান ননীর মা। দেড় বছরের ছোট ভাই বিজয় বড়ুয়ার দায়িত্ব পড়ে তাঁর ওপর। ঘরকন্নায় দিন কাটে। ৩৫ বছর বয়সে কোলজুড়ে আসে ছোট্ট এক মেয়ে। কিন্তু সুখ যে কপালে নেই। তিন মাস বয়সেই মেয়েটি মারা যায়। প্রথম সন্তানের মৃত্যুর দুঃখে মন খুবই চঞ্চল হয়ে ওঠে। ননীবালার ৩৯ বছর বয়সে জন্ম নেয় দীপা। আর এই থেকেই সবাই তাঁকে ডাকে দীপার মা। শেষে এই নামের কারণে আসল নামটি ধীরে ধীরে আড়াল পড়ে যায়।

দীপার জন্মের দুই বছর পর এবার ছেলের মা হন ননীবালা। কিন্তু জন্মের কিছুদিন পরই ছেলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। পুত্রশোকে কাতর হন মা। ১৯৫৭ সাল, আরো একটি বড় আঘাত। এবার ওপারে চলে যান স্বামী। এক বছরের মধ্যে স্বামী ও পুত্রকে হারিয়ে সাত বছরের মেয়েকে নিয়ে মা যেন শোকের সাগরে ভাসেন। রোগে-শোকে একেবারে চলাচলও বন্ধ হওয়ার অবস্থা। হাঁটার শক্তিও হারিয়ে ফেলেন অনেকটা। একদিন ডাক্তার তাঁকে বললেন, আপনি যদি মানসিক অবস্থার উন্নতি না ঘটান তবে মারা যাবেন।
সে সময় চট্টগ্রাম থেকে ধ্যানশিক্ষার জন্য বার্মায় গিয়েছিলেন অনাগারিক মুনিন্দ্রজী। সেখানকার চট্টগ্রামবাসী বড়ুয়া সম্প্রদায়ের কাছে জানতে পারেন দীপার মা মানে ননীবালার কথা। সব শুনে তিনি দীপার মাকে দেখতে যান। তিনি তাঁকে অনুরোধ করলেন সেখানকার মহাসী সেয়াড বৌদ্ধবিহারে যেতে। সেখানে গেলে তাঁর দুরবস্থা লাঘব হতে পারে। মুনিন্দ্রজীর কথা রাখলেন দীপার মা। যথাক্রমে মুনিন্দ্রজী ও মহাসী সেয়াডর কাছে বিদর্শন ভাবনা (বৌদ্ধদের সাধনপদ্ধতি) শিক্ষা নিলেন। তিনি ধ্যান-সমাধিতে নিজেকে প্রশান্তিতে মনোনিবেশ করলেন। ধীরে ধীরে মনকে শান্ত করতে পারলেন। এরপর সেখান থেকে চলে গেলেন ভারত। ভারতে একজন প্রতিবেশীকে ধ্যানচর্চা শেখানোর মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া শুরু। এরপর দেশ-বিদেশের অনেক শিক্ষার্থী জুটে যায়। ইউরোপ-আমেরিকার অনেকে তাঁর কাছ থেকে ধ্যানশিক্ষা লাভ করেন।
এই প্রাচ্যে ড. রাষ্ট্রপাল মহাথের দীপার মায়ের বড় শিষ্য।

রাষ্ট্রপাল মহাথের ১৯৬৯ সালে পিএইচডি করার পর বিদর্শন ভাবনার প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য যোগ্য গুরুর সন্ধানে ভারত-বার্মার বিভিন্ন স্থানে ছোটাছুটি করছিলেন। এরই মধ্যে বাংলার খ্যাতনামা বিদর্শনাচার্য্য অনাগারিক মুনিন্দ্রজীর মাধ্যমে তিনি বিদর্শনাচার্য্যা দীপা-মা-র সঙ্গে পরিচিত হন। উল্লেখ্য, এর আগে ড. মহাথের বার্মার বিশ্ববিখ্যাত বিদর্শনাচার্য্য মহাসী সেয়াডসহ পাঁচজনের সান্নিধ্যে বিদর্শন ভাবনা অনুশীলন করলেও বিদর্শনাচার্য্যা ননীবালা বড়ুয়ার পরিচালিত প্রশিক্ষণে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হয়েছেন বলে অকপটে স্বীকার করতেন। তবে বলতে গেলে ড. রাষ্ট্রপাল মহাথের দীপা-মাকে গুরু বলে দেশ-বিদেশে প্রচার করায় তিনি আন্তর্জাতিক পরিচিতি পান। ডক্টরেট করার পর রাষ্ট্রপাল যখন একজন প্রায়-নিরক্ষর মহিলার কাছে ধ্যান প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন, তাঁকে গুরু বলে প্রচার করছেন, তখন অনেক ভিক্ষু ও গৃহীরা কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি। ড. মহাথের আন্তর্জাতিক সাধনাকেন্দ্র-বুদ্ধগয়ায় ননীবালা বড়ুয়ার ৭৭তম জন্মজয়ন্তী উদ্‌যাপন ও 'বিদর্শনাচার্য্য ননীবালা বড়ুয়া-দীপা-মা' নামে একটি বই রচনা করেন। বর্তমান বিশ্বে অনেক মেডিটেশন শিক্ষকই দীপা-মা-র শিষ্য। তিনি ইংরেজি জানতেন না, বাংলায় সব কিছু বলে দিতেন আর অন্য একজন সেটাকে ইংরেজিতে অনুবাদ করে দিতেন। অনেকেই তাঁর বিদর্শন ভাবনায় বিশদ জ্ঞান লাভ করে তাদের জীবনদর্শন পরিচালিত করছে। তিনি গত হন ১৯৮৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর। যাঁর নামে ননীবালা বড়ুয়া দীপার মা হিসেবে পরিচিত, সেই দীপাও এখন মেডিটেশনের শিক্ষক। তিনি বর্তমানে ভারতে আছেন।

দীপা-মা বা ননীবালার কিছু অভিজ্ঞতালদ্ধ কথা-

* তুমি আমাকে দেখতে পাচ্ছ। স্বামী-সন্তান হারানোর পর আমি একেবারে ভেঙে পড়েছিলাম এবং রোগে পড়েছিলাম। ঠিকমতো হাঁটতে পর্যন্ত পারতাম না। কিন্তু এখন দেখো, আমাকে কী দেখতে পাচ্ছ? আমার সব রোগ চলে গেছে। আমি একেবারে নতুন জীবন পেয়েছি এবং সেসব কিছুই মনে নেই আমার। কোনো দুঃখ নেই, যন্ত্রণা নেই। তুমি যদি মেডিটেশন করো, তুমিও সুখী হবে। বিপাসন্নে (প্রাচীন ভারতের একটি সাধনপদ্ধতি) কোনো জাদু নেই, তুমি শুধু অনুসরণ করো।

* প্রতিদিন ধ্যান করো। এখনই করো। পরে করবে এমনটি ভেবো না।

* পুরুষদের তুলনায় মহিলারা দ্রুত ভাবনায় মনোনিবেশ করতে পারে, কারণ মহিলাদের মনটা স্বভাবত কোমল-নরম প্রকৃতির।

* মনকে মুক্ত করে দাও। তোমার মনেই সব আছে।

* মেডিটেশন হলো পরিভ্রমণ। এটি সবাইকে পরিপূর্ণ করে।
গুরু অনাগারিক মুনিন্দ্রজী, অনাগারিক মুনিন্দ্রজীর সঙ্গে দীপা-মার পরিচয় মিয়ানমারে। তাঁর কাছ থেকেই ধ্যান শিখেছিলেন দীপা-মা। বিদর্শন ভাবনায় জ্ঞান লাভ করে কিভাবে রোগশোক থেকে মুক্তি পেতে হয় সেগুলোই প্রিয় শিষ্যকে শিখিয়েছিলেন গুরু। ১৯৭৯ থেকে ২০০৩ সালে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি বৌদ্ধগয়ায় ছাত্রদের ধর্মশিক্ষা ও ধ্যান প্রশিক্ষণ করিয়েছেন। বুদ্ধের বাণী প্রচারে ভ্রমণ করেছেন কয়েকটি দেশ।
ননী বালার বড়ুয়ার শিষ্যদের মধ্যে প্রথম শিষ্য হচ্ছেন উনার প্রতিবেশী মিতালী বড়ুয়া।

পরে যথাক্রমে বিশ্বখ্যাত শিষ্য-

ড. রাষ্ট্রপাল মহাথের
ড. রাষ্ট্রপাল মহাথেরই দীপা-মাকে গুরু বলে দেশ-বিদেশে প্রচার করে আন্তর্জাতিক খ্যাতি বাড়িয়ে দেন। তিনি বিশ্ব বৌদ্ধদের প্রাণকেন্দ্র বুদ্ধগয়ায় আন্তর্জাতিক সাধনাকেন্দ্রে 'বিদর্শনাচার্য্যা ননীবালা বড়ুয়া ভবন' নামে একটি ভবনের নামকরণ করেন।

** আর রাষ্ট্রপাল ভান্তের পরবর্তী শিষ্য বিদর্শনার্য্য বোধিপাল শ্রামণ
**উনার শিষ্য আর্যমাতা রানুপ্রভা বড়ুয়া
** উনার শিষ্য বিদর্শনার্য্য তেমিয়ব্রত বড়ুয়া বর্তমানে চান্দগাঁও বোধিপাল আন্তর্জাতিক বিদর্শন ভাবনা কেন্দ্রের প্রধান বিদর্শাচার্য আশিন খেমিকা থেরো।

এছাড়াও আমেরিকায় আছেন-

জোসেফ গোল্ডস্টাইন;
আমেরিকায় তিনিই প্রথম 'বিপাসন্ন' শিক্ষক। ইনসাইট মেডিটেশন সোসাইটির সহপ্রতিষ্ঠাতা। সমকালীন বুদ্ধবাদের ওপর লেখা তাঁর বইও আছে।

জ্যাক কর্নফিল্ড
আমেরিকান লেখক ও শিক্ষক। আমেরিকায় 'বিপাসন্ন' আন্দোলন 'থেরাভাদা বুদ্ধিজম'-এর অন্যতম ব্যক্তি। তিনি থাইল্যান্ড, মিয়ানমার ও ভারত ঘুরে বুদ্ধিজমের ওপর ধ্যানচর্চা করেছেন।

শ্যারন সাল্জবার্গ
নিউইয়র্ক টাইমসের বেস্ট সেলার লেখক। প্রাশ্চাতে বুড্ডিস্ট মেডিটেশন চর্চাকারী হিসেবে খ্যাতি আছে। তিনিও ইনসাইট মেডিটেশন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।

শেষের জন Sharon Salzberg আমেরিকার কয়েকজন ভাবনা গুরুদের মধ্যে তিনি একজন।এ যাত্রা শুরু হয় ১৯৭০ সনে এবং ১৯৮০ সনে Insight Meditation Society in Barre, Massachusetts স্থানে ধর্ম দান করেন।বিদ্যালয় শিক্ষা বেশী না থাকলেও পর কিভাবে বঙ্গীয় একটি কন্যা রত্ন আমেরিকার আধুনিক মানুষদের মন জয় করেছিলেন ভাবতেই চিত্ত শিয়রে উঠে।বন্দনায় মন নত হয় বারবার।
১৯৮৯ সনে সেপ্টেম্বর মাসে ৭৮ বছর বয়সে ননী বালা বড়ুয়া তথা দীপার মা নামের এ বঙ্গীয় আর্য মাতা প্রয়াণ করেন। এবং ২৬ নভেন্বর, ২০২২ খ্রি. প্রয়াণ দিবস লিপিবদ্ধ করতে হবে দীপার মা খ্যাত "দীপার"। মহাজীবন গুলোর প্রয়াণ ধরণীও ব্যাথিত হয় আর আমরা তো পৃথকজন।
#সংগৃহীত

বিনয়পিটক শিক্ষা কর্মসূচী (ব্যাচ ০১) পটভূমিঃএদেশে বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ইতিপূর্বে বেশ কিছু লেখা লিখেছিলা...
06/04/2024

বিনয়পিটক শিক্ষা কর্মসূচী (ব্যাচ ০১)
পটভূমিঃ
এদেশে বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে ইতিপূর্বে বেশ কিছু লেখা লিখেছিলাম। অনেকেই বিষয়টির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। সত্যি বলতে কি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম পুরোপুরি শুরু করা একটি লম্বা প্রক্রিয়া। জায়গা সংগ্রহ, ভবন নির্মাণ, সরকারি অনুমোদন গ্রহণ, শিক্ষক নিয়োগ, শিক্ষার্থী সংগ্রহ ইত্যাদি। বলা চলে কমপক্ষে দশ বছরের একটি পরিকল্পনা নিয়ে এগুতে হবে পরিপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায়। আমাদের চাওয়া গতানুগতিক কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নয়। আমাদের চাওয়া বৌদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়। আর এটা চাওয়ার মূল কারণ হচ্ছে এদেশের গৃহী এবং ভিক্ষুরা যেন ত্রিপিটক শিক্ষায় শিক্ষিত হতে পারে।

মনে করলাম আজকেই আমাদের কার্যক্রম শুরু হলো আর তাতেও আমাদের দশ বছর বা ততোধিক সময় অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু অনলাইনের এই যুগে আমরা বসে থাকব কেন? বলে রাখা প্রয়োজন ইতিপূর্বে আমরা ত্রিপিটক রিসার্চ সোসাইটি পালি শিক্ষা নিকেতনের মাধ্যমে প্রায় ২০০ ক্লাসে পালি প্রথম খণ্ড, এবং ১৫০ ক্লাসে পালি দ্বিতীয় খণ্ড অনলাইনে শেখানোর কার্যক্রমে সফল হয়েছি। আর তাই বিল্ডিং তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু না হওয়া অবধি মিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু করতে চাই। প্রথম পর্বে আমরা শুধুমাত্র ভিক্ষুদের বিনয়পিটক শিক্ষা কর্মসূচীর কার্যক্রম চালু করতে চাই। পর্যায়ক্রমে গৃহী, ভিক্ষু উভয়ের জন্য সূত্র ও অভিধর্ম পিটক শিক্ষা কর্মসূচী শুরু হবে।

ক্লাসের নিয়মাবলীঃ
১) সমগ্র বিনয়পিটককে ১৮০টি ক্লাসে ভাগ করে, ১৮০টি ভিডিও দেয়া থাকবে। বিনয় বিষয়ে অভিজ্ঞ দক্ষ শিক্ষকেরা (ভিক্ষু) এই ক্লাসগুলো দিবেন।

২) নিজের সুবিধামতো সময়ে সারাদিনের যে কোনো সময় রেকর্ড করা ভিডিও ক্লাসগুলো দেখা যাবে। প্রতিটি ভিডিও ক্লাস শেষে এক কথায় উত্তর প্রদান শীর্ষক প্রশ্নপত্র দেওয়া হবে। শিক্ষার্থীকে পরবর্তী ২৪ ঘন্টার মধ্যে খাতায় প্রশ্নোত্তর লিখে ছবি তুলে মেসেঞ্জারে পাঠাতে হবে।

৩) নির্দিষ্ট সংখ্যক ক্লাস শেষে শিক্ষকের সাথে সরাসরি অনলাইন আলোচনার সুযোগ থাকবে। যেখানে বিভিন্ন প্রশ্নাদির সরাসরি উত্তর দিবেন শিক্ষকেরা।

৪) যেসব ভিক্ষু সংঘ প্রতিদিন একটি ঘন্টা ব্যয় করতে পারবেন এই শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য এই কোর্সটি কেবলমাত্র তাদের জন্য। বেশি ব্যস্তদের এই কোর্সে অংশগ্রহণ না করার অনুরোধ থাকবে।

৫) বিনয় বুদ্ধ শাসনের আয়ু। পূর্ণাঙ্গ বিনয়পিটক অধ্যয়ন করা হলে কিংবা জানা হলে আচরণেও অনেকাংশে পরিবর্তন আসবে। আর তাতে শাসন সদ্ধর্মের প্রভূত উন্নতি সাধন হবে। এ লক্ষ্যেই এই কোর্সের আয়োজন। এ লক্ষ্যের সাথে একাত্ম হলেই কেবল অংশগ্রহণের অনুরোধ রইল অন্যথায় নয়। উল্লেখ্য, পালি শিক্ষার এই কার্যক্রম একটি নির্দিষ্ট ফেইসবুক গ্রুপে সীমাবদ্ধ থাকবে। সবার জন্য উম্মুক্ত থাকবে না।

কোর্স শেষে যা দেওয়া হবেঃ
১) যারা পুরো কোর্স শেষ করবে তাদেরকে আনুষ্ঠানিক সম্মাননা প্রদান করা হবে।

২) তাদেরকে বিনয়ভানক উপাধিতে ভূষিত করা হবে।

৩) প্রাথমিকভাবে ২০ জন শিক্ষার্থী ধরে নিয়ে কোর্স শেষে জনপ্রতি ১০,০০০/- টাকা করে চতুর্প্রত্যয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য ২,০০,০০০/- লক্ষ টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হবে। শিক্ষার্থী সংখ্যা বেশি হলে শিক্ষাবৃত্তির মোট টাকাকে আনুপাতিক হারে ভাগ করে দেওয়া হবে। দাতা পাওয়া গেলে এই শিক্ষাবৃত্তির পরিমাণ বাড়তে পারে।

কোর্সের খরচাদিঃ
১) কমপক্ষে দুই লক্ষ টাকা শিক্ষাবৃত্তি, প্রতিটি ক্লাসের জন্য শিক্ষককে সম্মানী প্রদান বাবদ প্রায় দুই লক্ষ টাকা, প্রতিদিন পরীক্ষার প্রশ্ন প্রণয়ন উত্তরপত্র মূল্যায়ন ইত্যাদির জন্য শিক্ষক নিয়োগ, আনুষ্ঠানিক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত ব্যয় আনুমানিক এক লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার মতো দরকার এই কোর্সটি সমাপ্ত করতে। শিক্ষার্থী বেড়ে গেলে এবং সবাইকে দশ হাজার করে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হলে এই ব্যয়ের পরিমাণ আরো বাড়বে।

২) যে কোনো ব্যক্তি কমপক্ষে একজন ভান্তের শিক্ষাবৃত্তির দায়িত্ব কিংবা শিক্ষকের নির্দিষ্ট ক্লাসের সম্মানীর দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসলে এই খরচ মেটাতে তেমন বেগ পেতে হবে না। যারা খরচের দায়িত্ব নিবেন আনুষ্ঠানিক সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তাদেরকেও সম্মানিত করা হবে।

যারা ক্লাস নিবেনঃ
১) শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, থাইল্যান্ড, ভারত ও বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও পরিয়ত্তি সেন্টারের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং এদেশের বিনয় বিষয়ে অভিজ্ঞ ভিক্ষুদের দিয়ে পাঠদান করানো হবে।

২) এদেশে গৃহী অভিজ্ঞ শিক্ষক থাকলেও এই কোর্সে শুধুমাত্র ভিক্ষুরাই ক্লাস নিবেন।

অতএব...
১) বিনয়পিটক শিক্ষায় আগ্রহী ভিক্ষুরা পোস্টে আপনার আগ্রহের কথা প্রকাশ করুন। এবং ইনবক্সে নাম, ঠিকানা, মোবাইল নং দিন।

২) যে সকল উৎসাহীগণ ইতিপূর্বে সাথে থাকবেন বলেছেন, সর্বাত্মক সহায়তা দিবেন বলেছেন তারাও ইনবক্সে নক দিতে পারেন ভিক্ষুদের শিক্ষাবৃত্তি কিংবা শিক্ষকদের সম্মানী প্রদানের বিষয়ে এগিয়ে আসতে পারেন।

সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা যেন সফল হতে পারি এই প্রার্থনা করছি।

নিবেদনে-
উজ্জ্বল বড়ুয়া বাসু
সভাপতি, ত্রিপিটক রিসার্চ সোসাইটি
০৬.০৪.২০২৪

06/04/2024

নমো বুদ্ধায়

পটিয়া উপজেলাধীন ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধপল্লী নাইখাইন গ্রামের কৃতি সন্তান অনিরুদ্ধ বড়ুয়া ও তাঁর সহধর্মিণী ধার্মিক উপাসিকা হিমু বড়ুয়ার স্কুলপুত্র অরিন্দম বড়ুয়া প্রত্যয়ের শুভ প্রব্রজ্যা গ্রহণ এবং দুই কন্যা চিত্রলেখা বড়ুয়া প্রাপ্তি ও চিন্ময়ী বড়ুয়া প্রীতির শুভ কর্ণছেদন উপলক্ষে অষ্ট পরিষ্কারসহ মহতী সংঘাদান ও বুদ্ধ প্রতিবিম্ব দানানুষ্ঠানে-

প্রধান সদ্ধর্মদেশক : ধর্মদূত, সদ্ধর্মকোবিদ #ভদন্ত_মহাস্থবির_এস_লোকজিৎ_ভিক্ষু, (এম.এ, এম ফিল, পিএইচডি গবেষক) অধ্যক্ষ, ঐতিহ্যবাহী পুণ্যতীর্থ চান্দগাঁও সার্বজনীন শাক্যমুনি বিহার, প্রাক্তন মহাসচিব, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা।

স্থান: সিরাজউল্লা রোড,চকবাজার, চট্টগ্রাম।
তারিখ : ৬ এপ্রিল ২০২৪ই
আয়োজনে: প্রকৌশলী কমলেন বড়ুয়া ও পরিবারবর্গ।

05/04/2024

বার্ষিক ধর্মীয় বৃত্তি পরীক্ষা- ২০২৩
চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ ও বৃত্তি প্রদান স্মারক

সংঘরাজ পূর্ণাচার ভিক্ষু সংসদ ও সংঘরাজ পূর্ণাচার বৌদ্ধ ধর্মীয় শিক্ষা পরিষদ

05/04/2024

রাঙ্গুনিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির সহ-সভাপতি ও বৃহত্তর রাজানগর আঞ্চলিক ভিক্ষু পরিষদের সুযোগ সভাপতি রাজানগর শাক্যমুনি রাজ বিহারের বিহারাধ্যক্ষ রাজগুরু ভদন্ত ইন্দাচারা মহাস্থবির মহোদয়ের ও ৮৭ হীরক জয়ন্তী অনুষ্ঠানে-

মুখ্য আলোচক:ধর্মদূত, সদ্ধর্মকোবিদ #ভদন্ত_মহাস্থবির_এস_লোকজিৎ_ভিক্ষু, (এম.এ, এম ফিল, পিএইচডি গবেষক) অধ্যক্ষ, ঐতিহ্যবাহী পুণ্যতীর্থ চান্দগাঁও সার্বজনীন শাক্যমুনি বিহার, প্রাক্তন মহাসচিব, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা।

তারিখ : ৫ এপ্রিল ২০২৪ই রোজ শুক্রবার।
স্থান: রাজনগর শাক্যমুনি রাজ বিহার। দক্ষিণ রাজনগর, রাঙ্গুনিয়া, চট্টগ্রাম।

নমো ত্রিরত্নায়আগামী দিনের সুশিক্ষা ও জ্ঞানের আলোয় এগিয়ে যাওয়ার মানসে এইচএসসি-২০২৪ ব্যাচ এর সকল পরীক্ষার্থীদের মঙ্গল ও উত...
03/04/2024

নমো ত্রিরত্নায়
আগামী দিনের সুশিক্ষা ও জ্ঞানের আলোয় এগিয়ে যাওয়ার মানসে এইচএসসি-২০২৪ ব্যাচ এর সকল পরীক্ষার্থীদের মঙ্গল ও উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি কামনায় "নবদূত" এর উদ্যোগে ও সদ্ধর্মপ্রাণ শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় আয়োজিত মহতী অষ্টপরিষ্কারসহ সংঘদানানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।এই মহান পুণ্যময় অনুষ্ঠানে-
প্রধান অতিথিঃ একুশে পদক প্রাপ্ত ড. জিনবোধি মহাথের, উপাধ্যক্ষ চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার।

সভাপতি: ধর্মদূত, সদ্ধর্মকোবিদ ভদন্ত মহাস্থবির এস লোকজিৎ ভিক্ষু (এম.এ, এম ফিল, পিএইচডি গবেষক) অধ্যক্ষ, ঐতিহ্যবাহী পুণ্যতীর্থ চান্দগাঁও সার্বজনীন শাক্যমুনি বিহার, প্রাক্তন মহাসচিব, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা।

উক্ত মঙ্গলময় অনুষ্ঠানে আপনাদের সকলের উপস্থিতি কামনা করছি।
তারিখ: ১০ই এপ্রিল ২০২৪ ইং বুধবার.
স্থান : ঐতিহ্যবাহী পুণ্যতীর্থ চাঁন্দগাও সার্বজনীন শাক্যমুনি বিহার, বাহির সিগন্যাল বড়ুয়া পাড়া, চান্দগাঁও, চট্টগ্রাম।

কান নিয়েছে চিলে - বিপ্লব বড়ুয়া  লিখিত পোস্ট টির প্রত্ত্যুত্তর। (যা অতীশ দীপংকর, ধম্মকথা নামক পোস্টেও প্রচার করা হয়েছে।...
31/03/2024

কান নিয়েছে চিলে - বিপ্লব বড়ুয়া লিখিত পোস্ট টির প্রত্ত্যুত্তর। (যা অতীশ দীপংকর, ধম্মকথা নামক পোস্টেও প্রচার করা হয়েছে।)
- অধ্যাপক ড . অর্থদর্শী বড়ুয়া

পুরো লেখাটাই একপেশী ,মিথ্যা তথ্য দ্বারা দূরাচার অবৈধ দখলদার বৌদ্ধ সমিতির তথাকথিত নেতাদের ঘৃণ্য চরিত্র কে জনসমক্ষে ফুলের মত পবিত্র বানাতে অপ্রপ্রয়াস কে নির্লজ্জ বেহায়াপনার বহিঃপ্রকাশ। বিগত ৪০/ ৪৫ বছর যাবৎ ভিক্ষু শ্রামনকে নির্যাতন করে আসছে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে আশ্রিত বৌদ্ধ সমিতি। চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের ২য় বিহারাধ্যক্ষ ভদন্ত দীপংকর শ্রীজ্ঞান মহাস্থবির, ৩য় বিহারাধ্যক্ষ অধ্যাপক শীলাচার শাস্ত্রী এমএ, উপাধ্যক্ষ ভদন্ত প্রজ্ঞাবংশ মহাথের, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর ড. জিনবোধি মহাথের, চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের বাইরে কর্মবীর বুদ্ধদত্ত মহাথের তালসরা, সাহিত্য বিনোদ পূর্ণানন্দ মহাস্থবির ভান্ডারগাঁও,বিনা অপরাধেে দুই জন ভিক্ষুকে (দানবাক্সের টাকায় ঘুষদিয়ে) জেল হাজতে প্রেরণ, রাতের অন্ধকারে ১৫ জন ভিক্ষুকে জোর করে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার থেকে বের করে দেয়া, আশির দশকে অষ্টম সংঘরাজ সাহিত্যরত্ন শীলালংকার মহাথেরসহ বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার কারক সভার সদস্য শীর্ষ স্হানীয় মহাস্থবিরগণকে পুলিশ দিয়ে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার থেকে বের করে দেয়া, অষ্টম সংঘরাজ শীলালংকার মহাথেরোর ছবি ভাংচুর করা, চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার হতে বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষুমহাসভার সাইনবোর্ড ফেলা দেয়া, চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের নীচতলায় পশ্চিম কক্ষে স্হিত বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার অফিস কক্ষটি ভাংচুর করে জিনিসপত্র ভাংচুর করে মুল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে যাওয়া, পরে অফিস টি বৌদ্ধ সমিতি যুব এর দখলে নেয়া, মাঝখানেরটি বৌদ্ধ সমিতি মহিলা কে দেয়া, আশির দশকের পূর্বে খতিয়ান জালিয়াতি, ৭ পোয়া ওজনের স্বর্ণের বুদ্ধমূর্তি আত্মসাৎ ,ভিক্ষু থেকে বৌদ্ধ সমিতির সভাপতি পদ কেঁড়ে নেয়া এইরকম বহু অপকর্মকারী দূর্বত্তদের পক্ষে ছাপাাই গাওয়া, বুদ্ধের সময়ের চিঞ্চা মানবিকা ও সুন্দরী পরিব্রাজিকা যেমন তীর্থংকর সন্যাসীদের প্ররোচনায় বুদ্ধের নামে মিথ্যা কলংক রটিয়েছিল তেমনি সমিতির প্ররোচনায় তাদের ধর্ম-সম্পাদকের স্ত্রী ড. জিনবোধি ভিক্ষুর মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার সময় তা উদ্ধারের চেষ্টা করলে নারীর শ্লীলতাহানির নামে ছবি তুলে ভাইরাল করা,তার স্বামী কর্তৃক তথাকথিত বৌদ্ধ নেতাদের সামনে একজন বরেণ্য ভিক্ষুর গায়ে তুলে অধ্যাবদি ভুল স্বীকার না করা, মুল মামলায় ড. জিনবোধি ভিক্ষু পরপর দুটিতে জয়লাভ করায় সমিতি এখন হাইকোর্টে আপিল করে পরাজয়ের আতংকে থাকা সব নির্যাস সত্যগুলো গোপন করে এ পোস্ট দেওয়া, ধূর্তামি ভন্ডামি নয় কী? সাধু সাধধান। যত মিথ্যাচার করবেন আপনাদের জগণ্য চরিত্রের কৃতকর্মগুলো প্রতিত্তোরে জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। ধূর্তামি পরিহার করুন। আপনি কোন শ্রেণির কোন পক্ষীয় লেখক সচেতন বৌদ্ধ সমাজ সবাই জানে। আপনার কারণে বৌদ্ধ সমিতির দীর্ঘদিনের কুকীর্তি ক্রমশ প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে। সুতরাং আপনি কারও মিত্র নয়, বরং সমাজ সদ্ধর্মের ক্ষতিকারক বিষবৃক্ষ।

31/03/2024

*আমরা কি দানটা নির্লোভ ভাবে গ্রহণ করতে পারছি*
``````````````````````````````````````````````````````````````````
সদ্ধর্মদেশনায়ঃ : ধর্মদূত, সদ্ধর্মকোবিদ #ভদন্ত_মহাস্থবির_এস_লোকজিৎ_ভিক্ষু, (এম.এ, এম ফিল, পিএইচডি গবেষক) অধ্যক্ষ, ঐতিহ্যবাহী পুণ্যতীর্থ চান্দগাঁও শাক্যমুনি বিহার, প্রাক্তন মহাসচিব, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা

#বুদ্ধ #ধর্ম #সংঙ্ঘ

ভিডিও- Ven Shraddhanidhi

30/03/2024

নমো বুদ্ধায়।
প্রয়াত কালী কিংকর বড়ুয়া, প্রয়াতা দেবী বড়ুয়া ও ভ্রাতা রামমোহন বড়ুয়া, শ্রীধন বড়ুয়া, ললিত বড়ুয়া সহ সকল প্রয়াত আত্মীয় স্বজন এর পারলৌকিক শান্তি, সদগতি দুঃখ মুক্তি কামনায় মহান সংঘক্ষেত্রে অষ্ট-পরিষ্কারসহ সংঘদান ও জ্ঞাতী সম্মেলন অনুষ্ঠানে

সভাপতি: ভদন্ত এস ধর্মপাল মহাথের, সভাপতি, উখিয়া ভিক্ষু সমিতি।
আর্শীবাদক:ভদন্ত কুশলায়ন মহাথের, অধ্যক্ষ, শৈলেরডেবা চন্দ্রোদয় বৌদ্ধ বিহার, উখিয়া।
প্রধান অতিথি :ভদন্ত আর্যপ্রিয় মহাথের, অধ্যক্ষ, দেবপাহাড় পূর্ণাচার আর্ন্তজাতিক বৌদ্ধ বিবার, চট্টগ্রাম।

প্রধান সদ্ধর্মদেশক : ধর্মদূত, সদ্ধর্মকোবিদ #ভদন্ত_মহাস্থবির_এস_লোকজিৎ_ভিক্ষু, (এম.এ, এম ফিল, পিএইচডি গবেষক) অধ্যক্ষ, ঐতিহ্যবাহী পুণ্যতীর্থ চান্দগাঁও সার্বজনীন শাক্যমুনি বিহার, প্রাক্তন মহাসচিব, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা।

উদ্বোধক : সদ্ধর্মসারথি আশিন প্রজ্ঞাবোধি মহাথের, অধ্যক্ষ, ঐতিহাসিক উখিয়া কেন্দ্রীয় পাতাবাড়ি আনন্দ ভবন বৌদ্ধ বিহার, উখিয়া।
বিশেষ ধর্মদেশক ভদন্ত ড. সুমনাপ্রিয় মহাথের, সাতবাড়িয়া রত্নাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহার, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম।
তারিখ: ৩০ মার্চ ২০২৪ইং, রোজ: শনিবার ১৬ চৈত্র, ১৪৩০ বাংলা
স্থানঃ নিজবাড়ী, পাতাবাড়ী, উখিয়া, কক্সবাজার।
আয়োজনেঃ মিলন কুমার বড়ুয়া ও তার পরিবারবর্গ

29/03/2024

🔴 𝕃𝕚𝕧𝕖/সরাসরি সম্প্রচার
বাংলাদেশী বৌদ্ধদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয় গুরু, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার মাননীয় উপ-সংঘরাজ, রাউজান বিমলানন্দ কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ, সদ্ধর্মভাণক, স্মৃতিধর ভদন্ত ড. শীলানন্দ মহাথের মহোদয়ের মহাপ্রয়ানে জাতীয় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্টান...

সংঘবন্ধু অজিতানন্দ মহাস্থবিরের শুভ জন্মদিনে চট্রগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের কিছু ইতিকথা @@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@সংঘসেবক , অধ্যাপক ...
28/03/2024

সংঘবন্ধু অজিতানন্দ মহাস্থবিরের শুভ জন্মদিনে চট্রগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের কিছু ইতিকথা
@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@@
সংঘসেবক , অধ্যাপক ড অর্থদর্শী বড়ুয়া
অধ্যক্ষ, চট্রগ্রাম মডেল স্কুল এন্ড কলেজ ।

সংঘের স্বাধিকার আন্দোলনের অগ্রদূত, রাঙ্গৃনীয়া উপজেলা সদর কেন্দ্রীয় অশোকারাম বিহার, রাঙ্গুনিয়া ধর্মরত্ন অনাথ আশ্রমের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ,রাঙ্গুনিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি, রাঙ্গুনীয়া উপজেলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নির্বাচিত সভাপতি, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার ভূতপূর্ব সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতি , সত্য ন্যায়ের জন্য আপোষহীন নেতৃত্ব, ধর্মসেনাপতি সংঘবন্ধু অজিতানন্দ মহাথের এম এ ত্রিপিটক বিশারদ মহোদয়ের আজ জন্মদিন। ১৯৮০ দশক হতে সংঘের স্বাধিকার প্রতিষ্ঠা, চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে আশ্রিত অবৈধ দখলদার বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি কর্তৃক সংঘ সম্পদ চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার সমিতির প্রতিষ্ঠিত পরিচালিত ও নিজস্ব সম্পত্তি দাবী করার প্রতিবাদে গর্জে উঠেছিলেন তৎকালীন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সাধারণ সম্পাদক ভদন্ত অজিতানন্দ মহাস্থবির। চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের প্রাক্তন অধ্যক্ষ,বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির সভাপতি ভদন্ত দীপংকর শ্রীজ্ঞান মহাস্থবির কে বার্দ্ধক্যের সুযোগে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের বিএস জরীপে বিহারাধ্যক্ষ কে বাদ দিয়ে বৌদ্ধ সমিতির তৎকালীন সেক্রেটারি কিরিটি বিকাশ বড়ুয়ার নাম বসিয় দেন এবং বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির নেতৃবৃন্দ ভদন্ত দীপংকর শ্রীজ্ঞান মহাস্থবির কে সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে প্রথমে শ্রী অবিনাশ চন্দ্র বড়ুয়া কে সভাপতি করেন। পরে অধ্যাপক রনধীর বড়ুয়া এবং পরবর্তীতে মি.হেমেন্দ্র লাল বড়ুয়া টিটি সভাপতি পদ গ্রহণ করেন এবং এডভোকেট হিমাংশু বিমল বড়ুয়া কে সাধারণ সম্পাদক মনোনীত করেন। এরপর থেকে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ও চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের দৃশ্যপট পাল্টে যায়। বিহারাধ্যক্ষ দীপংকর শ্রীজ্ঞান মহাস্থবির মহাপ্রয়াণ করলে মহাসভার সাধারণ সম্পাদক ভদন্ত অজিতানন্দ মহাস্থবির দাবী তুলেন বিনয় বিধান মতে মৃত ভিক্ষুর যাবতীয় বস্তু বা সম্পদের মালিক ভিক্ষু সংঘ। বৌদ্ধ সমিতি দাবী করে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের যাবতীয় সম্পত্তি এবং চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে অবস্থানরত ভিক্ষু শ্রামন প্রয়াত হলে তাদের স্থাবর অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তির মালিক হবে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি। এ নিয়ে সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা এবং বৌদ্ধ সমিতির বিরোধ চরমে পৌঁছায়। বৌদ্ধ সমিতি তাদের গঠন তন্ত্র কে পরিবর্তন করে বিহারকে তাদের প্রতিষ্ঠিত পরিচালিত দাবী করে বিবৃতি দিতে থাকে। চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে আহুত সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার কারক সভার অধিবেশনে বৌদ্ধ সমিতি পুলিশ এনে সভা ফন্ড করে দেয়। সংঘরাজ শীলালংকার মহাথেরোর ছবি হেমেন্দ্র লাল বড়ুয়ার নেতৃত্বে ভেঙে ছুড়ে ফেলে দেয়। পুলিশ দিয়ে সংঘরাজ শীলালংকার মহাথেরসহ ভিক্ষু সংঘকে বের করে দেয়। এরপর ভদন্ত অধ্যাপক শীলাচার শাস্ত্রী এমএ মহোদয় কে অধ্যক্ষ নির্বাচন নিয়ে বহু ঘটনা প্রবাহ চলতে থাকে। কিছুদিন নিরব থাকার পর ১৯৮৮ সালে বিহারাধ্যক্ষ শীলাচার শাস্ত্রী এমএ মহোদয় মহাপ্রয়াণ করলে তাঁর শবদাহ কমিটি নিয়ে আবার বৌদ্ধ সমিতির সাথে মহাসভার বিরোধ চরম পর্যায়ে পৌঁছে। সে সময় এ বিষয়গুলোর সাথে আমরা জড়িয়ে পড়ি।শুরু হয় সংংঘের অধিকার আদায় এবং চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার বৌদ্ধ সমিতির রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত করা। ভদন্ত প্রজ্ঞাবংশ থের চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ হবার আশায় বৌদ্ধ সমিতির সাথে আঁতাত করে সংঘের মধ্যে বিভাজন এনে ভিক্ষুমহাসভা অষ্টম নবম দুই ধারায় বিভাজন হয় যায়। ততদিনে কর্ণফুলীতে বহু পানি বয়ে যায়।বহুদুঃখ বিঘাতের পর ১৯৯৩ সালে অষ্টমের পক্ষে সংঘরাজ শীলালংকার মহাথের, উপসংঘরাজ সুবোধিরত্ন মহাস্থবির, মহসচিব প্রজ্ঞাবংশ চুক্তিতে সই করেন।নবম সংঘরাজ দলের পক্ষে সভাপতি ভদন্ত শাসনশ্রী মহাস্থবির পরবর্তী একাদশ সংঘরাজ, অর্থসচিব পূর্ণানন্দ মহাস্হবির এবং মহাসভার সাধারণ সম্পাদক এস,জ্ঞানপ্রিয় ভিক্ষু স্বাক্ষর করে সংঘের মধ্যে ঐক্যের বাতাবরণ সৃষ্টি হয়। এরপরে বৌদ্ধ সমিতি উপাধ্যক্ষ প্রজ্ঞাবংশ মহাথের কে বাচনিক- মানসিক নির্যাতনের মাধ্যমে রাতের অন্ধকারে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার ত্যাগ করে রাঙামাটিতে বনভান্তের বিহারে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিল। যে প্রজ্ঞাবংশ ভিক্ষু কে বাদী করায়ে আমরা দুজন ভিক্ষুকে বিবাদী করে মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ করা হয়েছিল ঠিক তারাই আবার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ভদন্ত প্রজ্ঞা বংশকে থেরকে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার ত্যাগে বাধ্য করেছিলেন। সে বিষয় ভালোভাবে জানার জন্য ভদন্ত প্রজ্ঞাবংশ মহাথের লিখিত মহাবর্গ পরিক্রমা বইটির পটভূমি পড়তে পারেন। ১৯৯৮ সালে কলিকাতায় অবস্থানরত ড. জিনবোধি ভিক্ষু কে বহুপ্রলোভন এবং স্বপ্ন দেখিয়ে বৌদ্ধ সমিতির নেতারা অষ্টম সংঘরাজ সাহিত্যরত্ন শীলালংকার মহাথেরোর অনুমোদন নিয়ে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের উপবিহারাধ্যক্ষ হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। বছর ঘরতেই ড. জিনবোধি ভিক্ষু সমিতির অনিয়ম ও তাদের আনুগত্য স্বীকার না করায় ক্রমশ তাঁর সাথে সমিতির তথাকথিত নেতাদের সাথে তিক্ততা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। শেষ পর্যন্ত ২০১২ সালে চিন্তামনি পাঠাগার নিয়ে বাদানুবাদের কারণে অবৈধ বৌদ্ধ সমিতি ড. জিনবোধি ভিক্ষু কে স্বৈরাচারী কায়দায় অবৈধ ভাবে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারের উপাধ্যক্ষ পদ হতে বহিষ্কার করেন। তখন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার নির্বাচিত সভাপতি সংঘবন্ধু অজিতানন্দ মহাথের। মহাসচিব ভদন্ত শাসনপ্রিয় মহাথের। আমি এবং প্রয়াত উপাসকরত্ন বাবু প্রভাস রঞ্জন বড়ুয়া অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক নিবন্ধন শ্রদ্ধেয় অজিতানন্দ মহাস্থবির কে অনুরোধ করি ড. জিনবোধি ভিক্ষু কে এ দুঃসময়ে রক্ষা করার জন্য সর্বতোভাবে যেন সহায়তা করা হয়। প্রথমে সভাপতি অজিতানন্দ মহাস্থবির ভন্তে অনীহা প্রকাশ করলেও পরে আমরা নানাযুক্তি উপস্থাপন করলে সংঘ সম্পত্তি সংরক্ষণ ও উদ্ধারের জন্য মহাসভার তাৎক্ষণিক সাধারণ সভা আহবান করে বৌদ্ধ সমিতির আদেশ কে অবৈধ ঘোষণা করে লিখিত বিবৃতি ও নিদের্শনা প্রদান করেন।এরপর থেকে বুদ্ধি পরামর্শ দিয়ে,আদালতে সংঘ সম্পত্তির পক্ষে লিখিত জবানবন্দি দিয়েছেন। আজীবন তিনি ভিক্ষুসংঘের স্বার্থে নিজের জীবন কে উৎসর্গ করে গেছেন। ১৯৯৩ সালে সমাজ সদ্ধর্ম স্বার্থে আমি যখন ভদন্ত প্রজ্ঞাবংশ মহাস্থবির সাথে অষ্টম নবম মিলন চুক্তি করেছিলাম, সংঘসম্পত্তি সহ উভয় পক্ষের মামলাগুলো প্রত্যাহার করচ্ছিলাম চট্টগ্রাম সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহারে তিনি বলেছিলেন " যতদিন চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার সংঘ সম্পত্তি হবে না ততদিন আমি চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারেে যাব না। " ১৯৯৩ সাল হতে তিনি আমৃত্যু চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে যায় নি। বৌদ্ধ সমিতির কর্মকর্তারা স্বর্ণপদক প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েও অজিতানন্দ মহাস্থবির ভন্তেকে চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে আনার জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন । তিনি তা সবিনয়ে প্রত্যাখান করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর পর সমিতির সভাপতি আমাকে ফোন দিয়েছিলেন তাঁর পবিত্র শবদেহ চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে আনার জন্য। আমরা রাজি হইনি। কারণ তিনি প্রতিজ্ঞা করেছিলেন সংঘ সম্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহারে যাবেন না। তাই আমরা পুণ্যতীর্থ চান্দগাঁও সার্বজনীন শাক্যমুনি বিহারে তাঁর প্রথম শোকসভা করেছিলাম। বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার তৎকালীন সুযোগ্য মহাসচিব ধর্মদূত ভদন্ত এস, লোকজিত থের এবং শাক্যমুনি বিহার উন্নয়ন কমিটি সেদিন অনন্য ভূমিকা রেখেছিলেন।
গত ৯/৩/২৪ চট্টগ্রাম বৌদ্ধ বিহার অবৈধ দখলদার বৌদ্ধ সমিতির রাহুগ্রাস থেকে মুক্ত। আদালত কর্তৃক সংঘ সম্পত্তি হিসেবে পর পর রায় পেয়েছে বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার পক্ষে ড. জিনবোধি মহাথের। উচ্চতর আদালতেও সে রায় বহাল থাকবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী। রাঙ্গুনিয়ার জন্মজাত বরেণ্য পূজ্য ধর্মসেনাপতি সংঘবন্ধু অজিতানন্দ মহাথেরোর অসমাপ্ত কাজটি রাঙ্গুনিয়ার জন্মজাত আরেক আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন দেশবরেণ্য , একুশে পদকে ভূষিত প্রফেসর ড. জিনবোধি মহাথেরোর হাত দিয়েই পূর্ণতা পেতে যাচ্ছে। এটি বৌদ্ধ জাতির জন্য একটি মাইল ফলক। বর্তমান প্রজন্মের ভিক্ষুসংঘ শীলবান সুসংযত, আদর্শবান হয়ে সংঘবন্ধু অজিতানন্দ মহাথের ও ড. জিনবোধি মহাথেরোর স্বপ্ন পূরণে পরিশুদ্ধ স্বাধীন সংঘরাজ নিকায় সংরক্ষণ করবে সংঘের একজন অধম সেবক হিসেবে আমি একান্ত ভাবে প্রত্যাশা করি। জয়তু বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভা। বুদ্ধের শাসন চিরস্থায়ী হোক।পুণ্যদানে পূজ্য সংঘবন্ধু অজিতানন্দ মহাথেরোর নির্বাণ শান্তি কামনা করছি।

Address

Chittagong

Telephone

+8801757291600

Website

Alerts

Be the first to know and let us send you an email when Shakyamuni TV posts news and promotions. Your email address will not be used for any other purpose, and you can unsubscribe at any time.

Contact The Business

Send a message to Shakyamuni TV:

Videos

Share


Other Media/News Companies in Chittagong

Show All